এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গল্পের টই

    M
    অন্যান্য | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৯১৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • M | 59.93.255.234 | ২৮ মে ২০১১ ২২:৫০424785
  • রঞ্জনদা,
    আমারো খুব ভালো লাগবে বৌদির সাথে আলাপ করতে।:)

    নেতাই,
    গর্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র,আমার গল্প লেখার চেষ্টা নিয়ে(সেই আমার সম্পাদক স্বীকার এর মতম প্রচেষ্টা)কোনো খিল্লি নয়।
  • M | 59.93.255.234 | ২৮ মে ২০১১ ২৩:০৩424786
  • লোকজন আসতে শুরু করেছে, সে এক বিরাট ক্যাও।নানান দল তৈরী হয়ে যাচ্ছে, একদিকে শিবাংশুদা, ডিডিদাদা,বাসুদা, প্রিয় দা,অপনকাকু,অসীমকাকু, ইন্দ্রজিৎ দা,কল্লোলদা, অমিতোদা,কাব্লিদা,রঞ্জনদা ইত্যাদি দাদারা গম্ভীর হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছেন আর কাব্লিদাকে সামলাচ্ছেন,কাব্লিদা কিছুতেই গম্ভীর হতে চাইছে না কিনা।

    এদিকে বুনু,বুম্বা,ওমনাথ, তিমি, অভ্যু,শুচিস্মিতা, নিশি,ঝড়, বাদল, বৃষ্টি, কাজু, বরফি, সায়ন,নেতাই, স্যানিনি, সিঁফো,সাহানা, সবুজ,ভিঞ্চি, পোস্ত ইত্যাদি অবুজ কাঁচার দল যখন ক্যাঁচোরম্যাচোর করছে তখন ভুতু কোত্থেকে এক কিন্নরীকে নিয়ে গিটার পিড়িং পিড়িং করতে করতে হাজির হলো।এদের ক্যাঁচোরম্যাচোর দেখে আবার ছোট ঋভু,বড় ঋভু, ঋক,সাম্পান,টুংকাই,দের মেয়ে, তেকোনার মেয়ের দল ভেবে পাচ্ছেনা এদের সামলাতে হবে কিনা, এরা যারা কুঁচু থেকে একটু বড় আর যারা প্রায় বড়দের গ্রুপে যায় যায় তারা এতদিন বাচ্চাদের সামলাতে হয় দেখে এসেছে, তারমধ্যে, তুষ্টু পুতুলের ড্রেস চেঞ্জ করাচ্ছে, মেঘ, গুঞ্জা, পুঁটি , বুঁচি ব্যতিব্যস্ত কারন সরভাজা যা পাচ্ছে চেটে ফেলছে, আর সর পুঁটি কামরে ফেলছে।
  • M | 59.93.255.234 | ২৮ মে ২০১১ ২৩:১৮424787
  • আবার, অজ্জিত, প্রবুদ্ধ, পিটি,রঙ্গন,হনু, ভিকি,আকা,বাইনারি, ন্যাড়া,শৈবাল,খান দশেক দেবাশীস,খান বারো কৌশিক,হুতো,সুতো(এরা ভারী আতান্তরে, একবার স্যানদের দলে, একবার বড়দের দলে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর পিপি ও এসেই এই ঝামেলায় ভুগছিলো, শেষে ওদের আবার অন্যদলে ঠেলে দেওয়া হলো।)ম্মু,কুলদা বাবু,ব্রতীন নিজে,দু:খে,বিবি,লসাগু,ইত্যাদিরা প্রায় একটা ডিবেটের মুডে এসে গেছে, এসময় মনে হলো কে যেন গেটের বাইরে থেকে বলছে আমি একদিনের জন্য দুবাই থেকে একটা কাজে এসেছি আর এখানে গাড়ীর ভীড়ে আমায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হলো, ওমা বেরিয়ে দেখা গেলো সে কিনা কেসি,তাড়াতাড়ি তাকে নিয়ে এসে একটা অভিমান পাহাড় বানানো হয়েছে, তার মাথায় বসিয়ে দেওয়া হলো, তার একদম নীচে লামা আর সিকি গলা জড়িয়ে "আমার কথা হেতা'গাইছে, মাঝখানে তিল গালে হাত দিয়ে বসে আছে।হঠাৎ শোনা গেলো কিশোরের গান গুনগুন করতে করতে কে আসছে।ওমা, এ যে অমিত,দমদমার।
  • M | 59.93.255.234 | ২৮ মে ২০১১ ২৩:৪২424788
  • এরমধ্যে ডাক্তার ইন্দো ক্লাস টেনে জুতোর বাক্স দিয়ে যে ফার্স্ট এড বক্স বানিয়েছিলো সেটা হাতেই ঘুরে বেরাচ্ছে, লোকজন আসলে ভুল করে সেটা হোমিওপ্যাথির বাক্স ভাবছে আর চিনির গুলি খাবে বলে হামলা করছে।

    চিন্টু বাবু টাইপ রাইটার নিয়েই এসে পড়েছে অভ্যাসবশত:।

    এদিকে সাহাদা গ্রামের সরল সাদা দর্শকদের জন্য কিভাবে কি দেখানো যেতে পারে ভাবছে আর এখানে সেখানে ক্যামেরা তাক করছে, আর সুমেরু তাকে কিছুতেই শান্তি দিচ্ছে না,কেবল সিনিমা কিভাবে আর্টের পর্যায়ে যায় তা বুঝিয়ে চলেছে।

    তারই ফাঁকে ইন্দ্রানী,আইভিদি, তেকোনা পূজাসংখ্যার প্লট খুঁজে বেরাচ্ছে আর টুকটাক নোট নিয়ে ফেলছে।

    রান্নার দিকে শুচিদি আর সামু যাবেই, কিছুতেই ঠ্যাকানো যাচ্ছেনা,আরো জ্বালা হলো ডিডিদা যেখানে পাচ্ছে চাট্টি গোলমরিচ ছড়িয়ে দিচ্ছে, এই করতে গিয়ে কাকে নস্যির বদলে গোলমরিচের ডিবে এগিয়ে দিলো।

    আর মিঠু,কুমু,নিনাদি,দে,ব্যাঙ,মিতাদি,তিতির,শ্রাবনী,পাল্লিন, পামিতা(ওর আগে পিছে আবার আলমারির ভুতেরাও রয়েছে)অনন্যা, পাই,উমা, দুর্গা,নবনীতা কে নেই, সব্বাই বিশাল গপ্প জুড়েছে। আর রুদি আর দমু খুব রাগী রাগী হয়ে চতুদ্দিকে একবার টহল দিয়ে আসছে যাতে কিনা কেউ খুব বেশী গোলমাল না করতে পারে।
  • M | 59.93.255.234 | ২৮ মে ২০১১ ২৩:৪৪424789
  • যাব্বাবা, অক্ষর নামটা হাওয়া হয়ে গেলো কি করে?
  • Bratin | 117.194.97.173 | ২৮ মে ২০১১ ২৩:৪৯424790
  • মানসী, জাস্ট টু গুড।

    মুক্তোর গয়না, নীল শাড়ি। সাঙ্ঘাতিক স্মৃতিশক্তি তো!! :-))
  • M | 59.93.255.234 | ২৮ মে ২০১১ ২৩:৪৯424791
  • এর মাঝেই দ্রি চাদ্দিকে সন্দেহ করার মতো কিছু খুঁজে বেরাচ্ছেন, কিন্তু কিছুই না পেয়ে নিজেকেই সন্দেহ করতে শুরু করেছেন এই ভেবে যে তাহলে কি মনোযোগ দিচ্ছেননা সন্দেহ করার কাজে। ক্ষী ক্ষেলো।

    যাক আমি শুরু করে দিলাম। এবার কি কি ঘটতে পারে সেই নিয়ে আপনেরা গপ্প চালিয়ে চলুন, আমি ঘুমুতে গেলাম।
  • M | 59.93.255.234 | ২৮ মে ২০১১ ২৩:৫০424792
  • ও হ্যাঁ, পুঁচকে কলি আর আদি কলি একসাথে এলো।
  • M | 59.93.195.21 | ২৯ মে ২০১১ ০৯:৩০424793
  • ক্ষেউ লিখিলো না:((((((((

    এদিকে লন্ডনের সুচে দুটো পিঁপড়েকে খেলা কর্তে দেখে ওর ভিতরের রাশি রাশি আবেগের খানিকটে নিয়ে একটা কাব্যগ্রন্থ নামিয়ে ফেলেচে,ঐ ভাটের ক্যাও এর মধ্যেই।

    এদিকে আমার গপ্পপ্রতিভা এবার স্ট্যাঞ্জা থেকে লাইনে অবতরন করলো।
  • kumudini | 121.245.10.95 | ২৯ মে ২০১১ ১৭:৫২424795
  • মানসী,খুব ভাল লাগল পড়ে।চমৎকার কাল্পনিক বর্ণনা,শুধু ঐ অভিমানের পাহাড়ে তিলস্যারকেও তুলে দিতে হবে।

    "রোজ কত কি ঘটে যাহা তাহা/এমন কেন সত্যি হয় না আহা"
  • M | 59.93.200.98 | ৩০ মে ২০১১ ০৯:৩১424796
  • অ কুমু! তিলদা আছে তো, কিন্তু ইন্টেলি, শিবুদা, অপ্পন, মনীশ এরা ক্ষী করছে?
  • M | 59.93.200.98 | ৩০ মে ২০১১ ০৯:৪৪424797
  • কিন্তু সেই রানীর ক্ষী হলো জানতে চাও? আরে তাকে তো রানী বলে কেউ সন্মান দিতেই চায়না, একটা অতি সাধারন মেয়ে কিভাবে অতদুর নিজেকে টেনে তুললো তা কেউ ভেবেই দেখলে না।আসলে কি জানো আমরা এত অন্ধ থাকতে ভালোবাসি বলার নয়,সে কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়েছিলো ,আর সমাজকে নাড়িয়ে তার ভিতরের ঘুন দেখিয়ে দিয়েছিলো।কেউ কেউ সেই ঘুন সারাবার চেষ্টাটাকে সমর্থন জানিয়েও ছিলো। আর কেউ কেউ ছিলো এমন তারা আগের রাজাদের এত ভালোবাসতো যে চুপটি করে ঘাপটি মেরে দেখছিলো কি কি ভাবে এঁকে অপদস্ত করা যায়, না সবাই মিলে এগিয়ে এসে সমাজকে পরিস্কারের দায়িত্ব আর কবে কে নেয় বলো, হয় এ রাজার দোষ, নয় ও রানীর দোষ।কাজেই সে রাজত্ব ও টিকলো না।আর একা কেউ তো চাদ্দিকে নজর লাগাতে পারেনা। আর দুষ্ট শক্তি চিরকাল ই সুযোগ খোঁজে, কেবল এক শক্তিমান সরে যায় আরেক শক্তিমান আসে তার জায়গায়।তা এত সব সময়ের গপ্প। এরই মাঝে জীবন জীবনের নিয়মে চলে।ইতিহাস ও তো কড়া নিয়মে অঙ্কের হিসাবে সময় বিচার করবে। তাতে আর আমাদের কি। চলো আমরা নিজের কাজে লাগি।

    খালি সেই রানীকে একটু বলার:

    তবু তো পথের পাশে পাশে
    প্রতি ঘাসে ঘাসে
    লেগেছে বিষ্ময়
    সেই ওঁর জয়।।
  • Kaju | 121.244.209.245 | ৩০ মে ২০১১ ১৪:৪৩424798
  • বম্ম আমাকেও ইনক্লুড করেছে দেখে বড় আহ্লাদিত হলাম। তাও একবার না দু দুবার, একবার ডাকনাম, একবার পোষাকি নাম। থ্যাংকিউ বম্ম। :-)
  • Netai | 121.241.98.225 | ৩০ মে ২০১১ ১৫:১৯424799
  • গল্পে টুইস্ট কই?
  • Bratin | 122.248.183.1 | ৩০ মে ২০১১ ১৫:২৬424800
  • সে তো মান্না দে কবে গেয়েছেন ' আও টুইস্ট করে'। আজকাল দিনে ও ই নাচ আর কেউ নাচে নাকি ? :-))
  • Netai | 121.241.98.225 | ৩০ মে ২০১১ ১৫:৩৮424801
  • না না তা বললে হবে না। গল্পে টুইস্ট চাই ই চাই। বিগেম, টুইস্ট লায়েন।
  • Kaju | 121.244.209.245 | ৩০ মে ২০১১ ১৬:৫০424802
  • কাহানি মে টুইস্ট লানা কি শুধুই লেখকের কাজ? পাঠকেরও তো কিছু দায়িত্বকর্তব্য আছে না কি? আমি একটা পন্থা বলছি, দেখুন কেমন টুইস্ট আপনি এসে যাবে।

    এই যে গোটা গপ্পোটা, ধবধবে সাদা কাগজে প্রিন্ট করে ন্যান। তাপ্পর কাগজটারে ফোল্ড করেন, কইরা মুচরাইতে থাকেন। বেশী টুইস চাইলে বেশী করে, কম চাইলে কম। এখন সগলে কইবেন, এ তো কাগজের টুইস হল, কাহানির আর কোথা? কি মুস্কিল ! কাহানিটা তো ঐ কাগজেই ল্যাখা না কি ! কাগজের সাথে সাথে কাহানির অক্ষরগুলাও তো টুইস পাইতাসে। সিম্পুল।
  • siki | 122.162.75.192 | ৩০ মে ২০১১ ১৭:০০424803
  • কাজুর হাঁটুতে কতো বুদ্ধি!!
  • M | 59.93.215.220 | ৩০ মে ২০১১ ১৯:২৬424804
  • নেতাই বাবা, এ গপ্প তো সবাই মিলে লেখবা, নিজেই টুইস্ট আনোনা কেনে!:)))
  • Nina | 68.84.239.41 | ৩১ মে ২০১১ ০০:২৪424806
  • নেতাই কল্লোলদার গীটারের সঙ্গে ঐতো ট্যুইস্ট করছে কচিদের দলটা---দেখছনা?
    কিকিয়া রানী কি জয় হো :-)))
    থামিসনা --চলুক চলুক
  • Netai | 182.64.70.200 | ৩১ মে ২০১১ ০০:৩০424807
  • আমি লিখলে ঝোল কিন্তু নিজের দিকে টেনে নেব। বিশেষ করে খাবার সময় সব আইটেম আমার পাতে দুবার করে পড়বে। অন্যদের পাতে একবার করে।
    :-)
  • kabya | 180.151.44.243 | ১৬ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:৫৬424808
  • হথাত করে বন্ধ হয়ে গেলো কেনো?
  • kd | 59.93.205.0 | ১৬ জানুয়ারি ২০১২ ১৬:৫৮424809
  • ইনি কিন্তু আমার নাতনি নন। আমি সিওর, আমার নাতনি এখনও বাংলা বা ইংজিরি, কোনোটাই ঠিকমতো লিখতেই শেখেনি।

    তবে নিজের না হ'লেও, পাতানো তো যেতেই পারে। না কি?
  • Anupam Das Sharma | 115.250.167.119 | ২৯ এপ্রিল ২০১২ ১৩:৩১424810
  • বিষন্ন বিকেল।
    =========

    কোনদিন ভাবেনি সে পারবে। হঠাৎই লোভ হল। চ্যাটার্জি সাহেব ছুটিতে। চেম্বারে শুধু কাবেরীর অবারিত দ্বার। স্টেনোগ্রাফার। বলতে গেলে জোর করেই বান্ধবী রীনা ফেসবুকে আয়কাউন্ট খুলে দেয়। রীনা অন্য অফিসে পোস্টেড। ছোট্ট আয়ড্রেস ডায়েরীর শেষ পাতায় নোট, আই-ডি, পাসওয়ার্ড। খুলে গিয়েছিল আন্তর্জাল-এর রঙ্গীন জগত। অনিয়মিত ব্যবহারে এসেছে জনা পাঁচেক বন্ধু। কিছু শুভেচ্ছামাখা ছবি। ইচ্ছে হল নাড়াচাড়া করার সুযোগ মেলায়। স্টেটাসে দেখা দিল ....

    "ছিলাম নিভৃতে একাকী

    সুপ্ত ইচ্ছা পলকে

    শব্দের মৃদু ঝলকে

    হল আলোকের জোনাকি।"

    আশ্চর্য্য..! কম্পিউটারের ঔজ্জল্য নিমেষে হেরে গেল কাবেরীর মুখ প্রভার তড়িৎ চমকে। পর পর কমেন্টস ভরে দিল উচ্ছাসমাখা ভাললাগার প্রকাশে, বন্ধু-অবন্ধুর সাবাশে। কাবেরী হাওয়ায় ভাসছে। নিলাদ্রী মিত্র লিখেদিল....

    "উল্লাস ভরে বলি তোমায়

    হাজার মাইল যাব পেরিয়ে

    দেখি, কাবেরীকে আজ কে থামায়।"

    কাবেরীর সামনে খুশীর পৃথিবী। অবিশ্বাসের নিশ্বাস স্বচ্ছতা পেল।

    '

    ##

    '

    বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা। পেনশনের টাকা ওষুধ গিলে নেয় অনেকটাই। একমাত্র বোন স্নাতক উত্তীর্না, চাকুরী প্রার্থী। সন্তানহীনতা আর অকাল বৈধব্য জীবনের রূপরস শুষে নিয়েছে কাবেরীর।

    '

    ##

    '

    অতএব, নিয়মিত বসা। এবার কবিতার ছত্র অল্প অল্প করে দীর্ঘাবয়ব। নীলাদ্রির মোবাইলে গেঁথে গেছে কাবেরীর ফোন নাম্বার। প্রতিদিন বন্ধুর আবেদনে সাড়া কাব্য চিন্তায় ভাগ বসায়। দ্রুত পাঁচ থেকে পাঁচহাজার।

    '

    রবিবারের সারাদিন এখন আর ব্যস্ততায় বন্দী থাকেনা। ঘরোয়া কাজের ফাঁকে সঙ্গ দেয় ছোট্ট দূরভাষ। হঠাৎ জীবনপ্রবাহের এই মোচড় এতটা উচ্ছসিত করল, বহু অযত্নে ঘুমান সুরেলা কন্ঠ আবার জেগে ওঠে অসুখীর সংসারে। ইতিমধ্যে ছোট্ট ছিমছাম ল্যাপটপ শোভা পেয়েছে কাবেরীর বেডরুমে। প্রতিদিনের সন্ধ্যা নতুন স্বাদে বর্ণময় হয় কাবেরীর কাব্য সান্নিধ্যে। নীলাদ্রির সাথে ক্রমাগত চ্যাট কখন পার করে দেয় মধ্য রাতের বর্ডার, টের পায়না। নীলাদ্রি অবিবাহিত, চাকুরে, বছর তিনেক বড় কাবেরীর। নীলাদ্রি জেনেছে কাবেরীর হতাশা, বৈবাহিক জীবনের অপূর্নতা। বন্ধুত্বের গভীর গুপ্তাকাশে অযাচিত স্বান্তনা পেয়ে কাবেরী কৃতজ্ঞ নীলাদ্রীর কাছে। এক একটা রাত দু চোখে অনিদ্রা লেপে দেয়। কাবেরীর মন সায়রে উত্তাল খুশীর লহর। নতুন জগতে অন্তরঙ্গতার সুনির্দিষ্ট কোন ইঙ্গিত । নীলাদ্রি যখন ফোন করে আবেগঘন কথার তুফান তোলে, যখন কবিতার পংতি ধরে ধরে ব্যখ্যার আড়ালে তীক্‌ষ্‌ন আবেদন জানায়.. এক ভবিষ্যতের আবছা রেখা স্পষ্টতর হয়েই চলে বোধের গভীরে। কাবেরী অজান্তে কেঁপে কেঁপে ওঠে।

    অবশেষে কথা হল পাকা, মুখোমুখি হবার নীলাদ্রীর।

    '

    ##

    '

    কাবেরীকে অনেক বছর বাদে পারলারে দেখে অবাক হল পাড়ার বন্ধু নয়না। পেশাদার চোখ বুঝে নেয়, নি:শব্দ হাসি স্বাগত জানায় ।

    নীলাদ্রির সাথে প্রথম সাক্ষাত স্বরণীয় রাখতে কাবেরী লিখে রাখল কিছু ছত্র।

    '

    "ফাগের আকাশ ডাকছে তোমায়

    শুনতে তুমি চাও-

    হৃদয় জুড়ে তোমার আমি

    দেখতে কি গো পাও ?"

    রেখে দিল হাত ব্যগে। সংগোপনে, হৃদয়বৃত্তির আঙ্গনভূমে।

    '

    ##

    '

    সময়ের একটু আগেই পৌঁচেছে কাবেরী। হালকা গোলাপি শাড়ি আর ময়ূরপঙ্‌ক্‌খী রং-য়ের স্লিভলেস ব্লাউজে পিছিয়ে থাকা সময় হঠাৎই যেন হাজির মহা সমাদরে। খানিকটা দৌড়ে রাস্তা পাড় হয়ে নীলাদ্রী সটান সামনে। সাদা হাফ শার্ট আর আকাশি জিনস, নিখুঁত কামান মসৃন গাল সুঠাম চেহারার ব্যক্তিত্বময়তা দেখে অভিভূত। নাস্তিক কাবেরী এই প্রথম পিছু ফেরে। ঈশ্বর প্রণামে আনত হয়।

    '

    সামনেই সুরক্ষিত রেষ্টুরেন্ট। পর্দাঘেরা ছোট্ট পরিসর। ওরা বসল। ওয়েটার কাজ সারল। কাবেরীর হঠাৎই গুটিয়ে গেল, মনে মনে আওড়ান সংলাপ আটকে রইল গলায়। সহজ হবার আন্তরিক প্রস টেনে নিল নীলাদ্রির চোখে চোখ রেখে। নীলাদ্রি তাঁর ব্যগ থেকে বার করল এক গোছা ছাপানো কবিতার পাতা। সবটাই কাবেরীর লেখা। -জানো, সুযোগ পেলেই প্রত্যেকটা কবিতা আমি অন্তত একবার করে পড়ি রোজ। নীলাদ্রি মৃদু হাসে। চিলতে হাসি এল কাবেরীর ঠোঁটেও। -তাই! থ্যাঙ্কস।

    -অসাধারন লেখ তুমি। আলতো আঙ্গুল ছুঁলো।

    '

    কাবেরী মনে হল সে যেন এই মুহূর্তে নির্জন দ্বীপে সবুজের মাঝে। পরিজন নেই কেউ। হারিয়ে গেছে দগদগে নিষ্ঠুর স্মৃতি। খুব আস্তে আস্তে কাবেরী নিজের ব্যাগ থেকে বের করতে লাগল লেখা চার লাইনের কবিতাটি। ঠিক তখনি নীলাদ্রীর পকেটে বেজে উঠল মোবাইল। -হ্যাঁ হ্যাঁ..চলে আসো। আছি এখানেই। ফোন রেখে কাবেরীর দিকে তাকাল। -একদিন তোমার বাড়ি যাব। আলাপ হবে।

    কাবেরীর আবার শুরু হল গুটানো ভেতর ভেতর।

    '

    আচমকা হুড়মুড় করে পর্দা সরিয়ে ভীড় করল তিনজন মহিলা। - আরে, এই তো, আলাপ করে দিই..। কাবেরী একা বসে একদিকে। ওরা তিনজন নীলাদ্রিকে মাঝে রেখে একটা কবিতার বই নিয়ে মেতে গেল। ওয়েটার সাজিয়ে দিল টেবিল।

    - কাবেরী, নাও শুরু করো। আমরাও। নীলাদ্রির উত্তাপহীনতা কাবেরীকে বিঁধলো। চারজন তুমুল তর্কে মেতে গেল কাব্য সমালোচনায়।

    কাবেরীর কেমন যেন শীত অনুভব হল। দ্রুত উঠে দাঁড়াল। - আমি উঠলাম। নীলাদ্রি তর্ক থামাল। - আর একটু বসো না। বেরবো একসাথেই।

    - আমার তাড়াতাড়ি ফেরা দরকার, কাজ আছে।

    ওক্কে। বাই। নীলাদ্রি ফিরল, ফিরল তর্কও।

    '

    কাবেরী হঠাৎ ভারি পা দুটো একটানে রাস্তায়। শরীরের কোথাও যেন ঝড় বয়ে গেছে। আনমনা আঁচল গায়ে জড়িয়ে নিল। মনের কন্দরে বারংবার বিদ্যুতের চমকানি। মাথার ভেতর হাতুড়ির ঘুষি। কাবেরী ভাবল সে তাহলে এতটাই নির্বোধ? না কি... বুঝে নেবার কৌলিন্যই ছিল ফাঁপা। নীলাদ্রির এতদিনকার আবেগ সবটাই তাঁর কাব্যপ্রিয়তা ? তাহলে সমর্পনের ইঙ্গিত! তা কি শুধুই আদিখ্যেতা!

    তিল তিল লালিত বুভুক্ষু স্বপ্নকে এত অনায়াসে হারিয়ে দিল কবিতার টান। কবিতা এতটা নির্মম হয়ে হাসছে আজ!

    '

    কোনমতে শরীর ঠেলে কাবেরী বাড়ি ফিরল। সোজা টয়লেট। কোন চেঞ্জ না করেই শাওয়ার খুলে দিল। অঝোরে ভিজছে আজ কাবেরী। অকাল বর্ষা ধুয়ে মুছে দিচ্ছে কয়েক মাসের জমা আবেগ। শরীর বেয়ে মুক্তি পাচ্ছে কয়েক ঘন্টার ক্লেদ কষ্ট, ধর্ষিত স্বপ্ন।

    আচমকা খানখান করে ফেটে পড়ল শব্দ কাবেরীর গলা থেকে। চীৎকার কান্নায় চাপা পড়ে যাচ্ছে কাবেরীর জলপ্রপাত।

    ***********************************

    -অনুপম দাশশর্মা।

  • Anupam Das Sharma | 115.250.1.169 | ২৯ এপ্রিল ২০১২ ১৩:৫৪424818
  • বিষন্ন বিকেল
    ========

    কোনদিন ভাবেনি সে পারবে। হঠাৎই লোভ হল। চ্যাটার্জি সাহেব ছুটিতে। চেম্বারে শুধু কাবেরীর অবারিত দ্বার। স্টেনোগ্রাফার। বলতে গেলে জোর করেই বান্ধবী রীনা ফেসবুকে আয়কাউন্ট খুলে দেয়। রীনা অন্য অফিসে পোস্টেড। ছোট্ট আয়ড্রেস ডায়েরীর শেষ পাতায় নোট, আই-ডি, পাসওয়ার্ড। খুলে গিয়েছিল আন্তর্জাল-এর রঙ্গীন জগত। অনিয়মিত ব্যবহারে এসেছে জনা পাঁচেক বন্ধু। কিছু শুভেচ্ছামাখা ছবি। ইচ্ছে হল নাড়াচাড়া করার সুযোগ মেলায়। স্টেটাসে দেখা দিল ....

    "ছিলাম নিভৃতে একাকী

    সুপ্ত ইচ্ছা পলকে

    শব্দের মৃদু ঝলকে

    হল আলোকের জোনাকি।"

    আশ্চর্য্য..! কম্পিউটারের ঔজ্জল্য নিমেষে হেরে গেল কাবেরীর মুখ প্রভার তড়িৎ চমকে। পর পর কমেন্টস ভরে দিল উচ্ছাসমাখা ভাললাগার প্রকাশে, বন্ধু-অবন্ধুর সাবাশে। কাবেরী হাওয়ায় ভাসছে। নিলাদ্রী মিত্র লিখেদিল....

    "উল্লাস ভরে বলি তোমায়

    হাজার মাইল যাব পেরিয়ে

    দেখি, কাবেরীকে আজ কে থামায়।"

    কাবেরীর সামনে খুশীর পৃথিবী। অবিশ্বাসের নিশ্বাস স্বচ্ছতা পেল।

    '

    ##

    '

    বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা। পেনশনের টাকা ওষুধ গিলে নেয় অনেকটাই। একমাত্র বোন স্নাতক উত্তীর্না, চাকুরী প্রার্থী। সন্তানহীনতা আর অকাল বৈধব্য জীবনের রূপরস শুষে নিয়েছে কাবেরীর।

    '

    ##

    '

    অতএব, নিয়মিত বসা। এবার কবিতার ছত্র অল্প অল্প করে দীর্ঘাবয়ব। নীলাদ্রির মোবাইলে গেঁথে গেছে কাবেরীর ফোন নাম্বার। প্রতিদিন বন্ধুর আবেদনে সাড়া কাব্য চিন্তায় ভাগ বসায়। দ্রুত পাঁচ থেকে পাঁচহাজার।

    '

    রবিবারের সারাদিন এখন আর ব্যস্ততায় বন্দী থাকেনা। ঘরোয়া কাজের ফাঁকে সঙ্গ দেয় ছোট্ট দূরভাষ। হঠাৎ জীবনপ্রবাহের এই মোচড় এতটা উচ্ছসিত করল, বহু অযত্নে ঘুমান সুরেলা কন্ঠ আবার জেগে ওঠে অসুখীর সংসারে। ইতিমধ্যে ছোট্ট ছিমছাম ল্যাপটপ শোভা পেয়েছে কাবেরীর বেডরুমে। প্রতিদিনের সন্ধ্যা নতুন স্বাদে বর্ণময় হয় কাবেরীর কাব্য সান্নিধ্যে। নীলাদ্রির সাথে ক্রমাগত চ্যাট কখন পার করে দেয় মধ্য রাতের বর্ডার, টের পায়না। নীলাদ্রি অবিবাহিত, চাকুরে, বছর তিনেক বড় কাবেরীর। নীলাদ্রি জেনেছে কাবেরীর হতাশা, বৈবাহিক জীবনের অপূর্নতা। বন্ধুত্বের গভীর গুপ্তাকাশে অযাচিত স্বান্তনা পেয়ে কাবেরী কৃতজ্ঞ নীলাদ্রীর কাছে। এক একটা রাত দু চোখে অনিদ্রা লেপে দেয়। কাবেরীর মন সায়রে উত্তাল খুশীর লহর। নতুন জগতে অন্তরঙ্গতার সুনির্দিষ্ট কোন ইঙ্গিত । নীলাদ্রি যখন ফোন করে আবেগঘন কথার তুফান তোলে, যখন কবিতার পংতি ধরে ধরে ব্যখ্যার আড়ালে তীক্‌ষ্‌ন আবেদন জানায়.. এক ভবিষ্যতের আবছা রেখা স্পষ্টতর হয়েই চলে বোধের গভীরে। কাবেরী অজান্তে কেঁপে কেঁপে ওঠে।

    অবশেষে কথা হল পাকা, মুখোমুখি হবার নীলাদ্রীর।

    '

    ##

    '

    কাবেরীকে অনেক বছর বাদে পারলারে দেখে অবাক হল পাড়ার বন্ধু নয়না। পেশাদার চোখ বুঝে নেয়, নি:শব্দ হাসি স্বাগত জানায় ।

    নীলাদ্রির সাথে প্রথম সাক্ষাত স্বরণীয় রাখতে কাবেরী লিখে রাখল কিছু ছত্র।

    '

    "ফাগের আকাশ ডাকছে তোমায়

    শুনতে তুমি চাও-

    হৃদয় জুড়ে তোমার আমি

    দেখতে কি গো পাও ?"

    রেখে দিল হাত ব্যগে। সংগোপনে, হৃদয়বৃত্তির আঙ্গনভূমে।

    '

    ##

    '

    সময়ের একটু আগেই পৌঁচেছে কাবেরী। হালকা গোলাপি শাড়ি আর ময়ূরপঙ্‌ক্‌খী রং-য়ের স্লিভলেস ব্লাউজে পিছিয়ে থাকা সময় হঠাৎই যেন হাজির মহা সমাদরে। খানিকটা দৌড়ে রাস্তা পাড় হয়ে নীলাদ্রী সটান সামনে। সাদা হাফ শার্ট আর আকাশি জিনস, নিখুঁত কামান মসৃন গাল সুঠাম চেহারার ব্যক্তিত্বময়তা দেখে অভিভূত। নাস্তিক কাবেরী এই প্রথম পিছু ফেরে। ঈশ্বর প্রণামে আনত হয়।

    '

    সামনেই সুরক্ষিত রেষ্টুরেন্ট। পর্দাঘেরা ছোট্ট পরিসর। ওরা বসল। ওয়েটার কাজ সারল। কাবেরীর হঠাৎই গুটিয়ে গেল, মনে মনে আওড়ান সংলাপ আটকে রইল গলায়। সহজ হবার আন্তরিক প্রস টেনে নিল নীলাদ্রির চোখে চোখ রেখে। নীলাদ্রি তাঁর ব্যগ থেকে বার করল এক গোছা ছাপানো কবিতার পাতা। সবটাই কাবেরীর লেখা। -জানো, সুযোগ পেলেই প্রত্যেকটা কবিতা আমি অন্তত একবার করে পড়ি রোজ। নীলাদ্রি মৃদু হাসে। চিলতে হাসি এল কাবেরীর ঠোঁটেও। -তাই! থ্যাঙ্কস।

    -অসাধারন লেখ তুমি। আলতো আঙ্গুল ছুঁলো।

    '

    কাবেরী মনে হল সে যেন এই মুহূর্তে নির্জন দ্বীপে সবুজের মাঝে। পরিজন নেই কেউ। হারিয়ে গেছে দগদগে নিষ্ঠুর স্মৃতি। খুব আস্তে আস্তে কাবেরী নিজের ব্যাগ থেকে বের করতে লাগল লেখা চার লাইনের কবিতাটি। ঠিক তখনি নীলাদ্রীর পকেটে বেজে উঠল মোবাইল। -হ্যাঁ হ্যাঁ..চলে আসো। আছি এখানেই। ফোন রেখে কাবেরীর দিকে তাকাল। -একদিন তোমার বাড়ি যাব। আলাপ হবে।

    কাবেরীর আবার শুরু হল গুটানো ভেতর ভেতর।

    '

    আচমকা হুড়মুড় করে পর্দা সরিয়ে ভীড় করল তিনজন মহিলা। - আরে, এই তো, আলাপ করে দিই..। কাবেরী একা বসে একদিকে। ওরা তিনজন নীলাদ্রিকে মাঝে রেখে একটা কবিতার বই নিয়ে মেতে গেল। ওয়েটার সাজিয়ে দিল টেবিল।

    - কাবেরী, নাও শুরু করো। আমরাও। নীলাদ্রির উত্তাপহীনতা কাবেরীকে বিঁধলো। চারজন তুমুল তর্কে মেতে গেল কাব্য সমালোচনায়।

    কাবেরীর কেমন যেন শীত অনুভব হল। দ্রুত উঠে দাঁড়াল। - আমি উঠলাম। নীলাদ্রি তর্ক থামাল। - আর একটু বসো না। বেরবো একসাথেই।

    - আমার তাড়াতাড়ি ফেরা দরকার, কাজ আছে।

    ওক্কে। বাই। নীলাদ্রি ফিরল, ফিরল তর্কও।

    '

    কাবেরী হঠাৎ ভারি পা দুটো একটানে রাস্তায়। শরীরের কোথাও যেন ঝড় বয়ে গেছে। আনমনা আঁচল গায়ে জড়িয়ে নিল। মনের কন্দরে বারংবার বিদ্যুতের চমকানি। মাথার ভেতর হাতুড়ির ঘুষি। কাবেরী ভাবল সে তাহলে এতটাই নির্বোধ? না কি... বুঝে নেবার কৌলিন্যই ছিল ফাঁপা। নীলাদ্রির এতদিনকার আবেগ সবটাই তাঁর কাব্যপ্রিয়তা ? তাহলে সমর্পনের ইঙ্গিত! তা কি শুধুই আদিখ্যেতা!

    তিল তিল লালিত বুভুক্ষু স্বপ্নকে এত অনায়াসে হারিয়ে দিল কবিতার টান। কবিতা এতটা নির্মম হয়ে হাসছে আজ!

    '

    কোনমতে শরীর ঠেলে কাবেরী বাড়ি ফিরল। সোজা টয়লেট। কোন চেঞ্জ না করেই শাওয়ার খুলে দিল। অঝোরে ভিজছে আজ কাবেরী। অকাল বর্ষা ধুয়ে মুছে দিচ্ছে কয়েক মাসের জমা আবেগ। শরীর বেয়ে মুক্তি পাচ্ছে কয়েক ঘন্টার ক্লেদ কষ্ট, ধর্ষিত স্বপ্ন।

    আচমকা খানখান করে ফেটে পড়ল শব্দ কাবেরীর গলা থেকে। চীৎকার কান্নায় চাপা পড়ে যাচ্ছে কাবেরীর জলপ্রপাত।

    **********************************

    -অনুপম দাশশর্মা।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন