এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বাকিসব  মোচ্ছব

  • বয়স একটা সংখ্যা বই তো নয়!  (১)

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    বাকিসব | মোচ্ছব | ২৮ জুলাই ২০২৩ | ৫৪২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • বয়স একটা সংখ্যা বই তো নয়!  (১)

    মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের গল্প। স্টেশন থেকে ট্যাক্সি নিয়ে আমার বন্ধু বিশাখার বাড়ি পৌঁছে চোখ জুড়িয়ে গেল। । চারপাশের রুচিসম্মত বাড়িগুলোর প্রত্যেকটায় সুন্দর বাগান। ফাগুন মাস। শীত যাই যাই করছে। ঘন গাছের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কোন কোকিল ডেকে ডেকে ফাটিয়ে দিচ্ছে।  
    কিন্তু বাগানের গেটে নেমপ্লেটগুলোর দিকে তাকিয়ে আমি অবাক। নামের ছড়াছড়ি। সেই নামের বেশ কয়েকটি মাঝে মাঝেই খবরের কাগজে বেরোয়। সবার নামের পাশে লেখা আই এ এস!
    বন্ধুটি খোলসা করল --এই সেক্টরে শুধু সরকারী আমলারা থাকেন। সেই হিসেবেই কুড়ি বছর আগে প্লট বিলি করা হয়েছিল।  কিন্তু অনেকেই রিটায়ার করেছেন, মায় আমার বন্ধুর বাবা শ্রীবাস্তব আংকল পর্য্যন্ত।
     বাগানের গেট খুলে ভেতরে গিয়ে বন্ধু বলল—তোর থাকার ব্যবস্থা ওপরের ঘরে। চল , চান-টান করে তৈরি হয়ে নে। বেলা দুটো বাজে। বাবা-মা অপেক্ষা করছে। একসঙ্গে খাবে।
    বাবা-মা? আমি ফের বুঝভম্বুল। যতদূর জানি আন্টি তো পাঁচবছর আগেই সংসারের মোহমায়া থেকে মুক্ত হয়ে গেছলেন। ফুসফুসের ক্যান্সার বেশি সময় দেয় নি। তাহলে?
    বন্ধু আমার অবস্থা অনুমান করে বলল-সব জানতে পারবি, আগে চান করে আয়। বেলা দুটো বাজে।
    ডাইনিং হলের দোরগোড়ায় হাসিমুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন আংকল, ধোপদুরস্ত সাদা পায়জামা -পাঞ্জাবি।  পায়ে হাত দেবার জন্যে নিচু হতেই হাতটা ধরে বুকে টেনে নিলেন।
    --সরি আংকল, আমার জন্য আপনাদের খাওয়ার দেরি হয়ে গেল। আপনি তো ডাক্তারের কথা মেনে ঘড়ি ধরে খাবার খান।
    --কিছু না, কিছু না। তুমি এতদিন পরে এসেছ, তোমার খাতিরে আজ একবেলা দেরিতে খেলে ভগবান রাগ করবেন না। আর পেট খালি রাখি নি তো! নির্মলা আর আমি এক এক বাটি গরম সুপ খেয়ে নিয়েছি।
    নির্মলা? আমার চোখে প্রশ্ন।
    -ওহো, তোমার সঙ্গে পরিচয় করানো হয়নি। কই গো, এদিকে এস। সুনীল এসেছে।
    --ওয়েল কাম! ওয়েল কাম! সুস্বাগতম!
    বড় বড় ঝকঝকে দাঁতে অমায়িক হেসে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এক মাঝবয়েসি মহিলা। পরনে একটি সুন্দর ডিজাইনের ম্যাক্সি, চুড়ো করে বাঁধা চুল।
     –আমার নতুন মা!
    মা? দেখলে মনে হয় বিশাখার দিদি, মেরে কেটে  বোধহয় পাঁচ বছরের বড়।
    কৃত্রিম কোপে চোখ পাকিয়ে উনি জবাব দেন—অ্যাই বলেছি না? খবরদার আমাকে মা-মাসি ওসব বলবি না। আমরা দুই বন্ধু- নির্মলা ও বিশাখা।  আর আজ থেকে তুমিও আমাদের গ্রুপে যোগ দিলে সুনীল।
    আমি বলি –আন্টি, বলছিলাম কি—
    --ফের আন্টি! এমন অবাধ্য হলে ঝগড়া হবে। শোন সুনীল। তোমার আংকলের মুখে সব শুনেছি। তোমার বাবা জবলপুর শহরে ওনার কলীগ ছিলেন। এক পাড়াতে থাকতেন। তুমিও ওখানেই জন্মেছ, বড় হয়েছ। বাকি কথা খাওয়ার পরে হবে। চিকেন বিরিয়ানি রেঁধেছি।
    খাওয়ার পর আমরা বারান্দায় বেতের চেয়ারে বসে গল্পে মেতে উঠি। রোদ্দূর পড়ে আসছে, হাওয়ায় গরম ভাবটা চলে গেছে।
    আংকল আমার উসখুস ভাব লক্ষ্য করেছেন।খানিকটা আশ কথা পাশ কথার পর হঠাৎ বলে ওঠেন—তোমার কৌতুহল হচ্ছে না সুনু? এই কেন এ’বয়সে আবার বিয়ে করলাম?  সত্যি কথা বলি? নির্মলার সঙ্গে পরিচয় না হলে হয়ত করতাম না।
    আমি চুপ করে থাকি। ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশাখা।
    -দাঁড়াও দাঁড়াও! বাকি গল্পটা আমি বলব। ঠিক আছে বাবুজী?
    আংকল স্মিত হেসে সায় দিলেন।
    -আমার মাকে তুই ছোটবেলা থেকে দেখেছিস। নতুন করে বলার কিছু নেই, আমার বাবা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। এখন হল কি, মা চলে যাওয়ার পর বাবা একেবারে ভেঙে পড়ল।  মার জন্মদিনে আর বিবাহবার্ষিকীতে মোমবাতি জ্বালায়, তারপর একগাদা ড্রিংক করে বসে বসে কাঁদে। স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকল, চাকরিতে প্রবলেম তৈরি হচ্ছিল।
    আমি ব্যাপারটা খেয়াল করলাম। কথা বললাম দাদার সঙ্গে।  দাদার পক্ষে এক্ষুণি মন্ট্রিয়ল থেকে উড়ে  আসা সম্ভব নয়। কিন্তু ও কথা বলল একজন নামজাদা  ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের সঙ্গে। তারপর উনি দিল্লিতে ওনার পরিচিত একজন কাউন্সেলরের ঠিকানা দিলেন।  ভাইবোনে মিলে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করলাম। বাবাকে নিয়ে যেতে হবে কাউন্সেলিং এর জন্যে।
    কিন্তু বাবা কিছুতেই রাজি হল না।   কেন জানিস? আমাদের দেশে এখনও লোকে কাউন্সেলিং এর জন্যে ক্লিনিকে যাওয়াকে অসম্মানের মনে করে। ভাবে ও তো লোকে পাগল হলে বা  ডিপ্রেসন হলে অথবা শিজোফ্রেনিয়া হলে যায়।  বাবার কি কোন রোগ হয়েছে? তাহলে কেন যাবে?
     কী যে করি! ফের দাদার সঙ্গে কথা হল। এবার প্ল্যান বি।
    আর বললে বিশ্বাস করবি না, বাবা নয় আমিই কাউন্সেলিং এর জন্য একজন বড় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের কাছে গেলাম। উনি বললেন—তোমার বাবা নিঃসঙ্গ । এই অবসাদ কাটাতে আর একবার বিয়ে করতে বল। উনি লজ্জা পাচ্ছেন। ভয় পাচ্ছেন পাছে তুমি ভুল বোঝ।
    বললাম, আমি কেন ভুল বুঝব?
    -যদি তুমি ভাব যে বাবা তোমার মাকে ভুলে যেতে চান, এ’বাড়ি থেকে তোমার মায়ের স্মৃতি একেবারে মুছে দিতে চান?  তুমি তো বললে যে তোমার মা ছিলেন ইন্টিরিয়র ডিজাইনার।
    কথাটা খানিকটা সত্যি।  তুই তো জানিস শুনু --আমাদের বাড়ির সাজানো গোছানো সব তো মায়ের নিজে হাতে করা। মায় বাগানের দোলনাটা এবং বারান্দায় বেতের চেয়ারগুলোর ডিজাইনও। আমি ওনার কথা শুনে দোটানায় পড়ে গেলাম। রাতের ঘুম উপে গেছল। শেষে ঠিক করলাম – মাকে হারিয়েছি। এখন যে করে হোক বাবাকে বাঁচাতে হবে।
    আমি তখন গিয়ে বাবাকে চেপে ধরলাম— এসব চলবে না। মদ গিলে কান্নাকাটি তোমাকে মানায় না। নিজেকে খেলো করছ কেন?
    --আমি আর কী করতে পারি? আমার পরের দিন সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না।
    --মেলোড্রামা ছাড় , তোমাকে বিয়ে করতে হবে। বাবা রেগে গেল—এই বয়সে বিয়ে?
    আংকল হেসে উঠে বললেন— এর জবাবে তোমার বন্ধুটি কী করল জান সুনু?  বলল – হ্যাঁ, এই বয়সেই। এখন বিয়ে করবে মাঝে মাঝে কাঁধে মাথা রেখে কাঁদার জন্যে। জমে থাকা কান্নাগুলো বের করে দিতে হয়।  নইলে বাঁচা কঠিন।
    এমন ডায়লগ শুনে আমার মুখে একটা হাসি ফুটে উঠল। বিশাখা কলেজে আমাদের স্কিট বা নাটকের ডায়লগ লিখত।
    --এবার বাকিটা শোন। নির্মলা আমার থেকে দশ বছরের বড় বুঝলি? আমরা একই কলেজে পড়াই। ও আমাদের ইংলিশের এইচ ও ডি । আগে ওকে রাজি করালাম। ও তো ভাইবোনকে মানুষ করতে গিয়ে বিয়ে করার সময়ই পায়নি।
    আমি নির্মলার দিকে তাকাই। উনি হেসে বললেন—শেষ কথাটি আমি বলছি। আমি আর উনি এই বাড়িতে এমনই ভাবে বারান্দায় বসে কথা বললাম। উনি বললেন—আমি পনের বছরের বড়, মানিয়ে নিতে পারবে তো?  আমি বললাম—এত ভাববেন না। বয়েস একটা সংখ্যা বই তো নয়!
    কিন্তু উনি একটা শর্ত রাখলেন। বড়দি মানে বিশাখার মায়ের ছবি ওনার বেডরুমে থাকবে, ওটা সরানো চলবে না। আমি মেনে নিলাম। দুটো মাস কাটল। তারপর বিশাখা একটা কান্ড করল। উনি একদিন মর্নিং ওয়াকের পর ঘরে এসে চেঁচামেচি জুড়লেন—দেয়াল থেকে ছবিটা কোথায় গেল?
    আমি সত্যিই জানতাম না। রান্নাঘরে ব্যস্ত ছিলাম। তারপর কলেজে যেতে হবে। এমন সময় বিশাখা এসে শান্ত ভাবে বলল -ছবিটা আমি নিয়ে গেছি, আমার ঘরে টাঙিয়েছি। মা তো আমারও।
    ==================================================
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • jsl | 192.139.20.199 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ০০:০৩740413
  • রঞ্জনদাকে অনেকদিন দেখি না, ভাবছিলাম।
  • মতামত  | 165.225.8.106 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৭:০৭740425
  • এটা কি অনেকগুলো এরকম ঘটনার কোলাজ হবে? 
  • Ranjan Roy | ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৮:৫৩740430
  • চারটে ভেবেছিলাম। 
  • :|: | 174.251.160.133 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৮:৫৪740431
  • নানা এটা টিকটিকি কাহিনী হবে। সুনীল তো গোয়েন্দা। 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৯:১৯740432
  • yessmiley
    আম্মো ভাবছিলুম ছোকড়া বুড়োটি গেলেন কোথায়! এইবার নিচ্চিন্দি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন