এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • রবীন্দ্রনাথ ও টমাস মান: বাঙ্গালীর নোবেল ও জার্মানের নোবেল 

    Antareep Mandal লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ জুন ২০২৩ | ৪৮৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • রবীন্দ্রনাথ নোবেল ও সত্যজিৎ রায় অস্কার পেয়েছিলেন, বাঙালী হিসেবে এ আমাদের বড় গৌরবের স্থল। বাংলার বা ভারতের বাইরে এনারাই আমাদের মূল সাংস্কৃতিক রপ্তানি। বাংলা বা বাঙালীকে যে চেনেনা, তাকে বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত করানোর প্রথম ও প্রধান উপায় হল তাকে রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ সম্পর্কে অবগত করানো। এবং বহির্বিশ্বের কাছে এঁদের তুলে ধরার প্রাথমিক উপায় হল এঁদের এই নোবেল ও অস্কার।

    আমি এর ব্যতিক্রম নই। জার্মানিতে থাকাকালীন আমার ঘরে গীতাঞ্জলী ও শেষের কবিতার একটি ইংরিজি অনুবাদ সবসময় রাখা থাকতো, অবশ্যই আমার নিজের পড়ার জন্য নয়, কেউ যদি কখনো বাংলা ও বাঙালী নিয়ে আগ্রহ দেখায় তার হাতে ওগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আগ্রহ তো একতরফা হয় না, নিজের সংস্কৃতি সম্পর্কে অন্যকে আগ্রহী করতে তার সংস্কৃতি সম্পর্কে নিজেকেও আগ্রহ প্রকাশ করতে হয়।

    সেরকমই একবার সারারাতের মদিরাস্নাত হইহুল্লোড়ের পরের হ্যাংওভারের অলস সকালে এক জার্মান সহকর্মিনীকে এটাওটা ঘাঁটাঘাঁটির মাঝে গীতাঞ্জলীর ইংরিজি অনুবাদটি ধরিয়েছি ও রবীন্দ্রনাথকে তার কাছে পরিচয় করানোর ভূমিকায় প্রথম বা দ্বিতীয় লাইনেই তাঁর নোবেল প্রাইজের কথা উল্লেখ করেছি এবং যথারীতি গ্যেটে ব্যতীত তার প্রিয় জার্মান সাহিত্যিক সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। তো সে বলল যে তার প্রিয় সাহিত্যিক হল টমাস মান। এনার নাম আমি তখনো পর্যন্ত শুনিনি কখনো। তো কৌতূহলবশত জানতে চাইলাম যে ইনি কবেকার লোক, কী নিয়ে লিখতেন, কেন তার প্রিয় ইত্যাদি। তো তার কাছে জানলাম যে ইনি গ্যেটে, শীলার, হাইনরিখ হাইনেদের মত বেশী পুরনো লোক নন, প্রায় রবীন্দ্রনাথেরই সমসাময়িক, বরং তার চেয়ে বয়সে কিছু ছোট। তো তার কাজের বিবরণ শুনে কৌতূহলবশতই জিজ্ঞাসা করলাম, যে ইনি তো আধুনিক সময়ের, নোবেলপ্রাইজ পাননি? কারণ আমার উপনিবেশিত মগজে তখনো নোবেলপ্রাইজই সাহিত্যের শেষ কথা, সর্বোচ্চ ভ্যালিডেশন। কিন্তু এতে আমার জার্মান সহকর্মিনীটি একটি ভারি আশ্চর্য উত্তর দিয়েছিল: "জানিনা!"। উত্তরটি আরো আশ্চর্য কারণ পরে গুগল করে জেনেছিলাম যে এই টমাস মান ভদ্রলোক সত্যিই নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন, ১৯২৯-এ। কিন্তু যেখানে আমাদের রবীন্দ্রনাথের পরিচয়ের ভূমিকায় প্রথম পাঁচটি লাইনের মধ্যে আমরা নোবেলপ্রাইজের উল্লেখ আনি, সেখানে একজন জার্মানের কাছে তার প্রিয় জার্মান সাহিত্যিকের নোবেল পাওয়া বা না পাওয়াটা এতটা অকিঞ্চিৎকর একটি ডিটেলমাত্র! টমাস মান তার প্রিয় সাহিত্যিক কারণ তার টমাস মান পড়তে ভালো লাগে, ব্যস এটুকুই যথেষ্ট, এর বেশী তিনি নোবেল পেলেন না কৎবেল পেলেন সেটা তার কাছে আদৌ বিশেষ বিচার্য নয়। সেদিন সেই স্বাধীনচেতা জার্মানের কাছে জোর শিক্ষা পেয়েছিলাম ও উপনিবেশিত এবং স্বাধীন মগজের তফাৎটা বোধ করে মনে মনে একটু লজ্জিত-ই হয়েছিলাম।

    আচ্ছা বাঙালীর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ বা সত্যজিৎ রায়ের যে স্থান, তার কতটা আমাদের রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়তে ভালো লাগে বা সত্যজিতের ছবি দেখতে ভালো লাগে বলে আর কতটা তারা পশ্চিমের সর্বোচ্চ অনুমোদন লাভ করেছিলেন বলে? যদি তারা পশ্চিমের এই অনুমোদন না পেতেন...বা যারা এই অনুমোদন পাননি...তাদের আমরা বিচার করব কী উপায়ে? আমাদের নিজের রুচিতে, নিজের বোধবুদ্ধিতে? কিন্তু আমরা তো সেভাবে কখনো ভাবতে শিখিনি।

    রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীর খুব অনুরাগী না হলেও আর পাঁচটা বাঙালীর মত তাঁর প্রেম-পূজা-প্রকৃতি পর্যায়ের গান ও কবিতা আমাকেও খুবই নাড়া দিয়ে যায়। আবার একই সাথে এমন আরো অনেক বাঙালী সাহিত্যিক আছেন যাদের লেখা আমাকে প্রায় একই স্তরে আন্দোলিত করে। কিন্তু তাঁরা তো কেউ নোবেল প্রাইজ পাননি। ফলত তাঁদের কি আমরা রবীন্দ্রনাথের সাথে একাসনে বসাতে পারি? একইভাবে সত্যজিতের প্রতিটি ছবি-ই বহুবার করে দেখলেও, যে বাংলা ছবিটি আমি বোধহয় সবচেয়ে বেশীবার দেখেছি ও সবচেয়ে বেশী উপভোগ করেছি তা হল তপন সিনহার 'গল্প হলেও সত্যি'। এছাড়াও ঋতুপর্ণ, বিশেষত নারীচরিত্রের রূপায়ণে, সত্যজিৎকে অনেক জায়গাতেই ছাপিয়ে গেছেন বলে আমার মনে হয়। কিন্তু তপন সিনহা, মৃণাল সেন, ঋতুপর্ণরা তো কেউ অস্কার পাননি। তাদের কি আমরা সত্যজিতের সাথে একাসনে বসাতে পারি? আবার উল্টোদিকে 'নাটু-নাটু' দেখতে মগজের নাটবল্টু সব খুলে গেলেও অস্কার পেয়েছে বলে RRR-কে কি আমরা সত্যজিতের সাথে একাসনে বসাতে বাধ্য?

    আর পশ্চিমা অনুমোদনের স্ট্যাণ্ডার্ডটাও তো ধ্রুব চিরন্তন কিছু নয়। পশ্চিমা সমাজ নিজেই এখন একটা বিরাট টালমাটালের মধ্যে দিয়ে চলেছে। আজ থেকে একশো কি পঞ্চাশ বছর আগেও যে ধ্যান-ধারণা নিয়ে তারা চলত, আজ তারা তার থেকে একশো আশি ডিগ্রী ঘুরে গেছে। সেটা ভালো না খারাপ সেটা পরে বিচার্য। যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল যে বাঙালীর রুচি, দর্শন, জীবনবোধ সবই কি পশ্চিমের সাথে আবর্তিত হওয়ার জন্য চিরকালের জন্য বাঁধা পড়ে গেছে?

    এমনিতেই নোবেল অস্কার ইত্যাদি পুরস্কারগুলোর পিছনে কি ঘোরতর রকমের রাজনীতি চলে তার কিছুটা আভাস আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি। সেটা হয়তো সত্যজিৎ, রবীন্দ্রনাথের যুগেও চলত। IISER Kolkata-য় ফার্স্ট ইয়ারে একটা lecture শুনেছিলাম মনে আছে "How to win a Nobel prize"। তার উপপাদ্য বিষয় ছিল যে বিজ্ঞানে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করে ফেলাটাই যথেষ্ট নয়, নোবেল প্রাইজ পেতে সেটাকে যথাযথভাবে বেচতেও জানতে হয়, প্রাইজ কমিটির উপর কার প্রভাব কতটা সেটা জেনেবুঝে ঠিকঠাক নেটওয়ার্কিং-ও করতে হয়। এবং উদাহরণস্বরূপ সেই বক্তা দেখিয়েছিলেন যে সি ভি রামন কীভাবে খালি রামন এফেক্ট আবিষ্কার করেই ক্ষান্ত থাকেননি, বরং কী প্রচণ্ড মাপজোখ কষে নেমেছিলেন যে কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে, কার কাছে নিজের ছাত্রদের পাঠাতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। পদার্থবিদ্যার মত একটি ঘোরতর অবজেক্টিভ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেই যদি এই হয়, তাহলে সাহিত্য-সিনেমা-সংস্কৃতির মত সাব্জেক্টিভ বিষয়ে এহেন পশ্চিমা অনুমোদনের পিছনে রাজনীতির বহরটা সহজেই অনুমেয়। সেক্ষেত্রে আজ RRR অস্কার পাচ্ছে, কাল যথাযথ মার্কেটিং করলে ও রাজনৈতিক ব্যাকিং পেলে সলমন খানের ছবি বা আমাদের সেই 'বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না'-ই বা অস্কার পাবে না একথার গ্যারান্টি কে দিতে পারে! ফলত নিজেদের সাংস্কৃতিক বিচার-বিবেচনাকে এভাবে বহুলাংশে পশ্চিমা অনুমোদনের ভরসায় ছেড়ে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা ভেবে দেখারও বোধহয় সময় এসেছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • - | 185.220.101.25 | ২০ জুন ২০২৩ ২১:০৫520567
  • "রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী" নিয়ে আরো ডিটেলে লিখুন 
  • Joshita | 194.56.48.109 | ২১ জুন ২০২৩ ১৫:১১520607
  • ভালো লাগল
  • হীরেন সিংহরায় | ২১ জুন ২০২৩ ২১:১৮520609
  • অসাধারণ সহজ সাপটা কথা। অশেষ ধন্যবাদ । 
    আপনি বলেছেন, "পদার্থবিদ্যার মত একটি ঘোরতর অবজেক্টিভ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেই যদি এই হয়, তাহলে সাহিত্য-সিনেমা-সংস্কৃতির মত সাব্জেক্টিভ বিষয়ে এহেন পশ্চিমা অনুমোদনের পিছনে রাজনীতির বহরটা সহজেই অনুমেয়"। খাঁটি কথা। সংযোজন করে বলি মাক্স বর্ন তাঁর যুগান্তকারী কাজ করে ফেলেছিলেন ৩২ বছর বয়েসে (বর্ন-হাবার সাইকেল, ধাতু ও হ্যালোজেন), রবার্ট ওপেনহাইমার তাঁর ছাত্র এনরিকো ফারমি হাইসেনবেরগ তাঁর সহকারী - নোবেল পেলেন ৭২ বছর বয়সে। তাঁর যখন ৪০ পেরোয় নি, আইনস্টাইন নোবেল কমিটিকে তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন অবধি। অতএব কৌন কব কিঁউ জিতা কিসে মালুম!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন