এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ছ-ফুটিয়া

    MoRa মড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৩৫৬ বার পঠিত
  • একটা মেয়ে আমার সমান হাইট, কিন্তু মাথায় আমার চেয়ে একটু বেশি লম্বা দেখায় বলে বিয়ের কথায় রিজেকশন ছুঁড়ে মারল। ' আমার বাড়িতে সবাই লম্বা, তুই ঠিক খাপ খাওয়াতে পারবি না ' - এই কারণ দর্শিয়ে।

    কিন্তু এই লেখাটি সেই বিরহের আনন্দ-গান নয়। কিন্তু প্রশ্ন এই যে, আজ অব্দি কোন মহাপুরুষের খাপ খেয়ে গেছে শ্বশুর বাড়ির সাথে? আর আমি তো বাপু শ্বশুর বাড়িতে পড়ে খাচ্ছি না সারাজীবন, যাবো তো বছরে এক আধবার। তাতে খাপ খাওয়ানোর কি আছে? সেটাই কন দিকি...
    নাকি মনে মনে ঘরজামাই বানানোর ষড় কষছিল আমার প্রেয়সী?

    হৃদয়ঘটিত এই সব কেস-এ হ্যাশট্যাগ ইন্তেকাম নেওয়ার ব্যাপারটা মিম পেজ থেকে সিরিয়াস পর্যায়ে চলে গেছে। এইটের দুধেল দাঁতের ব্যর্থ প্রেমিক-সকল মাধ্যমিকে স্টার মার্কস পাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তা ভালই হয়েচে। বাপ্-মা হাতে পায়ে ধরেও, পিঠে বেতের লাঠি ভেঙ্গেও যা করাতে পারেননি, স্যাভেন-এ পড়া খুকিরা অনায়াসে তা করতে পারছে দেখে, প্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়েই চলছে দিনে-দিনে।

    আবার বলতে গেলে এই অতিরিক্ত শ্রদ্ধার কারণেই আজকের এই রিজেকশন। কবে যে ডজ দিতে গিয়ে স্লিপ খেয়ে পেরেমে পড়লাম..... ছাড়ুন ওসব আষাঢ়ে-গল্প। কিন্তু কই, আমার ' ইন্তেকাম ' নেওয়ার তো কোনো ইচ্ছে জাগছে না এখনও অব্দি। তবে কি পেরেমের নিউ এডিশন আমার বুঝতে ভুল হয়েছে?
    এই যে একটা মেয়ে শুধু মাথায় উঁচু বলে, আমাকে বিয়ে করার কথায় মুখ ফিরিয়ে নিলো, আমার কি উচিত হয় না যে কাল থেকে শিরীষ গাছে সকাল থেকে সন্ধ্যে অব্দি ঝুলে থাকা? হাইট বাড়বে না তার বাপ বাড়বে..! পাঁচ ফুট সাড়ে সাত থেকে ঝুলে ঝুলে ছয় কিম্বা সাড়ে ছয় হয়ে দেখিয়ে দেওয়া যে, হাইট কোনো ব্যাপারই না মনটাই যথেষ্ট।

    কিন্তু লিকলিকে শুঁটকি মাছের মত তেইশ বছরের জীর্ণ হাতগোড় নিয়ে গাছে উঠতে যে মাথা ঘুরবে না, সেই গ্যারান্টি কেউ দিচ্ছে না। তাই ইন্তেকাম নেওয়ার কাজটা মুলতুবি রয়ে গেছে। 
    বই-পত্তরে মাথা গুঁজে সময় তো কাটছিলো "হ্যাহ্যা" "খ্যাখ্যা" করে কিন্তু কলম চালানোর কাজ এলে ভাতঘুমের হাই উঠতো সেকেন্ডে সেকেন্ডে।
    নাহলে কিছু যুগান্তকারী লেখাজোকা করে ফেলতে পারতাম। যার এক আধটার নাম 'ছ-ফুটিয়া' দিয়ে দিলে তো 'মাওয়া! জমে খীর'।

    কিন্তু মাওয়া ব্যাপার হলো গিয়ে খীরের মত ল্যাদল্যাদে তরল একটা সম্পক্কো, দৈর্ঘ্যের মত একটা অসংগত বিষয়ের কারণে বিয়োগ থেকে ভাগ হয়ে গেলো বলে আফসোস থেকেই যাচ্ছে যে সূত্রটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। তবুও আওকাত বা খেমতা'র আয়তন নিয়ে সম্পক্কের মাপজোকে গন্ডগোল হলে ব্যাপারটার একটা থিতু হতো, কিন্তু দৈর্ঘ্য....? না,না, দেশটা নিশ্চিত রসাতলে যাচ্চে!!
    আর যাবি তো যা, তা বলে ব্লক করে যাওয়ার কি কারণ তাও বুঝে ওঠা সম্ভব হইতাসে না।

    ঘরকুনো বালিশপ্রিয় মনটাকে এমন এক অস্বতিতে এনে ফেললি মুখপুড়ি..... পৌরভ্যাট অগ্রাহ্য করে এর থেকে অনেক স্বস্তিতে রাস্তায় কলার খোসা, পানের পিক, প্লাস্টিক বোতল ফেলা যায়। মন যদি ভাঙ্গারই ইচ্ছে ছিল তো ভালো করে ভাঙতি, আপাতত গালিব হওয়ার চেষ্টা চালাতুম। এ কেমন বিচার! না ইন্তেকাম নেওয়া যাচ্ছে, না  গালিব হওয়া....!!
    আচ্ছা আপনারাই বলুন, একে, থুড়ি! অ্যাকে তো লম্বায় সেইম, তোকে না হয় একটু লম্বা দেখায়, তা নাহয় বিয়ের দিন আঙ্গুলে দাঁড়িয়ে মালা পরিয়ে দোবো, আরে বাপু চুমু খেতে তো আর সিঁড়ি নিয়ে যাবো না। বুঝতে পারছি এতে ব্যাপারটার রোমান্টিকতা ক্ষুন্ন হবে, তুই না হয় একটু নুইয়ে পড়িস। হয়ে যেত সব সমস্যার সমাধান। 
    কিন্তু মুখপুড়ি কি করলি....?

    ব্রেকাপ নামক ব্যাপারটি এখন অনুষ্ঠান পর্যায়ে চলে এসেছে। বন্ধু-বান্ধবরা শীঘ্রই আমার পেমের ম্যাটার-টা জানতে পেরে গেলো এবং এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করল। শুধু আয়োজনটাই করলো। বন্ধু কুটুম ডেকে আসর বসলো। যাবতীয় কার্যকলাপে আমার অবদান রইলো পকেটটাকে গড়ের মাঠ বানিয়ে ফেলা। এই অনুষ্ঠানের ক্ষতি বই কোনো লাভ আছে কিনা আমি জানিনা। আসর ভর্তি যারা এসেছে, তারা শুধু পাওনার লোভেই এসেছে, কারণ আসরের মধ্যম পর্যায় অব্দি, যতক্ষণ সবাই ঝিম মেরে যাচ্ছে ইথারের দাপটে, ততক্ষন কেউ আপনার মুখের দিকেও তাকাবে না। তারপর সুন্দর করে আপনাকে গল্পটা আঠারবার বুঝিয়ে বলতে হবে। সবশেষে কেউ একজন প্রশ্ন করবে, "তুই বলছিস এটা লং ডিসটেন্স সম্পক্ক, তবে সে তোর ইয়ে টা এতটুকু বলে জানলো কেমন করে? তুই কি ভিডিও কলে তোর ইয়েটা দেখিয়েছিলি? তুই তো জানতি তোর ইয়ে টা ছোট, তবে তুই খামোখা ভিডিও কলে দেখাতে গেলি কেনো? সামনাসামনি তবু বা......." 

    ( চাপা দীর্ঘশ্বাস! ওটুকুই ভরসা )

    আজকালকার সময়ে ইয়ে মানেটা বুঝতে একটু কষ্ট হয় বটে। কারণ মানুষ ইয়ের জায়গায় ইয়ে আবার ইয়েতেও ইয়ে বসিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু যে ইয়ের জন্য প্রেয়সী আমার সাথে বিয়ে টা ভেঙে দিল, সেই ইয়ে বুঝিয়ে উঠতে আমার বাপু আর ইয়ে নেই।

    'তোমায় হৃদমাঝারে রাখবো' শুনিয়ে ওদিক থেকে তো 'if one of us dies, i hope i die first' অব্দি চালাচালি শুরু হয়ে গেছিলো। আমি তো 'ঠিক তোর মতন কেউ ভালোবাসে না' ভেবেই নিয়েছিলাম, কিন্তু মুখপুড়ি তুই 'চিনতে পারলি না'। তাই কিছুদিন কিছুক্ষণ 'আমাকে আমার মত থাকতে দাও'। প্লেলিস্ট তো স্যাড সং-এ ভর্তি ছিল, এবার লুপে চলবে। খরা দুর্ভিক্ষ পীড়িত এই মনশহরে তুই ছিলি 'দখিনা হাওয়া'। থাক ওসব কথা। আপাতত যা বলা যায়, 'দিল সমহল যা জারা, ফির মহব্বত.....' অব্দি যেতে একটু সময় লেগে যাবে, তাই স্টে টিউনড। 
    আর তাহা না হইলে বাপু সব বাপ্ মায়ের দয়া। চাইলে গ্যাস সিলিন্ডারই এনে বিয়ের মণ্ডপে বসিয়ে দিলে দিবে বা খুঁজে খুঁজে তিরিশ বছর পুরোনো বান্ধবী কেলাসমেট এর অপরূপা, সংস্কারী তালগাছকেই পাত্রী হিসেবে ঠিক করুন না কেন, আমি ট-এ চন্দবিন্দুটিও করছি না।
    তবে বাপ্ তালে তালে রইলুম, আমার মেয়েটি হলে তোমার ছেলেকে যদি হাইটের খোঁটা না খাইয়েছি বিশটি বছর পর, তবে আর কিসের ইন্তেকাম! 
    দ্যাখ মুখপুড়ি, সাত ফুটের বর খুঁজে আপাতত ছ'ফুটিয়া ছেলে বানাতে পারিস কিনা....
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ং : | 182.160.100.45 | ০১ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৫৯524104
  • এই যে মুন্নী-তিন্নি দুই বান্ধবী সেই পনেরো বছর বয়স থেকে, তবে ওদের ভেতর স্বভাব থেকে চেহারায় কোন মিল নেই। মুন্নী পাঁচ চারের মত লম্বা, শ্যামলা আর হাল্কা-পাতলা, বড় বড় দুই চোখ। তিন্নি টেনে-টুনে পাঁচ তবে খুবই ফর্সা, একটু ছোট তবে কটা চোখ। ভার্সিটিতে উঠতে উঠতে দেখা গেল গোলাপী বর্ণ তবে মধ্যম বা অনতি মধ্যমাকৃতি ছেলেরা সব মুন্নীর চারপাশে আর তিন্নির চারপাশে গাঢ় শ্যামবর্ণ তবে ইয়া লম্বা সব ছেলেদের ভিড়। 
    ’মুন্নী বেছে বেছে সব পছন্দও করে-’ ভাবে তিন্নি, ’আমার পেছনেই যদি অত লম্বুরা ঘোরে তাহলে ত’ ও চাইলে অলিম্পিকের সাঁতারু ছ’ফুট আটের ম্যাটস বিওন্ডিকেও পেতে পারতো! তা’ না বেছে বেছে ফর্সা কিন্ত প্রায় ওর হাইটের সব ছেলেকে পছন্দ করে। রং কোন বিষয়? বিষয় ত’ হাইট!’ অবাক চোখে মুন্নীকে দেখে ভাবে তিন্নি। 
    ’তিন্নির নিজের সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। অত ফর্সা মেয়ের পাশে ঘুরছে সব কালো ছেলেরা- কাছে ঘেঁষতেও দেয়- হাহ্! হাইট কোন বিষয়? ফর্সা ছেলেদের কি এ্যারিস্টোক্রেটিক লাগে দেখতে- ঠিক যেন নজরুলের গানের ’অরুণ কান্তি কে গো তুমি ভিখিরি-’ ঠোঁট উল্টে ভাবে মুন্নী। 
    এভাবেই মুন্নীর প্রথম বিয়ে হলো পাঁচ চারের এক ছেলের সাথে কিন্ত কপালগুণে সে ঠিক অরুণ কান্তি-ও হলো না। একদম উল্টো। তার প্রতি প্রেমেই এত পজেসিভ হলো মুন্নী যে ভয়ে তিন্নিকে ডিপার্টমেন্ট ছেড়ে অন্য বিভাগে যেতে হলো। মুন্নীর সারাক্ষণই এক সন্দেহ যে ওর ছেলে-বন্ধু না তিন্নির রঙে গলে যায়! 'কি গাধা এই মুন্নী- ওর পাশে আমি কিছু? কিন্ত ফর দ্য ফ্রেন্ডসশীপস সেক- অপছন্দের সাবজেক্ট নিতে হলো। বাসার সাথে তা-ও ফাইট দেয়া গেছে- বান্ধবীর সাথে?’ তিন্নি অপছন্দের সাবজেক্ট পড়তে পড়তে চোখে মোছে। মুন্নীর দ্বিতীয় বিয়েও হয়েছিল পাঁচ ছয়ের আর একজনের সাথে- সে-ও অরুণকান্তি নয় অবশ্য। আর দু’টো বিয়ে ভাঙ্গার পরে প্রায় বিদেশীদের মত ফর্সা দু/একজন বয়ষ্ক পুরুষের সাথে তাকে দেখা গেছে। 
    ’ওর আসলে অমন কারো সাথে বিয়ে হলে বিয়ে ভাঙ্গতো না। মনে মনে অমনটাই চাইতো। কিন্ত হরমোন এত পাগল করলে কিসের কি? প্রথম বিয়ে করলো কিনা ফার্স্ট ইয়্যারে- আঠারো পার না হতেই- হাহ্!’ ঠোঁট উল্টে ভাবে তিন্নি। 
    তিন্নি অবশ্য পৃথিবীতে একটি বিষয়েই সাবধানী। সাবধানী হতে হতে সে পেরিয়ে গেছে জাগতিক সব বিয়ের বয়স। তাতে পৃথিবীর সব লম্বা ছেলেরা তার পাশে ঘুর ঘুর করে তার মাথা খেয়েছে । ত্রিশের আগে আগে- বয়সের তুলনায় অনেক অনেক দেরিতে মাত্র যখন সে বিপরীত লিঙ্গের মানুষদের কথা ভাবা শুরু করেছে, তখনি এক শ্যামলা লম্বু ও আর এক ফর্সা লম্বু দু’জন মিলে এমন গ্যাঞ্জাম শুরু হলো যে হইলেও হইতে পারিতো দু’জনার কাহারো সাথে একটি প্রেমের দু’টোই মাঠে মারা গেল। কারো সাথেই কিছু হয়নি (তিন্নির জীবনটাই অবশ্য এমন। কখনো বেকার থাকলে চাকরি হয় না হয় না, যখন হয় তখন এক সাথে দু’টো। তখন কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবে সেটা ভাবতে ভাবতে কখনো দু’টোই হাতছাড়া হয়ে গেছে। বাসায় এ নিয়ে তাকে ট্রলও শুনতে হয়।: ’দু’দেল বান্দা কামলা চোর/না পায় শ্মশান না পায় গোর।” )। প্রথম আর্তি শ্যামলা লম্বু জানানোয় তিন্নির মন সেদিকে ঝুঁকেছিল। শ্যামলার চুলও ছিল ঝাঁকড়া। কিন্ত সহসা উদিত হলো ফর্সা লম্বু। তিন্নি কাউকেই কিছু বলার অবকাশও পেল না। সবাই ফর্সা লম্বু তখন বেশি বিখ্যাত বলে তাকেই যে তিন্নি ভালবাসে সেটা নিশ্চিত হলো। তিন্নির অবশ্য ইচ্ছা ছিল জাস্ট কেটে পড়ার- আসলে কারো সাথেই কিছু না হবার। দু’জনই দূর থেকে দেখতে ভাল। সে ত’ ইসমত আরা মুন্নী নয়- তিন্নি ডি কস্টা। একে তার বড় এক পিসতুতো দিদি অন্য ধর্মে বিয়ে করে পিসেমশাই পাগলই হয়ে গেলেন, তাতে আবার! শেষমেশ কারো সাথে কিছু হয়ওনি। শ্যামলা লম্বু এখনো তাকে ’প্রতারক হ্যানো ত্যানো’ বলে ইন-বক্স করে। ভালই আছে দুই লম্বু- দু’জায়গায় বিয়ে করে। কিন্ত মুস্কিল হলো তিন্নি নিজে ছোট-খাটো হলেও তার চোখ এখন অবিরল তালগাছ পানে ধায়। এ সময়ে দূরালাপনীতে কারো সাথে আলাপ হতে না হতেই (ইনি তালগাছও নন- অরুণকান্তি কিনা তা-ও বোঝা যায় না তবে মানুষ হিসেবে অসাধারণ আর শ্যামলা লম্বুর বছরের পর বছরের অকারণ গালিগালাজ সহ্য করে তিন্নি তখন মাত্রই ’হয় এসপার নয় ওসপার’ হবে ভেবে সব লজ্জা-দ্বিধা ঝেড়ে প্রতিদিনই অন্তর্জালে ঝগড়া করছে এসব অকারণ গালিগালাজের জন্য)। কিন্ত এসময়েই অন্তর্জালে ভিনদেশী এত তম্বুরিন বাদকের সাথে তর্কের প্রেক্ষিতে- কি কপাল তিন্নির- আবার অন্তর্জালে হৈ চৈ শুরু হলো যে তিন্নি তম্বুরিন বাদকের সাথে প্রেম করছে- এদিকে দূরালাপনীর মানুষটি এতে স্তব্ধ হয়ে গেল। তম্বুরিন বাদকের ঠিক মুন্নীর মত প্রেমিকাকে অন্তর্জালে দেখে মজা লাগে তিন্নির। তম্বুরিন বাদক নিজে যেহেতু অরুণকান্তি তবে ছ’ফুটিয়া নয়, সে যত ছটফট করুক- সামনা-সামনি দেখলে শ্যামাঙ্গী, দীর্ঘকায়া প্রেমিকাতেই তার মন স্থির থাকবে  নিশ্চিত - বিকজ অপোজিট এ্যাট্রাক্টস। তবে তম্বুরিনবাদকের লাগাতার নানা চিঠি-পত্র আর তম্বুরিনের সুর তার মন্দ লাগে না। সেজন্য কৃতজ্ঞতা হিসেবে তম্বুরিন বাদককে নিয়ে কিছু কবিতাও না হয় লেখা যায়- কিন্ত দূরালাপনী কি দোষ করলো? না- না- সে ভারি অন্যায়। ওমা, আজ সকালে তম্বুরিন বাদক দেখি এক প্রজ্ঞাবান তবে অন্য আর এক শ্যামবর্ণ, দীর্ঘকায়কে নিয়ে ঠেস দিয়ে এসব কি লিখেছে? আরে উনি ত’ স্বয়ং প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো-না- ঠাট্টা নয়- তাঁর মত প্রজ্ঞাবানা মানুষের সাথে জড়িয়ে- ছি- ছি- তম্বুরিন বাদকের মাথা কি একেবারেই গেল? আরে -তম্বুরিন বাদক- তোমার না ঘর-সংসার আছে? তার উপর বোনাস একটা প্রেমিকা? আবার কি? আর সবচেয়ে বড় কথা- হয়তো সামনা সামনি দেখলে- অপোজিট লুকিং না বলে দু’জনই দু’জনকে দেখে খুব ডিসএ্যাপয়েন্টেডও হবার সম্ভাবনা আছে কিন্ত । বেটার ইউ প্লে ইওর তম্বুরিন এ্যান্ড লেট মি কম্পোজ মাই পোয়েমস। এ্যান্ড প্লিজ- নেভার বিহেভ সো জেলাস অর সো মিন লাইক দ্য ফার্স্ট লম্বু আই ওয়ন্স ওয়জ ইন্ট্রোডিউসড টু। 
  • মন | 171.51.134.75 | ০২ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:১৫524167
  • খুব সুন্দর
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন