এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৪:০৪687238
  • হ্যাঁ, হ্যাঁ, দেখসি, লাইকও দিসি। রাজদীপ বরোফে ঢাকা গ্রেট ওয়াল দ্যাখসে, সে নাকি ভারি মনোরম দৃশ্য।
  • Blank | 213.132.214.83 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৮:৫০687239
  • সে ছবি দেখে আমি হিংসে ও দিয়েছি
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 212.78.232.167 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:৪৮687240
  • কুন মিং ! – গেটওয়ে অব চায়না !

    এখান দিয়েই আমরা চায়নায় প্রবেশ করেছিলাম ! সেই কুন মিং শহর এখানেই আমাদের শেষ ঘোরা । একেবারে দক্ষিণ-পশ্চিমে – ভারতের খুবই কাছে! এই শহরের আরেক নাম হল স্প্রিং সিটি ! – এসে বুঝতে পারলাম – ঠাণ্ডা কারে কয় ! – বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা মিশে আমাদের একেবারে জবুস্থবু করে দিচ্ছে !

    তবু এখানেও একটা সার্কাস দেখতে গেলাম ! সার্কাস তো এদের জন্মগত প্রতিভা !- আজকাল তো সার্কাসএ কোনও জন্তু জানোয়ার আনা হয় না ! তবে দেখা গেল – এখানে কোন প্রটেক্টিভ ডিভাইস - যেমন নীচে পাতা নেটও ব্যবহার করেনি । এত কনফিডেন্স ! খুবই ভালো লাগলো !

    কুন মিঙ্গে এসে ছিলাম আঠেরো তলায় । জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্যাবলী – এককথায় অপূর্ব ! যদিও রাস্তা একেবারে ভিজে – কিন্তু পরিষ্কার রাস্তা যেন আরও পরিষ্কার হয়ে চক চক করছে !

    আলোর বিষয় - একটা কথা লেখা দরকার । প্রত্যেকের বাড়ির ছাদে দেখলাম সোলার এনার্জির বিরাট বিরাট প্যানেল বসানো । অন্যত্রও দেখেছি তাই ।- আবার বেজিংএ বাস চলছে মাথায় টিকি – মানে ইলেকট্রিকে । মনে হয় যাতে পরিবেশ দূষিত না হয় – তার জন্যে !

    কুন মিংই আমাদের চীনের শেষ বন্দর ! কিন্তু সারাদিনের বৃষ্টি – আমাদের খুবই বিষণ্ণ করে দিল । এমনিতে এই শহর বেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ! – এখানে আমরা স্টোন ফরেস্ট নামে এক জিও পার্কএ গেলাম । এটা বিশ্ব প্রাকৃতিক সংস্থা থেকে জিও পার্ক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে । - ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে বটে – কিন্তু দশম দিনের লিস্টে না থাকলেও আমরা বিশেষ কিছু হারাতাম না – আমার মনে হয় ! এত ঠাণ্ডা আর বৃষ্টি– যে কোথাও ঘোরার ইচ্ছেটাই থাকে না !

    শেষের দিনের খাওয়াটাই – ভালো হল ! সবাই খুসী !

    একটা মজার কথা বলে শেষ করি । আমাদের প্লেন ছাড়বে রাত এগারোটা চল্লিশ মিনিট ! মাত্র আড়াই ঘণ্টার রাস্তা ! কলকাতায় আমরা কিন্তু পৌছব রাত এগারোটা পয়ত্রিশ মিনিট !

    চীনা ভাষায় বিদায় বলে না – বলে ৎসাই চিয়ান – অর্থাৎ ফির মিলেঙ্গে ! - কিন্তু তা কি সম্ভব ! ইচ্ছে থাকলেও – এত খরচ করে আবার কি আসা যায় ! তবু মন তো সে কথা মানে না !

    মনোজ
  • j | 151.197.16.185 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৬:৩১687241
  • ভাল লিখেছেন মনোজবাবু

    পড়ে আর মেলাতে ভালই লাগছে :-)
  • j | 151.197.16.185 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৬:৩৪687242
  • এল সি এম দা- ছবি গুলো ফাস ক্লাস
  • de | 69.185.236.55 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৮:১৫687243
  • ছবিগুলো দারুণ এলসিয়েম-

    মনোজবাবু ভালো লাগলো।

    রাজদীপ তুমিও লেখো আর ছবি দেখাও।

    চিন-ফেরত ত্রয়ী! ঃ))
  • ranjan roy | 24.99.157.75 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৪৩687244
  • হিপ হিপ হুররে!

    এবার রাজদীপ।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:০৭687245
  • বেজিং - পিকিং।

    ১২৭০ সাল নাগাদ মার্কো পোলো গেছিল ওখানে, প্রায় সতেরো বছর ছিল। আর, তার প্রায় সাড়ে সাতশো বছর পরে আমি গেলাম তিনদিনের জন্য। এর মধ্যে অবশ্য বার্তোলুচি এসেছিল চীনের শেষ সম্রাটকে নিয়ে সিনেমা বানানোর জন্য। আশির দশকের শুরুতে প্রমোদ দাশগুপ্ত এই শহরেই দেহ রেখেছিলেন।

    হোটেলে পৌঁছে দেখি বিশ্বকাপ ফুটবল ঘিরে উৎসবের আবহ - তখন ২০১০-এর সাউথ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ফুটবল চলছে - লোকাল টাইমে রাতে খেলাগুলো - সেই উপলক্ষে খানা-পিনা, পার্টির আয়োজন, তারকার খেলোয়াড়দের ছবি সহ ফ্লেক্স ব্যানার।

    ঘরে মালপত্র রেখে নীচে এলাম - ইংরেজি জানা গাইড সহ একটি গাড়ি ভাড়া করতে হবে।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 212.78.234.178 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৭:৪১687246
  • এল সি এম,

    আপনার যে ছবিগুলো দিয়েছেন - দারুণ হয়েছে ! - কিন্তু বেই চিঙের অন্য ছবি কই ! অলিম্পিক মাঠে যান নি ? বার্ড নেস্ট ! - সেগুলো কি আর কোথাও রেখেছেন ! - দেখা যাবে কি ?

    মনোজ
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 212.78.234.163 | ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:৩৫687248
  • সালতামামী !

    এ পর্যন্ত যা যা দেখেছি – তাঁর মধ্যে সবই সাদা ! আমরা প্রত্যেকেই কিন্তু উৎসুক ছিলাম কিছু অন্তত দেখি – যা সাদা নয় ! খুঁজেছি । কোথাও যদি কোনও ভিখারি দেখতে পাই বা রাস্তা খোঁড়া দেখতে পাই । - তা পাই নি । কিন্তু রাস্তায় দাঁড়ানো জল দেখেছি – যাতে ছিটে লেগে প্যান্ট ভিজে যায় ! নকল জিনিসের বাজার দেখেছি। যেসব ঝক ঝকে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছি – তার আশপাশে যদি বস্তি গোছের কিছু দেখা যায় !

    এটা আমাদের এক ধরনের বিরূপ মনোভাব বলা যায় ! আমরা এত দিন হল স্বাধীন হয়েছি । আমাদের দেশেই কত মিলিওনিয়ার বিলিওনিয়ার ট্রিলিওনিয়ার সর্বাধিক ফিল্ম আনবিক বোম বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সরঞ্জাম ইত্যাদি ! আমরা কম কিসে ! আমরা ইংরিজি বলতে পারি – চীনারা পারেনা ! ট্রেন স্টেশানে আমাদের মতো ওরাও ধাক্কা ধাক্কি করছে ! – যখন এইসব তুলনা করি – তখন একধরনের কমপ্লেক্স দেখা দেয় । তখন বলি – শালা, আমাদের কিছু হবার নয় ! বলে রাস্তায় এক দলা থুতু ফেলি ! – ঠিক এই জিনিসটাই আমরা কেন পাল্টাতে পারছি না ! – আমার স্ত্রীর পকেট থেকে একটুকরো কাগজ পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন চীনা এসে কাগজের টুকরোটা তার হাতে তুলে দিল । থিয়ান আন মেন এ আমায় যদি উল্টো রাস্তায় যেতে দিত – তাহলে সেদিন আমাকে রাস্তায় হারিয়ে যেতে হত না ও দলছুট হতে হত না ! কিন্তু পুলিশ তার কর্তব্য ঠিকই করেছে ! তার জন্যে তো আমি তার গালে থাপ্পর মারতে পারি না !

    সবচেয়ে সহজ কাজ হল – সব কিছু সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া । পথে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে – তার দিকে খানিকটা সাহায্যের হাত বাড়ানোটাও মনে হয় সরকারের কাজ ! ঐ যে সিনেমাটা – মাঞ্ঝি দ্য মাউন্টেন ম্যান ! – মাঞ্ঝি কিন্তু সরকারের দিকে তাকিয়ে পাহাড় সরাবার চেষ্টা করেনি । নিজেই আরম্ভ করেছিল । সরকারী আমলারা পর্যন্ত তাকে ব্যতিব্যস্ত করেছে ! আর আমরা সমানে তাকে লেগ পুল করে দমাবার চেষ্টা করেছি !– সে মরে গেছে । কিন্তু তার তৈরি করা পথ দিয়ে আমরাই এখন হাঁটছি ! – তাহলে তো আমরাও পারি !

    একটা জিনিস খেয়াল করার মতো । চীনাদের চোখ খুব ছোটো – হাতির মতো । কিন্তু দেখুন দৃষ্টি একেবারে সোজা । যত রাস্তা দেখেছি – সব সোজা । কোথাও কোনও টাল খাওয়া নয় ! এটা নিশ্চয় প্রথম থেকে ছিল না ! – তার মানে যখন রাস্তা বানিয়েছে – তখনই রাস্তায় যা কিছু ছিল – পাশে সরিয়ে রেখেছে । অর্থাৎ আগে মানুষের প্রয়োজন – পরে অন্য কিছু – বিশ্বাস অবিশ্বাস ইত্যাদি ! অথচ আমাদের দেশে আগে ধর্ম বিশ্বাস - পরে মানুষের প্রয়োজনীয়তা ! ফলে রাস্তাগুলো ট্যারা বেঁকা – যান বাহনের গতি শ্লথ !

    আজই একজন আমাকে বলল – আপনাদের তো নির্দিষ্ট কতগুলো শহরেই নিয়ে গেছে – সেখানে কি আর ভিখারী থাকে ! – এটা তো সত্যি কথাই ! পর্যটকের রাস্তা থেকে তো সব জঞ্জাল সরিয়েই রাখা হয় ! ইনস্পেক্টর জেনেরাল হাসপাতাল দেখতে আসছেন – তাই স্বাস্থ্যবান রোগী বিছানায় শুইয়ে রাখা হয় ! – কিন্তু আমাদের কতগুলো মন্দিরেও তো যেতে হয়েছিল ! সেখানেও তো কাউকে দেখিনি ভিক্ষা করতে ! সেখানেই তো ভিক্ষুকদের একচেটিয়া অধিকার !

    মনোজ
  • skm | 83.136.211.128 | ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৯:৫৮687249
  • I think communist country like china/Russia are different.
    There may not be any "Bhekiri" but other developed countries like usa/uk, beggers are there
  • santanu | 102.96.242.90 | ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২০:৫৩687250
  • বছর দশেক আগে আমি বছর তিনেক চীনের একটা ছোট শহরে চাকরি করেছিলাম। দুএকজন বয়স্ক মহিলা রাস্তায় চাদর পেতে বসে আছেন - এছাড়া তেমন ভিখিরি দেখি নি।
    তবে সে বলতে গেলে আজকাল তো কলকাতা তেও তেমন ভিখিরি দেখি না,
  • lcm | 118.91.116.131 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:১৬687251
  • ফরবিডেন সিটি-র এপাশের গেট দিয়ে ঢুকে দেখে ওপাশ দিয়ে বোরোনো যেন মহাসমুদ্র পেরোনো - উফ্‌, কি বিশাল কম্পাউন্ড রে ভাই! ৯৯৯ টি ঘর !
    যাই হোক ওপাশে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে - দুটি বাচ্ছা ছেলে এসে ভিক্ষা চাইছে, চীনা ভাষায় কিছু একটা বলছে। লক্ষ্য করলাম গায়ের রঙ পীতদেশীয় নয় এমন লোকেদের কাছেই শুধু যাচ্ছে।

    চীনের প্রাচীর দেখে নামার পর দোকান বাজার ভেঙে বেরিয়ে আসার সময় রাস্তায় চাদর পেতে বসে থাকা (যেমন শান্তনু বলেছে) দু-একজন দেখেছি।

    একটু ভাঙাচোরা জীর্ন এলাকা বেজিং-এর আশেপাশে দেখেছি, তবে সেগুলি ফ্রি-ওয়ের পাশে নয়, একটু নেমে ভেতরে গেলে।

    ছবি আছে, দেবো। আর লিখবও, যা মনে আছে।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 212.78.234.1 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:২০687252
  • সালতামামী - ২ !

    গাছের মূল কাণ্ডের থেকে যেমন শাখা উপশাখা ইত্যাদি বের হতে থাকে – তেমনি মূল কোনও কাহিনী থেকে অনেক অনেক উপকথারও জন্ম হতে থাকে । - হয়ত তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় – কিন্তু উপযোগিতাও কম নয় ! স্মৃতির পাতা উল্টোলে খারাপ লাগে না !
    শাং হাইয়ের বৃষ্টিস্নাত গোলাপ সেই ধরনের একটা উপ কাহিনী ! ঠিক সেই রকমই থিয়ান আন মেনে হারিয়ে যাওয়া – ঘটনাটা যদিও আমার পক্ষে বেশ কষ্টকর হয়েছিল – তবু - !

    হারিয়ে গেলাম – থিয়ান আন মেন স্কোয়ারে !

    স্বর্গের দুয়ার যখন খুলে যায় – তখন এই পৃথিবীর দরজাও কি লোকে ভুলে যায় ! বিরাট ঐ স্মৃতিসৌধের ওপর চীনা ভাষায় লেখা - Long Live the People's Republic of China ! ও মাও সে তুঙ্গের বিরাট প্রতিকৃতির ছবি সামনে থেকে নিতে গিয়ে লোকের ভিড়ে পড়ে বিরাট আট লেনের রাস্তার নীচে টানেলের ভেতর দিয়ে এপারে এসে আর ফিরতে পারছিনা ! শুধু একদিকে যাবার রাস্তা ! যতই চেষ্টা করছি – আমাদের খাঁটি বাঙ্গালি প্রথায় যেখান থেকে এসেছি সেখানে যাবার – পুলিশে আটকে দিচ্ছে ! একে ওকে তাকে জিজ্ঞেস করার ব্যর্থ চেষ্টা করে করে – অনেক অনেক ঘুরে যখন পূর্ব নির্দিষ্ট ইস্ট গেট আসতে পারলাম – তখন আমাদের ট্যুরিস্ট গাইড ও টীম চলে গেছে !

    আর কি ! লক্ষ লক্ষ লোকের মধ্যে হারিয়ে গেলাম আমি ! আমাদের এস ও টি সির সেই ছোট্ট ঝান্ডা আর দেখা গেল না ! – অনেক ক্যালকুলেশান করে পরের দ্রষ্টব্য স্থান ভেবে যেখানে পৌঁছলাম – সেখানেও কাউকে দেখা গেল না । - এরই মধ্যে দু দুবার পুলিশের খপ্পরে পড়লাম । লাইন ক্রশ করার জন্যে । সার্চ করলো ব্যাগ ও পকেট ও কোট । শেষে ভারতীয় জেনে ও মাথার চুল সব সাদা দেখে বোধয় – ছেড়েই দিল!

    একে ওকে তাকে ধরে – ইংরিজি জানে কিনা ! যাও বা ইংরিজি জানা লোক পাই – সে তো সঠিক নির্দেশ জানে না ! এমন মুস্কিল - পাহারাদারগুলো দাঁড়িয়ে আছে – ওদের তো উচিৎ ছিল অন্তত ইয়েস-নো-ভেরি গুড শেখাটা ! – একই যায়গায় বার তিনেক ঘুরে আমার একেবারে শেষ অবস্থা ! ফরবিডেন সিটির শেষ গেটে একটি দেবদূতের দেখা পেলাম । একটি চীনা ছেলে অল্প বিস্তর ইংরিজি জানে - আমার অবস্থা বুঝে তার ফোনে আমাদের চীনাভাষী গাইডের ফোন ধরে দিল । আমাদের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে পারলাম ।
    ম্যানেজার – আমি ঠিক কোথায় আছি জেনে – আমাকে ট্যাক্সি করে হোটেলে ফিরে যেতে বলল । ওরা হোটেলে এসে আমাকে পিক আপ করে খেতে যাবে ! – আমার আর কি করা ! ভুল তো আমি করেছি !

    বেশ খানিক হেঁটে গিয়ে একটা ট্যাক্সি থামালাম । চীনা ভাষায় লেখা হোটেলের নামটা দেখালাম । - ভয় ছিল ট্যাক্সি ড্রাইভার – কলকাতার নয়ত ! স্রেফ বলে দেবে টালিগঞ্জ যাবে ! – ট্যাক্সি ড্রাইভার জি পি এস দেখে বলল যাবে । ইঙ্গিতে জানতে চাইলাম – কত লাগবে ! – সে আঙ্গুল গুনে দেখাল – চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ইউয়ান! হোটেলে পর্যন্ত ভাড়া উঠল – ৪৪ ইউয়ান ! কোনও বখশিস নয় !

    সাড়ে বারোটা নাগাদ হোটেলে পৌঁছে দেখি কেউ আসেনি । অপেক্ষা করতে লাগলাম – হোটেলের লবিতে । একটু সময় তো লাগবেই ! অপেক্ষা করছি – লবিতে ! ওপরে যেতেও পারছি না ! ওরা যদি এসে পড়ে ! – হোটেলের রিসেপসানে বলে কফি মেশিনটা চালু করিয়ে – এক কাপ কফি খেলাম – আধো ঠাণ্ডা !

    আজ সকালে যে সূর্যের আলো দেখা দিয়েছিল – সেই আলো ক্রমশ রাস্তা থেকে বাড়ির ছাদের ওপর থেকে উধাও হয়ে গেল । - আমি কিন্তু অপেক্ষা করছি । আমার ক্ষুধা তৃষ্ণা থেকে এবারে চিন্তা হতে থাকল – বাসটা কোনও অ্যাক্সিডেন্টে পড়ল নাতো ! এর মধ্যে রিসেপসান থেকে ম্যানেজারকে ফোন করার চেষ্টা করেও কোনও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না ! চিন্তার ধীরগতি ক্রমশ দ্রুত হয়ে গেল ! এবার কি করা ! বাসেতে চুয়াল্লিশ জন যাত্রীর মধ্যে একজন আছে – আমার সঙ্গে পঞ্চাশ বছর ধরে আটকে আছে !

    রাত যখন সাড়ে সাতটা – তখন দেখি আমাদের সেই বাস ঢুকছে হোটেলের মধ্যে ! ম্যানেজার জানালো - বেজিঙ্গের কুখ্যাত জ্যামে পড়েছিল ওরা ! তাই এতক্ষণ লাগলো আসতে !

    মনোজ
  • Manish | 127.214.42.166 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৮:৩৯687253
  • ভালো হচ্ছে,বকিটা
  • lcm | 83.162.22.190 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:০১687254
  • বার্ড্‌স নেস্ট -
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন