এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুরনো বাংলা (যখন তিনোমুল ছিলোনা, এমনকি সিপিয়েম ও না)

    Blank
    অন্যান্য | ২৪ মার্চ ২০১০ | ২২৩১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • saikat | 202.54.74.119 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১১:১২442803
  • কল্লোলদা, জায়গাটা কৃষ্ণচন্দ্রপুর।
    লেখাটা পড়ে এবং লেখাটার সাথে দেয়া ম্যাপ দেখে বুঝলাম, এটা বারুইপুর ছাড়িয়ে সূর্যপুর, সেটাও ছাড়িয়ে। অর্থাৎ আদিগঙ্গার অনুমেয় নিম্নপ্রবাহপথের একটি জায়গা। অংশটা টুকে দিলাম:

    "সূর্যপুরের ভাটিতে কাশীনগরের পশ্চিমে গজমুড়ি পর্যন্ত মুলটি, গঙ্গাদুয়ারা, হোগলা, বারাসাত, বহড়ু, জয়নগর, খনিয়া, বিষ্ণুপুর, ছত্রভোগ, অম্বোলিঙ্গ(বড়াশি) প্রভৃতির মতো মঙ্গলকাব্যে উল্লিখিত লোকালয়গুলি একটি ৩৩ কিমি দীর্ঘ রৈখিক ছাঁচ তৈরী করে। সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মানচিত্রে দেখানো না হলেও আকাশ থেকে তোলা আলোকচিত্র সজ্জায় ঐ লোকালয়্‌গুলি বরাবর বহু জলাশয় এবং নীচু কৃষিজমি নিয়ে গঠিত একটি বিচ্ছিন্ন প্রাচীন নদীপথ ( জয়নগর পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে বলা হয় গঙ্গার বাদা) পরিষ্কার দেখান হয়েছে। এর মধ্যে কিছু জলাশয় অত্যন্ত ধর্মীয় গুরুত্ব বিশিষ্ট কয়েকটি শ্মশানঘাটের সাথে যুক্ত এবং এগুলির জল বেশ পবিত্র মনে করা হয়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে কৃষ্ণচন্দ্রপুরের কাছে এরকমই একটি জায়্‌গার নাম পাতালগঙ্গা। সম্ভবত: এই ধারণাই করা হয় যে এই জায়গাতেই গঙ্গা মাটির ওপর প্রবাহিত না হয়ে পাতালে প্রবেষ করেছে। আদিগঙ্গার অব্লুপ্তির সাথে কোথায় যেন মিল !"

    প্রবন্ধটির লেখক সুনন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৯৯৮-এর কৌশিকে-তে প্রকাশিত। বক্তব্য যা বুঝলাম -

    (১) বারুইপুরের দক্ষিণে সূর্যপুর পর্যন্ত আদিগঙ্গার মজে যাওয়া অংশ

    (২) এর পরে 'সম্ভাব্য' প্রবাহপথ সূর্যপুর থেকে গজমুড়ি পর্যন্ত।

    (১) নিয়ে ঐকমত্য থাকলেও (২) নিয়ে যা কিনা নদীটার নিম্নপ্রবাহপথ তার কোন সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত করা যায় না। এও বলা হয়েছে যে কলকাতার দক্ষিণ থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত এবং তার পরে গজমুড়ির দক্ষিণে দিঘিরপাড়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ নদীবাঁধ অঞ্চল দেখা যায় (স্যাটেলাইট ছবি থেকে) যা আদিগঙ্গার সাথেই সম্পর্কিত। এর পরে কিভাবে , কোথা দিয়ে সাগরে মিলল তার প্রমাণ নেই।
  • Arijit | 121.242.15.238 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১১:১৬442805
  • ওই প্রোগ্রামটা তো আছেই। "গঙ্গার আদি পথের সন্ধানে' - ভিডিও ক্যাম্রা নিয়ে ফিলিম বানিয়ে ফেল্লেই হয়;-)

    বোড়ালের মন্দিরটা নিয়ে বাড়িতে অনেকদিন ধরেই কথা হচ্ছে একবার ঢুঁ মেরে আসার।
  • SB | 115.117.219.166 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১১:১৭442806
  • নক্ষী পর্যন্ত রাস্তা বছর দুয়েক আগে ভালই ছিল, তারপরেরটা সম্পর্কে আইডিয়া নেই।
  • Arijit | 121.242.15.238 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১১:২০442807
  • "পাতালগঙ্গার খোঁজে' নামটা আরো ভালো। গাড়ি নে যদি যাওয়া না যায়, তাইলে কয়েকটা উইকেন্ডে সকালবেলা বেরিয়ে পড়ার প্ল্যান করতে হবে। ওই মিউজিক ইশকুল আর সাঁতারের কেলাসই হল ঝামেলা। এগুলো একটু সর্ট-আউট করতে হবে।
  • Blank | 203.99.212.53 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১১:২৭442808
  • কৃষ্ণচন্দ্র পুর একটা হল্ট স্টেশন। অদ্দি গঙ্গার শেষ অংশ নিয়ে কিছু স্ট্যান্ডার্ড মতবাদ আছে। যদি বাড়িতে খুঁজে পাই কাগজ পত্তর তো উইকেন্ডে টাইপে দেবো।

    এই শুক্কুর বার থেকে বারুইপুরে হবে পঞ্চানন পুজো। সে এক মজার জিনিস। পঞ্চনন্দের মুর্তি বানিয়ে খোলা আকাশের নীচে পুজো হবে, সাথে থাকবে অনেক বারা ঠাকুর। পুজো হয়ে গেলে মুর্তি পরে থাকবে ওখানেই। আস্তে আস্তে বৃষ্টিতে গলে যাবে পুরো।
    পঞ্চাননের মুর্তি দেখে মনে হয় শিব আর দক্ষিন রায়ের মাঝামাঝি একটা মুর্তি। কেউ ডিটেলস দিন না।
  • Blank | 203.99.212.53 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১১:২৮442809
  • পয়সা দিয়ে চান করাটা পুরো কমিউনিজম বিরোধী। মার্ক্স বলেছিলো।
  • Arijit | 121.242.15.238 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১১:৩৯442810
  • "নোয়ানো গাছ কোথায় গেল
    পাড়ার পুকুর কে বোজালো
    যুগের হাওয়া অন্যমনে
    জমি বেচার টাকা গোনে'

    উপায় নাই। সে রামও নাই, সে অযোধ্যাও নাই। অগত্যা অ্যান্ডারসন বা ক্যালকাটা স্পোর্টসই ভরসা।
  • PT | 203.110.243.21 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১২:৩৪442811
  • গু-গা-বা-বা-য় গুপী আর বাঘার সঙ্গে বাঁশের জঙ্গলে ভূতের রাজার দেখা হওয়ার দৃশ্যটিও বোধহয় বোড়ালের গ্রামে তোলা।

    কিন্তু দু:খের ব্যাপার হল যে পথের পাঁচালীর দৃশ্যায়নের জায়গাতে সত্যজিতের মুর্তি স্থাপনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা এক ছটাকও জমি দিতে নাকি রাজি হননি। তাঁদের অভিযোগ ছিল যে প-পা সত্যজিৎকে জগদ্বিখ্যাত করা সত্বেও তিনি বোড়াল গ্রামের জন্য ""কিছুই করেননি""। এমতবস্থাতে একটি রাস্তার ভেতরে সত্যজিতের মুর্তিটি শেষ পর্যন্ত বসানো হয়।
  • dri | 117.194.230.46 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ০১:৫৪442814
  • এই টইটা আমায় ঘাড় ধরে অনেক পড়াশোনা করিয়ে নিল।

    ব্ল্যাঙ্কির 28 Mar 2010 -- 09:23 PM পোস্টের ব্যাপারে দু একটা কথা।

    ভার্জিলের যে কবিতাটা দিয়েছিলি (In foribus pugnam ex-auro solidoque elephanto Gangaridum faciam, Victorisque arma Quirini ), তার ইংরিজি তর্জমা উইকিতে পেলাম।

    On the doors will i represent in gold and ivory the battle of the Gangaridae and the arms of our victorious Quirinius.

    http://en.wikipedia.org/wiki/Gangaridai

    আর অর্গোনটিকা কাব্যে যে ব্ল্যাক সীর কথা বলা হয়েছে সে ব্যাপারে উইকির বক্তব্য হল, ব্ল্যাক সী আছে ব্ল্যাক সীর জায়গাতেই। ব্ল্যাক সীর পাড়ে অধুনা জর্জিয়া (তখন নাম ছিল কলকিয়া) সেখানে এই গঙ্গারিডির যোদ্ধারা ফাইট করতে গেছিল, লাইকলি গ্রীকদের হয়ে (প্রবাবলি ইম্পিরিয়ালিস্ট পারপাসে)।

    It is possible that the Gangaridai people did not only trade with the Greeks/Romans but also fought for them as mercenaries.

    মেগাস্থেনিসের ইন্ডিকায় ইঙ্গিত আছে যে আলেকজান্ডার প্রাসী এবং গঙ্গারিডির শক্তির কথা শুনে ভারতবিজয়ের প্ল্যান কাটিয়ে দেন।

    মেগাস্থেনিসে গঙ্গারিডির বর্ণনায় পাঁচ নদীর উল্লেখ আছে। সেইজন্য কেউ কেউ গঙ্গারিডিকে ইন্ডাস ভ্যালিতে প্লেস করেন। কিন্তু টলেমির এই পেরিপ্লাসে গঙ্গার মোহানাতেও পাঁচটি ধারা দেখিয়েছেন। এই ম্যাপে গঙ্গারিডি পরিষ্কার মার্ক করা আছে। পাঁচটি ধারার গ্রীক নামও দেওয়া আছে।

    নীহাররঞ্জন রায়ের বইতে পাচ্ছি, গঙ্গারিডি ছিল দারুণ মিলিটারি পাওয়ার, প্লাস জমজমাট ট্রেডিং পোর্ট। মেন এক্সপোর্ট ছিল গার্মেন্টস, মসলিন এবং সুতি, তেজপাতা, গোলমরিচ, লো কোয়ালিটি গাঙ্গেয় মুক্তা, এবং -- হাতি। তখনকার দিনে ওয়ারফেয়ারে হাতির একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আর উত্তরবঙ্গে কামরূপ অঞ্চলে এন্তার হাতির সাপ্লাই ছিল।
  • dri | 117.194.230.46 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ০২:১৭442815
  • এদিকে জটার দেউলের কেসে, সময়টা ছিল পালবংশের দ্বিতীয় বিগ্রহপালের। কিন্তু তখন পাল এম্পায়ারের ভগ্নদশা। দক্ষিণ বাংলার ক®¾ট্রাল চলে গিয়েছিল চন্দ্র বংশীয় রাজাদের হাতে। সেই হিসেবে জয়ন্ত চন্দ্রের বানানো জটার দেউল মিলে যাচ্ছে।

    জয়ন্ত চন্দ্রের নামটা আলাদা ভাবে কোথাও পেলাম না। কিন্তু পেলাম যে চন্দ্রবংশীয়রা বৌদ্ধ ছিলেন। তান্ত্রিক বুদ্ধিজ্‌ম নাকি এদের আমলে খুব ফ্লারিশ করেছিল। বুদ্ধিজ্‌মে তান্ত্রিকতা ব্যপারটা নিয়ে কারো কিছু ফান্ডা আছে? তান্ত্রিকদের মধ্যে কি নরবলির ট্র্যাডিশান আছে? মন্দিরে খুলির কেসটাও খুব কিউরিয়াস।

    এই চন্দ্র রাজাদের সাথে নাকি সুদূর দাক্ষিণাত্যের চোল রাজাদের ফাইট হয়েছিল। এবং সেই ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে গিয়েছিল।
  • Manish | 117.241.229.86 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ১০:৫৬442816
  • আবার লিখতে বাধ্য হচ্ছি যে এই টইটা বিভৎস রকম ভালো। যা সব মনিমুক্ত ঝরে পরছে সিম্পলি ভাবা যায় না।
  • SB | 114.31.249.105 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ১৩:৪৩442817
  • তান্ত্রিকদের কথা যখন এসেই পড়ল, আরেকটু ডিটেলস দেওয়া যাক।

    গড়িয়া নাম টা এসেছে গড় থেকে, গড় থেকে গড়্যে, তার থেকে গড়িয়া। গত শতাব্দীর প্রথম দিকেও গড়িয়া রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের গায়ে আর টিকিটে গড়্যে লেখা থাকতো, গড়িয়া লেখা থাকতো না। এই গড়িয়া অঞ্চলে মুঘলদের গড় ছিল, আর গড়িয়ার ফর্তাবাদ অঞ্চলেও বোধয় পর্চুগীজদের গড় ছিল (পর্চুগীজদের ব্যপারটা সিওর নই, দেখে বলতে হবে), সেই থেকেই গড়্যে থেকে গড়িয়া।

    আর আদি গঙ্গা ঠিক যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেই জায়গাটার নাম কামডহড়ি। এইখানে আদি গঙ্গার পাড়ে আদি শ্মশান। এই শ্মশানের মন্দির দুটো তৈরী করেছিলেন কোন এক বনিক যিনি এই আদি গঙ্গা দিয়ে ডিঙ্গা ভাসিয়ে দূর দেশে বানিজ্য করতে যেতেন। এসব ঘটনা কমপক্ষে দেড় হাজার বছর আগের।

    এই শ্মশানের পাড়েই কামডহড়ি। কামডহরি নামটা এসেছে বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের থেকে, এখানেই একটা সময়ে বৌদ্ধ তান্ত্রিককের আস্তানা ছিল। তাদের শব সাধনার জায়গা ছিল।
  • Manish | 117.241.229.86 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ১৩:৫৩442818
  • @SB

    ১) গরিয়া শ্মশান বলতে যেটাকে বুঝি সেটাকি আদিশ্মশান নয় (মিতালী ক্লাবের কাছাকাছি যেটা অবস্থিত)।

    ২) বিরজি নামটা কি পানের বরোজ থেকে।

  • SB | 114.31.249.105 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ১৪:০৪442819
  • ১। ওটাই, আদি ও অকৃত্রিম। এখন যেখানে রথতলা, গড়িয়া থেকে একটু টালিগঞ্জের দিকে এগোলে, দিদির গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন, ঠিক সেখানেই আরেকটা শ্মশান ছিল, প্রায় একই সময়ের। সেখানকার গঙ্গার ঘাটটা কিছুদিন আগেও ছিল, এখন বোধয় আর নেই। সেই শ্মশান ও আর নেই। পরপর দুটো এরকম শ্মশান ছিল, আর দু জায়গাতেই নাকি দাহকাজের জন্যে লম্বা লাইন পড়ত, এত বড় লাইন যে সারাদিনরাত্রি সেখানে চিতার আগুন জ্বলতো। সহজেই অনুমান করা যায় এই অঞ্চলে কত মানুষের বাস ছিল। অথচ দু-তিন শতাব্দি আগে এসব অঞ্চল ফাঁকা ছিল, শেয়াল চরতে দেখা যেত।

    ২। বিরজি নামটা জানিনা, তবে বারুইপুর নামটার সাথে পানের বরজ যারা চালায় সেই বারুইদের থেকে এসেছে বলে অনেকের ধারনা।
  • Manish | 117.241.229.86 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ১৭:৩১442820
  • @SB
    ঠিক,এখন মনে পড়েছে রথতলার মন্দিরের সামনে ঘাটের পাশে একটা ছোট্টো শ্বশ্মান ছিলো। সেটা অনেকদিন আগের কথা।আপনি কি নাকতলার ছেলে। আমার একটা ফ্ল্যাট আছে গীতাজ্ঞলি স্টেশন থেকে এক সিগারেট দূরত্বে (2nd scheme মাঠের পাশে)।
  • Manish | 117.241.229.86 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ১৭:৫২442821
  • *এক জ্বলন্ত সিগারেট দূরত্বে
  • Blank | 59.93.204.158 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ১৯:২৬442822
  • দক্ষিন বঙ্গে তান্ত্রিক বৌদ্ধ দের প্রচুর জিনিস পাওয়া গেছে। এই অঞ্চলটা মনে হয় পুরো টাই তন্ত্র মতে বিশ্বাসী ছিল। আমি রাতে চেষ্টা করছি একটা লিস্ট দেওয়ার।
  • SB | 115.117.220.160 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ২২:২৩442823
  • ক্ল্যারিফিকেশন:

    গরিয়া মহাশ্মশান আর রথতলা, কাছাকাছি এই দুট শ্মশান, আর মাঝখানে কামডহরির বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের শব সাধনাস্থল। পঞ্চতঙ্কÄ বা কামকলার প্রতীকী অনুকরণের মাধ্যমে এই জায়গার জঙ্গলের মধ্যে সাধনা হত, পদ্ধতিটির মূলভিত্তি ছিল ব্যপকশক্তি কুন্ডলিনী অথবা কুন্ডলিনীরূপা কামকলা। তার থেকেই কামডহরি নাম।

    গড়িয়ার মহাশ্মশানের স্থাপিত হয়েছিল শ্রীমন্ত সওদাগরের দ্বারা, ইনি বোধয় সেই চাঁদ সওদাগরের সময়কার।
  • kallol | 115.242.156.60 | ০৪ এপ্রিল ২০১০ ০০:২৯442825
  • ঐখানে একটা বড় ঘাট ছিলো। তাতে একটা সাহা পাথরের ট্যাবলেটে লেখা ছিলো এখানে শ্রীমন্ত সওদাগর বাণিজ্যে যাবার সময় তার নাও বেঁধেছিলেন।
    এটা কতটা প্রামাণ্য তাই নিয়ে বিস্তর কথা আছে। তবে, প্রমাণ দিয়ে কি হবে। প্রমাণ তো সত্যিকে মিথ্যে আর মিথ্যে কে সত্যি বানানোর কল।
  • kallol | 115.242.156.60 | ০৪ এপ্রিল ২০১০ ০০:৩০442826
  • *সাদা
  • dri | 117.194.231.174 | ০৪ এপ্রিল ২০১০ ০১:০৬442827
  • তন্ত্র নিয়ে আরেন্ডি চলুক।

    মীনহোয়াইল, আমি চৈচন্যদেবের নীলাচল যাবার রুট বার করেছি। শান্তিপুর থেকে উনি যাত্রা শুরু করেন। আদিগঙ্গার পাড় ধরেই চলেন, বারুইপুর (তখনকার নাম ছিল আটিসারা) হয়ে যান ছত্রভোগ। এইখান থেকে তিনি নৌকো চাপেন। চেপে হলদী নদীর মোহানা দিয়ে ঢুকে, কেলেঘাই ধরে পাথরঘাটায় (তখনকার নাম ছিল প্রয়াগঘাটা) পৌঁছন। ঐ আমলে এইসব অঞ্চল ছিল উড়িষ্যায়। রূপনারায়ণের দক্ষিণে সবই ছিল উড়িষ্যা। পাথরঘাটা থেকে উনি দাঁতনে পৌঁছন। ঐখানে সুবর্ণরেখা ক্রস করেন, এবং পিলগ্রিম রোড ( যেই রাস্তা পুরী থেকে বিহার হয়ে নর্থ ইন্ডিয়াকে কানেক্ট করত) ধরেন। তারপর বালেশ্বর, যাজপুর, কটক, ভুবনেশ্বর হয়ে পুরী।
  • dri | 117.194.231.174 | ০৪ এপ্রিল ২০১০ ০১:০৮442828
  • গসপেল অ্যাকর্ডিং টু হিতেশ রঞ্জন সান্যাল।
  • dd | 122.166.130.130 | ০৪ এপ্রিল ২০১০ ০১:১৬442829
  • জমেছেন, তিনি জমেছেন।

    এবার র বাবু এসলেই হয়। পুরো ও ও কুল্পী কেস।
  • SB | 115.117.244.61 | ০৪ এপ্রিল ২০১০ ০৯:৫৯442830
  • কল্লোলদা কে ক, ওই শ্রীমন্ত সওদাগরের ব্যপারটাতে। ওই কামডহরি একটা সময়ে ছিল জলের তলায়, আদি গঙ্গার নিচে, সেই থেকেই নাম "ডহরি"।

    ড্রি: চৈতন্যের রুট আমি যা দেখলাম তাতে বৈষ্ণবঘাটাতে কদিন বিরতি করেছিলেন, যা থেকে ঐ বৈষ্ণবঘাটা নামটার উৎপত্তি। র আগে এটা লিখেওছে এখানে, যদিও রবাবু দ্বারির জাঙ্গাল নিয়ে বিস্তৃত লিখবে বলেও এখনো লিখে উঠতে পারেননি মনে হচ্ছে।

    আরেকটা তথ্য, চৈতন্যের অনেক অনেক বছর আগেই একই পথ ধরেই য়ুয়ান-চোয়াঙ কর্ণসুবর্ণ থেকে ওড্র, কঙ্গোদ, কলিঙ্গ, দক্ষিন-কোশলের দিকে দক্ষিনে গেছিলেন।

    ওই রুট সম্পর্কে আরো যেটা জানতে পারা যায়, ছত্রভোগ পৌঁছনের আগে চৈতন্য বারুইপুরের কাছে আটিসারা (এখন আটঘরা নামে বোধয় পরিচিত) গ্রামে একদিন ছিলেন। তারপর ছত্রভোগ থেকে সমুদ্রপথে উনি পুরী যান। ওই সময়ে গৌড়ের সুলতান হুসেন শাহের সঙ্গে ওড়িশার রাজা প্রতাপরুদ্রের ঘোর ঝ্যাং হচ্ছিল। সেজন্যে গৌড়রাজ্য থেকে কাউকেই তখন উরিষ্যায় যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। রামচন্দ্র খাঁ নামে গৌড়-সুলতানের অধীন এক রাজকর্মচারী তখন সমুদ্রতীরবর্তী ওই অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত ছিলেন। চৈতন্যদেবের সাথে তাঁর সাক্ষাত হয়, তিনি ওনার অনুরক্ত হয়ে পরেন, এবং অনেক ঝুঁকি নিয়ে উৎকল সীমান্ত মধ্যে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই জন্যে এই দ্বারির জাঙ্গালের আদিম পথকে চৈতন্য পথ ও বলা হয়!

    এখন প্রশ্ন হল, অনেক মতে উনি এই ছত্রভোগ থেকে সমুদ্রপথে পুরী গেছিলেন।

    কোনটা ঠিক?
  • PT | 203.110.246.230 | ০৪ এপ্রিল ২০১০ ১১:৫১442831
  • @ SB

    Date:29 Mar 2010 -- 10:52 AM..... যদিও গল্পটিতে সুত্রের উল্লেখ ছিলনা।
  • dri | 117.194.238.40 | ০৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:৩৮442832
  • ছত্রভোগ থেকে পুরী অব্দি পুরোটাই সমুদ্রপথে? আই ডাউট। কোন রেফারেন্স আছে কি?

    যেমন হিতেশবাবুর কথায়, ছত্রভোগ পর্য্যন্ত যে চৈতন্যদেব এসেছিলেন সেটা পাওয়া যায় দুটো জায়গায়। কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্যচরিতামৃততে, এবং বৃন্দাবনদাসের চৈতন্যভাগবতে। চৈতন্যভাগবতে ছত্রভোগে নৌকো চড়ে প্রয়াগঘাটে যাবার কথাও আছে, রামচন্দ্র খানের কথাও আছে। আবার দাঁতনে গিয়ে সুবর্ণরেখা পার হয়ে পুরীর পথে পাড়ি দেওয়ার কথাও চৈতন্যভাগবতে আছে। এখন ঠিক কিভাবে তিনি ছত্রভোগ থেকে প্রয়াগঘাটে পোঁছলেন, প্রয়াগঘাট জায়গাটা ঠিক কোথায়, কোন রুটে তিনি প্রয়াগঘাট থেকে দাঁতনে পৌঁছলেন সেগুলো স্পষ্ট করে বলা নেই। সেখানে মোস্ট প্রবাব্‌ল রুট, আন্দাজ এইসব লাগাতে হবে।

    লেখা পড়ে মনে হল প্রয়াগঘাট জায়গাটাকে স্পট করতে হিতেশবাবু নিজে কিছুটা ফিল্ডওয়ার্ক করেছেন। কেলেঘাইয়ের পাড়ে পাথরঘাটা নামে জায়গাটি বার করেন। চৈতন্যভাগবতে প্রয়াগঘাটে শিবমন্দিরের বিবরণ ছিল। সেখানে পুরনো শিবমন্দিরের রুইন্স খুঁজে বার করেন। একটা লেখা বার করেন যেখানে আছে যে আগে পাথরঘাটা প্রয়াগঘাট নামে পরিচিত ছিল। এছাড়া বার করেন যে পাথরঘাটার কয়েক মাইল দূরেই সাউরি বলে একটি গ্রাম। সেখানে দাস মহাপাত্ররা খুব পুরনো বনেদী জমিদার বাড়ি, তারা ছত্রভোগের রামচন্দ্র খানের পরিবারের সঙ্গে রিলেটেড। চৈতন্যদেব যখন ছত্রভোগে এসে পৌঁছন তখন বাংলা ওড়িষার যুদ্ধ হচ্ছে। মোস্ট লাইকলি যেটা হয়েছিল, রামচন্দ্রের সঙ্গে দাস মহাপাত্রদের কানেকশান কাজে লাগিয়ে চৈতন্যদেব বর্ডার ক্রস করেছিলেন। এই দাস মহাপাত্ররা এখনও ভীষনভাবে বৈষ্ণব।

    চৈতন্যদেবের একটা বড় গোল ছিল প্রচার। এবং প্রচারের জন্য চাই পিপ্‌ল্‌স কন্ট্যাক্ট। পায়ে হেঁটে যেটা পসিব্‌ল। নৌকো করে স্ট্রেট পুরী পৌঁছে গেলে যেটা হত না। আরেকটা সারকামস্ট্যান্সিয়াল এভিডেন্স হল যেই পথে চৈতন্যদেব গেছেন সেখানে চৈতন্যপ্রভাব আজও বর্তমান। দাঁতন, ফর এগ্‌জাম্পল।
  • SB | 115.117.196.181 | ০৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:৫০442833
  • আপনি ঠিকই বলছেন, আমারও সেরকম মনে হয়েছে।

    আর পুরী তে তেমন কোন বন্দর নেই, তখনও বোধয় ছিলনা, যে পুরোটাই সমুদ্র পথে যাওয়া সম্ভব।

    শুধু ওই দ্বারির জাঙ্গালের কেসটা এখনো কিলিয়ার হোলনা, র বাবু কখন সময় পান দেখা যাক।

    ব্ল্যাঙ্কি বাবুর কথা ছিল দক্ষিন বঙ্গে তান্ত্রিকদের নিয়ে লিখবেন, কোথায়?
  • . | 125.18.104.1 | ০৫ এপ্রিল ২০১০ ১২:৪৩442834
  • দ্রি, বই থেকে একটা ব্যাপার জানাতে পারবেন? চৈতন্যদেব বাংলাদেশ থেকে দুইবার পুরীতে যান। একবার সন্ন্যাস নেবার পর। আর একবার পুরী থেকে বাংলাদেশে এসে আবার পুরীতে ফেরেন। এই যাত্রাপথ প্রথমবার ধরেন নাকি দ্বিতীয়বার?
  • quark | 202.141.148.99 | ০৫ এপ্রিল ২০১০ ১৪:০৬442836
  • @SB

    Date:03 Apr 2010 -- 01:43 PM


    "গত শতাব্দীর প্রথমদিকে গড়িয়া রেলস্টেশনের ...."

    আজ্ঞে, গড়িয়া রেলস্টেশন কবেকার?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন