এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জিরো ফিচার পয়েন্ট

    T
    অন্যান্য | ১৯ জুলাই ২০১৪ | ৪৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • T | 24.139.128.15 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০১:৪৪647117
  • —‘সিগারেট খাবি?’
    —‘নাহ্ তুই খা।’
    —‘বিড়ি?’
    —‘ধুর’
    —‘আরে খা না। দেখবি শীতটা কেটে যাবে।’
    —‘না রে, ঠিক আছি মোটামুটি। এই ফুলহাতা সোয়েটারটা বেশ মোটা। কিন্তু তুই কী করে আছিস বলতো? স্রেফ শার্ট চড়িয়ে? তোর শীত পায় না?’
    —‘আমরা গ্রামের ছেলে। তোদের মতো পুতুপুতু নয়। এসব আমাদের গা সওয়া।’
    —‘তাই নাকি!’
    —‘হ্যাঁ, তাই।’

    গাঢ় অন্ধকারে শুধু রিকশার ঝাঁকুনি টের পাওয়া যাচ্ছে। গাছপালা, ফুলফল, নদীনালা, বাড়ীঘর ঈশ্বর কিচ্ছু নেই, কিচ্ছু নেই। সব এই ঘন অন্ধকারে অদৃশ্য। কতকটা সেই ‘জগত সত্য, তুমি নাই আমি নাই’ ব্যাপার। শুধু রিকশাটা কোথাও একটা টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

    —‘নীলু?’
    —‘উঁ’
    —‘লোকটাই রিকশাটা টানছে তো!’
    —‘মানে?’
    —‘মানে আদৌ লোকটাই রিকশাটা টানছে তো।’
    —‘হাসাস না তো।’
    —‘ধর যদি সত্যি হয়। মানে—’
    —‘তোর এত ভূতের ভয়?’
    —‘কেন, তোর নেই!’
    —‘নাহ্, আসলে আমি এতবার দেখেছি যে—’
    —‘ঢপ দিস না।’
    —‘মাইরি বলছি। রাতবিরেতে কত দেখেছি। ফিষ্টি সেরে হয়তো পাশের গ্রাম থেকে ফিরছি, বুঝলি। আলপথ ধরে, জনা তিনচারজন মিলে, খেউড় করতে করতে। এমন সময় হয়তো পথের ধারে দেখলুম। ধোঁয়া ধোঁয়া মতন।’
    —‘কী দেখলি?’
    —‘অনেকে অনেক রকম দেখে। আমি অবশ্য প্রতিবারই ত্রিপর্ণাকে দেখতুম!’
    —‘হা হা হা, শালা, জ্যান্ত মেয়েটাকে শাঁকচুন্নি বানিয়ে ফেললি।’
    —‘হু হু, কী করব বল, আমি ভূত দেখতে গিয়েও মাইরি ওকে দেখি।’
    —‘এই না না, সিরিয়াস, একবার কথা বলেই দেখ না... ’
    —‘কী করবি, যদি খোনা গলায় কথা বলে?’

    ঘাটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশা করা হয়েছিল। মাইতিপাড়া যেতে হবে। তা, কোন মাইতিপাড়া গো? এখানে তো অনেক মাইতিপাড়া। পূবে, পশ্চিমে, উত্তরে, দক্ষিণে।
    —‘মানস মাইতির বাড়ী যাব।’
    কোন মানস মাইতি গো। এখানে তো অনেক মানস মাইতি, পূবে পশ্চিমে উত্তরে দক্ষিণে।
    —‘মানস মাইতি। কলেজে পড়ে। বাপের সোনার দোকান।’
    সেও এখানে অনেক আছে বৈকী। পূবে পশ্চিমে উত্তরে—
    —‘সোনার দোকান আছে, ভোগপুরে, তাছাড়া পার্টি করে। সেক্রে...’।
    অ, বুঝেছি। অই উইদিকে যাও। রিকশা পাবে, বলবে বকুলতলা যাব। অইটার কাছেই পশ্চিমের মাইতিপাড়া। ওকানে নেমে দেখবে রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকান আছে। ওকানে—
    —‘ঠিক আছে, ঠিক আছে, এতটুকুতেই হবে। চল নীলু।’

    আজ টেলিকম ধর্মঘট। মেচেদায় একটাও টেলিফোন বূথ খোলা ছিল না। শেষ বিকেলে রওনা দিয়ে ভুলই হল বোধহয়। তাছাড়া গ্রামে ঘরে আটটা মানে গভীর রাত। চাঁদের আলো-ফালো কিস্যু নেই। মানসের বাড়ীতে সবাই জেগে আছে কি? নীলুটা এমন চুপচাপ কেন? ও কি ভূত? সোমবার থেকে কলেজ বন্ধ। ধুস মৌমিতার সাথে যদি একবার দেখা হতো আজ! মৌমিতা। কেমন ম্যাদামারা নাম। তবে ঘোড়া বেশ তেজী।

    —‘নীলু’
    —‘বল।’
    —‘রিকশাটা কেমন ঝাঁকুনি দিচ্ছে রে। তোদের এখানে রাস্তাঘাট এরকমই নাকি?’
    —‘চুপ কর। তোদের জিটি রোডের অবস্থা আমি দেখেছি। রাখ তো।’
    —‘তা বলে এমন উথাল পাথাল নয়।’
    —‘হুঃ’
    —‘এই’
    —‘কি হল?’
    —‘লোকটা কি বলছে? গান গাইছে নাকি?’
    —‘হ্যাঁ, বাংলা বইয়ের গান।’
    —‘খোনা গলায়? ভালো করে শোন না।’
    —‘আহ্ চুপ কর। মানস যদি বাড়ী না থাকে, তাহলে কি হবে ভাব।’
    —‘কী আবার হবে। সোজা ফেরত আসব।’
    —‘বাল! ফেরার বাস-ফাস কিচ্ছু পাওয়া যাবে না।’
    —‘সেকী!’
    —‘তাই তো ভাবছি।’
    —‘জানিস না ও বাড়ীতে আছে কীনা?’
    —‘বুধবারও তো কলেজে এসেছিল। তারপর বাড়ী চলে গেছে। বাড়ী থেকে কোথাও গেছে কী না, কী করে বুঝব।’
    —‘সেরকম হলে ওর বাড়ীতে থেকে যাব। কাল সকালে ফিরব।’
    —‘দূর! ওর বাপটা হেবি ঢ্যামনা।’

    দূরে মৃদু আলো। রিকশাটা ওই আলোকে কম্পাসের মতো ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। মৌমিতা আজ সেকেন্ড হাফে আসেনি, মৃদুল খবর দিয়েছিল। এইটাই কি চায়ের দোকান? দোকানিটা একটা মাঙ্কি ক্যাপ পড়েছে। অল্প আলো কেমন চলকাচ্ছে মুখের ওপর। একটা ক্যামেরা থাকলে ভালো হতো।

    —‘এই, পাঁচটা টাকা দে।’
    —‘বলিসকী, এতটা রাস্তা এল, মাত্র পাঁচটাকা! এত কম।’
    —‘একী তোদের হাওড়া পেয়েছিস? যে লোকে হাই তুলে পয়সা চায়।’
    —‘আচ্ছা, খুব জানিস দেখছি। এই নে, ওকে দশটাকা দে।’
    —‘লাগবে না, বরং ওকে চা খাইয়ে দে।’
    —‘ভালো বলেছিস। চ, আমরাও খাই।’

    রিকশাওলাটা রাজি হল। চায়ের দোকানে একটা ছোট বেঞ্চি রয়েছে। একটা টুল। একটা বুড়ো আর একটা মেয়ে। মাটির উনুনে কয়লা। নাকি ঘুঁটে, কে জানে? ঐ গ্লাসটা কি ও ধোয় ভালো করে? খুরি নেই? টিভির অ্যাডের মতো, মাইক্রোস্কোপের-র তলায় ধরলে হয়তো দেখা যাবে কয়েক লক্ষ জীবাণু। আচ্ছা জীবাণু না বীজাণু। কোনটা ঠিক? শালারা বাংলা উচ্চারণও পারে না। চা-টা অবশ্য খারাপ না।

    —‘নীলু’
    —‘বল’
    —‘মেয়েটাকে দেখলি?’
    —‘তো!’
    —‘না মানে, মালপত্র খাসা’
    —‘ধুর ধুর, তোর টেস্ট নিচু হচ্ছে। এখনো সময় আছে, যা মৌমিতাকে গিয়ে বলে দে। না হলে সারাজীবন বাথরুমে কাটাবি।’
    —‘হা হা হা হা, ভালো বলেছিস। বাথরুমটাই লাইফের সব বুঝলি।’
    —‘চুপ কর তো। যত আলবাল মাগী দেখে তোর সেক্স চড়ে যাচ্ছে। যত্তসব—’
    —‘তোর নিজের কী শালা। তুই কটা গন্ডার মেরেছিস।’
    —‘সে অনেক ব্যাপার। ক্রিটিক্যাল কেস। একবার তো প্রায়—’
    —‘হা হা হা সেই যে, যে মেয়েটা কন্সটেবল ছিল। হা হা হা—’
    —‘নে নে ওঠ তো। তাড়াতাড়ি পৌঁছতে হবে। লোকটাকে একবার জিজ্ঞাসা করি দাঁড়া—’

    মেয়েটা গরম দুধ ঢালছে, বড় সসপ্যানে। একমাত্র উষ্ণতা ভরা স্থান। চায়ের দোকানের বুড়োটা রাস্তাটা বাতলে দিল। নীলু অবশ্য ঠিকই বলেছে, এবার মৌমিতাকে একদিন ডেকে বলে দিলেই ল্যাঠা—

    —‘চল্’
    —‘জেনে নিয়েছিস?’
    —‘হ্যাঁ, আরে, আগে যখন এসেছিলাম তখন খেয়াল করে মনে রাখিনি। এখন আস্তে আস্তে মনে পড়ছে।’
    —‘উ ম ম ম। তোকে চুম্মা।’
    —‘শোন, ওই লোকটা একটা টেমি দিতে চাইছে।’
    —‘কেন, কী হবে? টর্চলাইট? ধুরশ্লা, ওসব লাগবে না।’
    —‘খুব জানিস তুই।’
    —‘আরে চিনি দেওয়া চা খেলাম না! চিনি খেলে রড কোষের ক্ষমতা বাড়ে। অন্ধকারেও দেখতে পাব।’
    —‘তোকে কে বলল?’
    —‘রাদুগা প্রকাশনী, নাম ছিল তার ইভান, লেখকের নাম... কি সাম মলোটোভ !’
    —‘দুর বাল!’

    সামনে শুঁড়িপথ মতোন। জোনাকি উড়ছে। ঝিঁঝিঁ ডাকছে। বাঁশঝাড় বোধ হয়। পাশে পাশে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে কত গাছ। এরা খামার গড়েছে। হা হা হা। সব একসাথে থাকে। যৌথ খামার।
    ইস্, মৌমিতার সাথে দেখা হলে ওকে খাওয়াতে নিয়ে যেতাম। টাউনশিপের বাইরের রাস্তাটা ধরে সোজা ড্রাইভ ইন। আচ্ছা, মৌমিতাও কি ভূতে ভয় পায়? নীলু অমন দাঁড়িয়ে গেল কেন?

    —‘কী রে, কি হল?’
    —‘আলোটা নিলেই ভালো হত রে।’
    —‘কেন?’
    —‘সামনে কিছু একটা আছে, খাল বোধহয়। এত অন্ধকার যে—’
    —‘লাভলি, ব্রিজ আছে তো।’
    —‘হুঃ, ব্রিজ না হাতি! একটা সাঁকোমতন আছে মনে হচ্ছে। আমার পেছন পেছন আয়।’
    —‘সাঁকো! বাঁশের! সেই যে পাইওনিয়ারের আঁকার খাতার পেছনে যেমন ছবি দেওয়া থাকে?’
    —‘ওই সব করলেই তো পারতিস।’
    —‘আরে গেছিলাম তো। অ্যাকাডেমী অফ ফাইন আর্টস। তিরিশ টাকা দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করলাম। তারপর দেখলাম, ফাইন ভাবে টাকাটা মেরে দিল।’
    —‘যাঃ শালা, কিরকম?’
    —‘আরে যেদিন পরীক্ষা হওয়ার কথা সেদিন গিয়ে শুনি অলরেডী আগে কবে পরীক্ষা হয়ে গেছে।’
    —‘হু হু হু, কি কুত্তার লাক মাইরি। হুজ্জুতি করলি না?’
    —‘দ্‌ধুর’

    বাঁশের সাঁকো সামান্য দুলতে থাকল। নীচে ঘন অন্ধকার। জল আছে না কী আছে বোঝা যাচ্ছে না। জলের কেন রঙ নেই? আমরা চাঁদের পাহাড়ের ঠিক কোন স্টেজে আছি?

    —‘এই’
    —‘বল।’
    —‘হ্যান্স আন্ডারসনের রূপকথা পড়েছিস? ’
    —‘আমি ছোটোথেকেই বিড়ি টানি তো হান্স আন্ডারসন। সাবধানে পা ফেল। এখানে বাঁশটা ভাঙা, চিড় খেয়েছে।’
    —‘তুই সাঁতার জানিস?’
    —‘হ্যাঁ,... তুই?’
    —‘আমি স্বামীজী সংঘে সাঁতার শিখতুম। জলে পেচ্ছাপ করার পর থেকে আর নামতে দিত না।’
    —‘হা হা হা কি চুতিয়া মাইরি।’

    অন্ধকারের মধ্যে ঘরবাড়ি গুলো সরে সরে আমাদের পথ করে দিতে লাগলো। কোথাও ফাঁকফোঁকর থেকে অল্প আলো বেরিয়ে আসছে। লাভলি। ইভেন্ট হরাইজন। হকিং। চেয়ারে বসে বসে কতকিছু করে দিল। আরে ধুর, আমিও পারতাম। আইডিয়া আছে, ইউনিফায়েড থিয়ো... এগুলো কী? আরিশ্লা... ধানের গোলা, মরাই বলে বোধহয়। গোয়ালে কী বুনো গন্ধ মাইরি। উঁঃ, শাআআলা... এই রাস্তাটা কি আগে থেকেই ছিল নাকি আমরা আসব বলে তৈরী হল। চাঁদের আলো নেই কেন? এই গাছগুলো বোধহয় সেই জুরাসিক যুগের। ইস্ ওই চালাটার পাশ থেকে যদি হাম হাম করে কোনো টির‍্যানোসোরা—

    —‘মনে হচ্ছে চলে এসেছি। ঐ যে, বেড়াটার পাশের একতলা বাড়ীটা।’
    —‘কোনটা বলত?’
    —‘কেন তোর রড কোষ কাজ করছে না।’
    —‘...’
    —‘ওই যে, ঐটা’
    —‘ও,...তুই শিওর?’
    —‘হ্যাঁ।’
    —‘যাঃ, অ্যাডভেঞ্চার শেষ!’
    —‘...’

    ইঁটের একতলা বাড়ী। সামনে বাগানের ভেতর তুলসীমঞ্চ। কঞ্চির বেড়া দেওয়া গেট। ভেতরে টিমটিম করে কোনো আলো জ্বলছে। নীলু কড়াটা এত জোরে নাড়ল কেন? আশেপাশের লোকে কী ভাববে?
    চলাফেরার কোন আওয়াজও তো নেই। আচ্ছা, বেশ এটা বারান্দা মতোন। লোহার গ্রিল দেওয়া। বাড়ীতে কেউ নেই নাকি? না না ওইতো। কী একটা যেন। হাতে হ্যারিকেন নিয়ে বোধহয়। এটা কে, মানসের মা? কী আদ্যিকালের মুখ রে বাবা!

    —‘মানস আছে?’
    —‘...’
    —‘আমরা ওর কলেজের বন্ধু। আমার নাম নীলাদ্রি, এর নাম সমরেশ।’
    —‘...’
    —‘কলেজে গোলমাল হয়েছে। ডিরেক্টর বলেছে কাল সকাল সাতটার মধ্যে হোস্টেল খালি করে দিতে হবে। আমরা সেজন্য ওকে বলতে এলাম।’
    —‘...’
    —‘মানস নেই?’
    —‘...’

    আলোটা ফিরে গেল। মহিলা কী বোবা? নাকি ইনিশিয়ালাইজেশন এরর। ভূতও হতে পারে। একটু পরে হাঁ করে এসে খাবে। সঙ্গীসাথী ডাকতে গেছে হয়তো। তুলসীমঞ্চের সাইডে ওই খোপের ভেতর কী? হাঁস নাকি? যাঃ শালা। মানসদের বাড়ীটা তো বেশ। এরকম একটা বাড়ী পেলে মনের সুখে ডিপিসির হার্ডার প্রবলেম গুলো নামিয়ে দিতাম। আলোটা ফিরে আসছে।

    —‘মানস তো নেই।’
    —‘নেই!’
    —‘ও সীতাপুর গেছে।’
    —‘ফিরবে না আজ?’
    —‘জানি না।’
    —‘...’
    —‘...’
    —‘সীতাপুর কী অনেক দূর এখান থেকে?’
    —‘না। পাশের গ্রাম। মাঠ পেরিয়ে।’
    —‘একটু রাস্তাটা বলে দিন না। সীতাপুরে কার বাড়ী গেছে?’
    —‘শক্তি সংঘ কেলাবে গেছে।’

    চাবির আওয়াজ হচ্ছে। তালা খোলার আওয়াজ। হ্যারিকেন সমেত হ্যারিকেনের মালকিন এবার খাঁচার বাইরে। হাঁসগুলো দিব্যি ঘুমোচ্ছে তো! খালি পায়ে হাঁটছে কেন? চটি নেই। এরও বোধহয় শীত পায় না। নীলুর প্ল্যানটা কী? সীতাপুর গিয়ে মানসকে ধরে আনবে? আচ্ছা একে বললে হয় না বাড়ীতে একটু থাকতে দেওয়ার জন্য?

    —‘এই নীলু’
    —‘বল’
    —‘কোথায় নিয়ে যাচ্ছে রে।’
    —‘রাস্তাটা দেখিয়ে দেবে।’
    —‘সীতাপুর যাবো নাকি?’
    —‘হ্যাঁ’
    —‘হেঁটে হেঁটে? এই রাতে?’
    —‘তবে আর কী করব! মানসের সাথে দেখা না হলে—’
    —‘তার চেয়ে ফেরত যাই চ। বলা যায় না, বাস পেলেও পেতে পারি। না হলে ট্যাক্সি করে নেবো।’
    —‘থাম তো।’

    কাঁচারাস্তা ধরে, ঝোপঝাড় আদাড় বাদাড় পেরিয়ে হ্যারিকেন স্থির হল। সামনে বিস্তীর্ণ মাঠ। আকাশী আলোয় একটা পায়ে চলা রাস্তা আছে বোঝা যাচ্ছে। এরকম একটা মাঠ কেন এখানে? গ্রাম গুলো অ্যাত দূরে দূরে! এই কি সেই নক্সীকাঁথার মাঠ? সুলতার কাছে বাংলার নোট্স গুলো রয়ে গেছে।

    —‘উইদিকে’
    —‘ও আচ্ছা।’
    —‘মানসের সাথে দেখা হলে বলবা ফিরতে, তোমরা খেয়ে যেও।’
    —‘আচ্ছা কাকিমা।’
    —‘...’
    —‘...’
    —‘আলো নে বা?’
    —‘আলো, না থাক, আমরা চলে যাবখন।’
    —‘...’

    আলোটা নিলি না কেন হতভাগা? সাপখোপ যদি— না না, শীতকাল তো। চান্স নেই। তবু গর্ত-ফর্ত থাকতে পারে তো। পড়ে গিয়ে গোড়ালি মচকালে কে দেখবে? তোর বাবা? তাছাড়া এতো পুরো টম সয়ার কেস মনে হচ্ছে, স্রেফ বেড়াল নেই এই যা। হানাবাড়িও দরকার। জায়গাটা বিদেশ হলে হেবি হত।

    —‘নীলু’
    —‘উঁ’
    —‘হ্যারিকেনটা নিলি না কেন?’
    —‘হুঁ হুঁ, বল দেখি।’
    —‘কেন?’
    —‘ওটা নিলে তো আবার ফেরত দিতে আসতে হত।’
    —‘সেকী মানসকে নিয়ে ফিরব না? ওর মা যে বলল খেতে আসতে।’
    —‘ধুর বাল! মানস শিওর মাল খেতে গেছে। ও কি আর ফেরার মতো অবস্থায় থাকবে? তাছাড়া তোর ভূত দেখার এত শখ।’
    —‘এই, খামোখা এই সব করবি না। হার্টফেল করলে স্রেফ কেস খেয়ে যাবি কিন্তু।’
    —‘হা হা হা, তুই মাইরি শালা একটা গান্ডু—, সাধে তোকে সিনিয়াররা এত চাটে।’

    বুনো ঝোপঝাড় চারিদিকে। কোথায় একটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে! দূরে ওগুলো কি, তালগাছ? আকাশে চাঁদ দেখা দিচ্ছে মনে হয়। এতক্ষণ কোথায় ছিলে হারামজাদা। এই তো, জোৎস্না ফুটেছে। সাইডে ওইটা বোধহয় ট্রেনলাইন। এই মাঠটায় কেউ চাষ আবাদি করে না কেন? আরে সাব্বাস, ঝোপ গুলোতে হেবি দেখতে ফুল ফুটেছে। পেছনে কেউ নেই তো আবার? বলা যায় না, পেছন থেকে ঘাড়ের ওপর—

    —‘নীলু’
    —‘বল।’
    —‘এই মাঠটার নাম কি রে?’
    —‘জানি না, কিছু একটা হবে। কেন?’
    —‘কেমন গা ছমছমে, না রে।’
    —‘তোর তো বাথরুমেও গা ছমচম করে।’
    —‘না রে সিরিয়াসলি।’
    —‘আমি বুঝি না, শহরে থাকিস, তবু এত ভূতের ভয় কি করে পাস।’
    —‘আরে শহরেও ভূত আছে। উঁচু উঁচু বাড়ীগুলোর ছাদে বসে বসে পুরো ওয়াচ করে যায়। স্লাইট বৃষ্টি সমেত।’
    —‘তাই নাকি? কী ভূত সেগুলো?’
    —‘সুপারম্যান। অনেকে ব্যাটম্যানও বলে।’
    —‘ধুস্, গ্রামে ঘরের ভূতের কাছে ওসব কিচ্ছু না।’
    —‘কীরম?’
    —‘জাঁতি ভূত, বুঝলি! প্রথমে একবার হেসে ওয়ার্নিং দেবে। সেটা শুনে পালাতে হবে, তারপর সেকেন্ড হাসির পরও যদি না পালিয়েছিস তো গেলি। এইরম শুক্রবার করেই বেরোয়।’
    —‘ফ্রাইডে নাইট...টেস্ট আছে বটে, তুই দেখেছিস কোনওদিন?’
    —‘হরেনকাকা দেখেছিল, আমার কাকা।’
    —‘ওয়ার্নিং এর আগে না পড়ে?’
    —‘মুন্ডুটা ধড় থেকে তো আলাদা পড়ে ছিল। তাই পরেই দেখেছিল নিশ্চয়ই।’

    সামনে কিছুটা জলা মতন। বিশ্রী পচা গন্ধ। আলেয়া দেখব না! মিথেন গ্যাস-ট্যাস কিছু নেই? চাঁদের আলো এবার একটু কম। মাঠটা প্রায় হাফ পেরিয়ে এসেছি। এখনো হাফ বাকি। ঘাম হচ্ছে। বডি স্প্রে টা নিয়ে বাঁদরগুলো কাল রুমে ছড়িয়েছে বসে বসে। উডল্যান্ডের জুতোটা, এঃ, সোলটা পায়ের ঘামে ভিজে—মোজার ভেতর গরমমশলা রাখলে হতো। সামনে পাতলা সরের মতো কুয়াশা। মাঠ জুড়ে। ইস্ খাতা পেন থাকলে রে—
    —‘নীলাদ্রি শেখর দাস’
    —‘কি?’
    —‘কেমন কুয়াশা হয়েছে দেখেছিস?’
    —‘তুই দ্যাখ! আমি এসব অনেক দেখেছি।’
    —‘আরে পুরো রিটার্ন টু ক্যাসল উলফেনস্টেইনের মতো।’
    —‘তোর লাস্ট মিশনটা হলো?’
    —‘ধুর্ মাত্র তেইশ হেলথ। ওটা প্রথম থেকে খেলতে হবে।’
    —‘আমি কাল রেজোদাকে হারালাম। মাল শুরুতে ভালো চাল দিচ্ছিল।’
    —‘তারপর?’
    —‘বোড়ে দিয়ে গজ খাওয়ার লোভ সামলাতে পারল না, আমিও লুটে দিলাম সেই ফাঁকে।’
    —‘মুরগী মাল, ওর থেকে প্রসুনদা ভালো খেলে।’
    —‘যাঃ যাঃ, আর বলিস না, সেদিন রেজোর সাথে যা খেল দেখালি—’
    —‘আরে কুইন্স গ্যাম্বিট ওপেন করেছিলাম। তারপর—’
    —‘খালি বড় বড় বাতল।’
    —‘হি হি হি, আরে ঐ বইটার পরের পাতাগুলো তো আর পড়ে দেখিনি।’

    মাঠটা পেরিয়ে এলাম আমরা। নাকি মাঠটাই পেরিয়ে গেল আমাদের। সামনে আবছায়া মতন ঘরবাড়ী। রাস্তায় এবার টুকরো-টাকরা চাঁদের আলো। গাছের ফাঁক দিয়ে পড়েছে। ওফঃ ফুলেশ্বরে যা দেখেছিলাম! ওইদিক থেকে ছায়াটা আসছে, গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে আলোটা কেমন হাতের নখের মতো। ডায়মন্ড রিংস। নীলু দেখেছিল? ধুর, মাল টুম্পা পাবলিক, সূর্যগ্রহণের মাহাত্ম্য কি করে বুঝবে? ছবি তুলে ডেভেলাপ করার —

    —‘সমরেশ!’
    —‘কী রে।’
    —‘ওই দিকে ওই যে আলো জ্বলছে, ওখানে জিজ্ঞেস করি চ।’
    —‘চ’
    —‘এইটাই বোধহয়।’
    —‘হ্যাঁ ওই তো। সাইনবোর্ডটা দেখ না!’
    —‘কোথায়, তুই দেখতে পেলি কী করে?’
    —‘রড কোষ নিয়ে হ্যাটা মারছিল যে বড়!’
    —‘হুঃ, তবে মালটার জোশ দেখেছিস। ওঃ মদ খাবার কী শখ।’
    —‘তা বটে, ওকে আমার প্রথম দিনই অদ্ভুত লেগেছিল মাইরি। সিনিয়াররা ওর মাথায় থান ইঁট রেখে—’

    এটাই শক্তিসংঘ ক্লাব। এই সেই জনস্থান মধ্যবর্তী প্রস্রবণ গিরি। দশ বারোটা ছেলে পিলে একজায়গায় গোল হয়ে বসে—কি রাঁধছে এটা? উরিশ্লা, খিচুড়ী! আরে, গলার মাফলার গুলো সব একই রকমের। কাঠকুটো জ্বেলেছে মাঝখানে। বেশ আছে সব। নীলুটা লাকি। এরম শীতের রাতে ফিস্টের জন্য কতবার ওদের চাগিয়েছি। শালারা ছাদই খুঁজে পায় না তো ফিস্ট। এত ঘাম দিচ্ছে, এতটা হাঁটা—

    — ‘মানস আছে?’
    — ‘...’
    — ‘বলছি, মানস মাইতি আছে?’
    — ‘চলে গ্যাছে’
    — ‘অ্যাঁ, কোথায় গ্যাছে? বাড়ি?’
    — ‘হ্যাঁ, এই একটু আগে গেছে। তোমরা কে?’

    নে, বোঝ এবার। চ চ, অনেক খেল দেখিয়েছিস। প্রচুর জ্যোৎস্না। প্রচুর টিরেক্স। ফেরার পথে তাড়া করবে, প্রচুর দৌড়োবো। লোহার জাল, কারেন্ট নেই। অন্ধকারে গাড়ির ভেতর বাচ্চা দুটো। হেব্বি বৃষ্টি—
    — ‘চ, চ, চ, পা চালা। মালকে বাড়ীতে গিয়ে ধরতে হবে।’
    — ‘কোন রাস্তা দিয়ে গেল! এইদিক দিয়েই তো ফিরবে না কি!’
    — ‘কে জানে শালা। সেই যদি বাড়ীতে ফিরবি তো, বাড়িতে বলে গেলেই তো হোত বাঁড়া। খামোখা অ্যাদ্দুর...’
    — ‘আরে অ্যাডভেঞ্চার...’
    — ‘রাখ তো...’
    — ‘তোরও টানার শখ হয়েছিল, হা হা হা...তুই ভাবছিলি...’
    — ‘হু হু, ওঃ, ওকে পেলেই ক্যালাবো। চ, এই সাইডের রাস্তাটাই তো নিতে হবে।’

    ফের মাঠ। ফের সরু একফালি পথ। আগাছা ঝোপ। শেয়াল নাকি! ডাক শুনিনি কোনোদিন। এক্কাগাড়ি নেই। ছমছমে ব্যাপার ছিল ওটা। সাদা পাতায় স্রেফ গাড়িটার ছবি। ওঃ, যথেষ্ট ছিল। জিনিয়াস। সাদা পাতায় একটা কালো গাড়ির ছবি এঁকে পুরো গা ছমছম ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিচ্ছে...ক্ষমতাটা পেতে হবে, কার্ভগুলো এখনো ঠিক টানা হচ্ছে না। আরে, ভিস্যুয়ালাইজেশনে প্রবলেম। কোনো জিনিসটা মন দিয়ে অবজার্ভ করি না। ঐ যে, টিরেক্সটা হাঁটছে, পায়ের স্টেপের সাথে হাল্কা ধুলোবালি উড়ছে, কী গ্রাফিক্স। এইটা কোয়েক থ্রি তেও ছিলো। হেক্সাগন গুলো বড় হচ্ছে, দিয়ে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে। এটা উপস্‌। একটা হেক্সাগন ফাংশন আছে, সেটাকে কল করছে বারবার। তবু শালা ডেটা স্ট্রাকচারে চৌষট্টী পাই কি করে!

    — ‘এই, মানস মিড সেমে কত পেয়েছিল রে!’
    — ‘কিসে! কম্যুনিকেশনে?’
    — ‘না, ডেটা স্ট্রাকচার।’
    — ‘তেত্রিশ!’
    — ‘পাশে কে বসেছিল! শ্রীময়ী?’
    — ‘কোথায় শ্রীময়ী! ডানদিকে তো নুলো বসেছিল। হাতে টোকাছিল সঅঅব। আর বাঁদিকে তো আমি ছিলাম। একেসি গার্ড দিচ্ছিল।’
    — ‘ঐ মালটা! ওফ...’
    — ‘হুঁউউউ! তুমি শালা ফিসফিস করে কথা বলতে পারো না, একেসিকে দোষ দিলেই হবে!’

    দরজাটার পাশেই ওত পেতে ছিল। দেখতে পাইনি। ঢ্যাঙা কানে কম শোনে। স্রেফ একটা লুজ শিট, আরে আমাকে দিয়ে দিবি তো। চোদ্দবার এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। নে শালা বোঝ!

    — ‘সমরেশ! ঐ যে!’
    — ‘হ্যাঁ, দেখেছি।’
    — ‘...’
    — ‘...’
    — ‘...’
    — ‘...’
    — ‘বডি দুটো আর কেউ তুলবে না, বল!’
    — ‘তুলবে! কেউ জানলে তো! এত রাতে কে আসবে। শক্তি সংঘের পাবলিক ফেরার সময় হয়ত দেখবে...’
    — ‘ধোর! অ্যাদ্দিন ধরেও কেউ দেখছে না! এভাবেই পড়ে থাকবে।’
    — ‘আমাদের কি! আমরা আবার মেচেদা থেকেই শুরু করব।’
    — ‘এইবার সীতাপুর আগে আসবি?’
    — ‘না, রুট তো বাঁধা। একই রাস্তায় আসব। আসব, যাব। যাব, আসব।’
    — ‘একদম টের পাসনি বল।’
    — ‘কি করে পাব?’
    — ‘সত্যি করে বল...’
    — ‘সত্যি করেই বলছি। টের পাওয়া যায় না। টের পেতে নেই।’
    — ‘কষ্ট হয় তোর!’
    — ‘কেন? কিছুই তো বদলায়নি। তবে একঘেয়েমি বড্ড...’

    ফুল হাতা সোয়েটারে জলকাদা মাখামাখি। পাশের হাফহাতাটারও একই অবস্থা। এখনো প্যান্টের পকেট চাপড়ালে সিগারেটের প্যাকেটটা পাওয়া যাবে হয়তো। পচে গ্যাছে অনেকটা। শুরুটা অবশ্য কিছুতেই মনে করা যায় না। তবে বাকি পথ একদম আলাদা। বড্ড হালকা লাগে। রিক্সার রাইডটাই বেটার হয় সবসময়।

    — ‘জানিস সমরেশ, আমার খালি মনে আছে, গ্যাঁজলা মতন কি একটা বেরোলো যেন।’
    — ‘আমি সাদা দেখেছিলাম, এটুকুই। আরো হাঁটবি!’
    — ‘আমি তোর চীৎকারও শুনেছিলাম। হু হু হু, কি বোদার মতন...’
    — ‘ও ও ও, খুব তেজ তোর।’
    — ‘তেজই তো। তোর মতো ন্যাকা নয়। ফের যদি বাসস্ট্যান্ড থেকে ন্যাকামো শুরু করবি!’
    — ‘ভালো লাগে। একঘেয়েমিটা কাটে। নিশ্চয়ই খুব গন্দ বেরোচ্চে বল।’
    — ‘কাটা ওসব। চ অনেকটা পথ বাকি।’

    অনেকটা পথ। রিয়েলি। খুব ডিস্ট্যান্ট। বৃষ্টি দরকার। ট্রেঞ্চ মতন থাকবে। হুলিয়ে জার্মান বলব। ডেনিপার রিভার। ওপারে রাশ্যান রা খালি হাতে বসে আছে। একটা লম্বা ঝুল কোট থাকবে। টাইগার ট্যাঙ্ক চালাবো সোজা। পঁচাত্তর মিলিমিটারের ব্যারেল। সোজা ঢুকবে একেবারে। প্রোজেক্টাইল মোশন। একসেকেন্ডে হ্যাঁ থেকে না হয়ে যাচ্ছে। ওরা টের পেয়েছিল?

    আমার এস এন দের সেকেন্ড পার্টটা কার কাছে? সুদীপ্ত নিয়েছিল একবার। মাদ্রাস যাওয়ার আগে তো নিল...না না, ওর বাবা যখন হসপিটালে, তখন দিয়ে দিয়েছিল তো। তারপর কে নিল! সুলতা? না, না ও নয়, মনে পড়েছে। সৌম্য নিয়েছিল। হালদারপাড়া বাসস্ট্যান্ডেই তো দিলাম। বাসস্ট্যান্ড বাসস্ট্যান্ড...অনেক অনেক বাসস্ট্যান্ড।

    —‘হ্যাঁ শুনুন, মানস মাইতির বাড়ী যাব।’
    কোন মানস মাইতি গো। এখানে তো অনেক মানস মাইতি, পূবে পশ্চিমে উত্তরে দক্ষিণে।
    —‘মানস মাইতি। কলেজে পড়ে। বাপের সোনার দোকান।’
    সেও এখানে অনেক আছে বৈকী। পূবে পশ্চিমে উত্তরে দক্ষিণে—
    — ‘আপনি বুঝছেন না। সোনার দোকান আছে, ভোগপুরে, তাছাড়া পার্টি করে। সেক্রে...’

    অনেক অনেক মানস মাইতি খুঁজতে হবে। মাত্র একটা ফুলহাতা সোয়েটার। মাত্র একটা হাফহাতা। মাত্র বিড়ির প্যাকেট। পুবে পশ্চিমে উত্তরে দক্ষিণে...
  • তাপস | 122.79.38.179 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০২:০৭647128
  • অনবদ্য ।
  • san | 113.245.14.209 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০২:০৯647132
  • উরিঃ !
  • Arpan | 125.118.76.215 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০২:২৫647133
  • নাজুক, নাজুক। সেই ড্যাঞ্চিনামা মনে পড়ে গেল।
  • a x | 138.249.1.198 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০২:৪৫647134
  • দুর্দান্ত!
  • kc | 198.71.210.70 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০২:৫৯647135
  • বাহ!!
  • i | 134.168.34.139 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩৩647136
  • অত্যন্ত মেধাবী নির্মাণ।খুব ভালো লাগলো।
  • nina | 78.37.233.36 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০৫:২১647137
  • আরে বাহ !! জয় গুরু--
  • byaang | 52.104.60.148 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০৭:১৩647138
  • উফ্ফ্ফ । দুর্দান্ত হয়েছে। ফাটাফাটি।
  • sosen | 125.241.104.108 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০৮:৫৩647118
  • দারুণ!!!
  • সায়ন | 59.200.243.147 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০৯:০৮647119
  • দারুণ লাগল।
  • | ১৯ জুলাই ২০১৪ ১০:৪২647120
  • উহ! দুর্ধর্ষ! অসাধারণ!!
    কবেত্থেকে এই ছেলেটাকে লিখতে বলছি .... অ্যাদ্দিনে নামাল।
  • dd | 125.241.125.31 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ১১:১০647121
  • T বাবুর জিরোর গল্পো পড়ে খুব ভাল্লাগলো। একে তো বেশ ঘিলু কাঁপানো ল্যাখা। পড়ে শান্তো থাকা যায় না।

    তায় , এখন গুরুর পাতায় সাহিত্য ফাহিত্য তো একচেটিয়া মে মানুষদের হাতে। সর্বশ্রী কুমু টইবোন ঈশাণী সোসেন সিংগুল ডি সে ..... একে বারে মোনোপলি। তাও ভালো থ্রেট করা স্বত্ত্বেও স্যার তেকোনা এখনো ফীল্ডে নামেন্নি আর,এতজ রিটায়ার করেছেন। পুরুষ মানুষেরা মুখটা স্মল করে কিছু পদ্য টদ্য লেখে আর রেসিপি দ্যায়। ব্যাস।
  • dd | 125.241.54.57 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ১২:৪০647122
  • না লিখলেও কোনো ক্ষেতি ছিলো না। কিন্তু আমার পি পাকামীর প্রতি একটু দুর্বলতা আছে,

    "টাইগার ট্যাঙ্ক চালাবো সোজা। পঁচাত্তর মিলিমিটারের ব্যারেল।"। না স্যার। টাইগার ট্যাংকের প্রথম দিন থেকেই ৮৮ মিমি ব্যারেল।
  • Abhyu | 141.220.2.65 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ১৪:১০647123
  • বাহ
  • T | 24.139.128.15 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ১৫:০০647124
  • সব্বাইকে থ্যাঙ্কু। আর ডিডিদা, সে তো 'নাম ছিল তার ইভান' এর লেখকের নামও মলোটভ নয়। :)
  • I | 24.99.206.95 | ১৯ জুলাই ২০১৪ ২১:৩৬647125
  • দিব্য লেখা!
  • সিকি | ১৯ জুলাই ২০১৪ ২১:৩৮647126
  • পাগলা। নোংরা লেখা একদম।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২০ জুলাই ২০১৪ ১১:০২647127
  • অসাধারণ
  • শ্রী সদা | 212.142.113.94 | ২০ জুলাই ২০১৪ ১১:২৯647129
  • অসাধারণ অনবদ্য অমানুষিক ইত্যাদি ঃ)
  • ঐশিক | 24.97.191.105 | ২০ জুলাই ২০১৪ ১১:৪৯647130
  • জাদু বাস্তব !!!!!!!!
  • রোবু | 233.223.150.132 | ২০ জুলাই ২০১৪ ২০:১০647131
  • বিয়াপক!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন