এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কৃষ্ণবর্ণ মৎস্যকন্যা

    Mahua Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৩৫৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায়

    ‘প্রথম যখন হাঙ্গরের চোয়ালটা দেখতে পেলাম, খাঁচার অতো কাছে, ষোলো ফুট বিপুল শরীর, শিকার ধরার সময় তার লেজের ঝাপ্টা, এক মুহূর্তে মনে হচ্চিল, খাঁচার দরজা এখ্খুনি খুলে যাবে অথবা আমাকে নিয়ে খাঁচা গভীর সমুদ্রের নীচে। প্রত্যেকবার যখন কেল্পের জঙ্গলে মধ্যে দিয়ে গ্রেট হোয়াইট শার্কদের শিকার ক্ষেত্রে নামি, মনে হয় ধার করা সময়ে বাঁচছি। হয়তো এবারই শেষ।’
    জান্দিলে লোভু, ফ্রি ডাইভার, সাউথ আফ্রিকা

    আমি খেয়াল করে দেখেছি, আমরা সবাই আসলে সবসময় হিরো খুঁজে বেড়াই। তবে আমরা মানে সেই জনতা, যারা জীবনে কোনো ভিকট্রি স্ট্যান্ডে দাঁড়াই নি, কেজি স্কুলে একটা বসে আঁকো প্রতিযোগিতাতে থার্ড প্রাইজও পাই নি, ট্র্যাকে দৌড়োই নি, ক্লাসে ফার্স্ট হই নি, নজরুলগীতি কম্পিটিশনে কোনো জাজের মনে হয় নি লেগে থাকলে অনেক দূর যাবো - সেই সব মানুষদের কথা বলছি। এই আমরা সবাই কিন্তু গল্পে, খবরে, খেলা দেখতে দেখতে আর অবশ্যই সিনেমাতে হিরো খুঁজে বেড়াই। ফরেস্ট গাম্পে হিস্টোরিক্যাল রেফারেন্স, অভিনয় অন্য সব কিছু বাদ দিয়েও প্রত্যেক সময় যখন ফরেস্ট অসামান্য কাজগুলো অনায়াসে করে ফেলে, আমাদের ভেতরের অসফল মানুষটার মধ্যে আনন্দের বুদ্বুদ ফাটে। বাকি সময় খবর রাখি না, কিন্তু অলিম্পিক আমাদের কাছে স্বর্ণযুগ। সেই সময় অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার সব দেখি। জেতার পর যদি প্রায় অচেনা, পিছিয়ে পড়া দেশ থেকে আসা প্রতিযোগীরা ভিক্টরি স্ট্যান্ডে দাঁড়ায়, তাদের সাথে আমরাও কেঁদে ভাসিয়ে দি। তারপর মেয়ে হলে তো কথাই নেই। সেরেনা উইলিয়ামসের প্রত্যেকটা জিত আমাদেরও, মীরাবাঈ চানু আর সাক্ষী মালিকের জিত যেন অনেকটা বেশি অক্সিজেন ঢুকিয়ে দেয় আমাদের ফুসফুসে। মনে হয়, এদের প্রত্যেকটা মাসলে একটু হলে যেন আমাদেরও শক্তি আছে। আমাদের অকিঞ্চিতকর যাপনের রোজকার স্ট্রাগল, ব্যর্থতা সব যেন ওদের প্রত্যেকদিনকার প্রস্তুতিতে, প্রত্যেকটা জেতা, হারায়। আর শুধু স্পোর্টস কেন? ইসরোর মহিলা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কপালে টিপ্ আর বিনুনিতে ফুল লাগানো ছবি যখন বিবিসির পাতায়-আমাদের পা তখন আকাশে। নিউজিল্যান্ডের প্রাইম মিনিস্টার জেসিন্ডা আর্ডেনের নেতৃত্বে যখন একটি বন্দুকজনিত গণহত্যার পর তার সরকার অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে গোটা দেশে অটোমেটিক মারণাস্ত্র নিষিদ্ধ করে দেয়, পৃথিবীর অপরপ্রান্তে আমেরিকায় বসে আমার সমস্ত রাষ্ট্রপতিদের ওপর ধিক্কার আসে। মনে হয় জেসিন্দা কেন পৃথিবীর অন্য গোলার্ধে?

    ২০২১ সালে, আমার এহেন হিরো সন্ধানী চোখ ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওর ওয়েবসাইট থেকে খুঁজে পায় এক কৃষ্ণা মৎস্যকন্যাকে-সাউথ আফ্র্রিকার তীরবর্তী সমুদ্রে। দীর্ঘ সরু সরু বিনুনীতে বাঁধা তার নীল চুল, তার পেশল, দীর্ঘ কিন্তু প্রায় তরল, শরীর সাঁতার কাটছে সমুদ্রের গভীরে-সেখানকার মাছেদের মতোই, অনায়াস। জান্দিলে লোভু - সাউথ আফ্রিকার ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী সমুদ্রে একজন ডুবুরী, একজন ডাইভিং শিক্ষক। আক্ষরিক অর্থেই তাকে বলা হয় ‘ব্ল্যাক মারমেড’। তবে প্রচলিত অর্থে আমরা যে ডুবুরীদের দেখি তিনি তা নন, তিনি একজন ‘ফ্রি ডাইভার’ - যারা অক্সিজেন ট্যাংক নিয়ে জলে নামেন না, যাদের কাছে তাদের ফুসফুসগুলোই তাদের অক্সিজেন ট্যাঙ্ক। আর তার শক্তিতেই জান্দিলে সমুদ্রের গভীরে প্রায় তিরিশ মিটার পর্যন্ত নামেন। একশো ফুট গভীর সমুদ্রে, অক্সিজেন ছাড়া নামা, অক্সিজেন ট্যাংকের কৃত্রিম বুদ্বুদের থেকে, তার নিঃশব্দ ডুব তাকে অনেক বেশি করে সমুদ্রের নীচের পৃথিবীটাকে উপলব্ধি করায় - পাবলিক রেডিওতে শোনা লোভুর ইন্টারভিউয়ের এইটুকুই আমার মতো সাঁতার না জানা মানুষের নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট, কিন্তু সেখানেই তো শেষ নয়, কেমন ছিল তার ওই গভীরে পৌঁছনোর পথ? খাড়া চড়াই বলা যেতে পারে।

    প্রথম কারণ অবশ্যই তিনি মেয়ে। যখন তিনি কাজে যোগ দেন, সাউথ আফ্রিকার সডওয়ানা উপসাগর যেখানে সমুদ্রের তলার সৌন্দর্য স্কুবা ডাইভিং বা স্নর্কেল করে দেখার জন্য বহু মানুষ বেড়াতে যান, সেখানেএমনিতেই কোনো মহিলা ডুবুরি ছিল না, তার ওপর কৃষ্ণাঙ্গ? বর্ণবিভেদ, সাউথ আফ্রিকা থেকে নিষিদ্ধ হয়েছে মাত্র নব্বইয়ের দশকে। বর্ণবিভেদে সম্পূর্ণ অভ্যস্ত জান্দিলে, কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের জন্য নির্ধারিত গরীব শহর, সোয়েটোতে বড় হয়েছেন, সেখানে সুইমিং পুলের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। নামার জন্য যা পয়সা লাগতো, সেটাও তাদের ছিল না। ওই একই আর্থিক কারণে বহু কালো আর বাদামি বাচ্চাদের সাঁতার শেখা সম্ভব হতো না। তাছাড়া সমুদ্র তীরের যে জায়গাগুলো কালোদের জন্য নির্দিষ্ট থাকতো, সেখানে ছিলো পাথুরে এবড়োখেবড়ো বীচ। ভালো সমুদ্রতট যেখান থেকে সমুদ্রে আরামে স্নান করা যায়, সেখানে যেতে পারতো শুধু সাদারা। তার ওপর তার পরিবার রক্ষনশীল ছিল; বাড়ির মানুষজনের জলে ভয় ছিল। তার ঠাকুমা এহেন গেছো স্বভাব, মেয়েদের যা যা করা বারণ, জান্দিলের ঠিক সেগুলো করার ইচ্ছে, উদ্যোগগুলোকে কখনো ভালো চোখে দেখতেন না। এসব সত্ত্বেও কিন্তু জোর করে সাঁতার শিখেছিলেন তিনি। কিন্তু জীবনে সম্পূর্ণ অন্য পেশাতে প্রতিষ্ঠিত হন তিনি, কখনও ভাবেন নি তিনি ডুবুরি হবেন।

    সময় এগোতে থাকে। বয়স তিরিশ পেরিয়ে যাবার পর, বালিতে বেড়াতে গিয়ে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে তিনি প্রথম সমুদ্রের নীচের জগৎ আবিষ্কার করেন এবং সম্পূর্ণ প্রেমে পড়ে যান; বোঝেন, ওই জগৎটাই তার জায়গা। এতটাই সেই ভালোবাসা যে নিজের জায়গায় ফিরে এসে, পুরোনো পেশা ছেড়ে তিরিশ পেরোনো জান্দিলে ট্রেনিং নিয়ে পাল্টে ফেলেন তার কর্মক্ষেত্র আর একই সাথে তৈরী করলেন এক প্রথম নজির। তিনি হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ‘ডিপ সি ডাইভার’। কালো মানুষরা সাঁতার জানে না, পারে না - এই গল্পটাই পাল্টে দিলেন তিনি, রাতারাতি তার নাম হয়ে গেলো ‘ব্ল্যাক মারমেইড’। ওই একশো ফুট জলের গভীরের গিয়ে যখন প্রথম তিমিদের আওয়াজ শুনতে পান তিনি, সেই মুহূর্তটাই তো জয়ের মুহূর্ত, সাফল্যের মুহূর্ত, তার শারীরিক আর মানসিক শক্তি, আর তার সাথে প্রচুর সামাজিক বাধা পেরিয়ে একটা চূড়ায় পৌঁছনোর মুহূর্ত - ওইরকম মুহূর্তে আমি অনায়াসে কল্পনা করতে পারি তিনি জলের নীচ থেকে গোটা পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে মৃদু মৃদু হাসছেন আর হাত নাড়ছেন, আর আমার মতন অজস্র মানুষ তাতে রোমাঞ্চিত আনন্দাশ্রু মুছছে। কিন্তু সিনটা ঠিক তেমন হল না। এই পর্যন্ত এসে আমার হিরোর গল্পে একটা টুইস্ট এসে গেলো। ওই জয়ের মুহূর্তটা বিশেষ টিঁকলো না। কারণ মৎস্যকন্যা যখন তার নিজের সাফল্য নামক তলোয়ারে বর্ণবাদ, পুরুষতন্ত্র, শারীরিক বাধা সবকিছুকে কচুকাটা করে ফেলে সমুদ্রের গভীরে তার অভীষ্টে পৌঁছলেন, তখন তিনি কি দেখলেন? দেখলেন জলের নীচে প্লাষ্টিক, রংবেরঙের প্রবালে মৃত্যুর ফ্যাকাশে ছায়া। বিবেচনাহীন মানুষ আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সাগরের গভীরে। অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে। আর তার সাথে লুপ্ত হতে বসেছে সমুদ্রের নীচেকার কিছু প্রাণি-যেমন গ্রেট হোয়াইট শার্ক।

    কিন্তু জান্দিলে তো হিরো। আর হিরোরা তো লড়াই করা ছাড়ে না।

    তিনি সমুদ্র সংরক্ষণকারী দুই জীববিজ্ঞানী, যারা বিশেষত হাঙ্গরদের নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের সাথে মিলে তৈরী করেছেন সম্পূর্ণ মহিলা টিম। সাউথ আফ্রিকার সমুদ্রের যে অঞ্চলটাকে হাঙ্গরদের মুক্ত বিচরণক্ষেত্র বলা হয়, সেখানে তারা হাঙ্গরদের ট্র্যাক করেন এবং ওই ‘বেটিং রোপ’ যার মাধ্যমে ট্র্যাকিং যন্ত্রটা লাগানো হয়, যাতে তাদের স্থান পরিবর্তন, এত দ্রুত হারে লুপ্ত হবার কারণগুলো বোঝা যায়। সমুদ্রের গভীরে নিঃশব্দে পৌঁছে, যন্ত্রটা লাগানোর দায়িত্ব আমাদের ‘কালো মৎস্যকন্যার’। সেটা যে কি বিপজ্জনক, তবুও তিনি পৌঁছে যান সমুদ্র গভীরে, কেল্পের সবুজ জঙ্গলে। তার দীর্ঘ নীল বিনুনীরা মিশে যায় কেল্পের জঙ্গলে, কাছেই থাকে ক্ষুধার্ত হাঙরেরা।

    যখন এসব ভাবতে ভাবতে, জীবনে জলের ধরে কাছে না যাওয়া আমার ক্ষুদ্র কল্পনাশক্তি আর এঁটে উঠতে পারে না, তিনি আমাকে আবার চমকে দেন। জান্দিলে থামেন না। পরিবেশ দূষণের এই লড়াইতে তিনি নিয়ে আসছেন আগামী প্রজন্মকে। তিনি গড়েছেন ‘ব্ল্যাক মারমেড ফাউন্ডেশন’। সেখানে বিশেষ ভাবে আসছে তার নিজের কমিউনিটির কালো বাচ্চারা যাতে তারা ছোট বয়স থেকে সাঁতার শেখে। দীর্ঘ সময়ে পুষে রাখা সমুদ্রের ভয় কেটে যায়, তাদেরকে সমুদ্রকে ভালোবাসতে শেখাচ্ছেন, পরিচিত করাচ্ছেন সমুদ্রের নীচের উদ্ভিদ, প্রাণীদের সাথে। বলছেন কিভাবে মানুষের দোষে ধীরে ধীরে ধ্বংস হচ্ছে ওই পৃথিবী। নিয়ে যাচ্ছেন ওই পৃথিবীতে। তার আশা এদের ওপরেই। ছোট থেকে এই বীজ বুনে দিলে কোনো না কোনো ভাবে ভালোবেসে তারা যুক্ত থাকবে সমুদ্রের সাথে - তার করা এই লড়াই বন্ধ হবে না। এই লড়াই চালিয়ে যাবে আগামী প্রজন্ম।

    আর আমরা কে না জানি শিক্ষকদের থেকে বড় হিরো আর হয় না।

    Published in Daakbangla.com, October, 2022
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2607:fb91:149f:50ef:2d36:a414:3343:5e68 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:১২523277
  • ভালো লাগলো। সমুদ্র, ডাইভিং, হাঙর-ডলফিনের সাথে সাঁতার, সমুদ্রকে দূষণ থেকে বাঁচানো, এই বিষয় গুলোর সাথে আমার খুব আত্মার যোগাযোগ। এইসব নিয়ে কিছু লেখা হলে পড়তে খুব ভালো লাগে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f586:e475:115a:54c5 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:২৪523283
  • অসাধারণ 
  • স্বপন কুমার মণ্ডল | 45.251.234.47 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪৮523312
  • দারুণ ।
  • | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:২২523313
  • ভীষণ ভাল লাগলো। রূপকথাই বটে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন