এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মোটরবাইকে লাদাখ ভ্রমণের প্রস্তুতিঃ কিছু জ্ঞানগর্ভ উপদেশ :-)

    তথাগত
    অন্যান্য | ২০ জুলাই ২০১৪ | ৩০৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সায়ন | 170.83.97.84 | ২১ জুলাই ২০১৪ ১৭:০৪647069
  • বলে দিতে হবে না লিচ্চয় কার সেলফি :-D

  • Tathagato Rai Dastidar | ২১ জুলাই ২০১৪ ১৯:৩৮647070
  • @সায়ন — কার সেল্ফি সেটা একটু বলে দিলে ভাল হয় কিন্তু। নতুন লোক তো, তাই ওটা দেখে একটু ব্যোমকে গেলাম।

    জ্ঞানগর্ভ উপদেশের তৃতীয় কিস্তিটা আজ শেষ করার সদিচ্ছা ছিল, কিন্তু মনে হচ্ছে হবেনা। অতঃপর কাল।

    আর দমে যাওয়ার কোন কারণ নেই। গোড়াতেই তো বলে দিয়েছি, ভাল মন্দ সব কিছুর জন্য দায়ী সিকি। দমে গেলে ও যাক, আমি কেন? :-)
  • Blank | 180.153.65.102 | ২১ জুলাই ২০১৪ ১৯:৩৯647071
  • এই সব বাদ্দাও। এই কালীপুজোর সময় ফের মদমহেশ্বর যাবো। সপ্তা খানেক ছুটি নিয়ে কেউ যাবে তো চলো। ৩/৪ জন আরো আছে।
  • সায়ন | 233.238.117.218 | ২১ জুলাই ২০১৪ ২০:৪১647072
  • আরে: তথাগত না না আপনাকে কিছু বলিনি :)
    হাত খুলে লিখতে থাকুন আমরা পড়ছি।
  • সায়ন | 233.238.117.218 | ২১ জুলাই ২০১৪ ২০:৪৭647073
  • ব্ল্যাঙ্ক, আমার এবছর বেরোনো বলতে সেই ডিসেম্বর। গোটা তিন আইটিনারারি, শর্টলিস্ট করতে হবে।
  • Abhyu | 141.220.2.65 | ২১ জুলাই ২০১৪ ২২:০৬647074
  • হ্যাঃ হ্যাঃ হ্যাঃ @ 08:41 PM
  • Arpan | 125.118.171.3 | ২১ জুলাই ২০১৪ ২৩:৪৬647075
  • সিকিঃ ২০১৫ জুন হচ্ছে না। অল দ্য বেস্ট। ২০১৬/১৭-তে আরেকবার গেলে প্ল্যান করতে পারি।
  • Tathagato Rai Dastidar | ২২ জুলাই ২০১৪ ১৬:৩৩647076
  • তৃতীয় কিস্তি শুরু করি। একটা খুবই দরকারি জিনিসের কথা আগের পোস্টে লিখতে ভুলে গেছিলাম। কী করে ভুলেছিলাম কে জানে, কারণ এই জিনিসটির অভাব আমাদের পদে পদে পীড়া দিয়েছিল। সেটা হল একটা বড় সড় ওয়াটারপ্রুফ বুট, যেটা প্রায় হাঁটু অবধি উঠে থাকবে। রাইডিং বুটস কিনতে পারেন, কিন্তু একগাদা দাম। আমার ধারণা পাতি বাংলা গামবুটেই বেশ ভাল কাজ চলবে। তবে দেখে নেবেন যে ওটা পরে ব্রেক আর গিয়ার ঠিকঠাক ওঠানামা করাতে পারছেন কিনা। ওটার প্রয়োজন এই জন্যই, যে লাদাখের রাস্তায় অনেক জায়গায় নদী বা ঝর্ণা বয়ে যায়। সেগুলো পেরোনর সময় আছাড় খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। আমরা আছাড় খেয়ে দস্তুরমত জলকেলি করেছি, যেটার কথা ভাবলে এখনো আমার হাতপা ঠান্ডা হয়ে যায়। তাই বড় নদীগুলো পেরোনর সময় মাটিতে (মানে জলের মধ্যে) পা নামিয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগোনটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাতে অন্তত আছাড় খাবেননা। কিন্তু ওয়াটারপ্রুফ বুট না থাকলে জলে পা নামালে জুতো মোজা ভিজবে, আর তার ফলে যে অনুভুতিটা হবে সেটাকে মোটেই আরামদায়ক বলা যায়না। অতএব বুট। বুটের আরেকটা উপকারীতা আছে। ওটা আপনার উচ্চতাটাকে এক-দেড় ইঞ্চি বাড়িয়ে দেবে। আমার নিজের উচ্চতা পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি। বুলেটের সীটে বসে মাটিতে পা ভালভাবেই পৌঁছয়, কিন্তু খুব এবড়ো খেবড়ো রাস্তায় মাঝে মাঝে মাটিতে পা দিতে অসুবিধে হত। তার ফলে এক আধবার আছাড় খেয়েছি, বা খেতে খেতে বেঁচেছি। বুট থাকলে কিছুটা সুবিধে হত।

    এছাড়া অনেককে দেখেছি হাঁটুর ক্যাপ আর কনুইয়ের ক্যাপ পরতে। আমার মনে হয় এগুলোও অপ্রয়োজনীয়। আপনি খুব সম্ভবত একটা থার্মালের ওপর মোটা জিনস পরবেন। সেটা ভেদ করে হাঁটুতে চোট লাগতে হলে যে গতিতে বাইক চালানো প্রয়োজন, সেটা নেহাৎ পাগল না হলে লাদাখের রাস্তায় কেউ চালাবেনা।

    এবার বাইক চালানোর পদ্ধতি নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। লাদাখ যাওয়ার পথে মানালিতে আমাদের আলাপ হয়েছিল হিমাচল পর্যটন বিভাগের এক অফিসারের সঙ্গে। বেশ অমায়িক লোক, ভাব জমে গেছিল সহজেই। আমরা বাইকে যাব শুনে উনি আমাদের দুটো উপদেশ দিয়েছিলেন। হুবহু ওনারই ভাষাতে (উচ্চারণ সমেত) ও দুটো লিখে দিচ্ছিঃ
    ১। আপড়েঁ সাইড মেঁ রহড়াঁ।
    ২। গাড়ি ক্লাচ পে নহী, গিয়ার পে চালানা।
    ভদ্রলোক নির্ঘাৎ ছদ্মবেশী মুনিঋষি। এরকম অদ্ভুত কার্যকরী উপদেশ আর কখনো পেয়েছি বলে মনে পড়েনা।

    একটু ভাব সম্প্রসারণ করি। প্রথম উপদেশটার মানে হচ্ছে যে সবসময় রাস্তার বাঁ দিকে চালাবেন, ভুলেও ডানদিকে যাবেননা। লাদাখের রাস্তায় ধারের খাদগুলো কোন কোন জায়গায় এতটাই অতলস্পর্শী যে সেদিকে তাকালে মাথা ঘুরে যাবার সম্ভাবনা। খাদ যদি রাস্তার বাঁপাশে থাকে, আর সেদিকে যদি বারবার চোখ ফেলতে না চান, তাহলে একটা স্বাভাবিক প্রবণতা থাকবে রাস্তার ডানধারে চলে আসার। কিন্তু বাঁকের মুখে উল্টো দিক থেকে গাড়ি আসলেই বিপদ — নির্ঘাৎ ঠোকাঠুকি। কাজেই সচেতনভাবে সেই ডানদিকে চলে আসার প্রবণতাটাকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি, রাস্তা যতই ফাঁকা হোক না কেন।

    দ্বিতীয় উপদেশটির মানে হচ্ছে যে ক্লাচ যথাসম্ভব কম ব্যবহার করুন। ভারতীয় ড্রাইভার — চারচাকা এবং দুচাকা দুটোরই — অভ্যাস হচ্ছে একটু খারাপ রাস্তায় হাফ-ক্লাচ মেরে সেকেন্ড গিয়ারে চালানো। প্রথম দিন রোহতাং উঠবার সময় আমরাও সেরকমই করছিলাম। কিন্তু তাতে চারটে অসুবিধাঃ
    ১। রাস্তা ক্রমাগত খারাপই পাবেন। সব জায়গায় ক্লাচ টিপে চালাতে গেলে ক্লাচের বারোটা বাজবে।
    ২। বুলেটের ক্লাচটা বেশ শক্ত হয়। সর্বক্ষণ ওটা টিপে থাকতে গেলে একটু পরেই আঙুলে ব্যথা শুরু হয়ে যাবে। আমারও হয়েছিল।
    ৩। ক্লাচ টিপে সেকেন্ড গিয়ারে থাকলে মোক্ষম সময় দেখবেন যথেষ্ট টর্ক (torque) পাবেননা। এবড়ো খেবড়ো পাথর পেরোনর সময় টর্ক না পেলে উল্টে যাবার সম্ভাবনা।
    ৪। উংরাই রাস্তায় ক্লাচ টিপে থাকলে ব্রেকের ওপর চাপটা বেশি পড়ে। তাছাড়া হঠাৎ ব্রেক ছেড়ে গেলে গাড়ি বেমক্কা গড়িয়ে যেতে পারে।
    অতএব, রাস্তা যদি খারাপ থাকে আর গাড়ির গতি কম করতে হয়, তবে ক্লাচের কথা ভুলে গিয়ে সিধা ফার্স্ট গিয়ারে ফেলে দিন গাড়ি। গড়গড়িয়ে বেরিয়ে যাবে। শুধুমাত্র গিয়ার চেঞ্জ করা ছাড়া যে ক্লাচ দিয়ে অন্য কিছু করা যায়, সে কথাটা সফরের কয়েকটা দিন বেমালুম ভুলে যান। উপকার পাবেন।

    গাড়ির গতি যথাসম্ভব কম রাখুন। লাদাখের রাস্তায় সর্বত্র দেখবেন যে উপদেশবাণীসম্বলিত সাইনবোর্ডের ছড়াছড়ি। তাতে নানা ভাষায় নানা ভাবে আস্তে চলার উপকারীতা নিয়ে জ্ঞান বিতরণ করা হয়েছে। ওগুলোকে নিছক ফাঁকা উপদেশ বলে অবহেলা করবেননা যেন, ওগুলো অমোঘ নির্দেশ। আমরা অক্ষরে অক্ষরে সে নির্দেশ পালন করে চলেছিলাম, এবং সে নির্দেশ পালন না করলে কী হতে পারে তার ভূরি ভূরি নিদর্শন দেখেছি রাস্তায়। আমাদের মোটামুটি রুল অফ থাম্ব ছিল যে পাহাড়ি রাস্তায় স্পীড চল্লিশের ওপর তুলবনা। খারাপ হলে কুড়ি, বা বড়জোর তিরিশ। ভুলেও থার্ড গিয়ারের ওপর উঠবনা। তাছাড়া প্রতিটি বাঁকে গতি কমাবো, আর যে সামনে থাকবে সে প্যাঁ প্যাঁ করে হর্ণ বাজিয়ে আমাদের উপস্থিতি জানান দেবে। ফলস্বরূপ, আমরা লাদাখ থেকে ফিরেছিলাম সারা গায়ে একটি আঁচড়ও না লাগিয়ে।

    (সময়াভাবে আর কিছু লিখতে পারলামনা। আশা করি আজ রাত্রে বা কাল আরেক কিস্তি হয়ে যাবে)
  • Tathagato Rai Dastidar | ২২ জুলাই ২০১৪ ১৬:৩৭647077
  • আরেকটা কথা। নদীনালা পেরোবার সময় খেয়াল রাখবেন যে কখনই যেন অ্যাক্সিলারেটর ছেড়ে না যায়। ছাড়লে সাইলেন্সারে জল ঢুকবে। যদি না ছাড়েন তাহলে সাইলেন্সর ডুবে গেলেও জল ঢুকবেনা। ফার্স্ট গিয়ারে গাড়ি ফেলে, গাঁআআ করে অ্যাক্সিলেরাটরে মোচড় মেরে (এখানে একটু ক্লাচ ব্যবহার করতে পারেন গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য) দুপাশে পা নামিয়ে বেরিয়ে যান। দেখবেন দিব্যি নদী পার হয়ে গেছেন।
  • সিকি | ২২ জুলাই ২০১৪ ১৭:২৯647079
  • বুটের অভাবে আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ের কিংবা মোহিনী মোহন কাঞ্জিলালের গামা সাইজের প্লাস্টিকও চলবে।

    বিগ বাজারের পলিথিন প্যাক চলবে না, ওগুলো বড় পলকা হয়। মোদ্দা কথা, মোটা পলিথিনের প্যাকেট, যেটা বুট জড়িয়ে গোড়ালির বেশ ওপর পর্যন্ত ঢেকে রাখতে পারে এবং সহজে ছিঁড়বে না, এমন দুটি প্যাকেট পায়ে পরে নিলে হাই বুট বা গামবুটের দরকার হবে না।

    এটি অপশনাল নয়, মাস্ট। বিশেষত মানালি রুটে। অজস্র নালাঝোরা পাস করতে হয় এবং ঐ হিমশীতল জল একবার জুতো মোজা ভিজিয়ে দিলে পায়ের অবস্থা করুণ হয়ে যাবে।
  • Blank | 180.153.65.102 | ২২ জুলাই ২০১৪ ১৭:৩৭647080
  • গেটার কিনুন গেটার। জুতো আর প্যান্টের এন্ড কভার করে রাখবে। পার্মানেট সলিউশান।



    যে কোনো মাউন্টেনিয়ারিং এর দোকানে পাবেন। কোলকাতায় ৪০০/৫০০ টাকা দাম নেয় এক জোড়া গেটার।
  • সিকি | ২২ জুলাই ২০১৪ ১৮:১৩647081
  • হ্যাঁ, কদিন আগেও ইবে-তে পাওয়া যাচ্ছিল ৩৫০ টাকায়। কোনও চাইনিজ সেলার। এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। এইটা বেশ কাজের জিনিস। আগের বছর পর্যন্ত এ দেশে বিশেষ পাওয়া যেত না। এ বছর থেকে পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য অর্ডার দিয়ে আনানোই যায়।
  • সিকি | ২২ জুলাই ২০১৪ ১৮:১৩647082
  • blank | 122.79.37.72 | ২২ জুলাই ২০১৪ ১৮:৪২647083
  • যেকোনো মাউন্টেনিয়ারিঙ্গ এর দোকানে সব সময় পাবে। এখানে উব্যাক আর আলপাইন বানায়। দিল্লী তে আরো বেটার পাবে। ওখানে এসবের দোকান বেশী। আর যুগ যুগ ধরে এ জিনিস মেলে। বরফে হাটার জন্য এটা মাস্ট।
  • সিকি | ২২ জুলাই ২০১৪ ১৯:০৮647084
  • Adventure18এর দোকানে পাই নি। :(

    বিসিএমট্যুরিংয়েই বলল, এ দেশে মেলে না এ জিনিস।
  • Blank | 180.153.65.102 | ২২ জুলাই ২০১৪ ১৯:৩৫647085
  • http://www.carabinindia.com/

    Shradha Outdoor - Gurgaon-01242561675

    Trekkers Point : PVR Plaza, Connaught Place (ph. 23325475, 9313709326)

    Chogo Ri (Hemant Sachdev is the owner & Preeti Mishra is the assistant) Delhi telephone numbers are : +91 11 2331 2783 and +91 11 2331 2787

    ইন্ডিয়ামাইকে ওরা এই জায়গা গুলো বেশি রেফার করে। আমার কোনো আইডিয়া নেই।
  • Tathagato Rai Dastidar | ২২ জুলাই ২০১৪ ২২:২৪647086
  • @সিকিঃ ঠিক বলেছ, মাস্ট। তবে প্ল্যাস্টিকের একটা মুশকিল। ছিঁড়ে যাবার সম্ভাবনাটা থেকেই যায়, আর ওটা পরলে পিছল পাথরে পা হড়কে যেতে পারে। তাই বুট পেলে বোধহয় বুটই ভাল।

    @ব্ল্যাঙ্কঃ গেটার কখনো ব্যবহার করিনি। ওটা কি চামড়ার জুতো ভিজে যাওয়া থেকে প্রোটেক্ট করবে?
  • সিকি | ২২ জুলাই ২০১৪ ২৩:৫৮647087
  • ওকে। এইগুলো তাহলে পরের উইকেন্ডগুলোতে এক্সপ্লোর করে দেখতে হবে।
  • blank | 69.93.244.246 | ২৩ জুলাই ২০১৪ ০১:২৩647088
  • জুতো নিয়ে আমার ফান্ডা কম। এটা জুতোর ফিতের ফাক থেকে প্যান্টের অনেকটা বাচাবে। কিন্তু জুতোর মেটিরিয়াল যদি বাজে হয় তো কিছু করার নেই। বাইক চালানোর কেসে কোনো আইডিয়া নেই। কিন্তু এই সব রাস্তায় জুতো প্রেফার করি weinbrenner এর। হাজার ৪ এর মধ্যে উচু সোলের দারুন জুতো। মনে হয় চামড়ার। মানে জল, বরফ, গ্লেসিয়ার, মোরেন কিস্যু টের পাবেন না। এসপ্ল্যানেডের বাটায় পাবেন। ক্রিটিকাল ৩ টে ট্রেক রুট অব্দি টেকে। সেই জুতো আর আলপাইনের গেটার পরে আমরা গ্লেসিয়ার পার করেছি। দিনে একবার খালি মোজা বদলাতে হয়।
    আর ভালো পাহাড়ি জুতোর বহুত দাম। ্ছোটখাটো ল্যাপটপ হয়ে যাবে।
  • Abhyu | 141.220.2.65 | ২৩ জুলাই ২০১৪ ০১:২৬647090
  • ফাঁক
  • সিকি | 131.241.127.1 | ২৫ জুলাই ২০১৪ ১৩:৩৩647091
  • কিন্তু এইটা থেমে গেল কেন?

    আজকে নেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে এইটা পেলাম আমার গাড়ির সম্পর্কে। দাবি করছে জলে এক্সহস্ট ডুবে থাকা অবস্থায় গাড়ি সচল থাকবে।

    http://bharathautos.com/bajaj-pulsar-200ns-rides-though-its-exhaust-submerged-in-water-video.html
  • তথাগত | 116.51.242.27 | ৩১ জুলাই ২০১৪ ১৪:৩৯647092
  • প্রায় সপ্তাহটাক ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলাম। এই ফিরলাম।

    জ্ঞানগর্ভ উপদেশের পালা মোটামুটি শেষ। শুধু ওষুধপত্রের কথা কিছুটা বলে ইতি টানছি। আলোচনা, প্রশ্নোত্তর অতি অবশ্যই চলতে থাকুক।

    ওষুধ বলতে জ্বর, সর্দি, এলার্জি আর পেটখারাপের ওষুধ সঙ্গে নেবেন। আর নেবেন ডায়ামক্স। মানালি থেকে বেরোনর (বা শ্রীনগর থেকে বেরোনর) দুদিন আগে থেকে এবেলা আধখানা আর ওবেলা আধখানা করে খেতে থাকুন। লেহ পৌঁছন অবধি ছাড়বেননা।

    একটা স্বীকারোক্তি করে রাখি — আমার নিজের মনে হয় এ এম এস হওয়ার ধাতটা নেই। প্রথমবার যখন বাইকে করে গেছিলাম, তখন ডায়ামক্স গোড়ায় খাইনি। রোহতাং পেরোবার পর প্রথম খেয়েছিলাম, তাও আরেকজন বলল বলে। তা সত্ত্বেও আমার বা জয়ের, কারুরই এ এম এস হয়নি। দ্বিতীয়বার যখন প্লেনে করে গেলাম, শ্রীমতী ভেতোবাঙালিকে নিয়ম করে ডায়ামক্স খাইয়েছিলাম, কিন্তু তাও তিনি প্রথমদিন লেহতে বেশ কেলিয়ে পড়েছিলেন। মারাত্মক কিছু হয়নি অবশ্য। আমি নিজে খাইনি। কিন্তু যেদিন পৌঁছলাম সেদিনই গেস্ট হাউস থেকে দেড় কিলোমিটার হেঁটে লেহ বাজারে গেছিলাম ছানার জন্য চাল ডাল সবজি ফল পাকুড় কিনতে। কিচ্ছুটি টের পাইনি। অথচ, এ এম এস -এ ভুগতে আমি বহু মানুষকে দেখেছি নিজের চোখেই।

    তাই, এ এম এস হবে কিনা এটা নিতান্তভাবেই বোধহয় ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল। আর আগে থেকে সেটা বোঝার বা জানার কোন উপায় আছে বলে তো মনে হয়না। অতএব সাবধানের মার নেই। দিনে একখানা, দুবেলা আধখানা করে, খেতে থাকবেন।

    @সিকি:
    অ্যাক্সিলারেটার না ছাড়লে মনে হয় কোন বাইকের সাইলেন্সারেই জল ঢুকবেনা। মানে একজস্টের চাপ (প্রেশার) যদি জলের চাপ চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সরল ভৌতবিজ্ঞান অনুযায়ীই সেটা হবার কথা নয়। তাই অ্যাক্সিলারেটরে জোর মোচড় মেরে ধরে থাকলে (দরকার পড়লে ক্লাচ টিপে আর পি এম বাড়ালে), মা ভৈঃ! সোজাসুজি ইঞ্জিনে জল ঢুকলে অবশ্য আলাদা কথা। তখন ঝামেলা।
  • তথাগত | 116.51.242.27 | ৩১ জুলাই ২০১৪ ১৪:৫৭647093
  • শেষ বলেও শেষ হলনা। কয়েকটা কথা মনে পড়ে গেল। বলে ফেলি।

    মদ্যপান খবরদার করবেননা। নেহাত প্রচন্ড শীতের প্রকোপ এড়াতে হলে এক আধ পেগ রাম চলতে পারে, কিন্তু তার বেশি নয়। লেহ পৌঁছে যত ইচ্ছে ঢুকুঢুকু করুন, কিন্তু রাস্তায় নৈব নৈচ চ। মদ খেলে কী হতে পারে তার একটি নমুনা আমি চোখের সামনেই দেখেছি, ব্লগে তার রসালো বিবরণও আছে। আরেকটি গল্প শোনা (ফার্স্ট হ্যান্ড)। দুই বন্ধু গাড়ি করে ব্যাঙ্গালোর থেকে গেছিল। তাদের মধ্যে একজন যাবার পথে কারগিল পেরিয়েই মদ খেয়ে চোখ উল্টে পটল তোলে তোলে অবস্থা। অন্য বন্ধুটির হাজার বারণ সত্ত্বেও। শেষে তাকে আর্মি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। অন্য ছেলেটি শেষমেষ একাই গাড়ি চালিয়ে লাদাখ ঘুরেছিল।

    শারীরিক ক্ষমতা, বিশেষ করে কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে বড় কোন গোলযোগ না থাকলে ধূম্রপানে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা তো তাই বলে। জয় আর আমি সারা রাস্তায় প্রায় যখনই দাঁড়িয়েছি, চিমনির মত ধোঁয়া ছেড়েছি। কিছু তো হয়নি।

    শারীরিক ক্ষমতাটাও বেরোবার আগে একটু যাচাই করে নেওয়া ভাল। কয়েকটা ছোট টেস্ট লিখছি। সেগুলোতে পাশ করলে নো প্রবলেম। পাশ করতে না পারলে চেষ্টা করতে থাকুন। দিন পনেরো নিয়মিত চেষ্টা করলেই হয়ে যাবে। তার পরেও যদি না হয় তো বোধহয় বাইকে লাদাখের ঝুঁকিটা না নেওয়াই ভাল।

    ১। ১০ মিনিটের মধ্যে ১৮-২০টা ডন ও ২৫-৩০টা বৈঠক মারতে পারা উচিত। এতে রাস্তায় বাইক ঠেলতে হলে যে পেশিশক্তির প্রয়োজন, সেটার কিছুটা বন্দোবস্ত হবে।

    ২। কার্ডিওভাস্কুলার টেস্ট —
    — ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিটে ১০ কিলোমিটার হাঁটুন (ওটা বেড়ে দু ঘন্টা হলেও খুব ক্ষতি নেই)
    অথবা
    — ১৫ মিনিটের মধ্যে ২ কিলোমিটার দৌড়ন
    অথবা
    — ১ ঘন্টায় মোটামুটি উঁচুনিচু রাস্তায় ১৮-২০ কিলোমিটার সাইকেল চালান (গিয়ার ছাড়া সাইকেল হলে ১৫ কিলোমিটার যথেষ্ট)
    তিনটের মধ্যে একটা পারলেই যথেষ্ট, তিনটেই পারার কোন প্রয়োজন নেই। তবে একটা কথা খেয়াল রাখতে হবে। এগুলো করার পর একেবারে হেদিয়ে পড়লে চলবেনা। হাঁপ তো নিশ্চয়ই ধরবে, সেটা নিয়ে চিন্তা নেই। চোখে সর্ষেফুল না দেখলেই হল।

    খেলাধুলোর অভ্যেস থাকলে এই লিস্টি পড়ে হাসি পাবে। কাজেই এই উপদেশ কেবলমাত্র তাঁদের উদ্দেশ্যেই, যাঁদের খেলাধুলোর চর্চা নেই।
  • সিকি | 131.241.127.1 | ৩১ জুলাই ২০১৪ ১৫:৩০647094
  • খেলাধূলোর ওভ্যেস একেবারেই নেই, তবে এক্সারসাইজগুলো দিব্যি ডুয়েবল।

    এএমএস কার হবে কার হবে না, এটা একেবারেই পার্সন টু পার্সন ভ্যারি করে। কোনও থাম্ব রুল নেই। এটুকুই বলার, আগেও লিখেছি, বাচ্চাদের এএমএস হবার চান্স সবচেয়ে কম। এটা মেনলি পূর্ণবয়স্ক মানুষদের অ্যাটাক করে।

    আর হ্যাঁ, হাই অলটিটিউডে মদ্যপান করা মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা। মদ্যপান মানে বেশিমাত্রায় পান। চাংলা পাসে দেখেছিলাম। বরফ দেখে বেশি উত্তেজিত হয় গুছিয়ে মাল খেয়ে অল্প নাচাকোঁদা করেছিল। তাকে কারু অবধি নামাবার সময় পাওয়া যায় নি, মাঝরাস্তাতেই সে মারা যায়। আমরা পৌঁছবার খানিক আগের ঘটনা।
  • Tathagato Rai Dastidar | ০২ আগস্ট ২০১৪ ১১:৪৩647095
  • তারপর বন্ধুগণ, লুরুর পরবর্তী ভাঁটটা কবে হচ্ছে? আমন্ত্রণের প্রতীক্ষায় রইলাম! :-)
  • সিকি | 166.107.82.66 | ২৭ মার্চ ২০১৫ ১৪:৫৫647096
  • তথাগতর ব্লগ খুলছে না। বন্ধ করে দিলে, নাকি?
  • সিকি | ১৩ জুলাই ২০১৫ ২১:৫৬647097
  • এটা তুলে রাখলাম একটু। দু লাইন লিখব।
  • একক | 24.99.33.103 | ১৩ জুলাই ২০১৫ ২২:২৪647098
  • তোমার ত্রাভেলোগ টা গ্যালো কই ? আমি কাজের চাপে মাঝপথে ছেড়ে গেসলুম :(
  • সিকি | ১৪ জুলাই ২০১৫ ০৮:২৬647099
  • বাইকস মন্ত্র নামে একটা দোকান আছে - আগে করোল বাগে ছিল, এখন শিফট হয়ে গেছে শাহদরাতে - ওদের একটা ফেসবুক পেজ আছে - সেইখানে এই রকম একটা জিনিসের ছবি দিয়েছে, ওদের স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে - জুতো-প্যান্ট ইত্যাদি ঢাকবার একটা কভার। গেটারের উন্নততর ভার্সন।



    দাম বলছে সাড়ে পাঁচশো টাকা। চোখে দেখি নি এখনও, খালি ছবিই দেখেছি, কতটা ভালো হবে জানি না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন