এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ইচ্ছের অলি-গলি

    I
    নাটক | ২৭ জুন ২০১১ | ২৩৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 14.99.230.127 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:৩৬478871
  • জারা হটকে। "কাগজের চাঁদ ' যাঁরা শুনতে চান, এলা ফিটজেরাল্ডের গলায়-

  • Nina | 12.149.39.84 | ০৬ জুলাই ২০১১ ২২:০৯478872
  • আমি হলপ করে বলতে পারি যখন এই নাটকটা দেখব ---এমন করে স্বপ্নের মতন ভাল লাগবেনা---কিম্বা ভাল লাগবে কারণ এই লেখাটায় স্বপ্নের ভেলায় ভেসেছি বলে :-০

    ও ডাগদার জরা হটকে--একটা কোশ্নো করলে উত্তুর দেবে, প্লিজ?
    গৌতম হালদারের "বড়দা' কি দেখেছ? কেমন লেগেছে? আমার ভীষন "লাউড" লাগল ---কেয়ং যেন অতিরিক্ত একটা বোঝাবার চেষ্টা আমরা বোকাসোকা দর্শকদের :-০--একটু বলবে যদি দেখে থাক----
  • I | 14.99.73.63 | ০৬ জুলাই ২০১১ ২২:৩১478873
  • পেদ্রো আলমোদোভারের একটি বিখ্যাত ফিল্মের নাম " অল অ্যাবাউট মাই মাদার'। ফিল্মের মধ্যে যে নাটকটি ঢুকে আছে , তার নাম " এ স্ট্রীটকার নেমড ডিজায়ার'। ফিল্মটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ম্যানুয়েলা, "স্ট্রীটকার' নাটক তাকে কয়েক টুকরো করে কাটে। প্রথম যখন সে অল্পবয়সী অপেশাদার অভিনেত্রী , গ্রামের নাটকে স্টেলার রোল করতে নামে, তার সঙ্গে পরিচয় হয় তার হবু-প্রেমিকের; স্ক্রীনে তার নাম এস্তেবান, সে ঐ নাটকে স্ট্যানলী'র রোল করবে। ম্যানুয়েলা'র গর্ভে এস্তেবানের সন্তান আসে, আর তখনি সে জানতে পারে এস্তেবান একজন ট্রান্সভেস্টাইট, ক্রমেই সে মেয়ে হয়ে উঠছে, নাম নিচ্ছে "লোলা'। সম্পর্ক ছেড়ে পালিয়ে যায় ম্যানুয়েলা, লোলাকে তার পিতৃত্বের আভাসটুকু পর্যন্ত না দিয়ে। সাদৃশ্যটা লক্ষ্য করুন, যেন ব্লঁশ দুবোয়া, একদা এক ঝড়ের রাতে যে জানতে পারে, তার স্বামী একজন সমকামী।
    নার্সের চাকরী নেয় ম্যানুয়েলা, অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটরের চাকরী। তার সন্তান বড় হয়, তার নাম-ও এস্তেবান, সে একজন প্রতিশ্রুতিবান লেখক, সে তার বাবার কথা শুনতে চায়। এস্তেবানের সতেরোতম জন্মদিনে তারা মা-ছেলে আবার নাটক দেখতে যায়, স্ট্রীটকার। ব্লঁশ দুবোয়া'র চরিত্রাভিনেত্রী হুমা রোজো'র ভক্ত এস্তেবান নাটক-শেষে হুমা'র অটোগ্রাফ নিতে চেয়ে তার ট্যাক্সির পেছন-পেছন দৌড়য়। সে ছিল এক বৃষ্টির রাত,রাস্তা ভেজা,এস্তেবানের বেঁহুশ দৌড়-একটি গাড়ি এসে তাকে ধাক্কা মারে।
  • I | 14.99.73.63 | ০৬ জুলাই ২০১১ ২২:৩২478874
  • নীনাদি, বড়দা দেখিনি, শুনেছি। আমার মোটামুটি লেগেছে।
  • I | 14.99.73.63 | ০৬ জুলাই ২০১১ ২৩:২৪478875
  • অ্যাক্সিডেন্টে এস্তেবানের মস্তিষ্ক-মৃত্যু হয়। ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটর ম্যানুয়েলা,এতকাল সে কত অরগ্যান ডোনেশনের সাক্ষী থেকেছে, হয়তো বা কাউন্সেলরও, আজ তারই ছেলের হৃদপিণ্ড ডোনেশনের জন্য তাকে কাউন্সেল করতে আসে ডাক্তার। ম্যানুয়েলা সম্মতি দেয়। স্ট্রীটকার তাকে দ্বিতীয় টুকরো করে।

    এস্তেবানের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপিত হয় সফলভাবে। ম্যানুয়েলা, সে জানে এ কাজ বে-আইনী, তবু সে ঐ লোকটির খোঁজ শুরু করে, যে এস্তেবানের হার্টের রেসিপিয়েন্ট। সে সেই মানুষটির খোঁজে মাদ্রিদ গিয়ে পৌঁছয়, যার বুকের মধ্যে এস্তেবানের হার্ট সতত বেজে চলেছে লাবডুব লাবডুব।
    মাদ্রিদ অসহ্য লাগে। মাদ্রিদ ছেড়ে সে বার্সিলোনার দিকে রওনা হয়। আঠারো বছর আগে ঠিক উল্টোমুখী যাত্রায় বার্সিলোনা থেকে সে মাদ্রিদের প্লেনে চেপে বসেছিল; সে পালিয়ে যাচ্ছিল এস্তেবানের থেকে, তার শরীরের ভেতরে ছিল আর এক এস্তেবান। আর আজ মৃত এস্তেবানের পিতার খোঁজে আবার তার বার্সিলোনা যাওয়া। এস্তেবানের সতেরো-তম জন্মদিনে ম্যানুয়েলা তাকে কথা দিয়েছিল, তাকে তার বাবার কথা বলবে। সে কথা সে রাখতে পারে নি; আজ লোলাকে খুঁজে বের করে সে বলতে চায় মৃত এস্তেবানের কথা, যার জন্মের কথাই লোলা কোনোদিন জানে নি। তাতে অবাধ্য হৃদয় কী শান্তি পাবে, হৃদয়ই জানে।

    আর এই খোঁজ এক প্যান্ডোরার বাক্সের উন্মোচন, সমস্ত অতীত তার বুকের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে যেন। সে হুমা রোজো'র সঙ্গে দেখা করে, হুমা'র ড্রাগ-আসক্ত সঙ্গিনী নিনা (স্ট্রীটকার -এ স্টেলা সাজে) এক রাত্তিরে শো-এর শেষে হুমাকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেলে সে হুমাকে গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসে। গাড়ির পেছনের সীটে উঠে বসে আশ্বস্ত হুমা তাকে বলে-হু এভার ইউ আর, আই হ্যাভ অলওয়েজ ডিপেণ্ডেড অন দ্য কাইণ্ডনেস অফ স্ট্রেঞ্জার্স !
  • I | 14.99.73.63 | ০৬ জুলাই ২০১১ ২৩:৩৯478876
  • তার দেখা হয় পুরনো বন্ধু আগ্রাদো'র সঙ্গে; আগ্রাদো এক ট্রান্সসেক্সুয়াল বেশ্যা। আগ্রাদোর হাত ধরে সে পৌঁছয় নান রোজা'র কাছে (ফিল্মে এই চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন পেনেলপি ক্রুজ), যে শেষবারের মত লোলাকে দেখেছে। সে হুমার সেক্রেটারির চাকরি নেয়; আর এক রাতে নিনা যখন তার ড্রাগের নেশায় অজ্ঞান, সে হুমাকে বলে-কয়ে স্টেলা'র চরিত্রে নিনার বদলে অভিনয় করতে নামে। সিন এনকোর হয়, স্টেলা-ম্যানুয়েলার কূলহারা কান্না শটটিকে ছাপিয়ে উপচে পড়ে।

    হুমা জানতে চায় তার অভিনয়-ক্ষমতা'র রহস্য, আর সে সব খুলে বসে, সব গোপন জল, একটা নাটক কীভাবে মুচড়ে দেয় জীবনকে , কেমন কিরীচ ঘুরেফিরে নামে একই শরীরের ওপরে, হায়, এই তো কিছুক্ষণ আগে কর্তিত হয়ে গেছে সে, এখনো তার রক্ত........
  • I | 14.99.73.63 | ০৬ জুলাই ২০১১ ২৩:৫৮478877
  • নাটকটি দেখতে যাওয়ার বেশ কিছুদিন আগে আমরা এই ফিল্ম দেখেছিলাম। আর সেদিন নাটক দেখে ফিরে আসার পরে আবার ফিল্মটা দেখতে ইচ্ছে হল। সবটা নয় , টুকরো টুকরো ভাবে, ঐ যেখানে ফিল্মে নাটকের স্টেজ পারফরম্যান্স দেখানো হয়েছে। দেখলাম, দুজনে বসে।

    স্ট্রীটকারের স্প্যানিশ ভার্সনে ( ফিল্ম অনুযায়ী) স্টেলা স্ট্যানলী-কে ছেড়ে চলে যায় তার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে-আর ফিরে আসবে না বলে; ঠিক যেভাবে ম্যানুয়েলা -স্টেলা এক রাতে লোলা-এস্তেবান-স্ট্যানলীকে ছেড়ে চেপে বসেছিল মাদ্রিদের প্লেনে। আর ফিরে আসবে না বলে।

    আর, স্ট্রীটকারের স্প্যানিশ ভার্সনের শেষ দৃশ্যে যেন কী অসম্ভব নিস্পৃহ ব্লঁশ , ডাক্তারের হাত ধরে বলে - "হুএভার ইউ আর'---- মাথায় তার আঁটোসাটো স্কালক্যাপ, যেন সদ্য নিউরোসার্জারী করে ফিরে এল।
  • I | 14.99.73.63 | ০৭ জুলাই ২০১১ ০০:২৭478878
  • হঠাৎ মনে পড়ে যায় টেনেসী উইলিয়ামসের বোন রোজা'র কথা; অল্প বয়সেই স্কিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত অস্থির টালমাটাল এই মেয়েটির ছাপ ব্লঁশ দুবোয়া চরিত্রের ওপরে পড়েছে সে কথা অনেকেই বলেন। রোজা'র লোবোটমি হয়; সার্জারী-পরবর্তী বিপর্যস্ত বাকি জীবন সে কাটায় বিভিন্ন মানসিক হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে।

    অদ্ভুত সার্জারী এই লোবোটমি। মস্তিষ্কের প্রি-ফ্রন্টাল লোবের (মানুষের উন্নত ভাবনা-চিন্তা, সিদ্ধান্ত-গ্রহণ,সামাজিক সত্তা নির্মাণের কেন্দ্র) সঙ্গে বাকি মস্তিষ্কের সমস্তরকম যোগাযোগের-আদানপ্রদাণের স্নায়ুতন্তুসমূহ ছিন্ন করার সার্জারি হল লোবোটমি। আধুনিক চিকিৎসা তার চলার পথে যে অগণ্য অবৈধ শিশু'র জন্ম দিয়ে এসেছে ও পথের ধুলোয় , অনাথ-আশ্রমের অসামাজিকতায় তাদের ফেলে এসেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে দানবিক, সবচেয়ে নৃশংস যদি কিছু থাকে তবে তা বোধ হয় লোবোটমি। ১৯৩৫ সালে পর্তুগীজ স্নায়ুবিশারদ আন্তোনিও ইগাস মনিজ লিসবনের এক হাসপাতালে এই সার্জারি উদ্ভাবন করেন। বর্ণনাটি চমকপ্রদ-"Back in Lisbon he ordered that a human brain be brought to him from a morgue, and thrusted a pen through the cortex several times until he was satisfied he knew the approximate angle and depth that would best detach the frontal lobes. He performed the operation on a former prostitute, who afterwards was unable to give her age or say where she was. She was returned to an asylum, never to be seen by him again''.
  • nyara | 122.167.169.139 | ০৭ জুলাই ২০১১ ০০:৩৩478879
  • দক্ষিণী ড্রল না থাকলে এই সব নাটকের অনেক মজাই মাটি। আমার নাটকের ক্লাসে সাহেব-মেম ছাত্রদের কিছু প্লে-রিডিং সেশনে দেখেছি - আগে পড়া বা না পড়া নাটকও - সঠিক অ্যাক্সেন্টে অন্য গন্ধ এনে দেয়। বিশেষত: এই ধরণের দক্ষিণ-পটভূমিকার পিরিয়ড প্লে। পুরোন, ক্ষয়িষ্ণু, প্রথাগত মূল্যবোধ ভেঙে যাবার গন্ধ। ব্যক্তিগত মত।

    সরি, ডাইগ্রেস করে ফেল্লাম।
  • I | 14.99.73.63 | ০৭ জুলাই ২০১১ ০১:০৮478881
  • ১৯৪৯ সালে মনিজ তাঁর এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তারও আগে ওয়াল্টার ফ্রীম্যান নামে এক আমেরিকান নিউরোলজিস্ট এই সার্জারিতে বেশ একটা বদল আনেন;তাঁর পদ্ধতি ছিল সহজতর, পরিকাঠামোহীন সরকারী হাসপাতালে দরিদ্রতর রোগীদের ওপরেও (কেননা তাদেরই সবচেয়ে বেশী দরকার এই সার্জারির! ) যাতে এর প্রয়োগ করা যায়। স্ক্যাল্পের বদলে অক্ষি-কোটরের মধ্য দিয়ে ড্রিল করে ফ্রীম্যান এই অপারেশন করতেন।

    লোবোটমি। অশান্ত , অ্যাসাইলামযোগ্য পাগলকে ডিসিপ্লিনড করবার, শান্ত করবার মোক্ষম দাওয়াই। উন্মাদ ভুলে যায় তার পাঠক্রম, ভুলে যায় তার আগুনের চাকা, সে বস্তুত: এক ইডিয়ট এখন, শান্ত , কেননা মনহীন। ইডিয়সিই শেষ কথা নয়, আরো যেসব পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে তারা হল খিঁচুনি, ছেলেমানুষি, যখন -তখন পায়খানা-পেচ্ছাপ হয়ে যাওয়া---- যেন এক ফ্রন্টাল লোব কাস্ট্রেশন, জ্যান্ত মানুষ থেকে বানিয়ে তোলা মিশরের মমি। ১৯৪৮ সালে নরবার্ট উইনার বলেন,"--- এতে অবিশ্যি মনোরোগীদের কাস্টডিয়াল কেয়ার সহজ হয়। তবে কী জানেন, ওদের মেরে ফেলাটা তো কাস্টডিয়াল কেয়ারের সবচেয়ে সহজ রাস্তা।''

    সেই বিশ শতকের প্রথমার্ধের কথা সেসব; এক নম্বর বিশ্বযুদ্ধ তখন ঘটে গেছে,কিন্তু মানুষ তখনো দু নম্বর যুদ্ধ দেখে নি, আউসউইৎজ দেখে নি, হিরোশিমা দেখে নি। বিজ্ঞান চরমতম ঈশ্বর তখন, পিতা ও আলোকময় পুরুষ, ত্রাতা, তার রথের চাকার তলায় গুঁড়িয়ে গেল কয়েক হাজার মনোরোগী; প্রান্তিক বলে , ক্ষমতাহীন বলে ক্ষমতার রাজনীতি-বিজ্ঞানের রাজনীতি পুড়িয়ে দিয়ে গেল তাদের চোখ। ধোঁয়ায় ভরে গেল অক্ষিকোটর, বালিতে ভরে গেল জীবন্ত খুলি।
  • de | 203.197.30.2 | ০৭ জুলাই ২০১১ ১৩:২২478882
  • গায়ে কাঁটা দিয়ে গ্যালো!
  • Shibanshu | 117.195.174.223 | ০৭ জুলাই ২০১১ ১৭:২৭478883
  • ডাক্তার লেখার সময় নিজের কলমজাত ভাষার সঙ্গে তীব্র মাদকতায় আশ্লিষ্ট হয়ে পড়েন। এর আগে বাউল সংক্রান্ত প্রতিবেদনেও ( মনের মানুষ সূত্রে) লক্ষ্য করেছি। এতে ব্যক্তিস্তরের প্যাশনটি খুব কার্যকরিভাবে সঞ্চারিত হয়ে যায়, কিন্তু প্রতিবেদকের দেখার চোখ হয়তো কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন মায়ায় জড়িয়ে পড়ে। অবশ্যই এই লেখাটি নাটকটির সমালোচনা নয়, যাতে এই রকম কোনও দায় তাঁর স্কন্ধলগ্ন হয়ে থাকবে, বরং এই লেখাটিকে তাঁর নাট্য দর্শন পরবর্তী অনুভূতিগুলির বোধ হয়ে ওঠার গল্প হিসেবে গ্রহণ করা যায়। সেই মড়ার খুলির মতো আছাড় মেরে মুদ্রাদোষ থেকে রেহাই পাবার উপাখ্যান।

    টেনেসি উইলিয়ামসকে, বিশেষত স্ট্রিট কারকে, কোনওদিনই রাজনীতি থেকে বিচ্যুত করে দেখতে পারিনি। বিংশ শতকের মার্কিন কথাসাহিত্যে উত্তর দক্ষিণ বিভাজনের মাত্রা সেই ফকনারের সময় থেকেই খুব প্রত্যক্ষ। সত্যি কথা বলতে কি সম্পূর্ণ মার্কিন ইতিহাসেরই এই বিভাজনটিই বস্তুত রাজনৈতিক। টেনেসির আগে মিলার বা স্টাইনবেক অথবা কল্ডওয়েলের লেখাতেও তো বারম্বার এই সব প্রসঙ্গ ফিরে আসে। নিউ অর্লিয়েন্সের ফরাসি উপনিবেশকেও আমার প্রতীকী মনে হয়েছে। যেন এমিল জোলার ভূত টেনেসিকে আশ্রয় করেছিলো। ফুরিয়ে যাওয়া সুগন্ধের শিশির বিলীয়মান সৌরভকে ছাপিয়ে শ্রমের ঘাম তার জৈব গন্ধকে প্রতিষ্ঠিত করবে এটাতো রাজনৈতিক সত্য। সেই সলজিনিকের ব্রডওয়ের সময় থেকে সিনেমা, ব্যালে, অপেরা, বা অন্যান্য বিকল্প নির্মানে এই রচনাটি বার বার মানুষের কাছে ফিরে এসেছে। এ যদি শুধু ব্যক্তির গল্প হতো তবে এটা সম্ভব হতোনা, সমষ্টির একাত্মতা আছে বলেই এই সিদ্ধি লাভ সম্ভব হয়েছে।

    আরেকবার ডাক্তারের ন্যারেটিভ প্যাশনকে স্বীকৃতি জানাই।
  • I | 14.96.165.22 | ০৭ জুলাই ২০১১ ২১:১৬478884
  • এইটা আসলে একটা চালাকী, শিবাংশুদা। অ্যানালিটিক্যাল লেখা লিখতে গেলে যেরম বিদ্যেবুদ্ধির দরকার হয়, সেইটে কস্মিনকালেও ছিল না। এখন এই বয়সে কী আর তা হবে ! সেকথা লোকে যদি ধরে ফেলে, তাই গ্যাদগেদে করে লিখি। :-)
  • I | 14.96.165.22 | ০৭ জুলাই ২০১১ ২১:৪৪478885
  • ক্ষমতা অর্থাৎ পুরুষের ক্ষমতা যেন ইগাস মনিজের মত স্ক্যালপেল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, অপারেশন টেবিলের ওপরে একটু ঝুঁকে। টেবিলে একটি নারী শুয়ে আছে লোবোটমাইজ্‌ড হবে বলে। স্ট্যানলী ধর্ষণ করে ব্লঁশকে, নিখুঁত ক্যালকুলেটিভ ধর্ষণ, তা যেন মনিজের সার্জিক্যাল স্কিলের পারফেক্‌শন, একটি লিঙ্গ অথবা একটি পেন নাইফ কিংবা স্ক্যালপেল উপর্যুপরি গেঁথে যায় নারীর শরীরে। মগজে। ঠিকঠাক অ্যাঙ্গলে, ঠিকঠাক ডেপ্‌থে।

    চার্চবিরোধী বলে, ডাইনী বলে ওদের পুড়িয়ে মারা হল। তা-ও ওরা কথা বলে। রাতের অন্ধকারে, পেত্নীর মত কথা বলে ফিসফাস করে। ওদের নীরব করো; মনোহীন করো। না পারো তো পাগলী বলে দেগে দাও। টেনেসী উইলিয়ামসেরই আর একটি নাটকের (সাডেনলি, লাস্ট সামার) কেন্দ্রীয় চরিত্র ক্যাথরিন তার সম্পর্কিত-ভাই সেবাস্টিয়ানের কোনো গোপন কথা (সমকামিতা) বলে দিতে উদ্যত হলে তাকে লোবোটমি-র টেবিলে তোলার বন্দোবস্ত হয়। সার্জেন বলেন- "আই ক্যান নট গ্যারান্টি দ্যাট এ লোবোটমি উড স্টপ হার ব্যাবলিং।' শুনে তার খুড়ীমা বলেন-"দ্যাট মে বি, মে বি নট, বাট আফটার দ্য অপারেশন, হু উড বিলীভ হার, ডক্টর?'
  • I | 14.96.165.22 | ০৭ জুলাই ২০১১ ২১:৫৬478886
  • আলমোদোভার তাঁর ঐ ফিল্মটি ডেডিকেট করেন "টু অল অ্যাক্ট্রেসেস হু হ্যাভ প্লেড অ্যাক্ট্রেসেস। টু অল উইমেন হু অ্যাক্ট। টু মেন হু অ্যাক্ট অ্যাণ্ড বিকাম উইমেন। টু অল দ্য পিপল হু ওয়ান্ট টু বি মাদারস্‌। টু মাই মাদার ।'

    ডেডিকেট করা তো অনেক বড় কথা। আমি বড়জোর বলতে পারি, আমার এই ছাইভস্ম-ছাতার মাথা লেখা আমি তাদের কথা ভেবে লিখেছি-সেইসব মেয়েদের কথা, যারা অভিনয় করে। যারা পরিচালনা করে। যারা অভিনয় করতে চায় কিন্তু কোনোদিন পারে না। স্বামী-সন্তান-সংসার যাদের পাথরের মত চাপা দিয়ে রাখে। যারা গান গায়। যারা ঘরের কাজ করে। যারা পরের কাজ করে। যারা ফুল বেচে। যারা মাংস বেচে। দুনিয়ার সব মেয়েরা।

    মেয়েদের জয় হোক।

    (শেষ)
  • Nina | 12.149.39.84 | ০৮ জুলাই ২০১১ ০১:১৭478887
  • বাহ!
  • Du | 216.110.92.7 | ০৮ জুলাই ২০১১ ০১:৪৪478888
  • ইন্দ্রনীল, যদি বলি নীলকন্ঠ? কত কষ্ট অনুভব করতে পারো বলে এমন লেখা দিতে পারো।
  • suddhasatya | 117.194.237.22 | ০৮ জুলাই ২০১১ ০১:৪৮478889
  • বেশ লাগছিল পড়তে। দুলে দুলে আচ্ছন্নতার সঙ্গে পড়ে চলেছিলাম। আপনার লোবোটমির প্রসঙ্গ পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এইটা আরেকটা পাঠ হতে পারতো এই নাটকের। আমি সেঁজুতিকে বলেছিলাম লোবোটমির কথা। তবে ওঁরা, মানে, পরিচালক বোধহয় এই দিকটা নিয়ে খুব বেশী কিছু ভাবেননি। আমার ওঁদের মঞ্চপ্রস্তুতির দিন ওঁদের কাজ দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল এই নাটকটার বীজ থেকে আরেকটা স্ট্রীট কার নেমড ডিসায়ার আসে। সেটার শুরু হয় ব্লঁশের লোবোটমির পর থেকে। যেখানে ব্লঁশ ইডিয়টে পরিণত হয়েছে। ডাক্তারের কাছে নির্ভেজাল একটা বিপন্ন মানুষে পরিণত হয়েছে। স্ট্যানলী তখনো বলে চলেছে আসলে ব্লঁশ খুব ধান্দা কষে এগিয়েছিল। স্টেলা মাথা নাড়ে আর তার বাড়িওয়ালি ইউনিসকে বলে ব্লঁশ নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবতো, কিন্তু খুব বেশী হলে ও ছিল একটু চালাক। তাও সে কিন্তু গাঁয়ের হিসেবে চালাক। ধান্দা করে আগোবার কথা ভেবে থাকলেও তা দিয়ে ওর কিছুই হবার ছিল না। আসলে ওকে বুদ্ধিমানও ভাবিয়েছে চারপাশের লোকজন। যারা দু এক গ্লাস মদের বিনিময়ে ওকে বিছানায় নিয়ে গিয়েছে তারা ক্রমাগতই কয়েকঘন্টার জন্য হলেও ওকে বলতো সুন্দর, ওকে বলতো অসামান্য বুদ্ধিমতী। তার পরে মুখমুছে চলে যেত। ব্লঁশ কোনোদিন ট্যারান্টুলা হয়নি। হতে পারেনি। স্ট্যানলী বাজে কথা বলছে। মিচ একবার বলে আসলে ঠিক সেই সময়ে ব্লঁশ ওকে ভালবেসে একেবারে অন্যরকম হয়ে যেতে চেয়েছিল। সত্যি সত্যি অন্যরকম। স্ট্যানলী কর্কশ হেসে বলে আসলে ব্লঁশই চেয়েছিল তাকে সে ধর্ষণ করুক। ব্লঁশ পছন্দ করতো তার উপরে জোর করা। সেটা তাকে উত্তেজিত করে তুলতো। তখন মিচ আবার বলে আসলে স্ট্যানলীর আগেই সেও ওর সঙ্গে শুয়েছিল। ব্লঁশ বলেছিল ওকে স্ট্যানলীর নজর আছে ব্লঁশের দিকে, মাঝে মাঝেই কু-প্রস্তাব করেছে সে। কিন্তু ব্লঁশ শুধু মিচকে চায়, একজন পুরুষের মতন পুরুষকে চায়। স্ট্যানলী ব্লঁশের বিশেষ অংশের বিশেষ দাগের কথা জিজ্ঞেস করে মিচকে। মিচ বলতে পারেনা। মারামারি লাগে তাদের। এমন করে একের পর এক গল্প নির্মাণ হবে আর যুক্তি-প্রতিযুক্তিতে ভেঙে পড়বে গোটাটা। শেষনেষ জানা যাবে কেউই জানেনা গল্পটা ঠিক কি হবে, কেমন হবে! আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল ঐ নাটকটা, অনেকটা হয়তো রশোমনের মতই।
  • nk | 151.141.84.114 | ০৮ জুলাই ২০১১ ০১:৫৩478890
  • এইসব নরম সরম দুধে আলতা মেমদের গল্প পড়তে পড়তে পড়তে রাণী শিখরিণীর কথা মনে পড়ে গেল। অগ্নিবর্ণা শিখরিণী।
  • ranjan roy | 115.240.247.172 | ০৮ জুলাই ২০১১ ০৬:২২478892
  • এন কে,
    আপনি লিখুন। হেরে যাওয়, মার খাওয়া, প্রতারিত হওয়া মেয়েদের সমান্তরালে লিখুন রাণী শিখরিণীর মত অন্য মেয়েদের কথা।
    আমি জানি তাঁরা আছেন, তাঁদের আমি দেখেছি।
    ট্রেনে একা যাত্রা করতে মাঝরাত্তিরে ঘুম ভেঙে ও দেখে কামরা প্রায় খালি। একজন রেলপুলিশ একজন টিটি ও একজন অ্যাটেন্ড্যান্ট ওর ওপরে ঝুঁকে আছে। ওদের গরমনি:শ্বাসে ওর ঘ্‌ম চটে গেছে। পুলিশটি দরজা বন্ধ করতে থাকে। ও মতলব বুঝে সোজা ঢুকে যায় বাথরুমে, ধাক্কা পড়ে। ও দরজার ল্যাচে ফাঁসিয়ে দেয়, চিরুনি, চুলের কাঁটা । পরের স্টেশন আসে। ও গটগট করে নেমে একটি ভীড়ের কামরায় উঠে পড়ে। তারপর কোণায় বসে ঘুমে ঢুলে পড়ে।
    কিন্তু আপনি লিখুন, আপনাদের চোখ দিয়ে।
    আমরা শুনতে চাই।
  • sahana | 117.194.226.173 | ০৮ জুলাই ২০১১ ১৪:০৫478893
  • ইন্দো দা, তোমারে সেলাম। এমন অনবদ্য নাটকের এত অপূর্ব বর্ণনা --প্রাণ ভরে গেল ।

  • h | 203.99.212.54 | ০৮ জুলাই ২০১১ ১৫:১৯478894
  • খুব ছোটোবেলায়, যখন, বাঙাল বাড়িতে শচীন কর্তার টাক্‌ডুম বাজাই বাঙ্‌লাদেশের ঢোল-হঠাৎ পাওয়া কামরাঙা কিংবা ঢেঁকির শাক-সিঁদুরে লাল হয়ে যাওয়া রুপোর টাকা এইসব মিলে ফেলে আসার না হোক অন্তত চুরি করা স্মৃতি একার্থ ছিল, তখন এক কাকু হঠাৎ একটা বেমক্কা কোচ্চেন করে খুব আনপপুলার হয়েছিলেন আমাদের হিঁদু বাড়িতে। 'ফেলে এসে যা পেলেন, খুব খারাপ কি?' তো ঋত্বিক-বিরোধী এই ভাবনা আমায় এট্টু খোঁচা মত দিয়েছিল, একটু লুকিয়ে হীরক-মন্ত্রেবর্গের মত ঘাড় নেড়েছিলাম, কারণ সেজোমামা র পয়সায় নাগরিক আইসক্রীমের প্রতি একটা কৃতজ্ঞতাটা তখনো জিভে লেগে।

    আমরা এই বম্বে টম্বে নিয়ে সিনেমা যারা দেখি, বা ইংরেজি সিনেমায় শহর কে একটা সব রকম লোকের জায়্‌গা পাওয়ার মত জায়গা বলে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, এখন হয়তো তারা ভুলে গেছি, যে একটা বড় সময় জুড়ে শহর, বিশেষ করে বড় শহর, বম্বে, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস একাধারে মুক্তির এবং স্খলনের মেটাফোর ছিল। শহহর কে নানাভাবে সেলিব্রেট করাটাই যখন দস্তুর, তখন অবশ্যম্ভাবী ভাবে যেটা হত, সেটা হল ছোটো জায়্‌গা, গ্রাম, বা রোড মুভিজ এর বেলায়, দূর বা দূরান্তরে একটা চলে যাওয়া এই গুলো একটা অনেক বেশি 'অথেন্টিক' বিকল্প হয়ে উঠতো।খুঁজে চলা প্রোটাগনিস্ট দের পক্ষে।

    নগর বন্দনা ই যখন দস্তুর, তখন ছোটো শহরের একটা নির্দয়,ক্ষমাহীন দিক ফকনারের লেখায় এসেছিল এবং নির্দয় ভাবে রয়ে গেছে। এইটা প্রমোদেয়া অনন্ত টোয়ের এর লেখায় আছে। মার্কেজের লেখাতে তো আছেই। ঠাকুমা আর কলাপাতার ঝড় নির্লজ্জ ভাবে ফকনার প্রভাবিত। এই ফকনারের 'সাদার্ন স্পেস' টা এমন ভাবে এখন কলপ্নায় গেঁথে গেছে যে এইটাকে ছোটো জায়্‌গা সংক্রান্ত কোন রচনাতেই অতিক্রম করা প্রায় অসম্ভব, সে যে নাটক বা সিনেমার বক্তব্য যাই হোক না কেন।
    ইন্দো আলমোদোভারের কথা এনে ভালো করেছে। অল আবাউট মাই মাদার দেখে আমার এই কথাটা বার বার মনে হয়েছিল, ফকনারের আষ্টেপৃষ্ঠে সাউথ থেকে ব্লঁশ মুক্তি পেল, অথচ নির্দয় একটা জগত তার পিছু ছাড়লো না। এবং সেই দৃষ্যটা যেখানে হুমা এবং পেনেলোপে র দেখা হচ্ছে, তাতে তিন জন মেয়ে মিলে, একজন মেয়েকে খুঁজছে, একজন প্রেমিকের কাছে এডস উপহার পেয়েছে, আরেকজন ছেলের মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেছে, হঠাৎ একটু গালাগাল করে মজা পাচ্ছে, এমন গালাগাল যেটা তারা নিজেদের জীবনে রোজ খেয়েই থাকে, এইটা আমায় খুব বিব্রত করেছিল।

    ইন্দো র লেখা পড়ে সেই সব কথা মনে হল। থ্যাংক্স ইন্দো।
  • h | 203.99.212.53 | ০৮ জুলাই ২০১১ ১৮:২৫478895
  • বাই দ্য ওয়ে...

    ১- আমার একজন বান্ধবী আছেন, তাঁর নাম - ও ব্লঁশ, সাধারণ ইংরেজ উচ্চারণে ব্লানি্‌চ, আর ইউরোপ ঘোরা পশ ইংরেজ উচ্চারণে পুনরায় ব্লাশ। এইবার তিনি দীর্ঘকায় এবং বিশাল বপু, প্রচন্ড মজার, এক পেগ রেড ওয়াইনে লাল হতে শুরু করা মহিলা, ডিনারের আগে দুটো ছোটো বটল্ড লাগার, ডিনারের সময় থেকে চলা এক দেড় গ্লাস রেড, তাঁকে গান গাইতে বাধ্য করানোর জন্য যথেষ্ট। এম্বারাস করে মজা পেতেন, একবার ফোনে কি একটা সমস্যার কথা বলছেন, আমি আমার বীরেভূমীতে উৎসাহ নিয়ে বলেছি, i am coming, i am coming। তো তিনি বল্লেন, what do you mean?;-) তার পর যখন ডেস্কে গেলাম, তখন সকাল সকাল একটা চুমু দিলেন নাকে এবং বললেন, since it is not red yet!
    যাইক হোক তিনি নতুনদের ইন্ডাকশনের দিনে নিজের পরিচয় দিতেন এই ভাবে বা কাছাকাছি...helloo, i am blanche, just a streetcar, no desire unfortunately;-)

    ২- এটা পরে বলছি।
  • ranjan roy | 122.168.212.69 | ০৯ জুলাই ২০১১ ০০:৪২478896
  • বাহবা, হনু বাহবা! আরো হোক,
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন