এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বাকিসব

  • নতুন রূপকথা 

    &/
    বাকিসব | | ০৪ মার্চ ২০২৩ | ১৮২৯ বার পঠিত
  • প্রাচীন রূপকথার আদলে লেখা নতুন কাহিনি, মৌলিক রচনা । এরকম লেখা যদি আপনাদের থাকে, শেয়ার করুন না ! এই সেদিন দেখছিলাম একজন শিক্ষিত, বিনয়ী দুই কাঠবেড়ালি পাব্লো আর বাবলোকে  নিয়ে কী দারুণ রূপকথা লিখেছেন!  পরদিন লিখলেন গোলাপি কাক আর বেগুনী বাতাসার রূপকথা। এরকম সব। :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৯ মার্চ ২০২৩ ০০:২১739867
  • এবারে কেকে তুমি একটা কাহিনি দাও। ধরো সেই গোলাপী বাতাসার কাহিনির মত কিছু। ঃ-)
  • kk | 2601:14a:500:e780:4cfa:6400:179b:9f81 | ২৯ মার্চ ২০২৩ ০০:৪৪739868
  • গোলাপি বাতাসার গল্প কোনটা? পড়িনি তো? আমি নতুন আঙ্গিকের রূপকথা মোটেই জানিনা রে ভাই। তবে আমার একজন ক্ষুদে বন্ধু আছেন। তিনি প্রায়ই আমার কাছে পুরনো রূপকথা শুনে যান। আর রোজই প্রমিস করেন যে পরের দিন তিনিই আমাকে গল্প শোনাবেন। "একদম নতুন গল্প"। দেখি , সেই নতুন গল্প শোনার সৌভাগ্য হলে নাহয় তা এখানে লিখে দিয়ে যাবো।
  • &/ | 151.141.85.8 | ৩১ মার্চ ২০২৩ ০১:৪১739876
  • সেই ক্ষুদে বন্ধুর কাছ থেকে নতুন গল্প শোনার অপেক্ষায় আছি। ঃ-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ১০ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৭739962
  • নতুন রূপকথা শুনতে খুব ইচ্ছে করে। আচ্ছা কেকে, ওই নীল শূন্য আর ধোঁয়া-ধোঁয়া থেকে কোনো গল্প তৈরী হতে পারে না?
  • kk | 2601:14a:500:e780:b671:70c:8fb2:10cf | ১০ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৪৫739963
  • পারে তো বটেই। তুমি যখন ছবিটা এঁকেছিলে তখন (বা তার আগে, বা পরে) তোমার মনের মধ্যে কি একটা গল্প আসেনি? সেটা আস্তে আস্তে, সময় নিয়ে লিখে ফেললেই হয়তো একটা রূপকথা হয়ে দাঁড়াবে। কিম্বা অন্য জঁহ এর কোনো গল্প।

    এই নিয়ে একটা প্রশ্ন dc কে করতাম। একদিন লিখেছিলেন যে ঐ মিরিচিনি পাতার গল্প রূপকথা কিনা না জানলেও ফ্যান্টাসি এলিমেন্টটা ভালো লাগছে। তো, রূপকথা আর ফ্যান্টাসির মধ্যে পার্থক্য কী? দেখুন, আমি অনেক আবোল তাবোল প্রশ্ন নানা থ্রেডে করি। আশা করি কেউ বিরক্ত হবেননা। আমার কৌতুহল খুব বেশি। আর অনেক সময়েই চেশায়ার ক্যাটের মত বিভিন্ন রিয়ালিটির থেকে কৌতুহল :-/
  • &/ | 151.141.85.8 | ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৩৮739965
  • ওই ফ্যান্টাসির প্রশ্নটা আমারও। ডিসি, প্লীজ বলুন।
  • &/ | 107.77.232.220 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০০:২১739976
  • রোজ এসে দেখে যাই ডিসি কিছু কইলেন কিনা :)
  • dc | 2401:4900:2312:fa72:e566:aae8:7956:9236 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৫০739977
  • এই রে, এটা বেশ কঠিন প্রশ্ন। নেহাত একটা ক্লায়েন্ট মিটিং এ আছি, তাই এখন পোস্ট করতে মানা নেইকো cheeky
     
    রূপকথা আর ফ্যান্টাসির মধ্যে সেভাবে দেখলে হয়তো কোন পার্থক্য নেই। একটা হতে পারে বয়সের পার্থক্য। অর্থাত কিনা রূপকথা প্রধানত ছোটদের জন্য লেখা হয় আর সেইজন্য গল্পগুলো একটু সোজাসরল হয়। আর ফ্যান্টাসি ছোট আর বড়ো সবার জন্যই লেখা হয়, তাই প্লটে অনেক বেশী ডিটেল থাকে, জটিলতা থাকে ইত্যাদি। তবে কিনা এর অন্যথাও হয়। অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সাধারনত রূপকথা বা ছোটদের কাহিনী বলা হয়, কিন্তু বড়োরা আবার ওর মধ্যে নানান রূপক , নানান সাবটেক্স, নানান ফ্যান্টাসি এলিমেন্ট খুঁজে পান। এই আর কি। সেজন্যই লিখেছিলাম যে মিরিচিনির মধ্যে ফ্যান্টাসি এলিমেন্ট খুঁজে পেয়েছিলাম, সেটা বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। 
  • &/ | 107.77.232.220 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৫৬739978
  • এখানে তো অনেক শিল্পী ছুপা আসেন যান , কেউ যদি মিরিচিনির কাহিনিটার ছবিগুলো আঁকতেন, তবে বেশ একটা গ্রাফিক কাহিনি হত :)
  • kk | 2601:14a:500:e780:d427:393:9f3c:8d0 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০১:২৭739979
  • আমার আবার মনে হয় বেশির ভাগ রূপকথাই ছোটোদের নাম করে লেখা হলেও আদৌ তা ছোটোদের জন্য নয়। আসলে বড়দেরই নিজেদের মনের ফ্রাস্ট্রেশন, না মেটা ইচ্ছে, স্বপ্ন, গভীর বাসনা এইসবেরই গল্প। রূপক টুপক তো আছেই। 'উইজার্ড অফ অজ' এর গল্প নিয়েও অনেকে সেই রূপকের কথাই বলেন না?

    ভাই অ্যান্ডর,
    ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৫৬ এর প্রেক্ষিতে বলি, তা তুমিই বা না আঁকবে কেন?
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:680d:0:9301:f353:61d5 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৩৬739980
  • সে তো বটেই। সেজন্যই তো লিখলাম কঠিন প্রশ্ন :-)
  • kk | 2601:14a:500:e780:d427:393:9f3c:8d0 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৩৭739981
  • আসলে বড়রাও তো এক রকম ছোটই :-)
  • &/ | 107.77.232.220 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০২:২৪739982
  • "আসলে কেউ বড় হয় না ,বড়র মতন দেখায়" 
  • &/ | 107.77.232.220 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০২:২৬739983
  • গল্পের সঙ্গে ছবি আমার দ্বারা তো হবেনা, তার জন্য হুতেন্দ্রর মত শিল্পী দরকার 
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:০৮739984
  • একটা স্বীকারোক্তি করি। ছোটোবেলা ছয় কি সাত বছর বয়সে, প্রথম যখন আবোলতাবোল বইটার কবিতাগুলো বা ছড়াগুলো শুনেছিলাম আর পড়েছিলাম, বিন্দুমাত্র ভালো লাগেনি। সুকুমার রায়ের লেখা পরে বড় হয়ে বারো-তেরো বছর বয়সে যখন পড়লাম, হযবরল পড়লাম, অন্য প্রবন্ধ ইত্যাদি পড়লাম ---তখন মন টানল। সেই টানে চলচিত্তচঞ্চরি পড়ে এক্কেবারে সেই যে সুকুমার রায়ের ভক্ত হয়ে গেলাম সে আজও অটুট। দিনদিন বাড়ছে ভক্তি। ওঁর লেখাগুলো আসলে বড়দের জন্যই।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:৩৭739995
  • একটা নতুন রূপকথা কেউ লিখুন না! এই যেমন ধরুন টুরান্টুরা গ্রহের রূপকথা। সেখানে জঙ্গল আর জঙ্গল আর জঙ্গল। মাঝে মাঝে একটু একটু ফাঁকা উপত্যকা, সেখানে লোকজন বেড়া ঘেরা গ্রাম বানিয়েছে, তার মধ্যে থাকে। সেই গ্রহের প্রাণীরা কেউ কোনো কথা কইতে পারে না, লোকজন সব মূক, পশুপাখি সব নীরব। কীটপতঙ্গ অবধি কোনো শব্দ করে না। কিন্তু গাছপালারা সবাই খুব কথা বলে, ফিসফিস করে কথা, চেঁচিয়ে কথা, কখনও গান ---সবই করে।
    অজস্র নদী আছে, হ্রদ আছে, আছে সমুদ্র, মহাসমুদ্র। সমুদ্রের তলায় যে জগৎ সেখানে কেউ কেউ কথা শিখে ফেলছে।
    তারপর?
  • kk | 2601:14a:500:e780:3e4f:4507:25de:b0b0 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০২:১১739996
  • সমুদ্রের তলায় কারা কথা শিখছে? জলের তলার গাছরা? না অন্য কোনো প্রাণী?
  • kk | 2601:14a:500:e780:3e4f:4507:25de:b0b0 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০২:২৬739997
  • তারপর --

    ও প্রায়ই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। জঙ্গলে গিয়ে বসে থাকে। গাছদের মধ্যে। পাতাদের মধ্যে। ওর নাম 'বাক'। নাম আবার কী? এই গ্রহের মানুষদের তো শব্দের ভাষা নেই। তাহলে নাম থাকবে কী করে? শব্দের ভাষা নেই, ওরা চিন্তা করে ছবিতে। ওর মনের মধ্যে নিজের নামের যে ছবিটা, চারটে নীলচে আলোর রেখা দিয়ে তৈরী একটা চৌকো। তার মধ্যে জলের ঢেউ এর মত আরো চারটে রেখা। এই চৌকোটা কখনো ভেঙে একটা হাসি হয়ে যায়। কখনো একমুঠো জোনাকী। কখনো একটা দুলতে দুলতে গাছ থেকে নেমে আসা পাতার ছবি হয়ে যায়। এইসব ছবিদের মানুষের শব্দভাষায় অনুবাদ করলে তা হয় 'বাক'। বাক জানে জঙ্গলের গাছরা অন্য একটা কিছু ভাবে চিন্তা করে। ওদের মত নয়। গ্রামের আর কেউ বুঝতে পারেনা। কিন্তু ও জানে। গাছদের গায়ে হাত রাখলে ওর মনের মধ্যে ছবিগুলো অন্য রকম হয়ে যায়। ও সেই ছবির মধ্যে কত গল্প দেখে, যেসব গল্প ওদের, মানুষদের, কোনোদিন জানা ছিলোনা।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০২:৩৪739998
  • সী অ্যানিমোন। এরা দেখতে গাছড়ামতন, কিন্তু আসলে প্রাণী।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০২:৫৫739999
  • ওদিকে বনের শেষে সমুদ্রের তীরে একদল ক্রনাকোল গাছ বিপুল উৎসাহে ঝগড়া করছে।
    একজন বলছে, তিরি তিরি তুরাক তুরাক তিন্না তিন্না তা?
    (তুই সেদিন সকালে যে কমলা ফ্লেভারের আলোর শরবৎ খেলি সেই বেলা? )
    আরেকজন লম্বা পাতার ঝাপ্টা দিয়ে বলছে, ঝিড়ি ঝিড়ি ঝিড়াক ঝিড়াক ঝিন্না ঝিন্না ঝা?
    (ঝগড়ুটি কোথাকার, হিংসুটি কোথাকার, যা যা যা )
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৮740000
  • এদের দু'জনের মাঝখান দিয়ে ঝাপ্টা মেরে মা ক্রনাকোল বলছেন, 'চিরি চিরি ঝিগি ঝিগি ঝম। তুরাক নী উড় উড় ঝিক ঝিক কিন নিঝির (চুপ,চুপ, একদম ঝগড়া না, একদম ঝগড়া না। যদি ঝগড়া করিস, তাহলে আগামীকাল সোনালি আলোর শরব্ত খেতে দেবো না। চুমকি ওড়নাও দেবো না পরতে)
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:২০740001
  • বাক ওখান দিয়ে যেতে যেতে দেখতে পাচ্ছে সেই চৌকো বাক্সটার চারটে পাশ ঢেউ ঢেউ হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে আঁচলের মতন আর তাতে চিকিমিক করছে সোনালি রুপোলি বিন্দু।
  • দীমু | 223.176.47.247 | ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ২০:১৬740005
  • তারপর? আগামীকাল সোনালী আলোর শরবৎ খাওয়া হল?
  • &/ | 107.77.232.220 | ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ২১:১৬740006
  • আমার আর লেখা হবেনা এখন, কেকে যদি লেখেন, প্লীজ লিখুন , অনুরোধ করে গেলাম। ভালো থাকবেন সবাই। আসি 
  • হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা | 2405:8100:8000:5ca1::3d3:64af | ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৪২740007
  • আরেকটা নতুন নিকের আবির্ভাব হতে চলেছে। কিছুদিন ন্যাকামি চলবে আমি আর আসবো না গো ওগো তোমরা আমায় একটু  খোজো গো। তারপর আরেকটা নতুন নিক থেকে সেই প্যাঁচানো সেই চুগলি সেই  খিস্তি সেই নেকানেকা প্রশ্ন।
  • kk | 69.143.204.241 | ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:৪২740008
  • বাপ রে, রূপকথা লেখা খুব কঠিন কাজ!
  • kk | 172.56.32.54 | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ০২:২৫742742
  • অমিতাভদা আর হুতোর সৌজন্যে এই গল্পটা দিলাম --

    ড্রায়াড

    এই বনটার মধ্যে অনেক গাছ। বুড়ো, ছোকরা। ডালে শিকড়ে আঁকড়ি-বুকড়ি-ফেঁকড়ি। পাতাগুলো অনেক রকম কথা বলে। হাসে, গান গায়। ওকে দেখলেই ঝিরঝিরিয়ে জিজ্ঞেস করে "কী রে, দুদিন আসিসনি যে?" সোলে হেসে ওদের দিকে মাথা নাড়ায়। ওর মনে হয় পাতারা ইশারার ভাষা ঠিকই বোঝে। সবাই বলে, অন্যরা, লোকরা, বলে "সোলে যদি কথা বলতে পারতো..."! পারেনা ওদের মত কথা বলতে। কী করবে? সোলে গলা দিয়ে কিছু আওয়াজ করতে পারে অবশ্য। তাকে কি "কথা" বলা যাবে? কী যায় আসে? দাদা ঠিকই বুঝতে পারে ওর কথা। দাদা সব বুঝতে পারে। সোলে কী বলছে, ওর কিসে কী মনে হচ্ছে, স-ব। অনেকে তো কত কিছুই বলে-- "সোলে আবার কেমন নাম? কি অদ্ভুত!" সোলে মানে সূর্য্য। ঠাকুমা ওর এই নাম রেখেছিলো। ঠাকুমাকে ওর স্পষ্ট  মনে পড়ে। না চেহারা নয়। চেহারা ভুলে গেছে সোলে। অনেকদিন আগের কথা তো? কিন্তু ঘুমোনোর আগে গায়ে মাথায় হাত বুলোনোর অনুভূতিটা ওর আজকের মত পরিষ্কার লাগে। কোথায় রাখা থাকে এইসব অনুভূতিরা কে জানে! মাঝেমাঝে ওদের খুঁজে পেতে খুব ইচ্ছে করে ওর। কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেনা। সোলে ওদের খুঁজতে আসে এই বনের মধ্যে। ওর খুব মনে হয় এখানেই সবাইকে পাওয়া যাবে একদিন না একদিন। পায়ও কাউকে কাউকে খুঁজে, কোনো কোনো দিন।

    মাঝেমাঝে এই জঙ্গলটাকে একটা আর্ট স্কুল মনে হয়। গাছের ডালপালা, পাতার ফাঁক দিয়ে রোদ্দুর কত ছবি এঁকে রাখে। বাকলের ওপরে কালচে-খয়েরী-ধূসর রং করা কত মুখ আর মুখোস। ঝোরার তিরতিরে ঠান্ডা জলের তলায় নুড়িপাথরের মোজাইক। আরো কত ছবি রোজই তৈরী করছে, পাখিরা, ফুলরা, হাওয়ারা। হয়তো পরীরাও। পরী আছে এই জঙ্গলে। সোলে জানে। এমনিতেই অনেক কিছু জানতে পারে ও, যেসব জিনিষ অন্যরা দেখতে পায়না। শুনতেও পায়না। সোলে অনেক অনেক বেশি শুনতে পায় সবার থেকে। এমনিতেই। কিন্তু পরীদের কথা আরো আলাদা।  কাউকে বলেনি, দাদাকেও বলেনি সোলে যে এইখানে একজন বনপরী ওর সাথে কথা বলে।  ও আগে প্রজাপতিদেরই পরী ভাবতো। ফড়িংদের। পাতলা ফিনফিনে ডানা নিয়ে কেমন ফিলফিলিয়ে উড়ে যায়! সাদা কাগজ ফুলরাও ওড়ে অবশ্য অমনি করে। গাছের বীজ, বোঁ বোঁ করে ঘুরতে ঘুরতে উড়ে কতদূর যায়! ওদেরও ও পরী ভাবতো। ওদের পেছন পেছন কতদিন দৌড়ে গেছে সোলে। খিলখিল করে হাসে ওরা, ঝিমঝিম করে, তিরতির করে। কিন্তু বনপরী তাদের কারুর মত নয়। বনপরী সব্বার থেকে আলাদা। ওরকম চোখ আর কারুর দেখেনি ও কখনো। নীল চোখ অনেকই দেখেছে কিন্তু ঐ রকম নয়। এই জঙ্গলেরই অনেক ভেতরে একলা হ্রদ আছে একজন। তার গভীর জলে যখন আকাশের ছায়া পড়ে তখন অমনি দেখায়। নীলের মধ্যে সবুজ সবুজ আঁকা। অমনি ভাবে বলছো কেন? জলের মধ্যে ছায়ায় দেখতে হবে কেন? আকাশের দিকে সরাসরি তাকালেই তো হয়। না, হয়না। তফাৎ আছে। রং অনেক বদলে যায়, যখন জলভর্তি অবস্থায় তাকে দেখো। চোখের রং ও।

    "একা একা এতদূর এসেছো কেন? জঙ্গলের এত ভেতরে? হারিয়ে যাবেনা?" -- পরী জিজ্ঞেস করেছিলো একদিন। সোলে হাসে। না, হারিয়ে যাবেনা। এই জঙ্গলের সব জায়গা, আঁতিপাঁতি, ওর বন্ধু। এখানে চোখ বাঁধা অবস্থাতেও ও অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারে। গন্ধ দিয়ে রাস্তা চিনতে পারে ও, চোখ লাগেনা। ঘাসের গন্ধ, গাছের বাকলের, মাটির, হরিণের।

    --"তুমিও তো এসেছো। তুমিও তো হারিয়ে যেতে পারো?" সোলে জানতো পরী ওর কথা ঠিকই বুঝতে পারবে। অন্য কেউ পারেনা তো কী? বনপরী তো 'অন্য কেউ' নয়? না, অন্য কেউ নয়। নীরবতা দিয়ে কথা বলে সে। ঠোঁট নাড়ায়না, কোনো শব্দ উচ্চারণ করেনা। দরকারও হয়না তার। সত্যিকারের ভাষা যারা বোঝে, তাদের শব্দের দরকার হয়না।

    --"গেছি হয়তো হারিয়ে। তুমি কোনখান থেকে দেখছো তার ওপরে সেটা নির্ভর করছে, তাই না? আগে যেখানে ছিলাম, সেখানে যদি কেউ আমাকে খোঁজে তাহলে হারিয়ে গেছি। নাহলে হারাইনি। খোঁজা না থাকলে তো হারানো হয়না?" -- পরীর লম্বা চুল হাওয়ায় ওড়ে, ফিকে সুগন্ধের মত। ওর হলুদ পোশাক ওড়ে। সোলের ড্যাফোডিল ফুলের কথা মনে হয়।

    রোজদিন অনেক কথা বলে ওরা তা নয়। কখনো কখনো শুধু বসে থাকে দুজন চুপ করে। একটা পরী আর একটা সোলে। তার মধ্যেও অনেক খানি ভালোলাগা থাকতে পারে। কিচ্ছু না বলার মধ্যে, কিচ্ছু না করার মধ্যে, কিচ্ছু না ভাবার মধ্যে যে শান্ত নৈঃশব্দ, তাতে অনেক ভালোলাগা থাকে। রোজদিন যায়ও না ওর কাছে সোলে। থাক কিছু ভালো জিনিষ তাকে তোলা। সবকিছুকে আটপৌরে করে ফেলে কী হবে?

    পরী একদিন বললো - "তুমি সেদিন হারিয়ে যাওয়া নিয়ে বলছিলে। আমার কিছু জিনিষ হারিয়ে গেছে সোলে। কিম্বা ঝাপসা হয়ে গেছে। দুটো কী এক জিনিষ?"
    সোলে জবাব দেয়না। কোনো কিছুই হারায় বলে ওর মনে হয়না। তুমি দেখতে পাচ্ছোনা, অন্য কেউ পাচ্ছে। তাহলে হারানো হলো কী করে? ঝোরাটার এই পাড়ে দাঁড়িয়ে কত সময় মনে হয় ওপারের কতকিছু ঝাপসা। একবার পা গুলো ভিজিয়ে ঐদিকে গিয়ে দাঁড়াও। তখন তো ঝকঝকে পরিষ্কার দেখতে পাবে । মা'কে, বাবাকে কতদিন তো দেখতে পায়না ও। ওদের ছবিগুলো পুরোপুরি ঝাপসা হয়ে গেছে। তাই বলেই কি হারিয়ে গেছে নাকি? হারায়না কিছু। লোকে ভাবে অমনি, দেখতে না পেলেই ভাবে।

    পরী আরো বলে -- "এখানে আসার আগে আমি কোথায় ছিলাম? কে ছিলাম? কেমন যেন বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে দেখছি মনে হয়। কতগুলো আবছা মূর্তি, ধেবড়ে যাওয়া রং। আমার নামটা হারিয়ে গেছে সোলে। আমার পরিচয়; হারিয়ে গেছে।"
    -- "তোমার নাম তো ড্যাফনি"।
    --" তাইই? কী করে জানলে?"
    -- " জানিনি তো। ড্যাফোডিল ফুলের সাথে মিল আছে বলে বললাম।"

    পরী খিলখিল করে হেসে ওঠে। ওর হাসির শব্দ শুনে রূপোর ঘন্টার কথা মনে হয়। কিম্বা উইন্ড-চাইম। এই 'মনে হওয়া' জিনিষটা খুব পছন্দ সোলের। যেকোনো ছবিতে কী সহজে দুটো তিনটে মাত্রা যোগ করতে পারে 'মনে হওয়া'। অবশ্য ছবিগুলো কখনো কখনো বিকটও বানিয়ে দেয়। দেখে ভয় লাগে খুব। সে হোক, ভয় পাওয়াও তো একরকম পাওয়া।

    --"ড্যাফনি বেশ নাম। কিন্তু আরো অনেক কিছু ছিলো জানো? অনেক কেউ ছিলো। কখনো কখনো আমার মনে হয় কেউ আমাকে ডাকছে। জলের অনেক তলা থেকে আওয়াজ এলে যেমন শোনায়, তেমনি লাগে। মনে হয় কেউ আমাকে খুঁজছে। আমি যত শোনার চেষ্টা করি, দেখার চেষ্টা করি তত পিছলে আরো দূরে চলে যায়। মাথার মধ্যে কী ভীষণ ব্যথা করে কি বলবো!"
    -- "তোমাকে কেউ খুঁজছে? তুমিও কি খুঁজছো ওদের? মাথার মধ্যে খুঁজছো? মাথার মধ্যে খুঁড়ছো?"
    -- "নাহলে কোথায় খুঁজবো? মনে না পড়লে?"
    -- "মাথায় চোট পেয়েছিলে মনে হয় কোনোভাবে। তার ওপরে অত হাতড়াও, তাই ব্যথা করে অমনি। না খুঁজে পেলে কী হবে?"

    পরী একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে ভাবতে থাকে। না খুঁজে পেলে কী হবে? সত্যিই কি হবে কিছু? ওর চারপাশে সবুজ শান্তি ঘিরে আছে। কত বয়সের গাছপালা, কী নরম করে কথা বলে। হাসিখুশি পাখিগুলো, ঝুমঝুমে হাওয়া। সোলে, একটা বন্ধু। যা খুঁজে পাচ্ছেনা, তা না পেলে কিছু কি হবে?
    দিন যায়, একটা, দুটো,পাঁচটা। ড্যাফনি প্রশ্নটা ভাবছে। পায়ের নীচে গাঢ় সবুজ ফার্নের জঙ্গল নরম গালিচার মত হয়ে থাকে। গাছের কোটরের ভেতরে হাল্কা নীলের ওপর খয়েরী ফুটকি দেওয়া ডিমের খোলা ফাটিয়ে কুটিকুটি পাখিছানারা বেরিয়ে এসেছে। বুনো গোলাপের পাপড়ি হাওয়ায় উড়ে এখান থেকে ওখান যায়, পাথরের খাঁজে, জলের ওপরে। সবকিছুর মধ্যে ড্যাফনি প্রশ্নের উত্তর খোঁজে। শেষে একদিন বললো --
    "নাঃ, আমাকে জানতেই হবে, বুঝলে? আমি কে, কোথায় ছিলাম, কার সাথে ছিলাম, জানতেই হবে। নাহলে ছবিটা পুরো হয়না। মাথার মধ্যে কতটা জায়গা ফাঁকা হয়ে আছে। আমার ভালো লাগেনা। কষ্ট হয়।"
    -- "তুমি কে তা তো জানি আমি।"
    -- "সত্যি?"
    --"হ্যাঁ, সত্যি। তুমি তো একজন বনপরী। সুন্দর ছবির বইয়ে পরীদের গল্প থাকে। কিন্তু পরীরা শুধু বইয়েই থাকেনা। যেমন তুমি। গল্পের পাতায় নেই, বনের মধ্যে আছো, গাছের তলায়।"
    --"ধ্যাৎ সোলে! তুমি না!"
    ড্যাফনি নিরাশ হতে গিয়ে হেসে ফেলে। এমন আজগুবি কথা ভাবে এই বন্ধুটা! ড্যাফনি হাসতে গিয়ে আবার নিরাশ হয়। সোলের মনে হওয়া আর ওর নিজের মনে হওয়া এক রকম নয়। ওর কষ্ট হয়।
    -- "কেউ হয়তো আমাকে খুঁজছে ।ঐ যাদের আবছা ছবি দেখি আমি। হয়তো খুব কষ্টে আছে। আমাকে না পেয়ে। কারুর মনে কষ্ট দেওয়া কি ভালো?"
    না, ভালো নয়। সোলে কষ্টকে অনেকবার দেখেছে। নিজের থেকে সে আসে আসুক। কিন্তু কাউকে কষ্ট দেওয়া কখনো ভালো নয়।
    --"ঠিক আছে। তুমি কি ওদের খুঁজে বার করবে? তাহলে কি কষ্ট কমবে তোমার? আমিও তোমার সাথে খুঁজতে পারি।"
    --" সত্যি? কেমন করে খুঁজবে?"
    --" তা অবশ্য এখনও জানিনা। অনেক কিছুই তো শুরু করলে পর আস্তে আস্তে জানা হয়ে যায়। খোঁজা খুব একটা কঠিন কাজ নয়ও। পাওয়া কঠিন হতে পারে।"
    -- "কবে থেকে খুঁজবে?"
    -- " কাল থেকে?"
    --"সোলে এ এ এ। কোথায় তুইইই? চলে আ আ আয়।" দূর থেকে শোনা যায়। দাদা ডাকছে। এখন যেতে হবে।
    ড্যাফনির চোখ ঝিকমিক করছে। ওর খুশি দেখতে ভালো লাগে।কাউকে কষ্ট দেওয়া ভালো নয় বলেই, নাহলে ওকে আরো অনেক কথা বলতে পারতো সোলে।

     ও কে তা সোলে সত্যিই জানে। ও অনেক কিছু দেখে, অনেক কিছু লক্ষ্য করে, অনেক কিছু মনে রাখে। পাশের বাড়ির মিমি-টিমিদের পুতুল ছিলো। ওরা বার্বি বলে ডাকতো ড্যাফনিকে। কোলে নিতো, জামা বদলাতো, সাজাতো কত। মিমি-টিমি যেখানে যাবে, যা করবে সব সময় সঙ্গে করে নিয়ে যাবে ওকে।সোলে কতদিন দেখেছে বারান্দা থেকে। আদরের বার্বি।

    তারপর একদিন ওদের জন্মদিন এলো । সোলেকে, দাদাকে ডেকেছিলো ওরা। কত লোকজন, বন্ধু-বান্ধব, খাওয়াদাওয়া, হৈচৈ। এখানে ওখানে মোমবাতি জ্বলছিলো, খেলনা, বই, চকচকে কাগজের শেকল, ভেঁপু। কোঁকড়া চুল, লম্বা মত একজন ভদ্রলোক মিমি-টিমিকে ইয়া বড় বাক্সে ঝকমকে মস্ত মস্ত দুটো পুতুল দিলেন। বার্বি তখন একা একা জানালার ওপরে বসেছিলো। ওকে কেউ বেলুন ফোলাতে ডাকেনি। কেক খেতে, ঝলমলে টুপি পরে ঘুরেঘুরে নাচতে ডাকেনি। সোলে চুপ করে তাকিয়ে দেখেছিলো। তারপর ওকেও ওখান থেকে কেউ টেনে নিয়ে গেছিলো।

    বার্বি সেখানেই বসে থাকতো তারপর থেকে। একা একা।অনেক দিন, অনেক মাস। সোলে ছাড়া কেউ দেখতোনা ওকে। তারও কতদিন পরে একদিন নতুন ঝলমলে মিষ্টি ডলি-মলিকে কোলে নিয়ে পিকনিকে যাবার সময় মিমি বললো -- "ধুর, এই পুরনো পুতুলটা এখানে জায়গা জুড়ে বসে আছে দেখো!"
    টিমি কোনো কথা না বলে বার্বিকে একটা পা ধরে তুলে নিলো। বার্বি কাঁদছিলো কিনা সোলে দেখেনি। ও দৌড়ে বাইরে যেতে গিয়ে কার্পেটে পা জড়িয়ে হোঁচট খেয়েছিলো। ততক্ষণে ওদের গাড়ি হুউউশ করে বেরিয়ে গেছে।

    জঙ্গলের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎই এই গাছটার শেকড়ের ওপর ওকে আবার দেখতে পেয়েছিলো সোলে। কে টান মেরে ফেলে দিয়ে চলে গেছে। শেকড়ে মাথা ঠুকে জ্ঞান হারিয়ে শুয়ে আছে হলুদ জামা পরা বার্বি। একা একা। একটা ছেঁড়া ড্যাফোডিল ফুলের মত।
     
    সোলে ভাবছিলো ঠিক এই কথাগুলোই ড্যাফনিকে কোনোদিনই বলবেনা ও। কারণ অন্য কথাটাও ও সত্যিই বলেছিলো। ড্যাফনি যে একজন বনপরী, সেটাও ও জানে। "ফেলে দেওয়া পুতুল" অন্যরা ভাবতে পারে হয়তো। তাতে কীই বা যায় আসে? অন্যরা তো কতকিছুই ভাবে! সেগুলো সব সত্যি নয়। অন্যরা তো এও ভাবে যে সোলে "কথা বলতে পারেনা"। হাঃ!

    --"সোলে এ এ। আয় শিগ্গি ই ই র।"
    নাঃ, এবার যেতেই হবে। কাল থেকে ড্যাফনির জন্য 'কষ্ট দূর হওয়া' খুঁজবে ওরা। মনটা খুশিখুশি লাগে।
    ও দাদার ডাকে চেঁচিয়ে সাড়া দেয় -- "আসছি ই ই। ভুক, ভৌ ঔ ঔ ঔ।"
    ঝালরের মত সোনালী লোমশ ল্যাজটা নাড়তে নাড়তে, চার পায়ে লাফাতে লাফাতে সোলে বাড়ির দিকে দৌড় দিলো।
     
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৪৪742743
  • বাঃ! চমৎকার হয়েছে কেকে! খুব ভালো লাগল‌। আর থ‍্যাঙ্ক‍্যু, আমাদের কথা মনে রেখে গল্পটা লিখে ফেলেছ বলে। অনেক আহ্লাদ জেনো।
  • r2h | 192.139.20.199 | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪২742751
  • দারুন! ড্রায়াডের একটা গল্প পাওনাই ছিল বটে!

    আমি যাঁর সঙ্গে হাঁটতে গিয়ে একে আবিষ্কার করেছিলাম, তিনি মাস কয়েক হলো রিটায়ার করেছেন। ভদ্রলোকের সঙ্গে পরে কোথাও কখনো দেখা হলে জানাবো পথের ধারের প্লাস্টিকের বনদেবীকে নিয়ে একটা গল্প লেখা হয়েছে!
     
    "শেকড়ে মাথা ঠুকে জ্ঞান হারিয়ে শুয়ে আছে হলুদ জামা পরা বার্বি। একা একা। একটা ছেঁড়া ড্যাফোডিল ফুলের মত।" আহা! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন