এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • The Little Prince : Antoine De Saint-Exupery

    I
    বইপত্তর | ২৬ এপ্রিল ২০১২ | ১৩২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • byaang | 122.167.92.27 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৭542794
  • হাত খুলে লেখ। মাদুর পেতে বসলাম। আমার আর আমার ছেলের দুজনেরই সবচেয়ে প্রিয় বইগুলির একটা হল এই বইটা। আর তুমি লিখছ বলে আগ্রহটা আরো বেশি বেড়ে গেল।।
  • I | 14.99.127.182 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪১542805
  • ১৯৪৩ সালে লেখা এই বইটা হয়তো অনেকেরই পড়া। একগাদা ভাষায় অনুবাদ হয়ে আছে, একই ভাষায় অনেকবার। বাংলা অনুবাদ থাকা আশ্চর্য নয়। তবু অনুবাদ মক্সো করতে বসা। তার কারণ এই যে বইটা বড় ভালো। ভালো জিনিষ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইচ্ছে করে। আবার পড়লে ক্ষতি কি? অনুবাদ করতে থাকলে অনুবাদকেরও একটু মন-টন ভালো হয়, হাত সুড়সুড়ানি কমে। সেটা কি কম কিছু বলে মনে করেন?
  • I | 14.99.127.182 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:০৩542816
  • লিঁও ওয়ার্থকে :

    ছোটদের জন্যে লেখা এই বইটা একজন বড়'র হাতে তুলে দিলাম। ছোটরা কিন্তু তারজন্যে আমার ওপর রাগ করতে পারবে না। কেন বলো তো? আসলে এই বড় মানুষটা হচ্ছে দুনিয়াতে আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। দু নম্বর কথা, এ মানুষটা সব কিছু বোঝে, এমনকি বাচ্চাদের বই পর্যন্ত। আর তিন নম্বর ব্যাপার হল , লোকটা তো ফ্রান্সে থাকে, সেখানে ওর খুব খিদে পায়;শীতে থরথর করে কাঁপে। ওকে একটু চাঙা করা দরকার।
    এখনো মুখ ভার? আচ্ছা, তা'লে আমি এই বইটা সেই ছোট বাচ্চাটাকে দিলাম , যার থেকে এই বড় মানুষটা এসেছে। বড়রা তো সব্বাই একসময় ছোট থাকে; অথচ সে সব তারা বেমালুম ভুলে যায়। খুব অল্প লোকে মনে রাখে।

    তাহলে এই ঠিক হল। ঠিকঠাক করে লিখে দিলাম:

    এই বইটা লিঁও ওয়ার্থ নামের লোকটাকে দেওয়া হল
    যখন সে খুব ছোট্ট ছিল

    A.DE S.-E.,1944
  • I | 14.99.127.182 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৪৬542824
  • আমার যখন বছর-ছয়েক বয়স, তখন একটা বই পড়েছিলাম। বইটার নাম "সত্যি গল্প', আদিম বন-জঙ্গল নিয়ে লেখা। তাতে একটা খুব সুন্দর ছবি ছিল-একটা অজগর সাপ কি-একটা জন্তুকে ধরে গিলে খাচ্ছে। এই দেখ সেই ছবি-

    বইতে লিখেছে-"অজগর সর্প তাহার শিকারকে ধরিয়া না-চিবাইয়া পুরা গিলিয়া খায়। তাহার পর সে আর নড়াচড়া করিতে পারে না, ছয়মাস অবধি নিদ্রাগ্রস্ত রহিয়া শিকারকে জীর্ণ করে।'
    বাবা! জঙ্গলে কী সব কাণ্ডকারখানা চলে ভাবো ! এইসব নিয়ে একটা ছবি আঁকলে কেমন হয় বলো দিকি? সাত-পাঁচ ভেবে আমি রং পেন্সিল দিয়ে আস্ত একটা ছবিই এঁকে ফেললাম। এই যে, আমার এক নম্বর ছবি-

    খাসা ছবি ! এবার এটা নিয়ে বড়দের দেখাতে হবে। বড়রা কী ভয় যে পাবে !

    বড়রা কিন্তু একটুও ভয় পেল না। বলে- "ও মা ! টুপির ছবি দেখে ভয় পাবো কেন?'
    মোটেও আমি টুপির ছবি আঁকি নি ! ওটা একটা অজগর সাপের ছবি , একটা আস্ত হাতিকে গিলে খেয়েছে। এবার আস্তে আস্তে হাতি-বাবাজি হজম হচ্ছেন। তখন আমি আর একটা ছবি আঁকলাম, এবার অজগর সাপের ভেতরটা, যার মধ্যে হাতিটা পোরা রয়েছে। নইলে কি আর বড়দের বোঝানো যাবে ! যা নিরেট মাথা ! সব কিছু ব্যাখ্যান করে বলা চাই। দ্যাখো, দু-নম্বর ছবিখানা !
  • achintyarup | 115.111.248.134 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০৪542825
  • বল্লে বিশ্বাস করবে না ডাগদার, কাল রাতে বাস্ক থেকে বই বার করতে করতে হাতে উঠে এল ছোট্ট রাজপুত্তুর। ধুলোর মত গুঁরো ঝরে পড়ছে পাতা খুললেই। মলিন মলাট, অজস্র ফুটো করেছে পোকায়। হাত বুলিয়ে ঝেড়েঝুড়ে মাথার কাছটিতে তুলে রাখলুম।

    ছেলেবেলায় হিমের সকালে যখন পড়তে যেতুম অন্য গাঁয়ের মাস্টারের কাছে, তখন বাসে যেতে যেতে আর ভোরের পথে হাঁটতে হাঁটতে প্রথমবার পড়েছিলাম ওই বই। একদিন এই ভাবে পথ হাঁটার সময় সাইকেল চাপা পড়তে পড়তে বেঁচে গিয়েছিলাম। অচেনা এবং বিরক্ত সাইকেল আরোহী বলেছিলেন, বাড়িতে পড়াশুনো করে না, আবার রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে পড়া হচ্ছে!
  • I | 14.99.127.182 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:২০542826
  • বড়রা কিন্তু মোটেও খুশি হল না । বলে কিনা- হুঁ :, অজগর সাপ আঁকা হয়েছে! ভেতর থেকে, বাইরে থেকে.... মরে যাই ! ঐসব আঁকা-টাকা ছাড়ান দে দিকিন-অঙ্ক কষ গে যা ! ব্যাকরণ মুকস্ত হয়েছে? ইতিহাস-ভূগোল পড়লি কিনা বল।
    কি জানিস ভাই, ছেড়েই দিলাম আঁকাআঁকি। মাত্তর ছ-বছর বয়সে। অত ভালো হাত ! ক্যায়সা ছবি বাগিয়েছিলাম ! নাম পেল না। আরে, বড়রা এসব বুঝলে তবে তো ! ছোটরা আর কাঁহাতক পারে ! সব কিছু যদি বারবার বুঝিয়ে বলতে হয় ।

    কি করবো, অন্য একটা কাজ দেখতে হল। এরোপ্লেন চালানো। সারা দুনিয়া চক্কর খেয়েছি। ভূগোলের বিদ্যে বেশ কাজে দিয়েছে কিন্তু। এক ঝলক দেখেই ঝাঁ করে বলে দিতে পারি-এইটা চীনদেশ না অ্যারিজোনা। বিদ্যে ভালো না? রাত্তিরবেলা হারিয়ে গেলে খুব কাজে আসে।

    ফলে হয়েছে কি, জীবনটা শুধু গোমড়ামুখোদের সঙ্গে কারবার করেই কাটল। যেখানেই যাই, সেখানেই বড়রা। ছ্যা: ! এত তো দেখলাম, সব কটা সমান ইয়ে।

    কস্মিৎ কদাচিৎ যদি এক-আধজনাকে দেখে ওরিমধ্যে একটু বুঝদার মনে হত, আমি তাদের আমার এক নম্বর ছবিটা খুলে দেখাতাম; ছবিটা আমার সঙ্গে সঙ্গেই থাকত কিনা ! আসলে ওটা বড়-ধরার পরীক্ষা। তা কেউ পাশ করলে তবে তো ! যাকেই দেখাই, সেই বলে-টুপির ছবি তো, না? আমিও আর কথা বাড়াই না। অজগর সাপ, আদিম জঙ্গল, তারা-টারা , এসব বললেই হয়েছে ! তার চেয়ে বাবা তাদের সঙ্গে ব্রিজ খেলা, গল্ফ খেলা, রাজনীতি আর নেকটাই নিয়ে গল্প করি। তারাও খুশী, একটা বুদ্ধিমান সঙ্গী পেয়েছে।
  • Blank | 59.93.199.118 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:২২542827
  • খুব ভাল লাগছে ইন্দো দা
  • Nina | 12.149.39.84 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:২৫542828
  • বসলুম পাটি পেড়ে আমিও---
  • ppn | 112.133.206.20 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:২৬542829
  • ইন্দো লেখ। আমি সেই ক্লাস সেভেনে পড়েছিলাম। আনন্দমেলায় বেরিয়েছিল। এখনো ঘোর কাটল না।
  • achintyarup | 115.111.248.134 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:২৮542795
  • হুঁ।
  • achintyarup | 115.111.248.134 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:২৯542797
  • এইটে কে জানাতে বলেছিল অপ্পনে্‌ক শুনি? তবে সেই অনুবাদের চেয়ে অনেক ভাল ডাগদারের লেখা।
  • kk | 107.3.243.18 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:২৯542796
  • এইটা খুব ভালো একটা কাজ করছো ইন্দোদা। প্লিজ মাঝপথে থামিয়ে দিওনা।
  • hu | 12.34.246.72 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:৩৭542798
  • হ্যাঁ, বড্ড ভালো ডাকতারদাদার লেখা। প্লিজ শেষ কোরো।
    আর অচিন্ত্যদার এইটুকুনি আঁচড় - সেও যেন মামজোয়ানের রাস্তায় সেই কিশোরের ছবি। বেশি বেশি করে কেন যে লেখে না এরা!
  • kallol | 115.241.28.19 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:৩৮542799
  • আমার প্রিয় বইগুলোর একটা। আমার একটা গানে ছোট্ট রাজপুত্তুরের পৃথীবীতে আসার পথে যে ছোট ছোট গ্রহেরা পড়েছিলো তাদের কথা এসেছে, গল্প বলার মতো করেই।
    ইন্দো - চালিয়ে লেখো।
  • I | 14.99.127.182 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০১:০৬542800
  • তো, কী আর করবো, একা একাই থাকতাম। কারুর সঙ্গে কথা-টথা বিশেষ বলতাম না। তারপর একদিন ... ছ বছর আগে একদিন ....সাহারা মরুভূমি'র মাঝখানটায় প্লেনটা অ্যাক্সিডেন্ট করে বসল। ইঞ্জিন বিগড়ে গেছে, ভাবো! একটা প্যাসেঞ্জার অবধি নেই, সারাইওলা দূরে থাক, থাকার মধ্যে আছি শুধু আমি। ও যা ঠিকঠাক করবার সব নিজেকেই করতে হবে। ইঞ্জিন সারাই। কঠিন কাজ! তা বলে পারব না ভাবছো বুঝি ! মরণ-বাঁচন কারবার বাবা ! সঙ্গে যা খাবার জল আছে, তা দিয়ে তো কুল্লে হপ্তাখানেক চলবে।
    প্রথম রাত্তিরে বালির ওপরেই ঘুমিয়ে পড়লাম। আশেপাশে হাজার মাইলের মধ্যে জনমনিষ্যি নেই। জাহাজডুবির কথা শুনেছ? মাঝিমাল্লারা ছোট নৌকোয় চড়ে মাঝসমুদ্দুরে ভাসে? তাদের চেয়েও একলা। তার মধ্যে যদি ভোরবেলা একটা কচি গলা শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়, প্রাণটা কেমন ধুকপুকিয়ে ওঠে?
    গলাটা বলছে : "এই... আমাকে একটা ভেড়া এঁকে দেবে?'
    "ক্‌..কী?'
    "আমাকে একটা ভেড়া এঁকে দাও।'

    আঁই ব্বাপ্পো! মাথায় কি বাজ পড়ল না কি রে বাপ! চোখ-টোখ কচলে ইদিকসিদিক তাকিয়ে কই, কিছুই তো দেখতে... আরে, আরে, এ কে রে ! ছোট্ট এট্টুসখানিক এক খোকা ! আমার দিকে তাকিয়ে আছে দেখো ! বাবা, কী গম্ভীর ভাবখানা ! এই যে, এই রকম দেখতে খোকাটিকে-পরে এঁকেছিলাম একদিন। ছবিটা অবিশ্যি ভালো হয় নি তেমন। আসল মানুষটা কী সুন্দর ! তো সে তার আমি কি করবো ! ছ' বছর বয়সে যে শিল্পীর ছবি -আঁকা বন্ধ করে দেয় বড়রা , সে আর এর থেকে ভালো কী আঁকবে। সে তো অজগর সাপের ভেতরটা আর বাইরেটা ছাড়া আর কিছু আঁকতেও শেখে নি।
  • Achintyarup | 125.111.248.134 | ০৭ মে ২০১২ ০০:৪৯542801
  • ডাগদার গেল কই?
  • | 24.96.45.160 | ০৭ মে ২০১২ ১০:৪৬542802
  • ট্র্যানশ্লেসান ফেলে, পড়াশোনা ডকে তুলে সে কোন রাজকাজ্জো করছে শুনি?
  • siki | 132.177.16.128 | ০৭ মে ২০১২ ১১:০০542803
  • হাসপাতালে গিয়ে লিচ্চই "পেটকাটি চাঁদিয়াল" হয়ে গেছে!
  • I | 24.99.243.23 | ০৭ মে ২০১২ ২৩:৪১542804
  • হাঁ হয়ে গেছি। এ কী ভুতুড়ে ব্যাপার! আশেপাশে হাজার মাইলের মধ্যে তো কোনো জনমনিষ্যি নেই, এ তবে এল কোত্থেকে?
    খোকাটির চেহারায় ইদিকে খিদে-তেষ্টা-ভয়ডর ইত্যাদির ছাপটাপ নেই। দেখে মনেই হচ্ছে না সে জনমানবহীন ধু ধু মরুভূমির মধ্যে হারিয়ে গেছে।
    গলা দিয়ে আর শব্দ বেরোয় না। কোনক্রমে বললাম- " কিন্তু... কিন্তু তুমি এখানে কী কচ্ছ ?"
    তাই শুনে সে আবার তার মিষ্টি গলায় খু-উ-ব গম্ভীরভাবে বলল-"আমায় ভেড়ার ছবি এঁকে দাও।প্লি-জ !''
    গা ছমছম করছে। কাজ কি কথা অমান্যি করে, শেষটা কী হতে কী হয়ে যায় ! ভাবলেই হাসি পাবে ঃ জনপ্রাণীর থেকে হাজার মাইল দূরে মরুভূমির মধ্যে, কখন মরে যাই তার ঠিক নেই-সেই আমি কিনা পকেট থেকে কাগজের তোড়া আর ঝর্ণা কলম বের করে ছবি আঁকতে বসলাম। কিন্তু তক্ষুণি আবার মনে পড়ে গেল-আরে, আমি তো কেবল ইতিহাস-ভূগোল-পাটিগণিত আর ব্যাকরণই জানি, ছবি আঁকতে তো জানি না ! তেড়িয়া হয়ে খোকাকে বলেই দিলাম-দ্যাখো, আমি কিন্তু ছবি আঁকতে জানি না।
    সে বল্ল-"তাতে কী হয়েছে! ভেড়াটা এঁকে দাও তো !''

    আমি কি ছাই কোনোদিন ভেড়ার ছবি এঁকেছি ! গোটা জীবনে এঁকেছি তো কুল্লে দুটো ছবি। তারি একটা এঁকে দেখালাম ওকে-অজগর সাপের বাইরেটা।
    ও মা ! ছোঁড়া বলে কি- "আরে না না ! এ তো দেখছি একটা অজগর সাপ হাতি গিলে বসে আছে । এ ছবি দিয়ে আমি কী করব ! জানো, অজগর সাপ কী ভয়ঙ্কর চীজ? আর হাতি-ফাতি বড় ঝামেলার ব্যাপার, সে সব আমি চাই না। আমি যেখানে থাকি সেখানে সবকিছু এক্কেবারে ক্ষুদে ক্ষুদে। আমার দরকার একটা ভেড়া। একটা ভেড়া আঁকতে পারছো না !''
  • I | 24.99.243.23 | ০৮ মে ২০১২ ০০:০৮542806
  • আঁকতেই হল শেষমেষ ।
    সেই মেষের ছবির দিকে ভালো করে তাকিয়ে সে রায় দিল- " না ! এ চলবে না। এ ভেড়াটা কিরকম রোগা-দুবলা। আর একটা এঁকে দাও ।''
    আঁকলাম আরেকটা।
    এবার আমার ছোট্ট বন্ধু একটু অধৈর্য হয়ে পড়ল। ভদ্রভাবেই বলল যদিও- " এ আবার কিরকম ভেড়া ! দেখছো না এটা একটা মেড়া ! শিং-ফিং রয়েছে...ভেড়ার শিং হয় কখনো?''
    কাজেই আবার নতুন করে আঁকতে হল।
    কিন্তু সেটাও নাকচ হয়ে গেল।
    "এটা আবার বড্ড বুড়ো। এমন একটা ভেড়া দরকার, যেটা অনেকদিন বাঁচবে।''
    ব্যাটা পেয়েছেটা কী ? আমার কি অসীম ধয্যি? আমার বলে এক্ষুণি ইঞ্জিন মেরামতির কাজে না বসলেই নয় ! খসখস করে যাহোক একটা বাক্সোমাক্সো এঁকে ধরিয়ে দিলাম-"এই নাও। এই যে বাক্সো, এর মধ্যে রয়েছে তোমার ভেড়া। যাও !''

    অ মা ! তার দেখি খুশি আর ধরে না ! চোখ ইজ জ্বলজ্বলিং ! " এইত্তো ! এইরকম একটা ভেড়ার কথাই তো তোমায় বলছি এতক্ষণ ধরে! আচ্ছা, ও কি অনেক ঘাস খায়?''
    "কেন? তা দিয়ে তোমার কি ?''
    "বল্লাম না, আমি যেখানে থাকি সেখানে সবকিছুই খুব ক্ষুদে ক্ষুদে !''
    "ও তাতে কিছু হবে না। ছোট্ট এইটুকু একটা ভেড়া, ও তোমার ওখানে গিয়ে ঘাস খেয়ে কুলিয়ে উঠতে পারবে না।''
    সে ছবিটার ওপর ঝুঁকে পড়ে বলল- "অত ছোটও আবার নয়.... দ্যাখো, দ্যাখো ! ভেড়াটা ঘুমিয়ে পড়েছে।''

    এমনি করে আমার ছোট্ট রাজপুত্তুরের সঙ্গে আলাপ হল।
  • Tim | 108.249.6.161 | ০৮ মে ২০১২ ০০:২৫542807
  • কি যে ভালো হচ্চে এটা...ইন্দোদার জয় হোক!
  • সুমেরু | 127.194.98.61 | ০৮ মে ২০১২ ০৭:৩১542808
  • দুর। মেলা বাংলা অনুবাদ আছে। আহা, ফাদার দ্যতিয়েনেরটা যা তা। তারপরও নতুন দু-চারটে আমার হাতেই এসেছে, বছর দশেক আগে এটাকে নিয়েই সিনেমা ভাবতে শুরু করেছিলাম। চিত্রনাট্যের খসড়া বুঝি এতদিনে পোকায় কাটা মজুমদার হয়ে গেসে। হায়, সিনেমা!
  • hu | 22.34.246.72 | ০৮ মে ২০১২ ১৯:৪৮542809
  • আজ এখানে আরেক কিস্তি পড়বে না?
  • | 24.96.102.122 | ০৯ মে ২০১২ ০৮:০১542810
  • ফাঁকিবাজ ছোঁড়া। কাল ল্যাখে নি, ঘুমায়ে পড়েছিল নির্ঘাৎ
  • Ishan | 60.82.180.165 | ০৯ মে ২০১২ ১০:২৯542811
  • টেস্ট।
  • kiki | 69.93.244.188 | ০৯ মে ২০১২ ১১:২৫542812
  • কই? তাপ্পর?
  • I | 24.99.81.34 | ০৯ মে ২০১২ ২২:৩৬542813
  • আসলে কি, বড় গরম। লজিস্টিক্সে আটকে যাচ্ছে।
  • zozon | 161.141.84.239 | ১৭ মে ২০১২ ২২:৫৬542814
  • এটার ও তো হালনাগাদ কিছু নাই!!! কী হোলো?
  • I | 24.99.205.214 | ২১ জুন ২০১২ ১২:৪৭542815
  • আলাপ তো হল.... এদিকে অনেকদিন অবধি তার মুলুক-সাকিনের কোনো সুলুকসন্ধান পাই না। আমায় প্রশ্ন করার সময় তার উৎসাহের বিরাম নেই-এটা কী, ওটা কী, সেটা কেন.... এদিকে আমি একটা-আধটা প্রশ্ন করলে সেসব যেন শুনতেই পায় না। ঐ মাঝেমধ্যে দু- একটা কথা এদিক ওদিক বলে ফেলে, সেইসব জোড়াতাড়া লাগিয়ে আন্দাজ করি।

    যেমন ধরো, প্রথম যখন ও আমার এরোপ্লেনটা দেখল ( তাই বলে এখন আবার এরোপ্লেনের ছবি আঁকতে বোলো না বাবা, ও বড় কঠিন, ও আমার দ্বারা হবে না ), আমায় বলে কি - "এটা কী বস্তু?''
    -"বস্তু কী হে? জানো, এটা উড়তে পারে? এর নাম এরোপ্লেন। এটা আমার এরোপ্লেন !''
    সে তো চিক্কুর দিয়ে উঠেছে-"অ্যাঁ !!! তুমি আকাশ থেকে পড়ে গেছো?''
    "হ্যাঁ''-ভদ্র করেই বললাম ।
    "ওরে বাবা রে ! কী সব মজার কান্ড !'' সে তো হেসে বাঁচে না- মিষ্টি, খিলখিলে হাসি! এদিকে আমার কিন্তু একটুও মজা হচ্ছে না, মাথা বেজায় গরম। আমি বলে বেচারা অভাগা কী বিপদটার মধ্যেই না পড়েছি, কোথায় লোকে আহা-উহু করবে; তা নয়-হাসি ! আবার বলে-" তাহলে তুমিও আকাশ থেকে এসছো ! কোন গ্রহ?''
    দাঁড়াও, দাঁড়াও ! একটু যেন খোলসা হচ্ছে ব্যাপারস্যাপার !
    -"আচ্ছা !! তুমি তাহলে অন্যগ্রহ থেকে এসেছো! '' আমি ওকে জিগ্গেস করি।
    মুখে কিছু বলে না, শুধু ঘাড় নেড়ে হ্যাঁ বলে। আর আমার এরোপ্লেনের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে।
    "অবিশ্যি ঐ জিনিষটায় চড়ে আর কতদূর থেকেই বা আসবে....''-বলে আবার ছেলের সে কী মনখারাপ ! তারপর পকেট থেকে তার সম্পত্তিখানা (আমার আঁকা ঐ ভেড়ার ছবিটা ) বের করে আবার তারিয়ে তারিয়ে দেখে।
  • I | 24.96.94.52 | ২১ জুন ২০১২ ১৫:৩৩542817
  • এবারে তো বাপধন অমন চুপ মেরে গেলে চলবে না ! খুঁচিয়ে দিয়েছো যখন। আরেকটু খুঁড়ে বের করতেই হচ্ছে !

    " ও খোকা, ও ছোট্ট খোকা, বলো-ই না, কোত্থেকে এসছো?তুমি ঐ যে মাঝেমধ্যে বলো না- "আমি যেখানটায় থাকি''-তার মানে কী? সেটা কোনখানটা ? কোথায় নিয়ে যাবে আমার ভেড়াটাকে?''
    আবার চুপ মেরে যায়, দ্যাখো ! কি যেন ভাবে। তারপর বলে-"তোমার এই বাক্সোটা এত ভালো লেগেছে কেন বলবো? ভেড়াটা রাত্তিরেও ওটাকে ইউজ করতে পারবে। ''
    "তব্বে? তুমি ভালো ছেলে হও, তোমাকে আমি একটা দড়িও দেব; দিনের বেলা সেইটা দিয়ে ভেড়াটাকে বেঁধে রেখে দেবে। একটা খুঁটিও দেবো। খুঁটিতে দড়িটা বেঁধে দেবে। "
    তাই শুনে সে তো বিষম-টিষম খেয়ে একাকার।
    " কী বলছোটা কী? বেঁধে রেখে দেবো! কেন?''
    " ও মা, না বাঁধলে তো পালিয়ে যাবে !"
    শুনে তার সে কি হাসি যদি দেখতে ! বলে-"পালিয়ে যাবেটা কোথায়?''
    "যেখানে খুশী। সো-জা লম্বা দেবে ''।

    গম্ভীরভাবে বলল-"পারবে না। সবকিছুই সেখানে এত ছোট ছোট !''
    তারপর, একটুখানি মনমরা হয়েই যেন বলল-" লম্বা দিয়েও কেউ খুব বেশীদূর যেতে পারবে না....''
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন