এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কীভাবে নাস্তিক হলাম

    সিকি লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৩ মে ২০১৫ | ১০৩৩৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • san | 11.39.32.81 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:০৯676228
  • হ্যাঁ , আস্তিক হয়ে তো আর কেউ জন্মায় না। আস্তিকই বরং করে তোলা , হয়ে ওঠা ইত্যাদি হয় । ভগবানের কনসেপ্ট বোঝানো হয় ইত্যাদি।
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:১১676229
  • পরী, ভুত, ইব্লিশ, মৎস্যকন্যা, পক্ষীরাজ ঘোড়া, এরকম অনেক প্রোপোজিশনের মতোই একজন নাস্তিকের কাছে ঈশ্বর আরেকটা প্রোপোজিশন মাত্র। আলাদা করে একে চরম বিশ্বাস বলাটা ঠিক না। এবার যেসব প্রোপোজিশনের প্রমান মিলবে আমি সেসবগুলো বিশ্বাস করবো। না মিললে করবো না।
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:১২676230
  • *চরম অবিশ্বাস
  • hu | 101.185.15.121 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:১৩676231
  • sm এর কথাগুলো আমার মায়ের মত হয়ে যাচ্ছে - দেখলি তো, পুরী আসতেই হল, জগন্নাথ দেব ঠিক টেনে আনলেন। কিছুই তো মানিস না।

    (উপলক্ষঃ সপরিবারে দিন তিনেক ছুটি কাটানোর জন্য পুরী চুজ করেছিলাম)
  • san | 11.39.32.81 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:১৪676232
  • ইব্লিশকে ইলিশ পড়ে মর্মাহত হয়ে যাচ্ছিলাম।
  • kc | 204.126.37.78 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:১৭676233
  • যা বুঝছি, সবার কাছেই নাস্তিক্যবাদের একটা নিজস্ব নিজস্ব সংজ্ঞা আছে। সেই ডেফিনেশন ধরে সবাই নিজেরা নাস্তিক, বাকিরা আস্তিক। অনন্ত গোলপোস্ট।

    বলি রাত কত হল? পোদো কি আজ ঘুমাবেনা?
  • d | 144.159.168.72 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:১৯676236
  • সব পড়েটড়ে আমাদের পরিচিত এক বৃদ্ধের কথা মনে পড়ল। তিনি বলতেন "দ্যাখ বাবা আমার ঐ প্রাতঃকৃত্য হল গিয়ে আমার ঈশ্বর, ঐটি যদি ঠিকঠাক না হয় তাহলে সারা দিনমানে সব গোলমাল হয়, সে কাউকে পড়াই বোঝাতে গিয়ে ঠিক করে বোঝাতে পারি না, দোকানদার ফাঁকতালে পচা জিনিষ মিশিয়ে দেয় .... তাই আমি রাতের বেলা ইসবগুলটা ঠিক মনে করে খাই যাতে সকালে ঈশ্বরসাধনাটা মাখমের মতন নেমে যায়।"
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:১৯676235
  • ওরে বাবা ইলিশ যেন কোনদিন প্রোপোজিশনের পর্যায়ে না চলে যায়, যদিও এখন যা অবস্থা, সেদিকে অনেকটাই গেছে ঃ-( হে ইলিশ দেবতা, তোমাকে আমার পেট জানায় শতকোটি প্রনাম, তুমি অমর হও, প্রতি বছর অন্তত একবার সর্ষের বাহনে চড়ে ভক্ত পেটের সামনে দেখা দাও।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:১৯676234
  • ওহ্‌, বি মনে করিয়ে দিল, মেড ইন চায়না গড্‌স - তার মধ্যে ঐ একজন আছেন না, আমার খুব ভেভারিট, কি সুন্দর হাসিখুশি, আর কি কিউট ভুঁড়ি, হেলান দিয়ে কি অসম্ভব গড্‌লি ল্যাদ মার্কা বিনদাস ভঙ্গিমা - কিশোরের গানের লাইন মনে পড়ে যায় - ... এমন মধুর ভঙ্গিমা আমি কোনোদিন, ভুলব না যেন কিছুতেই --- গড হো তো অ্যায়্সা
  • hu | 101.185.15.121 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:২৩676238
  • সে কি কথা কেসিদা। আমি তো নিজেকে নাস্তিক বলছিলাম না। হুতোও বলল না। তারপর স্যান এসে প্রশ্নটা সোজা করে দিল। স্যানের ডেফিনিশন অনুযায়ী নাস্তিক হয়ে গেলাম। স্যানের দেওয়া ডেফিনিশনটা আমার বেশ প্রাসঙ্গিকও মনে হচ্ছে। বেশির ভাগ ভগবান বিশ্বাসী মানুষই আসলে গড ফিয়ারিং এবং ভেটের বিনিমনে কিছু পাওয়ায় বিশ্বাসী। আর এখানেই মিডলম্যানদের রাজত্ব। তো সেই ডেফিনিশন অনুযায়ী সৎ উত্তর দিলেই ল্যটা চুকে যায়।
  • সিকি | ১৪ মে ২০১৫ ১০:২৫676239
  • আমার গল্পটা বেশ লম্বা। বে-এ-শ লম্বা।

    ইন ফ্যাক্ট, অলরেডি পাঁচ পাতা ধরে হয়ে যাওয়া আলোচনর পরিপ্রেক্ষিতে এটুকু বুঝলাম, এই টইয়ের হেডিংটাই বেমানান। "কী করে হলাম" - নাস্তিক হওয়াটা কোনও ডেস্টিনেশন নয় যে "হলাম" আর গল্প শেষ হয়ে গেল। এটা একটা কন্টিনিউয়াস জার্নি, হয়ে চলার গল্প।

    নাস্তিকতার ডেফিনিশন এক এক জনের কাছে এক এক রকমের, আমার ডেফিনিশনও হয় তো অরেক রকমের হবে। আমার নাস্তিকতার বয়েস খুব বেশি হলে চব্বিশ বছর। এই চব্বিশ বছরে এই পথ ধরে চলতে গিয়ে দেখেছি, এর থেকে আস্তিক হয়ে বেঁচে থাকা অনেক সহজ। স্রোতে ভেসে চলা যায়। নাস্তিকতার পথ খুব কনফ্লিক্টিং - অনবরত কনফ্লিক্ট চলে, সানি-র সাথে কাঁবার সাথে নিকটজনের সাথে পাড়াপ্রতিবেশির সাথে - আর সবচেয়ে বড় কনফ্লিক্টটা চলে, নিজের সাথে। প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রশ্ন করে চলা, নিজের ভ্যালুজকে (সানি, মূলত) যুক্তি দিয়ে কাটা। হয় তো দরকার ছিল না, তবু মনের মধ্যে ঐ একটা দ্বন্দ্ব সবসময়ে কাজ করতে থাকে।

    বাবা এক সময়ের পার্টি করা লোক, খুব বেশি ভক্তিমান ছিল না কখনওই, কিন্তু কাঁধ থেকে পৈতেটি নামায় নি, আজও। দেবদ্বিজে ভক্তি করতে হয়, ঠাকুরে বিশ্বাস রাখতে হয়, এমন শিক্ষা বাবা দেয় নি কখনও, জোর করে চাপিয়ে দেবার পক্ষপাতী ছিল বরং, মা।

    দিদি আমার থেকে তিন বছরের বড়। আমি তখন ক্লাস ফোর, দিদি ক্লাস সেভেন - আমরা তখন ঘাটালে থাকি। মায়ের অনুরোধে লোকাল ছুতোরকে দিয়ে বাবা বানিয়ে আনল একটা সিংহাসন। আর আগে থেকেই ছিল একটা চীনেমাটির লক্ষ্মী, একটা মাটির সরস্বতী, কালীঠাকুরের ছবি ইত্যাদি। কোয়ার্টারের মধ্যেই জবা নয়নতারা ইত্যাদি গাছ ছিল, তাই ফুলের অভাব হত না। দৈনিক সকালে ঘুম ভাঙত আকাশবাণীর সঙ্গীতাঞ্জলীর গানের সঙ্গে মিশে যাওয়া মায়ের মন্ত্রোচ্চারণে। এত বছর ধরে শুনেছি, এত বছর ধরে, আমার লাইন বাই লাইন মুখস্থ হয়ে গেছে - নমো বিষ্ণু, নমো বিষ্ণু, নমো বিষ্ণু, ... এর পরে নমো ওমুকায় নমো, নমো বাসুদেবায় নমো, নাগায় নমো, কূর্মায় নমো, এই নমো, সেই নমো। শুনতে শুনতে ঐ সানির পার্ট হয়ে গেছিল ব্যাপারটা, তবে সবথেকে ইন্টারেস্টিং লাগত সন্ধ্যে দেওয়াটা। নিজের হাতে দেশলাই জ্বালিয়ে প্রদীপ ধরানো, আর শাঁখ বাজানো, এই দুটোই শিখে গেছিলাম সাত বছর বয়েস নাগাদ, ঐ বয়েসে এসব কাজ বেশ অ্যাডভেঞ্চারাস ব্যাপার ছিল, আমি প্রোঅ্যাক্টিভলি সন্ধ্যে দেবার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিলাম। তখন লোকশিক্ষের বয়েস, মা শেখালো, এই যে হাত, এই হাত ছুরি ধরতেও কাজে লাগে - যা দিয়ে কাউকে মেরে ফেলা যায়, আবার এই হাত ভগবানকে ফুল দিতেও কাজে লাগে। অস্যার্থ বুঝে নিয়ে ফুল দেওয়াই বেটার কাজ সাব্যস্ত করেছিলাম।

    তো, শুরুর গল্পটা। আমরা তখন ঘাটালে, আমি ক্লাস ফোর, মা আমাকে আর দিদিকে ধরেবসিয়ে একটা স্তোত্রগান শোনাল, শিবের স্তোত্র। প্রভূ মীশমনীশমহেশগুণম্‌। ঐ গুরুদেবো দয়া করো দীনজনে-র সুর, প্রতি চতুর্থ লাইনে "প্রণমামি শিবম্‌ শিব কল্পতরুং"। তিন স্ট্যান্জা শিখে ফেলার পর, পরের অর্ডার হল প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলায় আমাদের দুই ভাইবোনকে সন্ধ্যেবেলায় নীলডাউন হয়ে ঐ কাঠের সিংহাসনের সামনে বসে হাত জোড় করে এই স্তোত্রটা গাইতে হবে। রোজ। তার আগে খেলার মাঠ থেকে ফিরে হাত পা ধুতে হবে। ঐ স্তোত্রপাঠ সেরে তবেই সন্ধ্যের জলখাবার এবং পড়তে বসা।

    তিন চার দিন করবার পরেই মনে বিদ্রোহের সূচনা হল। কেন করব? না করলে কী হয়? একদিন ইচ্ছে করে স্কিপ করলাম। দিদি ডাকল, বসলাম না, দিদি মায়ের কাছে নালিশ করে দিল। কানে টান পড়ল, পিঠে ধুপধাপ পড়ল, অগত্যা পরদিন থেকে আবার শুরু। এবং আবার কদিন বাদে স্কিপ।

    দিদি কিন্তু একদিনের জন্যেও স্কিপ করে নি। দু চারবার যখন মা দেখল ঠেঙিয়েও কিছু হচ্ছে না বরং স্কিপ করবার ফ্রিকোয়েন্সি বেড়ে যাচ্ছে, তখন কবে যেন আস্তে আস্তে ঢিলে দিয়ে দিল ভিজিলেন্সে। তার আগে অবশ্য গুচ্ছ সীন ক্রিয়েট করেছিল, কেঁদেকেটে, ভগবানের অভিশাপ লাগবে, এরকম করতে নেই, তো ভবি তাতে ভোলে নি।

    তো, সন্ধ্যেবেলার স্তোত্রপাঠ বন্ধ হল, সাথে সাথে আমার সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালাবার আর্জটাও। হাল্কা রিপালশনের সেই শুরু। কিন্তু তখনও নিতান্তই বাচ্চা বয়েস, এসব করা উচিত কি উচিত না, ভগবান সব দেখছে কি দেখছে না ইত্যাদি কূট প্রশ্ন আসার সথে সাথেই কেভাবে যেন, অফ অল ভগোয়ানস, আমি খুব কৃষ্ণভক্ত হয়ে পড়লাম। মোস্ট প্রব্যাবলি ক্যালেন্ডারে খুব কিউট কিউট বাল ননীগোপালের ছবি থাকত, তাই দেখে, প্লাস অমর চিত্র কথায় কৃষ্ণলীলা বা সূরদাসের জীবনী পড়ে, এবং অনুপ জালোটার দু একটি ক্যাসেট শুনে আমার মনে প্রবল কৃষ্ণভক্তির উদয় হয়। ক্লাস ফাইভ নাগাদ। রেজাল্ট বেরনোর আগের দিন খুবসে কৃষ্ণকে ডাকলাম, পরের দিন ভালো রেজাল্ট এল, ভক্তি আরো প্রবল হল। কোনও পুজোআচ্চা নয়, জাস্ট মনে মনে কৃষ্ণকে ডাকতাম, একবার বোধ হয় স্বপ্নেও দেখেছিলাম, কৃষ্ণকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম স্পাইডারম্যানের মত দেয়াল বেয়ে হাঁটতে গেলে কী করতে হয় ইত্যাদি।

    তো, সে কৃষ্ণপ্রেম এল, গেল।

    আরেকটু বড় হলাম। অ্যাডোলেসেন্সের কাছাকাছি সময়। মার্কেটে লঞ্চ করল হিরো রেঞ্জার সাইকেল। তখনও স্ট্রীট ক্যাট আসে নি। সোজা হ্যান্ডেলের সাইকেল সেই প্রথম। পেতেই হবে এদিকে বাবাকে বলা যাবে না। বাবা না করলে চাইবার রাস্তা থাকবে না। সাইকেলটা ছিল তখনকার দিনে বেশ কস্টলি, বারোশো টাকা দাম।

    বড়মামা আর মেজোমামা মিলে পুড়কি দিল, তোর পৈতে হলে ঐ সাইকেলটা আমরা দুজনে মিলে তোকে গিফট করব।

    অতএব পৈতে হতেই হবে। মায়ের কাছে প্রসঙ্গটা তুলতেই মা হাতে চাঁদ পেল। ছেলে দ্বিজ হতে চাইছে, এর চেয়ে সুখের দিন আর কী হয় ইত্যাদি। মা-ই আমার হয়ে বাবার সাথে ঘ্যানঘ্যান করল, বিস্তর গোলটেবিল বৈঠকের পরে পৈতের দিন স্থির হল তখন আমি জাস্ট ক্লাস নাইনে উঠেছি। দিনটা আজও মনে আছে, ১৯৯১ সালের ২১শে মে। সমস্ত আয়োজন প্রায় সম্পূর্ণ, সক্কাল বেলায় খবর এল তামিলনাড়ুতে রাজীব গান্ধি নিহত, সমস্ত দোকান বাজার সব বন্ধ। বাবার মাথায় হাত।

    তো, সে যাই হোক, পৈতে হল, আত্মীয় কুটুম্ব এসে প্রচুর আশীর্বাদ করে গেল, প্রচুর বই পেন ইত্যাদি গিফট পেলাম, কিন্তু আমার তো ঐসবে মন নেই। দণ্ডীঘরে আমি বসে আছি, তিনদিন বসে থাকতে হবে, ওদিকে দোতলায় আমার নতুন ঝকঝকে নীল রঙের হীরো রেঞ্জার সাইকেল রয়েছে, আমি এখতে যেতে পারছি না। দাঁতে দাঁত চেপে সব নিয়ম মানছি, আর ঘণ্টা গুনছি।

    আস্তিক নাস্তিক কিছু বুঝতাম না তখনও, ধর্ম সম্বন্ধে কোনও ক্লিয়র আইডিয়া ছিল না। ধর্ম, হিন্দুত্ব, ব্রাহ্মণত্ব - এইসবের মনে বুঝতাম জাস্ট কঁধে পৈতে, আর এক বছরের নিয়মকানুন, আর ঠাকুরপুজো। তো, আমার ধর্মপালন নেহাতই বৈষয়িক, তাই বাকিগুলো নিয়ে মাথা ঘামাই নি - ও বসে কিছু মন্ত্র অওড়ানো তো, আউড়ে দেব। মনে কী ভাবছি তাই নিয়ে কার কী এসে গেছে।

    এই বয়েসের সব ছেলের কাছেই বাবা একটা হিরো টাইপের লোক হয়। আমি জানতাম আমার এই লোকদেখানো পৈতে নাটুকেপনার পেছনে আসলে প্রাপ্তিলোভ। কিন্তু বাবা কখনও এসবের ধারকাছ মাড়াত না, বাবাকে কখনও পুজো করতে দেখি নি, কেজো ইঞ্জিনীয়ার মানুষ, এক সময়ে পার্টি করত, একটা অন্য রকমের পার্সোনালিটি লাগত।

    সেই বাবার সাথে চতুর্থ দিন ভোররাতে বেরোলাম, দণ্ডী ভাসাতে। গঙ্গার ঘাটে এসে কোমর জলে দাঁড়িয়ে আমি, বাবা সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আমাকে বলছে, এইবারে দণ্ডীটাকে ভাসিয়ে দে, এইবার ডান হাতের তর্জনীতে পৈতেটা এক পাক জড়িয়ে নে, এইবারে হাতজোড় করে - ঐদিকে, পূর্বদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে - বল্‌, ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিং ...

    আমি কি অন্য কিছু এক্সপেক্ট করেছিলাম? আমার হাতে জড়ানো পৈতে, আমি নৈহাটির দিকে মুখ করে কোমর জলে দাঁড়িয়ে, আজও মনে আছে, নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না - বাবা সূর্যস্তোত্র বলছে? আমাকে বলতে বলছে? বাবা?

    কেন এই রকমের ফীলিং এসেছিল, বলতে পারব না, কেবল ফীলিংটা মনে আছে।

    (আরও হ্যাজাবো)
  • san | 11.39.32.81 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৩১676240
  • আমি মোটেও প্রশ্ন সোজা-ফোজা করতে চাই নি যিশু কালী মহম্মদের দিব্যি। কঠিন করতেই চেয়েছিলাম। হুচি আমার বক্তব্যকে উল্টোদিক থেকে দেখল :-(

    আমি বলতে চাইছিলাম - যদিও অধিকাংশ লোকে 'আপনি আস্তিক না নাস্তিক' বলতে ঐ গিভ-অ্যান্ড-টেক মডেলে বিশ্বাসের কথাই বুঝিয়ে থাকে , এবং সেইমত আমি নাস্তিক বলে থাকি নিজেকে - কিন্তু ঐ অভ্যুদা যেমন বলল , আস্তিক্যের ডেফিনিশন একটা নয় এবং একটু গভীরে গিয়ে প্রশ্ন করলে বিষয়টা ক্যাটেগোরাইজেশনের হয়ে যায় , কল্পিত অস্তিত্বের নয় । আমার খুব পছন্দের একটা কোটেশন দিই দাঁড়ান।
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৩২676241
  • " "কী করে হলাম" - নাস্তিক হওয়াটা কোনও ডেস্টিনেশন নয় যে "হলাম" আর গল্প শেষ হয়ে গেল। এটা একটা কন্টিনিউয়াস জার্নি, হয়ে চলার গল্প।"

    খুব দামী কথা।

    "এই চব্বিশ বছরে এই পথ ধরে চলতে গিয়ে দেখেছি, এর থেকে আস্তিক হয়ে বেঁচে থাকা অনেক সহজ।"

    এটা অবশ্য আমার কাছে উল্টো। যার অস্তিত্বের কোন প্রমান পাওয়া যায়নি, তাকে বিশ্বাস করাটাই আমার কাছে বেশী কঠিন। মনকে নানান ভুজুং ভাজুং দিতে হয়, মনে হচ্ছে নেই, কিন্তু আসলে আছে, এই টাইপের। পক্ষীরাজ ঘোড়া বা ঈশ্বরে অবিশ্বাস বরং আমার কাছে অনেক বেশী সহজ বা ন্যাচারাল।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৩৬676242
  • না না, আমিও আস্তিক, তবে আমার গিভ-এন্ড-টেক মডেল না, ওনলি 'টেক' ।
  • Tim | 101.185.15.121 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৪৪676243
  • ধুর কত হ্যাজ। এর মধ্যে সিফোঁর কথাটা মনোমত হয়েছে। বাই ডিফল্ট লোকে আস্তিক না। নাস্তিকও না।
    আর হুতোদাকে সবহারা নিয়ে ক। ঃ-)
  • Tim | 101.185.15.121 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৪৬676244
  • এলসিএম দা, আস্তিক হয়েও তো কিছুট গিভ হলো, আর কিছু না দিলেও। ভোটের কি দাম নেই নাকি?
  • san | 11.39.32.81 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৪৭676246
  • এই যে পেয়েছি। আরণ্যকের থেকে।

    "আমার মনে যে দেবতার স্বপ্ন জাগিত , তিনি যে শুধু প্রবীণ বিচারক , ন্যায় ও দণ্ডমুন্ডের কর্তা , বিজ্ঞ ও বহুদর্শী কিঁবা অব্যয় , অক্ষয় প্রভৃতি দুরূহ দার্শনিকতার আবরণে আবৃত ব্যাপার তাহা নয় - নাড়া বইহারের কি আজমাবাদের মুক্ত প্রান্তরে কত গোধূলিবেলায় রক্তমেঘস্তূপের , কত দিগন্তহারা জনহীন জ্যোৎস্নালোকিত প্রান্তরের দিকে চাহিয়া মনে হইত তিনিই প্রেম ও রোমান্স , কবিতা ও সৌন্দর্য , শিল্প ও ভাবুকতা - তিনি প্রাণ দিয়া ভালবাসেন , সুকুমার কলাবৃত্তি দিয়া সৃষ্টি করেন , নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিলাইয়া দিয়া থাকেন নিঃ শেষে প্রিয়জনের প্রীতির জন্য - আবার বিরাট বৈজ্ঞানিকের শক্তি ও দৃষ্টি দিয়া গ্রহ-নক্ষত্র নীহারিকার সৃষ্টি করেন ।"

    বলেন দেখি ইহা আস্তিক্য না নাস্তিক্য ? বলেন বলেন।
  • kc | 204.126.37.78 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৪৭676245
  • আমি ঈদের নামাজে একমাঠ লোকের সঙ্গে উঠবোস করেছি। নামাজ সেশের পর লোকেদের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখেছি। অদ্ভুত শান্তি। এই শান্তি ব্রিগ্রেড ভরা একমাঠ লোকের মুখে দেখিনি। যদিও ঈদের নামাজ পড়া কিছু লোকও ঐ ব্রিগ্রেড মাঠে ছিল জানি। আমি ঘেঁটে গেছি।

    ধাঁইধপাধপ খোল বাজিয়ে কীর্তন গেয়ে দেখেছি একটা ট্রান্স অবস্থার মত লেগেছে। প্রসাদ নেওয়ার সময় লোকের মুখ দেখে ভাল লেগেছে, যদিও ঐ ভাল লাগা মুখের একজনকেই দেখেছি বাড়ি গিয়ে বউকে পেটাতে। সেতো বামপন্থি নাস্তিক লোককেও দেখেছি বউকে লুকিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে যোধ্পুর পার্কে ঘন হয়ে থাকতে।

    আর ঘেঁটে যাইনি। সব কিছু বাল বলে কাটিয়ে দিয়েছি।
  • কল্লোল | 125.242.138.81 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৪৮676247
  • হু-এর পোস্ট পড়ে মনে হলো আরএকটু লিখি।
    আমি ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি না। তাই নাস্তিক।
    কিন্তু সেই আমি গান বানাই

    দেখি নাই দেখি নাই তারে চক্ষে দেখি নাই
    পিরীতের কথা তারে কেমনে শোনাই
    #
    ফুলের সুবাসের মতো / এই আসে এই যায়
    আকাশ বাতাস / তার আগমনী শোনায়
    মনে করি ধরি ধরি / ধরা নাহি যায়
    পিরীতের কথা তারে কেমনে শোনাই
    #
    চকিত চহনির মতো / এই আছে এই নাই
    চেতন গভীরে যেন / তার সারা পাই
    তারে ধরতে গেলে / শেষে আমি নিজেরে হারাই
    পিরীতের কথা তারে কেমনে শোনাই

    বা

    আমি নীল সায়রে ডুব দিয়েছি / অতলে তার তল নাই
    আমি কোন বা ডুবে পাবো সে তল / ডোবাও ওগো সাঁই
    আমায় ডোবাও ওগো সাঁই
    #
    আমার ডুবে গেছে সারা অঙ্গ / আমার উচ্চ নীচে ডাইনে বাঁয়ে / খেলিছে তরঙ্গ
    আমি ডুব ডুব ডুব ডুব দিয়ে যাই / অতল সে তল কোথায় পাই
    আমায় ডোবাও ও গোসাঁই
    #
    আমার চেতন অচেতনের সাঁঝে / আদিগন্ত জুড়ে তোমার আগমনী বাজে
    আমি সেই সুরে ভেসে ভেসে যাই / অতল সে তল কোথায় পাই
    আমায় ডোবাও ও গোসাঁই

    এরকম আরও অনেক গান বেঁধেছি। কিন্তু ঈশ্বরে বিশ্বাস আজও করি না। পূজোয় অংশ নেই। অঞ্জলি দেই না। প্রতিমা কিনতে যাই, ঢাকি বায়না করি। পূজোর সামগ্রী কিনি। ভাসানে নাচি। ঈদের সময় সন্ধ্যেবেলা লুরুর মস্ক রোড চব্য কত্তে যাই।
    দিল আফরোজ রেবার গলায় লালনের গান, রণেন রায়চৌধুরীর গলায় ঈদম শাহের, হাসন রাজার গান, নীলোফার ইয়াসমিনের পদাবলী কীর্তন শুনে পাগল পাগল লাগে। মাধুকরীতে বিশ্বাস করি।
    কিন্তু কিছুতেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে পারি না। একফোঁটাও না।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৪৯676250
  • ভোর আর সন্ধের দিকে (ডন এন্ড ডাস্ক) আমি আস্তিক।
  • সিকি | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৪৯676249
  • ক্লাস নাইন টেন - মনে অনেক পরিবর্তন এল। দেখলাম ভগবানের থেকে গার্ল্স ইশকুলের মেয়েরা অনেক বেশি অ্যাট্রাকটিভ। এক বছর নিয়মকানুন মানতেও হয়েছিল, সন্ধ্যেবেলা ঠাকুরঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে পাঁচ মিনিট চুপ করে বসে থেকে বেরিয়ে এসে বলতাম আহ্নিক হয়ে গেছে। ঐ এক বছরের পরে আমি আর কখনও ঠাকুরঘরের ছায়া মাড়াই নি।

    ইতিমধ্যে কানে এল সুমন, হাতে এল প্রবীর ঘোষের পর পর তিনটে বই, অলৌকিক নয়, লৌকিক। পড়লাম আব্রাহাম থোম্মা কোভূরের কাহিনি। প্রেমে পড়ে গেছিলাম, প্রথম ক্রাশ জীবনে, তার নাম আনা ফ্রাঙ্ক। আলমারি থেকে বের করে পড়ে ফেললাম ইস্পাত। ডায়েরি লেখা শুরু করলাম।

    খানিক পড়বার পরে মনে হল প্রবীর ঘোষ বেশ অ্যাপ্রোচেবল লোক, ওকে একটা চিঠি লিখে ফেলা যাক। কিশোর বয়েসে তর বই পড়ে টড়ে মনে কিছু প্রশ্ন এসেছিল, সেইগুলো লিখে পাঠিয়ে দিলাম। উত্তর আসে নি আজও।

    প্রথম ধর্ম, বিলিফ ইত্যাদি সম্পর্কে ধাক্কাটা খেলাম এর দেড় বছরের মাথায়। ১৯৯২। ৬ই ডিসেম্বর। রোজ কাগজে পড়ছি ধর্মপরিচয়ের নামে মানুষ মানুষকে মারছে। তলোয়ার দিয়ে মাথা কেটে দিচ্ছে। জাস্ট এ হিন্দু বলে, ও মুসলমান বলে।

    বীভৎস ইমপ্যাক্ট হয়েছিল সেই সময়ের খবরগুলোয়, ঐ ঘটনাই আমাকে প্রথম সজ্ঞানে ধর্ম, ঈশ্বর এবং বিশ্বাসকে অশ্রদ্ধা করতে শেখায়। আমাদের মফসসল শহরে দাঙ্গা হয় নি, কিন্তু কলকাতা অশান্ত হয়েছিল। কদিন পরে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার প্রথম দিন স্কুলে গিয়ে জানতে পারলাম পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে, পাওয়েল স্যার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে কোশ্চেন পেপার আনতে গিয়ে কলকাতায় আটকে গেছে, ফিরতে পারছে না। পরীক্ষা পিছিয়ে গেল।

    তারপরে ভারত শান্ত হল, পরীক্ষা শেষ হল। মাধ্যমিকের প্রস্তুতি এইবারে। সেই সময়ে প্রথম চিন্তাটা মাথায় এল। এই পরিচয়গুলো তা হলে মানুষকে আরেকটা মানুষের কাছে ভালনারেবল করে দেয়? আমি হিন্দু ছাড়াও তো আরো পরিচয় আছে আমার, সেগুলো কিছুই ম্যাটার করবে না যদি একজন মুসলমান আমার সামনে খোলা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়? কিম্বা ভাইসি ভার্সা? আমার ধর্ম, আমার বিশ্বাস, আমার ভগবান তা হলে এইজন্যেই তৈরি হয়েছে - এইটা ডিফাইন করার জন্য যে, আমি ওর থেকে আলাদা? আমি ওর মত নই? এবং আমার সংকটমুহূর্তে তারা আমাকে বাঁচাতে পারবে না? সারা দেশে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান, ধর্মপ্রাণ হিন্দু খুন হয়েছে জাস্ট হিন্দু বা মুসলমান পরিচয়ের জন্য। তা হলে কী দরকার এই পরিচয় বয়ে বেড়াবার?

    প্রশ্নটা আজও রয়ে গেছে। এর সাথে জুড়ে গেছে আরও অনেক প্রশ্ন, যার উত্তর খুঁজে পাই নি।

    পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করার সময়ে একদিন এমনিই কী মনে হল, কমোডে পৈতেটা ফেলে ফ্লাশ করে বেরিয়ে এলাম। পরে বাড়িতে আমাকে পৈতেহীন অবস্থায় দেখেছে সবাই, কিন্তু কেউ কোনও প্রশ্ন করে নি। বাবা নিজের পৈতে আজ পর্যন্ত ফেলে নি।

    (জনতা চাইলে আরো হ্যাজাতে পারি)
  • Tim | 101.185.15.121 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৫৫676251
  • আস্তিক্য, স্যান। ঐ মঙ্গলময় ব্লা ব্লা ব্যাপারে বিশ্বাসী। এবার, মঙ্গলময় বিচারকের অস্তিত্ব বাদ দিলে ব্যাপারটা আরো ধোঁয়াটে হয়ে যায়, তখন ক্যাটেগোরাইজ আরো কঠিন হবে এটা সত্যি।
  • kc | 47.39.40.248 | ১৪ মে ২০১৫ ১০:৫৭676252
  • স্যান, ওটা হাজার পারসেন্ট আস্তিক্য।
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১১:০০676253
  • "সুকুমার কলাবৃত্তি দিয়া সৃষ্টি করেন , নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিলাইয়া দিয়া থাকেন নিঃ শেষে প্রিয়জনের প্রীতির জন্য - আবার বিরাট বৈজ্ঞানিকের শক্তি ও দৃষ্টি দিয়া গ্রহ-নক্ষত্র নীহারিকার সৃষ্টি করেন"

    আস্তিক্য, কারন স্রষ্টার কথা বলা হচ্ছে।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১৪ মে ২০১৫ ১১:০৩676255
  • ধুস্‌, স্বপ্নের কথা বলছেন, ড্রিম সিকোয়েন্স, "....আমার মনে যে দেবতার স্বপ্ন জাগিত..."।
    খুব জাগ্রত স্বপ্ন প্রায় সত্যির মতন, বা, জেগে জেগে স্বপ্নের মতন
  • hu | 188.91.253.22 | ১৪ মে ২০১৫ ১১:০৩676254
  • স্যান, আমার খুব পছন্দের কোটেশন দিলি। এটাকে মনে হয় আস্তিক্যই বলা হবে। আমার সংশয় তো এই জায়গাগুলোতেই। কিন্তু এটাও সত্যি ধর্মবিশ্বাসী মানুষের সিংহভাগেরই এই ভগবানে দরকার নেই। যদি কমনম্যানের পারসেপশন থেকে দেখি তাহলে বিষয়টা অরগানাইজড রিলিজিয়ন বনাম নো রিলিজিয়নের।
  • san | 11.39.32.81 | ১৪ মে ২০১৫ ১১:০৬676257
  • এবার সিকির লেখা প্রসঙ্গে। নাস্তিক হয়ে ( অর্থাৎ প্রচলিতার্থে) নাস্তিক হয়ে বেঁচে থাকাও খুব সহজ। আমি কুসংস্কার মানি না - অতএব আমি অস্তি-ত্ব বিষয়ক সব চিন্তাকেই বাল মনে করি। এ তো এখনকার স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে গেছে। বাইনারি মডেলের বাইরে ভাবতে হয় না বলে এটা খুব সহজ মডেল। সবেতেই একরাশ ঘেন্না ছিটিয়ে দিলেই কাজ সমাপ্ত।

    অভ্যুদা যেমন বলল - ঐ গিভ অ্যান্ড টেক মডেলের বাইরেও আস্তিক্য থাকে । সেটা মূলত দর্শনের এলাকা এবং অ্যাসার্শনের বদলে ক্যাটেগোরাইজশনের প্রশ্ন। তাতে সকলের ইন্টারেস্টও থাকে না , গভীরে যাবার ক্ষমতাও থাকে না। তবে আস্তিক্য মানে সত্যনারায়ণ আর মঙ্গলবারের উপোস এর বাইরে আর কিছু না ভাবতে পারাটাকে একরকম লিমিটেশন বলেই ধরব। আস্তিক ও নাস্তিক উভয় পক্ষেই ।
  • d | 144.159.168.72 | ১৪ মে ২০১৫ ১১:০৬676256
  • সিকির রচনা পড়ে মনে হল আম্মো একটু রচনা লিখব, কিন্তু পরে, রাত্তিরে সম্ভবতঃ
  • d | 144.159.168.72 | ১৪ মে ২০১৫ ১১:০৭676258
  • আর কেসি কীর্তন ছাড়াও অমনি অমনি নাচুনে গানগুলোর সাথে নেচে দেখবেন দিব্বি ট্রান্স এর মত হয়। অবি দাদুর ঐ নাড়ুনৃত্যে হবে না।
  • san | 11.39.32.81 | ১৪ মে ২০১৫ ১১:০৯676261
  • "তিনিই প্রেম ও রোমান্স , কবিতা ও সৌন্দর্য , শিল্প ও ভাবুকতা"

    - এইটা মিস করে গেলেন ? এই আস্তিক্যে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কিছু আছে কি ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন