এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মনোজ | 212.78.235.11 | ২০ নভেম্বর ২০১৫ ১৬:৩৪687160
  • এক টুকরো রোদ্দুর !

    আজকাল মজার খবর আর বিশেষ পাওয়া যায় না ! তাই কোথাও যদি কোনও মজার খবর শুনি – চেষ্টা করি সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার !
    গতকাল সন্ধ্যেবেলায় বিধান পার্কের চায়ের ঠেকে ! – আমরা যে রকে বসে গল্প গুজব করি – সোজা কথায় আড্ডা মারি – সেখানে খুব ব্যস্ত সমস্ত হয়ে দু- জন লোকের আগমন হল । একজন বেশ বয়স্ক - রোগা মতন খেকুরে চেহারার । আর একজনের বয়েস কম । ভালো স্বাস্থ্য – দেখতেও ভালো । - মামা-ভাগ্নে ! সত্যি কিনা ঠিক জানা নেই ।

    কাকু, শীগগির দুটো চা দিন কাকু । মনে হল ভাগ্নে চায়ের অর্ডার দিল ।
    শুধু চা ! পাশ থেকে কে একজন ফুট কাটল - ছত্রিশ হাজারে শুধু চা ! অমলেট টমলেট খাও !
    সে হবে হবে ! পরে হবেখন ! মামাবাবু তার গাম্ভীর্য বজায় রেখেই বলল !

    এইসব কথা বার্তায় আমাদেরও ওদিকে মনোযোগ গেল । কি ব্যাপার ! কি ব্যাপার !
    ওখানেরই কেউ একজন বলে উঠল – আরে মামু লটারি পেয়েছে !

    ব্যস ! সবার দৃষ্টি ও কৌতূহল গিয়ে পড়ল সেই দুজনের ওপর ! – আমি তো রীতিমতো হাঁ ! স্বচক্ষে কখনো লটারি পাওয়া লোক দেখি নি ! সে এক টাকাই হোক বা এক লক্ষ টাকাই হোক ! চিরকাল শুধু শুনেই এসেছি – সে পেয়েছে ! কখনো এই ‘সে’ কে দেখিনি ! অনেক গল্প পড়েছি বটে ! কেউ কেউ লটারি পায় !

    আমি আর কৌতূহল চেপে রাখতে পারলাম না ! জিজ্ঞেস করে ফেললাম – আপনি লটারি পেয়েছেন ?
    আজ্ঞে হ্যাঁ ! মামাবাবু নিঃস্পৃহ গলায় উত্তর দেয় !
    আরে মামা তো টিকিট কিনতেই চাইছিল না ! সমানে ফেলে দিচ্ছিল – শেষবারে টিকিটটা রেখে দিল । আর সেই টিকিটেই - ! ভাগ্নে বলেই যাচ্ছিল ।
    আরে মশাই, আমি লটারি ফটারি কাটি না । এই ফোটকেই জোর করে একশো টাকার টিকিট গছিয়ে দিল !
    আপনি কোন মাদুলি পড়েছিলেন কাল !
    আপনি কার মুখ দেখে উঠেছিলেন !
    আপনি কোন দোকানে টিকিট কিনেছিলেন !

    নানান জনের নানান প্রশ্নে মামা বেচারি ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠল ! – বোধয় খানিকটা উত্তেজিত থাকার ফলেই বলতে আরম্ভ করলো ।

    এই ফোটকে আমাকে সমানে বিরক্ত করছিলো টিকিট কাটতে । আমি তো টাকাই দিচ্ছিলাম না । দুবার বাঁহাতে টিকিট ফেলে দিয়েছি । তিনবারের মাথায় ফেলেই দিয়েছিলাম ! কিন্তু টিকিটটা হাতেই আটকে গেল । - আমি ভাবলুম – আরে টিকিটটা পড়ছে না কেন ! – যাক গে রেখেই দিই ! ফোটকেকে বললুম – তুই পঞ্চাশ টাকা দে ! ও বলল – না ওটা তোমারই টিকিট – একশো টাকা তোমারই । তখন ভাবলুম – সক্কাল সক্কাল একশো টাকাই গচ্চা গেল ! – সন্ধে বেলায় ও ফোন করে বলল – মামু তোমার টিকিট লেগেছে । - আমি ভাবলুম – ও ফক্কুরি মারছে । কিন্তু ও বলল – চলো তোমার সঙ্গে টাকাটা নিয়ে আসি । - তখন আমি বিশ্বাস করলুম ।

    তা আপনি কি টাকাটা পেলেন ! – কত টাকা ! – আপনি কি চেপে যাচ্ছেন ! পেয়েছেন লক্ষ টাকা আর বলছেন হাজার ! ইত্যাদি প্রশ্ন ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকল ওদের ওপর !
    আপনি কি ওয়েস্ট বেঙ্গলের টিকিট কিনেছিলেন !
    না না !

    কোথাকার টিকিট !
    উনি বা ভাগ্নে সে কথা আর বলে না !
    তা আমাদের একদিন খাইয়ে দিন ! – কেউ একজন বলে ।
    হবে হবে – আপনার ফোন নম্বরটা দিয়ে যান – কাল জানিয়ে দেবো ।
    কোথায় জানাবেন ! এ বি পি নিউজে !

    এই সব কথাবার্তার মধ্যে আমি একবার তার কাঁধে হাত দিলাম ! বললাম – আমি এবার আপনাকে স্পর্শ করে নিলাম ! যদি আমিও কিছু পাই !
    নিশ্চয়ই পাবেন !

    বেশ একটা উত্তেজনার মধ্যে কেটে গেল সময়টা ! – সত্যি হোক বা মিথ্যে হোক – হাজার হোক বা লক্ষ হোক – কিছুটা সময় তো বেশ মজার মধ্যে পড়েছিলাম আমরা সবাই! খবরের কাগজের নিত্য মদনের জেল আর হাসপাতালের খবর – টি ভি চ্যানেলের কচকচানি – নিজেদের মধ্যে সেই একঘেয়ে পেনশান – সুদের কাটতি ! অন্তত কিছুটা সময় তো এইসব থেকে ছিনতাই হয়ে গেল ! – এইজন্যেই বলে বোধয় – দৈনন্দিন একঘেয়েমীর মধ্যে ঝলকে আসা একটুকরো রোদ্দুর !

    মনোজ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন