এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • খেরোয়াল জাতির উপকথা 

    TANJAN BOSE লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ জুলাই ২০২৩ | ৪৭৮ বার পঠিত
  • #বাংলার_উপকথা ৩

    খেরোয়াল জাতির উপকথা

    বাংলার উপকথা সিরিজের এটি তৃতীয় কিস্তি। আসলে এই গল্পগুলো মূলত টিটিনের জন্য বানানো। রোজ রাতে বাবুকে গল্প শোনাতে হয়। প্ত গল্প পাব কই? তাই গল্প শোনানোর ছলে ইতিহাস, ভূগোল, উপকথা, রূপকথা যা সেই সময় পড়ছি তার থেকে ওর মতন করে গল্প বানিয়ে ওকে শোনাই। ছোট্ট মেনুষটাও শোনে। এই বাংলার উপকথা জোগাড় করতে গিয়ে একটা জিনিস খেয়াল হল। বাংলা তো শুধুই বাঙালির নয়। তাই বাংলার উপকথায় বাংলার বিভিন্ন আদিম আদিবাসীদের উপকথাও উঠে আসছে বাঙালিদের নিজস্ব গল্প ছাড়া। লেখাটা শুরু হয়েছিল ম্রো জাতির উপকথা দিয়ে। তৃতীয় কিস্ততে খেরোয়ালদের উপকথায় এসে পড়লাম। এইভাবেই এগোক।

    বর্তমান যুগে ভারতের আদিম আদিবাসীদের একটা বড় অংশ সাঁওতাল। সংস্কৃত সাহিত্যে এদের বলা হত কোল্ল জাতি। আদিম যুগ থেকে ছোটনাগপুর জুড়ে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার বিস্তৃত অঞ্চলে কোল গোষ্ঠী এখনো বিদ্যমান। এদের মধ্যে সাঁওতাল, মুণ্ডা, হো, জুয়াং, অসুর, বিরহর প্রায় চোদ্দটি পৃথক পৃথক দল তাদের ভাষা আর সংস্কৃতি নিয়ে বিদ্যমান। ভাষাচার্য সুনীতিকুমারের মতে সাঁওতাল কথাটা এসেছে সামন্তপাল থেকে। এর অর্থ সৈন্যসল। শ তিনেক বছর আগের সাহিত্যে সাঁওতাল শব্দ পাওয়া যায় না। মনে করা হয়, মধ্যযুগে বিভিন্ন সামন্ত রাজারা কোলগোষ্ঠীর বিভিন্ন লোককে ব্যবহার করত যুদ্ধে তাদের অব্যর্থ নিশানা আর নানা রকম অস্ত্র ব্যবহারের জন্য। এরাই সামন্তপাল। পরে সেখান থেকে এদের একদল সাঁওতাল নামে পরিচিত হয়। এদের নিয়ে অনেক গল্পই করা যায়। তবে আজকের গল্প খেরোয়াল মতে পৃথিবীর সৃষ্টি বা জম-সিম-বিনতি নিয়ে।

    #পৃথিবীর_সৃষ্টি

    পৃথিবী একসময় মানুষে ভর্তি ছিল। কিন্তু আস্তে আস্ত্র তারা পাপে ভরে গেল। তখন পিতা ঈশ্বর রুষ্ট হয়ে একটা হাতি সৃষ্টি করেছিল। নাম গজমতি। গজমতিকে স্বর্গ থেকে "তোড়ে সুতাম" এর সাহায্যে নামিয়ে পৃথিবীতে দাঁড় করানো হয়। আর সেই হাতি নেমে একবার পা নাড়া দিতেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায়। ওই সময় সমস্তই জলে ডুবে যায়। ১২ বছর জলে ডুবে থাকার পর ঈশ্বর আর দেবগণ বিচার শুরু করেন। তিরিশ বছর তারা শুধু বিচারই করেন। এরপর ঈশ্বর প্রথমে সিরম গাছের শিকড় দিয়ে হাঁস আর হাঁসলি সৃষ্টি করেন। সিরম গাছের উপর ঈশ্বরের ইচ্ছায় কারাম গাছ জন্মায়, তাতে পাখি দুটি বাসা বাঁধে আর ডিম পাড়ে। তারপর কাঁদতে কাঁদতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে এই বলে যে তাদের ঈশ্বর সৃষ্টি করলেও থাকার মতন মাটি নেই। শুধুই জল। তাদের যেন মাটি দেওয়া হয়। কুড়ি বছর ধরে তারা এই ভাবে কেঁদে আর বিলাপ করলে ঈশ্বর সব দেবতাদের জিজ্ঞাসা করেন যে কে এরকম কাঁদছে আর বিলাপ করছে। তখন মারাংবুরু এসে সব ঘটনা জানায়।

    তখন ঈশ্বরের ইচ্ছায় কচ্ছপরাজকে আনা হয়। এনে সোনার শিকল দিয়ে তার চার পা পূর্ব, পশ্চিম উত্তর দক্ষিনে বাঁধা হয়। অর্ধেক পৃথিবী আর কন্যার লোভে কচ্ছপ এই কাজে রাজী হয়। তাকে ঈশ্বর কথা দেন যে কুড়ি বছরে সে একবার নড়তে পারবে। এরপর পিতা ঈশ্বরের ইচ্ছায় মারাংবুরু কচ্ছপের পিঠের উপর সর্পরাজকে কুণ্ডলি পাকিয়ে রাখে। সর্পরাজও কুড়ি বছরে কচ্ছপের সাথে একবার নড়তে পারার প্রতিশ্রুতি পায়। এরপর মারাংবুরু সাপের উপর সোনার থালা উপুর করে বসিয়ে তার উপর মঞ্চপুরি বা পৃথিবীকে তোলার ব্যবস্থা করেন।

    প্রথমে ইচারাজ বা চিঙড়িরাজকে অর্ধেক পৃথিবী আর কন্যার লোভ দেখিয়ে আনে। চিঙড়ি দাঁড়া দিয়ে পাতাল থেকে মাটি তোলার চেষ্টা করে, কিন্তু অর্ধেক পথেই তা জলে মিলিয়ে যায়। তখন মারাংবুরু কেঁচোরাজকে একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে আসেন। কেঁচোরাজ এসে পাতাল থেকে মাটি কামড়ে পেটে রাখে আর থালার উপর মলত্যাগের মাধ্যমে সেই মাটি ফেলে। এইভাবে সেই মল লোশুৎ বুরুই বা মাটির ঢিবিতে পরিণত হলে মারাংবুরু তাতে বিভিন্ন শাক, শাল, বট, মহুয়া প্রভৃতি গাছের চারা পোঁতেন। মূহুর্তে সেগুলো মহীরুহয় পরিণত হয়। এরপর হাঁসের ডিম দুটো থেকে দুজন মানুষ সৃষ্টি করেন। এরা হলেন খেরোয়াল সমাজের আদি মানব আর মানবী, পিলচু হারাম আর পিলচু বুড়হি। এদের থেকেই পরে সমস্ত জগতের সৃষ্টি করেন।

    ভারতের ঐতিহ্য ইত্যাদি নিয়ে অনেকেই খুব চিন্তিত। ইসরোর তিরুপতি মন্দিরে যাওয়ায় অনেকেই ভারতীয় সনাতন ঐতিহ্য খুঁজে পাচ্ছে। কিন্তু খেরোয়াল সমাজ তো ভারতের আদিম সমাজ। এরা নিজেদের হর বলে। কথিত আছে হর পুরুষ হর অম্ব আর নারী হর অম্বা। এরাই মহাভারতে হিড়িম্ব আর হিড়িম্বা নামে পরিচিত। কিন্তু ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যে এদের নাম তো আসেনা। এদের কোন আচার বিচারকে তো মানা হয় না। শুধু ব্রাহ্মণ্যবাদই ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য? নয়। কিন্তু সেই ভাবেই প্রচার করা হয়। আর এতে ধুনো দেয় কিছু সত্যিকারের শিক্ষিত মানুষ, যারা ভারতের ঐতিহ্য সম্বন্ধে পড়াশুনা করে, বৈচিত্র্য সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। যে ইউনিয়ন সরকার ক্ষমতায় এসেছেই “মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে” শ্লোগান তুলে সেই ইউনিয়ন সরকারই মারাংবুররু পাহাড় ধ্বংসে উদ্যত। মারাংবুরু পুরুলিয়ার জল প্রকল্পের জন্য যে কটি পাহাড় ধ্বংস হবে তাদের মধ্যে একটি। কিন্তু আদিবাসীদের কাছে অন্যতম পবিত্র এই পাহাড়। উপরের লেখাতে দেখলামই মারাংবুরু অন্যতম প্রধান দেবতা। সারা পৃথিবীর সমস্ত মানুষের মঙ্গলসাধন করাই তাঁর লক্ষ্য। সারনা আর সারী ধর্মমতের মানুষদের কাছে তাই মারাংবুরু অতিপবিত্র তীর্থস্থান। ধুপ, ধুনা, চিঁড়া, আতপচাল নিয়ে মারাংবুরের থানে দিয়ে আদিবাসীরা নিজেদের জন্য, সন্তানদের জন্য সুখসমৃদ্ধির প্রার্থনা করেন। কিন্তু সভ্যতার লোভে ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছে এই আদিবাসীদের এই পবিত্র পাহাড়। অথচ নারকেল ফাটানোয় যারা ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যের খোঁজ পায়, তারা এই হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনে হিরণ্ময় নিরবতা পালন করে। কিন্তু কী আর করার। আজ বরং এইটুকুই থাক। পরে কখনো খেরোয়াল সমাজে পদবির উৎপত্তি কীভাবে হয় তাই নিয়ে লিখব।
    (নিচের ছবিতে পৃথিবীর সৃষ্টিতত্ত্ব। অবশ্য এতে কচ্ছপের মুখ পূর্ব দিকে)
    তথ্য এবং ছবি ঋণ
    খেরোয়াল বংশা ধরম পুঁথি
    মাঝি রামদাস টুডু রেস্কা।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2607:fb91:87b:8018:3273:c433:e14b:52e8 | ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:৪৭521557
  • ভালো লাগলো। উপকথা, লোককথা এইসব আমি খুব ভালোবাসি। এখানে বেশ কয়েকজনই ভালোবাসেন, চর্চাও করেন। আপনি আরো লিখুন। ডিটেলে লিখুন। এই লেখাতে বেশ কিছু টাইপো রয়ে গেছে। একটু দেখে ঠিক করে দিলে ভালো হয় আরো।
  • TANJAN BOSE | ২২ জুলাই ২০২৩ ২৩:৫০521562
  • অবশ্যই৷ টাইপোগুলো দেখে এডিট করে দিচ্ছি
  • &/ | 107.77.234.157 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০০:২৯521564
  • খুব ভালো লাগল। এইরকমই এক উপকথার উল্লেখ পেয়েছিলাম মহাশ্বেতা দেবীর লেখা গল্পে। উপকথার সেই পবিত্র আদি হংস আর হংসী দেখা দিয়েছিলেন দুটি বালককে।  
  • TANJAN BOSE | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৯:০৩521578
  • এই গল্পগুলো তো ধ্রুবক নয়৷ লোকমুখে পালটে যায়৷ মহাশ্বেতা দেবীর কোন লেখায় জানালে ভাল হয়৷ 
  • &/ | 107.77.236.189 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৯:৩২521643
  • মহাশ্বেতা দেবীর গল্পটার নাম যতদূর মনে পড়ছে, 'হুল '
  • Sara Man | ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৯:০৮521654
  • বাঃ, বেশ ভালো লাগল। আরও জানার অপেক্ষায় রইলাম। 
  • kk | 2607:fb91:87b:8018:900c:f422:a38e:1432 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৯:৩৫521656
  • হ্যাঁ, 'হুল'ই তো। সেই রাতা আর পাবন, আর মহন দাদা। খুব ভালো গল্পটা।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৩৪522042
  • TANJAN BOSE, আপনি জানতে চেয়েছিলেন মহাশ্বেতা দেবীর কোন লেখায় ওটা পড়েছি। উত্তরটি দেখলেন কি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন