এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষেঃ টার্কি ও গ্রীস

    hu
    অন্যান্য | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ | ৬৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 78.63.145.192 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:১৪691905
  • গ্রীস আর টার্কি অনেকে একসাথে ঘুরে নেয়। আমরা সেটা করিনি। ২০১৪র অক্টোবরে টার্কি। আর ২০১৫র জুনে গ্রীস। গ্রীসটা (মূলত ক্রীট) অবশ্য টিমের বিজনেস ট্রিপ ছিল। আমি লেজুড় হয়েছিলাম। বহুদিন ধরেই এই সর্ষেটা লেখার কথা। আজ ইঁট পেতে দিলাম। একটু একটু করে হয়ে যাবে আশা করি। উপরন্তু সদ্য সিকির থেকে ছবি পোস্ট করার বিষয়ে শিক্ষা লাভ হয়েছে। সেটারও প্রয়োগ হবে।
  • hu | 78.63.145.192 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:১৭691911
  • গ্রীস আর টার্কি অনেকে একসাথে ঘুরে নেয়। আমরা সেটা করিনি। ২০১৪র অক্টোবরে টার্কি। আর ২০১৫র জুনে গ্রীস। গ্রীসটা (মূলত ক্রীট) অবশ্য টিমের বিজনেস ট্রিপ ছিল। আমি লেজুড় হয়েছিলাম। বহুদিন ধরেই এই সর্ষেটা লেখার কথা। আজ ইঁট পেতে দিলাম। একটু একটু করে হয়ে যাবে আশা করি। উপরন্তু সদ্য সিকির থেকে ছবি পোস্ট করার বিষয়ে শিক্ষা লাভ হয়েছে। সেটারও প্রয়োগ হবে।
  • hu | 78.63.145.192 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:২১691912
  • গ্রীস আর টার্কি অনেকে একসাথে ঘুরে নেয়। আমরা সেটা করিনি। ২০১৪র অক্টোবরে টার্কি। আর ২০১৫র জুনে গ্রীস। গ্রীসটা (মূলত ক্রীট) অবশ্য টিমের বিজনেস ট্রিপ ছিল। আমি লেজুড় হয়েছিলাম। বহুদিন ধরেই এই সর্ষেটা লেখার কথা। আজ ইঁট পেতে দিলাম। একটু একটু করে হয়ে যাবে আশা করি। উপরন্তু সদ্য সিকির থেকে ছবি পোস্ট করার বিষয়ে শিক্ষা লাভ হয়েছে। সেটারও প্রয়োগ হবে।
  • hu | 78.63.145.192 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:২৩691913
  • বাহ! অপূর্ব! আপডেটে অসমর্থ দেখানোর পর তিনখানা পোস্টের মানেটা কি!
  • hu | 78.63.145.192 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:০৫691914
  • কনস্টান্টিনোপল আর ইস্তান্বুল যে আসলে একই শহর সেটা আমি অনেক দিন পর্যন্ত বুঝতে পারি নি।। এখন আর মনে নেই ঠিক কবে, তবে ক্রুসেডের ওপর একটা বই পড়তে গিয়ে ব্যাপারটা প্রথম খেয়াল হয় এবং তখন থেকেই টার্কির ভূত ঘাড়ে চাপে। আরো সুবিধে হয়ে গেল কাজাখস্তান গিয়ে। আস্তানা থেকে ডিরেক্ট ফ্লাইট আছে ইস্তানবুলের। ভিসা করাও খুব সোজা। অনেকবারই প্ল্যান হয়। কিন্তু ভেস্তে যায় ছুটির অভাবে। শেষ পর্যন্ত ২০১৪র ফল ব্রেকে আগে-পিছে না ভেবেই টিকিট কেটে ফেললাম। ততদিনে আইসিস মাথা চাড়া দিয়েছে। কোবানে শহরের দখল নিয়ে যুদ্ধ চলছে। টার্কির রাস্তাঘাট কেমন জানি না। শহরের বাইরে লোকে ইংরিজি বুঝবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। এইসব বিবেচনা করে আমরা গাইডেড ট্যুরই নেওয়া ঠিক করলাম। যাওয়ার পরে দেখেছি রাস্তাঘাট খুবই ভালো। নিজেরাও ড্রাইভ করা যেত। আমরা ওরিয়ন ট্যুর নামে এক কোম্পানির সাথে গেলাম। প্রথমে ম্যাপটা দিয়ে দিই। আটদিনে টার্কির যে অংশগুলো ছুঁয়ে এলাম।



    আমার খুব ইচ্ছে ছিল এর সাথে নিমরুদ পাহাড় যোগ করার। সেই পাহাড়ের মাথায় গ্রীক দেবতাদের বিশাল বিশাল মূর্তি আছে। টিমকেও ছবি দেখানোর পর সে বলে ওখানে যেতেই হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিমরুদ বাদ দিতেই হল। জায়গাটা সিরিয়া বর্ডারের খুব কাছে। ট্যুর কোম্পানিও খুব উৎসাহ দেখাল না। কে জানে পরে কখনও যেতে পারব কিনা!

    এই হল নিমরুদের ছবি

  • hu | 78.63.145.192 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:২৯691915
  • টার্কির প্ল্যানটা যখন একটু একটু করে শেপ পেতে শুরু করল তখন দু-একটা বই পড়তে শুরু করলাম। দমদির থেকে পামুকের ইস্তান্বুল নিলাম। ইউনিভার্সিটি যাওয়ার পথে বাসে পড়তে পড়তে যেতাম। আর মনের মধ্যে একটা বসফরাস কল্পনা করে নিতাম। সত্যি বলতে কি, পামুকের কলমের এমনই জোর যে আসল বসফরাস দেখার পরেও বসফরাস বলতে আমার পামুকের বর্ণনাই আগে মনে আসে। তবে পামুক শেষ করে বুঝলাম বইটা পড়ে যতই ভালো লাগুক না কেন, তখনও আমার টার্কির ইতিহাস সম্পর্কে খুব একটা সম্যক ধারনা নেই। এদিক ওদিক অনেক রিভিউ পড়ে লার্স ব্রাউনওয়ার্থের "লস্ট টু দ্য ওয়েস্ট" পড়ব ঠিক করলাম। যারা রোমান সাম্রাজ্য - বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য - ক্রুসেড এবং সব শেষে অটোমান সাম্রাজ্যের ট্রান্সজিশন সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাদের বইটা রেকো করছি। চমৎকার লেখা। তবে মূলত ইস্তান্বুলেই সীমাবদ্ধ। সেন্ট্রাল টার্কির সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা হল না। অবশ্য এটাই স্বাভাবিক। বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য একসময় এশিয়ার মধ্য দিয়ে জেরুজালেম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল বটে, কিন্তু বারবারই এশিয়া তাদের হাতছাড়া হয়েছে। ব্রাউনওয়ার্থ সাহেবের বইটায় কনটান্টিনোপল শহরের উত্থান-পতনই প্রাধান্য পেয়েছি। সেসব গল্প এতই রোমাঞ্চকর, যে কোথায় লাগে বানিয়ে বানিয়ে লেখা থ্রিলার! এর সাথে ইউটিউবে বেশ কিছু ডকুমেন্টরী দেখা হয়েছিল সেই সময়। সেগুলো খুঁজে পেলে দিয়ে দেব এখানে।
  • potke | 126.202.85.251 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:৪৮691916
  • মানে, বড় করে লিখতে বলছে, আর কি!

    লিখুন, পড়ছি।
  • hu | 78.63.145.192 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:৫৪691917
  • গল্প শুরু হোক কনস্ট্যান্টিনোপলের প্রাচীর দিয়ে। এরকম দুর্ভেদ্য প্রাচীর এর সমকালে আর দুটি ছিল না।



    কনস্ট্যান্টিনোপল শহরটা কিন্তু বেশ ছোট। আজকের ইস্তান্বুলের চেয়েও অনেক ছোট। এই ছবিতে যে ত্রিভুজের মত অংশটা দেখা যাচ্ছে ওটাই কনস্ট্যান্টিনোপল। এখন এটাকে ওল্ড সিটি বলে। আয়া সোফিয়া, ব্লু মস্ক, তোপকাপি প্যালেস - সব এর মধ্যেই। এই ত্রিভুজ ঘিরেই ছিল কনস্ট্যান্টিনোপলের দুর্ভেদ্য প্রাচীর। গন্ডারের নাকের মত যে অংশটা দেখা যাচ্ছে - যার ওপর দিয়ে সরু এক চিলতে সমুদ্র শহরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে - ওর নাম গোল্ডেন হর্ণ। বাইজান্টাইন আমলে ঐ নাকের ওপর দিয়ে গোল্ডেন হর্ণ বরাবর লোহার চেইন বিছানো থাকত শত্রুপক্ষের জাহাজকে আটকানো জন্য। তিনদিক জলে ঘেরা আর একদিকে পেল্লাই পাঁচিল - রাজধানী বানানোর জন্য এর চেয়ে সুরক্ষিত জায়গা কমই হয়। উপরন্তু ইউরোপ আর এশিয়ার সংযোগস্থলে থাকার জন্য দুই তরফেই নজরদারি বহাল রাখার সুবিধা। অবশ্য এর জন্য কম ভোগান্তিও হয়নি এই শহরের।

  • hu | 78.63.145.192 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ০০:৪৯691918
  • কনস্ট্যান্টিনোপল শহরটার কেন পত্তন করার দরকার হল সেটা বুঝতে গেলে ঐ সময়ের রোমান সাম্রাজ্যের স্ট্রাকচারটা একটু জানতে হবে। খুবই ঘটনাবহুল কাহিনী। তবে আমি খুব অল্পই বলব যেটুকু না হলেই নয়। সাম্রাজ্য আয়তনে খুব বেড়ে যাচ্ছে বলে ঠিক হয় একজন নয়, দুজন অগাস্টাস সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থাকবে। একজন পূর্বে, একজন পশ্চিমে। দুজনেই নিজের জায়গায় স্বাধীন কিন্তু দুজনেই অখন্ড রোমান সাম্রাজ্যের প্রতি দায়বদ্ধ। এদের নিচে একজন করে সিজার। কনস্ট্যান্টাইনের বাবা ছিলেন এরকমই এক সিজার। এতগুলো রাজা-বাদশা নিয়ে রাজ্য চলে না। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই ব্যবস্থা টিকল না। কিছুদিন অরাজকতার পর কনস্ট্যানটাইন অখন্ড রোমান সাম্রাজ্যের অগাস্টাস হয়ে বসলেন। এবং ৩৩০ খ্রীষ্টাব্দে রাজধানী সরিয়ে আনলেন ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থলে বাইজান্টাম নামে একটা গ্রীক গ্রামে। সেই গ্রামই নতুন নাম পেল কনস্ট্যান্টিনোপল। তখনও কিন্তু খ্রীষ্টধর্ম স্টেট স্পনসরশিপ পায়নি। খ্রীষ্টানদের পুড়িয়ে মারা খুবই কমন ঘটনা। সেন্ট্রাল টার্কিতে ঘোরার সময় আমরা একাধিক খ্রিষ্টান শহীদের সমাধি দেখেছি। কনস্ট্যানটাইনের মা ছিলেন খ্রিষ্টান। হয়ত সে কারনে তাঁর খ্রীষ্টধর্মের প্রতি সহানুভূতি থেকে থাকবে। তবে তা সত্ত্বেও কনস্টানটাইনের জীবৎকালে খ্রীষ্টধর্ম স্টেট রিলিজিয়ন হয়ে উঠত পারেনি। কনস্টান্টাইন বুদ্ধিমান শাসকের মত দুইদলকে খুশি করে চলার চেষ্টা করেছেন এটা বলা যেতে পারে।

    সাথের ছবিটি আয়া সোফিয়া চার্চের একটি মোজেইক। ডানদিকের রাজাটি কনস্টান্টাইন। তিনি কনস্টানটিনোপল শহরটি যিশু ও মেরিকে নিবেদন করছেন। আয়া সোফিয়া কনস্টানটাইনের মৃত্যুর অনেক পরে তৈরী যদিও। তিনি সম্ভবত এসব জেনে যান নি।

    বাঁদিকের লোকটি জাস্টিনাইন। আয়া সোফিয়া এনার আমলেই তৈরী হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ইনি চার্চটা দিচ্ছেন মেরি ও যিশুকে। মোজেইকটি অনেক পরে আঁকা। জাস্টিনাইনের সময় কিছু আঁকা হয়ে থাকলেও সেসব নষ্ট হয়ে গেছে। আয়া সোফিয়ার প্রায় সবই নষ্ট হয়েছে। আর সেটা হয়েছে চতুর্থ ক্রুসেডের সময়। যে ধর্মের প্রার্থনাগৃহ সেই ধর্মেরই মানুষের হাতে। কিছু মনে পড়ছে? সন্ত্রাসবাদীর কোন ধর্ম হয় না - কথাটা ক্লিশে হলেও ক্লিশে নয়।

  • hu | 78.63.145.192 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:৫৮691906
  • শুক্রবার রাতে প্লেনে চড়ে শনিবার ভোর ছ'টায় ইস্তান্বুল পৌঁছনো গেল। অ্যারাইভাল গেটে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল রজব কর্তাল। ওরিয়নের পক্ষ থেকে আমাদের ট্যুর গাইড। এয়ারপোর্টেই আমরা কিছু ডলার ভাঙিয়ে নিয়েছি। বাথরুম সেরে নিয়েছি। হাতে সময় যেহেতু মাত্র আটদিন, একটা মুহূর্তও নষ্ট করা চলবে না। বস্তুত এয়ারপোর্ট থেকে বেরোনো মাত্র আমাদের সেদিনের ট্যুর শুরু হয়ে গেল। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অবস্থার প্রভাব যে কিভাবে ট্যুরিজমে পড়ছে তার খুব স্পষ্ট ছবি দেখতে পেলাম। আমরা কোন পার্সোনাল ট্যুর বুক করিনি। ট্যুর বুক করার সময় জেনেছিলাম ১৮-২০ জনের গ্রুপ থাকবে। কিন্তু গাড়িতে উঠে দেখলাম আমরা একাই আছি। একটা টেন সিটার ভ্যান ছিল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসা গেল। তখনও বিশ্বাস করতে পারছি না আমরা ছাড়া আর কেউ নেই। রজবকে জিজ্ঞেস করলাম, বাকিরা কখন আসবে? রজব বলল, আর কেউ নেই। এটা তোমাদের পার্সোনাল ট্যুর। আমাদের জন্য খুবই ভালো খবর। যত খুশি সময় নিয়ে দেখা যাবে, কেউ বিরক্ত করবে না। যদিও আমরা দুজনেই একটু বোরিং রকমের পাংচুয়াল। কাজেই যেই মনে হত রজব হয়ত অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য, অমনি ফেরার পথ ধরতাম। একবারই এর ব্যাতিক্রম হয়েছিল। সে গল্প পরে।

    এয়ারপোর্ট এরিয়া থেকে গাড়ি বেরোতেই ভ্যালেন্স অ্যাকুইডাক্ট দেখে চোখ কপালে উঠল। ঝকঝকে এয়ারপোর্ট, হাল আমলের সব মডেলের গাড়ির মধ্যে এই জিনিস কেউ যদি দেখে তাহলে তার আর কি হওয়া উচিত! এই অ্যাকুইডাক্ট বা সোজা বাংলায় জলের পাইপ দিয়ে কনস্টান্টিনোপলে জল আসতো দূরের সব বরফে ঢাকা পাহাড় থেকে। জিনিসটা কি তা বুঝতে বুঝতেই গাড়ি ছাড়িয়ে এসেছে। রজবকে বলে গাড়ি দাঁড় করানো হল। সেদিন ভোরে মেঘলা ছিল ইস্তান্বুল।
  • hu | 78.63.145.192 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ০৪:০১691907


  • আমরা একটু একটু বুঝতে পারছিলাম এই শহরে এই ভাবেই দু-হাজার বছরের প্রাচীন মনুমেন্ট আর একবিংশ শতক গা ঘেঁসাঘেসি করে দাঁড়িয়ে আছে।
  • hu | 78.63.145.192 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ০৪:১৫691908
  • আমরা রাস্তায় নেমেছি সাতটা নাগাদ। তখন সবে দোকানপাট খুলছে। অনেক দোকানের সামনে দেখছি রট আয়রনের চেয়ার পাতা। লোকজন চা এবং আরো কিসব যেন খাচ্ছে সেখানে। এসব দেখে আমাদেরও মনে হচ্ছে ব্রেকফাস্টের সময় হয়েছে বটে। রজব বোধহয় আমাদের মনের কথা আন্দাজ করেই একটা বেকারীর সামনে গাড়ি দাঁড় করালো। আমি, টিম, রজব আর আমাদের ড্রাইভার সাহেব (ইনি ইংরিজি বলেন না) একটা টেবিল দখল করলাম। ফিনফিনে পাতলা কাঁচের গেলাসে চা এল। আর সেই সাথে সদ্য বেক করা কয়েক রকম পেস্ট্রি। একটা শুধু চিজের। একটা মাংস দেওয়া। আর একটাও চিজের, তবে মিষ্টি। টার্কিতে এই পেস্ট্রির নাম বোরেক। এক কামড় খেয়েই বোঝা গেল এই দেশে এসে আর কিছু না হোক খাওয়া-দাওয়াটা জম্পেশ হবে।

    প্রাতরাশ শেষ হতে হতে আটটা বাজল। ওল্ড সিটির সরু সরু গলিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকবার পাক খেয়ে আমরা একটা খোলা চত্ত্বরে এসে পৌঁছলাম। এখানে আমাদের গাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। বাকি দিনটা আমরা হেঁটেই ঘুরব। এটা হল প্রাচীন কনস্টান্টিনোপলের প্রাণকেন্দ্র - হিপোড্রম। এখানেই ব্লু মস্ক। ব্লু মস্ক পেরোলেই আয়া সোফিয়া। তার পিছনে তোপকাপি প্যালেসের সীমানা শুরু বসফরাসের গা ঘেঁসে।

    এই যে ছবিটা দিয়েছি হিপোড্রমের - এই সবুজ মন্দিরের মত বাড়িটা আসলে একটা ওয়াটার ফাউন্টেন। জার্মানির গিফ্ট টার্কিকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে টার্কি লড়েছিল জার্মানির দিকে। ঠিক এই জায়গাটাতে এই বছরের জানুয়ারীর মাঝামাঝি আই এসের এক সুইসাইড বম্বার ছ'জন জার্মান ট্যুরিস্টকে উড়িয়ে দিয়েছে।

  • হায়! | 192.69.212.169 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ০৭:৪৭691909
  • সোংবার পৌঁছেছিলাম, শনিবার সকালে ফেরত। দু রাত ইস্তাম্বুল আর তিন রাত আঙ্কারায় থেকেও হোটেল আর আপিস ভিন্ন কিছুই দেখা হয় নি।

    হুচি লেখো, পড়ছি।
  • kiki | 113.192.116.127 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৫:২৬691910
  • বড় ভালো লেখে মেয়েটা। ও হুচি, সময় পেলেই লিখে ফেলো।(কিন্তু আমি এত অনিয়মিত, বেশিরভাগ সময় এসে আর টই খুঁজে পাই না, এখন যেমন তিমির আলাস্কা আর সিকির লাস্ট টইটা খুঁজে পাচ্ছি না। ঃ( )
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন