১৯৮৬ সালে ১৩,১৪ ও ১৫ জানুয়ারি তে উৎপল দত্ত দিল্লিতে শ্রী রাম সেন্টার এ নাটক নিয়ে বক্তৃতা করেন। "What is to be done" পরে সেগুলো গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন ওই সংস্থা। তাতে একটা প্রশ্নোত্তর পর্ব ও ছিল। সেটাও এখানে দেওয়া হয়েছে।সুপণ্ডিত উৎপল দত্ত তার চাঁচাছোলা ভাষায় বক্তৃতা য় কাউকে রেয়াত করেন নি।ওনার বক্তৃতা র যে যে জায়গা গুলো ভালো লাগলো সেখানে কিছু কিছু জিনিস উল্লেখ ... ...
আমার পরিবেশন করা:-আগে তো কথায় কথায় কেটারার ডাকার ব্যবস্থা ছিল না।অভিজ্ঞ আত্মীয় স্বজন আর পাড়ার ছেলেপিলে রাই সব কাজকর্ম তুলে দিত।আমরা ছোটরা দায়িত্ব পেতাম। কলাপাতা বিছানোর। জল, তখন মাটির খুড়িতে। লেবু আর নুন। মাটির খুড়ি গুলোর রান টাইম টেস্টিং হত, একেবারে জল দেবার সময়। অবধারিতভাবে দু তিনটে ফুটো হতো আর পাতা তার নীচে পাতা সাদা কাগজের সীট ভিজিয়ে টিজিয়ে দিয়ে কেলেংকারী ... ...
আমার আঁকাজোকা : বাঙালী র ছেলে।শুধু পড়াশুনা নিয়ে থাকলে হবে? তাই, দে গরুর গা ধুইয়ে। অর্থাৎ ভর্তি করে দেওয়া হল "দাদুর পাঠশালা" তে। রবিবার রবিবার আঁকতে যাই। কুমড়ো,আম,ন্যাসপাতি। কালের অমোঘ নিয়মে শেষ অবশ্যম্ভাবী পরিণতি "একটি গ্রামের দৃশ্য "। একটা কুঁড়ে ঘর। টালির বা খড়ের চাল।পেছনে কলা বা অন্য কোন গাছ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। পাতার মাঝখান দিয়ে চলে গেছে রাস্তা।মোরামের।উঠে গেছে সোজা পাহাড়ে। গ্রামের পেছন দিকেই পাহাড়। ঠিক দুটো চুড়ো। তার ফাঁক দিয়ে দেখা আছে সদ্য উদিত হওয়া সূর্য কে। নীল আকাশে চড়ে বেড়াচ্ছে কটা পাখি।গ্রামের আরেক পাশে পুকুর। কিছু কিছু জনতা পুকুরে মধ্যে মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটাও এঁকে দিত। যাইহোক ... ...
দেখতে দেখতে বৈশাখ মাস এসে গেল । এই মাস টা আমাদের সবার কাছে ই বেশ প্রিয়। গ্রীষ্মেরদাবদাহ তো থাকবেই। কিন্তু আম, কাঁঠাল,লিচু সমস্ত জিভে জল আনা ফল গুলো তো এই সময়েই পাওয়া যায়।আমি কিন্তু বলছিলাম "রবীন্দ্র জয়ন্তী" র কথা। আমাদের ছোট্ট পাড়ায় আমরা খুব যত্ন আর নিষ্ঠার সাথে এই "রবীন্দ্র জয়ন্তী" পালন করতাম। কে কোন গান টা করবে ? বা কোন নাচ? কোন আবৃত্তি ? বা কোন নৃত্যনাট্য হবে কিনা। এই সব ব্যাপার এ স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হবার জন্যে ঘন ঘন মিটিং হতো। পরের দিকে আমরা একট নাটিকা ও করতাম। বাপ্পার মা অর্থাৎ অনীতা কাকিমা তাঁর দুপুরের ঘুম নষ্ট করে আমাদের রিহার্সেল দেওয়াতেন।অবশ্য দুষ্টু ছেলে ... ...
দুছর আগে,আজকের দিনে আদিত্য দা চলে গেছেন। আমার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার মশাইবাপি 40 বছর( 1968-2008) প্রেসিডেন্সি তে স্ট্যাটিসটিক্স পড়িয়েছেন। তার ফলে 1994 এ যখন CU তে ঢুকলাম তখন দেখি হেবববি চাপ। সৌমেন্দু দা, মণীষা দি, আশিস দা,সুগত দা বাবার ছাত্র। শৌটির বাবু, শ্যামাপ্রসাদ বাবু বাবার মাস্টারমশাই। অধীর বাবু বাসুদেব বাবু বাবার সমসাময়িক। নৃপেশ দা, কল্যাণ দা, উত্তম দা আর তথাগত দা আশুতোষ থেকে এলেও বাপির বিশেষ পরিচিত। সেকেন্ড ইয়ারে পেলাম নিপাট ভালোমানুষ গৌরাঙ্গ দা কে। উনি নরেন্দ্রপুরের। বাংলা কথা হল ক্লাস কাটা বেশ চাপের হয়ে গেল। সবাই জানে BD র ছেলে। তাই আশুতোষের (91-94) সেই সুখের তিন বছর যা কিনা হোস্টেলে 29 ... ...
স্কুলের ঘটনা। আমাদের ক্লাশে একটি ছেলে ছিল।হাবেভাবে অবিকল টেনিদা। এর ওর ঝেড়ে তেমন না খেলেও ব্রহ্মতালু লক্ষ্য করে যখন তখন চাঁটি মারা তার কাছে জলভাত। খুব কমই তাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে দেখেছি। তার আরেক স্বভাব হল ছেলে পিলের স্বভাব চরিত্রের সাথে মানানসই একটা নাম দেওয়া। তো এমনি ভাবেই একটি ছেলে র নাম সে দিল "ডিম"। তার অপরাধ প্রতিদিন টিফিনে সে অবধারিতভাবে ডিম নিয়ে আসবেই। তো সেই নিক নামে কেউ কেউ ছেলে টিকে ডাকতো। বলাবাহুল্য ছেলেটি যারপরনাই খচে বেগুনি হয়ে যেত। তো একদিন ক্লাসে কিছু ছেলে ডিম ডিম করে ছেলেটিকে রাগাচ্ছে, এমন সময় স্যারের প্রবেশ। ছেলেটির প্রতি মমতাবশত: স্যার ছেলে দের বললেন.." ... ...
""বিমল মিত্রের শ্রেষ্ঠ গল্প /মিত্র ঘোষ/ 70 টাকা"কাল থেকে এক নি:শ্বাসে এই বইটাপড়ছি। এক সে বড়কর এক।যেমন ধরুন "লজ্জাহর" গল্প টি। রমাপতি কে ছেলেবেলায় একবার তার বন্ধু রা ধুতি খুলে দিয়েছিল । সেই থেকে সে যেকোন লোক দেখলেই এড়িয়ে চলে। এমনকী বাড়িতে ডালে নুন কম হলে বা জল দিতে ভুলে গেলে সে মুখ ফুটে চায় না। তার বাড়ির নাপিত যখন বলে দাবাবু এবার দাড়ি কাটতে শুরু করুন। আর কতদিন এইভাবে। উত্তরে রমাপতি বলে যা সে ভারী লজ্জার ব্যাপার হবে। লোকে কী ভাববে? তার থেকে নয় গরমের ছুটির সময় কেটে দিস। এহেন রমাপতির জন্যে একদিন পাত্রী দেখা শুরু হয় কিন্তু সব ... ...
স্মৃতিচারণা:----------------------আজকে পৌষ পার্বণ । বাঙালীর জীবনে এর গুরুত্ব অন্যরকম । নতুন ধান উঠার আনন্দে চাষীরা মাতোয়ারা। আমরা ছোটবেলায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে যেতাম। হুগলী জেলার তারকেশ্বর কাছে গোপীনগর হল আমাদের দেশের বাড়ি। এই দিন সকাল থেকে ই বাড়িতে সাজো সাজো রব। সুন্দর করে আলপনা দেওয়া আর বাউনি বাধা। বাউনি বাধা হল দরজার কড়ায় খড় দিয়ে বাধা ।আমরা ছোটরা ছড়া কাটতাম"আউনি বাউনি তিনদিন কোথাও যেউনিবসে বসে পিঠেভাত খেও" এই দিন ভাত রান্না হয় না। সারাদিন পিঠে খেয়ে থাকা। ঠাকুমা, জেঠিমা, মা, সেজকাকীমা, নকাকীমা, পিসী এরা সারাদিন ব্যস্ত নারকেল কুড়তে ও আনুষঙ্গিক যোগাড়যন্ত্রে। পিঠে হত অনেকরকম। সেদ্ধ বা পুলি পিঠে, ভাজা পিঠে, দুধ পুলি, ... ...
আমদের এই কাহিনীর নায়িকা এক জারিয়া। নবাবের হারেমের শত শত অভাগিনী দের মতো সে ও এক্জন । কিন্তুঅসাধারণ তার সৌন্দর্য্য । অসমান্য বুদ্ধিমতী। কিন্তু শুধু ত হলেই তো হবে না। ভাগ্যদেবীও সুপ্রসন্না। সব মিলিয়ে জারিয়া থেকে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন লুৎফা। স্বয়ং সিরাজের দেওয়া নাম। যার মানে হল ভালো বাসা।এই মেয়ে টির মনেপ্রাণে শুধুই সিরাজ। কী করে সিরাজ কে একটু আনন্দে রাখা যায় সেটাই তার একমাত্র চিন্তা।বাংলার মসনদে তখন আলিবর্দী খাঁ। সুশাসক আর প্রজাদরদী আলিবর্দী প্রজাদের চোখেরমণি।রক্তাক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে দুর্দান্ত বর্গী নেতা ভাস্কর পন্ডিত কে দমন করে বাংলার মানুষ কে স্বস্তি দেন তিনি।ঘষেটি বেগম। আলিবর্দীর র দুহিতা। দৌদ্রন্ডপ্রতাপ। সেই ... ...
মেয়েটির নাম জ্যেনা। সে তার পরিবারের জন্যে রুটি সংগ্রহ করতে গেছে। মোট সাতটা রুটি কিনলো জেন্যা। কালো জিরা দেওয়াদুটো রুটি বাবার জন্যে। মায়ের জন্যে দুটো রুটি পোস্ত দেওয়া, তার নিজের দুটি রুটি মিষ্টি দেওয়া আর ছোট্ট ভাই পাভলকের জন্যে একটা। জেন্যা এদিক ওদিক যায় অবাক হয়ে দেখে। এই সুযোগে একটা কুকুর তার সাত সাত টা রুটি খেয়ে নেয়। জেন্যা তাকে তাড়া করে। কিন্তু কুকুরের নাগাল পায় না। হঠাৎ সে নিজেই হারিয়ে যায়। ভয় পেয়ে সে কাঁদতে লাগে। হঠাৎ এক বুড়ি আসে। বলে এই মেয়ে কাঁদছিস কেন। জেন্যা সব ঘটনা খুলে বলে বুড়ি কে। বুড়ি বলে রুটি আমি কোথায় পাবো?তবে এই ... ...