এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 24.96.97.86 | ১৭ জুন ২০১৫ ১৫:১৯682262
  • সোনার খনি কোথায় আছে !( শেষ পর্ব )

    প্রথম পর্বের লেখাটা হল বড় বড় জুয়েলারী দোকানের আলো ঝলমলে কাঁচের আলমারির বিজ্ঞাপন-পর্ব! ঝলমলে আলো দেখেই তো খরিদ্দার দোকানে ঢোকে ! সব অলঙ্কারের দোকানেরই পেছনে ব্যবসার একটা কালো অন্ধকার ঘন ছায়া আছে । তাকে হিন্টারল্যান্ড বা পশ্চাদপট বলে থাকি । সেটা মোটেই এত উজ্জ্বল নয় । সেখানের নোংরা – সত্যিকারের নোংরা । বাড়িগুলোর ও রাস্তাগুলোর নর্দমার নোংরা ! সেটাও সিঁথিতে !

    এখানে কোন শ্যাকরার দোকানে বা ইলেকট্রনিক্সের দোকানে বা বিশেষ দোকানে ঢুকতে হলে জুতো বাইরে খুলতে হবে ! কেন ? - বাইরের ধুলো ভেতরে ঢুকবে বলে ? - না । ভেতরের ধুলো বাইরে চলে যাবে বলে ! হ্যাঁ । দোকানের ধুলো বাইরে গেলে চলবে না – কারন তার মধ্যে স্বর্ণরেনু থাকতেও পারে ! – ঐ পদ-ধুলো কিন্তু দোকানদারের সম্পত্তি নয়! ঐ ধুলো-পরিস্কারের কন্ট্রাক্ট দেওয়া আছে – কোন মারাঠি কনট্রাকটারের ! – প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে দুদিন বা তিনদিন ওরা সাফ সুতরো করে – ধুলো নিয়ে যাবে । যেমন সেলুন থেকে চুল নিয়ে যায় ! নোয়া পাড়ায় ওদের কারখানায় এসব পরিস্কার হবে ! এতে দোকানদারের দুনো লাভ ! এক, নিজেদের পরিস্কার করতে হয় না । দুই, উল্টে পরিস্কার করার জন্যে ওরা পয়সা পায় !

    এই অঞ্চলের যত নর্দমা আছে - সব নর্দমাগুলো খোলা – ঢাকা নয় । কিন্তু ঢাকা থাকার কথা ! - প্রতিদিন দেখা যাবে – দুজন তিনজনের এক একটা টিম নর্দমা পরিষ্কার করছে । নর্দমা থেকে ময়লা তুলে রাখছে রাস্তার ধারে । তারপর জল ঝরে গেলে বস্তায় পুরে বেঁধে রেখে দিচ্ছে সেখানেই । রাতে লরিতে চেপে এই বস্তাগুলো যায় কারখানার উদ্দেশ্যে । সবাই দেখে – সবাই জানে । এর মধ্যে পুরসভার কোন দায়িত্ব বা ঝক্কি নেই ! কিন্তু পুরপিতার অংশ নেই – তা তো বলা যাবে না !

    এ জঞ্জালগুলো তো দৃশ্যমান – যা অনেকেই জানে – এমন কি বাসিন্দা না হলেও জানা যায় ! এর পরের যে ময়লা – তা আমাদের শৌচকর্ম । বিশ্বাস করবেন কি না জানিনা – আমিও বিশ্বাস করিনি ! – আমার অবিশ্বাসী ভাব দেখে তো বক্তারা খুব ক্ষিপ্ত !

    আপনি এখানে যে কোন বাড়িতে গিয়ে জিগ্যেস করুন – তারা বাড়ির ড্রেন কাকে দিয়ে পরিস্কার করায় ? কর্পোরেশানের গাড়ি আসে এখানে ? – দেখবেন কেউ কিচ্ছুটি বলবে না !

    - কেন ? – তারা টাকা দিয়ে পরিস্কার করায় । বলবে না কেন ?
    - টাকা দিয়ে কি মশাই ! বলুন টাকা নিয়ে !

    ব্যাপারটা কিরকম ! কোন বাড়িতে শুয়ারেজ বন্ধ হয়ে গেছে । আমরা সাধারনত পাড়ার শৌচকর্মীকে বেশ কিছু টাকা দিয়ে পরিস্কার করাই । সে বা তারা বিরাট সরু সরু বাঁশ দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে খোঁচা খুঁচি করে পরিস্কার করে ! - তাই তো !

    এই অঞ্চলে কিন্তু কিছু দালাল শ্রেনির কন্ট্রাক্টর – এসে যাবে । সেই খোঁজ খবর করবে – কতদিন পরে ড্রেন আটকাল ! – পাঁচ বছর দশ বছর ইত্যাদি – যত পুরনো তার দর তত বেশি ! সারা রাত কাজ করে সেই ময়লা লরি করে নিয়ে যাবে – কারখানায় । ময়লা ধোয়ার কারখানায় !

    কারখানার কাজ করে কারা ! বাচ্ছা বাচ্ছা ছেলেরা – একদম উদোম হয়ে পরিস্কার করে । পায়ের পাতার অনুভুতি দিয়ে কিছু পাবার চেষ্টা করতেই হয় । চাইল্ড লেবার কথাটা এখানে একেবারে অবান্তর !

    দশ বছর ধরে একটা বাড়িতে কোনোদিন কি কোন আংটি, কানের দুল, পায়ের মল বা কোন মুল্যবান কিছু পড়ে যায় নি নর্দমায় !

    দশ বছর আগের একটা রুপোর টাকার এখন কত যেন দাম !

    এসব ঘটনা সবাই জানে । মুখে বলেও ।- কিন্তু কেউ কিছু লেখে না কেন ! কারন কেউ চায় না – দুষ্ট ব্যবসায়ীর নজরে পরতে ! – তাই বোধয় খুব কৌতূহলী হয়ে জিগ্যেস করে – লিখেছেন ? বলতে হয় – লিখছি !

    মনোজ ভট্টাচার্য
  • মনোজ | 24.96.97.86 | ১৭ জুন ২০১৫ ১৫:২২682267
  • এ কী ! চারবার পোস্ট হয়ে গেল ! খুব দুঃখিত !
  • kintu | 144.159.168.107 | ১৭ জুন ২০১৫ ১৫:২৯682268
  • ইটা আলেদা কেন? ঐ তইতে থাকলে কী সমিস্যে?
  • kumu | 11.39.35.119 | ১৭ জুন ২০১৫ ১৬:০১682269
  • বুঝলাম না।এই পদ্ধতি শুধু ঐ অঞ্চলেই চলে ?সারা শহরে নয়?ঐ পাড়ায় যদি দিনে একটি বাড়িতেও sewage system আটকে যায়,এবং সেখান থেকে একটি দুল বা আংটি বা দুটৈ উদ্ধার হয় তাহলেও একটি কারখানা(?)চালানোর খরচা পোষাবে?
    এমনিতে রুপোর টাকা বা গয়না ঐভাবে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে হয়।
  • মনোজ | 24.99.175.89 | ১৭ জুন ২০১৫ ১৬:২৩682261
  • কুমু,

    এখনকার দিনে আর কোথাও ওভাবে পরিস্কার হয় বলে মনে হয় না ! - এটা হল বিশেষ অঞ্চল !

    মুখ ধোবার সময় বা হাত ধোবার সময় পড়ে যাওয়ার চান্স আছে ! - আমারই তো একবার ঘড়ি খুলে পড়ে গেছিল !

    আর কারখানা কি শুধু একটা গয়নার জন্যে চলে ! সেখানে সব কিছুই হয় !

    মনোজ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন