এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • জয় | 82.1.126.236 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:১৯492311
  • রোমেও প্রচুর বাংলাদেশী দেখেছিলাম। আমরা থাকতাম টাইবার নদীর অন্যদিকে শহরতলী ট্রাস্টেভিয়রে। খড় খড়ির জানলা, কবলস্টোন রাস্তা ফুটপাথে হকার- পুরো উত্তর কোলকাতা। সারাদিন ঘুরে আমরা যেতাম সাদেক ভায়ের রেস্তোঁরাতে (চিকেন উইংস,বার্গারের ফাস্টফুড মূলতঃ)। ফরিদপুরের ছেলে। ১২ বছর বয়স থেকে রোমে। ব'লে কাউকে রেয়াত করে ব্যবসা করি না। সারাদিনে যতই পাস্তা  পিজ্জা জেলাডো করিনা কেন- রাত্তিরে সাদেক ভাই মায়ের মত ভাত রেঁধে অপেক্ষা করত। কোনদিন কুচোমাছের ঝাল, তো কোনদিন গরুর  হাল্কা ঝোল? আহা। রাত্তির দশটাতেও বউ আর কুচো মেয়েকে নিয়ে ঢেঁকুর তুলতে তুলতে হেঁটে হোটেলে ফিরেছি। আবার কবে যাব?
  • aranya | 2601:84:4600:5410:e007:389a:5bc7:84cd | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৪৭492310
  • আমার-ও সে-র মত ঘুরতে ইচ্ছে করে, এক জায়গায় অনেক দিন থাকতে পারলে জায়গাটাকে বেটার চেনা যায়। কিন্তু ছুটি এত কম। হয়ত রিটায়ার করার পর ওভাবে বেড়াতে পারব। 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7cf8:24d9:59b4:1578 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৩৪492309
  • সীলিং ফ্যানের বদলে স্ট্যান্ডিং ফ্যান দেবে।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7cf8:24d9:59b4:1578 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:১৯492307
  • বেড়াতে গেলে আমি ক্যামেরা সঙ্গে নিই না। ফোটো তোলার মতলব মাথায় ঘুরলে বেড়ানোর আনন্দের ৯০% মাটি হয়ে যায় আমার। তাড়াহুড়ো করেও বেড়াতে পারি না। ঐ একটা শহরেই পাঁচ থেকে পনেরোদিন থেমে থেমে ঘুরব, মধ্যে একদিন দুদিন ঘুমিয়েই কাটাব, রাস্তার ধারে বসে বসে সময় কাটালাম, এসব করি বলেই কেউ আমার সঙ্গে যেতে চায় না।
    বুরানোয় যে কজন হাতেগোনা টুরিস্ট দেখলাম সব ফচাৎ ফচাৎ করে নানাবিধ অ্যাঙ্গেল থেকে ফোটো নিচ্ছে রঙীন বাড়ির। একজনকে ফলো করে দেখলাম কার বাড়ির উঠোনে ঢুকে কাপড়চোপড় শুকুদ্দেয়ার ফোটো তুলে নিল ব্যাকগ্রাউন্ডে জানলার ভেতর থেকে বেড়াল উঁকি দিচ্ছে।
    ওখানে যারা থাকে তাদের জীবনে কোনও প্রিভেসি নেইকো। সবাই যেন প্রদর্শনীর অঙ্গ। টুরিস্ট আসবে দেখবে ফোটো তুলবে। দেশের আয় হবে। লোকগুলো কেমন মুষড়ে রয়েছে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:১৬492306
  • এই বাঙালিরা তাহলে বেশ বড়ো ওয়ার্কফোর্স ভেনিসে। হোটেল রেস্টুরেন্টে কাজ করেন, জিনিসপত্র ফেরি করেন, দোকানে কাজ করেন---বলতে গেলে জনগণের সঙ্গে কাজকারবারের বিরাট অংশ এঁরাই করেন।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7cf8:24d9:59b4:1578 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:০৩492305
  • ভেনিসের বাঙালিরা সবাই রিফিউজি। তাই বলে তাদের গরীব দুঃখী ভেবে বসার কারন নেই। হাজার হাজার ইউরো খরচ করে তারা স্বেচ্ছায় ঐ স্টেটাস নিয়েছে। রেলস্টেশনের সমস্ত পোর্টার ( বাংলায় কুলি লিখলে শুনতে খারাপ লাগে) বাঙালি। যত ফেরিওলা সবাই বাঙালি। যত সুভেনিরের স্টল বা দোকান সবখানে তারা বিক্রেতা বা মালিক। যত রেস্টুরেন্ট সবখানে তারা রান্নাঘরের কাজে। এরা সর্বক্ষঞ নিজেদের মধ্যে নীচুস্বরে বা চেঁচিয়ে কমিউনিকেট করে যাচ্ছে বাংলায়। অন্যদিকে বাকিরা যারা বাংলা বোঝে না। তাদের রাডারে বাংলা ধরা পড়ে না।
    প্রথম সন্ধ্যায় স্টেশন থেকে বেরিয়ে বাঙালি দেখলাম। হোটেল খুঁজবার জন্যও কয়েকজন বাঙালির সঙ্গে কথা বললাম। একজন তিনশো মিটার হেঁটে আমাদের হোটেলের কাছে এগিয়ে দিলেন। পথে যেতে যেতে জানালেন তিনি হিন্দু, শরিয়তপুর জেলার লোক, আরও অনেক দুঃখকষ্টের কথা। একটা ইতালিয়ান রেস্টুরেন্টে কাজ করেন সেখানেই ডিউটিতে ঢুকে গেলেন। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৫৫492304
  • হ্যাঁ, একটিমাত্র হাতে কুড়িটা কড়। অতি চমৎকারভাবে অত সংখ্যা হ্যান্ডল করা যায়।
    একদম শুরু থেকে কড় দিয়ে গুনতে শিখতাম আমরা। একজনের তো একুশ হয়ে গেল একবার। কী ব্যাপার? না, বুড়ো আঙুলের গোড়ার দিকের কড় দুটো একটু জড়ানো মতন তো, উপরের দুটোর মতন ডিস্টিংক্ট না, সে ওখানে তিনখানা কড় পেয়েছে। তাই একুশ অবধি গুণে ফেলেছে। ঃ-)
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7cf8:24d9:59b4:1578 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৫০492303
  • হাতের আঙুল পায়ের আঙুল এসব দিয়েই তো সংখ্যা গুণবার গোড়াপত্তন। দুনিয়ার সর্বত্র।
    কিন্তু ভারতীয় সিস্টেমে কড় দিয়ে গোনা, এটা ইউনিক। যে দেশেই গেছি, তারা এটা জেনে অবাক হয়ে গেছে যে আমরা দুটো হাত দিয়ে দশের জায়গায় চারশো অবধি গুনে ফেলতে পারি।
    একসময় ছাত্র পড়াতে হতো, তখন এসব গল্প করতাম তাদের কাছে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৪৮492302
  • এত বাঙালি ভেনিসে? বাহ। শেক্ষপীয়ার লিখেছিলেন দ্য মার্চেন্ট অব ভেনিস, এখন অনায়াসে লেখা যায় 'ভেনিসের বাঙালি'। ঃ-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৪৫492301
  • কেলোদাকে মিস করি। সেই যে সমুদ্রের গল্প করতেন, প্রবালদ্বীপের কাহিনি বলতেন, বিজ্ঞানীরা নৌকোয় করে সমুদ্রে গিয়ে কী কান্ড হয়েছিল, উড়িষ্যার জেলেরা দেখেশুনে হাসছিলেন-সেইসব কাহিনি বলতেন, ডিম্ভাতের স্টলের কথা বলতেন। বহুদিন তাঁকে দেখি না। কেলোদা, আপনি যেখানেই থাকুন, গুর্চর ভাটিয়া৯র মঞ্চে এসে একবার 'উপস্থিত' বলে যান। ঃ-)
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7cf8:24d9:59b4:1578 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৪৩492300
  • আর বলবেন না, বুরানোর যাবতীয় "দেখার" জায়গা দেখলাম, কিন্তু মন আমার খচখচ করতে লাগল ১ এর রহস্যভেদ করবার জন্য। ভেনিস থেকে যেতে ঘন্টাখানেক লাগে, ফিরবার সময়ও প্রায় একই সময় লাগে। এর পরের দিনগুলো কোথায় কী কী দেখলাম মাথায় রেজিস্টার হলো না।
    আসলে কোনও নতুন জায়গায় গেলে আমি অবশ্যদ্রষ্টব্য জায়গাগুলোতে নেহাৎ অপারগ না হলে যাই না।
    তো এবারেও ছদিন ভেনিসে এবং শুধু ভেনিসেই থাকব শুনে প্রত্যেকেই অবাক হয়েছে।
    ভেনিসে যাবার জন্য ভাষার সমস্যা হয় নি। বাংলা দিয়ে চমৎকার চালিয়ে নেওয়া যায়।
    দেখলাম জঞ্জাল কেমন করে ক্রেনের সাহায্যে তুলে নৌকো করে মূল ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়, কেমন করে নৌকোরা পেট্রল পাম্প থেকে তেল ভরে, নৌকো অ্যাম্বুলেন্স, নৌকো ডাক ব্যবস্থা, নৌকোয় কুরিয়র DHL, ইত্যাদি ইত্যাদি। ভেনিসের স্থানীয় মানুষদের মুখে হাসি নেই। হাসি হাসি মুখ মানেই টুরিস্ট , এটা বুঝতে তিন দিন লেগেছে। ছোট ছোট পাব এ বসে দোকানদারদের সঙ্গে আড্ডা... এবং তখন জানা গেল বেরলুসকোনির আমলে ইতালির মানুষ সুখে ছিল এখনকার তুলনায়। রাজনীতি অর্থনীতি মাফিয়া কালচার সমস্ত নিয়েই তারা মন খুলে গল্প করত।
    নৌকো করে করে কিছুদূর গিয়ে নেমে পড়তাম। তারপর হন্টন। বৃষ্টি। কান পাতলেই শোনা যেত বাংলায় কেউ না কেউ কথা বলছেই।
  • dc | 2606:54c0:3680:128::1c5:8a | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৩৮492299
  • এখন একগাদা কাজের চাপ। ২৪ এর পর দেখবো। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৩৭492298
  • DC র বইটা খুব ইন্টারেস্টিং লাগলো। অপেক্ষা করে রইলাম।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৩২492297
  • এই ত্তো। জানতাম ডিসি যখন আছেন-
    আগাম ধন্যবাদ রইল ডিসি। ঃ-) নতুন কোনো ভালো সাই ফাই মুভি দেখলেন?
  • dc | 2606:54c0:3680:128::ca:13c | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:২৯492296
  • আছে এরকম বই, অনেকদিন আগে পড়েছিলাম। কিভাবে মানুষ গুনতে শিখলো, একেকটা সভ্যতা একেকটা বেস বানালো, কেন বানালো, তার লম্বা ইতিহাস আছে। কাল সকালে বইএর নাম দেবো। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:১৯492295
  • সংখ্যা গণনার ইতিহাস নিয়ে কোনো বই পাওয়া গেলে ভালো হত। কেমন যেন মনে হয় কিছু না কিছুর সঙ্গে অ্যাসোসিয়েট করে করেই সংখ্যা গোণা শুরু হয়েছিল, অ্যাবস্ট্রাক্টভাবে নয়। এই যে দশমিক পদ্ধতি, এক থেকে নয় পর্যন্ত গিয়ে আবার ১ বসিয়ে তার পিঠে ০ বসিয়ে দশ করা, আবার পর পর ঐ জায়্গাটায় ১ থেকে ৯ বসিয়ে যাওয়া, তারপরে ২০। আবার ২১ থেকে ২৯, তারপরে ৩০। ৩১ থেকে ৩৯, তারপরে ৪০। এই দশমিক পদ্ধতিও নাকি আমাদের হাতের আঙুলের সংখ্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। দুই হাতের দশটা আঙুল, এর সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে নাকি গুনতি করা হত।
    এই বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণওয়ালা কোনো বই আছে কি?
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:০৮492294
  • ওরাও মনে হয় জানে এই ধারাপাত। ১ এ চন্দ্র, শুক্ল চাঁদের কলার মতন ১। ঃ-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:০৬492293
  • ১ এ চন্দ্র
    ২ এ পক্ষ
    ৩ এ নেত্র
  • aranya | 2601:84:4600:5410:e007:389a:5bc7:84cd | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৫৩492292
  • সে, এটা খুবই কৌতূহলোদ্দীপক 
    বাংলার ছেলে বিজয়সিংহ বোধহয় লঙ্কা জয়ের পর বুরানোতেও গিয়েছিলেন :-)
  • ... | 223.29.193.27 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৩৫492291
  • May be an image of 3 people and text that says 'State of the Indian Economy ANI India's Loan Debt) 2014 ₹ 53 Lakh Crore 2019 ₹115 Lakh Crore 2021 ₹135 Lakh Crore'
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7cf8:24d9:59b4:1578 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:৫৯492290
  • বুরানোয় পর্যটকেরা যায় সারি সারি নানান রঙের বাড়ি দেখতে। এছাড়া সমস্ত দ্বীপটাতেই পথ বলতে জলপথ। ডিঙি নৌকো ছাড়া দ্বীপের মধ্যে আর কোনও যানবাহনও নেই। ভেনিসে বেড়াতে গিয়ে মুরানো ( কাচের তৈরি হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত) এবং বুরানো ( নানান রঙের বাড়ি) সমস্ত পর্যটকেরই অবশ্য দ্রষ্টব্য জায়গাগুলোর মধ্যে পড়ে। 
    আমাদেরও সেরকম ঝোঁকেই বুরানো যাওয়া। শীতকাল বলে টুরিস্ট খুবই কম। বাড়িগুলো খুঁটিয়ে দেখতে দেখতে ১ সংখ্যাটায় চোখ আটকে গেল। প্রথমে ভেবেছিলাম কোনও বাঙালির বাড়ি, নইলে বাংলায় ১ লিখবে কেন?
    তারপর আবাও দেখি ১১, ১০৪, ১০৫... এমনি করে প্রচুর বাড়ির ওপর ওরকম নম্বর দেওয়া। এমনকি ডাকপিওনও নম্ব দেখে দেখে চিঠি ফেলে যাচ্ছে ডাকবাক্সে।
    স্থানীয় মাঝি, জেলে (মূলতঃ মৎস্যজীবিদের বাস এই দ্বীপে), এদের সঙ্গে আলাপ করা হলো, ভাঙা ভাঙা ইতালিয়ানে কথা বলে জানা গেল তারা জানে যে ১ চিহ্নটা এক সংখ্যাবোধক, কিন্তু কেন 1 না লিখে প্রায় সমস্ত পুরোন বাড়িতেই ১ লেখা হয়েছে সে সব তাদের অজানা। তাদের মাতৃভাষা ইতালিয়ানও নয়, বুরানিল্লো।
    রেস্টুরেন্টে, কাফেতে, বারে, নানান মানুষজনের সঙ্গে যেচে আলাপ জমিয়েও মূল রহস্যের সমাধান হলো না। একজন বলল, চাঁদের কলার মতো দেখতে কারন চাঁদ তো একটাই, ... সে অবশ্য একজন জেলে, নৌকো নিয়ে অ্যাড্রিয়াটিক সমুদ্রে মাছ ধরতে যাচ্ছিল।
    ১এর রহস্য কিছুতেই ভেদ হলো না। বাংলাদেশির সংখ্যা বুরানোয় দশেরও কম। তারা সকলেই উদ্বাস্তু, তাদের নিজেদের ঘরবাড়ি নেই, তাই ১ সংখ্যাটা তারা যে আমদানী করেনি সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7cf8:24d9:59b4:1578 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:০৭492289
  • একটা প্রশ্ন
    1 এই চিহ্নের পরিবর্তে ১ চিহ্ন দিয়ে লেখে বুরানো দ্বীপে। বাকি সব সংখ্যার জন্য সেখানে 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9 ব্যবহার করা হয়।
    এই ব্যাপারটা স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসা করে সদুত্তর মেলেনি। তবে তারা জানে যে ১=1
    আমি ইন্টারনেটে অল্প সার্চ করেও কিছু জানতে পারলাম না।
    কিন্তু প্রশ্নটা মনের মধ্যে ঘুরছে। কেন তারা ঐ চিহ্ন ব্যবহার করে? 
    কেউ জানলে বলবেন প্লিজ।
  • r2h | 2405:201:8005:9947:5d68:ae5f:c331:bf44 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৫০492288
  • সেই, খুবই বিচ্ছিরি অবস্থা।
  • কৌশিক ঘোষ | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:২৪492287
  • আমার বাবা ঠিক ঐরকম কাস্টমার। খুব কষ্ট পাচ্ছেন। ইউবিআইএর সব তো ঘেঁটে ঘ হয়ে গেছে।
    যতোক্ষণ না আমি বা আমার ছেলে সময় করে বাবার সাথে বসছি, ততক্ষণ বাবাকে আটকে থাকতে হয়।
  • r2h | 49.37.35.252 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:৫৪492286
  • কৌশিকবাবু, আমি ওসব জানি, আমার কথা বলছি না। অ্যাপ ব্যবহার করেন না, করতে স্বচ্ছন্দ নন, নেট ব্যংকিং সুবিধেজনক মনে হয় না এমন কাস্টমার আছেন তো অনেক।
     
    কিছুদিন আগে ত্রিপুরায় এমন ব্যাপক হারে এসবিআই এটিএম হ্যাক হয়েছিল যে কয়েক মাসের জন্য ত্রিপুরার কাস্টমারদের জন্যে এসবিআই ডেবিট কার্ড ডিজেবল করে দিয়েছিল।
  • কৌশিক ঘোষ | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:৩০492285
  • r2h 
    PNB one এ্যাপ ডাউনলোড করুন। ওর মধ‍্যে mPassbook আছে, ওখানে একাউন্ট ডিটেলস পাবেন। মানে ডাউনলোড করতে হবে। এছাড়া আপাতত ইউবিআইএর সব ই ছ‍্যাড়াব‍্যাড়া। ছড়িয়ে ছত্তিরিশ হয়ে আছে‌ পিএনবির সাথে মার্জার হয়ে।
  • r2h | 223.191.52.74 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩:৩২492284
  • দিলাম করে।
    ইউবিআই মার্জারের পর পাসবুক আপডেট পর্যন্ত ঘেঁটে গেছে।
  • | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:৫২492283
  • ওই পেনশনের কেসটা ট্যুইটারে দাও ব্যাঙ্কের অফিশিয়াল হ্যান্ডল ট্যাগ করে। ২৪ ঘন্টায় সমাধান হবে।
  • r2h | 2405:201:8005:9947:6016:55b:a2d9:a8e8 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:৩৯492282
  • সেদি সেদিন জমি বাড়ি বিষয়ক গুন্ডমি নিয়ে বলছিলেন..., না, সমর্থন করার তো প্রশ্নই ওঠে না। নিজের সঙ্গে কখনো হলে কী ভাবে হ্যান্ডল করতাম জানি না।
    তবে লোকজন (আমিও) সিজনড আরকি, কম গায়ে লাগে। এ মাসে মা'র পেনশন ঢোকেনি। পিএনবি ব্যাংক, ইউবিআই মার্জারের পর থেকেই ওদের সব ছ্যাড়াব্যাড়া। খোঁজখবরের পর প্রথমে তো নীরবতা, শেষে দয়া করে জানাও হল "টেকনিকেল সমস্যা"র জন্য কারো কারো পেন্শন আটকে গেছে। লে হালুয়া, কত লোকের পেনশনের টাকার ওপর বেঁচে থাকা সম্পূর্ন নির্ভর করে এমনি এমনি আটকে গেল? তারপর এই যে লাইফ সার্টিফিকেট দেওয়া, বৃদ্ধ অশক্ত লোকেদের ব্যাংকে যাওয়া, ব্যাংক আশা করে পরিবারের লোক ব্যবস্থা করে নিয়ে আসবে, কারো যদি পরিবারের লোক না থাকে? আরেকটা জিনিস তো ভুলেই গেছিলাম, বাবা রিটায়ার করার ঠিক আগে না পরে যেন আরো কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে রাজারহাটে একটা জমি কিনেছিল। বছরখানেকের মাথায় (নব্বইএয়ের শেষ দিক) সে জমি সামান্য (বাজার মূল্যের থেকে কম) ক্ষতিপূরণের বদলে নিউটাউনের গর্ভে চলে গেল, মানে সরকার নিয়ে নিল আরকি।

    তো, যেখানে সরকার বা সরকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই ডালে ডালে পাতায় পাতায় খেলাধুলো করতে হয়, সেখানে বোধহয় লোকজন সমাজবিরোধিদের, এ তো সামান্য গুন্ডা বলে ক্ষমাঘেন্না করে দেয়, কে জানে।

    আর জনমত, সে আরেক চিজ। ষোল বছর হয়েছে আমরা বর্তমান পাড়ায় বাসা করেছি, পাশে একটা বিল্ডিং কন্সট্রাকশন মেটিরিয়ালের দোকান আছে। এখানে রোজ রাতে, একটা নাগাদ, রাস্তায় ট্রাক থেকে ইঁট বালি সিমেন্ট আনলোড হয়, প্রবল কোলাহলে। তা নিয়ে আমরা একটু ঘ্যানঘ্যান করেছিলাম কিন্তু লোকজন বললো পাড়ার লোক ব্যাবসা করছে তাতে এইটুকু সামান্য অসুবিধে নিয়ে ব্যাগড়া দেওয়া অনুচিত, আর সামান্য পাঁচ সাতজন শ্রমিকের কোলাহলে ঘুম ভেঙে যাওয়াও খুবই অসাম্যবাদী অ্যাটিটিউড।
    তারপর তো মোহগর্ত ছেড়ে বিশ্বনিখিলে ঘুরে বেড়ালাম পনেরো বছর, ফিরে এসে দেখি এখনও ঐ ব্যবস্থা।

    তবে আমাদের পাড়ার প্রোমোটার কন্স্ট্রাকশন ব্যবসায়ী জমির দালাল ইত্যাদিরা সব বামপন্থী এবং খুবই প্রশংসনীয় ব্যাপার যে তাঁরা এত কিছুর পরেও আনুগত্য বদল করেননি। তাতে আমাদের সুবিধেটা হয়েছে যে সবাই একটু চেপেচুপে আছেন, আগের মত প্রতাপ নেই, কোলাহল করলেও রাস্তা আটকে করেন না এবং ইত্যাদি। এই বাজারে বিজেপিমুক্ত এবং বাম অধ্যুষিত পাড়ায় থাকা প্রায় শ্লাঘার ব্যাপার, তাই মধ্যরাতের কোলাহল নিয়ে এখন আর কিছু মনেও করি না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত