এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শৈশব কাহিনী: বালক ব্রহ্মচারী মহারাজ

    সৌম্য
    অন্যান্য | ১৪ জুলাই ২০১২ | ৫৭২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌম্য | 151.0.9.141 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৩:৪৪567556
  • রাম নারায়ণ রাম।

    http://www.avinabadarshan.com/books.html ঠাকুর এক ভাষনে বলেছিলেন, "আমার মহত্ত্ব প্রকাশিত হবে আমার তত্ত্বে, বিভূতি দিয়ে নয়।" => তারপরেও ঠাকুরের শৈশবের এই বিভূতি বিষয়ক কাহিনীগুলো এখানে শেয়ার করছি।

    ঠাকুর আরো বলেছিলেন, "বাল্যকালে আমি ইচ্ছাকৃতভাবে বিভূতি দেখাতাম না। ওটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে হয়ে যেত। ট্রেন গেলে যেমন আশেপাশে ঝোড়ো একটা বাতাস পাওয়া যায়, ওরকম আমার বিভূতিগুলো আপনাআপনি প্রকাশ পেয়ে যেত।" => ঠাকুরের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলতে পারি, বাল্যকালে 4/5 বছর বয়সে আসলে কারোর বড়/বিখ্যাত হওয়া কিংবা নামযশ/অর্থযশের লোভ থাকেনা। তদুপরি ঐটুকু বয়সে জাদু শেখাও তাঁর মতো গ্রাম্যশিশুর পক্ষে সম্ভব নয়।

    এবার বলতে পারি এই বিভূতিগুলো নিয়ে। ঠাকুর জীবনে এক/দুই বার নদীর জলের উপর দিয়ে হেঁটে পার হন নি, এক/দুই বার অদৃশ্য হন নি, এক/দুই বার শূন্যে উঠে যান নি। অসংখ্যবার তিনি এগুলো করেছেন। তাঁর বাল্যকাহিনীতে এগুলো অনেক পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে ঠাকুর এক ভাষনে বলেছেন, "যারা এই পৃথিবীতে এসে সাধনা করে শক্তি অর্জন করে তারা এই ক্ষমতাগুলো সমগ্রজীবনে মাত্র কয়েকবার ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু আমি এগুলো এই পৃথিবীতে সাধনা করে অর্জন করিনি, তাই আমার ভান্ডার সীমাহীন।"

    এবার এই বিভূতিগুলোর সত্যমিথ্যা নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। এই কাহিনীগুলো ঠাকুরের পরিবার, আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী, শিক্ষক, খেলার সাথীদের কাছ থেকে গৃহীত। ঠাকুর যেহেতু 1920 সালে জন্মগ্রহণ করেন, তাই এখন আর এগুলোর সত্যমিথ্যা যাচাই করা সম্ভব নয়। সুতরাং আপনারা গালিগালাজ দিলে আমার কিছু করার নেই। তাঁর পিতৃপ্রদত্ত নাম বীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ডাকনাম বীরু।
  • সৌম্য | 151.0.9.141 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৩:৪৭567605
  • Story one:

    এক বছর পেরিয়ে গেছে। হাঁটতে শিখেছে। শিশুকে বশে রাখা কঠিন। মা খাইয়ে দাইয়ে বিছানায় শুইয়ে রেখে, যেন পরক্ষণেই দেখেন কি উপায়ে শিশু যেন বিছানা থেকে নেমে উঠানে গিয়ে খেলছে। মা তুলে বিছানায় শুইয়ে দেন। কিন্তু নিজে উঠোনে পৌঁছবার আগেই দেখছেন শিশু উঠোনে খেলছে। মা তাকে নিয়ে বিব্রত বোধ করেন।

    দুই বছরের শিশু যে গভীর ধ্যানে মগ্ন হতে পারে তা কল্পনা করাও যায়না । তাই মা যখন তাকে ডেকে পেতেন না শেষ বেলায় দেখতেন হয় খাটের তলায় না হয় বাড়ির নিরিবিলি জায়গায় ধীর স্হির হয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে।

    তিন বছর বয়সে প্রায় সময় ধ্যানে মগ্ন থাকতো। লোকে যাতে বিরক্ত না করে তার জন্য কখনও সুপারিবাগানে কখনও বা কলাবাগানে গিয়ে বসে থাকত। কতগুলো শিয়াল মাঝে মাঝে তাকে ঘিরে বসে থাকত। ঘন্টার পর ঘন্টা একভাবে বসে থাকা -সাথীরা মনে করতো এটাও একটা খেলা।

    Story two

    ঢাকার জন্মাষ্টমী মিছিল দেখতে প্রচুর মানুষের আগমন ঘটেছে। ঠাকুরের পরিবারের সবাই একটা দোতলা বাড়ির বারান্দায় দাড়িয়ে দেখছিলেন। হঠাত্‍ রেলিং এর ফাঁক দিয়ে দুই বছরের শিশু নীচে পড়ে গেল। এদিকে শিশু পড়ছে ধীরে ধীরে যেন একটা হালকা পালক। ঐ দিকে এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক হাত বাড়িয়ে দিলেন, কিন্তু মনে দ্বিধা ভার রাখতে পারবেন তো! ভাবতে ভাবতে শিশু এসে হাতে পড়লো। কোন ভার অনুভব করলেন না। শিশুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখলেন খিলখিল করে হাসছে শিশু।

    Story three

    একদিন শিশু নদীতে জল আনতে গেছে। অসাবধানতা বশত হঠাত্‍ একটা ঢেউ এসে ঘটিটাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ঘাটে বসে আনন্দ মাষ্টার আহ্নিক করছিলেন। তিনি
    শিশুকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন - "দুঃখ করো না। তোমাকে একটা নতুন ঘটি কিনে দেব।" ঢেউয়ে ঢেউয়ে ঘটিটা ততক্ষণে অনেক দূর চলে গেছে। শিশু এক দৌড়ে জলের উপর দিয়ে গিয়ে ঘটিটা ধরলেন, তারপর সাবলীল গতিতে জলের উপর দিয়ে হেঁটে এলেন।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৩:৫০567616
  • যাহ। আগের টই-এর উপেন্দ্রনাথটা কে ছিল?

    সৌম্যবাবু, আমি আপনার বালক বাবাকে দেখিনি, মানে উনি যখন সুখচরে নিদ্রা গেছিলেন, তখন দেখার বয়েস হয়নি আমার, আমাদের মত অভাগাদের দর্শন দিতে কবে আসছেন বাবা?? কোনো খবর আছে?
  • সৌম্য | 151.0.9.141 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৩:৫১567627
  • Story four

    একদিন মেঘনা নদীর উত্তাল তরঙ্গের উপর ধ্যানাসনে পাঁচ বছরের শিশুঠাকুর যখন শান্ত সমাহিত হয়ে বসেছিলেন হাজার হাজার হিন্দু মুসলমান নদীর পাড়ে ভীড় করে সে দৃশ্য দেখেছেন। ওস্তাদ আলী আহমেদ খাঁ মানুষের কোলাহল শুনে বেরিয়ে এলেন। তিনি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না, আবার বিশ্বাস না করেও উপায় নেই।

    Story five

    শিশু ঠাকুর প্রায়ই গিয়ে বসতেন তিতাস নদীর পাড়ের মাঠটায় ভক্ত পরিবৃত হয়ে। সেদিনও মাঠে বসে আছেন, হঠাত্‍ বলে উঠলেন, "এইরে ডুবলো।" সবাই আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করল, "কি ডুবলো?" উত্তর এলো, "মেঘনা নদীতে হঠাত্‍ নৌকা ডুবে গেছে, ওটাতে লালমোহন আর কেষ্টা আছে।" হাতটা সামনে বাড়িয়ে পরমুহুর্তেই বলে উঠলেন, "এই তো ওদের বাঁচিয়ে রেখেছি।" দুদিন পরে লালমোহন আর কেষ্টা নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে এসে বলল, তারা অতল জলে তলিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু কিভাবে যে বেঁচে গেল বুঝতেও পারল না।

    Story six

    তখন সাত আট বছর বয়স। মামাবাড়ি থেকে হেঁটেই বাড়ি চলেছেন। মাত্র দেড় মাইলের পথ। দুজন ভদ্রলোকও হেঁটে চলেছেন। সঙ্গে চারজন মহিলাকে নিয়ে পালকী। প্রখর রোদের তাপে বেহারারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তায় ভারি পালকি। নিরুপায় হয়ে তারা ভদ্রলোকদুজনকে বলল পালকীটা একটু হালকা করে নিতে। একজন ভদ্রলোক বলে উঠলেন, "কেন, কম পয়সা নেবে নাকি?" ঠাকুরের মনে কষ্ট হল। এগিয়ে গিয়ে বেহারাদের থামতে বললেন। ওরা দাঁড়াল। বালক ঠাকুর পালকীর ডান্ডাটা স্পর্শ করে দিলেন এবং বেহারাদের চলতে বললেন। বেহারারা দেখল পালকী খুব হালকা হয়ে গেছে যে, দৌড়ে পথ চলতেও কষ্ট হচ্ছে না, কাঁধে কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না। তাঁর স্পর্শে কেমন করে হল জিজ্ঞাসা করতেই ঠাকুর বললেন, "বাতাসে কিছু ওজন দিয়ে দিয়েছি।"
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৩:৫২567638
  • আর বাবা এতোদিন ছিলেন সুইমিং-এ, স্যরি, জলে হাঁটায় এতো ভালো। এদিকে ভারত অলিম্পিকে সাঁতারে একটাও মেডেল পায়নি। ঠাকুরের কি উচিত ছিলোনা আমাদের জন্য একখানা অন্তত মেডেল এনে দেওয়া ? আচ্ছা ! ভারত না হোক, জন্মভুমি বাংলাদেশের জন্য একখানা?
  • সৌম্য | 151.0.9.141 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৩:৫৩567649
  • Story seven

    তখন সাত আট বছর বয়স। মামাবাড়ি থেকে হেঁটেই বাড়ি চলেছেন। মাত্র দেড় মাইলের পথ। দুজন ভদ্রলোকও হেঁটে চলেছেন। সঙ্গে চারজন মহিলাকে নিয়ে পালকী। প্রখর রোদের তাপে বেহারারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তায় ভারি পালকি। নিরুপায় হয়ে তারা ভদ্রলোকদুজনকে বলল পালকীটা একটু হালকা করে নিতে। একজন ভদ্রলোক বলে উঠলেন, "কেন, কম পয়সা নেবে নাকি?" ঠাকুরের মনে কষ্ট হল। এগিয়ে গিয়ে বেহারাদের থামতে বললেন। ওরা দাঁড়াল। বালক ঠাকুর পালকীর ডান্ডাটা স্পর্শ করে দিলেন এবং বেহারাদের চলতে বললেন। বেহারারা দেখল পালকী খুব হালকা হয়ে গেছে যে, দৌড়ে পথ চলতেও কষ্ট হচ্ছে না, কাঁধে কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না। তাঁর স্পর্শে কেমন করে হল জিজ্ঞাসা করতেই ঠাকুর বললেন, "বাতাসে কিছু ওজন দিয়ে দিয়েছি।"
  • সৌম্য | 151.0.9.141 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৩:৫৫567671
  • Story seven

    ঠাকুরের খেলার সাথী বিধুভূষণ পাল বলছেন,

    সেই ছেলেবেলায় একদিন আমি ঠাকুরের সাথে "গাউছা মাউছা" খেলছি। খেলাটা পল্লীগ্রামে খুবই জনপ্রিয়। খেলা গাছে গাছেই খেলতে হয়। একজন চোর হয়ে অপরকে ছোঁয়ার চেষ্টা করে। ছুঁতে পারলে, চোর যাকে ছোঁয় সে আবার চোর হয়। একবার আমি চোর হয়ে ঠাকুরকে ধরার চেষ্টা করছি, ঠাকুরও এ ডাল সে ডাল করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মাঝে মাঝে মাটিতে পড়ে আবার গাছের ডালে লাফিয়ে উঠে পড়ছেন। অত যে উঁচু, তাঁর যেন কিছুই অসুবিধা হচ্ছে না। খিল খিল করে হাসতে হাসতে অবলীলাক্রমে উঠানামা করছেন। যখন উপর থেকে লাফ মারছেন, ধীরে ধীরে নীচে নেমে আসছেন (LOGHIMA of OSHTO-SHIDDHI)। কিছুতেই আর তাঁর নাগাল পাচ্ছিনা। ঠাকুরের মত অত উচুঁ ডাল থেকে লাফ দিতে গিয়ে আমি ডালপালা ভেঙে নীচে পড়ে গেলাম। দুহাতে অসহ্য যন্ত্রণায় আমি ককিয়ে ওঠার সাথে সাথে আমার ঠাকুমা লাঠি হাতে বকতে বকতে এগিয়ে এলেন এবং তাকে দেখে ঠাকুর দৌড়িয়ে পালিয়ে গেলেন। ঠাকুমা আমাকে কোলে করে ঘরে শুইয়ে দিলেন। কবিরাজ এসে বললো দুটি হাতই ভেঙে গেছে, সারতে সময় লাগবে, তিনি ব্যান্ডেজ বেঁধে দিলেন। সবাই আমার ঘর থেকে চলে যাওয়ার পর দেখি ঠাকুর এসে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কাছে এসে আমার ভাঙা হাত দুটোতে হাত বুলাতে লাগলেন। অপূর্ব ঠান্ডা এক স্পর্শে আমার শরীর জুড়িয়ে গেল। ভাঙা হাতের ব্যথা কোথায় যেন হারিয়ে গেল। ঠাকুর বললেন, "খুব ব্যথা পেয়েছিস না? কয়েকদিন পরেই সুস্হ হয়ে যাবি।"

    আমি কয়েকদিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সেরে গিয়েছিলাম। বাড়ির সকলে এবং কবিরাজ খুব অবাক হয়েছিলেন।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৩:৫৫567660
  • "বাতাসে কিছু ওজন দিয়ে দিয়েছি।"

    এটা বেস্ট !!!
  • সৌম্য | 151.0.9.141 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৪:১১567682
  • Story eight

    একদিন জ্যাঠামশায় সুন্দর ঠাকুরের সামনে খাটের উপর ঘুমন্ত কয়েক মাসের শিশুটি খাটের কিনারে এসে পড়ে গেলে, পালকের মত ভাসতে ভাসতে নীচে পড়তে শিশুটির কয়েক মিনিট সময় লেগেছিল।

    Story 9:

    শিশুরা একবার ছোঁয়াছুয়ি খেলছে। মাঠের মাঝে নীচু হয়ে হেলে পড়া একটি গাছের উপর শিশুরা উঠছে আবার লাফিয়ে নিচে পড়ছে। শিশু ঠাকুর গাছে উঠে লাফ দিলেন কিন্তু পড়তে সময় লাগল 5/10 মিনিট (LOGHIMA OF OSHTOSHIDDHI)। তা দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা অবাক হয়েছিল।

    Story 10

    বালক তখনো স্কুলে ভর্তি হন নি। একটি পিটুলী গাছের নীচে শিশুদের সাথে গাউছা মাউছা খেলছেন। গাছের নীচে দিয়ে তখন আনন্দ মাষ্টার যাচ্ছিলেন। শিশু লাফ দেবেন বলে আনন্দ মাষ্টারকে বললেন, "ধরুন আমায়।" আনন্দ মাষ্টার ঘাবড়িয়ে গেলেও আশ্চর্য হলেন এই ভেবে যে, এই পাঁচ বছরের শিশুর ওজন কি করে পালকের মতো হাল্কা হয়! - এই বয়সেই লঘিমা শক্তি আয়ত্ত করেছেন কি ভাবে?
  • Rit | 213.110.243.21 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৪:১৪567557
  • কত বছর বয়সে লঘিমা শক্তি আয়ত্ব করা যায় সাধারনত?
    আমিও চেষ্টা করতে চাই। গরিমা শক্তির প্রভাব বড্ড বেশী। ঃ(
  • | 24.99.229.159 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৪:২০567568
  • বাবা ছোটবেলায় এক দম খেলা ধূলা করলেন না। শরীর টা মজবুত হবে কী করে?
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৪:২৬567579
  • রিতদা

    অনেকদিন বাদে ??
  • সৌম্য | 151.0.10.29 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৫:১৮567590
  • STORY 11

    শ্রী শ্রী ঠাকুরের মাসিমা শিশু ঠাকুরের জন্য অপেক্ষা করছেন। এদিকে চর্তুদিকে জলময় বৃষ্টির দাপট তখনো কমেনি। অথচ মাসিমা দেখেন শিশু ঠাকুর হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসলেন জলকাদার উপর দিয়ে। তথাপি শিশুর গা এমনকি পায়ের পাতাও শুকনো।

    STORY 12

    শিশু ঠাকুরের সাথীরা এতটাই দুরন্ত ছিল যে, বিভিন্ন পাখীর বাসা থেকে ডিম এনে খেলা করত ও ভাঙচুর করতো। যা ঠাকুরের মোটেই ভাল লাগতো না। একদিন এক সদ্যপ্রসব করা পাখির ডিম চুরি করে নিয়ে এলে, শিশু ঠাকুর মুহুর্তের মধ্যেই বাচ্চা ফুটিয়ে দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ছানাটা বড় হয়ে ডাকতে আরম্ভ করল। "দু তিন বছরের পাখীর আকার মুহুর্তে আনা" দেখে, সাথীরা ঠাকুরকে কথা দেয়, তারা আর পাখির ডিম নষ্ট করবে না।

    STORY 13

    একদিন গাউছা মাউছা খেলার সময় এক ষাঁড় ছুটে এলে অন্য শিশুরা গাছে উঠে গেল, কিন্তু শিশু ঠাকুর মাঠের মাঝখানে থাকায় মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতমুখী গতি দিয়ে শূন্যে উঠে যেতে থাকেন। শিশুরা সেটা দেখে চিত্‍কার করতে থাকে, "ধর, ধর, বীরু উইড়া গেল রে..."

    STORY 14

    একবার মামাবাড়ি দোগাছি গ্রাম থেকে বিশেষ প্রয়োজনে পৈত্রিক ভিটা মেদিনীমন্ডল গ্রামে ঠাকুর যাবেন- প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরত্ব। স্নেহপরায়না দিদিমা একটি নতুন ছাতা দিলেন কষ্ট লাঘবের জন্য। কিন্তু পৈত্রিক ভিটার কাজ সেরে ঠাকুর যখন মামাবাড়িতে ফিরে আসেন, তখন বিকাল থাকায়, তিনি ছাতা ফেলে আসেন। দিদিমা ঠাকুরকে তিরস্কার করেন পরে ছাতা না পাবার আশংকায়। তখন বালক ঠাকুর দিদিমাকে বলেন, "বুড়ি, ছাতারে ডাক দাও, চইলা আইবো।" দিদিমা গুরুত্ব না দেয়ায়, ঠাকুর নিজেই বলতে থাকেন, "এই ছাতা আয়। এই ছাতা।" অমনি বেলুনের মত আকাশপথে ছাতাটি উড়ে চলে এল। বাড়ির সকলের কৌতূহল মেটাতে ঠাকুর বললেন, "মানুষকে ডাকলে যদি মানুষ জবাব দেয়, তবে ছাতাই বা শুনবে না কেন? শুধু মন ও মুখ এক হওয়া চাই।"
  • সৌম্য | 151.0.10.29 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৫:৫৯567599
  • STORY 15

    গ্রামে নাটক হবে। ঠাকুর পেয়েছেন রাখালের পার্ট। নির্দিষ্ট দিনে বহুলোকের উপস্হিতিতে রাখাল সেজে ঠাকুর মঞ্চে উঠেছেন। পূর্বেই একটি খড়ের গরু প্রস্তুত ছিল। প্রাণহীন এই গরুকে দেখে ঠাকুর বিরক্ত হয়ে প্রম্পটারকে বলেন, "তোমারটা তুমি বল, আমারটা আমি বলছি।" তারপর ঠাকুর ওখানে দাড়িয়েই একটু জল চেয়ে খড়ের গরুর লেজে ছিটিয়ে দেন। লেজ নড়তে থাকে। দর্শক চিত্‍কার করতে থাকে, "তারপর তারপর।" এবার ঠাকুর খড়ের গরুটার কানে জল ছিটিয়ে দেন। কান নড়তে থাকে। দর্শকরা চিত্‍কার করে, " বাকিটুকু?" ঠাকুর বলেন, "ওতেই হবে।" তারপর তিনি খড়ের গরুটার লেজে ধাক্কা দেন। গরুটা একছুটে মঞ্চ থেকে বেরিয়ে দৌড়ানো শুরু করে।

    STORY 16

    ঠাকুর দোগাছি গ্রামে বণিকদের বাড়ী গেছেন ঘটা করে মনসাপূজার অনুষ্ঠানে গান শুনতে। মাঝে দশ মিনিটের বিরতি। ঠাকুর একটা মরা ফড়িং এর ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো কুড়িয়ে জোড়া দিতে লাগলেন। একটা পা শুধু খুঁজে পান নি। পরে খানিকটা জল ছিটিয়ে দিয়ে বললেন, "যা।" অমনি ফড়িংটা উড়ে গেল। যারা এই দৃশ্য দেখছিলেন, তারা বলে ওঠেন, "এ কি দেখলাম!" বলতেই ঠাকুর বললেন, "ও তোমরা বুঝি দেখে ফেলেছ?"
  • সৌম্য | 151.0.10.29 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৬:৩৩567600
  • STORY 17

    নীভারানীর বৃদ্ধ মাসীশ্বাশুড়ী একদিন তার আত্মীয়দের ভত্‍সনা করলেন, এত অল্পবয়সী এক বালকের থেকে দীক্ষা নেয়ার জন্য। এও বললেন, "যদি তোদের গুরু এই ঘরে গঙ্গাকে আনতে পারে তবে বুঝবো ঐ বালকই তোদের যোগ্য গুরু।" নির্দিষ্ট দিনে মুহূর্তে হঠাত্‍ কলকল শব্দ- জলের শব্দ- মুহূর্তের মধ্যে জলের স্রোত বয়ে যায় ঘরের মধ্যে।

    STORY 18

    ঠাকুরের দিদিমার ইচ্ছা, এক পবিত্র যোগে গঙ্গাস্নান করে আসেন, কিন্তু কে তাঁকে নিয়ে যাবে, কোথায় গিয়ে উঠবেন। কি একটা উপলক্ষ্যে ঠাকুর এসেছেন দোগাছি তে। দিদিমা ঠাকুরকে বললেন, "এই পবিত্র যোগে যদি একটু গঙ্গা স্পর্শ করতে পারতাম।" ঠাকুর বললেন, "এ আর বেশী কথা কি? যোগের মধ্যে তোমাকে গঙ্গাস্নান করালেই তো হল। ঠিক আছে, আমি ব্যবস্হা করছি, তুমি চিন্তা করো না।"

    যোগের দিন যত এগিয়ে আসছে দিদিমা বারে বারে নাতিকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, "কই আমাকে গঙ্গায় একটা ডুব দিতে নিয়ে যাবিনা?" ঠাকুর বলেন, "ব্যস্ত হচ্ছ কেন? তোমাকে গঙ্গাজলে স্নান করালেই তো হল।" দিন যত যাচ্ছে, দিদিমা ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।

    ইতিমধ্যে ঠাকুর বাড়ির ছাদের উপর সব ব্যবস্হা করেছেন। দিদিমাকে বলেছেন, "তোমার জন্য গঙ্গাকে এই দোগাছিতে তোমার বাড়ির ছাদেই নিয়ে আসব। দিনক্ষণ দেখে তুমি তৈরি হয়ে নিও।"

    দিদিমা ঠিক দিনে তৈরী হয়ে ছাদে এসেছেন পুন্যস্নান করতে -কোথা থেকে কলকল করে জল এসে ছাদ ভরিয়ে দিল। দিদিমা সেই অপূর্ব পূতগন্ধময় গঙ্গার জলে অবগাহন করে তার গঙ্গাস্নানের সাধ মেটালেন।
  • ঐশিক | 132.179.51.235 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৬:৫৬567601
  • কোথায় ছিলে ওস্তাদ- কোথায় ছিলে?
  • cb | 202.193.164.9 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৭:০১567602
  • "অপূর্ব পূতগন্ধময়".... খাইসে
  • Abhyu | 204.94.198.110 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৭:১৮567604
  • ইন ফ্যাক্ট ঘরে গঙ্গা আনার আরো অনেক প্রাচীন গল্প পাওয়া যায়। 'মন চাঙ্গা তো কোঠায় গঙ্গা' বলে একটা প্রবাদ-ই আছে। সেই কোন এক বউকে তার শাশুড়ি গঙ্গা স্নানে যেতে দ্যায় নি, কিন্তু নিজে গিয়েছিল, আর কানের দুল বা ঐ রকম কিছু হারিয়ে এসেছিল, আর বউমা ঘরে স্নান করতে গিয়ে সেটা কুড়িয়ে পায় ইত্যাদি প্রভৃতি।
  • Abhyu | 204.94.198.110 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৭:২১567606
  • তো গঙ্গা ঘরে আনার ট্রাডিশন বহু প্রাচীন হলেও ব্রহ্মপুত্র, আমাজন বা নীল নদকে ঘরে আনার ততো প্রচলন নেই। অসম্ভব বলছি না, কিন্তু তেমন শোনা যায় না আর কি।
  • সৌম্য | 151.0.9.148 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৮:২০567607
  • STORY 19

    ঠাকুর আড়াইহাজার স্কুলের বিজ্ঞানশিক্ষক সুধীর বোসকে বললেন, "একটা টর্চের বাল্ব নিয়ে এস তো।" বাল্ব আনলে বললেন, "এই বাল্বটা তোমার ভ্রূর মাঝখানে কপালে ধরে রাখো এবং অন্য হাত দিয়ে আমার পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ধরে বসো"। আঙ্গুল ধরার সাথে সাথে বাল্বটা জ্বলে উঠল। ঠাকুর বললেন শুধু টর্চের বাল্ব কেন, বড় ইলেক্ট্রিক বাল্বও জ্বালান যায়, আজকাল যে রেডিও বেরিয়েছে তাও বিনা কারেন্টে বাজানো সম্ভব। সুতরাং দেখতে পাচ্ছ "আপন শক্তির" কথা জানা থাকলে সবই সম্ভব। শুধু চর্চা করলেই হবে। "আছে" শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে হবে।

    STORY 20

    published in "EAST BENGAL TIMES", 10th may, 1943: অতঃপর ঠাকুর বলধার জমিদার নরেন্দ্রনারায়ন চৌধুরীকে একটি বাল্ব নিয়ে এসে দুই ভ্রূর মাঝখানে ধরে রাখতে বললেন। তারপর জমিদারবাবু তাঁর নির্দেশমত ঠাকুরের পায়ের বুড়ো আঙ্গুল স্পর্শ করিবা মাত্র বাল্বটি জ্বলিয়া উঠিল। সকলে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়লেন। বালক ঠাকুর বললেন, - "এই শক্তি নষ্ট হওয়ার জিনিস নয়, এটা চিরকাল, চিরযুগ থাকে।"

    STORY 21

    ঠাকুর ঢাকাতে যদুনাথ রায়ের বাড়ি দর্শন দিচ্ছেন। সঙ্গে জিতেন বোস, সুরেশ পাল, চাবুক পত্রিকার সম্পাদক চারু গুহ, এবং ইস্টবেঙ্গল পত্রিকা ও পঞ্চায়েত পত্রিকার প্রধান। সকলে দ্বন্দ্ব সন্দেহের মধ্যে থেকে ঠাকুরকে বিভূতি দেখাতে বললে, ঠাকুর সকলের হাতে টর্চের বাল্ব দিয়ে এক হাতে কপাল ঠেকাতে বললেন, ও অপর হাতে একে অপরের হাত ধরে দাড়াতে বললেন, চারু গুহকে ঠাকুরের হাতের বুড়ো আঙ্গুলটা টিপতে বললেন। সঙ্গে সঙ্গে সব বালবগুলো জ্বলে উঠল। যেই চারুগুহ হাত ছাড়ে, অমনি আলোও নিভে যায়, আবার স্পর্শতেই পুনরায় আলো জ্বলে ওঠে।

    STORY 22

    ঠাকুরের তখন 11-12 বছর বয়স। তিনি 15/16 বছরের জমিদার পুত্র বরুনের সাথে খেলা করতেন। তখন ঢাকায় বেতার চালু হয়েছে। একদিন ঠাকুর বরুণকে বললেন, "ওই গান শুনবি"? বরুন বলে, "হ্যাঁ"। ঠাকুর তখন বরুণকে পাশের বড় গাছটিতে কান লাগাতে বলে। বরুন বলে, "কই, কিছু শুনতে পাইতাছি না"। ঠাকুর বলে, "এক হাতে আমারে ধইরা রাখ।" ঠাকুরকে ধরে গাছের গায়ে কান পেতে বরুণ গান শুনতে পায়। ঠাকুরকে ছেড়ে দিলে আর গান শুনতে পায় না। বরুণ বলে, "ক্যামনে পারলা?" ঠাকুর বলেন, "প্রেরক যন্ত্র ছাইড়া দিছে। আমি প্রাপক যন্ত্র হইয়া ধরছি।"
  • পাই | 82.83.87.188 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৮:৩৬567608
  • আরিব্বাস, এই রেডিওবাবার কনসেপ্টটা তো হেব্বি । নানারকম কাজে লাগানো যেতে পারতো তো। বিভূতিভূষণ বাবা এভাবে টিভি দেখাতে পারতেন ? বা, এই ধরুন সিনেমা হলে চলা সিনিমা ?
  • ভক্তিমতী | 132.160.159.184 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৮:৩৮567609
  • রাম নারায়্ণ রাম,
    রাম নারায়্ণ রাম,
    রাম নারায়্ণ রাম,
    রাম নারায়্ণ রাম।
    কইতে আছিলাম যে ,বাবার শিষ্যগো মধ্যে কারো অই বালব জ্বালাইবার বিভুতিটা আছে ?

    তাইলে এইখানে চইলা যান-MINISTRY OF NON-CONVENTIONAL ENERGY SOURCES অরা মাথায় কইরা রাখব।
  • pi | 82.83.87.188 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৮:৪৬567610
  • গরুটার কী হল তার্পর ?
  • sch | 132.160.114.140 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৮:৫৭567611
  • কপালে ঠেকিয়ে আলো জ্বালানোটা নিয়ে research দরকার - এক লাফে গ্লোবাল অয়ার্মিং সল্ভড হয়ে যাবে।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৯:২০567612
  • প্রোজ্জ্বলিত বীর্য। কিছুই বুঝবা না তোমরা, অবিশ্বাসীর দল।
  • pi | 82.83.87.188 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৯:২৩567613
  • sch, বাবা তো বলেই দিয়েছেন, আপন শক্তি। শুধু 'চর্চা' করলেই হবে। 'আছে' শক্তিকে বাড়িয়ে তুল্লেই হবে ?
    প্পন কি বীর্যকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের ইঙ্গিত দিল ?
  • | 127.211.9.149 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৯:২৭567614
  • ইয়ে, এরম গল্প মোট কটা আছে? PDF আকারে পাওয়া যাবে?
  • pi | 82.83.87.188 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১৯:৩২567615
  • সত্যিই, কোটি কোটি বালতি বালতি বীর্য থেকে তো মেগা গিগা স্কেলে শক্তি উৎপাদন সম্ভব। বীর্য গ্যাসকে গোবর গ্যাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের কথা বাবা বলে যাননি ?
  • শ্রী সদা | 127.194.198.15 | ১৪ জুলাই ২০১২ ২১:৩১567617
  • বীর্যবিদ্যুৎ ঃ))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন