মহাকালের এই সাময়িক বিচ্যুতির সুযোগে লিপযিগ গ্যালাক্সির ষষ্ঠ গ্রহের এক বনে একটা হাওয়া পাক দিয়ে উঠল। ঝোড়ো নয়, হালকা হাওয়া। এই হাওয়া কিন্তু গল্পের শুরু নয়, শেষও নয়। কিন্তু একে একরকমের শুরু বলাই যেতে পারে। হাওয়া পাক দিল ঘন বনের পাশ দিয়ে, উপলখণ্ডের উপর দিয়ে, খেত খামার ছাড়িয়ে – এক ছোট্ট বাড়ির উঠোনে। এই পরিবারের জীবনে এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন বোধহয় আর কখনো আসেনি... ... ...
কবিতা কৃষ্ণনের ট্যুইটে শেয়ার হওয়া সেই ভিডিওর নীচে যে শেষমেশ রাজনীতি, পুলিশের আসল উদ্দেশ্য, পুলিশের নিজেকে রক্ষা করার উচিত কিনা – এসব নিয়ে জলঘোলা করা হবে, তাতে কারুর কোনো সন্দেহ ছিল না। কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে, কতদিন ধরে, উচ্ছেদ কতটা ন্যায়সঙ্গত, কোনো মূল্যেই – নাগরিক, পুলিশ – কারুর জীবনের বিনিময়েই কি মন্দির বানানোর নামে উচ্ছেদ করা দরকার – এ সব প্রশ্ন ছাপিয়ে উঠে আসবে, ভিডিওতে দেখানো একটিমাত্র লোককে অনেক পুলিশ মিলে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা ছাড়াও কোনো ‘বৃহত্তর’ ছবি ছিল কিনা। কেউ আর একটা ভিডিও শেয়ার করে দেখাবে, ‘আহা, পুলিশ বলে কি মানুষ নয়?’ মুখ্যু-মন্ত্রী হিমন্ত শর্মা এরই প্রতিধ্বনি করে বলবেন, ‘পুলিশ তো নিজের কাজ করছিল, ওই লোকগুলোই লাঠিসোটা নিয়ে ওদের মেরেছে।’ ... ...
MistBorn-এর লেখক Brandon Sanderson-কে নিয়ে পরে বিশদে আলোচনা হবে (প্রচণ্ড ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার মশাই – লালমোহন থাকলে হয়তো ‘হাইলি সাসপিশাস’-ও বলতেন), কিন্তু ওঁর একটা ক্ষমতা নিয়ে অল্প-কথা এই জায়গায় বলতেই হচ্ছে – তা হল ওঁর অসাধারণ ম্যাজিক-সিস্টেম তৈরি করার ক্ষমতা। এই বিশেষ বইটিতে যে সিস্টেমটা ব্র্যান্ডনবাবু বানিয়েছেন, তার নাম অ্যালোমেন্সি। ব্যাপারটা ঠিক কি, তা নিয়ে একটি শব্দও আমার খরচ করার দরকার নেই – বইয়ে বিশদে আছে। এতটাই ডিটেলে, যে এই ধরণের সিস্টেমের অন্তর্গত সামঞ্জস্য সম্পূর্ণ ঠিকঠাক আছে কিনা, তা নিয়ে এদের জন্যে নিবেদিত রেডিট-পাতায় মাইলের পর মাইল তক্কো চলে। ... ...
লিখবটা কি? অনেক ভেবে মাথায় এল – ‘ফ্যান্টাসি’। ওসব ‘কুয়াশানগরীর উপাখ্যান’-মার্কা কবিতা-কবিতা গপ্পো নয় (লেখার এমন বেগ – কি না কি বলে চলেছি), গভীর Genre-fiction, বিশেষ করে – হাই-ফ্যান্টাসি। আপনি যদি কেবলমাত্র ওই চন্দ্রিলবাবুর ‘কিছু Dystopia’ দেখে সায়েন্স-ফিকশন সম্পর্কে, আর গেম অব থ্রোন্স/লর্ড অব দ্য রিংস দেখে ফ্যান্টাসি সম্পর্কে ধারণা তৈরী করে থাকেন, তা হ’লে হবে না – ঐসব রোগের উপসর্গ মাত্র। এই ছড়ানো জঁরাগুলির বিস্তৃতি বহুদূর। সেই বিখ্যাত কুম্ভকার-সন্তান, যিনি পেশাদার জাদুকর হওয়ার চেষ্টায় বংশের মুখে চুন-কালি লেপেছিলেন, আর যাঁর কৈশোর-অ্যাডভেঞ্চারগুলি লিখে ফেলে ওই বয়স্কা, আপাত-trans-phobic মহিলা এখন টাকার স্তূপের ওপর ‘রোলিং’, তাঁর গপ্পোগুলিও পড়ে এর আওতায়। আরও কত কি-ই না আছে এই জঁরায়! ... ...