এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:c70:70bf:83a9:40ed | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১০:১৫516469
  • একটু সোর্সটা দেবেন।
     
    • ভিখিরি | 201.150.33.173 | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৬:১৮516463
    • Number of beggars per 1 lakh Population [India in Pixels]
  • যোষিতা | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১০:০১516468
  • ছাত্রদের মধ্যে ঐক্য থাকলে র্যাগিং বন্ধ হতে পারে বলেই তো মনে হয়। নাকি ভয়? 
    সব কটা ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র ক্লাসে যাবার টাইমে ক্লাসে না গিয়ে প্রিন্সিপালের অফিসে গিয়ে একত্রে অভিযোগ করতে পারে না, যে স্যার আমাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, এর বিহিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা হোস্টেলে ঢুকতে ভয় পাচ্ছি, আমাদের ওপর অত্যাচার আরও বাড়বে। যতক্ষণ না বিহিত হবে ততক্ষণ তারা নড়বে না। এইটুকু মনোবল নেই? নাকি সারাটা জীবন ভয়কে পাথেয় করে বাঁচবে?
    পরীক্ষা দেবার ভয়, কম নম্বর পেলে "ভালো" কলেজে ভর্তি না হতে পারার ভয়,  সিনিয়রদের ভয়, প্রিন্সিপালকে নালিশ করার ভয়।
    সম্মিলিত হতেও পারে না মনে হয়। সেখানেও ভয়। যদি হস্টেল থেকে বের করে দেয়, সেই ভয়।
    একটা ফার্স্ট ইয়ারের ব্যাচের তিরিশজনও যদি একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করে, জেদটুকু থাকে, তাহলে কেন প্রতিকার হবে না?
    সমস্ত ক্রাইম তো আনরিপোর্টেড।
    এরাই পাশ করে করে বড় বড় চাকরি পাবে, ফরেনে যাবে। সর্বত্রই এই ভিতু চরিত্র বজায় থাকবে। বসকে ভয় করবে, বৌকে হয় ভয় করবে নয় টর্চার করবে,  এরা ভাল নম্বর পেলেও, মানুষ হিসেবে কী তৈরি হচ্ছে বা হয়ে এসেছে? আবার এধরণের বড়ো ঘটনা সামনে এলেই সাফাই দেওয়া পোস্ট দিয়ে নিজের পোজিশনটা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করবে— আমি ভালো ছেলে, আমি এসব কখনো করি নি, এইসব।
    এতে করে কি ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়?
    শিক্ষাব্যবস্থার ইঁদুর দৌড়ে ৭৫০ তম ইউনিভার্সিটিতে ঢুকতে পারাটাই বিশাল হনু ব্যাপার। মিডিয়া বলছে ফাইভস্টার। ধোর বাল ফাইভস্টার! বই মুখস্থ করে করে নম্বর পেলেই হবে? মানুষ হবে কবে? 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:4a6:2fb1:fe5d:5412 | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৯:২৭516467
  • কাগজে পড়লাম অনেক ছাত্র প্রতিবাদ করছেন, র‌্যাগার দের শাস্তি দাবী করছেন। তা কিছুটা আশা জাগায় 
    হোক কলরব আন্দোলন, যতদূর মনে পড়ছে, পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে শুরু হয়। পুলিশ, সরকার, কর্তূপক্ষের  বিরুদ্ধে আন্দোলনে সহজে অনেক কে পাশে পাওয়া যায় 
    নিজের সহপাঠী, বন্ধু র‌্যাগার হলে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো র জন্য প্রচুর চরিত্রের জোর দরকার , কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। দেখা যাক, র‌্যাগিং বিরোধী সদর্থক, শক্তিশালী কোন মুভমেন্ট ছাত্রদের ভিতর থেকেই জন্ম নেয় কিনা। 
    শুধু আইন তৈরী করে তো এই অভিশাপ নির্মূল করা যাচ্ছে না 
  • যোষিতা | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৫২516466
  • কলরব হচ্ছে না কেন সেটাই প্রশ্ন।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:4a6:2fb1:fe5d:5412 | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৪০516465
  • আমার কলেজের অভিজ্ঞ্তায়, সে অবশ্য আশির দশকে, বামপন্থী ছাত্ররা র‌্যাগিং-এর বিরোধিতা করত, ফ্রেশারদের র‌্যাগিং থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করত। 
    যাদবপুরে এখনও নিশ্চয়ই এসএফআই, ডিএসএফ ইঃ বামপন্থী ইউনিয়নগুলো সক্রিয়। তারা মেইন হস্টেলে এই র‌্যাগিং-এর সংস্কৃতি বন্ধ করতে পারছে না ? 
  • যোষিতা | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৬:৪৩516464
  • University of Dhaka is ranked 691 in QS World University Rankings by TopUniversities and has an overall score of 4.7 stars, according to student reviews on Studyportals, the best place to find out how students rate their study and living experience at universities from all over the world.
     
    তাইলে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিকে মিডিয়া ফাইবস্টার ফাইবস্টার করে চেঁচিয়ে মরছে কেন?
  • ভিখিরি | 201.150.33.173 | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৬:১৮516463
  • Number of beggars per 1 lakh Population [India in Pixels]
     
  • যোষিতা | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৫:৫৭516462
  • Jadavpur University is one of the top public universities in Kolkata, India. It is ranked #741-750 in QS World University Rankings 2024.
  • U D | 2402:3a80:1985:42da:378:5634:1232:5476 | ১১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৮516461
  • ৱ্যাগিং নিয়ে যে টই টা ছিল সেটা তুলে দিলে ভালো হয় 
  • কালনিমে | 103.244.242.18 | ১১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:০৮516460
  • মুশকিল হল জীবনে সব জায়গাতেই এই সব চলে। থানা, হাসপাতাল - সরকারি অফিস, কর্পোরেট, বাড়ির কাজের লোক, বড় পরিবার - physical সাইডটা বাদ দিলে। কদিন আগে যেমন hdfc এর সেক্টর লিডারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। 
     
    basically this is politics যে কাউকে জায়গা ছাড়া যাবেনা - মাথা তুলতে দেওয়া যাবে না। লোকাল ট্রেনে যেমন ডেলি প্যাসেঞ্জার না হলে জায়গা পায় না। নতুন বউ হলে যেমন শ্বশুর বাড়িতে চাপে রাখে। সবই একই গল্প। বড় যায়গা হলে এসব খবর হয়।
     
    এটা একটা অপ্রেসিভ সিস্টেম। আমাকে কেউ র্্যাগ করেছিল - তাই আমি প্রতি বছর মুর্গি খুঁজব। কিন্তু এর একটা অন্য দিকও আছে - মানুষের উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস কাটিয়ে দিতে হেল্প করে।
  • Name | 24.206.65.29 | ১১ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২১516459
  • র‍্যাগিং নিয়ে যেটা সবচেয়ে আশ্চর্য লাগে তা হলো আতাক্যালানে সিনিয়রদের ধারণা যে তারা আসলে ছেলেটির উপকার করছে - তাকে স্মার্ট করে দিচ্ছে! তোদের কে স্মার্ট করে তার নেই ঠিক - আর তোদের এই গুরুদায়িত্ব দিলো কে র‍্যা? 
     
    আমার নিজের অভিজ্ঞতা রুড়কীর - সেখানে মা বোনকে না স্মরণ করে তো তারা জলগ্রহন করেন না। কর্তৃপক্ষ ঘোর র‍্যাগিং বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও আমাদের ডিপার্টমেণ্টের সিনিয়ার গাধার বাচ্চাগুলো একটা চেষ্টা রেখেছিলো - সোজা রিপোর্ট করে সেটার সমূলে বিনাশ করা গেছিলো। অবিশ্যি আমাদের দু চার জন শিক্ষক তাতে দুঃখ পেয়েছিলো এমন ট্রাডিশন ভেঙ্গে গেলো আহা ব'লে। তা গাধার বাচ্চা সৰ্বত্রই আছে, তাতে আশ্চৰ্য কি! এই বিষয়ে আমার মত রুড়কীর কর্তৃপক্ষের মতোই - রিপোর্ট হলেই সাসপেন্ড করে দাও। আপদ বিদেয়! 
  • জয় বাংলা | 2401:4900:1c21:1822:a111:6deb:4faa:6e84 | ১১ আগস্ট ২০২৩ ১৮:০৯516458
  • সায়ন সেনগুপ্ত লিখেছেন
    *Trigger Warning*
    একটু লম্বা পোস্ট। কষ্ট করে পড়বেন।
    সায়ন সেনগুপ্ত
    আমি সায়ন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যবিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমার যারা কাছের মানুষ,বন্ধুরা জানেন, ব্যক্তিগত কোনো অনুভূতি আমি খুব একটা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পছন্দ করি না। কিন্তু আজ করতে হচ্ছে। কাল গভীর রাতে একটি খবর পাওয়ার পর থেকে প্রায় সিঁটিয়ে বসে আছি। দুঃখ, যন্ত্রণা, আতঙ্ক আর গ্লানি একসাথে অনুভব করছি। তার কারণ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষে সদ্য ভর্তি হওয়া পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুন্ডু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ছাত্রাবাসের তিনতলা থেকে 'পতন'-এর ফলে মারা গেছে। মিডিয়া এইঘটনাকে 'রহস্যমৃত্যু' আখ্যা দিয়েছে। কেউ কেউ একে 'আত্মহনন' বা 'সুই*সাইড' বলেছেন। আমি বলব এটি প্রাতিষ্ঠানিক হ*ত্যা।
    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো দাবী নিয়ে অল ফ্যাকাল্টি জিবি চলছিল ক্যাম্পাসের বড় মাঠে। প্রবল অসুস্থ থাকায় মাঠে খুব বেশিক্ষণ দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। আর তাই, KMR এর সামনে একটি জায়গায় বসে পড়ি। সেখানে বসে, একদল ছাত্রের (আমার অচেনা) আলোচনায় কতগুলো চমকপ্রদ মন্তব্য, প্রশ্ন ইত্যাদি কানে আসে। একজন বলেন, "দু-দিন নিতে পারল না!?"। দ্বিতীয়জন, "দু-একদিনে কীই বা হয় তুই বল!"। আরেকজন, " হ্যাঁ ভাই, দুদিনে আর কতটুকুই বা র‍্যাগিং করা যায়!"
    এই বা এদের মতো 'শুভবুদ্ধিসম্পন্ন' যদুবংশীয় বন্ধুদের এইসব 'সুন্দর','যুক্তিসম্মত' প্রশ্নের উত্তরে দুটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
    *এক*
    স্বপ্নদীপের মতোই আমার বাড়ি নদীয়ায়। ওর বগুলা (মতান্তরে হাঁসখালি)। আমার শান্তিপুর। যাদবপুর যেখান থেকে 'মাত্র' তেত্রিশটা রেলস্টেশন দূরে। প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় ষান্মাসিকে ইন পার্সন ক্লাস শুরু হওয়ার পর প্রায় দেড়মাস ডেইলি প্যাসেঞ্জারী করে আমি যাদবপুরের হোস্টেল পাই। স্বপ্নদীপ ঠিক যে ব্লকটিতে ছিল, সেই ব্লকেই। ৯ এপ্রিল, ২০২২ এ আমি ডিপার্টমেন্টের নবীনবরণ সেরে লটবহর নিয়ে ছাত্রাবাসে উঠি। আমি যে ঘরটি পেয়েছিলাম(যেটি সুপার বা অন্য কোনো আধিকারিক নন, ঠিক করে দিয়েছিল হোস্টেলের মেস কমিটি), সেখানে ঢোকার পর ক্রমে জনা কুড়ি ছাত্র একে একে আসে, শিষ দিয়ে উঁকি মারেন এবং জিজ্ঞাসা করে, "নতুন?", "আজ?", কিংবা " তোর 'হোস্টেলের বাবা' কে?"। 'হোস্টেলের বাবা' শব্দবন্ধটি আমার কাছে নতুন ছিল, জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি ছাত্রাবাসের বেশিরভাগ ছাত্রই আসে মেস কমিটির বিভিন্ন সিনিয়রের সুপারিশে। এই সিনিয়রটিই হলেন উক্ত নতুন ছাত্রটির 'হোস্টেলের বাবা'। এখন খুব অল্প সংখ্যক যেসকল ছাত্রের সিনিয়রদের সুপারিশ ছাড়াই স্থান হয়, আমি তারমধ্যে একজন ছিলাম। ফলে, আমার কোনো হোস্টেল-পিতা ছিল না। এরপর খাওয়া দাওয়া মিটলে, আমার রুমমেট তথা একবছরের সিনিয়র এক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দাদার ওপর নির্দেশ আসে আমাকে 'ইন্ট্রো' সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে। 'ইন্ট্রো' সে যা বোঝায়, সেই অনুযায়ী, প্রতিদিন রাত এগারোটা বা বারোটার পর অত্যন্ত স্বল্পবসনে বিল্ডিং এর একটি একটি করে দরজা নক করতে হবে আমায়। তারপর সেইঘরের সিনিয়ররা দরজা খুললে সাবধান পজিশনে দাঁড়িয়ে একটি ফর্ম্যাট মুখস্থ বলতে হবে আমায়। সেটি শুরু হবে আমার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম দিয়ে। তারপর জন্মদিবস। তারপর 'আনুমানিক প্রতিষ্ঠা দিবস(আমার জন্মের সময়ের ন'মাস দশদিন আগের দিনটি হলো এই দিনটি; আশা করি সবাই ইঙ্গিতটি বুঝতে পারছেন)। তারপর প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চতর মাধ্যমিকের গোটা CV । এই ফর্ম্যাটটি শেষ হবে শারীরিক বর্ণনায়। গোটা বক্তব্যে একটিও ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করলে হয় উঠবোস, নয় খিলের আঘাত সহ্য করতে হবে হাঁটুর পেছনে। এই 'ইন্ট্রো'টি চলবে রাত আড়াইটে অবধি। 'ইন্ট্রো' কতদিন দিতে হবে? হোস্টেলের জনৈক সিনিয়রের কথায় যতদিন না আমার পুরু*ষাঙ্গের দৈর্ঘ্যটি পর্যন্ত সমস্ত আবাসিক ছাত্রের মুখস্থ হয়ে যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত। এছাড়া সপ্তাহে একদিন সবঘরের সব সিনিয়রের জলের বোতলে জল ভরে দিতে হবে। চুলে থাকবে মিলিটারি ছাঁট। সন্ধ্যে ছ'টার মধ্যে হোস্টেলে ঢুকে যেতে হবে। এবং ক্লাসের সমস্ত 'মামণির' গল্প তাদের বলতে হবে।
    পরদিন সন্ধ্যেবেলা আমি হোস্টেল ছাড়ি এই বুঝে যে এইসব আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হবে না। বাবার আর্থিক সঙ্গতি বিশেষ না থাকলেও যে করে হোক, যত কষ্টেই হোক একটি মেস/পিজি খুঁজতে হবে আমায়। কসবায় একটি পিজিতে এখন থাকি আমি।
    *দুই*
    ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৩। সেম ব্রেক চলছে। ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে ঘুরতে শুনতে পাই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি ডিপার্টমেন্টের নবীনবরণ হচ্ছে গান্ধীভবনের ভেতরে। প্রবেশ নিয়ে কড়াকড়ি ছিল না, তাই ঢুকি অনুষ্ঠান দেখতে। সঙ্গে দু-চারজন সহপাঠী এবং জুনিয়রও ছিল। গান, নাচ, হুল্লোড় ভালোই চলছিল। হঠাৎ মাইকে ঘোষণা হয় এবার 'ইন্ট্রো' হবে। সেই 'ইন্ট্রো'য় জনা পনেরো ছাত্রকে মঞ্চে তোলা হয়। তারপর একটি লম্বা বেলুন এবং তার পাশে বাঁধা দুটি গোল বেলুন (প্রতীকী পুরু*ষাঙ্গ) তাদের দিয়ে বলা হয় তলপেটের নীচে ধরে থাকতে। তারপর একটি গান চালিয়ে কুৎসিত নাচতে বাধ্য করা হয় তাদের। তারপর একটু আগে যে ফর্ম্যাটটি বললাম, সেই ফর্ম্যাটে 'ইন্ট্রো' দিতে হয় তাদের।
    আসলে 'র‍্যাগিং' একটি বহুলালিত 'Sadistic pleasure'। র‍্যাগিং একটি সিস্টেম যাকে 'ঐতিহ্য' বলে চালানো হয়। আর এই সিস্টেমটির অস্তিত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত থেকেও এর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই এই নিয়ে। ফলে গ্রাম, মফঃস্বল বা শহরতলি থেকে এই পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের, যাদের আর্থিক সঙ্গতি নেই, শহরে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাদের এই পরিস্থিতিতে দুটি রাস্তা খোলা থাকে - এক, আত্মরক্ষার্থে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করা, যা অনেকের দ্বারাই সম্ভব হয় না। আর দুই, আত্মহ*ত্যা। ঠিক এইকারণেই আমি বা আরও অনেকে স্বপ্নদীপের এই চলে যাওয়াকে 'প্রাতিষ্ঠানিক হ*ত্যা' বলতে চাই।
    তরতাজা প্রাণটি ফিরে আসবে না জানি। তবু চাই, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। অভিযুক্তরা চিহ্নিত হোক, শাস্তি পাক। কিন্তু তারচেয়েও বেশি করে চাই, এই অমানবিক 'প্রথা' বন্ধ হোক। "হোস্টেলে একটুআধটু এসব হবে না!?", কিংবা "র‍্যাগিং আসলে জীবনের সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষা" -এরকম মানসিকতা বা কথাবার্তা বন্ধ হোক। একটি নতুন শহরের বিশ্বমানের এক ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এসে এই ঘৃণ্য সিস্টেমের বলি হয়ে মা-বাবার কোল খালি করে কতগুলো অসহায় তরুণ-তরুণীর অকালে ঝরে পড়া বন্ধ হোক।
    খুব কষ্ট হচ্ছে। সেদিন ফেসবুকটি ছিল না। সেদিন বলবার জোর ছিল না। থাকলে হয়তো একটু হলেও সচেতনতা গড়ে তোলা যেত। হয়তো এভাবে একটা সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা জুনিয়র কে হারাতে হতো না।
    আর স্বপ্ন না ভাঙুক। আর দীপ না নিভুক। এটুকুই।
  • দীপ | 42.110.137.36 | ১১ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৩৪516457
  • চূড়ান্ত ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনা! আশা করি কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।
    স্বপ্নদীপের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাই।
  • π | ১১ আগস্ট ২০২৩ ১৩:০৪516456
  • এটাও রইল। 
     
    আমাদের এরকম কোন অভিজ্ঞতা হয়নি। ইঞ্জিনীয়ারিং এ বোধহয় বরাবরই। তবে ফ্রেশার্সেও  এসব হত!  
    ---
    আমি সায়ন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যবিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমার যারা কাছের মানুষ,বন্ধুরা জানেন, ব্যক্তিগত কোনো অনুভূতি আমি খুব একটা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পছন্দ করি না। কিন্তু আজ করতে হচ্ছে। কাল গভীর রাতে একটি খবর পাওয়ার পর থেকে প্রায় সিঁটিয়ে বসে আছি। দুঃখ, যন্ত্রণা, আতঙ্ক আর গ্লানি একসাথে অনুভব করছি। তার কারণ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষে সদ্য ভর্তি হওয়া পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুন্ডু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ছাত্রাবাসের তিনতলা থেকে 'পতন'-এর ফলে মারা গেছে। মিডিয়া এইঘটনাকে 'রহস্যমৃত্যু' আখ্যা দিয়েছে। কেউ কেউ একে 'আত্মহনন' বা 'সুই*সাইড' বলেছেন। আমি বলব এটি প্রাতিষ্ঠানিক হ*ত্যা। 
    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো দাবী নিয়ে অল ফ্যাকাল্টি জিবি চলছিল ক্যাম্পাসের বড় মাঠে। প্রবল অসুস্থ থাকায় মাঠে খুব বেশিক্ষণ দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। আর তাই, KMR এর সামনে একটি জায়গায় বসে পড়ি। সেখানে বসে, একদল ছাত্রের (আমার অচেনা) আলোচনায় কতগুলো চমকপ্রদ মন্তব্য, প্রশ্ন ইত্যাদি কানে আসে। একজন বলেন, "দু-দিন নিতে পারল না!?"। দ্বিতীয়জন, "দু-একদিনে কীই বা হয় তুই বল!"। আরেকজন, " হ্যাঁ ভাই, দুদিনে আর কতটুকুই বা র‍্যাগিং করা যায়!"
    এই বা এদের মতো 'শুভবুদ্ধিসম্পন্ন' যদুবংশীয় বন্ধুদের এইসব 'সুন্দর','যুক্তিসম্মত' প্রশ্নের উত্তরে দুটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। 
    *এক*
    স্বপ্নদীপের মতোই আমার বাড়ি নদীয়ায়। ওর বগুলা (মতান্তরে হাঁসখালি)। আমার শান্তিপুর। যাদবপুর যেখান থেকে 'মাত্র' তেত্রিশটা রেলস্টেশন দূরে। প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় ষান্মাসিকে ইন পার্সন ক্লাস শুরু হওয়ার পর প্রায় দেড়মাস ডেইলি প্যাসেঞ্জারী করে আমি যাদবপুরের হোস্টেল পাই। স্বপ্নদীপ ঠিক যে ব্লকটিতে ছিল, সেই ব্লকেই। ৯ এপ্রিল, ২০২২ এ আমি ডিপার্টমেন্টের নবীনবরণ সেরে লটবহর নিয়ে ছাত্রাবাসে উঠি। আমি যে ঘরটি পেয়েছিলাম(যেটি সুপার বা অন্য কোনো আধিকারিক নন, ঠিক করে দিয়েছিল হোস্টেলের মেস কমিটি), সেখানে ঢোকার পর ক্রমে জনা কুড়ি ছাত্র একে একে আসে, শিষ দিয়ে উঁকি মারেন এবং জিজ্ঞাসা করে, "নতুন?", "আজ?", কিংবা " তোর 'হোস্টেলের বাবা' কে?"। 'হোস্টেলের বাবা' শব্দবন্ধটি আমার কাছে নতুন ছিল, জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি ছাত্রাবাসের বেশিরভাগ ছাত্রই আসে মেস কমিটির বিভিন্ন সিনিয়রের সুপারিশে। এই সিনিয়রটিই হলেন উক্ত নতুন ছাত্রটির 'হোস্টেলের বাবা'। এখন খুব অল্প সংখ্যক যেসকল ছাত্রের সিনিয়রদের সুপারিশ ছাড়াই স্থান হয়, আমি তারমধ্যে একজন ছিলাম। ফলে, আমার কোনো হোস্টেল-পিতা ছিল না। এরপর খাওয়া দাওয়া মিটলে, আমার রুমমেট তথা একবছরের সিনিয়র এক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দাদার ওপর নির্দেশ আসে আমাকে 'ইন্ট্রো' সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে। 'ইন্ট্রো' সে যা বোঝায়, সেই অনুযায়ী, প্রতিদিন রাত এগারোটা বা বারোটার পর অত্যন্ত স্বল্পবসনে বিল্ডিং এর একটি একটি করে দরজা নক করতে হবে আমায়। তারপর সেইঘরের সিনিয়ররা দরজা খুললে সাবধান পজিশনে দাঁড়িয়ে একটি ফর্ম্যাট মুখস্থ বলতে হবে আমায়। সেটি শুরু হবে আমার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম দিয়ে। তারপর জন্মদিবস। তারপর 'আনুমানিক প্রতিষ্ঠা দিবস(আমার জন্মের সময়ের ন'মাস দশদিন আগের দিনটি হলো এই দিনটি; আশা করি সবাই ইঙ্গিতটি বুঝতে পারছেন)। তারপর প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চতর মাধ্যমিকের গোটা CV । এই ফর্ম্যাটটি শেষ হবে শারীরিক বর্ণনায়। গোটা বক্তব্যে একটিও ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করলে হয় উঠবোস, নয় খিলের আঘাত সহ্য করতে হবে হাঁটুর পেছনে। এই 'ইন্ট্রো'টি চলবে রাত আড়াইটে অবধি। 'ইন্ট্রো' কতদিন দিতে হবে? হোস্টেলের জনৈক সিনিয়রের কথায় যতদিন না আমার পুরু*ষাঙ্গের দৈর্ঘ্যটি পর্যন্ত সমস্ত আবাসিক ছাত্রের মুখস্থ হয়ে যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত। এছাড়া সপ্তাহে একদিন সবঘরের সব সিনিয়রের জলের বোতলে জল ভরে দিতে হবে। চুলে থাকবে মিলিটারি ছাঁট। সন্ধ্যে ছ'টার মধ্যে হোস্টেলে ঢুকে যেতে হবে। এবং ক্লাসের সমস্ত 'মামণির' গল্প তাদের বলতে হবে। 
    পরদিন সন্ধ্যেবেলা আমি হোস্টেল ছাড়ি এই বুঝে যে এইসব আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হবে না। বাবার আর্থিক সঙ্গতি বিশেষ না থাকলেও যে করে হোক, যত কষ্টেই হোক একটি মেস/পিজি খুঁজতে হবে আমায়। কসবায় একটি পিজিতে এখন থাকি আমি। 
    *দুই*
    ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৩। সেম ব্রেক চলছে। ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে ঘুরতে শুনতে পাই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি ডিপার্টমেন্টের নবীনবরণ হচ্ছে গান্ধীভবনের ভেতরে। প্রবেশ নিয়ে কড়াকড়ি ছিল না, তাই ঢুকি অনুষ্ঠান দেখতে। সঙ্গে দু-চারজন সহপাঠী এবং জুনিয়রও ছিল। গান, নাচ, হুল্লোড় ভালোই চলছিল। হঠাৎ মাইকে ঘোষণা হয় এবার 'ইন্ট্রো' হবে। সেই 'ইন্ট্রো'য় জনা পনেরো ছাত্রকে মঞ্চে তোলা হয়। তারপর একটি লম্বা বেলুন এবং তার পাশে বাঁধা দুটি গোল বেলুন (প্রতীকী পুরু*ষাঙ্গ) তাদের দিয়ে বলা হয় তলপেটের নীচে ধরে থাকতে। তারপর একটি গান চালিয়ে কুৎসিত নাচতে বাধ্য করা হয় তাদের। তারপর একটু আগে যে ফর্ম্যাটটি বললাম, সেই ফর্ম্যাটে 'ইন্ট্রো' দিতে হয় তাদের। 
    আসলে 'র‍্যাগিং' একটি বহুলালিত 'Sadistic pleasure'। র‍্যাগিং একটি সিস্টেম যাকে 'ঐতিহ্য' বলে চালানো হয়। আর এই সিস্টেমটির অস্তিত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত থেকেও এর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই এই নিয়ে। ফলে গ্রাম, মফঃস্বল বা শহরতলি থেকে এই পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের, যাদের আর্থিক সঙ্গতি নেই, শহরে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাদের এই পরিস্থিতিতে দুটি রাস্তা খোলা থাকে - এক, আত্মরক্ষার্থে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করা, যা অনেকের দ্বারাই সম্ভব হয় না। আর দুই, আত্মহ*ত্যা। ঠিক এইকারণেই আমি বা আরও অনেকে স্বপ্নদীপের এই চলে যাওয়াকে 'প্রাতিষ্ঠানিক হ*ত্যা' বলতে চাই। 
    তরতাজা প্রাণটি ফিরে আসবে না জানি। তবু চাই, নিরপেক্ষ তদন্ত  হোক। অভিযুক্তরা চিহ্নিত হোক, শাস্তি পাক। কিন্তু তারচেয়েও বেশি করে চাই, এই অমানবিক 'প্রথা' বন্ধ হোক। "হোস্টেলে একটুআধটু এসব হবে না!?", কিংবা "র‍্যাগিং আসলে জীবনের সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষা" -এরকম মানসিকতা বা কথাবার্তা বন্ধ হোক। একটি নতুন শহরের বিশ্বমানের এক ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এসে এই ঘৃণ্য সিস্টেমের বলি হয়ে মা-বাবার কোল খালি করে কতগুলো অসহায় তরুণ-তরুণীর অকালে ঝরে পড়া বন্ধ হোক। 
    খুব কষ্ট হচ্ছে। সেদিন ফেসবুকটি ছিল না। সেদিন বলবার জোর ছিল না। থাকলে হয়তো একটু হলেও সচেতনতা গড়ে তোলা যেত। হয়তো এভাবে একটা সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা জুনিয়র কে হারাতে হতো না। 
    আর স্বপ্ন না ভাঙুক। আর দীপ না নিভুক। এটুকুই।
     
  • π | ১১ আগস্ট ২০২৩ ০৮:০০516455
  • পরের লাইনটা প্রথম লাইনের সুরে ভাঁজতে গিয়ে দেখি চুইং গামের মত আমিও এদুটো লাইন সুর করে চিবিয়ে যাচ্ছি!  আজকাল মনে মনে গাইতে শিখেছি। গলা থেকে স্বর,সুর তো টাটা বাইবাই করে দিয়েছে। আবার  দেখা পাই কিনাও জানা নাই! 
  • π | ১১ আগস্ট ২০২৩ ০৭:৫৭516454
  • laugh
  • জসল | 2607:fb90:3f63:337:e078:7c9c:d73f:51f2 | ১১ আগস্ট ২০২৩ ০৩:২৩516453
  • কী বিচ্ছিরি সমস্যা, "এই যে দেখছি কাগজ দিয়ে তৈরি ফুলে" - লাইনের পর "আরেকটি সে... জাল করে নোট গেছেন জেলে" মাথায় ঢুকে গেছে।
  • দীপ | 42.110.136.210 | ১০ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫২516452
  • সেটা হ‌ওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
  • . | 43.251.171.56 | ১০ আগস্ট ২০২৩ ২০:২১516451
  • র‍্যাগিং ও তো হতে পারে নাকি? ভর্তি হওয়ার দুদিন-এর মধ্যে এরকম আত্মহত্যা করার মানসিক চাপ তৈরি হয় নাকি? আর র‍্যাগিং ইত্যাদি হলে বা সহপাঠীদের কীর্তি হলে কোনোদিনই সেসব সামনে আসবে না।  বকি ছাত্রদের ভবিষ্যৎ বাঁচানোর স্বার্থে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামের স্বার্থে।
  • দীপ | 42.110.136.210 | ১০ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৩516449
  • ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত জনৈক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা।
     
    আমরা যারা কলকাতা এবং বৃহত্তর কলকাতার বাইরে থেকে প্রেসিডেন্সি-যাদবপুরে পড়তে যাই, তাদের অবস্থা হয় না-ঘরকা-না-ঘাটকা। আমার প্রেসিডেন্সিতে পড়ার অভিজ্ঞতা নেই, প্রেসিকে আমি বহিরাগতর চোখ দিয়েই দেখেছি; মাসে দু-তিনবার আড্ডা মারতে যাওয়ার সঙ্গে টানা পাঁচটি বছর পড়ার অভিজ্ঞতা কোনভাবেই সমতুল নয়। কিন্তু যাদবপুরে দু-বছর পড়ার নিরিখে কয়েকটা পর্যবেক্ষণ বলতে পারি। এই যারা গ্রাম-মফস্বল-শহরতলি থেকে যাদবপুরে পড়তে যায়, তারা না পারে যাদবপুরে গিয়ে মানিয়ে নিতে; আর বেশিরভাগ অঞ্চলে যাদবপুর-প্রেসি নিয়ে এমন জঘন্য কিছু স্টিরিওটাইপ গেড়ে বসে আছে––– তারা নিজের পাড়াটিতেও ‘যাদবপুর’ বলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আমাদের যতই র্যাঙ্কিংয়ে ওপরদিকে বসার গুমোর থাকুক, যাদবপুরের এই এলিটিজমও যে জ্বলজ্বলে সত্যি, সে-কথা মনে হয় না কোনও সৎ যদুবংশীয়ই বুকে হাত দিয়ে অস্বীকার করবেন। 

    নাম করা এলিট বিভাগে যারা কোভিডের বছরগুলিতে ভর্তি হয়েছিল, তাদের খোঁটা শুনতে হয় “তোমরা তো কোভিড ব্যাচ”। ক্লাসে একজন আড়মোড়া ভেঙেছে বলে বিভাগীয় প্রধানের মনঃসংযোগে এতটাই ব্যাঘাত ঘটল, তিনি বলে বসলেন, “তোমরা কেন আসো? ওয়ার্থলেস! ফ্রি-এডুকেশনের ফলাফল তোমরা।” কেউ গিয়ে বলল না, “আজ্ঞে, অ্যাডমিশন টেস্টে আমাদের উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললে যে আপনাদেরই তৈরি করা প্রশ্নপত্র এবং ইভ্যালুয়েশন সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হয়?” বলল না, কারণ তাঁর একটি সুপারিশ বিদেশ বা ভিনরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে মহামূল্যবান। এ একটি উদাহরণ মাত্র। তাঁর অন্যান্য সমস্যাজনক মন্তব্যগুলো নিয়ে আলাদা একটা পোস্ট দেওয়া যায়--- তিনি এতটাই ছড়িয়ে রেখেছেন। যাকগে। ২০২৩-এও ভাষাগত বাধাবিপত্তির কারণে লোককে কোর্স ছেড়ে দিতে দেখেছি, তা নিয়ে কারুর বিশেষ হেলদোল হয়নি। ক্যাম্পাসে প্রমাণিত মলেস্টার, ধর্ষকদের খোলামেলা ঘুরতে দেখেছি; দেদার সোশ্যালাইজও করেছেন তাঁরা। অরবিন্দ ভবনের কর্মচারীদের ‘সুব্যবহার’ সম্পর্কে সকলেই অবগত--- আমার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের কিছু শকিং অভিজ্ঞতার কথা জানি, তবে তাঁদের অনুমতি নেই বলে সেগুলো লিখছি না; সেগুলো বাইরে বেরোলে যাদবপুর সম্পর্কে বুদ্বুদে আরও খানিক ফাটল ধরবে আশা করা যায়।

    যে-কারণে এত কথা লেখা, গতকাল রাতে বাংলা বিভাগের ইউজি ওয়ানের একজন ছাত্র তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। ছেলেটি আজ সকালে মারা গিয়েছে। তদন্তাধীন ঘটনা, কাজেই আমার বেশি কিছু লেখার এক্তিয়ার নেই। কিন্তু একটা বিশ্ববিদ্যালয় তার পড়ুয়াদের দায়ভার নিতে পারছে না; একটা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে সিস্টেমেটিক্যালি একটা সুপিরিয়রের পেছন চাটার সুবিধেবাদী মানসিকতা লালন করছে, প্রোমোট করছে; একটা বিশ্ববিদ্যালয় এলিটিজমে পরিপূর্ণ জঘন্য একটা বলয় তৈরি করছে; একটা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩-এও র্যাগিং-মুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে পারছে না--- পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম প্যারামিটারে শ্রেষ্ঠতম আসনটি পেলেও এই অন্ধকার কি দূর হয়?

    একটা বাচ্চা ফুটফুটে ছেলে পড়তে এসেছিল। আর পাঁচজনের মতোই তার কাছে যাদবপুর স্বপ্নেরই জায়গা ছিল নিশ্চয়ই। যাদবপুর রেসিপ্রোকেট করতে পারল না। যাদবপুর আর রেসিপ্রোকেট করতে পারে না। একটা আস্ত মানুষের মৃত্যুর বিনিময়ে সমস্ত রোম্যান্টিসাইজড টোকেন পেরিয়ে এই অন্ধকারগুলোর দিকে আমাদের চোখ যাচ্ছে--- আমাদের ঘেন্না হয় না? অবশ্য ওই স্বনামধন্য অধ্যাপক ভরা ক্লাসে তো বলেইছিলেন, “তোমাদের কিছু বললেই আবার তোমাদের মেন্টাল হেলথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” সে কথাতেও দাঁত ক্যালানোর লোকের অভাব হয়নি। স্বাভাবিক, সুপারিশ বড় বালাই; বিপ্লব তো দেওয়ালে থাকলই!

    তদন্ত হোক। দোষীরা শাস্তি পাক। সর্বোপরি এই গোটা কাঠামোটা বদলাক। যে গেছে সে তো আর ফিরবে না, আর কখনও যেন এমন দিন না আসে। আর কী। আর বেশি কিছু বলার মুখ নেই।
  • lcm | ১০ আগস্ট ২০২৩ ১০:৫৭516448
  • /\ (সোমনাথ?), থ্যাংকু, ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

    jsl, হ্যাঁ, শুধু রবীন্দ্রনাথ/নজরুল নয়, অনেক কিছুই এখনও নেই।

    রমিত, হ্যাঁ, ব্যান্ড নেই, অনেক কিছুই এখনও নেই।
  • π | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০৭:৫৭516447
  • আগামীকাল পত্রিকার  পুরানো সংখ্যা কোথায় পাওয়া যেতে পারে? 
  • Bratin Das | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০০:২৭516446
  • <Linkedin >  বলছে গো যদু বাবু 
  • লেহালুয়া | 192.42.116.173 | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০০:১২516445
  • IAG claimed that when it reviewed her cyber activity, including keystroke activity, there were “significant periods where no or minimal keyboard activity was evident”.

    It found she failed to work her rostered hours for 44 days of the 49 days monitored, started late on 47 days, finished early on 29 days and did no work on four days.

    During the days she did log on, she had “very low keystroke activity on her laptop”, which indicated she was not doing her work as required. She recorded 117 hours with zero keystrokes during October, 143 hours in November and 60 hours in December.
     
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৫৮516444
  • @LCM একি কান্ড ! বাংলা গানের ডেটাবেসে চন্দ্রবিন্দু নেই। ওরাই তো বাংলা গানের শেষ কথা।
  • যদুবাবু | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৫১516443
  • রঞ্জনদা, হ্যাঁ এই তো চলে এলো। আমাদের ২১শে আগস্ট সেমিস্টার শুরু। কলেজ টাউন সামারে একদম চুপ হয়ে যায়। দোকানপাট কাফে ফাঁকা, রাস্তায় সবাই কি সুন্দর গাড়ী চালাচ্ছে, মাঝরাতে অট্টহাসির দমক নেই। এই আবার একটু একটু করে বাচ্চারা সব ফিরছে। সেই বর্ষে বর্ষে দলে দলে + ওই আসে ওই অতি ভৈরব হরষে। 
     
    (আর থেঙ্কু, কিন্তু আমার জন্মাতে এখনো দেরি আছে।) 
  • যদুবাবু | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৪১516442
  • ব্রতীন দা, থেনকু, কিন্তু আমার জন্মদিন তো এখন না। অবশ্য তাতে কি? ওইদিন আরেকবার পড়ে নেবো। 
  • jsl | 192.139.20.199 | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২৩516441
  • লসাগুদার গানের লিস্টিতে কি রবি নজরুল বাদ?

    আকাশ আমায় ভরল আলোয়,  আকাশ আমি ভরব গানে।
    সুরের আবীর হানব হাওয়ায়,  নাচের আবীর হাওয়ায় হানে॥
    (১৯১৫)

    আকাশভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ,
    তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান,
    বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান॥
    (১৯২৪)

    আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ওই। 
    ওই পাহাড়ের ঝর্না আমি, ঘরে নাহি রই গো 
                          উধাও হ’য়ে বই।।
    (?)

    এ ছাড়া

    ও আকাশ, প্রদীপ জ্বেলো না
    ও বাতাস, আঁখি মেলো না
    (এই গানটা পুলক বন্দ্যো আর হেমন্ত মুখো - দু'জন মিলে লিখেছেন?)
     
    একখানা মেঘ ভেসে এল আকাশে
    একঝাঁক বুনো-হাঁস পথ হারালো
    (কথা – শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায় সুর – ভূপেন হাজারিকা)
     
    আকাশ এতো মেঘলা
    যেও নাকো একলা
    (কথা – ? সুর : সুধীন দাশগুপ্ত )
     
    আর, 
     
    রানওয়ে জুড়ে পড়ে আছে শুধু কেউ নেই শূন্যতা
    আকাশে তখন থমকিয়ে আছে মেঘ
    বেদনাবিধুর রাডারের অলসতা-
    কিঞ্চিৎ সুখী পাখীদের সংবেগ।
  • Ranjan Roy | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৩৩516440
  • যদুবাবুর जन्मदिन .
    অনেক অনেক শুভেচ্ছা. 
    খুব আনন্দে থাকো আর আমাদের আরো ক্লাস নাও. 
    আইকম বাইকম  তাড়া.তাড়ি
    --------
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত