এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে: ফ্লোরিডা

    Tim
    অন্যান্য | ১২ জানুয়ারি ২০০৮ | ৯৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 204.111.134.55 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৮ ০১:৩০395780
  • অবশেষে ফ্লোরিডা যাওয়াই ঠিক হল। চারজনের একটা দল পাকিয়ে টাম্পা এয়ারপোর্টে যখন নামলাম, ঘড়িতে তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। উত্তরের শীত অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছি। ঝলমলে রোদ আর নিচে নীলচে সবুজ জলের মাঝে জেগে থাকা সবুজের ছোপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছিলো প্লেন থেকেই। নেমেই গরমটা টের পাওয়া গেল। প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেশ বোঝা গেল বাকি সফরে জ্যাকেটটা বোঝা হিসেবেই থাকবে। যদিও সে ধারণা ভুল ছিলো।
    চৌঠা জানুয়ারি সকাল সকাল ব্রেকফাস্ট খেয়ে বেরিয়ে পড়া গেল অরল্যান্ডো অভিমুখে। গন্তব্য কেনেডি স্পেস সেন্টার। প্রায় আড়াই ঘন্টার ড্রাইভ, পৌঁছতে একটু দেরীই হয়ে গেছিলো। একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও, কারণটা বলে রাখি। টাম্পা থেকে একটু এগিয়ে সবে আমরা যখন ইন্টারস্টেট ফোর ধরেছি, এমন সময় এক বন্ধু ফোন করে জানালো আমাদের চেনা একদল ছাত্রছাত্রী শিকাগো গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছে। দুজন মারা গেছে। ওদের মধ্যে তিনটি ছেলেকে আগে থেকেই চিনতাম। মাঝের রেস্ট এরিয়াতে তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর করতে গিয়ে কিছুটা দেরী হয়েছিলো।

    কেনেডি স্পেস সেন্টারে যখন পৌঁছলাম, তখন আকাশ মেঘলা। মাঝে এক পশলা বৃষ্টিও হয়ে গেছে। গুটি গুটি ঢুকে পড়ে দেখি সে এক এলাহি ব্যাপার। প্রথমেই দু তিনটে জিনিস বাতিল করে দিতে হল সময়ের অভাবে। তড়িঘড়ি একটা স্পেস শাটলের রাইড নেওয়া হল, যদিও তার জন্য লাইন দিতে হল প্রায় চল্লিশ মিনিট। মহাকাশ ভ্রমণ যতটা রোমাঞ্চকর হবে বলে মনে হয়েছিলো, আসলে দেখা গেল ততটা নয়। আশা ছিলো ভারহীন অবস্থা টের পাব, তাও মিটলো না পুরো।
    এর মধ্যে আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বাইরে তখন চড়া রোদ। যদিও আকাশে মেঘেরা এদিক ওদিক ছড়িয়ে আছে তখনও। এই সুযোগে চটপট কিছু ছবি তুলে নেওয়া গেল। তারপর আইম্যাক্স থিয়েটারে মহাকাশ অভিযান নিয়ে থ্রি ডি শো দেখতে গেলাম। আগে সেইরকমভাবে আইম্যাক্সে যাওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকায় বেশ ভালই লাগলো। বাকি সময়টা রকেটের বিভিন্ন মডেল দেখে, হল অফ ফেম এর মিউজিয়াম ঘুরে আর বিশাল ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মহাকাশবিজ্ঞানের জ্ঞান আহরণ করতেই কেটে গেল। ছটা নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম কে এস সি থেকে। তখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। হোটেলে ফিরে পরের দিনের রাস্তার ডাইরেকশান নিতে আর প্ল্যান করতেই প্রায় বারোটা বাজলো। আমাদের সব সময়ই ব্যাকাপ হিসেবে ম্যাপ দেখে রাখতে হচ্ছিলো, সাথে একটা অসাধারণ জিপিএস থাকা সত্তেও। কোন এক অদ্ভুৎ কারণে জিপিএস আমাদের মাঝে মধ্যেই ইউ টার্ণ নিতে আদেশ করছিলো। যে নিজ দায়িত্বে জিপিএস এনেছে, সে জানালো এর কারণ সেও জানে না। তাই সাবধান হয়ে ম্যাপ দেখে রাখছিলাম। পরের দিন ছিলো অরল্যান্ডোর দুটো থিম পার্ক দেখার কথা।
  • Tim | 204.111.134.55 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৩৯395791
  • অরল্যান্ডোর দুটো থিম পার্ক, ইউনিভার্সাল স্টুডিও আর আইল্যান্ডস অফ অ্যাডভেঞ্চার। দুটোতেই নামকরা সব হলিউডি সিনেমার থিম নিয়ে রাইড বা শো, টেকনোলজির ব্যবহার কোন পর্যায়ে পৌঁছলে এরকম শো ডিজাইন করা যায়, ভাবলে অবাক হতে হয়। অল্প কথায় বলি। প্রথমেই সামনে পড়লো ""টারমিনেটার""। একটা থ্রিডি হলে, আমাদের চারপাশ থেকে মাটি ফুঁড়ে উঠলো একদল সাইবর্গ, এক্কেবারে সিনেমার কায়দায় তারপর চোখ ধাঁধানো আলো আর কান ফাটানো আওয়াজের সাথে লেসার গান থেকে গুলি চলতে শুরু করলো। এর মধ্যে হলের পর্দা থেকে বেরিয়ে চোখের সামনে খেলা করছে ভিলেনের মুখ, হঠাৎ হাতটাকে তরোয়াল বানিয়ে মাথা এফোঁড় ওফোঁড় করে দেবে প্রায়, এমন সময় সোয়ার্জেনেগারের প্রবেশ, আবার প্রচন্ড গোলাগুলি এবং বিকট বিস্ফোরণ হয়ে গল্পের সমাপ্তি।
    ইন্দ্রিয়গুলো ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিয়ে পরের পর্বে পৌঁছলাম MIB তে। এখানে আবার সবাইকে একটা স্বয়ংক্রিয় যানে বসিয়ে দেওয়া হল, হাতে দেওয়া হল ছোট্ট লেসার গান। রোলার কোস্টারের বিচিত্র পথে চলতে চলতে গুলি ছুঁড়ে এলিয়েন মারতে হবে, এরকমটাই নাকি দস্তুর। এর পর এল ""মামি"" (আমাদের গুরু'র মামী না কিন্তুক, মিশরের মামি)। এইটা একটু অন্যরকম ছিল। বেশ ট্যারাব্যাঁকা একটা রোলার কোস্টার, সেটা কখনও ফ্রি ফল করে দানোর মুখে ঢুকে যাচ্ছে, কখনও সামনেই আগুন জ্বলে উঠে চমকে দিচ্ছে। শব্দে, আলোয় আর থ্রিডি এফেক্টে সে এক দুর্ধর্ষ ব্যাপার।
    তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল পরের দুটো শো। প্রথমেই বলতে হবে টুইস্টারের কথা। আমাদের দাঁড় করিয়ে সামনের খোলা মাঠে ঝড়ের তান্ডব দেখানো হল। কোনো থ্রিডি চশমার কারিকুরি ছাড়াই চোখের সামনে গাছ উপড়ে যেতে দেখলাম, ঘনঘন বাজ পড়ে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে গেল সামনেই, অঝোরে বৃষ্টি হয়ে চলল সেইসাথে। একটা জেট ইঞ্জিন ব্যবহার করে কয়েক মূহুর্তের জন্যে ঝড় তুলে দেওয়া যায়, দেখলাম। এরপর যাওয়া হল শ্রেক। যারা সিনেমাগুলো দেখেছেন তারা জানেন অ্যানিমেশনের এই চরিত্র ইতিমধ্যেই অসম্ভব জনপ্রিয়। শ্রেক-ও থ্রিডি হলে বসে দেখার জিনিস। কিন্তু এখানে দেখা গেল চেয়ারগুলো স্ট্যাটিক না, পর্দার চরিত্রের সাথে সে একভাবে নড়াচড়া করছে। কেউ ঘোড়া ছুটিয়ে গেল, তো আপনার চেয়ার নিজে থেকেই টগবগ করে নাচতে থাকবে চলার তালে। সামনে হয়ত একটা ঝর্না পেরিয়ে গেল শ্রেক, আপনার ওপর কেউ জল স্প্রিংকল করবে। ঝড় উঠলে চারপাশ থেকে হাওয়া বইতে শুরু করবে হলের মধ্যেই।
    পরের অংশ জুড়ে ছিলো জুরাসিক পার্ক আর ভয়েজ অফ সিন্দবাদ। প্রথমটার একটা রাইড ছিলো বেশ নতুনরকম। টেরোডাকটিলের পায়ের সাথে আপনাকে বেঁধে দেওয়া হবে, যন্ত্রচালিত সেই ডাইনো আকাশে উড়বে ( আসলে একটা গ্লাইডার এটা, রেল ধরে চলে) সেইসাথে আপনিও। এখানে বসার জায়গা থাকলেও পাদুটো শূন্যে ঝোলে, বেশ ভালো অভিজ্ঞতা। ভয়েজ অফ সিন্দবাদ একটা স্টান্ট শো। এইটাই সবথেকে বাজে লাগলো। চড়া কমেডি আর কিছু স্টান্ট ছাড়া কিছু ছিলোনা।
  • Tim | 204.111.134.55 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৫০395799
  • থিম পার্কের বৈশিষ্ট্য মেনেই, একেকটা এলাকা একেকটা থিম মেনে তৈরী হয়েছে। যেমন, জুরাসিক পার্কের সবকিছুই সামঞ্জস্য রেখে তৈরী। সেই এলাকার রেস্টুরেন্ট, এটিএম সব জুরাসিক এজের। আবার লস্ট কন্টিনেন্টের সমস্ত কিছুই সেই স্থাপত্যরীতি মেনে বানানো। প্রচুর হোমওয়ার্ক করে, গুচ্ছের টাকা ঢেলে তবেই এই কল্পনগরী বানানো সম্ভব হয়েছে। সেইসাথে কাজে লাগানো হয়েছে প্রযুক্তিকে। লস্ট কন্টিনেন্টই সবথেকে ভালো লাগলো। বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ঐতিহাসিক ভগ্নাবশেষ দেখে তাক লেগে যায়। সমস্তই পাথরের তৈরী। এখানেও ভেতরে একটা শো ছিলো। আলোয়, ভাষ্যে, অভিনয়ে সেটাও দারুণ।
    এইভাবে আমাদের অরল্যান্ডোর পাঠ চুকলো। একটু জিরিয়ে নিয়ে মায়ামির দিকে চলা শুরু হল। মানুষের তৈরী কৃত্রিম আনন্দপুরী থেকে দূরে, আমাদের গন্তব্য এবার মায়ামি হয়ে ফ্লোরিডা কি ওয়েস্ট।
  • Tim | 204.111.134.55 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:১৪395800
  • ছ তারিখ রাতে মায়ামি পৌঁছনো গেল। পরেরদিন, অর্থাৎ সাত তারিখ রওনা হলাম কি ওয়েস্টের দিকে। কি ওয়েস্টের মাহাত্ম্য হল, প্রায় ২০০ মাইল রাস্তা সোজা গাল্ফ অফ মেক্সিকোতে ঢুকে পড়েছে। দুদিকে সবুজ জল, মাঝখান দিয়ে হাইওয়ে ওয়ান চলে গেছে। মাঝে মাঝে একেকটা দ্বীপ, সেখানে নেমে বিশ্রাম নেওয়া যায়, রাতে থাকারও বন্দোবস্ত আছে কোথাও কোথাও। হাইওয়ের ধারে ধারে গাড়ি পার্ক করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। কোথাও বা ছিপ ফেলে বসে গেছেন কেউ সারা দিনের নামে, কোথাও বা বোটিং চলছে রমরমিয়ে। একেবারে শেষ দ্বীপটিতে গিয়ে শেষ হয়েছে হাইওয়ে ওয়ান। এরপর বিভিন্ন ট্রেইল ধরে দ্বীপটা ঘুরে দেখা যায়। কয়েকটা সমুদ্রসৈকত আছে আসেপাশেই, সেখান থেকে দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি আর দূরে দূরে একটা দুটো মাছ ধরার জাহাজ দেখে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়। রোদ ঝলমলে দিনে কি ওয়েস্ট অসাধারণ সুন্দর লাগে। লাগোয়া একরত্তি শহরটাও বেশ মানানসই। পুরোনো আমলের ধাঁচে ডাউনটাউন, কয়েকটা মিউজিয়ম আর বেশ কিছু সৌখিন গিফ্‌টশপ নিয়ে তৈরী শহরের কেন্দ্র। উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় বস্তু বলতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের একটা রণতরী, হল্যান্ড-আমেরিকা লাইনের বেশ কিছু ক্রুজ আর গ্লাসবটম বোটে সাগরভ্রমণ। সমস্ত কিছু দেখার সময় ছিলোনা। যুদ্ধজাহাজ দেখে, স্থানীয় শিল্পীদের হাতের কাজের তারিফ করে চটজলদি রিটার্ণ জার্নি শুরু হল। কি ওয়েস্টে একটা রাত থাকলে হয়ত ভালো লাগতো, কিন্তু উপায় ছিলোনা। আমাদের মধ্যে একজনকে ফিরতে হত আট তারিখ। অন্ধকার হওয়ার আগেই শুরু করেছিলাম। তবু ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হল। হাতে রইলো আর দুটো দিন। বাকি শুধু মায়ামির বিখ্যাত সমুদ্রতীর দেখা।
  • Tim | 204.111.134.55 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:৩৪395801
  • আট তারিখে সারাদিন কাটলো সমুদ্রতীরে। অন্যান্য দিনের মতই সেদিনও চড়া রোদ, সমুদ্রতীর জুড়ে অজস্র মানুষ হাজির। সদ্য কি ওয়েস্ট থেকে ঘুরে আসার জন্যই কিনা কে জানে, মায়ামির সমুদ্রতীর একটু ফিকে লাগলো। তার প্রধান কারণ হল অসংখ্য বহুতল সমৃদ্ধ বেলাভূমি। সমুদ্রের সৌন্দর্য্যে ঘাটতি নেই, শুধু কংক্রিটের জঙ্গলটাই একটু বেমানান। সে যাই হোক, সারাদিন জোলো হাওয়া খেয়ে, সন্ধ্যের পরে ফিরেই খেয়াল হল, ভোররাত থেকে গিয়ে সূর্যোদয় দেখতে হবে। পরের দিন রাত থাকতেই বেরিয়ে পড়লাম আমরা। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, সমুদ্রতীর জনহীন। তখনও ঘন অন্ধকারে চারদিক ঢেকে আছে। পরিষ্কার আকাশে লক্ষকোটি চোখের মত মিটমিট করছে নক্ষত্রেরা, আগেরদিন কৃত্রিমতায় ভরা সমুদ্র দেখে যতটা খারাপ লেগেছিলো, সেটা সুদে আসলে পুষিয়ে গেল। সূর্যোদয়ের বর্ণনা দেব না। পাহাড় বা সমুদ্রে যাঁরাই গেছেন তাঁরাই জানেন বহুবার বহুভাবে দেখেও পুরোনো হওয়ার নয় সে দৃশ্য। তবে প্রায় ফাঁকা সমুদ্রতীরে সূর্যোদয় দেখা ( আমরা তিনজন ছাড়া আর কেউ ছিলোনা) এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

    নয় তারিখে যেটুকু সময় বাকি ছিলো সেই সময়টা সি অ্যাকোরিয়াম দেখে কাটানো গেল। একদল ডলফিন, একটা কিলার হোয়েল আর কয়েকটা সি লায়ন নিয়ে দারুন মজার সব খেলা দেখা গেল। হাঙর ইত্যাদিও ছিলো কিছু। সব সেরে ক্লান্ত দেহে আবার টাম্পার দিকে রওনা হলাম। পাঁচ ঘন্টার রাস্তা, হোটেলে চেক ইন করে দেখি রাত একটা বাজে প্রায়। কি তাড়াতাড়ি কেটে গেল আটটা দিন, ভেবে সবাই অবাক হলাম। শীতের ছুটির শেষে একঝলক অক্সিজেন দিয়ে গেল ফ্লোরিডার ঝটিকা সফর। আর দিলো অপেক্ষা.... আসছে বারের জন্য।
    (শেষ)
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ০৭:০৪395802
  • টিমের এই লেখাটা ওর অন্যান্য লেখার থেকে কেমন যেন আলাদা - এক সুরে বাজল না যেন - টিমের চোখ দিয়ে দেখতে পেলাম না, বেড়াতে পারলাম না, খালি তথ্য পেলুম। তেল ঝাল মশলা বাদ পরে গেছে লেখাটাতে :-)
  • Tim | 204.111.134.55 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ০৭:২৯395803
  • ঠিকই। আসলে ঘুরতে যাওয়া মানে তো শুধু কয়েকটা জায়গা দেখে চলে আসা না, সেখানকার লোকজন, জলমাটি সব মিলিয়ে একটা অভিজ্ঞতা। এদেশে এসে এখনও পর্যন্ত যেকটা জায়গায় গেলাম, কোথাও সেই জিনিসটা পেলাম না। কেমন ছাড়া ছাড়া ভাব, যা দেখলাম তার তেমন প্রভাব পড়লো না। এখানে সবই কি নিঁখুত, প্ল্যান করে বানানো, সুযোগ সুবিধা আর নিরাপত্তার বেষ্টনীতে কেমন দমবন্ধ হয়ে আসে।
    দেশের ছোটোখাটো জায়গাগুলোতেও কিন্তু অনেক ভালোলাগা জড়িয়ে থাকতো, আর এখানকার বিখ্যাত জায়গাগুলো-ও তেমন দাগ কাটে না। একটা তাৎক্ষণিক বিস্ময় জাগে বটে, কিন্তু পরে ভেবে দেখলে অসাধারণ কিছু মনে হয় না। কে জানে, হয়ত বিদেশী বলেই কানেক্ট করতে পারিনা।
  • d | 59.161.50.108 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ০৯:৩৪395804
  • দূর বোকা ছেলে!
    নায়াগ্রা যাও নায়াগ্রা। কেপ কডে গিয়ে ট্রুরোর লাইটহাউস দেখো, ফল সীজনে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বোস্টন পর্যন্ত ট্রেনে চেপে যাও ----- তবে না টের পাবে।
  • nyara | 64.105.168.210 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১০:৩০395805
  • টিম, আমি বিশেষ বেড়ুনে পাবলিক নই, কাজেই খুব কিছু ফান্ডা দিতে পারবনা। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা ঠিক তোমার মতন। আমিও দেখেছি ঐ টিক মারা টুরিস্ট জায়গায় গিয়ে বিশেষ আনন্দ পাইনি। পেলেও একটু অন্যভাবে বেড়াতে হবে। যেমন ধর, দ যে নায়াগ্রার কথা বলেছেন - আমার অভিজ্ঞতায় অন্যরকম। নায়াগ্রা প্রথমবার দেখে খুব হতাশ হয়েছিলাম। প্রথমত অ্যামেরিকার দিক থেকে দেখলে নায়াগ্রা সম্যক বোঝা যায়না। যেটুকু বা যায় তার গ্র্যাঞ্জারও কেটে যায় লোকের ভিড়ে আর পপকর্নের ঠোঙার আওয়াজে। ফিরে আসার পরে নায়াগ্রার কমার্শিয়াল দিকটা ছাড়া অন্য কিছু মনে রাখা শক্ত। তবে নায়াগ্রা ডেফিনিটলি একবার অন্তত যাওয়া উচিত, আর খরচাপাতি করে গেলে ক্যানাডার দিক থেকে না দেখে ফিরনা।

    আমি বলব কম টুরিস্টি জায়গায় যাও - সময় নিয়ে। ক্যাম্প কর। হাইক কর। সকালে মম-অ্যান্ড-পপ রেস্তোরাঁয় ব্রেকফাস্ট কর, স্থানীয় লোকেদের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হবে। লাঞ্চে ব্যাগ-প্যাকিং, ডিনার ক্যাম্পে বার্বিকিউ। সঙ্গে থাক দুচারজন সমমনস্ক বন্ধু।

    তুমি কোথায় থাক জানিনা। ধরে নিচ্ছি ইস্ট কোস্টে থাক, উত্তরের দিকেই। কেপ কডের কাছে ক্যাম্প করতে পর। করে কেপ অড, মার্থা'জ ভিনিয়ার্ড দেখে এস। ডেলাওয়ার রিভার গ্যাপে হাইক করে এস। পোকোনোজ ঘুরে এস। ক্যাটস্কিল মাউন্টেনে ক্যাম্প কর, সেখান থেকে উডস্টক ঢুঁ মেরে এস। যদি টুরিস্টি জায়গা, যেমন ধর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন কি ইয়োসোমিটি যাও, হোটেল-লজ-টজ কাটিয়ে ক্যাম্প করে থেক। নইলে কিন্তু তুমি যা চাইছ তা পাবেনা।
  • r | 125.18.17.16 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১০:৩৯395781
  • আমি আমেরিকার সিনসিনারি কিছু দেখি নাই। কিন্তু যদি কেউ শহর ভালোবাসে, শহরের অলিতেগলিতে ঘুরে বেড়ালে অ্যাডভেঞ্চারের মজা পায়, তার জন্য পৃথিবীর সেরা শহর নিউ ইয়র্ক। ব্রহ্মা কসমোপলিটান সভ্যতার প্রোটোটাইপ এই একটি পিসই বানিয়েছিলেন, বাকি সব হয় নকল নয় জালি।
  • nyara | 64.105.168.210 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১০:৪৫395782
  • হক কথা, নিউ ইয়র্ক এক পিস। কিন্তু স্যান ফ্র্যানসিস্কো আর বস্টনের কিন্তু আলাদা এবং বিশিষ্ট চরিত্র আছে, ভাল লাগার মতন। লাস ভেগাসেরও আলাদা চরিত্র আছে, আমার কাছে সেটা একেবারেই ভাল লাগেনা। অন্যসব শহর সব একরকম - অন্তত আমি যেগুলো দেখেছি - ডাউনটাউনে প্লেনে করে নাবিয়ে দিলে বলা অসম্ভব এটা কোন শহর। নিউ অর্লিয়েন্সও ব্যতিক্রম হবে (হত) হয়তো, কিন্তু আমি যাইনি, কাজেই বলতে পরবনা।
  • d | 59.161.50.108 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১০:৫০395783
  • ঠিক। মার্থা'জ ভাইনইয়ার্ড। ভুলে গেছিলাম।

    নায়াগ্রায় যেতে হবে যখন ট্যুরিস্ট কম যায়। ধর শীতের সময়। আহা কলি গেছিল, ওকে জিজ্ঞেস কর, জমে যাওয়া নায়াগ্রা দেখতে কেমন লাগে। রাতে আলোর শো শেষ হওয়ার পর গুটিগুটি পায়ে হেঁটে যাও নায়াগ্রার পাশে। আমার একটা খুবই ন্যাকাবোকা লেখা -- নায়াগ্রার ডায়রী টাইপের আছে, টইয়ের ৩# পাতায় পাবে। আমি একবার ডিসেম্বর জানুয়ারীতে যেতে চাই।

    আর রাঙা ঠিক বলেছে। নিউইয়র্ক অসাধারণ। দুরন্ত। স্রেফ হেঁটে বেড়াতেই দারুণ লাগে।

  • r | 125.18.17.16 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১০:৫৫395784
  • বস্টন এবং ফিলি- দুইটি শহরই খারাপ নয়। বিশেষত:, নিউ ইংল্যান্ডের ছাপছোপ থাকার জন্য। স্যান ফ্রান্সিস্কো দেখি নাই। নিউ ইয়র্কের খুব কাছাকাছি আসতে পারে লন্ডন। কিন্তু ট্রেনের এক কামরায় দশ দেশের কুড়ি রকম ভাষার লোক, এবং প্রত্যেকেই নিজের রঙে আছে- এটা ট্রিমেন্ডাস।

  • nyara | 64.105.168.210 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১০:৫৯395785
  • ইয়ে, নায়াগ্রা জমেনা বলেই জানি। এদিক ওদিক আইস ব্রিজ হয়, কিন্তু নায়াগ্রা নদী বা প্রপাত কোনটাই জমেনা। আমি নিজে একবার ডিসেমবারে নায়াগ্রা দেখেছি। ও জিনিস জমতে পারে বিশ্বাস হয়না। কিন্তু সেই শীতেও থিকথিকে টুরিস্ট।

    তবে একথা ঠিক টুরিস্টি জায়গায় বেটাইমে গেলে অন্য সৌন্দর্য দেখার চান্স বেশি। আমার কাছে শীতের ইয়োসেমিটি গরমের থেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
  • nyara | 64.105.168.210 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১১:০০395786
  • সরি, ফিলি অতি ধুর জায়গা। ফিলি চিজ স্টেক ছাড়া ফিলির এ জগতে দেওয়ার কিছু নাই।
  • Paramita | 64.105.168.210 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১১:১৪395787
  • তবে একটা টুরিস্টি জায়গা হেবি লেগেছিল - টরোন্টোতে সি এন টাওয়ারের আশি না নব্বুইতলা ওপরের ঘুরন্ত রেস্টোরেন্ট থেকে অন্ধকারে জ্বলা জোনাকি আলোর মত টরন্টো শহরের আলো, ঘুরতে ঘুরতে একসময় আলোগুলো চলে যায়, কাঁচ দিয়ে শুধু ধু ধু সমুদ্র তারপর আবার মৃদু ছন্দে ঘুরতে ঘুরতে ঐ আলো আর সরীসৃপ রাস্তা। সঙ্গের দুরন্ত ল্যাম্ব শ্যাঙ্কটার কথা না বললে অন্যায় হবে। আর ইয়ে ক্যান্ডল ফ্যান্ডলও ছিলো বোধহয়।
  • r | 125.18.17.16 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১১:২৩395788
  • বা:! এইটা তাহলে মার্চে ট্রাই করুম।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১১:২৭395789
  • নায়াগ্রা একবার জমেছিল। মনে হয় সত্তরের দশকে কখনো। তবে শীতের নায়াগ্রা অসাধারন। পুরো বরফে সাদা সব।
  • Tim | 204.111.134.55 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১১:৪৮395790
  • দমদির লেখাটা পড়ার আগে একবার আর পরেও আরেকবার নায়াগ্রা গেছিলাম। প্রথমবার ঘোর শীতে, তখন ফেরিতে করে সামনে যাওয়া যায় নি, ন্যাড়াদার মতই খুব হতাশ হয়েছিলাম। পরেরবার গরমের সময় যাওয়া হল, লঞ্চে করে একেবারে নায়াগ্রার সামনে যাওয়া গেল, সাইক্লোন ডেকেও যাওয়া গেল, তখন অনেকটাই বোঝা গেল নায়াগ্রার মহিমা। কিন্তু সেটা পিক টাইম, লোকে লোকারণ্য, প্রায় পিকনিকের পরিবেশ। দুর্ভাগ্যের বিষয়, দুবারই রাতে থাকা হয় নাই। তবে ভালো লাগলেও, এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে ঐরকম একটা জলপ্রপাত দেখে যে পরিমাণ ভালো লাগার কথা, ততটা লাগেনি। বরং দমদির লেখাটা পড়তে বেশি আরাম।

    এছাড়া স্মোকি গেছিলাম, সেও শীতে, যখন খুব কম লোকজন যায়। ঠান্ডা বলে ক্যাম্পিং করা যায় নি।
    নিউ ইয়র্ক নিয়ে কোনো ক্ষোভ নেই। অলিগলিতে ঘুরতে সত্যিই ভালো লেগেছিলো। তবে সে বড় অল্পক্ষণের আনন্দ ছিলো।
    আসলে অনেকেই চটজলদি দ্রষ্টব্য জিনিসপত্তর দেখে নিয়ে ফিরে আসতে চায়, সমমনস্ক জনতা না পাওয়া গেলে যা হয় আর কি। এইরকম কারণেই নায়াগ্রায় আলোর কারসাজি দেখা হয় নি, কানাডার দিক থেকেও দেখি নি। সবথেকে ভালো হত যদি একা যাওয়া যেত, যেভাবে শিকাগো ঘুরেছিলাম। মন্দ লাগেনি।
    দেশে থাকতে দুই বন্ধুর সাথে ডুয়ার্স ঘুরেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ঠিকঠাক লোকজন সাথে থাকলে যেকোনো আপাতসাধারণ জায়গাও অন্যরকম লাগে। পাঁচমিশেলি দল হলে মুশকিল। ভুগতে হবেই।
    কেপ কডের কথা মনে রাখলাম। এছাড়াও আপার পেনিনসুলা যাওয়ার ইচ্ছে আছে। যতটুকু শুনেছি, ভালো লাগার কথা।
  • nyara | 64.105.168.210 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১২:১৭395792
  • পেলাম। কতটা সত্যি জানিনা।

    “The American Falls have frozen over on six occasions since the keeping of records began. Each were attributed to ice jams that have actually curtailed the flow of the American Falls to mere trickles.”

    “Unlike the Horseshoe Falls (which has never frozen over), the American Falls are susceptible to freezing because of the small amount of water flow.”

    “The installation of the ice boom at the mouth of Lake Erie, the building of the International water control dam (which regulates water flow) and milder winters have all but eliminated the possibility of the American Falls ever completely freezing over in modern times.”

    “The American Falls water flow was reduced to such an extent in 1909, 1936, 1938 and 1949 that it froze over.”

    “The American Falls today receives only 10% of the total water flow. In the early 1900’s that flow was much less, perhaps only 5%.”

  • Tim | 204.111.134.55 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১২:২০395793
  • ভবিষ্যতে যাঁরা নায়াগ্রা যাবেন তাঁরা কাছেই একটা অপ্রচলিত জায়গা দেখে আসতে পারেন। নায়াগ্রা থেকে অল্প দূরে একটা পর্তুগীজ গীর্জা আছে, বিশাল খোলা মাঠে সারি সারি শ্বেতপাথরের মূর্তি বসানো। কাচের অর্ধগোলাকৃতি গীর্জা, ভেতরে খুব সুন্দর ফ্রেস্কো আর কাঠের কাজ করা। এখনও খুব বেশি লোক জানেনা বলেই হয়ত খুব শান্ত আর নির্জন জায়গাটা। আমার খুবই ভালো লেগেছিলো। প্রয়োজনীয় তথ্য নিচের লিংকে পাওয়া যাবে।
    http://www.fatimashrine.com/index1.html
  • Paramita | 64.105.168.210 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১২:৪১395794
  • ফিলির মধ্যে একটা প্রাচীন শহর প্রাচীন শহর ব্যাপার আছে। উত্তর কলকাতার মত। ডিসির আগে নাকি ফিলিই রাজধানী ছিলো আম্রিকার। তবে নিউ জার্সির লোকেরা খুব ফিলি ঘুরিয়ে দেখাতে ভালোবাসে, কাছাকাছির মধ্যে দেখার জায়গা বলতে ফিলি আর আটলান্টিক সিটি। (NYC ধরছি না)

    নিউ ইয়র্কে আমার একটা হোলনাইট করার অভিজ্ঞতা আছে। নিঝুম টাইম স্কোয়ারে শুধু চোখ ধেঁধে গেছে বিজ্ঞাপনে। একটাও লোক দেখিনি। আর গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম মাঝরাতের অস্বাভাবিক নীরবতার মধ্যে। চারদিকের ব্যারিকেডের মধ্যে কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। ঐখানের ক্যামেরায় ছবি তোলা যায়নি। যদিও কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিলো না।

    এর পরে ব্রডওয়ের জন্য যেতেই হবে একবার।

    র, কানাডা আসছেন? সি এন টাওয়ারে সন্ধের পর যাবেন। 360 ডিগ্রি রেস্টোরেন্টের ডিনার আর টাওয়ার দেখার একসঙ্গে ভালো ডিল থাকে একটা। আর আশা করি একা আসছেন না, আমার বর্ণনার কিছুটার জন্য কতৃপক্ষ পুরোপুরি দায়ী নহে, রোমান্টিক পরিবেশ অল্পস্বল্প দায়ী।
  • r | 125.18.17.16 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১২:৫৩395795
  • নিউ ইয়র্কে আমার সেরা অভিজ্ঞতা যেদিন বিকেলবেলা পুরো শহরে ব্ল্যাকআউট হয়ে গেল- রাত্রিবেলা নিউ জার্সিতে হাডসনের পারে দাঁড়িয়ে রাক্ষসদলের মত অন্ধকার ম্যানহাটন স্কাইলাইন।
  • d | 59.161.50.108 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১২:৫৯395796
  • আরে তুই তখন ওখানে ছিলি নাকি? কি কান্ড আমি তো তখন হার্টফোর্ডে। মাঝে মাঝেই শনিরবি সকালে উঠে গ্রেহাউন্ড ধরে নিউইয়র্কে চলে যেতাম।
  • r | 125.18.17.16 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১৩:১৩395797
  • দেখিস নাই? হাডসনের পাড়ে রাখালযুবক বলদের পাল নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে চরে বেড়াচ্ছে!! ;-))
  • Binary | 198.169.6.69 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:১৭395798
  • কেনেডি স্পেস সেন্টারে যেটা সবচেয়ে মুভিং, যেটার সামনে অনেক্ষন বসে থাকা যায়, সেটা অ্যাস্ট্রনট্‌স মেমোরিয়াল, যেখানে কল্পণা চাউলা-ও আছে।

    কেনেডি-তে একটা ২ ঘন্টার বাস ট্যুর আছে, যেটা লঞ্চ প্যাডের কাছে নিয়ে যায়, সেটাও খুবই ফ্যাসিনেটং।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন