এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • উপনিবেশ এবং মাছি-মারা-কেরানিরা 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৯৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • উপনিবেশ কী? ​একটা ​​​​​​​জাতির বা জনগোষ্ঠীর ​​​​​​​উপর ​​​​​​​যখন ​​​​​​​অন্য কারো চূড়ান্ত প্রভুত্ব ​​​​​​​করে। কী ​​​​​​​করে ​​​​​​​করে? ​​​​​​​এক, ​​​​​​​জনগোষ্ঠীর ​​​​​​​নিজস্ব পুঁজি ​​​​​​​এবং ​​​​​​​উৎপাদন ধ্বংস ​​​​​​​করে ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​হয়, সম্পদ চালান করে দেওয়া হয় অন্যত্র। ​​​​​​​দুই, ​​​​​​​তার ​​​​​​​গোটা ​​​​​​​বাজার ​​​​​​​দখল ​​​​​​​করে ​​​​​​​ফেলা ​​​​​​​হয়। ​​​​​​​তার ​​​​​​​পুঁজি ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​মাল ​​​​​​​বানিয়ে ​​​​​​​তাকেই ​​​​​​​বেচা ​​​​​​​হয়, ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​মুনাফাটা ​​​​​​​পকেটে ​​​​​​​পোরে অন্য ​​​​​​​পাড়ার ​​​​​​​বড়দা। ​​​​​​​এবং ​​​​​​​তিন, ​​​​​​​সবচেয়ে ​​​​​​​গুরুত্ব্পূর্ণ, ​​​​​​​সাংস্কৃতিকভাবে ​​​​​​​এই ​​​​​​​পুরো ​​​​​​​প্রক্রিয়াটাকে ​​​​​​​বৈধতা ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​হয়। ​​​​​​​তার ​​​​​​​জন্য ​​​​​​​তৈরি ​​​​​​​হয় ​​​​​​​এক ​​​​​​​'শিক্ষিত' শ্রেণী। যারা তোতাপাখির মতো বলে চলে, আমাদের ইতিহাস ছিল অন্ধকার, আমরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, বৌ-পোড়ানো জাত, অপদার্থ, আমরা শিল্প পারিনা, সংস্কৃতি পারিনা, ব্যবসা পারিনা, বাণিজ্য পারিনা,  বহিরাগতরা এসে আমাদের উদ্ধার করেছে। এই ​​​​​​​তিন ​​​​​​​নং ​​​​​​​ব্যাপারটা ​​​​​​​উপনিবেশের কলকব্জার হিসেবে সবচেয়ে ​​​​​​​গুরুত্বপূর্ণ। ​​​​​​​কারণ, ​​​​​​​লাঠি ​​​​​​​মেরে ​​​​​​​তো ​​​​​​​গোটা ​​​​​​​একটা ​​​​​​​জনজাতির ​​​​​​​সম্পদ ​​​​​​​লুঠ ​​​​​​​করে ​​​​​​​চলা ​​​​​​​যায়না, ​​​​​​​এক ​​​​​​​সময়ে ​​​​​​​প্রতিরোধ ​​​​​​​আসবেই। ​​​​​​​তাই ধাক্কা ​​​​​​​মারা ​​​​​​​হয় ​​​​​​​তার ​​​​​​​আত্মবিশ্বাসে। ​​​​​​​বারবার শুনতে শুনতে পদানত ​​​​​​​জাতির একটা অংশ বিশ্বাস করে ফেলে, যে, তাদের দ্বারা কিচ্ছু হবার ছিলনা। তারা হেরো। এবং ওই বড়দারা উচ্চ সিংহাসনে বসে আছেন, ওদের অনুসরণ করাই পরমার্থ। তারা ক্রমে হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসহীন, অনুকরণপ্রিয়। গোটা জাতটাই এরকম হয়ে যায়, তা নয়, তাহলে উপনিবেশবিরোধী যুদ্ধ হতইনা, কিন্তু একটা অংশ হয়ে ওঠে।

    না, ব্রিটিশ ভারত প্রসঙ্গে বলছিনা। বলছি 'স্বাধীন' ভারত এবং বাংলা প্রসঙ্গে। স্বাধীন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এর সবকটা লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। সাতচল্লিশ থেকে সাতান্ন, এই দশ বছরে এখান থেকে পুঁজি লোপাট হয়ে গেছে। কী করে গেছে? বঙ্গবাসী লাটে তুলেছে? না। খোঁজ নিলে দেখবেন, দেশভাগের আগে বাংলা ছিল ১৮টা ব্যাংকের প্রধান কেন্দ্র। তার একটা বাদে বাকি সবাই লাটে ওঠে দশ বছরের মধ্যে। দেশভাগের চক্করে। পুঁজি ওখানেই খতম। আর সম্পদ চালান হয় মাশুল সমীকরণ নীতি দিয়ে। কয়লা, লোহা, দিল্লির সরকার নিজের গাঁটের খরচা করে চালান দেয় অন্যত্র। ভারতের পশ্চিম প্রান্তে তৈরি হয় পুঁজির রমরমা। শিল্পের একচেটিয়া ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়, পশ্চিমী এবং দক্ষিণী শিল্পগোষ্ঠীদের হাতে। বাংলার সম্পদ নিয়ে মাল তৈরি করে বেচা শুরু হয় বাংলায়। কৃষি উৎপাদনও কমে, উদ্বাস্তু সমস্যায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে বাংলা, মন্বন্তরের পর আরেক দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। গোটা পঞ্চাশ এবং ষাটের দশক ধরে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই চলতে থাকে খাদ্য আন্দোলন। সে তো বামপন্থীদের কারণে হয়নি, অভাবের জন্য হয়েছিল। 

    এ তো লুঠতরাজের গপ্পো। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনটা আরও চমৎকার। বিধান রায় থেকে জ্যোতি বসু, নানা বিষয়ে দ্বিমত ছিলেন, কিন্তু চিঠিচাপাটি পড়লে জানা যায়, এই লুঠে নেওয়ার বিরুদ্ধতায়  তাঁদের আশ্চর্যজনক ঐকমত্য। কিন্তু তার পরেও এখানে তৈরি করা হয় উচ্চশিক্ষিত এক শ্রেণী। যারা বারংবার বলতে থাকে, বাঙালিরা অপদার্থ। তারা আন্দোলন করে শিল্প তাড়িয়েছে, আর কিছু পারেনা, ইত্যাদি। সবকটা চালু ব্যাংকের লালবাতি জ্বালা কোনো আন্দোলনের ফলে হয়নি, মাশুল-সমীকরণ কোনো আন্দোলনের ফল না, আর মুম্বাইতে সেই সময় শ্রমিক আন্দোলন বাংলার থেকে বেশি জোরদার ছিল, এ সব্বাই জানেন, কিন্তু তারপরেও ওই প্রচার চলতে থাকে। একটা করে কারখানা লাটে ওঠে, আর প্রচার জোরদার হয়, ওই দেখ, বাঙালি আরেকটা কারখানা তুলে দিল। এসব বামফ্রন্ট জমানার গপ্পো নয় কিন্তু পঞ্চাশ বা ষাটের দশক থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এই প্রচার। জোরকদমে। 

    এর সঙ্গে সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন হিসেবেও উঠে আসে বোম্বে। কলকাতার শিক্ষিত শ্রেণীতেই ভর্তি ছিল জায়গাটা। ১৯৪৭ এ সিনেমার সর্বভারতীয় কেন্দ্র হিসেবে বোম্বের সঙ্গে পাল্লা দিত কলকাতা। ১০ বছরের মধ্যে, পুঁজি এবং বাজারের অভাবে তার সবকটা বড়ো স্টুডিও বন্ধ হয়ে যায়। কোনোক্রমে সাদা-কালো কম-বাজেটের ছবি বানিয়ে দিন গুজরান করতে থাকে বাংলা সিনেমা। এইটাকে বলা শুরু হ্য় স্বর্ণযুগ। বাংলার শিক্ষিত শিল্পীরা, হ্যাঁ, সলিল চৌধুরি, হেমন্ত, সমেত কেউ এই বিপর্যয় নিয়ে মুখ খোলেননি। বোম্বেতে গিয়ে সিনেমা করেছেন, সেটা বড় কথা না, রুটি-রুজি-খ্যাতির  জন্য অনেকেই অনেক কিছু করে, কিন্তু বোম্বের অবিসংবাদিত শ্রেষ্ঠত্বকে কখনও প্রশ্ন করেননি। উত্তম-সুচিত্রা 'সর্বভারতীয়' হতে বোম্বেই যেতে চেয়েছিলেন, ওই স্বর্ণযুগেই, তার বছর পনেরো আগেই প্রমথেশ বড়ুয়া যা ফু দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

    বাংলা সিনেমা লাটে উঠতে অবশ্য আরও বছর কুড়ি সময় লেগেছিল, কিন্তু বোম্বের আধিপত্য সেই সাতান্ন সাল থেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত, যেটা পলাশীর ২০০ এবং মহাবিদ্রোহের ১০০ বছর। বাঙালি শিক্ষিত সম্প্রদায় ওই সময় থেকেই 'বাঙালির দ্বারা কিছু হয়না' এবং 'সব বাঙালির দোষ' এই প্রচারাভিযান শুরু করেন। সাংস্কৃতিক আচরণের মানদন্ড হিসেবে বোম্বেকে তুলে ধরা হতে শুরু করে। অনুকরণপ্রিয়তার জয়গান শুরু হয়। যেকটি বুদ্ধিমান, শক্তিমান লোক বাংলায়  তৈরি হয়, বোম্বে পাড়ি দেওয়াটা তাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। আর এখানে মূলত তলানিটুকু পড়ে থাকে।

    পুরোটাই একই প্রক্রিয়া। সম্পদ-চালান এবং মস্তিষ্ক চালান এই দুটো তো আলাদা কিছু না। ব্রিটিশ জমানায় এই চালান নিয়ে কিছু বৌদ্ধিক ব্যক্তিত্ব খুব তাড়াতাড়িই বুঝতে পেরেছিলেন, দাদাভাই নওরজির বই তো এখনও অবশ্যপাঠ্য, কিন্তু বাংলার কোনো ঐতিহাসিক, অর্থনীতিবিদ, এই নিয়ে প্রায় কিচ্ছু লেখেননি বলেননি। রণজিৎ রায় একদা কিছু প্রবন্ধ লিখেছিলেন, অশোক মিত্র কিছু, ব্যস, ওই দুই ব্যতিক্রমেই শেষ। আমার মতো খুচরো লেখকরা কিছু লিখেছেন, সেসব ঠিক ধর্তব্য না। বাদবাকি সব্বাই, প্রকৃত 'শিক্ষিত' কেরানীর মতোই "আমরা কত খারাপ" বাণী প্রচার করে চলেছেন। ব্রিটিশ আমলের একটা বিরাট সংখ্যক ভদ্রলোক যেমন করতেন। দোষের কিছু নেই, উপনিবেশে এরকমই ঘটে থাকে। স্রেফ গায়ের জোরে তো আর উপনিবেশ টেকেনা, শাসকের মতাদর্শকে প্রচার করার কিছু স্থানীয় ধর্মযাজক সমবসমেয় থাকে। মস্তিষ্ক প্রক্ষালন যন্ত্র, আশ্চর্যজনকভাবে 'সচেতন' অংশের উপরেই সবচেয়ে আগে প্রভাব ফেলে। আবার আশ্চর্যনজনকভাবে তাদের কিয়দংশই অগ্রণী হয়ে মাছি-মারা-কেরানিদের ন্যারেটিভকে চ্যালেঞ্জও করেন। এখানেও তাই ঘটছে এবং ঘটবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debanjan Banerjee | 103.170.182.102 | ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১০:১২525975
  • @সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়

    একেবারে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রেখেছেন। এসময়ে ভীষণভাবে এই রকম কথাই বলা দরকার।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:a124:97d9:abea:1f34 | ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪৩525978
  • আমি তো ভাবতাম সিটুর মিলিট্যান্ট ট্রেড ইউনিয়নিজম এর জন্য বেশ কিছু কোম্পানি পব থেকে তাদের হেডকোয়ার্টার অন্য শহরে সরিয়ে নিয়ে গেছিল। সেই যে ছোটবেলায় বামপন্থীরা বলতো, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কম্পিউটার বার করে দেবো, আর অবাক হয়ে ভাবতাম এরা কি সমুদ্রের ঢেউকেও রুখে দেবে? আর সেই গ্যাট চুক্তির বিরোধিতা, বাপরে! তখন তো ​​​​​​​চতুর্দিকে ​​​​​​​সিআইয়ের ষড়যন্ত্র! ​​​​​​​
     
    আর মোটামুটি দশ পনেরো বছর আগেও পিসি আর মাওবাদিরা মিলে নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুরে এমন আন্দোলন করলো যে তারপর থেকে পবতে বড়ো ইনভেস্টর বা শিল্পপতি সেভাবে আর কেউ আসেনি। অথচ অন্যান্য কিছু রাজ্যে, যেমন তামিল নাড়ু, কর্ণাটক বা মহারাষ্ট্রে, সেভাবে আন্দোলান হয়নি বা হলেও সেসব রাজ্যের সরকার সামলে নিয়েছে, ফলে সেসব রাজ্যে প্রচুর বড়ো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হচ্ছে। তো লার্জ ইনভেস্টররা যদি দেখে যে পবতে সারাক্ষন বিপ্লবী আন্দোলন চলে, তাহলে তারা কেন সেখানে যাবে বুঝলাম না। আর তাহলে পব থেকে ফ্লাইট অফ ক্যাপিটাল আর লেবার ইমিগ্রেশানও তো হবারই কথা। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪৬525979
  • খুব জরুরি লেখা। বাংলার লোকের মাথায় এটা যেদিন ঢুকবে, সেদিন বাঙালি মুম্বাই দিল্লির দিকে হাঁ করে না তাকিয়ে নিজের স্বার্থের দিকে তাকাবে।
  • Trust | 2402:3a80:1985:1a6b:378:5634:1232:5476 | ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১১:১৬525984
  • ভারতের টপ দশজন কোরাপ্ট পলিটিশিয়ান এর মধ্যে তিনটে তামিলনাড়ুর। এই রে !
    https://starsunfolded.com/list-of-most-corrupt-politicians-in-india/
  • upal mukhopadhyay | ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১১:২৯525987
  • খুবই তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ। আমি গঙ্গা যামুনি তেহজিব বিষয়ে মনোগ্রাফ বানাতে গিয়ে বেঙ্গল স্কুলের ইতিহাসকারদের মধ্যে কলোনির লুটের ইতিহাস সম্পর্কে ইচ্ছাকৃত নীরবতা লক্ষ্য করেছি। সেই ট্রাডিশন সামনে চলেছে আরকি !
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:a124:97d9:abea:1f34 | ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৪২525988
  • মোস্ট করাপ্ট রাজ্যের লিস্টে তামিল নাড়ু আট নম্বরে দেখে অবাক হয়ে গেলাম। আমি ভাবতাম তামিল নাড়ু আর কর্ণাটক নিশ্চয়ই প্রথম পাঁচে থাকবে! চেন্নাই আর ব্যাঙ্গালোরে তো দেখি ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হয় না। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:a124:97d9:abea:1f34 | ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৪৮525989
  • মহারাষ্ট্র, ইউপি, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিল নাড়ু, আর কর্ণাটক - এই রাজ্যগুলো মনে হয় করাপশানে সবার ওপরে থাকা উচিত। 
  • Trust | 2402:3a80:1985:1a6b:378:5634:1232:5476 | ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১২:২৪525993
  • তাইলে কি খাড়াইলো? ভারতের টপ কোরাপ্ট কিছু ইনডাস্ট্রিয়ালিস্ট - ব্যাংক লুঠ করে, টপ কোরাপ্ট কিছু পলিটিশিয়ানদের সংগে মিলেমিশে, টপ কোরাপ্ট স্টেটে, টপ ঢপের কিছু ইন্ডাস্ট্রি বানিয়ে, কিছু লেবারদের চাকরি দেবে। আর কিছু দালাল মিডিয়া আর ভক্ত গোকুল কন্ঠি জপবে।
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c8:c117:2901:794c:f321:193b:257f | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৪৫526235
  • খুব ভালো লাগলো।

    টালিগঞ্জের জীবন সন্ধ্যার ওপরে দেশভাগের কতটা অর্থনৈতিক  প্রভাব ছিল জানতে ইচ্ছে করে। ঢাকা চট্টগ্রামের সংগে আমরা কত দর্শক হারালাম?

    পূর্ব পাকিস্তানে একশো সিনেমা হল সেখানে কোনো স্টুডিও নেই ১৯৫৫ অবধি। বডুয়ার সব ছবি দেখেছে অবিভক্ত বাংলা (১৯৫০ থেকে তিনি অসুস্থ )। জুট শিল্পের ওপর পার্টিশনের ইমপ্যাকট পড়তে হয়েছে ইকনমিকস ক্লাসে কিন্তু চলচ্চিত্র থিয়েটার বই সংগীত এসবের কি হলো? এখানেও তো বাজারের গল্প ছিলো! 
  • অভিভূষণ মজুমদার | 117.227.13.65 | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২৪526247
  • ভীষন জরুরী কথা 
  • Sumantune | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৩০526270
  • কথিত আছে, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে প্রথমে তার সংস্কৃতি কে ধ্বংস করো...... ব্রিটিশ যেমন বাংলা ভাগ করে বাঙালির শিরদাঁড়া নুইয়ে দিয়ে গেছে, স্বাধীনতা উত্তর যুগে সুচতুর ভাবে বাঙালিকে অল্পে সন্তুষ্ট হবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, সামান্য বেতনে corporate এর দাসত্ব করে মিথ্যা আত্মসম্মান বজায় রাখার কৌশলে bonded Labour এw পরিণত করা হয়েছে।
    বামপন্থীদের বিরাট ভুল এটাই যে এঁদের policymaker রা শ্রমিক স্বার্থের নামে গায়ের জোর খাটিয়ে কারখানা গুলিতে অনবরত strike করেছেন, চাপ দিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোক ঢুকিয়েছেন, যারা কাজ না করে উপার্জন এর পথ বাতলেছেন এবং জনগনকে কেন্দ্রের বঞ্চনার দোহাই দিয়ে বঞ্চিত রেখে গেছেন। বামপন্থী দের সর্ববৃহৎ ব্যর্থতা এই যে ওঁরা বাঙালি কে ব্যবসা বিমুখ হতে সম্পূর্ণ সফল হয়েছেন এবং গরীবের আত্ম সম্মান এর নামে মেরুদণ্ড হীন এক মধ্যবিত্ত জাতি তৈরি করে দিয়ে গেছেন। বর্তমান সরকার ও তার অতিরিক্ত কিছু নয় ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন