এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মুকুটমণিপুর এবং

    I
    অন্যান্য | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ | ২৯৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 14.99.64.67 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:৫২466391
  • হায় কী হল ! যাইহোক, আর থ্রেড নষ্ট করা চলে না। এখানেই লিখি। সর্ষে-ফর্ষে আর লিখতে ইচ্ছে করলো না। সর্ষে কেমন পচে গেছে।

    আর হ্যাঁ, শুনুন, মুকুটমণিপুর শুনে নাক সিঁটকোবেন না। আমার হাত সুড়সুড় করছে, আমি কী করবো !
  • hu | 12.34.246.72 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:০১466432
  • কাজিরাঙা শেষ হল না, এদিকে ইনি মুকুটমণিপুর খুলে ফেল্লেন!
  • I | 14.99.64.67 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:১০466443
  • এবারের বেড়ানোটা পুরো সঙ্গীতা অ্যারেঞ্জ করেছিল। পুরো ঠিক নয়, সঙ্গীতা'র বন্ধু আর তার পরিবার যাচ্ছিল মুকুটমণিপুর। তারাই প্রাইমারি খোঁজখবর, ট্যুর প্ল্যানিং ইত্যাদি করে। সঙ্গীতা'র এই বন্ধুপরিবারকে আমার বেশ ভালোই লাগে, এবং আমার কখনো বাঁকুড়া যাওয়া হয় নি। বেশ খানিকটা স্ট্রেসড আউট হয়েওছিলাম, একটা বেড়ানো অনেকদিন ওভারডিউ হয়েছিল মনে হচ্ছিল। কাজেই সঙ্গীতা যখন বললো, যাবে? আমি "না' বলার কোনো কারণ দেখিনি।
    মোদ্দা কথা আমি বেড়াতে বেরোনোর আগে এবার কুটোটি নাড়িনি। বেড়াতে যাওয়ার আগের রাতে ন'টার সময় ফিরেছি। সঙ্গীতা গোছগাছ করেছে, আমি এসে শুধু ফিনিশিং টাচ দিয়েছি। তবে এরকম ঝটিতি ভ্রমণ আমি আগেও করেছি। সুন্দরবন যাওয়ার সময় অ্যাপোলো থেকে নাইট ডিউটি করে বেড়িয়েছি, সঙ্গীতা ট্যাক্সি নিয়ে অ্যাপোলোয় এসে হাজির হয়েছে আমায় পিক আপ করে শিয়ালদা স্টেশনে যাবে বলে।লেপচাজগৎ হনিমুনে বেড়িয়েছি,সেও সেই ডিউটি সেরে এসে। কিন্তু সে-সব বারও অন্তত: ট্যুর প্ল্যান, যোগাড়যন্তর ইত্যাদি করেছিলাম। এবার সেসব কিচ্ছু না।
  • I | 14.99.64.67 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:২৩466454
  • রাঢ় বাংলা দেখবার খুব সখ, আসলে। এবছরের শুরুতে শান্তিনিকেতন গিয়ে বেশ ভালো লাগলো। বচ্ছরান্তে বাঁকুড়া মন্দ হবে না বলে জয় মা ! বলে বেড়িয়ে পড়া। গাড়িতে যাওয়াই প্রথম পছন্দ ছিল, কিন্তু ভ্রমণসঙ্গীদের ইচ্ছা অন্যরকম। অগত্যা ট্রেন।
    ট্রেন মানে অচেনা স্টেশন। শালিমার। আরণ্যক এক্সপ্রেস। খুব ভোরবেলা (সাড়ে পাঁচটা),শীতের ভোর-তখনো আলো ফোটে নি, রঞ্জিত ঠিকঠাক হাজির। ছেলেকে তোলাই মুশকিল। মিনিট দশেক দেরী হল সেই বাবদ। আগের রাতে আমার নিজের ঘুম প্রায় হয়ই নি, ছেঁড়া-ছেঁড়া, ঘন্টায় ঘন্টায় ভেঙে গেছে। দুচ্ছাই বলে পৌনে পাঁচটা'র সময় উঠেও গেছি আর নেটে বসে গেছি গান শুনতে । দেখি সঙ্গীতা'ও উঠে এসে বসেছে পেছনে-আর দুজনে বসে শুনছি : দ্বিদলের মৃণালে/সোনার মানুষ উজলে। আসলে তখনো লালনঘোর কাটে নি। বাউল-বৈষ্ণবের বাঁকুড়া, অতএব মন্দ লাগবে না। কিন্তু পথের দেবতা মুচকাইয়া হাসিলেন।
  • I | 14.99.64.67 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৪০466465
  • সক্কাল সক্কাল শালিমার। এক কাপ চা, ভোরের বিটি রোড, বালি ব্রীজ, দক্ষিণেশ্বরের প্রাত:ভ্রমণকারী, চায়ের দোকানে উনুনে আঁচ। রঞ্জিত বম্বে রোডের দিকে ঘোরে। যত বলি জিটি রোড, ওরে জিটি রোড, আমরা কাল রাতে গুগল ম্যাপে দেখলাম যে রে পষ্ট---- সে উদো কিচ্ছু শোনেনা। বলে, ঘুর হবে। মুখপানে চেয়ে বলে-না, না, না। আমরাও, যেহেতু নভিস, যেহেতু গজ-ফিতে দিয়ে মাপ করা হয় নাই, বেশী বলি না। ঘুরে ঘুরে সে শালিমার এসে পৌঁছয়। আর তক্ষুনি তক্ষুনি দেবযানী, অরুণ, খুশী আর মেশোমশায়ও এসে পৌঁছন ট্যাক্সিতে।

    ট্রেন ঠিকঠাক ছাড়ে। ট্রেনের সীটগুলো কেমন ছোটছোট। আরেকটু বড় আশা করেছিলাম। পরের স্টেশন সাঁতরাগাছি। কিন্তু কোথায়, ঝিল তো দেখলাম না ! পরিযায়ী পাখিরা, কোথায় তারা কে জানে !
    ট্রেনে আমরা খেলাম স্লাইস কেক, জয়নগরের মোয়া, ঝালমুড়ি, চা। অনেকদিন বাদে ট্রেনের ঝালমুড়ি খেয়ে আমোদ হল। অরুণ সেসব কিচ্ছু খায় না, বলে কিনা কোনো ফুড ভ্যালু নেই। আমার দিব্যি ভ্যালু ফর মানি মনে হল। হ্যাঁ, সঙ্গীতা পাশে বসে আছে, লেখা দেখছে, জিগ্গেস করাতে বললো---ও-ও খায় নি। টুঙ্কাইয়ের প্রশ্নই নেই, কেননা আগেরদিন দুপুরেই ডাক্তার দেখিয়ে এসেছে পেটের গোলমালের জন্য। (ওর জন্য গোটা ট্যুর আমরা নিরামিষ খেয়ে থেকেছি)। তাছাড়া সে সায়েব মানুষ, ঝাল-ফাল এমনিতেও সহ্য করতে পারে না।
  • pi | 72.83.86.24 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৫৪466476
  • ভারি সুন্দর জায়গা। আর ভারি সুন্দর সুন্দর স্মৃতি সব। সেই ইস্কুলবেলার ক্লাসট্যুর।
  • I | 14.96.147.255 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:১৫466487
  • ও হ্যাঁ, খাওয়ার লিস্টি ইনকমপ্লিট থেকে যাবে যদি না আলুর চপ মেনশন করি। অচেনা লোকের হাত থেকে নেওয়া আলুর চপ(যদিও টেকনিক্যালি ঠিক "হাত' থেকে নেওয়া নয়, চপওলা'র থেকে কিনে নিয়ে হাতবদল----তা চপওলা'ও ত অচেনাই হল, নাকি?) আর আমরা যে অচেনা লোককে এট্টু আগেই জয়নগরের মোয়া খাইয়ে দিলাম কেমন কায়দা করে, তার বেলা? সে ত এক্কেবারে বাড়ি থেকে আনা । কী জানি বাবা ! ঘোর কলিকালে এত্তটা নাইভ হওয়া কী ঠিক? যাহোক, বেঁচেবর্তে ত আছি---অচেনা আলুচ্চপ, অচেনা নিরামিষ্যি-টানা আড়াইদিন ( ফন্ট সাইজ ৫৬, বোল্ডে হবে), এবং -হ্যাঁ, বলবো না-ই বা কেন ----বিষ্ণুপুরের অমন সুন্দর মাছিমিল সত্বেও।

    লীলা মজুমদার যেমন বলেছিলেন, লাল মাটির দেশ, রুক্ষ বড্ড, বেঁটে বেঁটে খেজুরগাছ, ট্রেন কাটিংয়ে নামলে ঝুকঝুক করে আওয়াজ হয়(এখন, অক্ষদা যে আমাকে চেপে ধরে বলবে, ইন্দো, কাটিং কী----সেটি হচ্ছে না। কাটিং কী, আমি জানি না, বলেই রাখলাম আগেভাগে)। তবে সেইসব হাসিমুখ আদিবাসীদের দেখিনি, প্ল্যাটফর্মকে যারা লাটফর্ম বলে, তেল মাখা কালো রং, শাদা শাদা দাঁত, করম পুজায় চলেছে---তাদের দেখিনি। শুধু পেরিয়ে এসেছি গড়বেতা, শালবনী ইস্টিশন। শান্ত সব স্টেশন, শাল আর ইউক্যালিপ্টাসে ঘেরা, যেন কত নিরীহ, ভয় কাকে বলে জানে না। আর আমার ডেজ্যা ভু হয়, আমি স্বপ্নে এবং বাস্তবে যেন এইসব স্টেশন দেখেছি, মা-র সঙ্গে যাচ্ছি, স্টেশনের পাশে শালজঙ্গলে, রেলকোয়ার্টার্সের পাশে গুলির লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে গেছি। আরো দেখেছি লগবোঝাই লরি। ভাট ফুলের জঙ্গল। স্বপ্নে। যেন বা কোনো জেগে থাকায়।

    কিন্তু সেইসব হাসিমুখ আদিবাসীরা? কোথায়, তারা?
  • a x | 99.188.92.190 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:২১466498
  • যে ডাক্তার জানেনা, পেটের গন্ডোগোলে মাংস হচ্ছে অব্যর্থ ওষুধ, সেই ডাক্তারকে আমি আর কিস্‌সু জিগাবোনা!
  • I | 14.96.86.190 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:২৩466509
  • আরে, আমাকে ধরে টানাটানি ক্যানো ! আমার ছেলের ডাক্তারকে গিয়ে ধরুন্না, সাহস থাকে তো !
  • achintyarup | 59.93.241.167 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ০৩:১৮466392
  • তারপর?
  • Samik | 155.136.80.174 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:৩৩466403
  • আর সেই সব ইউক্যালিপটাস গাছগুলোকে শালবনীর লোকাল লোকেরা বলে পটাশ গাছ :)

    স্বর্ণালী চাকরিজীবনের শুরুতে ট্রেনিংয়ের জন্য শালবনীতে ট্রেনিং সেন্টারে ছিল তিনমাস। খুব গল্প শুনেছি, খুব ছবি দেখেছি। যাওয়া হয় নাই।

    আগে বাঢ়ো।
  • kumudini | 59.178.128.136 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৩২466414
  • একবার মুকুটমণিপুর যাওয়ার ইচ্ছে ছিল,তা ইন্দোবাবু তো সেখানেই যাচ্ছেন দেখি।ওঁর লেখা পড়লেই জায়গাটা কেমন একটা আশ্চর্য মায়াপুরী হয়ে যায়,সেখানে আর যাওয়া যায় না।
  • r.h | 203.99.212.53 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৬:৩৭466425
  • "...প্ল্যাটফর্মকে যারা লাটফর্ম বলে, তেল মাখা কালো রং, শাদা শাদা দাঁত, করম পুজায় চলেছে তাদের দেখিনি।..."

    পোশোংসাসূচক বাক্য লিখতে গিয়ে দেখছি এই লাইনটাকে উদ্ধৃত করার পর এর পাশে আর কোন শব্দ বসতে পারছে না। অপেক্ষা করে রইলাম আরকি।

    তবে ইন্দোদার লেখনী বড়ই মগজধোলাই মূলক। তিনি নাকতলা বাজারের ভ্রমণকাহিনী কিংবা লহু কে দো রং সিনেমার নিবিড় আলোচনা লিখলেও আমি অন্তত কেমন যেন স্মৃতিমেদুর ব্যথাকাতর উন্মন ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে যাবো বলে আমার ধারনা।
  • dd | 124.247.203.12 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৬:৫৫466426
  • ইন্দোদার ল্যাখা তো?

    হ্যাঁ, উনার ল্যাংচার রেসিপি পড়েই তো আমি টানা দু ঘন্টা ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলাম। এইসা গাঢ় রসাক্তো ছ্যালো।
  • kumudini | 59.178.159.187 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৭:১০466427
  • ডিডিদা,কোথায় ছিল ল্যাংচার রেসিপি?
  • Nina | 67.133.199.254 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:০৮466428
  • হা হা হা হা :-)))
    ডাগদার অম্মো একমত---চরিত্র কাল্পনিক পড়ে টোটাল ভ্যাবাচাকা খেয়েছিলুম---ভাবলুম আর একবার দেখি কিন্তু ভয়ে আর দেখিনি--ঘোর কেটে যাবার ভয়ে !
  • Nina | 67.133.199.254 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:১০466429
  • ধ্যুস! ডীডী কাঁদল কারণ ল্যাংচার রেসেপীতে গোলমরিচ দিতে বলেনি ডাগদার তাই ;-) (আমার অনুমান)
  • I | 14.96.67.17 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৪১466430
  • ট্রেনে কেমন আজব আজব সব মজাদার লোকের সঙ্গে আলাপ হয়ে যায়। আমাদের পেছনদিককার বেঞ্চে বসেছিলেন এক ভদ্রলোক , তিনি দিব্যি হাসিমুখে যেচে এসে আলাপ করলেন। এদিকে খুশী কিনা বেশ ইংরেজীনবিশ, ইংরেজি ধাঁধা-র বই পড়ে পড়ে লোককে জব্দ করছিল, তাই তিনিও মাতৃভাষা ছেড়ে ম্লেচ্ছ ইডিয়মে চলে গেলেন ধাঁ করে। আর সে কী অপূর্ব ইংরেজী! আমার কানে আসছিল টুকটাক, খ্যাল করিনি তেমন----এমনিতে গায়ে-পড়া লোকদের পছন্দও হয় না-এখন হায় হায় করছি। সঙ্গীতা তার দুয়েক টুকরো শুনিয়েছিল, সে-ও ভুলে গেছি। নইলে টুকে দেওয়া যেত।
    শুধু কী ভাষা ! আর ভাব? ভাবের কথা বলতে হবে না? দু-মিনিটের মধ্যে ভাব জমিয়ে নিলেন মহায়, বললে পেত্যয় যাবেন না। খুশীকে দেখে বললেন-খুব ভালো হবে, পিতৃমুখী মেয়ে ত, সুখী হবে বড়। আমাদেরটার বাঁদরামি দেখে বিন্দুমাত্র বিরক্ত হলেন না, উল্টে প্রশংসা করলেন কত। বললেন -পাগল (পাগলের পরে ছাগল বলেছিলেন কিনা মনে নেই, তবে কী যেন একটা বলেছিলেন) ছেলে ত,এরাই বড় হয়ে জিনিয়াস হয়। শুনে খুশী হব না অপমান বোধ করবো ভাবতে ভাবতেই শালবনী চলে এল।
    তবে হাইট হল শেষবেলায়। টুংকাইকে অনেকক্ষণ ধরেই পুলিশের ভয় দেখানো হচ্ছিল, অবশেষে সত্যি দেখাও গেল একজন পুলিশ মনিষ্যি, দামী বন্দুক কাঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আমাদের কামরাতেই আবার এসে হাজির হল। তো সে সি আর পি এফ গেল ঘর তো লাঙল তুলে ধর। শেষমেশ অতিষ্ঠ হয়ে বল্লাম, এই যে দাদাভাইকে দেখছো, ইনিও কিন্তু পুলিশ, জানো তো ! শুধু ইউনিফর্ম পরেন নি--তাই না, বলুন!

    ভদ্রলোক একগাল হেসে বল্লেন-হ্যা:, এরা আবার পুলিশ ! সবে তো চাগড়িতে ঢুকেছে----ছত্তিরিশ বছর পুলিশে চাগড়ি করলাম মশায়, কোথায় না গেছি ! শুধু এদিগটে তেমন আসা হয় নি।
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৪৫466431
  • বড়ই অল্প হইল
  • I | 14.96.67.17 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:২৬466433
  • তো এঁরা হলেন সকল সিনিসিজমের মহৌষধ। এইজন্যেই মুনিঋষিরা বলে গেছেন, জীবন যখন শুকায়ে যায়, মুখের তেতোভাব দুরারোগ্য হয়, আমাশায়-অজীর্ণে চিত্ত জেরবার হয়ে ওঠে--তখন, ওরে পাগল মন, তখনই একবার এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে বস। ঘন্টা পাঁচেকের হলেও চলবে। ট্রেনযাত্রা এক মহতী জিভছোলা, সকল প্রকার জেদী, পুরু ও তেতো সর-ময়লা সে ঘষে ঘষে জিব থেকে তুলে ফেলবেই ফেলবে; দূরপাল্লার ট্রেনের মত ক্রান্তিকারী অ্যান্টাসিড এই দীনদুনিয়ার মালেক আর দুটি বানান নি। তবে হ্যাঁ, খরচা আছে ! আপনি শখের কবুতরজুড়ি, নাজুক অঙ্গে তাপ লেগে যাবে বলে এসি ফাস্টো কেলাসের বন্ধ কুপে ঢুকে বসে রইলেন, সেটি হবে না। সেকেন কেলাসে চড়বেন, ছোট জার্নি হলে নিদেন সিটিং রিজার্ভেশন, কল-ওঠা ছোলা-লিট্টি-নেবুনজেন-কফিজ্জল-মশলামুড়ি দেদার প্যাঁদাবেন, তবেন্না!!

    বলতেই মনে পরে গ্যালো, সেই বচ্ছর দশেক আগের কথা--- একলাটি চলেছি অমৃতসর মেলে পাটনা ফিরবো বলে--মনমেজাজ যেন আলিপুর সে¾ট্রাল জেলের পুলিশের কম্বলধোলায়িত। নড়তে চড়তে হাড্ডি পিলপিলিয়ে যায় , এমন মনোকষ্ট। বাড়ির আরাম ছেড়ে আবার সেই পাটনাই গ্রিলিং, আবার সেই ম্যাসোকিষ্ট রাজপুত গাইড, এবার কিছু বেশীদিনই বাড়ির মায়ায় আছিলাম। এহেন কালে আমায় দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল এক জাঁদরেল বাঙালিনী। এক বর্ণ হিন্দী না জেনেও শিশুপুত্তুরকে নিয়ে সেই প্রবল বিহারবেল্টে সীট রক্ষা করতে করতে চলেছেন তিনি, সঙ্গে স্বামী-শ্বশুর-দেওর-শালাজ-কিচ্ছুটি নেই। মেরা বাচ্চা আভি ঘুমায়েগা, কেয়া ভাই ! বলতে বলতে বিজয়গর্বে তিনি চাদ্দিকে একবার চক্ষু ঘুরিয়ে নিলেন,আর অমনি সব জাঁদরেল জাঁদরেল লাঠি ও ভঁইস দনাদ্দন দনাদ্দন কুপোকাত। আর সে কী বাচ্চা রে ভাই! সুমুখেই এক বৃদ্ধ মুসলমান বসেছিলেন, সদ্য হজ সেরে ফিরেছেন মনে হল, সঙ্গীকে আব-এ-জমজম-এর বর্ণনা দিচ্ছিলেন না কি কচ্ছিলেন এতদিন পরে আর মনে নেই। সেই অবোধ-ললিত-মন্দাক্রান্ত বঙ্গপুঙ্গব, যে নাকি "আভি ঘুমায়েগা'--- সমানে বুড়োর কোলের কাছে নেচে নেচে স্বউদ্ভাবিত গানের পদ আউড়ে গেল। তাতে আবার একটিমাত্র লাইন--"আর্‌রে জমজমি রে'- সৃষ্টিছাড়া সুরে সেই একখানা শব্দবন্ধই সে বুড়োর দাড়ির সামনে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গাইল। একবার গাইল, দশবার গাইল, বিশ-পঁচিশ, একশোবার। আহা, স্তিতধী বৃদ্ধ, ভাগ্যিস জানতেন না যে সংযমের জন্য কোনো নোবেল নেই!
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩৯466434
  • কত্তদিন ট্রেনে চড়ি নাই
  • Nina | 67.133.199.254 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৪২466435
  • আরে ক্ষি ক্ষান্ড!! পাটনা গিয়েছিলে--কবে কেন? ওখেনেই আমার জম্ম-বেড়ে ওঠা যদ্দিন্না পরের ছেলের সঙ্গে বার করে দিল নিজের বাবা-মা! ইয়ে এট্টু পাটনাই কতাও বলে যাও মুকুটমণিতেই পিলিজ!
  • I | 14.96.67.17 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:২৯466436
  • ট্রেন এসে যথা সময়েই বাঁকুড়া স্টেশনে ঢুকল। লাটফর্ম থেকে বেরোতে গিয়ে চোখে পড়লো-সোনামুখী যাইতে এইখানে ট্রেন বদল করুন---আর অমনি আমার মনে পড়ে গেল যথাক্রমে পাল্লিন, সোনামুখী'র মোচ্ছব আর সনাতন দাস বাবাজী'র কথা।

    গিয়ে চেপে বসা গেল একখানা সাদা রংয়ের অ্যাম্বাসাডরে। চেপে বসাই বটে, কেননা ড্রাইভার সমেত তাতে জনা আটেক মনিষ্যি, দুইখান আধ মনিষ্যি ইনক্লুডেড; সঙ্গে মালপত্তর ইত্যাদি। নাকি বড় গাড়ি কিছু এই অবেলায় নেই।
    আমার তো দিব্যি নরসিংয়ের ছ্যাকড়া গাড়ি মনে এল। শুধু রবি ঘোষ লাই, আর সে হল গে তুমার বীরভূম, দুবরাজপুর, মামা ভাইগ্নে পাহাড়। হোক গে, কিন্তু রাঢ় বাংলা ত বট্যে, ল্যাটেরাইট মাটি ত বট্যে। বিশেষত: যখন বাদল দিনের প্রথম কদমফুলের মত প্রথম ন্যাড়ামুণ্ডি টিলা চোখে পড়ল---কে যেন বলল মাউন্টেন--আর অমনি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশে আরো ক'টা টিলা প্রায় মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এল। টুংকাই এতক্ষণ সাময়িক যুদ্ধবিরতি দিয়ে বোনাপাট্টি'র মত ঘোড়ার পিঠে এট্টুস ন্যাপ নিয়ে নিচ্ছিল, পাহাড় কানে যেতেই আবার সে লড়াইক্ষ্যাপা'র মত লাফ দিয়ে উঠে বসল।

    যেতে যেতে নানান আকারের জটাজুটওয়ালা , গেরুয়াধারী বাউল চোখে পড়ল-এ হল গে বাউল-বোষ্টমের দেশ; দিব্যি ছবি হত, কিন্তু ম্যাদামারা দুপুর রোদ, আর জঠরানল জ্বলে দ্বিগুণ দ্বিগুণ, অগত্যা। ইস্কুলফেরতা ছেলেমেয়ের দল দেখা গেল, প্রথমে স্কুল ইউনিফর্ম পরা, চুলে তেল, পায়ে জুতো---বাংলাদেশের আরেকটু হৃদয়ে ঢুকতেই সেই ছেলেময়ের দল বদলে হয়ে গেল রুখাসুখা, চুলে লালচে ভাব, ইউনিফর্মের বালাই ঘুচেছে, পায়ে খড়ি ওঠা। অদ্ভুত অদ্ভুত সব জায়গার ওপর দিয়ে চললাম-ইঁদপুর,ভেদুয়াশোল, হাতিরামপুর, সুপুর হয়ে খাতড়া। খাতড়া একখানা আস্ত টাউন,আর সেখান থেকে মুকুটমণিপুর তো এই এট্টুখানি। রাস্তায় ছাগল চরছে, গোরু-মোষ,এমন কি ভেড়াও। শুখা জমি, ধূ ধূ, মধ্যে মধ্যে সর্ষে ক্ষেত, রাস্তার পাশে বটগাছ, ভাঙা শিবের দেউল, উদাসীন সৎসঙ্গের আশ্রম। রাস্তার ওপরে ধান শুকোতে দেয় মানুষ, ছানাপোনা সমেত মুরগী- মা গাড়ির সামনে দিয়ে ধূলো উড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়, প্রখর রোড সেন্স। চোখে ঘোর লেগে যায়। বাংলার জেলা।
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:৩৬466437
  • আহা
  • Samik | 155.136.80.174 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:৫০466438
  • বড় নস্টালজি হয়ে পড়ছি গো, ডাইগ্‌দার। মুকুটমণিপুর না হইল্যেও, ঠিক এই রকমের জেলা-মফস্‌সলে কেটেছে আমার ছোটোবেলার কিছুটা। সে-ও লাল মাটির দেশ, শালবনীর থেকে সে এমন কিছু দূর নয়।

    যেন নতুন করে কালকূট পড়ছি। জয় গুরু। শোভানাল্লা। হোক কত্তা, আরেক ছিলিম হোক।

    জয় গুরু।
  • samran | 117.194.100.92 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৪৭466439
  • নীনাদিকে ক। ডিডিদাদাকেও। ডাগদারের ল্যাখা পড়ার পরে আর সেখানে যাওয়ারও দরকার নেই আর সিনিমাও দ্যাখার তাগিদ থাকে না। য্যামন আমি এখনও মনের মানুহ দেখনের সাহস পাই নাই, চাদ্দিক থেকে যা গালাগালি শুনছি আর ইদিকে ডাগদারের "সাঁইর বারামখানা', দুইয়ে মিলে যা তা:-(

    তবে ঘটনা হইল মুকুটমি্‌ণপুর আমি আগেই ঘুরিয়া আসিয়াচি:-) যাওয়ার কথা ছ্যালো ঘাটশিলা, ট্রেনের টিকিটও কাটাই ছ্যালো কিন্তু মন্দিরতলার ট্যাসকিওয়ালাদের কল্যাণে আর সুমেরুর জেদে (সে কিছুতেই পঞ্চাশ ট্যাহার জায়গায় দুই শত ট্যাহা ট্যাসকিওয়ালাকে দেবে না) টেরেনটা মিস হয়ে গেছিল।

    ধম্মোতলার বাসগুমটিতে ঘন্টাখানেক দাঁড়িয়ে থেকে বাস ধরে বাঁকুড়া যাওয়া মনস্থ করে সেথায় গিয়ে আবারও ওই একই বাসের টিকিট কেটে সোজা মুকুটমণিপুর! সোন্ধেবেলায় পৌঁছে পঞ্চায়েত সমিতির গেস্ট হাউসের নড়বড়ে দরজা-জানালার একখানি কামরায় স্থান হলো।

    ও। আমি বাঁকুড়ার বাসগুমটির শৌচাগারে আটকে গেছিলাম। কিছুতেই দরজা খোলে না। ওদিকে বাস ছেড়ে দেয়, শেষতক সুমেরুকে ফোন করে অবস্থা জানালে সে এসে আমাকে ঐ অন্ধকার আর গন্নযুক্ত বাথরুম থেকে উদ্ধার করে। এরপর থেকে বাসে কোথাও গেলে আমি আর গুমটির শৌচাগারে যাই না:-(
  • Shibanshu | 59.93.94.82 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ১৬:৩৯466440
  • আমার গ্রাম ( জামশেদ্‌পুর) থেকে দুচার দিনের দাসত্বমুক্তির অবকাশ পেলেই চালাও গাড়ি মুকুটমণিপুর। শুধু গ্রীষ্মকাল বাদ দিয়ে। পথে পড়ে পটমদা, কাটিন, বান্দোয়ান, ঝিলিমিলি, রানিবাঁধ, তাপ্পর বাঁদিকে ঘুরে মুকুটমণিপুরের বাঁধ। কতোবার যাওয়া হলো। একবার যাওয়ার পথে ঝিলিমিলির জঙ্গল দেখতে দেখতে বাঁদিকের সঠিক মোড় না নিয়ে পৌঁছে গেলাম বাঁশপাহাড়ি। গাড়ি চালাবো, না বিভূতিভূষণ হবো। মাঝে মাঝেই খাকি রঙের পোষাক পরা সান্ত্রীরা গাড়ি দেখে বন্দুক উঁচিয়ে পোজিশন নিচ্ছে আর কাছে আসতে দারাকন্যাসহ এই বঙ্গবীরকে দেখে মৃদু হেসে রাস্তা ছেড়ে দিচ্ছে। বুঝতে পারছি ভুল রাস্তা, কিন্তু ঐ রাস্তায় শুধু যাওয়া যায়, ফেরা যায়না। আঠেরো কিমি গিয়ে আবার পিছু ফেরা ঝিলিমিলির দিকে। অল্পদিন পরেই ঐ পথে তুমুল রক্তক্ষয়ী একটি এনকাউন্টারে বেশ কয়েকটি প্রাণহানি হয়েছিলো। এখন তো ওসব মুক্তাঞ্চল, কাশ্মিরের অন্তপুর থেকেও দুরধিগম্য। আরেকবার ঘোর বসন্তে এগোতে এগোতে পৌঁছে গিয়েছিলুম বিষ্ণুপুর। কয়েকদিন থেকে ফেরার সময় ওঁদা স্টেশন থেকে দাঁয়ে ঘুরে তেরো কিমি রাঢ়ের গাঁ দেখতে দেখতে বহুলাঢ়ার সেই বিখ্যাত রেখ দেউল। ছোটোবেলায় বিনয় ঘোষের বইয়ে পড়ে ইস্তক খুঁজতাম, হ্‌ঠাৎ চোখের সামনে আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে। ঐ জায়গাটায় যে প্রায় দুহাজার বছরের বসতির চিন্‌হ আছে না গেলে জানতে পারতুম না। যাকগে, তা অন্য গল্প।

    বেশ ঘোর লেগেছিলো, তাই ইঁদপুর, ভেদোসোল, হাতিরামপুর, খাতড়া পেরিয়ে রানিবাঁধে এসে চেনা বাঁদিকের পথটি না নিয়ে ডান দিকের পথটি নিয়ে ফেললাম। তার পরেই শুরু হলো ঝিলিমিলির আসল জঙ্গল। অমন ভয়ংকর সুন্দর অরণ্য, যেন আমার কিশোর বয়েসের সারান্ডা পোড়াহাটের সবুজ স্বর্গ। অতো খারাপ রাস্তা, নিয়ত আততায়ীর আশংকা, উনিশ কিমি পথে মানুষ দূরস্থান, কোনও জন্তুরও দেখা নেই, শুধু ডাইনে বাঁয়ে দেখতে দেখতে পলাশ শিমূলের আগুন, শালের সফেদ ফুলেল সমারোহ, কেঁদ বহেড়ার মেলা, আমার ধলভূম-মানভূম। দেখবে বলে করেছে পণ, দেখবে কারে জানেনা মন/ প্রেমের দেখা দেখে যখন চোখ ভেসে যায় চোখের জলে... এমন বাউল আর কি জন্মেছে গো....?

  • Samik | 155.136.80.174 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ১৬:৪২466441
  • কিন্তু ডাগদার গেল ক'নে?
  • Nina | 64.56.33.254 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:৪৮466442
  • ডাগদার টান দিয়েছে হগ্গলের মনে---হগ্গলে তাই যোগ দিয়েছে ডাগদারের সনে---
    আর ডাগদার আমার ছোট্ট এট্টূউ সে আব্দারটি--পাটনা ছুঁয়ে যাও গো কবিয়াল, মুকুটমণির পথে!

  • I | 14.96.2.178 | ২২ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৪১466444
  • শিবাংশুদা'র লেখা পড়ে ভারি ভালো লাগলো। একে তো রাঢ় বাংলা একদম অচেনা, তারপর কথাগুলি কেমন আধো আলো-আধো ছায়া, কেমন শোনা -শোনা মত,কিন্তু চেনা নয়---- সদ্য ঘুরে আসা জায়গাগুলোর মত। ঘোর কাটে নি এখনো। আবার যেতে হবে। সোনামুখী যাবো, অজয়ের পাড়ে যাবো, মরে যাওয়ার আগে অন্তত: একবার দুয়ারসিনি-গড়পঞ্চকোট যাবো-কত্ত কাজ !!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন