এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সোমবারের বুলবুলভাজা (২)

    Guruchandali
    অন্যান্য | ২৭ ডিসেম্বর ২০১০ | ৪১০২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Netai | 121.241.98.225 | ০৯ জুন ২০১১ ২০:৪৬465581
  • কুলদাবাবু, যদি ফিরে আসেন তাহলে ভালো লাগবে।
  • pobi | 115.184.50.64 | ০৯ জুন ২০১১ ২৩:২৯465582
  • ইদানিং গুরু থেকে ওয়াক আউট করাটাই বোধ হয় ফ্যাসন। মতে না মিললে, ফেসবুকে কোবতে প্লাবন সংযত করতে বললে কিংবা সামান্য বানান ভুল ধরলেও লোকে খেপে গিয়ে, "আর লিখব না", "এটাই আমার শেষ লেখা", "আমি তো এসব ফোরামে বিশেষ লিখি না, নেহাৎ গুরু বলেই... বেশ তাহলে এবার থেকে..." ইত্যাদি ইত্যাদি।
    মেগা সিরিয়ালেও এত সেন্টু কেউ দেয় না।
  • r2h | 198.175.62.19 | ১০ জুন ২০১১ ০০:১৩465583
  • আমিও একটা ছবি এঁকেছি - জানলা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া কচ্ছপের দল: http://sayankb.webs.com/kachchhap/
  • Biplob Rahman | 117.18.231.13 | ১০ জুন ২০১১ ১৯:২৩465584
  • * উজান, তোমার লেখা আর আঁকা খুব ভালো। এই রকম আরো চাই। চলুক। ¢¾

    * তপন দত্তকে সেল্যুট! লেখাটি প্রকাশে গুরুকে কৃতজ্ঞতা।
  • Biplob Rahman | 117.18.231.13 | ১০ জুন ২০১১ ১৯:৩৫465585
  • @ কুলদা দাদা,

    এক-তিনে এ ক ম ত।

    চারে প্রচণ্ড দ্বি ম ত। এভাবে গুরুচণ্ডা৯ ছেড়ে যাবেন না। পাকি প্রসঙ্গে না থাকুন, গুরুতেই থাকুন। মুক্তচিন্তার এই চম্‌ৎকার প্ল্যাটফর্মে পেয়ারে মেহেরজান ফারুক-ফ্যান্টাসিই শেষ কথা নয়। তপন দত্তও আছেন; বরং তারাই জাগরুক শীর্ষে।...আপনাকেও পাঠকের চাই।...
  • Biplob Rahman | 117.18.231.13 | ১০ জুন ২০১১ ১৯:৪৩465586
  • @pobi, আপনার মন্তব্যটি বেশ আপত্তিকর। :(
  • Biplob Rahman | 117.18.231.13 | ১০ জুন ২০১১ ২০:৪৬465587
  • **[সংবিধিবন্ধ সতর্কীকরণ: নীচের লেখাটুকু রীতিমত 'বোরিং' মনে হতে পারে; তবে একেবারে অপ্রসঙ্গ নয়।]

    @siki, বিনয়ের সঙ্গে বলি:

    গুরুচণ্ডা৯'তে বাংলাদেশ থেকে যারাই লিখছেন এবং টইপত্রে মতামত দিচ্ছেন, তাদের সর্ম্পকে আপনার মন্তব্যটি খুব খুব ঢালাও, একপেশে এবং আপত্তিকর। কারণ যাদের সর্ম্পকে সমালোচনা করা হচ্ছে, তারাও বাংলাদেশের এবং গুরুচণ্ডা৯'র লেখক; তাই (আপনার ভাষ্যমতে)যদি তাদের 'দাগানো' হয়ে থাকে, তাহলে তার যৌক্তিকতাও আছে। বিশেষ করে বিতর্কটি যখন ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হচ্ছে।

    ...এরমানে এই নয় যে বিরুদ্ধ মত মানেই শুধু 'দাগ' দিয়ে লেখক ও লেখাটিকে নাকচ করা হচ্ছে। খুব খেয়াল করে দেখবেন, যুক্তিতর্কের প্রসঙ্গক্রমে 'দাগ'ও আসছে।

    এর প্রাককথনটি দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর ঠেকতে পারে, তাই 'দাগ' ও 'দাগ মোচন' সম্পর্কিত দুটি লিংক দিয়ে আপাতত শেষ করছি। তবে চেতনার লড়াইটি কিন্তু শেষ হয়ে যাচ্ছে না। কারণ এর শেকড় অনেক গভীর, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলমান মুক্তিযুদ্ধে, ১৯৭১ এ যার সূচনা আজম খানের মতো আত্নত্যাগীরা করেছিলেন এবং '৫২ র ভাষা আন্দোলনেরও আগে যারা যাত্রা...
    ---
    যুদ্ধ ও ভালবাসার মালিকানার মামলা ৪ : দুই এলিটের বাসনাবন্দী মুক্তিযুদ্ধ। আমার সিদ্ধান্ত, ফারুক ওয়াসিফ, লিংক :[http://www.somewhereinblog.net/blog/farukwasifblog/29316707]
    ---
    মেহেরজান: পাকিসঙ্গমের ফ্যান্টাসি, অনিন্দ্য রহমান, লিংক :[http://www.sachalayatan.com/aninda21/37291]

    --অনেক ধন্যবাদ।
  • suddhasatya | 117.194.236.211 | ১০ জুন ২০১১ ২৩:৩৩465588
  • পস্কো নিয়ে কংগ্রেস এবং নবীণ একত্রে খেলছেন এবং এই খেলাটাই ভারতের অন্য আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতেও চলছে। এখানে লালগড়ে চলেছে জিন্দালের কারখানার নামে। দেশ বেচে দেওয়া-টেওয়া নিয়ে এঁরা কেউই খুব চিন্তিত নন, কারণ বিশ্বাসঘাতকদের কোনো দেশ হয় না। মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সময়ে এঁদের যে মর্যাদা দিয়েছে তা বেশী হয়ে গিয়েছে কিছুটা। কংগ্রেস তার চিরকালের চরিত্র কখনৈ বদলায়নি। চিরকালই সে বৃহ্‌ৎ পুঁজির দালালি করতেই স্বচ্ছন্দ এবং এখন উন্নয়ণের নামে, আর বৃটিশ আমলে শাসনের নামে সেটাই করে চলতো। একই রাস্তা নিয়েছে বিজেপিও। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর খুব একটা উপায়ও নেই। অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা এবং মানবিক উন্নয়ণের জন্য যে দীর্ঘ্যস্থায়ী লড়াই লাগে তা তারা করতে রাজী না। তাতে টাকা জোটে না, ক্ষমতা জোটে না। ক্ষমতা না জুটলে লাভ কি ভোট এবং অন্য দলীয় কাজকর্মে বিনিয়োগ করে? যে শ্রেণী দেশ শাসন করছে তারা এতটাই ঘৃণ্য যে তাদের প্রতিটি কাজই সন্দেহের চোখে দেখা দরকার। আর দরকার নাগরিক সমাজের দায়িত্ব স্রেফ দলীয় আনুগত্যে শেষ না করে দিয়ে, সংগঠিত হবা দেশ গড়ার কাজে। ভারতবর্ষ এখনো ইন্ডিয়া হয়ে রয়ে গিয়েছে। যেভাবেই হোক একটি দেশ যখন তৈরী হয়েছে তখন তাকে গড়ে তোলা আমাদেরই দায়িত্ব। না হলে এমন পস্কো যতকাল বেঁচে থাকবে ততকালই দেখতে হবে। বা আরো ভয়ঙ্কর কিছু যা আজ আমরা কল্পনাও করতে পারছি না।
  • Goutam | 117.201.119.232 | ১১ জুন ২০১১ ০১:২৬465589
  • জয়েদেব দার লেখা ভালো লাগ্ল।
  • Guruchandali | 128.231.22.150 | ১১ জুন ২০১১ ০৬:৪৪465591
  • ---------------------------------------------------------------------------
    প্রকাশিত হল আলোচনা : সুখ স্বপনে, শান্তি শ্মশানে, লিখেছেন শুদ্ধসঙ্কÄ ঘোষ
    ---------------------------------------------------------------------------
  • ranjan roy | 117.194.228.182 | ১১ জুন ২০১১ ০৬:৪৯465592
  • শুদ্ধসত্বকে,
    ১১তারিখে ক'টায় শো? হলে টিকিট পাওয়া যাবে কি? তৎকাল বাতাইয়ে। আমি কোলকাতায় দুদিনের জন্যে এসেছি। দেখতে চাই।
  • suddhasatya | 117.194.227.110 | ১১ জুন ২০১১ ১২:১০465593
  • রঞ্জনবাবু, হলে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। রবিবারের সকালের শো তে একটু কম লোক থাকেন সচরাচর। তাও আমি খোঁজ নিয়েছি,অসুবিধে হবেনা। দেখুন, আমার ধারণা কিছু কিছু পারফরমেন্স সত্যি বেশ ভাল হবে। আমিও রিভিউ করতে যাব হয়তো।
  • I | 59.93.216.81 | ১১ জুন ২০১১ ২১:৪৮465594
  • সেঁজুতি আমার বন্দুক :-)))

    তা-ও আমারে টিকিস দ্যায় নাই :-(((
  • pobi | 115.242.226.112 | ১১ জুন ২০১১ ২৩:৩২465595
  • নাটকটা ঠিক কবে? শনিবার [১১ই জুন] নাকি রবিবার [১২ই জুন]?
  • suddhasatya | 117.194.230.91 | ১২ জুন ২০১১ ০০:৩০465596
  • আমারই টাইপের ভুলের জন্যে ডেট-এ গন্ডগোল থেকে গিয়েছে। ওটা হবে ১২ই জুন। মানে রবিবার। অত্যন্ত দু:খিত এতটা ভুলের জন্য।
  • h | 116.203.151.46 | ১২ জুন ২০১১ ০৬:০৯465597
  • @বিপ্লব রহমান এবং @কুলদা রায়, একটা প্রশ্ন। কূট নয়, এমনি সাধারণ প্রশ্ন। পড়তায় পোসালে, আর প্রশ্নটা ইটসেল্ফ বোকা বোকা না হলে উত্তর দেবেন।

    আপনাদের দেশে, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, একটা শাসন থেকে আপনারা মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু যে কোনো স্বাধীনতা যুদ্ধের মতই এই লড়াই কঠিন ছিল, জটিল ছিল। কিন্তু নিশচয়-ই কারো না কারো কখনো না কখনো মনে হয়েছে এই যে দেশের মানুষের ভেতরে একটা সিভিল ওয়ারের রেশ থেকেই যাচ্ছে, কিছুতেই কাটছে না, এইটা ভালো না বা অন্তত একটা চাপের ব্যাপার?

    দীর্ঘ সিভিল ওয়ার পৃথিবীর যেসব দেশে হয়েছে, সেখানে, নানা ধরণের শান্তি চুক্তি বা রাজনৈতিক ক্লোজারের পরেও একটা আশ্চর্য্য শত্রুতা থেকে যায়, দ্বিধাবিভক্ত সমাজে। কলাম্বিয়ার সিভিল ওয়ার নিয়ে বিচিত্র একটা কথা আছে, the difference between conservatives and liberals was that the conservatives went to church on sunday mornings and the liberals went there in the sunday afternoons. স্পেন এ এখনো প্রচুর লাইব্রেরি আর চাঅর্চ পোড়ার দাগ নিয়ে বেঁচে আছে বা পুড়ে গিয়ে abandoned হয়েছে। এই সাধারণ মানুষের মধ্যে শত্রুতাটা কমানোর কথা কারো মনে হয়েছে?

    আমি আরজ আলি মাতুব্বর এর প্রথম খন্ডটা পড়লাম, জেনেরালি সোশাল রিফর্মেশন এর ধরণা, অসম্ভব শক্তিশালী কলম, এটাকে আমার প্রশ্নের একটা প্রচ্ছন্ন উত্তর বলতে পারি, কিন্তু প্রত্যক্ষ্য উত্তর নয়।

    আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, সায়েবরা এই যে বেলফাস্ট এ good friday agreement করলো, বা ধরেন truth and reconcilliation commission হল দ: আফ্রিকায়। এইডা র একটা হনুকরণ ও কি অসম্ভব।

    শহিদুল জহির এর লেখা গোটা দুয়েক উপন্যাস আর একটা গল্প সংকলন অসাধারণ লাগার পরেও আমার মনে হল, কাউকে না কাউকে তো রিকন্সাইল করতে হবে রে বাবা। শুধু ট্রুথ এ থেমে গেলে মুশকিল। ইলিয়াস এর চিলেকোঠা র সেপাই আমার মূলত স্বপ্নভঙ্গের একটা গল্প মনে হয়েছে, কিন্তু অনেক অন্যান্য লেখাই পড়তে গেলে মনে হয় কে কোন পক্ষে, সেই চিহ্নিতকরণ টাই মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে গেছে। কোন উপায়ান্তর ই কি নাই? রাজাকার রাও তো আপানদের দেশের লোক। সকলেই তো খুব বড়লোক না মানে একটা সিভিল ওয়ার তো শুধু বড়লোক রা ফাইট করে নাই, ভুল পথে পরিচালিত সাধারণ মানুষ তো থাকতে পারেন।

    স্কার তো থাকবেই, what about some healing? ঐশ্বরিক কিসু না , সাধারণ ভাবে পাড়ায় টাড়ায়? রিকন্সিলিয়েশন ইত্যাদি নিয়া যদি কিসু লেখালিখি র উল্লেখ করেন ভালো হয়। পড়ে নেওয়া যাবে।
  • h | 116.203.151.46 | ১২ জুন ২০১১ ০৬:১৬465598
  • আর btw, অনেক গল্পে দেখছি, পাড়ার ভিলেন হল, রিকশার মালিক বা ছোট ব্যবসায়ী। এটা কিছুটা তো রিয়েল, কিন্তু এটা কি একটা বহুল ব্যবহৃত বামপন্থী মেটাফোর, যেখানে প্রোটাগনিস্ট হল রিক্‌শাচালক বা দোকান কর্মচারি? মাইরি রিকশামালিক দের উপরে এই কনসিস্টেন্ট খার আর কোনো সাহিত্যে দেখিনি।
  • h | 116.203.151.46 | ১২ জুন ২০১১ ০৬:৩১465599
  • দুটি রিজয়েন্ডার।
    'অন্যান্য লেখা' বলতে ইলিয়াসের অন্যান্য লেখার কথা বলি নি। ওনার সব লেখা সম্পর্কেই আমি একটু দুব্বল।
    'সিভিল ওয়ার' বিষয়ের বাইরে রাজনৈতিক গল্প লেখা বেশ চাপের, আপনাদের দেশে, কিন্তু হতে পারে সেই জন্যেই আমার শওকত আলি র ঐতিহাসিক উপন্যাসটা ভাল্লেগেছে, আর এখনকার ছোটোদের পার্সোনাল-পোলোটিকাল genre র লেখা ভাল্লাগে। ধরেন আমি তারেক এর ফ্যান।
    একটা গপ্প লেখকের বিষয়গত গন্ডীর চ্যালেঞ্জ এর জায়গাটা আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশে এই সিভিল ওয়ারের স্কার এর কারণেই আছে। আপনরা একটু এক্সপ্লোর করে লিখলে ভালো হয়। আস্তো পোবোন্দো ও লিখতে পারেন, কোথায় লিখলেন জানাবেন।
  • pi | 72.83.97.171 | ১২ জুন ২০১১ ১০:১২465600
  • বিপ্লব ভাই, আপনার দেওয়া লিঙ্ক দুটি থেকে দুটি প্রশ্ন জাগল :

    "কোন বাস্তবতায় সেটা সম্ভব? সেই বাস্তবতা বাংলাদেশে কবে তৈরি হলো? কিংবা যে অহিংসা (নানাজান) ও প্রেমের সমাধানের (বড় মেহের) ইশারাপাত হলো তা কার সমাধান, কার উপকারে? কোনো ব্যক্তির বেলায় এটা হলেও হতে পারে কিন্তু যে জাতির ত থেকে এখনো রক্ত ঝরছে, যে স্বজন হারানোরা এখনো ফরিয়াদি, তাদের এটার প্রয়োজন নেই। শৈল্পিক সাজেশন হিসেবেও এটা ধোপে টিকবে না। আন্তর্জাতিক পুরস্কারের আশা, পোস্ট কলোনিয়াল লিটারেচারের ঝেআঁক কি এর পেছনে কাজ করেছে? হয়তো। তার আগে জানা প্রয়োজন, পাকিস্তান কি ক্ষমা চেয়েছে? সকল যুদ্ধাপরাধীর (বাংলাদেশি কি পাকিস্তানী) কি শাস্তি হয়েছে? পাকিস্তানের জনগণ কি তাদের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রের মানবিক রূপান্তর ঘটানোর মাধ্যমে একাত্তরের অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করেছে? বাস্তবত এসব প্রশ্ন আসবে। "

    - এই কি 'পাকি-পন্থা'র দাগ মোচন ?
    য়াই হোক, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কি কিছু খোঁজা হয়েছে, বা পাওয়া গেছে ?

    সচলের লেখায় একজনের মন্তব্য দেখলাম :

    'এ পর্যন্ত আমার দেখা দুইটা পাকিস্তানী ছেলে সরাসরি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছে এবং তাদের মতে সরকার ক্ষমা না চাইলেও পাকিস্থানের সাধারন জনগন সমব্যথী এবং আপলজেটিক। কাকতাল কিনা জানিনা দুইজনই ছিল বেলুচের। '

    পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের ভাবনা নিয়ে আপনারা কী ভাবেন/জানেন ?

    এই নিয়ে কোনো লেখাপত্তর আছে কি ?
  • Anirban Roy Choudhury | 173.20.237.89 | ১২ জুন ২০১১ ২১:৪৮465602
  • শুদ্ধসঙ্কÄ ঘোষ'এর লেখাটি ভালো লেগেছে বলবনা .. লেখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ওনাকে ...
  • Anirban Roy Choudhury | 173.20.237.89 | ১২ জুন ২০১১ ২২:৪৪465603
  • প্রতিমা দত্ত'এর 'জলাভূমিটা বোজানো যেন সত্যিই বন্ধ হয়' প্রসঙ্গে ~
    দিদি আমরা আপনার সাথে আছি ...

  • kallol | 115.242.158.168 | ১২ জুন ২০১১ ২২:৫৪465604
  • এ কয়দিন কিচ্ছু করতে পারিনি। গুরুতেও আসতে পারিনি। তাই দেরীতে জবাব। কুলদা আর আসবেন না লিখেছেন। আমার অনুরোধ, থেকে যান, ও অনেক লিখুন।
    আপনার Date:09 Jun 2011 -- 08:29 PM
    পোস্টের প্রথম পয়েন। আংশিক ভাবে একমত।
    দাদাগিরির প্রেক্ষিত নিয়ে আমার কিছু বলার নাই। আপনি একশোভাগ ঠিক। কিন্তু আমি আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাকে অস্বীকার করতে পারি না। রেহনুমা ও তার পরিজনদের (মা ও শহিদুল) আমি প্রত্যক্ষভাবে বিএনপি-জামাত বিরোধী আন্দোলনে শামিল হতে দেখেছি। তখন ছবি মেলা চলছিলো। ওরা সেই অজুহাতে মিছিলে নাও যেতে পারতো। এটা জরুরী অবস্থা জারীর দিন কয়েক আগের ঘটনা। আমিও ওদের সাথে সেই মিছিলে ছিলাম। পরদিন ফিরে আসি।
    একমত নই - ভারতের জনগন, রাষ্ট্র এবং সেনাবাহিনী একাত্তরে আমাদের সর্বাত্মকভাবে সহায়তা দিয়েছিলো - এই বাক্যটিতে।
    ভারতের জনগন বলতে কি বোঝানো হলো আমি জানি না।
    ১) প:ব: ছাড়া অন্য প্রদেশে এটাকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলেই জানতো ও এখনো জানে।
    ২) বিহার ও উ:প্র:তে মানুষ (বিশেষ করে মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা) খোলাখুলি বিরূপ ছিলেন।
    ৩) প:ব:এর ৪৭এর সময়ে চলে আসা উদ্বাস্তু জনতার একটা বড় অংশ ভেবেছিলেন ""এবার আমাগো দ্যাশ ফিইর‌্যা পামু""। অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশ নয়, ওরা পূর্ব পাকিস্তানের ভারতভূক্তি চেয়েছিলেন। অন্যেরা বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাদের কেউ কেউ ""দেশে"" ফিরে যাবেন এমন আশা পোষন করতেন।
    ৪) প:ব: নিজস্ব জনসমষ্টির (৪৭এর আগে থেকেই প:ব:য়ে থাকা মানুষ) অনেকেই খোলাখুলিভাবে ভেবেছিলেন ""আবার একটা আপদ""। কিন্তু পাকিস্তানকে টাইট দেওয়া যাচ্ছে ভেবে বিগলিত ছিলেন।

    ভারত রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর ভুমিকা নিয়ে আপনার সাথে একমত নই, বরং বিপ্লবের নেওয়া সাক্ষাতকারে আজম খানের সাথে একমত। ভারত সহযোগির ভূমিকা পালন করেনি। বরং দাদাগিরি করেছে। ফলত: বিপ্লব বেহাৎই হয়েছে।
  • kallol | 115.242.158.168 | ১২ জুন ২০১১ ২৩:০১465605
  • আপনার দ্বিতীয় পয়েন। বিপ্লব বেহাৎও হয় নাই, শেষও হয় নাই, এখনও চলছে।
    আমি একমত নই।
    তাহলে বলতে হয় ভারতের জনগন এখনো স্বাধীনতার লড়াই লড়ছে।
    ৭১এর বিপ্লব মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠনের মধ্য দিয়েই সমাপ্ত। তারপরের লড়াই বাংলাদেশের জনগনের লড়াই, মৌলবাদ, দুর্নীতি, অনাহার ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে। সে লড়াই বাংলাদেশের ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে, যারা পালা করে যুদ্ধপরাধীদের আড়াল করে রেখেছে।
  • r2h | 67.96.80.214 | ১৩ জুন ২০১১ ০০:৪৭465606
  • কল্লোলদার ১নং পয়েন্টে ভীষনভাবে দ্বিমত। অন্যান্য প্রদেশের কথা জানিনা, এমনকি পবঙ্গের কথাও জানিনা, আমি ত্রিপুরার কথা জানি, সেইজন্যেই দ্বিমত।
  • lcm | 69.236.173.93 | ১৩ জুন ২০১১ ০০:৫৩465607
  • কিন্তু, ইয়ে মানে, ৭১-এর পর ভারত কবে ঠিক কিভাবে বাংলাদেশের ওপর "দাদাগিরি' করল ? মানে সাহায্য করে নি হয়ত, কিন্তু দাদাগিরি টা কোথায়?
  • r2h | 67.96.80.214 | ১৩ জুন ২০১১ ০১:০৪465608
  • একাত্তরেও, 'দাদাগিরি" শব্দবন্ধ আপত্তিকর ঠেকে। দাদাগিরি না করে ভারত শুধুই সহযোগীতা করে আরো বড় দাদাদের রণতরী সাজিয়ে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ দিলে সেতো ভারতের পক্ষেও নেহাৎ সুখের হত না বোধয়। তো দুটোই অপশন ছিল বলে মনে হয়, সরাসরি নাক গলানো অথবা নিরপেক্ষতা। আর আবারও বলছি, নমাসের যুদ্ধ ন' বছর চালিয়ে জাতির মেরুদন্ড শক্ত করা আর ন বছরের যুদ্ধ ন'মাসে শেষ করে অকল্পনীয় বিভৎস জেনোসাইডের অবসান ঘটানোর মধ্যে আমি দ্বিতিয়টাকে বেছে নেবো বলেই, দাদাগিরি বলতে আরো অস্বস্তি হয়।

    তবে সম্যক পড়াশুনোর অভাবে দু তিনটি বাক্যেই এতবার "মনে হয়', "বোধয়', "ধারনা' এইসব লিখতে হয়, যে কিছু লেখা বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়ায় :(
  • r2h | 67.96.80.214 | ১৩ জুন ২০১১ ০১:১০465609
  • কল্লোলদা, ভারত সরাসরি সেনা নামানোর আগে মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষন শিবিরগুলিও, কুঞ্জবন বা মেলাঘরের ক্যাম্প - সেগুলি দাদাগিরি ছিল? সহায়তা নয়?
  • lcm | 69.236.173.93 | ১৩ জুন ২০১১ ০১:১৪465610
  • আহা, সে পোশ্নো তো আমারো। ৭১-এ ভারতের "দাদাগিরি' কোথায় কিভাবে। জানি না, জানতে চাই।
    এখানকার কয়েকটি পোস্ট পড়ে বুঝলাম, কেউ কেউ বলেছিল, ভারতকে চাই না, আমাদের লড়াই আমরা লড়ব। কিন্তু, তার থেকে অনেক অনেক বেশী মানুষ খুশী হয়েছিল ঐ লড়াই/খুনোখুনি র পরিসমাপ্তিতে।
  • ranjan roy | 117.194.225.130 | ১৩ জুন ২০১১ ০৭:২৩465611
  • ""সুখ স্বপনে, শান্তি শ্মশানে'':

    হ্যাঁ, শুদ্ধসঙ্কেÄর লেখাটি পড়ে দেখতে গিয়েছিলাম "" ইচ্ছের অলিগলি''। লাভ হয়েছে ষোল আনার জায়গায় আঠেরো আনা।
    ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেতে সাততাড়াতাড়ি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হলে ঢুকতেই চোখ জুড়িয়ে গেল। পর্দা আগেই তোলা । মঞ্চের ওপর একটি কয়েক ইনচি উঁচু হাফ সার্কেল বেস স্ট্রাকচার। বাঁদিকে একটি কাঠের কাউন্টারে জলের গেলাস, মদের বোতল। একটু পাশে টেবিল চেয়ার, যাতে স্ট্যানলি আর বন্ধুরা বসে পোকার খেলে। ডান কোণে প্রায় ফ্রন্টে একটি চাদরে ঢাকা ডিভান,পাশের স্ট্যান্ডে টেলিফোন।
    আর ডীপ সেন্টারে কাঠের স্ট্রাকচার দিয়ে তৈরি একটি গোলাকার রিং- বাথরুমের পর্দা। চরিত্রগুলো বিশেষ করে ব্লঁশ বিভিন্ন সময়ে ওই পর্দা টেনে এর ব্যবহার করে। আমি পৌঁছে যাই যেন তিরিশের দশকের নিউ অর্লিন্স শহরের একটি কারখানার মজদুরি করে বেঁচে থাকা লোকজনের পাড়ায়। এদের অধিকাংশের জীবন একরৈখিক,--পোকার,মদ,মারামারি ও যৌনতা।
    অভিনয় চলে এই স্পেস্‌গুলোকে অনায়াস ব্যবহার করে।
    আর ব্লঁশ ফুটলাইটের সামনের জায়গায় তার একান্ত সংলাপ গুলো বলে। বলে জিভ দিয়ে, চোখ দিয়ে, সর্বশরীর দিয়ে।
    স্টেলা আমাদের খুব চেনা পাশের বাড়ির মেয়েটি হয়ে ওঠেন। যে ভলবাসতে চায় বোনকে, স্বামীকে,সবাইকে। নিজের মতন করে মানিয়ে নেয়, মেনে নেয় পরিস্থিতিকে। মদ্যপ, বর্বর স্বামী যখন গায়ে হাত তোলার পর আবার ডাকে, খুব খুব আদর করে তখন স্টেলার মনে হয় ওর মত সুখী কেউ নেই। আত্মসম্মানের প্রশ্ন তোলা বোনকে বোঝায় পুরুষেরা মদ খেলে একটু ওরকম করে। জীবন এভাবেই চলে আসছে।
    আমরা হটাৎ ক্ষমতার রাজনীতিতে ঢুকে পড়ি। টিঁকে থাকার রহস্যের একটি চাবিকাঠি পেয়েযাই।
    এই জীবনে মূর্তিমান রসভঙ্গের মতন ঢুকে পড়া ব্লঁশ দ্যুবোয়া তার স্নবারি, জাতিঘৃণা ও শ্রেণীঘৃণাকে মূর্ত করে তোলে শব্দ দিয়ে, শরীরী ভাষা দিয়ে।
    আমি হরিদাস পাল চমকে উঠে দেখি -- এই এপিসোড আমার বহুচেনা। কোথায়?
    ছত্তিশগড়ের গ্রামে, যেখানে নতুন গযিয়ে ওঠা কয়লাখনিতে কাজ পেয়ে ছোটজাতের ছোকরাগুলো কেমন আহ্লাদে হল্লা করছে দেখে নাক কুঁচকে ওঠে ব্রাহ্মণ মহিলাটির। আবার ওনার চোখ যেন অবাক হয়ে গিলে খায় তেল চুকচুকে কালো শরীরে পেশির ঢেউগুলোকে।
    আশ্চর্য, এই মঞ্চভাবনা একটি মহিলার।
    আরে, এগুলোতো পুরুষদের একচেটিয়া বলে জানতাম। আলো একজন প্রবীণ দীপক মুখার্জির। সঙ্গীত পরিকল্পনা? সেই আমার না বুঝতে পারা গানের ( স্প্যানিশ/ইতালিয়ান?) কলিটির তালে তলে সপ্তকের এক-একটি পর্দা চড়ানোর সঙ্গে শেষ দৃশ্যে ব্লঁশের মায়াবী অভিনয়!তাও একজন মহিলা সদস্যের।
    কঠিন কাজ স্ট্যানলি চরিত্রের অভিনেতার। তাঁকে যে সজ্ঞানে মার্লন ব্র্যান্ডোর ছায়ার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে! প্রচন্ড পরিশ্রম করেছেন, অনেকাংশে সফল। তাঁর ডায়লাগ ডেলিভারির রেজিস্টার বিশেষ একটি উঁচু গ্রামে বাঁধ। কিন্তু অনায়াসে খদে নামে , স্টেলাকে ভালবাসার কথা বলার সময়, অন্য কিছু মুহুর্তে।
    ধর্ষণ ও সঙ্গম এভাবে অগে নাটকের মঞ্চে দেখানো হয়েছে কি না জানিনা। এমন ন্যাচারিলিস্টিক প্রস্তুতি--হয়তো পরিচালক ক্ষমতার প্রশ্নে ভ্যাওলেন্সকে মোটাদাগে আন্ডারলাইন করতে চেয়েছেন।
    তা যদি হয়, তাহলে উনি সম্পূর্ণ সফল।
    আমরা বুঝতে পারি কিভাবে ধর্ষণ আসলে অধিকারের ভাষা, পুরুষের ক্ষমতার প্রকাশের ভাষা।
    আবার বাড়িওয়ালি মহিলা যাখন তার পোষ্য পুরুষসঙ্গীর কোলে চেপে অনায়াস স্টেজের সামনে দিয়ে জায় তা পরিবেশের আনন্দঘন মুহুর্তকে ফুটিয়ে তোলে।
    কিন্তু যখন তিনি ঐ সঙ্গীটির প্রবঞ্চনায় খেপে গিয়ে রাস্তর গালি ব্যবহার করেন তখন ওই শব্দটির আগের ও পরের শব্দের থেকে আলাদা করে উচ্চকিত উচ্চারণ বুঝিয়ে দেয় এখনো উনি গলির ব্যবহারে আসহজ।
    দলগত অভিনয় খুব ভাল। প্রথম দিন, তবু সবাই মিলে একটি দল , না একটি সমাজ।
    তার মধ্যেই মিচ্‌চরিত্রের অভিনেতা নজর কাড়েন। ব্লঁশের আসল পরিচয় জেনে তাকে চার্জ করতে আসার সময় ব্লঁশের আলিঙ্গনের মাঝে তাঁর শক্ত, কেঠো, শীতল শরীর! হাত দুটো পেছনে।( ওয়ার্কশপে নতুন প্রশিক্ষার্থীরা শিখ্‌জতে পারে,)।
    আর যখন ব্লঁশ এই অভিঘাতে ভেঙে পড়ে মিচের সামনে স্বীকার করে--হ্যাঁ, আমি যা সত্যি তাকে চাইনা, যা হতে পারতো তাকে চাই, আমি কল্পনা ভালোবাসি। সেই দৃশ্যটি!
    হামাগুড়ি দেয়া ব্লংশ প্রায় ফিসফিস করে , কখনো অর্তনাদের মতন খুলে ফেলতে থাকে তার আত্মপ্রবঞ্চনার পরতের পর পরত। তার মাঝে মাঝে ভূতগ্রস্তের গলায় বলে ওঠে " ফুল চাই, ফুল! শ্রাদ্ধের ফুল!''
    আমি নিজের চেয়ারে বসে যন্ত্রণায় দীর্ণ হতে থাকি।
    চোখের সামনে দেখি কিভাবে ঘরবাঁধার সুস্থ জীবনের স্বপ্ন দেখা একটি মেয়ে সময়ের চাপে গুঁড়িয়ে শুয়োরের মাংস হয়ে যাচ্ছে।
    পরিচালককে দেখে চমকে উঠি, আমার চমকানোর আর শেষ নেই।
    একেবারে নতুন প্রজন্মের সবাই। এই বয়সে এত পরিণত নাট্যভাবনা! এমন টিম ওয়ার্ক! এমন শারীরিক পটুতা!
    সবাইকে বলছি এদের প্রযোজনা দেখুন।
    ও হ্যাঁ, আমি ছিদ্রসন্ধানী নই। কিন্তু যখন মিচ হিসহিসিয়ে বলে আলো জ্বেলে দাও। আর ব্লঁশ বলে আমি অন্ধকার ভালোবাসি,-- তখন ওদের ওপর বেশ উজ্বল আলো পড়ে। সেটা নিশ্চয়ই ""আরশি'' পরের বার দেখবেন।
  • kallol | 115.241.110.78 | ১৩ জুন ২০১১ ০৭:৫৭465613
  • ভারতের দাদাগিরিটা বুঝতে হলে তখনকার আন্তর্জাতিক রাজনীতির ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে। ভারত তখন সোভিয়েৎ জোটে আর পাকিস্তান আমেরিকান জোটে তার ওপর চীনের সাথেও বন্ধুত্ব।
    এই জোটগুলো সুযোগ খুঁজছিলো একে অন্যকে দুর্বল করার। সুযোগ মিলে গেলো পূর্ব পাকিস্তানের উত্তাল গণ আন্দোলন ও পাকিস্তান থেকে সরে এসে ধর্মনিরপেক্ষ, সমাজতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার দাবীতে। ভারতের ভৌগলিক অবস্থান ভারতকে আগে থেকেই সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে গেলো। ভারত তখন এই উপমহাদেশের ""দাদা"" হতে চাইছে, ইন্দিরা গান্ধীর হাত ধরে। এর ঠিক পরেই দেখুন সিকিমের ভারতভূক্তি।
    ফলত: মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ শিবির, স্বাধীন বাংলা রেডিও সব ব্যাপারেই ভারত মুক্তহস্ত। আর পরিকল্পনা মতই পাকিস্তানের সাথে পশ্চিম ফ্রন্টে যুদ্ধ শুরু করা, বাংলাদেশে সরাসরি সেনা ঢুকিয়ে দেওয়া। ভারত কোনদিনই চায়নি যুদ্ধকে টেনে নিয়ে যেতে। সেটা ভারতের দিক থেকে স্বাভাবিক। কে চায় যুদ্ধের ঐ বিপুল খরচ বছরের পর বছর টেনে যেতে।
    আমার ভুল হয়েছে। প:ব:য়ের সাথে ত্রিপুরার কথা উল্লেখ করা উচিৎ ছিলো।
    কিন্তু মানুষের মনোভাব ঐ একই ছিলো। আমার পরিবার ত্রিপুরার সাথে খুবই ঘনিষ্ট ভাবে জড়িত। বাবার অজস্র বন্ধুরা ত্রিপুরায়। অনেকে আজও বেঁচে। তারা ঐ সময় যখন কলকাতায় এসেছেন তখন তাদের কথাবার্তা আগের পোস্টের ৩ নং পয়েনের সাথে খাপে খাপ।
    অন্য প্রদেশের মানুষের কাছে দু:খজনক ভাবে বাংলাদেশে্‌সর জন্ম ৭১এ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের বাইপ্রডাক্ট। এটা নিয়ে আজও ভারতের বাঙ্গালীদের (পড়ুন ভারতের বাঙ্গালদের) লড়ে যেতে হয়, যে বাংলাদেশ হওয়ারই ছিলো, ভারতের দয়ায় বাংলাদেশ তৈরী হয় নি।
    যারা বলছেন বিপ্লব নয় মাসের বদলে নয় বছর চললে আরও রক্তক্ষয়, আরও মৃত্যু, ঠিকই বলছেন তারা। কিন্তু কোনকিছু অর্জন করতে গেলে তার দাম দিতে লাগে, সেই বোধটা আজম খানের ছিলো। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ছিলো। তাই তারা আজও বিপ্লব সম্পূর্ণ করার কথা ভাবেন।
    কুলদা, বিপ্লব, সরদার ভাই যে যায়গা থেকে, বিপ্লব আজও শেষ হয় নাই বলেন সেটা আমি বুঝতে পারি, কিন্তু সে বিষয়ে অন্য মত পোষন করি।

    ভারত বাংলাদেশ চেয়েছিলো, বাংলাদেশের মানুষের দাবী ন্যায্য বলে মনে করত বলে নয়। ভারত চেয়েছিলো পূর্ব সীমান্তে নিশ্চিন্ত হতে। সেখানে তার বন্ধু দেশ চাই। আর ভারত-সোভিয়েৎ জোটের কাছে বাংলাদেশের উত্থান আমেরিকার মুখে ঝামা ঘষে দেওয়ার সমান।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন