এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১০:২৯566249
  • জাতি বা ধর্ম দাংগা হলে মিডিয়া ইচ্ছা করেই সেটা বড়ো করে ছাপায় না। যুযুধান পক্ষ কারা সেটাও জানাতেও যতোটা পারে অ্যাভয়েড করে।
    আজ দেখলাম এন ডিটিভি তে এটিকে মুসলিম ও বোড়োদের দাংগা বলে লিখেছে। এর আগে লেখে নি। হেডলাইন থাকলেও ডিটেইলস সর্বত্রই কম। সেটাই কাম্য।

    গুজরাতের মতন সরকার স্পনসর্ড দাংগার সময় শোরগোল তো কম হয় নি।
  • b | 135.20.82.165 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১১:১৫566262
  • বাজার বলছে কং চক্রান্ত। ইভ টিজিং সংক্রান্ত নেগেটিভ খবর থেকে নজর ঘুরাতে তরুন গগই ( বা ডি ফ্যাক্টো রুলার হিমন্ত বিশ্বশর্মা)-র সরকার প্রত্যক্ষ ভাবে মদৎ দিচ্ছে। সত্যি মিথ্যে জানি না।

    বিজেপি অবশ্য ইল্লিগাল মাইগ্র্যান্ট নিয়ে চেঁচামেচি করছে।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১১:২৩566263
  • সুশান্ত একটু লিখবেন, কি হচ্ছে। আগামীকালের গৌহাটি কান্ডো নিয়ে প্রতিবাদে, দাঙ্গা নিয়েও পোস্টার যাতে রাখতে পারি।
  • PT | 213.110.243.23 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১৪:৫৮566265
  • এ যে হবেই ঘুরে ফিরে এতে আর আশ্চর্য হওয়ার কি আছে। সত্যিকারের পরিবর্তন তো কেউই চাইছে বলে মনে হচ্ছে না। শুধুই তাওয়ায় রুটি সেঁকা.........!!
  • pi | 82.83.90.116 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১৮:৩৩566266
  • phebu grupe einiye kichhu tark chalachhilo. taate besh kichhu khabarzo diyechhilen sushaantadaa. ekhaane railo.

    Tashmeem Muntazir Chowdhury thats pretty sad.. is that the secularism you guys are proud of !!!
    20 hours ago · Like

    Sushanta Kar এখানে সেকুলারিজমের কিচ্ছু করবার নেই! বডোরা পৃথক রাজ্যের দাবিতে লড়ছে এমন এক এলাকা নিয়ে যেখানে তারা নিজেরাই সংখ্যালঘূ। গায়ের জোরে নিজেদের সংখ্যাগুরু করবার জন্যে এরা এর আগেও অনেক বার মুসলমান বিরোধী দাঙ্গা করেছে। সাওঁতাল আদিবাসীদের বিরুদ্ধেও সংঘাতে গেছিল। এখন অবডোরা এই রাজ্য দাবীর বিরুদ্ধে লড়ছে ।তার নেতৃত্ত্বে আছেন মুসলমান সংখ্যালঘু যাদের অধিকাংশই আসলে কৃষক। সেই রাজ্য দাবীর বিরোধীদের শিক্ষা দেবার জন্যেই এই গণহত্যা। এ অনেকটাই গুজরাট দাঙ্গার মতো। বিটিএডি প্রশাসন নিজে জড়িয়ে গেছে। অসম সরকার নির্বিকার।
    20 hours ago · Like · 2

    Sushanta Kar আপনাকে কে বলল, যে এরা বাংলাদেশী? অসমের এক চতুর্থাংশ মানুষ মুসলমান। আর বডোরা সংখ্যালঘু বলবার মানে এই নয় যে বাকিরা সব মুসলমান। বাকিদের মধ্যে আপনার জাত ভাই হিন্দু বাঙালিরাও রয়েছেন। কোচেরা রয়েছে, রয়েছে সাঁওতাল, রাভা,গারো, এবং অসমিয়ারাতো বটেই। এখন মুসলমানেরা মার খাচ্ছে, দুদিন পর আপনার জাত ভাই হিন্দু বাঙালিরাও মার খাবে অপেক্ষা করুন! ফাজলামো মারবার জায়গা পান না?
    18 hours ago · Like · 1

    Amites De আপনাকে কে বলল, যে এরা বাংলাদেশী?-opore aamar dea times of india r link taa dekhoon
    18 hours ago · Like

    Sushanta Kar আমাকে বুঝি টাইমস অব ইণ্ডিয়া পড়ে জানতে হবে আমার রাজ্যের কারা কী? সে কাজ আপনার মতো জাতি বিদ্বেষিদের । করতে থাকুন!
    18 hours ago · Like

    Sushanta Kar http://timesofindia.indiatimes.com/india/Assam-riots-Centre-rushes-1500-more-jawans-toll-rises-to-32/articleshow/15125744.cms

    Assam riots: Centre rushes 1,500 more jawans, toll rises to 32 - The Times of India
    timesofindia.indiatimes.com
    Assam riots today aggravated with 11 fresh casualties, forcing the Centre to rus...
    See More
    18 hours ago · Like ·

    Sushanta Kar মানুষ যখন মরে তখনো আপনাদের বজ্জাতি বন্ধ হয় না না? এই সব মুসলমানদের কেউ বাঙালি বলে না, সে হিন্দু বাঙালিদের স্বভাব দোষ। তারা কোত্থাও মুসলমানকে বাঙালি বলে স্বীকার করে না। আর অসমিয়ারা এদেরকে হাটে বাজারে 'বাংলাদেশি' বলে বেড়ায়। আজ অব্দি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও হাজারের বেশি বাংলাদেশি আইনের জোরে বের করতে পারে নি। বরং এই 'বাংলাদেশি'রা নিজেদের অসমিয়া বলে লেখায় বলেই অসমিয়ারা রাজ্যে সংগরিষ্ঠ হয়ে আছেন। তা না হলে আপনার কোনো জাতভাই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন। সুতরাং মনে মনে কেউ চায় না এই 'বাংলাদেশী'রা দেশ ছাড়ুক। বডোদেরও রাগ এই জন্যে যে মুসলমানেরা 'অসমিয়া' সংখ্যা বাড়িয়ে রেখেছে এবং অসমের অখণ্ডতার জন্যে লড়ছে। আপনার জাত ভাইরা তখন ঘরে বসে ভয়ে ভয়ে হরিনাম জপছেন।
    18 hours ago · Like · 1

    Sushanta Kar http://timesofindia.indiatimes.com/articleshowpics/15119535.cms

    Day in Pics - The Times of India
    timesofindia.indiatimes.com
    Ethnic violence in Assam has displaced more than 50,000 Bodo tribal people. The ...
    See More
    18 hours ago · Like ·

    Amites De aapnar prosno chhilo ''আপনাকে কে বলল, যে এরা বাংলাদেশী?''-aami tar uttar dia chhi matro? aapnar 2nd prosno ''আমাকে বুঝি টাইমস অব ইণ্ডিয়া পড়ে জানতে হবে আমার রাজ্যের কারা কী?''--- apni ki pore bujhben,ki bhabe boojhben seta aapnar bayapar. 3rd সে কাজ আপনার মতো জাতি বিদ্বেষিদের । করতে থাকুন!--jati bideshi thakle boro der pakhya nea boltam naa.--sootorang aapnar ei dharonaa tao bhool. asha kori er por jodi samalochona koren tobe jookti dea ghaton moolok samalochona koron bhalo lagbe.
    18 hours ago · Like

    Amites De ‎Sushanta Kar aapnaar link theke ekta line toole dilam ''...As new areas came under the grip of the ongoing clashes that began last week between illegal immigrants and Bodos, the state government sounded alert in Sonitpur, Baska, Kamrup (rural) and Darrang districts, official sources said...''
    18 hours ago · Like

    Sushanta Kar একটা কাগজ জানল কী করে যে এই মসুলমান সবাই অবৈধ অনুপ্রবেশ কারী? এই তথ্যতো অসমের কোনো পাগলও বিশ্বাস করবে না। বডোদের পক্ষ নিয়ে বলাটাই জাতি বিদ্বেষ! বডোরা পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী বটে, কিন্তু সাঁওতাল কোচ, মসুলমানদের থেকে নয়। এবং এরা এখন সরকারের সঙ্গে আছে। প্রশাসন এদের সঙ্গে। রাজ সরকারও তাই ঢিলে দিচ্ছে। আপনি যাদের অবৈধ বাংলাদেশী বলছেন এরাই এখন অসমের স্বার্থে লড়ছে, আপনার বডোরা নয়।
    18 hours ago · Like

    Amites De একটা কাগজ জানল কী করে যে এই মসুলমান সবাই অবৈধ অনুপ্রবেশ কারী?--er maane aapni bolte chaichhen ekjon o bangladeshi noi?
    18 hours ago · Like

    Amites De prosno taa to ulto bhabeo hote paare, aapnar kothar sotyata ki?
    18 hours ago · Like

    Sushanta Kar এটা বাজে তর্ক। এই লড়াইতে বাংলাদেশি কোনো ইস্যুই নয়। আপনি যদি অসমিয়া পড়তে পারেন,তবে এই কাগজের সম্পাদকীয় পড়ুন। এতে বলা হচ্ছে কী ভাবে 'বাংলাদেশী ছাপ্পা' ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আর এই দাঙ্গার জন্যে মূলত সরকার এবং বডো পক্ষের দিকেই আঙ্গুল দেখাচ্ছে। এই কাগজ অসমের অত্যন্ত জনপ্রিয় উগ্রজাতীয়তাবাদী কাগজ। সেও সাহস করছে না আপনার মতো ফাজলামো করতেঃhttp://anax1b.pressmart.net/asomiya/PUBLICATIONS/AS/AS/2012/07/24/ArticleHtmls/24072012004003.shtml?Mode=1

    Article
    anax1b.pressmart.net
    18 hours ago · Like ·

    Sushanta Kar অসমের বাইরের বাঙালিরা অসমের বাস্তবতা কিচ্ছু জানেন না, আপনিও তাই।
    18 hours ago · Like · 1

    Amites De অসমের বাইরের বাঙালিরা অসমের বাস্তবতা কিচ্ছু জানেন না, আপনিও তাই।--ei montyobbo ta chole kintoo সেও সাহস করছে না আপনার মতো ফাজলামো করতেঃ--fazlamor ekhane ki dekhlen,baa kon kothata fazlaamo baa yearki mone holo?
    18 hours ago · Like

    Sushanta Kar এখন অব্দি যা স্থিতি তাতে নির্লজ্জ্ব হিন্দু কাগজগুলো প্রকাশ্যে মুসলমানদের প্রশংসা করতে সাহস করছে না। এতোদিন যাদের দেশদ্রোহী বলে প্রচার দিয়ে আসছিল তারাই এখন দশ রক্ষা করছে। এই সত্য এতো তাড়াতাড়ি স্বীকার করবে কী করে? তাই আপাতত, দু'পক্ষককেই শান্তি শান্তি বলছে। অথচ ২০০৮এও এই সমস্ত কাগজ 'বাংলাদশী'র বিরুদ্ধে সরব ছিল। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বডোলেণ্ড থেকে অসমিয়া বাঙালি হিন্দুদেরও যে আগামী কাল তাড়ানো হবে এই সত্য সবাই আঁচ করতে পারছেন। স্থানীয় কাগজ পড়লেই আঁচ করা যায়।
    18 hours ago · Like

    Amites De নির্লজ্জ্ব হিন্দু কাগজগুলো--ei kagoj goolo ki ki?
    18 hours ago · Like

    Sushanta Kar আপনার তথ্য যুক্তি সবই ফাজলামো। আপনি হত্যাকারীদের পক্ষে নিয়ে কথা বলছেন!
    18 hours ago · Like

    Amites De apnar protidin kholchhenaa
    18 hours ago · Like

    Sushanta Kar সাইন আপ করুন।
    18 hours ago · Like

    Sushanta Kar ভারতে সব কাগজই হিন্দু কাগজ। আপনার মতো লোকেদেরই এখানে রমরমা!
    18 hours ago · Like

    Amites De আপনি হত্যাকারীদের পক্ষে নিয়ে কথা বলছেন-- seshes hoyjaoa jatir odhikar nea bolchhi-ar mojar bapayar holo boro raa dharme ki aami janina tai hindu hindu needhon hochhe ekbaro uchharon korini, tobe ekhon apnar kotha soone mone hochhe e boro ra hindu.
    18 hours ago · Like

    Sushanta Kar আপনার মতো লোকেদের যে দুচক্ষে দেখতে পারি না ,এ টাতো সত্যি।
    18 hours ago · Edited · Like

    Amites De ‎Sushanta Kar ভারতে সব কাগজই হিন্দু কাগজ। আপনার মতো লোকেদেরই এখানে রমরমা!--aapni mone hochhe khoob hindu biddeshi.tahole dharmo biddesh aapnaro aachhe!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!eta ki ফাজলামো noi?
    18 hours ago · Like

    Sushanta Kar আরে মশাই, আর পক্ষে যখন মুসলমান থাকে হিন্দুত্ববাদীদের চোখে আর সবাই তখন হিন্দু হয়ে যায়। হ্যা, বডোড়া হিন্দু বটে কিন্তু সে 'ব্রহ্ম' হিন্দু। খৃষ্টানও আছে প্রচুর। আর আমিতো বললামই এটা ধর্মের লড়াই নয়। আপনি সদিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। কারণ এটা করতে পারলেই হিন্দুত্ববাদীরা খুব খুশি হয়। আপনি যদি বডোরা শুধু অসমেই নেই, পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশেও আছেন। তারপেরো যে আপনি জানে না এদের সম্পর্কে এটাই হচ্ছে আপনার হিন্দুত্বের আসল স্বরূপ। বামুন কায়েত ছাড়া আর কারি বা খবর নেয় হিন্দুত্ববাদীরা! তা আপনি জানেন না বডো রা কী, আর এসছেন বডোল্যান্ড নিয়ে কথা বলতে! তাও পক্ষ নিয়ে! বডোল্যাণ্ড কিন্তু গোর্খাল্যণ্ড নয়। গোর্খাল্যাণ্ডে এরকম নির্জাতিকরণের কোনো ইতিহাস নেই। আর বডোল্যান্ডে এটাই করে আসছে গেল বিশ বছর ধরে। আজো ওখানে হাজারো সাঁওতাল শরণার্থী শিবিরে বাস করছে । বডোদের দ্বারা উচ্ছেদ হয়ে। এই হচ্ছে আপনাদের হিন্দুত্ব।
    18 hours ago · Like · 1

    Sushanta Kar আপনাকে একটা তথ্য দিই। বিজেপি অব্দি আপনার মতো ভাস্য দেবার সাহস করছে না এবারে। এরা এখন বলবে কী করে যে মুসলমান অসমকে ভাগ করতে চাইছে! বললে অসমিয়ারাই বিজেপির সঙ্গ ছাড়বে। তাই আপাতত সরকারের গায়ে দায় চাপাচ্ছে।
    18 hours ago · Like · 1

    Sushanta Kar http://www.tehelka.com/story_main53.asp?filename=Ws230712Assam.asp

    Tehelka - India's Independent Weekly News Magazine

    Hundreds have been injured and nearly 30,000 rendered homeless after clashes erupted between local tribals and immigrants
    8 hours ago · Like ·

    Amites De আপনাকে একটা তথ্য দিই। বিজেপি অব্দি আপনার মতো ভাস্য দেবার সাহস করছে না এবারে।--ETAA SWABHABIK, 33% AR KOTHAI 5% KHOMOTAR JONNO KONTA DARKAR?CHHOTO CHOOTO UPOJATI GOOLO EK SAMOY BILOPTO HOY JAABE!!!
    8 hours ago · Like

    Amit Ray ‎Amites De - it is inhuman to impute motivations to such incidents. whatever be the reason, the fact is that one group of people are killing and looting another group. please do not add to this fire when you cannot do anything to douse it
    8 hours ago · Like · 1

    Sushanta Kar ‎Amites De এবং অসমে এই মহান কাজ বডো উগ্রজাতীয়তাবাদীরা এখন স্ফলতার সঙেই করছে।
    7 hours ago · Like

    Sushanta Kar এগুলো দেখে বডোল্যান্ড রাজ্যের কথা কেনে নিন একটুঃhttp://www.sunday-guardian.com/news/dance-of-death-in-assam-aims-at-ethnic-cleansing

    Dance of death in Assam aims at ethnic cleansing

    The Sunday Guardian
    7 hours ago · Like ·

    Sushanta Kar http://www.krepublishers.com/02-Journals/T%20&%20T/T%20&%20T-04-0-000-000-2006-Web/T%20&%20T-04-1-001-076-2006-Abst-PDF/T%20&%20T-04-1-057-062-2006-088-Narzary-P-K/T%20&%20T-04-1-057-062-2006-088-Narzary-P-K-Text.pdf
    http://www.krepublishers.com/02-Journals/T%20&%20T/T%20&%20T-04-0-000-000-2006-Web/T%20&%20T-04-1-00

    7 hours ago · Like ·

    Sushanta Kar http://o3.indiatimes.com/kolkatabase/archive/2007/07/26/4753230.aspx

    Systematic ethnic cleansing in an erstwhile insurgent and now resurgent Bodoland has ensured that th
    o3.indiatimes.com
    PACT IN INDIA ASSURES SOME, INFLAMES OTHERSBy STEVEN R. WEISMAN, SPECIAL TO THE NEW YORK TIMESLast August Prime Minister Rajiv Gandhi triumphantly announced a settlement in a bitter ethnic dispute that had cost thousands of lives in the northeastern state of Assam. But now the carrying out of that a...
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ২৫ জুলাই ২০১২ ২০:০৫566267
  • গুচ'র ফেবু'র আলোচনাটি মিস করেছি। ঘটনাটি আরো বিশদে জানতে ইচ্ছে করছে। সুশান্ত কর'কেই এক্ষেত্রে বিশ্বস্ত বলে মানছি। খুব ভালো হয় তিনি এই থ্রেডে আলোচনাটি অব্যহত রাখলে। ...

    ফেবু'র আলাপচারিতাটি এখানে তুলে দেওয়ার জন্য পাই'কে ধন্যবাদ।
    http://my.anandabazar.com/content/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0-2070
  • | 24.96.69.101 | ২৫ জুলাই ২০১২ ২০:০৭566239
  • ভুল টইতে চলে গেছিল। এখানে ত্ঘাক।

    http://jugasankha.net/dib/page_1.html
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ২৫ জুলাই ২০১২ ২০:২৮566240
  • দৈনিক যুগশঙ্খের ওয়াইড লেন্সের ফটো'র দিকে তাকিয়ে স্থবির হয়ে যেতে হয়। হিংসার অনল কী দাবানল জ্বালবে না? নাকি নিভে আসবে ক্রমেই? ...দীর্ঘশ্বাস।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৫ জুলাই ২০১২ ২০:৪০566241
  • আবাপ-তে দেখেছি খবর-টা, ৩২ জন নিহত, ৫০০-টা গ্রামের ৫৫০০০ মানুষ ঘরছাড়া। ভয়াবহ অবস্থা :-(
  • চৈতালি | 129.192.206.11 | ২৫ জুলাই ২০১২ ২২:৩৩566242
  • খবরটা শোনার পর থেকেই মনটা খুব খারাপ হয়ে আছে...এখন ওখানকার পরিস্থিতি কেমন ? এই নিউজ চ্যানেল গুলোতো পণব বাবুকে নিয়ে আর নাচানাচি করে পেরে উঠলো না... উফ!!
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৫ জুলাই ২০১২ ২২:৩৬566243
  • যুগশঙ্খের ছবিটা হন্টিং।
  • শোভন | 24.99.60.118 | ২৬ জুলাই ২০১২ ০২:৪৮566244
  • আলোচনাটা দেখলাম, পড়লাম এবং বুঝলাম। সুশান্তদা এবং তাঁর আরো কিছু বন্ধুরা এটাকে একতরফা গণহত্যা বলে অভিহিত করছেন, বা করতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা তথ্য দিতে নারাজ। বে-আইনি অনুপ্রবেশকেও মানতে নারাজ! কাজেই বিশ্বাস-অবিশ্বাস প্রত্যেক পাঠকের ওপরই ছেড়ে দিলাম।

    গণ্ডগোল আরম্ভ হয়েছিল চারজন বড়ো যুবকের মৃতদেহ পাওয়ার পর। কারা এই চারজনকে হত্যা করেছিল, আমি অন্ততঃ জানি না। কিন্তু বড়োরা এটার জন্য মুসলিমদেরকে দায়ী করে বেশ কিছু গ্রামের ওপর হামলা চালায় এবং কয়েকজন বাঙ্গালি মুসলমানকে হত্যাও করে। এরপরই দুপক্ষে তুলকালাম বেঁধে যায়। যার নেট ফলাফল এখনো পর্যন্ত মিনিমাম ৪৩ জনের মৃত্যু আর ১৭০,০০০ লোক ঘরছাড়া উদ্বাস্তু। আধা-সামরিক বাহিনী নামিয়েও অবস্থা আয়ত্ত্বে না আসায়, সেনাবাহিনীকেও নামানো হয়েছে। আর যুগশংখের খবর পড়ে দয়া করে কোন ধারণা গঠন করবেন না। ওটা একটা ট্যাবলয়েডেরও অধম! সাময়িক প্রসঙ্গ পড়ে দেখতে পারেন (http://sp.karimganj.com)। যা ভাবছেন, তা কিন্তু নয়। এটা কোন বিজেপি মার্কা কাগজ নয়। এর মালিক এবং সম্পাদক হলেন তৈমুর রাজা চৌধুরী। যুগশংখের অতীন বা বিজয় নাথের মত দালাল নন।

    কারা আক্রমণ করছে, আর কারা আক্রান্ত হচ্ছে? দুপক্ষই। এটা কোনও একতরফা হত্যালীলা নয়। একটু সর্বভারতীয় চ্যানেলগুলো দেখুন, ব্যাপারটা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

    আর বড়োল্যাণ্ডে বড়োদের সংখ্যালঘু হয়ে পড়া! সেটা হয়েছে কেন? আসামের কমপক্ষে দশটা জেলার ডেমোগ্রাফিক প্রোফাইল কেনো পালটে গেছে? স্বাধীনতার সময় থেকে আজ পর্যন্ত সেনসাসের রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যায়! তা কেউ কেউ সব্বাইকেই ভারতীয় নাগরিক বলে চেল্লামেল্লি করলেও সত্য সত্যই থাকবে। এক যথেষ্ট বড় অংশই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তবে ভারতীয় বাঙ্গালি মুসলমানেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
  • সুশান্ত কর | 127.198.59.158 | ২৭ জুলাই ২০১২ ০০:৫১566247
  • এই সংঘাত মোটেও হিন্দু মুসলমান লড়াই নয়। আমি শুরু থেকে বলছি আবারো বলছি। বডো পক্ষে হিন্দু-খৃষ্টান দুইই আছেন। কিন্তু গোটা পূর্বোত্তরেই যেমন জনজাতি আধিপত্যের রাজনীতি যারা করেন তাদের অন্য অনেক লক্ষ্য থাকলেও মুসলমান এক প্রিয় টারগেট। বন্ধুদের মনে থাকবে বছর কয় আগে অরুণাচল থেকে প্রবল বাংলাদেশি বিতাড়ন শুরু হয়েছিল। পরে অসম সরকারি বলেছে,এরা সবাই ভাটি অসমের মসুলমান শ্রমিক। বডোল্যাণ্ডে আপাতত দৃশ্যত এটা বডো-মুসলমান এই দুই পরিচিতির সংঘাত এতে কোনো পক্ষেই ধর্মবিশ্বাসের কিছু করবার নেই। এটা হয়তো অনেকেই জানেন না যে প্রাক্তন বিএল টি হচ্ছে হিন্দু (ব্রহ্ম) পক্ষ, আর এন ডি এফ বি হচ্ছে খৃষ্টান পক্ষ। আমি আগেও অন্যত্র বলেছি, ২০০৮এর উদালগুড়ি দাঙ্গাতেও দেখা গেছিল, একদিকে মুসলমান-অন্যদিকে সমস্ত হিন্দু। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পুরো আলাদা। এখন বাকি সমস্ত হিন্দু নীরব। হ্যা, তাঁরা শান্তি শান্তি করছেন। কিন্তু সেগুলো আমসুর (মুসলমান) মতো সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে। বাদ দিয়ে নয়। উদালগুড়ি দাঙ্গার সময় আমসু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। এখন আবসুর মতো সংগঠনও আমসুকেই বেশি কাছে টানছে। এই দাঙ্গার উত্তেজনা মোটেও বাকি অসমে ছড়ায় নি। শিবসাগরে মানুষ উত্তেজিত রেকিবুদ্দীন হত্যা এবং সেনার হাতে দুই ছাত্রীর অপমান নিয়ে। সেখানে হিন্দু মুসলমান একজোট হয়ে বিশাল লড়াই লড়ছেন। এটা কেন হচ্ছে? সোজা কথা হচ্ছে, এখন বাকি হিন্দুরা দেখছেন এই মুসলমানেরাই বডোল্যাণ্ড আটকাবেন। বাঙালি হিন্দু সংগঠনগুলোও। আমসুর সঙ্গে এরাও আছেন অনাবডো মঞ্চে। অসমিয়ারাও। আর ঠিক তাই তরুণ গগৈ যখন বলছেন এই দাঙ্গাতে বাংলাদেশীর মদত নেই তখন মূল স্রোতের অসমীয়া কাগজ সমালোচনা করছে, এটা দেখিনি। এই সব কথা যদি কারো তাত্বিক মনে হয় আমার কিছু করবার নেই। যারা বলছেন তাদের কাছে এই তথ্য গুলো নেই। এগুলো ছাড়াই তারা 'সাদাকে সাদা' বলবার বড়াই করেন। মুসলমান তবে মার খাচ্ছে কেন? আমি মনে করিয়ে দিই, ৯০ দশকে সাওঁতালেরাও মার খেয়েছিলেন। খেয়ে কোবরা মিলিটেণ্ট ইত্যাদি গড়ে পালটা জবাব দিয়েছিলেন। তাই ওদের গায়ে সরাসরি হাত তোলবার সাহস আর হয় না। কোচেরাও মার খেতে পারতেন, কিন্তু তারাও পৃথক কামতাপুরের দাবিতে পশ্চিম বাংলা অব্দি সংগঠন গড়ে তোলেছেন। তৃতীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠীটি হচ্ছেন মুসলমান যারা সোজা অসমের অখণ্ডতার পক্ষে দাঁড়িয়ে অনাবডো আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মুসলমানের এই ভূমিকা যদি একবার ঐতিহাসিক ভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় তবে যে রাজ্যদাবীর লড়াই দুর্বল হবে তাই নয়, অসম তথা পূর্বোত্তরের রাজনীতির অনেক কিছুই পাল্টে যাবে। তাই এদেরকে শিক্ষা দেবার আয়োজন। মুসলমান জনতার মনে ভীতি ঢুকিয়ে দেয়া। ভাবা গেছিল এতে আগের মতোই দেশজোড়া হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিক এবং প্রচার মাধ্যমের সমর্থণ পাওয়া যাবে। তা গেছেও,অনেকটা। কিন্তু খেলা বিগড়ে গেছে অসমেই। আপাতত, এই সংঘাত থেমে যাবে। কিন্তু মনে হয় না, অসমের রাজনীতি আর আগের মতো থাকবে। এবারে সেণ্টার স্টেজে মুসলমান! হয় মেনে নাও, নতুবা বডোল্যাণ্ড হারিয়ে বসো। যা হবে অসমীয়াদের পক্ষে এক মরণ আঘাত।
    এবারে এই বডো,কোচ, সাঁওতাল, বাঙালি হিন্দু ( সাধারণভাবে বর্ণহিন্দু বাদ, কেননা তারা কলকাতা ফ্লাট কিনে রেখেছেন অনেকেই) সবাই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর লোক। তবে তারা এই মারা মারি করছেন এটা কী ভালো হচ্ছে? নিশ্চয়ই হচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে বডোল্যাণ্ড লড়াইকে সমর্থণ দেবেন না অন্যেরা এটাওতো স্পষ্ট। কামতাপুরেরে পক্ষেও দাঁড়ানো মুস্কিল। কারণ জায়গা প্রায় একই। ওদিকে বাকিদের ভোটের রাজনীতিতে সামান্য প্রভাব থাকলেও, বডোদের আকাঙ্খাকে অনেকটাই স্বীকৃতি দিয়ে যে শাসক শ্রেণির ছোট সহযোগী করে ফেলা হয়েছে এটাতো স্পষ্ট। তবে বাকি দের তূষ্ট করবার উপায় কী? না করলেতো লড়াই চলবেই। হিন্দু বাঙালিরাও যতটা নিরাপদে গুয়াহাটি থাকতে পারেন তত নিরাপদে নেই বডোল্যাণ্ডে। নিশ্চয় সেগুলো দীর্ঘদিনের বডোদের প্রতি বাঙালি বর্ণহিন্দুদের করা অবজ্ঞার প্রতিক্রিয়া। কিন্তু সে প্রতিক্রিয়া বড়ো সুখের নয়। নিত্যদিন দাবী ধমকি হুমকীর মুখে থাকতে হচ্ছে। যদিও বাঙালি হিন্দু ছোট জনগোষ্ঠী বলে এখনই সম্প্রদায় হিসেবে আক্রান্ত নন। তেমনি অবস্থা অসমিয়া মধ্যবিত্তদেরো। অসমিয়া ভাষা আক্রান্ত হচ্ছে । অসম সাহিত্য সভা নীরব থাকছে। শান্তি শান্তি আর মিলন মিলন বলে কোনো স্থায়ী সমাধান বেরুবে না। বডোল্যান্ড মেঘালয় নয়। মেঘালয়ে গারো খাসি সংখ্যাগুরু ছিলেন। বডোল্যাণ্ডে অবস্থা অন্যরকম। এখানে অনাবডোরাই সংখ্যাতে বেশি। সুতরাং সংঘাত রাজ্য হলেও থামবে এটা অনাবডোরা মেনে নিতে পারছেন না। তাই গড়ে উঠেছে অনাবডো সুরক্ষা মঞ্চ। রাজ্য দাবীর একতরফা বিরোধীতার মধ্যেও এর সমাধান নেই। সমাধান করতে গেলে সব জনগোষ্ঠীকে একটা সমঝোটাতে আসতে হবে, সেই সমঝোতা হলো মুখের কথাতে নয়, সাংবিধানিক ব্যবস্থার মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব সহ সমস্ত কিছুতে ছোট বড় সমস্ত জনগোষ্ঠীর অধিকার এবং আকাঙ্খাকে মর্যাদা দিতে হবে। তার জন্যে গ্রাম অব্দি আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন ,সংরক্ষণ, কোচেদের আর আদিবাসীদের জনজাতির মর্যাদাকে স্বীকার করে নিতে হবে। আর সেটি যদি সত্যি করাই যায় তবে আর অসম থেকে বেরিয়ে যাবারো দরকার থাকবে না কারো। হ্যাঁ, অনুপ্রবেশ সমস্যারও চিরদিনের জন্যে সমাধানের জন্যে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে, একে বাহানাবাজির জন্যে ব্যবহার চিরতরে বন্ধ করতে হবে। আজই দেখলাম, বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার স্বার্থে বাংলাদেশও এই নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে রাজী হয়ে গেছে। এখনি সবার মুখোস খসে পড়বে এই নিয়ে। শোভন লিখেছে, অনুপ্রবেশ একটা সমস্যা। কিন্তু ১৯৮৫তে অসম চুক্তির পরেও এতো বছরে এই সমস্যাটা টিকে আছে কেন, ও জবাব দিলে পারে। মাঝে কিন্তু ক্ষমতাতে অগপ-বিজেপি ছিল। কংগ্রেস নিজেই সেই চুক্তি করেছিল। আসলে ওটা এক বাহানা, টিকিয়ে রেখে বাহানাবাজি করতে সব্বাই ভালো বাসে। মুসলমানেরাই এখন দাবী করেন বাংলাদেশ সীমান্ত সীল করো, নাগরিক পঞ্জী চালু করো, কে শোনে কার কথা। শোভন আরো লিখেছেন ,"কারা এই চারজনকে হত্যা করেছিল, আমি অন্ততঃ জানি না। " শোভন কিন্তু এও জানে না কেন মেরেছে। আসলে গেল কয়েক সপ্তাহের অসমের যেকোন কাগজ খুললেই দেখা যেত বডোল্যাণ্ডে রাজ্যদাবী এবং তার বিরোধীদের মধ্যে ছোট খাটো সংঘাত হয়েই চলেছে। এগুলো এরই ধারাবাহিকতা। এবারে এই যে অনেকে বলছেন , এ হচ্ছে জি এস রোড কাণ্ড থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেবার ফন্দি। যদি মেনেও নেই, তাহলেও প্রশ্ন এতো বড়ো সংঘাতকে অসমিয়া মধ্যবিত্ত যে এই ঘুরিয়ে দেবার ফন্দি হিসেবে দেখছেন বা তরুণ গগৈ আর হেমন্ত বিশ্বের রাজনৈতিক সংঘাত হিসেবে এই আশ্চর্য ঘটনাও গেল কয়েক দশকের অসমের রাজনীতিতে ঘটে নি। মুসলমান তথা বাংলাদেশি গালি দেবার এতো সুবর্ণ সুযোগ প্রচার মাধ্যম বা হিন্দু মধ্যবিত্ত শ্রেণি এর আগে এভাবে ছেড়ে দেয় নি! এমনকি ৩০ অক্টোবর, ২০০৮ এ যখন রঞ্জন দৈমারীর এন ডি এফ বি তিন শহরে বোমা ফাটিয়ে প্রচুর লোক মেরেছিল তখনও গোটা অসমে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছিল প্রথমে এই বিশ্বাস থেকে যে কাজগুলো বাংলাদেশি সন্ত্রাশবাদীদের কাজ। পরে যখন ধরা পড়ল যে এটা এন ডি এফ বির কাজ তখন সবাই চুপ। হ্যা, রঞ্জন দৈমারিকে তাই আত্মসমপর্ণের পর এখনো সরকার অরবিন্দ রাজখোয়াদের মতো খোলা হাওয়াতে ঘুরে বেড়াবার অনুমতি দেয় নি। কারণ দিলে অসমিয়া মধ্যবিত্ত এটা মেনে নেবে না। শোভন বলছে যুগশঙ্খের দিকে না তাকাতে, আমি অসমিয়া কাগজের দিকে তাকাতে বলতাম। তাতে আপনারা অনেকেই বোঝবেন না। যুগশঙ্খের মজা হলো এটি সাধারণত হিন্দুত্বের পক্ষে দাঁড়ায়। কিন্তু এখন যে প্রতিবেদন দিচ্ছে তাতে মুসলমানের নামই অত্যধিক। এটা যুগশঙ্খকে দিতে হচ্ছে কেননা তারই পাঠক আছে কোকড়াঝাড়ে। সত্যি মিথ্যা তাঁরা জানেন। তাদের বিভ্রান্ত করা যাবে না। আর যদি মেনেও নিই শোভনের দাবী যে মুসলমানেরাও সমানে মারছেন, তারপরেও তর্ক আছে, প্রশাসনিক নীরবতা , যার কথা কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রসচীবও বলেছেন সেই নীরবতা বা ব্যর্থতা কার পক্ষে কাজ করেছে? কার হাতে আছে? মুসলমান পক্ষে? হাগ্রামার প্রশাসনের ভূমিকা কী? হাগ্রামা কী প্রশাসনে প্রভাব খাটাতে ব্যর্থ? প্রাক্তন বিএলটি আর এনডি এফ বি কি অস্ত্রগুলো জমা দিয়ে দিয়েছে বলে শোভনের ধারণা? তাহলে সমানে সমানে লড়াই হলো কী করে? আপনাদের কি মনে হচ্ছে আমি এক পেশে কথা বলছি? না , নানা দিক থেকে সত্যকে বের করে আনবার প্রয়াস করছি? হ্যা, মুসলমানেরা প্রতিরোধ করেছেন, এটা সত্য। কিন্তু পালিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি। যত শরণার্থী শিবির হয়েছে তার অধিকাংশই মুসলমান। আরেকতি মজার তথ্য দিই, পূর্বোত্তরে যেহেতু সামন্তীয় সমাজ জাঁকিয়ে বসবার আগেই আধুনিক পুঁজিবাদী সমাজ চেপে বসেছে জনজাতি সহ অসমিয়ারাও কৃষি জমি থেকে বেরুলেই আর কায়িক শ্রম করতে চান না। এদের মধ্যে ধোপা,নাপিত, মোটে মিস্ত্রি এগুলো নেই। এই কাজগুলো করেন হয় এই সব মুসলমান, নতুব
  • সুশান্ত কর | 127.198.59.158 | ২৭ জুলাই ২০১২ ০০:৫১566246
  • এই সংঘাত মোটেও হিন্দু মুসলমান লড়াই নয়। আমি শুরু থেকে বলছি আবারো বলছি। বডো পক্ষে হিন্দু-খৃষ্টান দুইই আছেন। কিন্তু গোটা পূর্বোত্তরেই যেমন জনজাতি আধিপত্যের রাজনীতি যারা করেন তাদের অন্য অনেক লক্ষ্য থাকলেও মুসলমান এক প্রিয় টারগেট। বন্ধুদের মনে থাকবে বছর কয় আগে অরুণাচল থেকে প্রবল বাংলাদেশি বিতাড়ন শুরু হয়েছিল। পরে অসম সরকারি বলেছে,এরা সবাই ভাটি অসমের মসুলমান শ্রমিক। বডোল্যাণ্ডে আপাতত দৃশ্যত এটা বডো-মুসলমান এই দুই পরিচিতির সংঘাত এতে কোনো পক্ষেই ধর্মবিশ্বাসের কিছু করবার নেই। এটা হয়তো অনেকেই জানেন না যে প্রাক্তন বিএল টি হচ্ছে হিন্দু (ব্রহ্ম) পক্ষ, আর এন ডি এফ বি হচ্ছে খৃষ্টান পক্ষ। আমি আগেও অন্যত্র বলেছি, ২০০৮এর উদালগুড়ি দাঙ্গাতেও দেখা গেছিল, একদিকে মুসলমান-অন্যদিকে সমস্ত হিন্দু। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পুরো আলাদা। এখন বাকি সমস্ত হিন্দু নীরব। হ্যা, তাঁরা শান্তি শান্তি করছেন। কিন্তু সেগুলো আমসুর (মুসলমান) মতো সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে। বাদ দিয়ে নয়। উদালগুড়ি দাঙ্গার সময় আমসু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। এখন আবসুর মতো সংগঠনও আমসুকেই বেশি কাছে টানছে। এই দাঙ্গার উত্তেজনা মোটেও বাকি অসমে ছড়ায় নি। শিবসাগরে মানুষ উত্তেজিত রেকিবুদ্দীন হত্যা এবং সেনার হাতে দুই ছাত্রীর অপমান নিয়ে। সেখানে হিন্দু মুসলমান একজোট হয়ে বিশাল লড়াই লড়ছেন। এটা কেন হচ্ছে? সোজা কথা হচ্ছে, এখন বাকি হিন্দুরা দেখছেন এই মুসলমানেরাই বডোল্যাণ্ড আটকাবেন। বাঙালি হিন্দু সংগঠনগুলোও। আমসুর সঙ্গে এরাও আছেন অনাবডো মঞ্চে। অসমিয়ারাও। আর ঠিক তাই তরুণ গগৈ যখন বলছেন এই দাঙ্গাতে বাংলাদেশীর মদত নেই তখন মূল স্রোতের অসমীয়া কাগজ সমালোচনা করছে, এটা দেখিনি। এই সব কথা যদি কারো তাত্বিক মনে হয় আমার কিছু করবার নেই। যারা বলছেন তাদের কাছে এই তথ্য গুলো নেই। এগুলো ছাড়াই তারা 'সাদাকে সাদা' বলবার বড়াই করেন। মুসলমান তবে মার খাচ্ছে কেন? আমি মনে করিয়ে দিই, ৯০ দশকে সাওঁতালেরাও মার খেয়েছিলেন। খেয়ে কোবরা মিলিটেণ্ট ইত্যাদি গড়ে পালটা জবাব দিয়েছিলেন। তাই ওদের গায়ে সরাসরি হাত তোলবার সাহস আর হয় না। কোচেরাও মার খেতে পারতেন, কিন্তু তারাও পৃথক কামতাপুরের দাবিতে পশ্চিম বাংলা অব্দি সংগঠন গড়ে তোলেছেন। তৃতীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠীটি হচ্ছেন মুসলমান যারা সোজা অসমের অখণ্ডতার পক্ষে দাঁড়িয়ে অনাবডো আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মুসলমানের এই ভূমিকা যদি একবার ঐতিহাসিক ভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় তবে যে রাজ্যদাবীর লড়াই দুর্বল হবে তাই নয়, অসম তথা পূর্বোত্তরের রাজনীতির অনেক কিছুই পাল্টে যাবে। তাই এদেরকে শিক্ষা দেবার আয়োজন। মুসলমান জনতার মনে ভীতি ঢুকিয়ে দেয়া। ভাবা গেছিল এতে আগের মতোই দেশজোড়া হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিক এবং প্রচার মাধ্যমের সমর্থণ পাওয়া যাবে। তা গেছেও,অনেকটা। কিন্তু খেলা বিগড়ে গেছে অসমেই। আপাতত, এই সংঘাত থেমে যাবে। কিন্তু মনে হয় না, অসমের রাজনীতি আর আগের মতো থাকবে। এবারে সেণ্টার স্টেজে মুসলমান! হয় মেনে নাও, নতুবা বডোল্যাণ্ড হারিয়ে বসো। যা হবে অসমীয়াদের পক্ষে এক মরণ আঘাত।
    এবারে এই বডো,কোচ, সাঁওতাল, বাঙালি হিন্দু ( সাধারণভাবে বর্ণহিন্দু বাদ, কেননা তারা কলকাতা ফ্লাট কিনে রেখেছেন অনেকেই) সবাই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর লোক। তবে তারা এই মারা মারি করছেন এটা কী ভালো হচ্ছে? নিশ্চয়ই হচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে বডোল্যাণ্ড লড়াইকে সমর্থণ দেবেন না অন্যেরা এটাওতো স্পষ্ট। কামতাপুরেরে পক্ষেও দাঁড়ানো মুস্কিল। কারণ জায়গা প্রায় একই। ওদিকে বাকিদের ভোটের রাজনীতিতে সামান্য প্রভাব থাকলেও, বডোদের আকাঙ্খাকে অনেকটাই স্বীকৃতি দিয়ে যে শাসক শ্রেণির ছোট সহযোগী করে ফেলা হয়েছে এটাতো স্পষ্ট। তবে বাকি দের তূষ্ট করবার উপায় কী? না করলেতো লড়াই চলবেই। হিন্দু বাঙালিরাও যতটা নিরাপদে গুয়াহাটি থাকতে পারেন তত নিরাপদে নেই বডোল্যাণ্ডে। নিশ্চয় সেগুলো দীর্ঘদিনের বডোদের প্রতি বাঙালি বর্ণহিন্দুদের করা অবজ্ঞার প্রতিক্রিয়া। কিন্তু সে প্রতিক্রিয়া বড়ো সুখের নয়। নিত্যদিন দাবী ধমকি হুমকীর মুখে থাকতে হচ্ছে। যদিও বাঙালি হিন্দু ছোট জনগোষ্ঠী বলে এখনই সম্প্রদায় হিসেবে আক্রান্ত নন। তেমনি অবস্থা অসমিয়া মধ্যবিত্তদেরো। অসমিয়া ভাষা আক্রান্ত হচ্ছে । অসম সাহিত্য সভা নীরব থাকছে। শান্তি শান্তি আর মিলন মিলন বলে কোনো স্থায়ী সমাধান বেরুবে না। বডোল্যান্ড মেঘালয় নয়। মেঘালয়ে গারো খাসি সংখ্যাগুরু ছিলেন। বডোল্যাণ্ডে অবস্থা অন্যরকম। এখানে অনাবডোরাই সংখ্যাতে বেশি। সুতরাং সংঘাত রাজ্য হলেও থামবে এটা অনাবডোরা মেনে নিতে পারছেন না। তাই গড়ে উঠেছে অনাবডো সুরক্ষা মঞ্চ। রাজ্য দাবীর একতরফা বিরোধীতার মধ্যেও এর সমাধান নেই। সমাধান করতে গেলে সব জনগোষ্ঠীকে একটা সমঝোটাতে আসতে হবে, সেই সমঝোতা হলো মুখের কথাতে নয়, সাংবিধানিক ব্যবস্থার মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব সহ সমস্ত কিছুতে ছোট বড় সমস্ত জনগোষ্ঠীর অধিকার এবং আকাঙ্খাকে মর্যাদা দিতে হবে। তার জন্যে গ্রাম অব্দি আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন ,সংরক্ষণ, কোচেদের আর আদিবাসীদের জনজাতির মর্যাদাকে স্বীকার করে নিতে হবে। আর সেটি যদি সত্যি করাই যায় তবে আর অসম থেকে বেরিয়ে যাবারো দরকার থাকবে না কারো। হ্যাঁ, অনুপ্রবেশ সমস্যারও চিরদিনের জন্যে সমাধানের জন্যে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে, একে বাহানাবাজির জন্যে ব্যবহার চিরতরে বন্ধ করতে হবে। আজই দেখলাম, বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার স্বার্থে বাংলাদেশও এই নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে রাজী হয়ে গেছে। এখনি সবার মুখোস খসে পড়বে এই নিয়ে। শোভন লিখেছে, অনুপ্রবেশ একটা সমস্যা। কিন্তু ১৯৮৫তে অসম চুক্তির পরেও এতো বছরে এই সমস্যাটা টিকে আছে কেন, ও জবাব দিলে পারে। মাঝে কিন্তু ক্ষমতাতে অগপ-বিজেপি ছিল। কংগ্রেস নিজেই সেই চুক্তি করেছিল। আসলে ওটা এক বাহানা, টিকিয়ে রেখে বাহানাবাজি করতে সব্বাই ভালো বাসে। মুসলমানেরাই এখন দাবী করেন বাংলাদেশ সীমান্ত সীল করো, নাগরিক পঞ্জী চালু করো, কে শোনে কার কথা। শোভন আরো লিখেছেন ,"কারা এই চারজনকে হত্যা করেছিল, আমি অন্ততঃ জানি না। " শোভন কিন্তু এও জানে না কেন মেরেছে। আসলে গেল কয়েক সপ্তাহের অসমের যেকোন কাগজ খুললেই দেখা যেত বডোল্যাণ্ডে রাজ্যদাবী এবং তার বিরোধীদের মধ্যে ছোট খাটো সংঘাত হয়েই চলেছে। এগুলো এরই ধারাবাহিকতা। এবারে এই যে অনেকে বলছেন , এ হচ্ছে জি এস রোড কাণ্ড থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেবার ফন্দি। যদি মেনেও নেই, তাহলেও প্রশ্ন এতো বড়ো সংঘাতকে অসমিয়া মধ্যবিত্ত যে এই ঘুরিয়ে দেবার ফন্দি হিসেবে দেখছেন বা তরুণ গগৈ আর হেমন্ত বিশ্বের রাজনৈতিক সংঘাত হিসেবে এই আশ্চর্য ঘটনাও গেল কয়েক দশকের অসমের রাজনীতিতে ঘটে নি। মুসলমান তথা বাংলাদেশি গালি দেবার এতো সুবর্ণ সুযোগ প্রচার মাধ্যম বা হিন্দু মধ্যবিত্ত শ্রেণি এর আগে এভাবে ছেড়ে দেয় নি! এমনকি ৩০ অক্টোবর, ২০০৮ এ যখন রঞ্জন দৈমারীর এন ডি এফ বি তিন শহরে বোমা ফাটিয়ে প্রচুর লোক মেরেছিল তখনও গোটা অসমে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছিল প্রথমে এই বিশ্বাস থেকে যে কাজগুলো বাংলাদেশি সন্ত্রাশবাদীদের কাজ। পরে যখন ধরা পড়ল যে এটা এন ডি এফ বির কাজ তখন সবাই চুপ। হ্যা, রঞ্জন দৈমারিকে তাই আত্মসমপর্ণের পর এখনো সরকার অরবিন্দ রাজখোয়াদের মতো খোলা হাওয়াতে ঘুরে বেড়াবার অনুমতি দেয় নি। কারণ দিলে অসমিয়া মধ্যবিত্ত এটা মেনে নেবে না। শোভন বলছে যুগশঙ্খের দিকে না তাকাতে, আমি অসমিয়া কাগজের দিকে তাকাতে বলতাম। তাতে আপনারা অনেকেই বোঝবেন না। যুগশঙ্খের মজা হলো এটি সাধারণত হিন্দুত্বের পক্ষে দাঁড়ায়। কিন্তু এখন যে প্রতিবেদন দিচ্ছে তাতে মুসলমানের নামই অত্যধিক। এটা যুগশঙ্খকে দিতে হচ্ছে কেননা তারই পাঠক আছে কোকড়াঝাড়ে। সত্যি মিথ্যা তাঁরা জানেন। তাদের বিভ্রান্ত করা যাবে না। আর যদি মেনেও নিই শোভনের দাবী যে মুসলমানেরাও সমানে মারছেন, তারপরেও তর্ক আছে, প্রশাসনিক নীরবতা , যার কথা কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রসচীবও বলেছেন সেই নীরবতা বা ব্যর্থতা কার পক্ষে কাজ করেছে? কার হাতে আছে? মুসলমান পক্ষে? হাগ্রামার প্রশাসনের ভূমিকা কী? হাগ্রামা কী প্রশাসনে প্রভাব খাটাতে ব্যর্থ? প্রাক্তন বিএলটি আর এনডি এফ বি কি অস্ত্রগুলো জমা দিয়ে দিয়েছে বলে শোভনের ধারণা? তাহলে সমানে সমানে লড়াই হলো কী করে? আপনাদের কি মনে হচ্ছে আমি এক পেশে কথা বলছি? না , নানা দিক থেকে সত্যকে বের করে আনবার প্রয়াস করছি? হ্যা, মুসলমানেরা প্রতিরোধ করেছেন, এটা সত্য। কিন্তু পালিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি। যত শরণার্থী শিবির হয়েছে তার অধিকাংশই মুসলমান। আরেকতি মজার তথ্য দিই, পূর্বোত্তরে যেহেতু সামন্তীয় সমাজ জাঁকিয়ে বসবার আগেই আধুনিক পুঁজিবাদী সমাজ চেপে বসেছে জনজাতি সহ অসমিয়ারাও কৃষি জমি থেকে বেরুলেই আর কায়িক শ্রম করতে চান না। এদের মধ্যে ধোপা,নাপিত, মোটে মিস্ত্রি এগুলো নেই। এই কাজগুলো করেন হয় এই সব মুসলমান, নতুব
  • সুশান্ত কর | 127.198.59.158 | ২৭ জুলাই ২০১২ ০১:০৬566250
  • নতুবা ঝাড়খন্ডী আদিবাসি, নতুবা বিহারি হরিজন। আর এই প্রত্যেকটা জনগোষ্ঠীই অত্যন্ত সস্তা দরে শ্রম দেন। শ্রমের জন্যে এদের ডাক পড়ে, আবার সময় হলে মেরে কেটে তারিয়তেও দেয়া হয়? কেন তাড়ানো হয় কেন? দুটো কারণ, তাতে এইসব শ্রমিকদের দর কষাকষির ক্ষমতা কমে যায়। এতো ভয়ে ভয়ে থাকে যে ৫০০টাকার কাজ করিয়ে আপনি ১০০ টাকা ধরিয়ে দিতে পারেন। রিক্সাওয়ালাকে যা বেটা বাংলাদেশি বলে আপনি টাকা না দিয়েও চলে যেতে পারেন। আর দুই হলো, এরা স্থায়ী হয়ে গেলে স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে দেবেন এবং আধিপত্যকামী জনগোষ্টীর স্বার্থ ব্যহত করবেন এই ভয় লেগেই থাকে। এহলো অর্থনীতি আর রাজনীতির সংঘাত। বিশ্বহিন্দু পরিষদের মন্দিরগুলো তৈরি করতেও তথাকথিত বাংলাদেশী শ্রমিকেরই ডাক পড়ে--এই হলো মজা! বডোল্যাণ্ড থেকে প্রচুর মুসলমান আগেকর দাঙ্গাগুলোর সময়ে চলে গেছিলেন। অসমের অন্যত্র। কয়েক হাজার এখনো শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। কিন্তু বডোল্যাণ্ড টেরিটরিয়েল এরিয়া হবার পর অনেক পরিকাঠামোর কাজ হচ্ছে। তাতে বডো যুবকেরা মাঠ ছেড়ে ঠিকাদারিতে হাত দিচ্ছেন। শ্রমিক হিসেবে মুসলমান ফিরে আসছেন, মুসলমান আর আসছেন এদের ফাঁকা ধানের মাঠে চাষাবাদ করতে। সঞ্জীব বরুয়ার একটা বই পড়েছিলাম অনেক আগে। তিনি লিখেছিলেন এই 'অনুপ্রবেশকারী' চাষারা গোটা পূর্বোত্তরে এক নতুন কৃষি বিপ্লব নিয়ে এসছেন। পাহাড়েও ঝুম চাষের জায়গাতে এরাই গিয়ে ভূমি শ্রমিক হয়ে স্থায়ী চাষাবাদের প্রচলন করছেন। সুতরাং শোভনের আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়ে জানাই, একাংশ বডো রাজনীতিবিদ এই মুসলমানকে তাড়ালেন বটে, অন্য অংশ দু'দিন পরেই আবার এদের ডেকেও আনবেন। মুসলমানের হাত থেকে অসমের গ্রামীণ অর্থনীতির এমন কি , আধুনিক উন্নয়ন কামী অর্থনীতিরও কোনো সহজ মুক্তি নেই। কারণ শ্রমের এরাই মূলত মালিক। কোনো ভট্টাচার্য, চক্রবর্তী, কর, ধর, বরঠাকুর, গগৈ, ব্রহ্ম, বসুমাতারি কায়িক শ্রম করে না! হ্যা, করত ধান চাষ ছাড়াও কিছু কিছু তাঁত শিল্পের কাজতো ছিলই । কিন্তু সেগুলোও এখন কলের কাপড় নিয়ে গেছে। আর ছিল পুরোনো ধরণের ঘর বানাবার শ্রম। আজকাল আর সি সি-র যুগে আসাম টাইপ ঘরি উড়ে গেছে, অন্য জনজাতীয় ঘরবাড়ির আর কিবা কথা! আর সি সি পাকা ঘর? মুসলমান ছাড়া কে বানাবে? আমি জানি না। শোভন জানে কি কিছু?
  • সুশান্ত কর | 127.198.59.158 | ২৭ জুলাই ২০১২ ০১:০৬566248
  • নতুবা ঝাড়খন্ডী আদিবাসি, নতুবা বিহারি হরিজন। আর এই প্রত্যেকটা জনগোষ্ঠীই অত্যন্ত সস্তা দরে শ্রম দেন। শ্রমের জন্যে এদের ডাক পড়ে, আবার সময় হলে মেরে কেটে তারিয়তেও দেয়া হয়? কেন তাড়ানো হয় কেন? দুটো কারণ, তাতে এইসব শ্রমিকদের দর কষাকষির ক্ষমতা কমে যায়। এতো ভয়ে ভয়ে থাকে যে ৫০০টাকার কাজ করিয়ে আপনি ১০০ টাকা ধরিয়ে দিতে পারেন। রিক্সাওয়ালাকে যা বেটা বাংলাদেশি বলে আপনি টাকা না দিয়েও চলে যেতে পারেন। আর দুই হলো, এরা স্থায়ী হয়ে গেলে স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে দেবেন এবং আধিপত্যকামী জনগোষ্টীর স্বার্থ ব্যহত করবেন এই ভয় লেগেই থাকে। এহলো অর্থনীতি আর রাজনীতির সংঘাত। বিশ্বহিন্দু পরিষদের মন্দিরগুলো তৈরি করতেও তথাকথিত বাংলাদেশী শ্রমিকেরই ডাক পড়ে--এই হলো মজা! বডোল্যাণ্ড থেকে প্রচুর মুসলমান আগেকর দাঙ্গাগুলোর সময়ে চলে গেছিলেন। অসমের অন্যত্র। কয়েক হাজার এখনো শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। কিন্তু বডোল্যাণ্ড টেরিটরিয়েল এরিয়া হবার পর অনেক পরিকাঠামোর কাজ হচ্ছে। তাতে বডো যুবকেরা মাঠ ছেড়ে ঠিকাদারিতে হাত দিচ্ছেন। শ্রমিক হিসেবে মুসলমান ফিরে আসছেন, মুসলমান আর আসছেন এদের ফাঁকা ধানের মাঠে চাষাবাদ করতে। সঞ্জীব বরুয়ার একটা বই পড়েছিলাম অনেক আগে। তিনি লিখেছিলেন এই 'অনুপ্রবেশকারী' চাষারা গোটা পূর্বোত্তরে এক নতুন কৃষি বিপ্লব নিয়ে এসছেন। পাহাড়েও ঝুম চাষের জায়গাতে এরাই গিয়ে ভূমি শ্রমিক হয়ে স্থায়ী চাষাবাদের প্রচলন করছেন। সুতরাং শোভনের আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়ে জানাই, একাংশ বডো রাজনীতিবিদ এই মুসলমানকে তাড়ালেন বটে, অন্য অংশ দু'দিন পরেই আবার এদের ডেকেও আনবেন। মুসলমানের হাত থেকে অসমের গ্রামীণ অর্থনীতির এমন কি , আধুনিক উন্নয়ন কামী অর্থনীতিরও কোনো সহজ মুক্তি নেই। কারণ শ্রমের এরাই মূলত মালিক। কোনো ভট্টাচার্য, চক্রবর্তী, কর, ধর, বরঠাকুর, গগৈ, ব্রহ্ম, বসুমাতারি কায়িক শ্রম করে না! হ্যা, করত ধান চাষ ছাড়াও কিছু কিছু তাঁত শিল্পের কাজতো ছিলই । কিন্তু সেগুলোও এখন কলের কাপড় নিয়ে গেছে। আর ছিল পুরোনো ধরণের ঘর বানাবার শ্রম। আজকাল আর সি সি-র যুগে আসাম টাইপ ঘরি উড়ে গেছে, অন্য জনজাতীয় ঘরবাড়ির আর কিবা কথা! আর সি সি পাকা ঘর? মুসলমান ছাড়া কে বানাবে? আমি জানি না। শোভন জানে কি কিছু?
  • সুশান্ত কর | 127.198.59.158 | ২৭ জুলাই ২০১২ ০১:৫৭566251
  • অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে বলবার সুযোগ আসাম ট্রিবিউন ছাড়ে না কখনো। এই আসাম ট্রিবিউন কী বলছে দেখুনঃ :http://www.assamtribune.com/scripts/showpage.asp?id=jul2712%2C6%2C87%2C1230%2C330%2C942
  • pi | 138.231.237.8 | ২৭ জুলাই ২০১২ ০৫:০৭566252
  • সুশান্তদার পোস্টে অনেক কিছু কিছুটা স্পষ্ট হল। আসামের রাজনীতি কী জটিল !
  • ডিডিটি | 135.20.82.164 | ২৭ জুলাই ২০১২ ১২:১৬566253
  • ২০ তারিখের ৪ জন বোড়ো যুবক না। আগুন ধিকিধিকি জ্বলছিল অনেকদিন ধরে। ৬ জুলাইয়ে ২ জন Bodoland Minority Students Union এর কর্মী খুন হয়। তার আগে থেকে BTAD অঞ্চলের অবোড়োরা বোড়ো সংগঠণগুলোর জোরজুলুমের বিরুদ্ধে মিটিং, প্রতিবাদ করছিলেন। গত মাসে গুয়াহাটিতে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছিল মনে পড়ে। প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি। বোড়ো জংগী সংগঠণগুলোর হাতে ভালই আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। NDFB-র একটা অংশ এখনো ভারত সরকারের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। অস্ত্রগুলোর কয়েকপিস extortion-এ ব্যবহার হলে আশ্চর্য হবার কিছু নেই।

    http://www.thehindu.com/todays-paper/tp-national/article3671357.ece

    http://www.firstpost.com/india/assam-riots-violence-was-in-the-air-but-govt-missed-the-signs-388471.html

    [শোভনবাবুর পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে]
  • শ্রাবণী | 127.239.15.102 | ২৭ জুলাই ২০১২ ১৭:০৬566254
  • কালকে আসাম ট্রিবিউনের বড়ুয়া আর হিন্দুর প্রবীণ স্বামী তো বেশ ভালো বলল। এই রায়ট প্রথমবার হচ্ছেনা, অনেকদিন ধরে বারবার হচ্ছে, তবু সেইভাবে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি কোনোদিন। ২০০৮ বা তার আগের রায়টের লোকেরাই এখনো রিলিফ ক্যাম্পে আর সেইসব ক্যাম্পের অবস্থাও বেশ খারাপ!
    ২০০৮ এর পরে একটা কমিটিও হয়েছিল কিন্তু সরকার সিম্পলি সেই কমিটির রিপোর্টের ওপর বসে থেকেছে।
    সবচেয়ে বিরক্তি লাগে বিজেপির বক্তব্যগুলো শুনলে!
  • সুশান্ত কর | 127.198.52.192 | ২৭ জুলাই ২০১২ ১৯:০৯566255
  • ‎"পিল্লাইয়ের কথায়, “স্বশাসিত পরিষদে বড়ো-রাই বিশেষ সুবিধা, রাজনৈতিক ক্ষমতা ভোগ করে। তবে ওঁরা সকলকে নিয়েই চলার চেষ্টা করেন। কারণ ওঁরা জানেন যে, ওঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নন। মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪০% বড়ো জনগোষ্ঠীভুক্ত। বড়ো-রা ছাড়া ওখানে বাঙালি, নেপালি, সাঁওতাল, ছোট ছোট আদিবাসী গোষ্ঠীও রয়েছে।”
    " পিল্লাইএর এই বক্তব্যের মধ্যে সত্যও আছে ফাঁকিও আছে।( আনন্দবাজার সম্পাদকীয়ঃhttp://www.anandabazar.com/27desh4.html) 80% বডো এটা সত্য। এরা রাজনৈতিক ক্ষমতা ভোগ করেন এটাও সত্য। 'তবে ওরা সকলকে নিয়ে চলার চেষ্টা করেন' এটা মিথ্যে। মিলিয়ে চলা মানে ধমকে ঠাণ্ডা রেখে। আর নতুবা এরকম নৃতাত্বিক সাফাই অভজিযান চালিয়ে। Biplob Rahman অসমের অবস্থাটা আপনাদের দেশের মতো হয়েও অনেকটা ভিন্ন। আপনার দেশে যে বাঙালি মুসলমান শাসনে আছেন তাদেরই সবচ'এ দরিদ্র অংশটি এক কালে অসমে এসছিলেন ময়মন সিংহ থেকে অসমে চাষাবাদের জন্যে। তখন অবশ্যি গোটা বাংলাদেশেই মুসলমান মূলত কৃষক ছিলেন। সেই থেকেই এরা এখানে কেবল কৃষকই থেকে যান নি, এদের বিরুদ্ধে মায়ান্মারের রোহিঙিয়ার মতো প্রচার দিয়ে সবচে অস্পৃশ্য এক শ্রেণি করে রাখা হয়েছে। দেশভাগের আগে থেকেই একাংশ প্রচার চালাচ্ছিলেন এরা থাকতে অসমীয়ার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। ৭৯ থেকে ৮৫ অসম আন্দোলনেরও মূল বিষয় ছিল এই। বলা হয়, এরা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে আসছেন। এরা ইসলামী স্তান বানাবেন ইত্যাদি হাজারো অপপ্রচার আছে। আজলে কোনো অব্দি যত বাংলাদেশি আইনত বের করা গেছে তার সংখ্যা ১০০০ ছাড়াবে না। খরচ কিছু কয়েক হাজার কোটি টাকা।মোদ্দা কথা এই সব প্রচার দিয়ে এদের সস্তা শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার খুব সজজ হয়। আইনত এদের ভোটাধিকার থাকলেও সামাজিক অধিকার এদের প্রায় শূণ্য। আপনাদের দেশের আদিবাসিদের মতোই। কেবল রাষ্ট্র নয় বর্ণহিন্দু অপপ্রচার এবং সেই প্রচারে প্রভাবিত জনজাতিদেরকেও ভয় করে বাস করতে হয় এদের। জনজাতিদের অবস্থাও যে খুব ভালো তা নয়। এরাও অতিদরিদ্র। ইতিহাসের দীর্ঘ পর্যায় জুড়ে এরা যেমন বাংলাদেশে, উত্তর বাংলাতে তেমনি অসমে বা পূর্বোত্তরেও নানা ভাবে বঞ্চিত। কিন্তু এখানে কিন্তু আছে। এখানে হাজার রকমের জনজাতি বাস করেন। এদেরই মধ্যে আপাত সংখ্যাতে বেশি যারা তাদের সঙ্গে আপোস করে শাসনের সহযোগী করে নেবার চাল চিরদিনই চালিয়ে গেছে ভারতীয় বা স্থানীয় বর্ণহিন্দু শাসক শ্রেণি। তাই ইতিমধ্যে গড়ে উঠা বহু জনজাতীয় রাজ্যেই ছোট জনজাতিয়দের দাবিয়ে রাখার কাজ বড়ো জনজাতিয়রাই করেন। যেমন কোচেদের জনজাতি বলে কোনো স্বীকৃতি নেই। এই দাবী জানালে বডোরাই এর বিরোধিতা করেন। বডোদের স্বশাসন দিয়ে তাদের শাসনের সহযোগী করে ফেলা হয়েছে। যেমন গোর্খাল্যাণ্ডে গোর্খাদের সহযোগী করে লেপচা ভুটিয়াদের দাবিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সমস্ত জনজাতীয় এবং সংখ্যালঘু ঐক্য যাতে না গড়ে উঠে এটা ভারতীয় শাসক শ্রেণি সুকৌশলে সুনিশ্চিত করে। আর আমাদের বন্ধু Amites Deর মতো বাঙালি-বিহারি-মারাঠি-গুজরাটি-অসমিয়া বর্ণহিন্দু শ্রেণিটি এই সুকৌশল খুব পছন্দ করেন। গোটা পূর্বোত্তরে প্রায় সমস্ত জাতি জনজাতিদের উগ্রপন্থী গোষ্ঠী ছিল বা আছে। ব্যতিক্রম কেবল বাঙালি হিন্দু মুসলমান। কিন্তু মুসলমানের বিরুদ্ধে টানা প্রচার আছে এরা আই এস আই-এর হয়ে কাজ করে, উগ্রপন্থীদের মদত দেয় ইত্যাদি। এগুলো মিথ্যাচারীদের প্রচার মাত্র। কারণ মুসলমানেরা যাদের থেকে মার খায় তাদের কেন মদত দিতে যাবেন? কিন্তু কেবল বিজেপি নয়, বহু বামেরাও এই প্রচারে সিদ্ধহস্ত। প্রচার মাধ্যমের কথাতো বলেই লাভ নেই। অসমে আলফা এন ডি এফ বি- যখন গোলাগুলি ইত্যাদি করত তখন বহু হিন্দু বাঙালি 'ভদ্রলোক'ও বলে বেড়াতো এগুলো মুসলমানের কাজ। অথচ এই সব উগ্রপন্থীদের হাতে কিছু বাঙালি হিন্দু কেন অসমিয়া সহ সংশ্লিষ্ট জনগোষ্টীর নেকেও মারা গেছেন বা যান। এন ডি এফ বি আর বি এল টি নিজেদের মধ্যেও প্রচুর মারামারি করেছে। তবু আমাদের শোভনের মতো বন্ধুরা শেষ অব্দি মুসলমানের দোষ দেখবেন ই! এতেতো বোঝা যায় এরা সমস্যার গভীরে যেতে মোটেও আগ্রহী নয়। মুসলমান এদের প্রচারকে পুষ্ট করে গেলেই এরা তাত্বিক সন্তুষ্টি লাভ করেন।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ২৯ জুলাই ২০১২ ১৯:০৫566256
  • গুচ'র ফেবুতে বরাবরই দেখেছি উগ্র জাতীয়তাবাদীরা গণতন্ত্র এবং আরো হেনো-তেনো নানা তন্ত্রের খোলসের ভেতর কিছুদিন ঘাপটি মেরে থাকেন।

    সময় মতো তারা ঠিক জাতপাত-ধর্ম-দেশ এই সব মহা মহা ইস্যু নিয়ে শোরগোল তুলে বাজার মাত করতে মাথাটি কচ্ছপের মতো বের করেন।

    তবে শেষ পর্যন্ত ফেবু ফেকি বাহিনীসহ হৃদকমল/ আবুল খায়ের/ ‌অ্যাপোলো/ রতন মজুমদার কোং শুভ বুদ্ধির মানুষদের কাছে পরাস্ত হন; হালে পানি না পেয়ে পিটটান দেন এই যা রক্ষা।

    এইসব ট্রাশদের সঙ্গে বিতর্ক চলে না; এরা রিসাইক্লিন যোগ্য নয়। (খুব খেয়াল করে)

    অসম পরিস্থিতি নিয়ে নিরন্তর লিখে যাওয়ার জন্য সুশান্ত করকে সাধুবাদ জানাই।
  • h | 127.194.238.179 | ২৯ জুলাই ২০১২ ২১:৫০566257
  • সুশান্ত দাকে অভিনন্দন ও প্রশ্নঃ

    আসামের বাংলা ভাষা আন্দোলন কি এসেনশিয়ালি বাংলা ভাষী হিন্দু দের আন্দোলন?
  • Guest | 118.7.11.205 | ২৯ জুলাই ২০১২ ২১:৫৯566258
  • হৃদকমল Facebook e kothay lekhe ? FB_GC te or lekha chokhe poreni.
  • pi | 82.83.90.116 | ২৯ জুলাই ২০১২ ২২:৩৪566259
  • আগে নিয়মিত লিখতেন। গোড়ার দিকের পোস্ট দেখলে পাবেন।
    সাইটেও কয়েকবার লিখেছিলেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন