এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ধরণী দ্বিধা হও :)

    kS
    অন্যান্য | ০৬ নভেম্বর ২০০৮ | ৪৪২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | 203.99.212.224 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ ১০:৫৬405903
  • এই গল্পটা অন্য কোন ফর্মে আমি শুনেছি। এটি তার মানে প্যাটিস দেওয়ার একটি যুগসিদ্ধ পদ্ধতি।
  • h | 203.99.212.224 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৪:০৭405904
  • একদা এক শ্রাবণের বর্ষাস্নাত সকালে জনৈক কুকুলদা সাইকেলে করে মেয়েদের হোস্টেলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার মানে অবশ্য এই নয় যে কুকুলদা ফাল্গুন কিম্বা পৌষে মায় নিদাঘ বৈধাখেও অন্য কোন রাস্তা দিয়ে যান। তার মানে এও নয় কুকুলদা শুধু সাইকেলেই যান।
    মাঝে মাঝে হেঁটেও জান। তার মানে কিছুতেই নয় যে কুকুলদা শুধুই মেয়েদের হোস্টেলের সামনে দিয়েই যাতায়াত করেন।
    ওনাকে মাঝে মাঝে মেয়েদের হোস্টেলের পেছন দিয়েও সোমনাথদার স্টুডিওর দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। শুধু তখন মেয়েদের হোস্টেলের সামনের দিকের জানলা গুলো পটাপট খুলে না গিয়ে , পেছনের দিকের করিডরে
    একটা গণদীর্ঘশ্বাসের ঝড় ওঠে। মরচে পড়া গ্রীল, হায়, তারে তো রাজপুতানার ঝরোখা বলা যায় না,
    তবু সেই সব দীর্ঘশ্বাস আহা কত বুকে আজো অজন্তা ইলোরা হয়ে আছে। কারণ খাজুরাহো হয়েছে কিনা ঠিক ভালো করে জানা যা না। আর হবে নাই বা কেন। কুকুলদা রূপে অ্যাপোলো গুণে অমর্ত্য, কন্ঠে দীনেন্দ্র তো ক্রিকেট মাঠে দুরানী কিম্বা এঞ্জিনীয়ার, অভিনয়ে স্যার অলিভিয়েরা তো ফিজিক্সে রমণ, গাঁজায় গৌর ক্ষ্যাপা কিম্বা মার্লে তো বিষাদে জয়সিংহ, খোলা হাওয়ায়
    ফাল্গুনীর বাউল ও অপরিচয়ের রহস্যে নন্দিনীর রঞ্জন, রসসিঞ্চনে বাল্মিকীপ্রতিভার প্রথম দস্যু। গাম্ভীর্য্যে শাপমোচনের রাজা।

    তো এহেন কুকুলদা, সোজা কথা নয়, এই বিচিত্র আশানিরাশাদুরাশা দোলাচলের ঝড় ঝাপটা সামলিয়ে সেই শ্রাবণের সকালটিতে পশ্চিম অভিমুখে পদার্থ বিদ্যার
    ক্লাসে যাওয়ার পথে একটু গলা ভেজানো চায়ের সাথে চার্মিনারের অব্যর্থ কম্বিনেশনে মনটাকে একটু তাজা করে নেওয়ার জন্য পূর্ব অভিমুখে পুনরায় মেয়েদের হোস্টেলের সামনে দিয়ে ক্যান্টিনে যাচ্ছিলেন।
    দীর্ঘশ্বাসের এই অবিরাম সামাজিক চাপ সামলানো, তাও সেই উত্তাল সত্তর দশকের স্বপ্নভঙ্গের পরবর্তীকালের শ্রাবণ মাসের সক্কাল সক্কাল সহজ কথা নয়। এর সম্পর্কে দু চার কথা অনেকেই জানে। তাদের কারো কারো নাম রঞ্জন রায়। (চলবে)
  • h | 203.99.212.224 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৬:৩৮405905
  • সেই বিশেষ সকালে , চৈত্রমাসের তোয়াক্কা না করেই কারোর ভূমধ্যসাগরের চোখে সর্বনাশ দেখতে পাওয়ার দাবীসহ কোন এক কেউদিদি চাপা দীর্ঘশ্বাস তথা সুরেন করীয় আর্কিটেকচারের জানালার, শ্রীনিকেতনীয় গেরুয়া পর্দার সীমিত ডিসপ্লেসমেন্টের পরিমিতিচর্চার ইতিহাসকে হেলা ভরে উপেক্ষা করে হাতে বৃষ্টিভেজা দুটি ঘনসবুজ পাতা সহ একখানি কদমফুল হাতে লাল কাঁকড়ের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। অ্যাপোলো কুকুলদার হাতে সেই ফুল তুলে দিতে তাঁর হাত বা ঠোঁট কাঁপেনি। কারণ তিনি তখনি দিল্লী তথা বিলেত সর্বোপরী বালিগঞ্জ প্লেস ফেরত। সেসব দেশে হাত কাঁপলে হার্প কিম্বা পিয়ানো বেজে ওঠে, ঠোঁট কাঁপে শুধু সোপ্রানো সুর কে শব্দ-আসনটি পেতে দেওয়ার জন্যে।

    হ্যাঁ সেই দিন, বহুযুগ পরে সেই দিন এমনকি কুকুলদা ও একটু বিস্মিত অবস্থায় নড়ে গেছিলেন। কারণ জনশ্রুতি এই যে সাইকেলের ছন্দে তে উড়ন্ত বসন্তবৌরীর চকিত গতি সঞ্চার করে ক্যান্টিনে গিয়ে
    খানিকটা বড় খবর দেওয়ার মত করেই , হাতের কদম ফুলটি দেখিয়ে,
    ঘোষণা করেছিলেন, 'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল!'। সঙ্গে একটা হাসি।
    সে হাসি যেন ক্লিওপেট্রা কে দেখার পরে সেক্ষপীয়ারের আন্টোনির স্মিত অধরের পরে এই প্রথম এ পোড়া তৃতীয় বিশ্বে কোনমতে বসার একটা জায়গা পেল। কালের গতি ধীর হলেও কখনো কখনো চক্রাকার। বলতে নেই।

    তবে বিধাতা একাধারে প্রজাপতি ও রসিক কাঞ্চন। ঘটনা ক্রমে সেইদিন সেইক্ষণে ক্যান্টিনে ছিলেন অর্থনীতির গবেষক শিবদা। শিবদা ঊনবিংশ শতকে জন্মালে বংকিমবাবু কমলাকান্তের দপ্তর না লিখে, লিখতেন, বাবু শিবের চেম্বার। ইনি মূলত: কটি অরসিক কারণে স্বনাম ধন্য ছিলেন। মুদ্রিত ও মুদ্রিতব্য সকল অর্থনীতি ও রাজনীতি বিষয়ক পুস্তক ইনি শৈশবেই পড়েছিলেন। চা চার্মিনার এবং খদ্দরেরে চাদর ছাড়া এঁকে জীবিত কেউ দেখেনি। সম্ভত: এই রূপেই তিনি মাতৃক্রোড়ে আবির্ভূত হন।
    তৃতীয়ত: এঁর সাইকেলটি সম্রাট বাবর পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন। বলাবাহুল্য তরমুজভক্তি, ডায়রী লেখার অভ্যেস, অশ্বারোহণে কেরামতি, এবং আরেকটি যে কারণে ইনি ইতিহাসে খ্যাত, সেটি হল ইনি ছিলেন প্রযুক্তি বিষয়ে নির্মম প্রগতিবাদী।

    তো এহেন শিবদা নাকি , কুকুলদাকে উচ্ছ্বল হতে দেখে কোন কীনসীয় কেতাবের অতল থেকে মুখ না
    তুলেই শুধু বলেছিলেন 'হয়তো দিবে না কাল।'

    বলা বাহুল্য কুকুলদা সেইদিন অচিরেই পশ্চিম অভিমুখে পদার্থবিদ্যার ক্লাশে ফিরে যান। এবং জনশ্রুতি এই যে, তাঁর সাইকেলের সেদিনের মগ্ন সঞ্চারপথটি সেদিন দুটি বিশেষ রাস্তাকেই ছোঁয় নি। একটি গেছে মেয়েদের হোস্টেলের সামনে দিয়ে। আরেকটি গ্যাছে মেয়েদের হোস্টেলের পেছন দিয়ে। পর্দা ও গ্রীলেরা একটু বিশ্রাম পেয়েছিল। ;-)
  • shrabani | 124.30.233.101 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৭:০৮405906
  • এটা এবং আগেরটা এগুলো কিন্তু কলেক্টর'স পিস!
    কোথাও আলাদা করে রাখা যায় না?
  • sinfaut | 117.195.199.18 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৮:২৩405907
  • এটাতে বলতে নেই শাঁস বড় কম, খোসাটাই বেশি।
  • d | 117.195.34.41 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ ২১:৩৯405908
  • এটা শোনা।
    "কুকুলদা' মানে শুভময় বসু তো? নাকি তিনি "ভুলুদা'?
  • d | 117.195.34.41 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ ২১:৫৭405909
  • না না বসু না ঘোষ।
  • ranjan roy | 122.168.23.56 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ ২৩:৪৭405910
  • কুকুল শুভময় ঘোষের ছেলে, শান্তিদেব ঘোষের ভাইপো। শুভময় দেশ পত্রিকায় "মস্কোর চিঠি'' লিখতেন, অসময়ে মারা যান। যদ্দুর মনে পড়ে কুকুল-ঝুমা কর্মজীবনে সানওয়ারে লরেন্সে অধ্যাপনা করছিলো।
    শিব বা শিবাদিত্য সেন হল ক্ষিতিমোহন সেনের নাতি( ছেলের ছেলে), অমর্ত্য সেন ও আচার্য্য ক্ষিতিমোহনের নাতি( মেয়ের ছেলে)। অতি অমায়িক বন্ধুবৎসল, নিরভিমান অর্থনীতির অধ্যাপক, একেবারে সি ইও মেটিরিয়ল নয়।
  • ranjan roy | 122.168.23.56 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ ২৩:৪৮405911
  • হনু'র লেখার শৈলী অসাধারণ। এত কম লেখে কেন?
  • aaa | 220.227.64.166 | ০৬ জানুয়ারি ২০০৯ ১২:৪৮405802
  • সুন্দর !!!
  • ami | 203.110.243.21 | ১৪ জানুয়ারি ২০০৯ ২০:০৯405803
  • এইটা আমার এক বন্ধুর গল্প। যাদবপুরে একসাথে পড়েছি তার সাথে। চাদ্দিকে অ্যাতো রঙকানার কথা শুনে মনে পড়ে গ্যালো। ফাইনাল ইয়ার, ফিফ্‌থ সেমেই মোটামুটি ৯০ শতাংশ ছেলের চাকরি হয়ে গ্যাছে। এমন সময়, মারুতির মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্টে জানা গ্যালো ঐ ছেলেটির কালার ব্লাইন্ডনেস আছে। সে স্বীকার করলো যে সে এটা জানতো, কিন্তু ভেবেছিলো ধরা পড়বে না! যাই হোক, এরপরে একদিন টিসিএসের মেডিক্যাল টেস্টের লেফাফা ধরিয়ে দেওয়া হলো সবার হাতে, এবং তখন জানতে পারলুম যে টিসিএস নাকি একমাত্র সফ্‌ট ওয়্যার কোং যারা কালার ব্লাইন্ডনেস আছে কিনা দ্যাখে। ব্যাস, আমার ঐ বন্ধুর তো মাথায় বাজ পড়লো, সে বেচারি টিসিএসের ভরসাতেই মারুতির ঝুঁকিটা নিয়েছিলো কিনা।
    এইসব বিভিন্ন ভাবনা-চিন্তার মধ্যেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এলো। মিণ্টো পার্কের এক বেসরকারি পাঁচতারা ক্লিনিকে পৌঁছালুম। সে এক মজার পরীক্ষা। চুল টেনে দেখলো, দাঁত ক্যালাতে বললো, জিভ ভ্যাংচাতে বললো, আরো কতো কিছু। শেষে জিগালো আমি নিজেকে ফিট মনে করি কিনা। এইসব পালা চোকার পর আমি যখন বেরোলুম, তখন দেখি আমার ঐ বন্ধু আই টেস্ট করিয়ে বেরোচ্ছে, মুখে-চোখে প্রচন্ড খুশীর ছাপ। আমরা সবাই ওর জন্য চিন্তায় ছিলুম, ওকে দেখে মনে হলো চাপ কেটে গ্যাছে। কিছু জানতে চাওয়ার আগেই ও একগাল হেসে বললো "চোথাটা কমন পড়ে গ্যাছে'। মার্কেটে নাকি কালার ব্লাইন্ডনেস টেস্ট করার একটাই বুকলেট সহজলভ্য, আর সেটা ও গাঁত মেরে এসেছিলো!
    বাকিটা আর বলার কিছু নেই। এখন সে টিসিএসের দিল্লি অফিসে বিন্দাস আছে.........
  • Arpan | 122.252.231.10 | ১৪ জানুয়ারি ২০০৯ ২০:২৮405804
  • টিসিএসের মেডিক্যাল টেস্টে একটা জিনিস করতে হয়েছিল সবাইকে। সেটা এখানে বলা যাবে না। ;-)
  • ami | 203.110.243.21 | ১৪ জানুয়ারি ২০০৯ ২১:০৬405805
  • আমিও ঐ গল্পটা শুনেছি। তবে আমাদের ওসব করতে বলেনি।
  • rokeyaa | 203.110.243.21 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:১৭405806
  • আজ ডাইনিংয়ে দেখলাম হারানো-প্রাপ্তির বোর্ডে নোটিশ পড়েছে "i have lost my blue underwear. if found, plz return as it is. i have some emotions attached with it.' কি ইমোশন, খোদায় মালুম!
  • dipu | 121.243.161.234 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:২৯405807
  • :);)
    কোন হলে?
  • paps | 165.91.10.200 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৩০405808
  • এসব কোন হলে হয়????
  • rokeyaa | 203.110.243.21 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:৫১405809
  • এমএমএম - মদনমোহন মালব্য
  • dipu | 121.243.161.234 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৭:২১405810
  • হায় - সেই MMM - সেই RR-228 - আর সে দিন ফিরবে না :(
  • Abhyu | 97.81.103.39 | ০৩ এপ্রিল ২০১১ ০৩:২২405811
  • ভালুকের গল্পটা আরেকবার পড়ে নিলাম।
  • Abhyu | 78.117.214.27 | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ২২:৫১405813
  • হুম
  • - | 147.157.8.253 | ২১ আগস্ট ২০১৭ ০৮:৪৩405814
  • name: h
    IP Address : 176.137.252.19 (*)
    Date:18 Aug 2017 -- 12:22 AM

    আমার উল্টো টা হয়েছিলো । একবার উত্তরকাশী তে স্কুটারে করে শহর থেকে গ্রামে ফিরছি। রাত হয়ে গেছে, হঠা'ত বৃষ্টি , ঝ্হড়, পাহাড় থেকে পাথর গড়ানো ইত্যাদি শুরু হয়েছে, আমি ভাবছি যে একেবারে সন্ধেবেলাতেই বিন্দু মাত্র ডিবেট ছাড়া ভগবানে বিশ্বাস করতেই পারি কিন্তু তাতে যদি বিজেপি জিতে যায় এইসব ভাবতে ভাবতে রাহুল সা'কৃত্যায়ন উল্লেখিত ডুন্ডা বাজারে এসে পৌচেছি , কোন মতে একটা ব্যান্কের বারান্দার সামনে এসে দাড়িয়েছি। স্কুটার ভিজছে, কিছুক্ষন পরে এক্টা আমার ই বয়সের মেয়ে আমি ধরে নিচ্ছি তার ছোটো বাচ্চা ভাই এখানে ই এসে দাড়ালো , সলিড ভালো দেখতে স্থানীয় গ্রামের মেয়ে সঙ্গে মোটা বাজারে র থলি , বাজার টাজার সব ভিজে গেছে। খুব ই বাজে কাচুমাচু অবস্থা। তো আমি দেখলাম যে মোটোর সাইকেল ডায়রী তে পথচাল্তি আলাপের পরেই শুয়ে পড়ার প্রচেষ্টার কথা আছে, তো আমি তো আর তা কচ্ছি না, যদি না একেবারে ভেসহ্হণ জোরাজুরি করে, তাছাড়া এসব এখন ভাবার কথা না, ভারতীয় নারী কে প্রাইমর্ডিয়াল গৃহে পৌছে দেওয়া ন্যুনতম কর্তব্য, এবঙ্গ এতে আস্তে আস্তে পাহাড়ের বিজেপি হারতে শুরু করবে কারণ আমি এক্টা বাইক রাইড পেলে ঠিক সমাজতন্ত্রের পক্ষে লোক বাড়িয়ে নেবো। গোলওয়ালকার ও কখনো আমার সাইকেল চড়েন নি তাই দেশে আজ এই অবস্থা, তো যাই হোক বৃষ্টি ধরে এলো, আমি স্কুটার স্টার্ট করতে গেলাম , খুব প্রেডিকটেবলি স্কুটার স্টার্ট হল না, মেয়ে টি হাত লাগালো, এবোঙ্গ শুওরের বাচ্চা স্কুটার কিছুক্ষন পরেই গলাখাকারি দিয়ে স্টার্ট হল, তারপর মেয়েটি বল্লো পিছে বৈঠিয়ে , ভাই বেটাচ্ছেলে হয় শুভন্কর চক্রবোর্তি নয় পহলাজ, টুক কোরে মাঝে বসে গেল, আমি ভাবছি ঠিকাছে সমাজতন্ত্রের কথাটা একেবারে মাঝে ছানা সহ বল্লে এফেক্ট হবে না, কারন অদর্শ সোশালিস্ট গল্পে ছানা লাস্টে, তখন যুদ্ধ শেষ গমের দের ইত্যাদি, এর মধ্যে আমাদের স্কুল এসে গেলো, দিব্যো পাচ দশ মিনিটে, তখন স্কুটার থমিয়ে দিল, বল্লো যাইয়ে। তো আমি অবাক হয়ে বোল্লম।, আপ?? আপ কো ছোড় কে আউ?? তো সে ধীরে সুস্থে থলে টা হাতে নিল, ভাইকে কাছে টেনে নিল, তারপরে, স্ত্রেট বিনা প্ররোচোনায় আমার পৌরুস্ষ পূর্ণা চিবুক টি নেড়ে দিয়ে বল্লো আপকো কুছ নহী আতা। আমি রেগে আগুন হওয়ার আগেই হাপ পিস টি যে এতো ক্ষন মিটি মিটি তাকিয়ে ছিলো , চীনের সবচেয়ে বেটে দেওয়াল হয়ে ছিলো, সে পুই করে সিটি দিয়ে দৌড়ে পালালো দুজনে। কারন তখন আবার বৃষ্টি নেবে গেছে। আমি চুড়ান্ত প্যাক খেয়ে , মুখ তেতো কোরে রাজমা রুটি খেয়ে রাগ করে শোবার আগে ভাবলাম যে বিজেপি কে আটকানোর কাজে কত বাধাঃ-))))))))))
  • গবু | 238912.66.566712.8 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:১৭405815
  • হানুদার ভল্লুক আর ইস্কুটারের গপ্পো পড়তে তুললাম।
  • r2h | 134.238.14.27 | ০৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:০৮736114
  • রঞ্জনদার জন্য তুলে দিলাম।
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৩৬736115
    • এদিকে  ​​​​​​​কে ​​​​​​​লুরুতে বিএমডব্লিউ কিনল, ​​​​​​​তাই ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​খান ​​​​​​​৫০ অভিনন্দন ​​​​​​​পোস্ট, কনগ্রাটস ​​​​​​​না ​​​​​​​জানালেও ​​​​​​​অভিমান
    •  Ranjan Roy | ০৪ এপ্রিল ২০২২ ২১:২০499558
    • @ প্রত্যয় ভুক্ত, 
        না, ওই কোবতের ডিএনএ আমারই, অস্বীকার করতে পারি না। কারণ এর জনমের পেছনে রয়েছে এক দুঃখের ইতিহাস।
       প্রায় ২৫ বছর আগে ছত্তিশগড় বিলাসপুরের এক বর্ষার রাত। গিন্নি  নিজ কাজে কোরবা শহরে গিয়ে সেখান থেকে আটটার লোক্যাল ট্রেন ধরে ফিরবেন। কিন্তু দশটা বেজে গেল। কোন খবর নেই। তখনও হাতে হাতে মুঠোফেন দেখা যায় নি। রেলস্টেশনে ফোন করে জানলাম অ্যাকসিডেন্ট!   ঝড় বৃষ্টির মধ্যে ট্রেনের হাইপাওয়ার কেবল ছিঁড়ে ট্রেনের গায়ে পড়ে শর্ট সার্কিট ইত্যাদি।  ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে ১৪ কিলোমিটার দূরে  এক ধানক্ষেতের পাশে। অন্ধকার কামরাগুলো। দুটোতে আগুন ধরেছিল। এখন নিভেছে। স্টেশন মাস্টার বললেন-- চিন্তা করবেন না, হতাহতের খবর এখনও আসেনি। রিলিফ ট্রেন রওনা হচ্ছে। দু'ঘন্টার মধ্যে ওঁরা ঠাকুরের ইচ্ছায় নিরাপদে ফিরে আসবেন।
       বাড়ি ফিরে এলাম। দু'ঘন্টা কেটে গেল।
      ভাবলাম-- হয় গিন্নি মারা গেছেন, নয় যাননি। তাহলে আমার কী করণীয়? প্ল্যান বানাই।
      ,১ যদি মারা না গিয়ে থাকেন তো কোন চিন্তা নেই, আমার করণীয় শুধু অপেক্ষা করা।
      ২.০, যদি মারা গিয়ে থাকেন তো দুটো কাজ।
      ২.১ ভোপালে শ্বশুর বাড়িতে খবর দেয়া। কাল সকালে, টেলিগ্রাম এবং এসটিডি।
      ২.২ আমি নাস্তিক, কিন্তু উনি নন। কমসে কম এক ছোটা মোটা স্মরণসভা তো বনতা হ্যায়।
        তার জন্য কোথায় হল ভাড়া, কালীমন্দিরে পুজো, তার খরচ সব লিস্টি বানিয়ে ফেললাম। 
       এবার কী? এখন দুঃখ ভসভসিয়ে এল। আমি বাস্পাকুল হলাম।
      এবং ওই কোবতেটি লিখে বাগানের গ্রিলের গেটে তালা দিয়ে হা-ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
       রাত আড়াইটেয় ঘুম ভাঙল কলিং বেলের চ্যাঁ চ্যাঁ আওয়াজে।

      ধড়মড়িয়ে দরজা খুলে দেখি--গিন্নি।
      --ঘোড়া বেচে ঘুমুচ্ছিলে নাকি? কখন থেকে বাগানের গেটে ঠং ঠং করছি, নাম ধরে ডাকছি, ঢ্যালা ছুঁড়ে মেরেছি। সামনের বাড়ি থেকে লোক বেড়িয়ে এসেছে! ভাগ্যিস সালোয়ার কামিজ পরা ছিল। গেট টপকে এসে বেল টিপেছি। তুমি করছিলেটা কী?
      আমি বিনা বাক্যব্যয়ে ওই কবতে ও হিসেব লেখা খাতাটি ওনার হাতে ধরিয়ে দিই। সে রাত্তির নির্বিঘ্নে কাটল। ছুটিতে মেয়েরা হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরলে গিন্নি ওদের হাতে কবিতাটি ধরিয়ে দিয়ে বললেন-- অন্যদের স্বামীরা ঝড়ের রাতে গাড়ি ভাড়া করে ১৪ কিমি দৌড়ে গেছিল নিজের বৌদের উদ্ধার করে আনতে। আর তোদের বাবা আমার শ্রাদ্ধের ফর্দ বানাচ্ছিল। আর এই এলিজি না এপিটাফ লিখছিল।
      দুই মেয়ে আমাকে ভস্ম করে ফেলে আর কি!
      একজন বলল-- এমন লুজ ক্যারেক্টার বাবা! 
      অন্যজন-- না না, ভালোমানুষ সেন্টি খাওয়া বাবা। বাট ব্যাড হাজব্যন্ড, কান্ট বি আওয়ার রোল মডেল।
     
     
    • Ranjan Roy | ০৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৫499572
    • অভ্যু
        গল্পটা পুরো সত্যি। মায় গিন্নির গ্রিলের গেট টপকানো এবং আমার লিস্টি করে ফেলা এবং মেয়েদের কাছে খিস্তি খাওয়া অব্দি। নইলে আগামী জন্মে কালীঘাটের কুকুর হব। ঢপ ওইটুকুই যে কবিতাটা তার দু'দিন পরে লেখা।
      আরেকটা যা তা হল-- অফিস যাওয়ার পথে রোজ দেখতাম  মামা-ভাঁচা তালাও (মামা-ভাগ্নে পুকুর) নামেরএকটা মজা পুকুরের পাড়ে  নীচু ছাদের টালির ঘরে একটা লোক মাটিতে পাতা বিছানায় বসে সাদা-কালো ছোট্ট টিভি দেখছে। আর  ওর বউ রাস্তার ধারের টিউকল থেকে বালতি আর জেরিকেন ভরে জল আনছে।
        আমি বললাম-- আমাদের সব রকম পরিস্থিতির জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকা উচিত। গ্রহের ফেরে এমনও হতে পারে যে আমরা ওই রকম স্লামে থাকতে বাধ্য হব আর তোদের মা টিউকল থেকে জল ভরে আনবে।
       দুই মেয়ে আমার চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার করে দিল।
      আমার মা কেন রাস্তার কল থেকে জল ভরবে? তুমি ভর গে যাও। মাকে জলের লাইনে দাঁড় করিয়ে তুমি বসে বসে বই পড়বে নয় টিভি দেখবে? বস্তির লোকজন তোমার থেকে অনেক ভালো। 
      এত নেগেটিভ কল্পনা! কোন পজিটিভ চিন্তা নেই। এই জন্যেই আমাদের কিছু হল না! অপনা সিক্কা হী খোটা নিকলা!
       মাকে কোনদ্দিন জন্মদিনে ফুল এনে দিয়েছ? 
      কোন মেয়ের তোমাকে বিয়ে করা উচিত নয়! 
      আমি অধোবদন, আমি নিরুত্তর! খালি একটু কল্পনা করেছিলাম !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন