এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মিডিয়া, চাইল্ড অ্যাবিউজ, কর্পোরেট পিডোফিলিয়া

    সুমন মাইতি
    অন্যান্য | ১১ নভেম্বর ২০১৫ | ৭০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুমন মাইতি | 117.213.245.47 | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৫৭688106
  • অফিসের সহকর্মীরা নিজেদের মধ্যে আদিরসাত্মক জোকস শুনিয়ে হাসাহাসি করলে মহিলা কর্মীটির অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়, কারণ না চাইতেও এধরনের কথাবার্তা আশে পাশে প্রায়শই উড়ে বেড়ায়, শুনতে “বাধ্য” হয় বলা চলে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে কেউ এধরনের অসুবিধের সম্মুখীন হলে সেটা যৌন হয়রানীর আওতায় পড়ে বিশাখা গাইডলাইন অনুসারে। আশ্চর্যের ব্যাপার কোন অজ্ঞাত কারণে শিশুদের ক্ষেত্রে এধরনের আইন প্রয়োগ এখনো হয়ে ওঠেনি। শিশুদেরকে সেক্সুয়ালাইজড (এক্সপ্লিসিট অর সাটল) কনটেন্ট দেখতে বাধ্য করা যৌননিপীড়ণের পর্যায়ে পড়ে। বহু ক্ষেত্রেই অভিভাবকদের কাছে এব্যাপারে সঠিক তথ্য না থাকার সুযোগটা পুরো মাত্রায় নেয় মিডিয়া কোম্পানীগুলি।
    ***
    “কর্পোরেট পিডোফিলিয়া” শব্দবন্ধটি একেবারে নতুন ঠেকলে আশ্চর্য হবেন না, এটার নামকরণই হয়েছে ২০০৬ সালে। অস্ট্রেলিয়ার দুই সমাজবিজ্ঞানী শিশুদের মানসিক বিকাশে মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন শিশুরা বিশেষ করে বাচ্চা মেয়েরা (৬-১৬)অনেকেই ইটিং ডিসওর্ডারে ভুগছে।। কেউ কেউ আবার চড়া মাত্রায় সাজগোজে অতিরিক্ত সময় দিচ্ছে। কারণ খুঁজতে গিয়ে অ্যান্দ্রিয়া লা নুজ এবং এমা রাশ বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরলেন। টিভি আর প্রিন্ট মিডিয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন। উনাদের মতে কোম্পানীগুলি নিজেদের পণ্যের চাহিদা তৈরি করার জন্য শিশুদের যৌনতার মোড়কে তুলে ধরছে এবং আইন বাঁচিয়ে এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে একই সঙ্গে মা-বাবা এবং বাচ্চা উভয়কে টার্গেট করা যায়; কিন্তু পুরোটাই করা হয় চূড়ান্ত কৌশলে যেখানে সরাসরি মেসেজটা না দিয়ে ঘুরিয়ে মনের মধ্যে চাহিদাটা তৈরি করা যায়। প্রাক-বয়ঃসন্ধির শিশুদের ক্যাম্পেনের মার্কেটশেয়ার বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়...যাতে ওরা আর বেশী করে বড়দের মতো হাবভাব, আদবকায়দা, চাহিদাগুলো নকল করে। পরিণামে - প্রাককৈশোর উত্তীর্ণ ছেলেমেয়েরা নিজেদের সেক্সুয়ালাইজড অবজেক্ট হিসেবে কল্পনা করতে শুরু করে, বহুক্ষেত্রেই যার ফলশ্রুতি সেলফ ইমেজ নিয়ে চূড়ান্ত ডিপ্রেসানের শিকার এরা, সেখান থেকে ইটিং ডিসর্ডার।
    অনেকেই বলতে পারেন সেক্স নিয়ে এই ভিক্টোরিয়ান প্রুডিশনেশের কি প্রয়োজন – এটাকে স্বাভাবিক জীবনের অংশ হিসেবে নিলেই তো হয়ে যায়। সেখানেও গন্ডগোল – দেখা গেল এই ছেলেমেয়েয়া নিজেদের স্বাভাবিক যৌনতাকেও বডিইমেজের পরিপুরক হিসেবে দেখছে, ফলে জাস্টিন বীভার বা সেলিনা গোমেজ না হলে ভালোবাসার কোন মূল্য নেই! আরেকদলের ক্ষেত্রে প্রভাব আরো মারাত্বক – এরা(মুলতঃ অল্পবয়েসী মেয়েরা, যদিও ছেলেরাও পিছিয়ে নেই) সিডাকশানকে ক্ষমতায়নের সমার্থক মনে করে নিজেদের পণ্যায়নে সানন্দে সায়ও দিচ্ছে। যেকোন মূলধারাবাণিজ্যিক ছবি বা ইদানিং হয়ে চলা শিশুদের ট্যালেন্টসার্চ কম্পিটিশন দেখলেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিন প্রেগন্যান্সীর ওপর সমীক্ষায় দেখা গেল প্রেগন্যান্সীর অন্যতম কারণ হচ্ছে মায়েরা নিজেরাই অব্জেক্টিফিকেশানের শিকার! এদের অ্যাবিউসড হবার সম্ভাবনাও বেশী – যদি বুঝতেই না পারি আমি নির্যাতিত তাহলে প্রতিবাদের প্রশ্নই ওঠে না। অধিকাংশক্ষেত্রে সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের ছেলেমেয়েরা এর শিকার, এজমালী টিভিতে ট্যালেন্টসার্চ দেখে মেয়েটি ভাবে ওইরকমভাবে নাচলে, কথা বললে সেও একদিন এই ঘুপচী ঘর ছেড়ে বেরোতে পারবে!
    ***
    আরেকটি চূড়ান্ত বিতর্কিত বিষয় হল – বহু ক্ষেত্রেই এধরনের সেক্সুয়ালাইজেশান পিডোফিলিয়াক বিহেভিয়ার বাড়িয়ে দিতে পারে।এই প্রশ্নে বহু উদারবাদীমানুষও রে রে করে উঠবেন – এতো হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েত হয়ে গেল- মুলায়ন যেমন বলছিলেন মেয়ের অশালীন পোশাকই রেপের কারণ সেরকমই। এইসব শুচিবায়ুতার ফসল, মিডিয়া কি করে দায়ী হয় পিডোফিলিয়ার জন্য...তারা তো চাইল্ড পর্ন বেচছে না, শিশুদের যৌননির্যাতনে উৎসাহ দিচ্ছে না – তাহলে? দোষীকে না ধরে ভিক্টিমকে দোষারোপ করার পুরনো পিতৃতান্ত্রিক কারসাজী নিশ্চয়ই। না, তা নয়। একাধিক শিশুমনোরোগ বিশেষজ্ঞ, মিডিয়া গবেষক, সমাজতাত্বিকরাও কিন্তু ভিন্নমত পোষণ করেন। অস্ট্রেলীয় সংসদে দেওয়া জন ম্যাকার্থীর বয়ান অনুযায়ী দেখা গেছে বহুক্ষেত্রে পিডোফিলিয়াকরা নিজেদের কাছে চাইল্ড বা টিন মডেলদের ছবি, ম্যাগাজিন ক্লিপিন্স, মিউজিক ভিডিও সঙ্গে রাখে। এটি এতটাই স্পর্শকাতর বিষয় যে ধরাপড়া অপরাধীরাও এধরনের বিজ্ঞাপনের নামোল্লেখ এড়িয়ে যায় সোশ্যাল কনফর্মিটি মেন্টেন করার জন্য। উনাদের মতে এসব নিয়ে গবেষণামূলক কাজ এতো কম হয়েছে যে সঠিক কারণ নির্ণয় হতে বহু দেরী হয়ে না যায়, সেজন্য প্রিএম্পটিভ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী (to err on the side of caution)।
    মিউজিক ভিডিওগুলি আরো স্বেচ্ছাচারী, গবেষণারও প্রয়োজন নেই। সচরাচর পেরেন্টাল গাইডেন্সের পরিধিতে পড়ে না – ফলে এরা সিস্টেমের ফাঁক-ফোঁকরটাকে চূড়ান্তভাবে এক্সপ্লয়েট করে। পুসিক্যাট ডলের “বাটন্স” বা “শিলা কি জওয়ানী” এই ধরনের আইটেম নাম্বারগুলি যারা তৈরি করে তাদের অবিলম্বে চড়া হারে আর্থিক জরীমানার ব্যবস্থা করা উচিৎ, আর সেই টাকায় যৌন নির্যাতনেরশিকার শিশুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক সরকার।নীচের বামদিকের ছবিটা নিয়ে কোন মন্তব্য নিস্প্রয়োজন কিন্তু ইন্টারেস্টিং হছে ডানদিকের আর নীচের ছবিগুলো...আপাতনিরীহ কিন্তু অন্তর্নিহিত বয়ান অন্যকিছুর সাক্ষ্য দিচ্ছে। এধরনের মেসেজিং আমাদের চারিদিকে ছড়িয়ে, আমরা অধিকাংশক্ষেত্রে অবচেতনে সেই একই নক্সা ঝালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু।
  • | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ১৪:৪৩688117
  • গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
    কিছু উদাহরণ দিয়ে আরেকটু বিস্তারিত লিখুন না।
    পক্ষে বিপক্ষে মত আসুক
  • pinaki | 118.171.133.177 | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ১৯:০৭688125
  • বাচ্চাদের অতিমাত্রায় সেক্সুয়ালাইজেশন নিয়ে ইউ কের একটা টিভি প্রোগ্রাম দেখছিলাম একবার। একটা গ্রুপ এই নিয়ে প্রতিবাদ করছে অনেকটা গান্ধীগিরি ফর্মে। ওখানে দেখাচ্ছিল বিভিন্ন জামাকাপড়, জুতো, সাজগোজের জিনিসের অ্যাড, মিউজিক ভিডিও এগুলোতে কিভাবে বাচ্চাদের সেক্সুয়ালাইজেশন বাড়ছে মার্কেট এক্সপ্যানশনের তাগিদে। এর সাথে আর একটা টপিকও ধরেছিল - সেটা হল এই সেক্সুয়ালাইজেশনের একটা প্রায় অব্শ্যম্ভাবী আউটকাম হল সেক্সুয়ালিটি সম্পর্কিত ভুলভাল ধারণার প্রসার। সেটাকে কিভাবে প্রতিহত করা যায়। ওরা যেমন ন্যুড মডেল নিয়ে গিয়ে স্কুলগুলোতে অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেন করে। বাচ্চা আর তার বাবা-মাদের মুখোমুখি বসিয়ে সেক্সুয়ালিটির ব্যাপারগুলোকে খোলাখুলি আলোচনা উসকে দেয় - এরকম আর কি।

    লেখাটায় সমস্যাটাকে ধরা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু লাস্ট পার্টটায় এসে ঘাঁটা লাগল।
  • pi | 233.176.4.185 | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ২০:৫৬688126
  • শিলা কি জওয়ানী” এই ধরনের আইটেম নাম্বারগুলি যারা তৈরি করে তাদের অবিলম্বে চড়া হারে আর্থিক জরীমানার ব্যবস্থা করা উচিৎ,

    ---

    শকুন্তলা, কুমারসম্ভবের লেখক, কোনারক, খাজুরাহোর শিল্পী , এঁদের তো আর জরিমানা , শাস্তি দেবার উপায় নেই, তো কী করা যায়, কালিদাস পুড়িয়ে দেওয়া বা খাজুরাহোর মূর্তিকে বোরখা পরানো ?

    শুধু আইটেম নং কে শাস্তি দিলেই মোটেও যথেষ্ট নয়, নায়িকাদের পোশাক আশাক, অঙ্গভঙ্গি, সবের গাইডলাইন তৈরি করা দরকার। বিজ্ঞাপন নিয়েও ভাবা দরকার।

    ও, অনেক ছবিও মিউজিয়াম থেকে উঠিয়ে দেওয়া দরকার। পুরো কাংড়া আর্ট, এই ধরুন রাগিণী সিরিজ টিরিজ ও ধ্বংস করে ফেলা দরকার।

    তারপর ধরুন, বায়োলজির বই কি ইস্কুলে যৌনশিক্ষা, এগুলো নিয়েও সিরিয়াসলি ভাবনাচিন্তা করা উচিত।
  • pinaki | 118.171.133.177 | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ২২:৪১688127
  • হুম্ম, এই জরিমানা, ব্যানের লাইনে না গিয়ে সমাধান ভাবতে হবে। কিন্তু আবার সমাধান ভাবতে গেলে সমস্যাটাকে রেকগনাইজ করাটা প্রাথমিক প্রয়োজন। যৌনতা সংক্রান্ত মরালিটির জায়্গা থেকে দেখার ব্যাপারই নয় এটা। বাচ্চারা কী দেখতে পারে আর কী পারে না, সেখানে একটা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপার তো থাকেই। সিনেমা টিনেমায় রেটিং ইত্যাদি করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, হয়ও। অ্যাডের ক্ষেত্রে বা মিউজিক ভিডিওর ক্ষেত্রে সেরকম কিছু আছে কিনা জানি না। আর এমন কিছু যদি হয়, যেখানে বাচ্চাদের নজর পড়া আটকানোর কোনো উপায় নেই সেখানে কী পাব্লিকলি ডিসপ্লে করা যাবে আর কী করা যাবে না, তার কিছু রেগুলেশন থাকা উচিৎ। একইভাবে 'বাচ্চাদের জন্য' বলে যা বাজারে ছাড়া হচ্ছে, সেটা বাচ্চাদের ওপর কী প্রভাব ফেলছে সে নিয়ে নিয়মিত কাটাছেঁড়া হওয়াও খুবই জরুরী। সূক্ষ্ম হোক, স্থূল হোক, বাচ্চাদের বিষয়ে রেগুলেশন থাকবেই। কিন্তু খুব স্বাভাবিকভাবেই সেটা একটা ইভলভিং প্রসেস হবে। এক জায়গায় থেমে থাকবে না।

    কিন্তু এই আলোচনায় শীলা কি জওয়ানি কেন এল সেটা আমার বুঝতে অসুবিধে হয়েছে। শীলা কি জওয়ানি তো বাচ্চাদের জন্য তৈরী নয়। আলোচনাটা যদি এই অ্যাঙ্গেলে হত যে শীলা কি জওয়ানি বাচ্চারা দেখতে বাধ্য হচ্ছে, বা যথাযথ রেগুলেশনের অনুপস্থিতির কারণে বাচ্চাদের সেটা দেখা থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না, তাহলে হয়তো প্রাসঙ্গিক হতে পারতো।
  • s | 176.137.14.121 | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ২৩:১০688128
  • বহু স্কুলের প্রোগ্রামে শীলা কি জওয়ানি বা ফেভিকল গানের সংগে নাচ করানো হয় বাচ্চাদের দিয়ে। আর বিভিন্ন টিভি প্রোগ্রামে বা মিউসিক ভিডিও তে এই গানগুলোর দৃশ্যায়ন তো আখছার দেখা যায়। বাধ্য তো হচ্ছেই।
  • pi | 192.66.66.44 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০০:৩৯688130
  • ব্যাপারগুলো পুরো ঘেঁটে যাচ্ছে।

    বাচ্চারা সীইলা কি জওয়ানি দেখতে বাধ্য হলে সেটা তাদের হ্যারাস করা, এটা একটা বক্তব্য। 'শিশুদেরকে সেক্সুয়ালাইজড (এক্সপ্লিসিট অর সাটল) কনটেন্ট দেখতে বাধ্য করা যৌননিপীড়ণের পর্যায়ে পড়ে। ' এই অংশ পড়ে যা বুঝলাম। যদিও এ নিয়ে তর্কের অবকাশ আছে।

    কিন্তু শীলা কি জওয়ানি বাচ্চারা দেখতে বাধ্য হবার সাথে বাচ্চাদের যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার কী সম্পর্ক ?

    লেখা পড়ে যা বুঝলাম, 'বহুক্ষেত্রে পিডোফিলিয়াকরা নিজেদের কাছে চাইল্ড বা টিন মডেলদের ছবি, ম্যাগাজিন ক্লিপিন্স, মিউজিক ভিডিও সঙ্গে রাখে।' তো সেক্ষেত্রে কোথাও কোন বাচ্চা শীলা কি জওয়ানির সাথে নেচে থাকলে ও সেই ভিডিও কোন পিডোফিলিয়াকএর হাতে পড়লে তখন সেটাকে দায়ী করা যেতে পারে। যদিও সেটা নিয়েও তর্কের অবকাশ আছে। পিডোফিলিয়াক যদি এমনিই কেউ হয়, মানে আগে থেকেই পিডিফিলিয়াক ধরেই কথা বলা হয়, তো এগুলো আর আলাদা ক'রে কতটা কী করছে ?
    সে তর্কে না ঢুকলেও বলা যায়, আপনার কথা তর্কের খাতিরে মেনে নিলেও, বাচ্চাদের মিউজিক ভিডিও, মডেলিং এগুলোর উপর দায় বর্তাবে, শীলা কি জওয়ানি কেন ?
    স্কুলে শীলা কি জওয়ানি র সাথে নাচতে বাধ্য করলে সেটা স্কুলের দোষ।

    শীলা কি জওয়ানি কোথা থেকে এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় উঠে বসে রইলো, কিছুই বুঝলাম না।
  • সে | 198.155.168.109 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০২:০৪688131

  • শীলা কি জওয়ানি।
  • SUMAN MAITY | 138.249.1.198 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৩৯688107
  • কয়েকটা তথ্য পরিষ্কার করে দেওয়া ভালো। এখানে যে তথ্যগুলি উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলি আমার ব্যক্তিগত মতামত নয়, যাঁরা এবিষয়ে কাজ করেন তাঁদের মতামত তুলে ধরা হয়েছে। ইচ্ছুক ব্যক্তিরা চাইলে নিজেরাই দেখে নিতে পারেন।
    এবার আসল কথায় আসি –
    ১। শিশুরা যে অব্জেক্টিফিকেশানের শিকার এটা আপনারা অস্বীকার করছেন কি? তথ্য প্রমাণ কিন্তু অন্য কথা বলছে।
    ২। মহিলাদের প্রেগন্যন্সীর সাথে সেলফ অব্জেক্টিফিকেশানের সম্পর্ক রয়েছে সেটা বোঝাতে নীচের লেখাটা তুলে দিলাম। ইঘ অন্দ ওদেরতে তেগোর‌্য ( ঈলিঙ্গ ওফ ব্জে্তিফিতিওন) -টা লক্ষ্য করবেন।
    ৩। মূল সমস্যা হচ্ছে পিডোফিলিয়ার সাথে সেক্সুয়াল অব্জেক্টিফিকেশানের সম্পর্ক বিষয়ে আপনাদের সবথেকে বেশী আপত্তি। মুশকিল হল ধরুন যদি এরকম একটা পরীক্ষা করতেও হয় আপনারা কিভাবে করবেন সেটা?! সরাসরি পরীক্ষা করতে পারবেন না (এথিক্যালি সম্ভব নয়)। তাহলে আনুষঙ্গিক প্রমাণ ভরসা করতে হয়। এখানে বিশেষজ্ঞরা ঠিক সেই কাজটি করেছেন। আরেকটি প্রাসঙ্গিক অংশ তুলে দিচ্ছি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে। এঁরা খাপ পঞ্চায়েত মুখিয়া নন এব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
  • suman maity | 138.249.1.198 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৪০688108
  • ধুমপান ক্যান্সারের কারণ এই সহজ সত্যটি বুঝতে ডাক্তারদেরই কয়েক দশক কেটে গেছিল।বহু মহিলা এসময় সিগারেট খাওয়াকে স্বাধীনতার সমার্থক মনে করতেন। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে। ফলতঃ নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে মহিলাদের মধ্যে ফুস্ফুসের ক্যান্সারের হার উর্ধমুখী। কাজেই আপনাদের যে বাধো বাধো ঠেকবে এটা বিস্ময়কর নয় কিন্তু একটা ব্যাপার খেয়াল রাখলে ভাল হয় - যতদিনে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ বামালসমেত আমাদের সামনে হাজির হবে তখন কেবল “সরি” বলে আমদের দায় সারব কি সেইসব বাচ্চাদের কাছে যারা এর ফল সারা জীবন বয়ে বেড়াবে?!
    আমার বক্তব্য সুস্থ যৌনতা এবং যৌনশিক্ষা দুটোই দরকারী কিন্তু সেটা একটা গাইডলাইন মেনে করা জরুরী। যেভাবে আমরা বাচ্চাদের একটা বয়েস পর্যন্ত সিগ্রেট না অ্যালকোহল পান করতে দিই না বা এরোপ্লেনের পাইলট বা হার্ট সার্জেন হতে দিই না এটা তার থেকে আলাদা কিছু নয়।
  • suman maity | 138.249.1.198 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৪২688109
  • extreme logic "extrapolate" korchi na to amra , sekhetre other end of the spectrum hocche total laissez faire - mane jekhane child bride, dowry and early pregnancy all permissible as long as both parties are in "agreement"... moderate approach nite asubidhata kothay...porn ban korar kothai hocche na ...bola hocche ekta proper north start principle thakuk for the media broadcast...etay apander apotti
  • suman maity | 138.249.1.198 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৪৫688110
  • সে | 198.155.168.109 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৪৯688111
  • সুমনবাবু,
    লিঙ্কটা অ্যাঙ্গুলার ব্র্যাকেটের (< angular bracket > )মধ্যে দিন, নইলে বাংলায় হয়ে যাচ্ছে।
    আপনার লাস্ট পোস্টগুলোর সঙ্গে একমত।

    এইটে ভাটিয়ালীতে লিখেছিলাম, কিন্তু এখানেও তুলে দিচ্ছি।
    জোয়া আখতারের শীলা কি জওয়ানি দেখবার সময় একটা খটকা তো ছিলো। সিনেমাটাতে প্রোমোট করা হচ্ছে বাচ্চাদের নিজেদের ইচ্ছে, তাতে অভিবাবকদের সর্দারি বাজে ব্যাপার। এই অবধি ঠিক আছে। এমনকি পুত্র সন্তান নাচলে বা মেয়েদের পোশাক পরলে বাবা সেটা মেনে নিচ্ছে না, ছেলেকে জোর করে ফুটবল খেলাচ্ছে, অবশ্যই সেটা ছেলের ইচ্ছের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই করতে করতে একটা স্টেজে যখন ছেলেটা শীলা কি জওয়ানি নাচছে তখন কি কর্পোরেট পিডোফিলিয়ার ডোমেইনে জিনিসটা চলে যাচ্ছে না? সেইটে নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কিংবা কুইন সিনেমায় রাণীর ছোট্টো ভাই ফ্যাভিকলওয়ালা জোকস শোনায়। অবশ্যই খুবই ইনোসেন্ট জোক। সেক্ষেত্রে জিনিসটা ইনোসেন্টই রয়ে গেছে।

    আজকালকার শিশুদের মধ্যে নিজেকে "সেক্সি" হিসেবে প্রোজেক্ট করবার টেন্ডেন্সী বেশ ভালো করেই প্রকাশ পায়। বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি হচ্ছে তাদের জন্যে এবং নানাভাবে তাদের লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেগুলো কিনতে ইস্তেমাল করতে। এই ট্রেন্ডের মধ্যে পড়ে গিয়ে তারা সেগুলো করছে ও। না করলে নিজেদের বন্ধুমহলে টিঁকে থাকার অসুবিধে। বা খিল্লিত হবার সম্ভাবনা প্রবল। নিয়মিত টিভি শো দেখছে, রিয়েল লাইফ শো, কী সব আছে বিগ ব্রাদার না কী সব নাম। সেই থেকে আবার অদ্ভুত একটা টোনে "অ" বলা প্র্যাক্টিস করেছে কিশোরীরা। কলকাতায় খুব চলছে এই "অ" বলাটা। কে কত অ্যাকিউরেটলি নিখুঁত টোনে "অ" বলতে পারে তার ওপরেও তাদের মধ্যে কে কতটা সেক্সি, সেই নিক্তিতে মাপা হয়ে থাকে। আরো অনেক কিছু আছে। এগারো বারো বছরের মেয়েদের মধ্যে ড্রেস, ক্লিভেজ (যদিও কিসুই প্রায় নেই) দেখানো, কায়দা করে দাঁড়িয়ে সেলফি নেওয়া, তারপরে দুই হাতের কায়দায় হার্ট সিম্বল করে আরো কতো কিছু। কে কতটা সেক্সি হিসেবে নিজেকে প্রোজেক্ট করবে সেই নিয়ে হুড়োহুড়ি। ভালো কি খারাপ তা জানি না। তবেই এটাই ট্রেন্ড।
  • suman maity | 138.249.1.198 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৫০688112
  • দেখুন, এখনে ব্যান করার প্রশ্ন নেই কিন্তু একটা মিনিমাম গাইড্লাইন থাকা জরুরী। এ ব্যাপারে কি দ্বি-মত কি?
  • suman maity | 138.249.1.198 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৫৩688113
  • thank you "সে" . notun platform ektu sorgoro hote somoy lagche. onicchakrito bhuler jonnyo khomaprathi.

    <
  • সে | 198.155.168.109 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:০০688114
  • মানুষ যদি চায় তবেই গাইডলাইন আসবে।
    অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিবাবকেরা এটা বুঝতে পারেন না। মনে করেন এগুলো আধুনিকতার অঙ্গ, সময়ের সঙ্গে এরকমই হয়ত হওয়ার কথা। বা মনে করেন যে, অন্য বাচ্চারাও তো করছে, আমার বাচ্চাই বা করবে না কেন? এই অজ্ঞতার সুযোগ নিচ্ছে কোম্পানীগুলো তাদের প্রোডাক্ট বেচতে।
    যেকালে শিশুবিবাহই প্রধান ট্রেণ্ড ছিলো, সেকালেও অভিবাবকেরা সেটাকেই স্বাভাবিক মনে করতেন। কেউ এর বিরুদ্ধে বললে তাকেই রে রে করে মারতে উঠতেন। এখনও সেইরকম। স্বাধীনতা, শিক্ষা, যৌন শিক্ষা, যৌনতা, এসব ঠিকই আছে, তার পক্ষেই আছি, কিন্তু এগুলোর সঙ্গে কায়দা করে কিছু অন্য জিনিসও ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছু বলতে গেলেই তখন পাবলিক চেঁচাবে, তবে কি তুমি যৌন শিক্ষার এগেইন্স্‌টে? তবে কি তুমি রূপান্তরকামীদের পছন্দ করো না? তবে কি তুমি...? তখন পিছিয়ে আসা ছাড়া আত্মরক্ষার উপায় থাকবে না। কারণ জিনিসগুলো খুব যত্ন করে মিলিয়ে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে আধুনিকতার সঙ্গে।
  • suman maity | 138.249.1.198 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:২৩688115
  • যৌনশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা তো বার বার উল্লেখ করেছি আর রূপান্তরকামী বা সমকামীদের সাথে এর কোন বিরোধ নেই - যাঁরা এভাবে ভাবছেন ভুল করছেন। একজন প্রশ্ন তুলেছেন মিউজিক ভিডিওকে কেন দায়ী করা হয়েছে ? কারণ এই ভিডিওগুলি কোন পেরেন্টাল গাউইডেন্সর আওতায় আসে না! মানুষের চাহিদা তৈরী হবে যদি সচেতনতা আসে তবেই ...সেটাই যদি না করা যায় তাহলে পরিবর্তনের আশা কম। াধুনিকতার সংজ্ঞা হেডোনিস্টিক প্লেজারের সাথে এক করে দিলে মুশকিল
  • i | 147.157.8.253 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৬:১৮688116
  • ডিভো,
    রাত ১১টা ১৯ এর পোস্ট প্রসঙ্গেঃ
    কেউ যে মনে রেখেছে লেখাটা-দেখে ভালো লাগল।এত পুরোনো লেখা...
    নিজের কথা নিজেকেই বলতে হচ্ছে, কেউ কিছু বলল না দেখে-
    ইয়ে ঐ বুলবুলভাজাটা আমার লেখা ছিল। সিটিন্দ্রাণী আমেরিকাবাসী ইন্দ্রাণী। আমি CT বাসী নই।
    লেখাটা মনে রাখার জন্য আবারও ধন্যবাদ ।
    ইতি
    ছোটাই(ইন্দ্রাণী, সিডনি)
  • ranjan roy | 24.98.171.77 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৭:৫৪688118
  • ডিভোর কল্যাণে ইন্দ্রাণীর কালবেলা আবার পড়লাম।
    প্রথমবার ছোটাইয়ের কলমের জোর ও চিন্তার স্বকীয়তাই দাগ কেটেছিল, কনটেন্ট নয়। কারণ মনে হচ্ছিল এসব দূরের বস্তু, অন্য জগতের, প্রথম বিশ্বের--আমাদের নয়।

    কিন্তু এখন, খুব নিশ্চিত নই, স্বস্তি পাচ্ছি না।
  • Div0 | 132.166.153.26 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ১০:১২688119
  • অ্যাল! কনফিউজিত হয়ে লিখে ফেলেছি স্যরি ছোটাইদি' :-|
  • Ekak | 113.6.157.186 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ১০:২১688120
  • পিডফিলিয়া মানুষের আর পাঁচটা অনুভূতির মতই আরেকটা স্ট্রিক । এর ধরন ধর্ম-সংস্কৃতি নির্বিশেষে একটু একটু বদলে যায় কিন্তু বস্তুত পিডফিলিয়াই থাকে । এইযে "ইনোসেন্স " বস্তুটার প্রতি মানুষের এত আহা উহু উলুত্পুলুত ভাব এই জুডো ক্রিসচিয়ান মরালিটিও আদতে পিদফিলিয়ার বিশাল আকাশের একটি অন্যতম মুখ্য রং । এগুলো ছিল , থাকবে । যেটা দরকার তা হলো ক্যাতেগরায়স করা । এক্সপ্লিসিট পিদফিলিক কন্টেন্ট আছে এরকম মিডিয়া তে ছাপ্পা লাগিয়ে দেওয়া যাতে দর্শক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন । অবস্যই গাইডলাইন থাকা উচিত ।
  • pi | 24.139.209.3 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৩৭688121
  • সুমন, বললাম তো , বাকি সব বিষয় নিয়ে তর্ক, আলোচনা চলতে পারে, কিন্তু শীলা কি জওয়ানি জাতীয় গান যেটা বাচ্চাদের ইন্ভল্ভ করে বা বাচ্চাদের টার্গেট ক'রে বানানো হয়নি, শেষমেশ তার ঘাড়ে সব কোপ পড়ে যাওয়াতে ব্যাপারটা ঘাঁটা লেগেছে।

    গাইডলাইন নিয়ে কথা হোক না।
  • Ekak | 113.6.157.186 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৪৫688123
  • *টাইম -স্পেস এগ্নসটিক
  • Ekak | 113.6.157.186 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৪৫688122
  • আরেকটা কথা টীন প্রেগন্যান্সি নিয়ে । ওই অংশটা অনেক বেশি রিসার্চ দাবি করে । মানুষের যৌনতা ও সন্তানধারণের বয়েস কোনো টিম-স্পেস এগনস্তিক ইস্যু নয় । দেখা গেছে আরবান সোসাইটিতে যেখানে নিউত্রিষণ রেট্ হাই সেখানে মানুষ আঠেরোর অনেক কম বয়েসে পূর্ণাঙ্গ যৌন শরীর লাভ করে । নিউত্রিষণ -আবহাওয়া এসব কিছু বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে মেন্স্ত্রুয়াল সাইক্ল শুরু হওয়ার বয়েস বদলে যাচ্ছে । এরকম সারা পৃথিবীকে এক টা স্কেলে বেঁধে রাখার চেষ্টা বোকা বোকা । আমেরিকা অদূর ভবিষ্যতে যৌনতা ও সন্তান ধরণের বয়েস কমিয়ে আনবে ।
  • Ekak | 113.6.157.186 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৫৯688124
  • এইখান টা তেও গোলমাল আছে :

    "মুলায়ন যেমন বলছিলেন মেয়ের অশালীন পোশাকই রেপের কারণ সেরকমই। এইসব শুচিবায়ুতার ফসল, মিডিয়া কি করে দায়ী হয় পিডোফিলিয়ার জন্য...তারা তো চাইল্ড পর্ন বেচছে না, শিশুদের যৌননির্যাতনে উৎসাহ দিচ্ছে না – তাহলে? দোষীকে না ধরে ভিক্টিমকে দোষারোপ করার পুরনো পিতৃতান্ত্রিক কারসাজী নিশ্চয়ই। না, তা নয়। একাধিক শিশুমনোরোগ বিশেষজ্ঞ, মিডিয়া গবেষক, সমাজতাত্বিকরাও কিন্তু ভিন্নমত পোষণ করেন। অস্ট্রেলীয় সংসদে দেওয়া জন ম্যাকার্থীর বয়ান অনুযায়ী দেখা গেছে বহুক্ষেত্রে পিডোফিলিয়াকরা নিজেদের কাছে চাইল্ড বা টিন মডেলদের ছবি, ম্যাগাজিন ক্লিপিন্স, মিউজিক ভিডিও সঙ্গে রাখে। এটি এতটাই স্পর্শকাতর বিষয় যে ধরাপড়া অপরাধীরাও এধরনের বিজ্ঞাপনের নামোল্লেখ এড়িয়ে যায় সোশ্যাল কনফর্মিটি মেন্টেন করার জন্য। উনাদের মতে এসব নিয়ে গবেষণামূলক কাজ এতো কম হয়েছে যে সঠিক কারণ নির্ণয় হতে বহু দেরী হয়ে না যায়, সেজন্য প্রিএম্পটিভ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী (to err on the side of caution)।"

    মূল্যম এর নিন্দে করা হয় বা ভিকটিম শেমিং কে খারাপ বলা হয় তার কারণ আলাদা । এটা অনেকেই পরিস্কারভাবে বোঝেন না এবং বাজে ফাল পারেন । মানুষের সভ্যতা একটা ইকুইলিব্রিয়াম এর ওপর দাঁড়িয়ে আছে । যার মূল কথা হলো : সী বাট ডোন্ট টাচ , টাচ বাট ডোন্ট টেস্ট , টেস্ট বাট ডোন্ট সোয়ালো ।

    ভিকটিম শেমিং খারাপ তার কারণ এই নয় যে কোনো মেয়ে বিকিনি পরে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে যারা দেখে তারা প্রভকেতেদ হয়না । ঘটনা হলো প্রভকেতেদ হলেই ঝাঁপিয়ে পরে ফোর্সড সেক্স করার অধিকার জন্মায় না । সেই কারণেই মুলায়াম বা রাম্দেভ রা গালাগাল খান । পকেটে টীন ইজ মডেলের ছবি নিয়ে ঘুরুন বা গলায় ন্যাংতো দেবদুত এর ছবি ওয়ালা লকেট পড়ুন , এনজয় পিদফিলিয়া উইদিন ইওর ওন স্পেস । কাজেকর্মে তার প্রকাশ ঘটলেই চার্জ করা উচিত। তার আগে নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন