এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বুরা না মানো -- ফাগুন লেগেছে বনে বনে

    shrabani
    অন্যান্য | ১৭ মার্চ ২০১১ | ১২৯৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 124.247.203.12 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:০০469172
  • মানে, দোল তো ? আমি ন্নেই।
  • shrabani | 124.30.233.86 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:০২469253
  • আর একটা হোলী, কত জায়গায় কত হোলী দেখেছি, খেলেছি। মনেও নেই সব কথা।
    হোলী আসে এখনও তবে সেই আগের রঙ রূপ আর নেই বোধহয়, সময়ের সঙ্গে সবকিছুর মত আমাদের দেখাশোনায় সেই হোলী বা দোল আর দোলা দেয়না। এখন আবীর, গুজিয়া বধাই, মুবারক সব কিছুই যেন নিয়মরক্ষে।
    কেমন ছিল সেই হোলীগুলো যখন দিন গুনতাম কবে আসবে এই রংয়ের মহোৎসব? দেখি তো মনে পড়ে কিনা!
  • pharida | 220.227.148.193 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:০৫469264
  • কী একটা গানে যেন অপর্ণা সেনকে দেখাত চিত্রমালায়। সাদা কালো টিভিতে সেইসব রং আজো অমলিন :))
  • shrabani | 124.30.233.86 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:০৯469286
  • 'মা আমাদের দোল পরদিন কেন হয়?"
    "কী জানি মা, তোমাদের বাড়ির ব্যাপারস্যাপারই আলাদা। কেন জানিনা তবে এবাড়ীতে দোল পূর্ণিমাতে হয়না, পরদিন হয় তাও আবার সকালে নয় বিকেলে। পূর্ণিমাতে এবাড়ীর চাঁচর হয়।"
    "এখানে চাঁচর বলে কেন, মামুরা তো নেড়াপোড়া বলে?"
    এ প্রশ্নেও হাত উল্টে দেয় মা, যার কাছে এবাড়ী চিরকালই "তোমাদের বাড়ী" রয়ে গেল, "আমাদের বাড়ী" হল না।

    কদিন আগে থেকেই মাঠে ঘরের চালে যেখানেই দ্যাখ, বড় ছোট নানা আকারের তালপাতা শুকোচ্ছে, চাঁচরের প্রস্তুতি।
    আগে থেকেই বিভিন্ন টীম গঠন হয়ে যেত চাঁচরের জন্য। একটু বড় ছেলেপিলের মধ্যে চাপা একটা প্রতিযোগীতার ভাব, চাঁচরের অভিনবত্ব নিয়ে। আকারে নতুনত্ব আনা, কী করে বেশীসময় জ্বলবে, কত বড় হবে ইত্যাদি।
    স্কুল থেকে ফিরে খেয়েদেয়েই শুরু হত তালপাতা কাটার অভিযান। বড় তালগাছের পাতা কোনো কাজে লাগেনা, মাঠের ধারে ছোট ছোট তালগাছের পাতা মুড়িয়ে শেষ। কেটে নিয়ে এসে পুকুর ঘাটে ফেলা, ভালো করে ধুয়ে তারপরে শুকোনোর জন্যে মাঠে, দুয়ারে বা চালে পছন্দমতো জায়গায় এক করে রাখা। একদলের পাতার এলাকায় অন্যদলের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ, পাতা গুণে গুণে রাখা থাকত। কোনোসময় কারুর সংখ্যায় এদিক ওদিক হলেই, সন্দেহপ্রকাশ দোষারোপ থেকে ঝগড়া হাতাহাতি অবধি চলে যেত। অবশ্য সেসব ক্ষেত্রে বড়রা ঢুকে শাস্তিস্বরূপ পাতা ফেলে দেওয়ার বা চাঁচর না করতে দেওয়ার ভয় দেখাতে আবার শান্তি।
    তবে প্রস্তুতি থেকে শুরু করে চাঁচরের দিন অবধি একটা যুদ্ধের মহল যে থাকতনা পাড়ায় তা ছোটরা অন্তত কেউ হলফ করে বলতে পারতনা। এলেবেলে ছোটদের নেওয়া হত স্পাইং করার জন্য, অন্য শিবিরে ঘুরে ঘুরে কে কী ছক করছে সেসব খবর নিয়ে আসার জন্যে।

    শুকনো বাঁশ আর তালপাতা এই দুই হল প্রধান উপকরণ চাঁচরের। এছাড়া সস্তায় বাজিমাত করতে বা খুব ছোটদের যাদের তালপাতা সংগ্রহের উপায় ছিলনা তারা শুকনো পাতা ডালপালাও ব্যবহার করত। তবে সেসব চাঁচরকে কুলীন চাঁচর শিল্পীরা ধর্তব্যের মধ্যে আনতনা।

    রায়বাড়ীর চাঁচরের সীমানা শুরু হত আমাদের ঝিলের পাড়ের শুরু থেকে, সেই বারোয়ারীতলা অবধি রাস্তার দুইধার। বারোয়ারীতলায় শিব মন্দিরের উল্টোদিকে তৈরী হত ঠাকুরের নিজস্ব চাঁচর। জমিকে ভালো করে নিকিয়ে বাঁশ আর তালপাতা দিয়ে একটি কুঁড়েঘরের আকারে তৈরী। এই চাঁচরই ঠিক করে দিত আমাদের চাঁচরের শেষ সীমানা। এর পরে আর কোনো চাঁচর থাকতনা।
    পাড়া থেকে বেরিয়ে ঝিলের ধারে শুরুর চাঁচরটা তৈরী হত এক বিরাট তোরণের আকারে। দুদিকে দুটো বড় বাঁশ প্রায় আকাশছোঁয়া, তাতে মালার মত তালপাতা গাঁথা। এটা বানাতো বাড়ীর সিনিয়র ছেলেরা। তারপরে রাস্তার দু পাশে নানা আকারের চাঁচর, ছেলেদের, মেয়েদের। দুদিন আগে থেকেই শাবল কোদাল নিয়ে বাড়ির ছেলেরা যার যার বাড়ীর কাজের লোকদের নিয়ে লেগে পড়ত। স্কুলটা যদিও সব নামে যেত, পড়াশোনা এ কদিন একেবারে ব্যাকস্টেজে। তবে সেজন্য কোনো বকাবকি নেই, এসময়টা বাড়ির বড়রা সব উদার আর নিজেরাও ব্যস্ত ঠাকুরের দোল নিয়ে। বরং ফাঁকে ফাঁকে এসে উৎসাহ দিয়ে যেত হয়্‌ত বা নিজেদের ছোটবেলার কথা মনে করেই!

  • i | 124.168.143.145 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:০৯469275
  • ও শ্যাম যখন তখন, কোরো না খেলা এমন, ধরলে আর তোমার ছাড়বো না।। এইটার কথা বলছ কি , ফরিদা?
  • quark | 202.141.148.99 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:১০469297
  • "মোহনার দিকে" :

    খেলব হোলি রং দেব না, তাই কখনো হয়,
    এসো এসো বাইরে এসো ভয় পেও না ভাই

    এসেছে হোলি এসেছে, এসেছে হোলি এসেছে ......

    ইত্যাদি
  • shrabani | 124.30.233.86 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:২০469308
  • মূল উৎসব নারায়ণের মন্দিরে হলেও সমস্ত মন্দিরের আশপাশ ঘাস জঙ্গল কেটে পরিস্কার করা হত লোক লাগিয়ে। এইসব লোকেরা আগের দিন ঠাকুরের কুঁড়েঘর চাঁচর বানিয়ে আসত।
    চাঁচরের দিন সকাল থেকে পোকা ময়রা তার দোকানের ব্রাঞ্চ খুলে বসত আমাদের রাসমন্দিরে। জলখাবারে গরম গরম জিলিপী। বাবা পোকাকাকাকে বলে জিলিপীকে দুবার ভাজাত, "আমার মেয়েরা কুড়কুড়ে জিলিপী খেতে ভালোবাসে"।
    জিলিপী ছাড়া তৈরী হত পান্তুয়া, রসগোল্লা আর চিনির শুঁটিভাজা। ছোটরা ঘুম থেকে উঠে মুখটুখ ধুয়েই সোজা রাসমন্দির। ময়রার সামনে বসে মিষ্টি তৈরী হতে দেখা, এরকম সৌভাগ্য তো বড় একটা হয়না। হাজার সেধে বকেও তাদের নড়ানো যেত না ওখান থেকে। দোলের শেষে কিছুদিন ময়রার দোকান খেলাও চলত, হাতে গরম সমস্ত প্রক্রিয়া তখনও ছোট্ট মাথাগুলোতে জ্বলজ্বল করছে।

    আমাদের চাঁচরের দিন আসলে সারা গ্রামের দোল। ও:, বড় ঝামেলার হিসেব তাই না!
    মজার ব্যাপার ছিল দোল হলেও আমরা অবাধে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে পারতাম। এক আধটা ভুলভ্রান্তিতে হয়ে যাওয়া কেস ছাড়া এদিন কেউ ভুলেও আমাদের গায়ে রঙ দিতনা। "ওদের আজ দোল খেলতে নেই"।
    বিকেল হতেই সাজসাজ, আমাদের নয় ঠাকুরের। অনেক আগে থেকেই পাল্কী সারিয়ে সুরিয়ে রঙ করে রাখা হত। ঠাকুর দালানের নীচে চার ব্রাহ্মণ (তারাই চার বেহারাও) পাল্কী বার করে সাজাতে বসত।
    গাঁদাফুলের মালা আর আমপাতার ঝারি দিয়ে মোড়া হত, ভেতরে পাতা হত ভেলভেটের কাপড়ের আসন । ঠাকুরের সন্ধ্যারতির পরে নারায়ণ, লক্ষ্মী, শালগ্রাম শিলা এইসব বাইরে নিয়ে এসে পালকীতে বসাতেন পুরুত দাদু। তার আগে ঠাকুরদের সাজানো হত, রূপোর ছাতা, বাঁশি, সোনার মুকুট গয়না, ফুলের গয়না ও পীতবসন নারায়ণের, লক্ষ্মীর পরণে নীলাম্বরী।

    পাল্কী করে ঠাকুর যাবেন চাঁচর দর্শনে ও আবীর খেলতে।
    সবার আগে ঠাকুরের পাল্কী, তারপাশে পুরোহিতমশাই আবীরের ও মিষ্টির থালা হাতে। পিছনে কীর্তনের দল, বাড়ির লোক। গিন্নীরা যেতনা, তাছাড়া সবাই যেত। মেয়েরা বেশ সেজেগুজেই যেত, নতুন কমবয়সী বউরাও, গয়নাগাঁটি সাজগোজ প্রদর্শনের এমন সুযোগ বছরে বেশীবার তো আসেনা। অনেকেরই হাতে আবীরের ঠোঙা। দলটি ঝিলের পারে এলেই চাঁচরে আগুন দেওয়া শুরু। উল্লাস, চারদিকে আগুনের হল্কা, কীর্তনের দলের চিৎকার ও কাঁসর ঘন্টা শ্‌ঙ্খ ধ্বনির মাঝে ঠাকুর দোলযাত্রা শুরু হত।

  • pharida | 220.227.148.193 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:২২469319
  • i
    এক্কেরে ঠিক। আহা দেখার আগের দিন অবধি ছোটো ছিলাম :))

    মোহনার দিকে তখন দেখাত না চিত্রমালায়।
  • shrabani | 124.30.233.86 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:২৪469330
  • "বসন্ত বিলাপ"। বছরে দোলের আগে পরে প্রায় সব চ্যানেলে এটা দেখানো হয়। এছাড়া দাদার কীর্তি।:)
  • siki | 123.242.248.130 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:২৫469173
  • বসন্তবিলাপ সিনেমার গান।
  • quark | 202.141.148.99 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:৩৩469184
  • কালই তো শুনলাম পাশের বাড়ির টিভিতে শুরু হয়ে গেছে "হোলি কে দিন দিল খিল যাতে হ্যায় রঙ্গো মে রং মিল যাতে হ্যায়"
  • shrabani | 124.30.233.86 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:৩৯469195
  • বড় দাদাদিদিদের দলে ঠাঁই নাই দুধেভাতেদের। বায়নাতে অতিষ্ঠ হয়ে শেষে মা উদ্যোগ নিল ছোট মেয়ের জন্য চাঁচরের ব্যবস্থা করতে। সঙ্গীও পাওয়া গেল আর এক মক্কেল, কাকীমার ছেলে রিন্টু। চেয়েচিন্তে তিনটে না চারটে তালপাতারও জোগাড় হল। মায়ের আইডিয়া আর বাড়ীর চাষী লক্ষীকাকার ব্যবস্থায় চারদিক থেকে কঞ্চি পুঁতে একটা পিরামিড গোছের কাঠামো হল। তার ওপরে তালপাতা চাপা দেওয়া হল। তালপাতা কম, তাড়াতাড়ি জ্বলে শেষ হয়ে যাবে, তাই ভেতরে শুকনো দেবদারুপাতা ঝোড়ায় করে এনে ডাঁই করে রাখল কাকা।

    অনেকেই এরকম শুকনো পাতার ডাঁই রাখত ভেতরে, কেউ কেউ আবার কাঁচা বেল রেখে দিত। যখন আগুন ধরত সেই কাঁচা বেল ফাটত বিকট শব্দে, প্রায় কালীপুজোর বাজি ফোটার মত।
    প্রথমে যাওয়া হত গ্রামের শেষপ্রান্তে ধর্মঠাকুর বা গেঁড়িবুড়ির থানে। সেখানে আবীর আর মিষ্টি দিয়ে ব্রজরাজ আবীর খেলা শুরু করতেন। রাস্তার দুধারে সারা গ্রাম এসে ভীড় করত। মেয়েদের জন্য বচ্ছরকার ঠাকুর দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ীর মেয়ে বউদের সবাইকে একসাথে দেখার কৌতূহলও কিছু কম ছিলনা। কে কী সেজেছে, কার বউ কেমন দেখতে হয়েছে। কমবয়সীদের রাতের বেলায়ও ঘরের বাইরে থাকার মওকা। কর্তারা নিজেদের কর্তব্যের মধ্যে ধরত ব্রজরাজের আবীর খেলা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, কোনো গোলযোগ ছাড়াই।

    আর যুবক যুবতীদের কথা কী বলব! এমন দিন, উপরি পাওনা রঙের খেলা শেষ হয়েও হয়না রায়েদের এই সৃষ্টিছাড়া নিয়মের জন্যে।
    অন্ধকার রাস্তায় হ্যাজাকের আলোয় পুরোপুরি দুর না হওয়া আঁধারের আড়ালে এই সুযোগে দু চারটে গল্পের লাইন লেখারও যে চেষ্টা হতনা তা কে বলতে পারে! কিছু করার নেই, মওকা আর দস্তুর দুইই আছে, বসন্ত জাগ্রত দ্বারে!

  • dd | 124.247.203.12 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:৪৬469217
  • হ্যাঁ হ্যাঁ। বসন্ত জাগ্রত দ্বারে, এটা বসন্ত নামে একটি দারোয়ানের কহানী।

    আর একটি গান, যাতে পরকীয়া প্রেমের কথা স্পষ্ট বলা আছে, "মনে করো স্বামী নেই, বসন্ত এসে গ্যাচে... জানি না, দুই বসন্তই একই লোক কিনা।
  • kumu | 59.178.142.89 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:৪৬469206
  • আমার জন্য,বসন্তের সবচেয়ে প্রিয় গান,

    বসন্তে কি শুধু কেবল ফোটা ফুলের মেলা,
    দেখিস নি কি শুকনো পাতা ঝরা ফুলের খেলা?
    ----------------------------------
    উৎসবরাজ দেখেন চেয়ে ঝরা ফুলের খেলা।
  • shrabani | 124.30.233.86 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১২:৪৭469228
  • গেঁড়িবুড়ির থান থেকে আবার উল্টোপথ ধরা, এবার গন্তব্য হালদার মায়ের থান। বারোয়ারীতলা পেরিয়ে যেতে হয়, ততক্ষণে সব চাঁচরই জ্বলে গেছে ব্যতিক্রম শুধু ঠাকুরের কুঁড়েঘরের চাঁচর বারোয়ারীর আটচালার ধারে। হালদার মায়ের মন্দিরের দালানে পাল্কী রাখা হয়। আবীর আর মিষ্টি দিয়ে সেখানেও "হ্যাপী হোলী" করেন ঠাকুর। এরপর পাল্কী ফিরিয়ে নিয়ে সোজা সেই চাঁচরের কুঁড়েতে। ঠাকুরের সাথে মিছিলে সবার হাতের আবীর তখনও অটুট। আগে ব্রজরাজ তার আবীর খেলা শেষ করবেন তবে অন্যরা খেলা শুরু করবে। চাঁচরের মধ্যে রাখা হয় ঠাকুরদের, তারপরে শুরু হয় পুজো। চারিদিকে লোকে লোকারণ্য, পুজো ভালো করে দেখাই যায়না। দিদির এক হাত শক্ত করে ধরা থাকে, অন্য হাতে দিদির আবীরের ঠোঙা।
    গাঁয়ের কীর্তনের দল এমনিতে "হরি হরি" বিভিন্ন চালু সিনেমার গানের সুরে গেয়ে থাকে,পাবলিক অয়াপীলের জন্যে। কিন্তু আজ কর্তাদের কড়া নিষেধ আছে, আজকের হরিনাম যেন একেবারে আনপল্যুটেড হয়। জেঠুর তীক্ষ্ম নজর সেদিকে, ভুলেও ঐ "তুমি আমি বসে আছি বকুলতলায়" মার্কা গানের সুর যেন না এসে পড়ে। খুব বোর হয়ে দলটা তাই তারস্বরে চেঁচিয়ে যায়, পাবলিককে ইমপ্রেস করার জন্য।

  • i | 124.168.143.145 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৩:০৫469239
  • বাংলা পুরোনো সিনেমার গানের মধ্যে মঞ্জরী অপেরার একটা গান-সাবিত্রী-উত্তম-আজ হোলি খেলব শ্যাম তোমার সনে ,একলা পেয়েছি তোমায় নিধুবনে। ছোটোবেলায় ভালো লাগতো খুব-চিত্রমালায়।

    কুমুদিনী,
    এই সব ফাগুনের ফুল টুল কই যায় কন দেখি।
  • kumu | 59.178.55.32 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৩:১৮469250
  • ঝরে যায়,বিপুল অন্ধকারে।

    খুবই অপ্রাসঙ্গিক,কিন্তু ঐ ঝরে যাওয়া ফুল থেকে ন্যাচারাল রং বানানো যায়,কোন কোন ফুল থেকে সরবতও হয়।
  • i | 124.168.143.145 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৩:২৬469251
  • কুমুদিনী,
    বিহার যায়। ঝরিয়ায়।
    শিব্রামীয় রসিকতা।

    শ্রাবণী,
    আপনার লেখার মধ্যে চাট্টি বাজে কথা কইলাম। অপরাধ নেবেন না। লিখে চলুন। সঙ্গে আছি।
  • kumu | 59.178.55.32 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৩:২৯469252
  • ডিডিদা,অনেকদিন পর দেখা হল।
    দুই বসন্ত একই লোক তো।
    মনে করো,স্বামী নেই,বসন্ত এসে গেছে,
    কিন্তু script ভুলে ইসেতে ভেসে গেছে।
  • kumudini | 59.178.55.32 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৩:৩৪469254
  • শ্রাবণী, তুমি লিখে যাও,আমরা কি কইচি, সেদিকে কান দিও না একেবারে।
    সত্যিই,এমন সুন্দর লেখার মধ্যে এইসব -----
  • dd | 124.247.203.12 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৩:৩৬469255
  • ছি ছি। কোনো কান্ডো গ্যান নেই ?
  • kumu | 59.178.55.32 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৪:০৮469256
  • ও শ্রাবণী,লেখো না গো!
  • i | 124.168.143.145 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৪:১২469257
  • কুমুর যেমন কান্ড! গো গো কোর্লে আসবে ক্যানো? শ্রাবণী কি ভূত পতরীর দেশের মেয়ে?
    এ ভাবে ডাকেন-
    শ্রা----ব---ণীঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈএ
  • pharida | 220.227.148.193 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৪:১৮469259
  • এ ডাক পুরো ডাকব্যাবস্থা ব্যতিব্যস্ত করে দেবে :))
  • I | 115.118.71.241 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৪:১৮469258
  • যত্ত সব টইজ্যাকার !
  • kumu | 59.178.55.32 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৪:২৭469260
  • এইভাবে ডাকলে শ্রাবণী আজই সেই ঋষীকেশ না কোথায় চলে যাবে।
    নরম করে,মাখোমাখো ভাবে ডাকতে হবেক।
    লেখাটা এমন চমৎকার হচ্ছিল।
  • pharida | 220.227.148.193 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৪:৩১469261
  • ওতে হবে না। চমকাতে হবে - তিন গোণার মধ্যে না এলে "শ্রাবণীকে ডাকুন" বলে টই শুরু হয়ে যাবে - কাউন্টিং শুরু করলাম .... এক ......
  • siki | 123.242.248.130 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৪:৪৬469262
  • দুই ........
  • kumu | 59.178.55.32 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৪:৫০469263
  • ডাকা হচ্চে না ঠিক্করে।
    ডাক দেখি মন ডাকার মতো----
  • siki | 123.242.248.130 | ১৭ মার্চ ২০১১ ১৫:১৯469265
  • সোয়া দুই ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন