এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মৃত্যুর গন্ধ

    Nabhajit লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৯৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মাটির নিচে সুড়ঙ্গ। সিমেন্ট বাঁধানো গলির ভেতর শুখনো ভয়ের গন্ধ। আঁধো অন্ধকারে দেওয়ালে ঝোলানো প্রায় বারোশো মামি। এক কোনে একটা কফিনে শোয়ানো আছে একটা বাচ্ছা মেয়ের মামি। মনে হচ্ছে যেন ঘুমিয়ে আছে একটা মিষ্টি মেয়ে। এই মামি-টা মনে হচ্ছে সবচেয়ে নতুন, মেয়েটির নাম ছিল রোসালিও লাম্বার্ডো, ১৯২০ সালে শিশুটি মারা গেছিলো দু বছর বয়েসে। বাকিগুলো খুব পুরোনো। পুরোনো মামি থেকে চামড়া খসে গেছে, চোখ এর গর্ত দেখা যাচ্ছে, কোনোটার হাড় দেখা যাচ্ছে, আঙ্গুল খসে গেছে। বেশির ভাগ মামিগুলো এখনো জামা কাপড় পড়ানো, কেউ টুপি পরে দাঁড়িয়ে আছে। এরা কারা? এরা ইতালির অবস্থাপন্ন লোকজন যাদের পরিবার তাদের মামি বানিয়ে রেখে দিয়েছিলো এই catacombe-এ।

    মৃতদেহ নিয়ে মামি বানানোর টেকনোলজি শুধু যে মিশরে দেখা গেছিলো তা নয়, পেরুতেও মামি পাওয়া গেছে অনেক। তাছাড়া গত কয়েক হাজার বছরে ইউরোপে মামি বানানোর চেষ্টা চলেছে বিভিন্ন দেশে। একদিন 'লোনলি প্ল্যানেট' এ sicily র ব্যাপারে কিছু পড়তে গিয়ে দেখলাম সেখানে নাকি এক পরিবার মামি বানাতো। এই মামিগুলো ঈজিপ্টের কাপড় জড়ানো মামি নয়। জামাকাপড় পড়ানো। প্রথমে চার্চ এর পাদ্রীদের মামি বানানো হতো তারপর ইতালির অবস্থাসম্পন্ন অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনের মামি বানিয়ে রাখতো।

    এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম সিসিলি-র উদ্দেশ্যে। ভালো বেদানার রস আর কমলালেবু খাওয়ার ইচ্ছাও ছিল। পালেরমো এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে নিজেই চালাবো আর sicily ঘুরবো। ভাবছিলাম 'গডফাদার' এর গ্রামেও যাবো। দুদিন এদিক সেদিক ঘুরে তৃতীয় দিনে চললাম catacoombe দেখতে। মাটির নিচে হাজার বারোশো মামি রাখা আছে।

    রোসালিওর মামি আজ থেকে একশো বছর আগে বানানো, সেই মামি দেখার আকর্ষণ দর্শকদের সবচেয়ে বেশি। আমিও সেই মামি দেখে অভিভূত। চামড়া এখনো নিটোল, গাল দুটো এখনো লাল। মনে হচ্ছিলো কোলে নিয়ে গালে একটা ছোট্ট চুমু দিই। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। এখানে আমার কোনো ভয় বা শিহরণের অনুভূতি হয় নি। আমি আর আমার মেয়ে অহনা এই সব মামি আর তাদের জামাকাপড় দেখে তাদের চরিত্র নিয়ে কল্পনা করছিলাম বা এক কথায় চরিত্রহনন করছিলাম মজাচ্ছলে। হঠাৎ দেখি একদল ভারতীয় ট্যুরিস্ট ঢুকেছে সেই catacombe এ। যা হয়, ভারতীয়রা মৃতের মর্যাদা দিতে ভুলে গিয়ে এই catabombe এর স্তব্ধতা ভঙ্গ করছিলো। 'ইধার আও', 'উধার দেখো' এই সব উক্তি কানে আসছিলো।

    মাথায় দুষ্টুমি ঢুকে গেলো। ভাবলাম এই ভারতীয় টুরিস্টদের সাথে একটু মজা করি। যা ভাবা তাই কাজ। একটা মামির সামনে দাঁড়িয়ে গেলাম। মামির মুখের খুব কাছে দাঁড়িয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছি আর অপেক্ষা করছি কখন ওই ভারতীয়র দল আমার কাছে আসবে। কিছুক্ষন এইভাবে দাঁড়িয়ে আছি দেখে কিছু লোক উৎসাহিত হয়ে আমার ধারেকাছে আসতে শুরু করেছে। মিনিট দুয়েক পর হঠাৎ একটা নাটক করলাম। মুখ দিয়ে একটা গোঙানোর আওয়াজ করে ছিটকে দু পা পেছনে লাফ দিয়ে পড়লাম। আমার এই লাফ দেখে ভারতীয়র দল ভয়ে চমকে উঠলো। কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করলো, 'কি হলো স্যার?'। আমি ভ্যাবাচেকা মুখ করে বললাম, 'এই মামিটা চোখের পাতা ফেললো, আমি দেখলাম'। সেই শুনে বেশির ভাগ লোক পড়িমরি করে সুড়ঙ্গ থেকে পালাতে শুরু করে দিয়েছে। কোনওরকমে হাসি সামলাচ্ছি, কিন্তু অহনা সামলাতে পারলো না। ওর হাসি দেখে লোকজন বুঝে ফেলেছে আমি মজা করছি। এর পর এক হাসির রোল উঠলো।

    ঠিক সেই সময় ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন বাংলায় বলে উঠলো, 'আরে, নভোজিৎ না?'। কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে এই সিসিলির catabombe এর অন্ধকার সুড়ঙ্গে, এতটা আশা করি নি। কে আমার নাম ধরে ডাকলো বুঝতে পারছি না। ভিড় একটু কমলে একজন এগিয়ে এলো। খুব চেনা লাগছে। হঠাৎ মনে পড়লো এই ভদ্রলোক আমার পাড়ার এবং স্কুলের বন্ধু দীপন। খুব রোগ হয়ে গেছে। তাই চিনতে একটু অসুবিধা হচ্ছিলো।
    - 'কি রে দীপন না?', বলতেই মাথা নাড়লো দীপন।
    দীপন এসেছে একটা ট্যুর কোম্পানির সাথে। একাই এসেছে কারণ ওর স্ত্রী কাজে খুব ব্যস্ত, আসতে পারে নি। দীপনের একটাই ছেলে, IITতে পড়ে। মেয়েকে বললাম তুই মায়ের সাথে থাক, আমি দীপনের সাথে বাইরে যাচ্ছি। দীপন আমার ছোটবেলার বন্ধু, প্রায় বারো বছর পর দেখা।
    catacombe থেকে বেরিয়ে এসে গল্প শুরু হলো। দীপন হাসছিলো।
    - কতদিন পর তোর সাথে দেখা বলতো? তোর দুষ্টুমির কথা আমার ছেলে আর বৌ সকলেই জানে।

    আমরা ছোটোবেলায় নৈহাটীতে থাকতাম। পরবর্তী কালে বাবা কল্যাণীতে বাড়ি করেছিলেন। আমি স্কুলে পড়তে খুব দুষ্টু ছিলাম। মাঝে মাঝে বন্ধুদের চমকে দিতাম। একদিন প্রভাস এসে বললো ওর ঠাকুমার অবস্থা খুব খারাপ। ডাক্তারবাবুর বাড়ি গিয়ে ওনাকে নিয়ে ঠাকুমাকে দেখাতে হবে। আমরা সেই শুনে সকলেই চললাম প্রভাসের ঠাকুমাকে দেখতে। আমি ঠাকুমাকে দেখে প্রভাসকে বললাম ডাক্তার দেখিয়ে আর লাভ নেই রে। বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করলো, 'কেন?'।
    আমি হঠাৎ বলে বসলাম - 'আমি মৃত্যুর গন্ধ পাই। ঠাকুমা আজ রাতেই চলে যাবেন। '
    এর পর স্কুল শেষ করে বাড়ি গেছি। রাতে বাড়িতে বসে হোমওয়ার্ক করছি, এমন সময় দীপন, প্রভাস আর দুজন বন্ধু আমাদের বাড়ি এসে হাজির। থমথমে মুখে বললো - ' ঠাকুমা চলে গেলেন'। আমিও একটু চমকে উঠেছি। কিন্তু ওদের চোখে মুখে আমার প্রতি এক ভয় মেশানো আস্থা দেখতে পাচ্ছি।
    এরপর পাড়ায় আর এক বন্ধুর মামা খুব অসুস্থ, দেখতে গিয়ে মনে হলো আমি সত্যি একটা গন্ধ পাচ্ছি। শ্মশানের গন্ধ। দীপনকে বলেফেললাম। দু দিনের মাথায় ওই বন্ধুর মামা মারা গেলেন। এবার দীপনের অবাক হওয়ার পালা। আমার 'ভাও' বেড়ে গেছে বন্ধুমহলে। মৃত্যু নিয়ে বড় বড় ডায়ালগ মারছি, লোকজন খাচ্ছে, আর কি চাই।
    আজ দীপন হাসতে হাসতে সেই কথাই বলছিলো।
    - কি বোকা ছিলাম আমরা, আর তুই ফালতু কথা বলে আমাদের বোকা বানাতিস। যাই হোক, দেশে কবে যাবি?
    আমি বললাম - ডিসেম্বরে যাবো। এবার ভাবছি নৈহাটী যাবো। তুই কি নৈহাটীতেই আছিস?
    দীপন বললো - হ্যাঁ, আমরা এখনও নৈহাটিতে, কলকাতায় চাকরি করি। রোজ যাতায়াত আর পোষাচ্ছে না। লেকটাউনে একটা এপার্টমেন্ট কিনেছি। মাঝে মাঝে সেখানেই থাকি। নৈহাটির আড্ডা ছাড়তে পারি নি।
    ঠিক যখন দীপনের সাথে আড্ডা জমে উঠেছে, তখন ওদের টুরিস্ট কোম্পানির গাইড হাঁকডাক শুরু করে দিয়েছে। ওদের যেতে হবে। হাত মিলিয়ে দীপন চলে গেলো, যেতে যেতে হাসতে হাসতে আবার জিজ্ঞাসা করলো - তুই কি এখনো মৃত্যর গন্ধ পাস? এবার দেশে গিয়ে আমাদের বাড়ি আসিস।

    তাড়াতাড়িতে দীপনের ফোন নম্বর নিতে ভুলে গেলাম। খুব আক্ষেপ হচ্ছিলো। বিকেলে হোটেলে ফিরে নৈহাটির বন্ধুদের খুঁজতে শুরু করলাম। আমাদের আরেক বন্ধু সুপ্রতীক এখনও নৈহাটিতে থাকে, ওর নম্বর আমার কাছে আছে। ভাবলাম সুপ্রতীককে জিজ্ঞাসা করে দেখি, দীপনের নম্বর নিশ্চই ওর কাছে থাকবে। আমরা শুধু স্কুলেই একসাথে পড়তাম তা নয়, আমাদের তিনজনের বাড়িও ছিল খুব কাছাকাছি। সুপ্রতীককে ফোন লাগালাম। দেশে এখন রাত প্রায় নটা বাজে। তিনটে রিং এর পর সুপ্রতীকের গলা।
    - কি ব্যাপার ভাই? এতদিন পর মনে পড়লো? শালা... এর পর আরো কিছু বিশেষণ ছিল, কিন্তু লিখতে পারলাম না।
    - কি করবো? কোম্পানি তো আমাকে ভেজা গামছার মতো নিংড়োচ্ছে, সময় পাচ্ছি না। একটা কথা বল তোর কাছে দীপনের ফোন নম্বরটা আছে?
    - ছিল, কিন্তু তোর কি দরকার?
    - ছিল মানে? এখন নেই?
    সুপ্রতীকের গলা ধরে গেলো হঠাৎ - নভো, জানি না এটা তোর টেলিপ্যাথি কি না! কাল রাতে দীপন আমাদের ছেড়ে চলে গেলো রে?
    - কোথায়? প্রায় চমকে উঠে আমি জিজ্ঞাসা করি।
    - দিন পনেরো আগে হঠাৎ দীপনের প্যানক্রিয়াস ক্যান্সার ধরা পরে, এতো তাড়াতাড়ি একজন চলে যেতে পারে আমরাও ভাবতে পারি নি। তোকে খবরও দিতে পারিনি - সুপ্রতীক কান্নাভেজা গলায় বললো।
    আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। কোনো আওয়াজ বেরোচ্ছে না আমার গলা দিয়ে। সুপ্রতীককে আজ দুপুরের আড্ডার কথা বলে বিব্রত করতে ইচ্ছা করলো না।
    সারারাত জেগে জেগে ভেবেছি, আমার মেয়েও আজ দীপনকে দেখেছে catacombe র ভিড়ে। ও যদি জানতে পারে যে আমার বন্ধু যখন আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো, তার অনেক আগেই ও পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছিলো এক অজানা দুনিয়ায়, তাহলে খুব ভয় পাবে। আমি দীপনকে নিয়ে আর কোনো কথা বলি নি আমাদের বন্ধুদের সাথে, বলতে পারি নি।










    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debanjan Banerjee | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৭525265
  • অসাধারণ গল্প | আপনার এই ধরণের অলৌকিক গল্পের প্লট টা বেশ ব্যাপক |
  • প্রসেনজিৎ | 2401:4900:1c64:5ae9:9d31:b0f9:d8ad:8b1b | ০২ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৫২525447
  • তুই বুদ্ধদেব গুহ হয়ে গিয়েছিস দেখছি। এরপর আনন্দবাজার তোর পেছনে পরবে।
  • নভজিত | 193.17.86.214 | ০২ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:১৬525448
  • অনেক ধন্যবাদ। দুএকজনের ভাল লাগলেই আমার ভাল লাগে। আমার মত লেখকের লেখা বাজারে কাটে না, প্রকাশকের গুদামে উইপোকায় বেশী কাটে। 
  • A Roy | 171.48.5.88 | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০৫525474
  • দারুণ হয়েছে।
  • Kuntal sankar De | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৫৩525508
  • অসাধারণ।
  • চন্দন ঘোষ। বিলাসপুর। | 2401:4900:51e0:8aa2:349d:b20f:b6ad:da49 | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১৯525521
  • খুব খুব ভালো লাগলো। এক টানে পড়ার মতো গল্পো।
  • দেবব্রত দাস | 2405:201:802a:e042:dc6b:d389:5a57:c2df | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৪১525526
  • এক কথায় অসাধারণ...
  • Kuntala | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৪:০১525548
  • ঝরঝরে লেখা, বেশ লাগলো। মামি, মৃত্যু আর মৃত্যুর গন্ধ  - সব মিলিয়ে একটানা পড়া গেল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন