এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জাপান ১২

    Rumjhum Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ মে ২০২২ | ৫২৯ বার পঠিত
  • ১২ ই এপ্রিল, শুক্রবার সকালে ওসাকার পাঠ চুকিয়ে আমরা চললাম কিয়োতো। কিয়োতো থেকে সন্ধ্যাবেলায় টোকিও ফিরে যাওয়ার জন্য আমাদের টিকিট হিকারিতে বুক করা আছে। বৃষ্টির জন্য অনেক কিছু দেখা বাকি রেখে কিয়োতো থেকে ওসাকা চলে এসেছিলাম তাই সকাল সকাল কিয়োতো দেখে তারপর সন্ধ্যার ট্রেনে ফিরব এমনটাই ঠিক করলেন আমাদের গাইড দিদিমণি। যেমন ভাবা তেমন কাজ। জে আর কিয়োতো লাইন ধরে ওসাকা স্টেশন থেকে কিয়োতো পৌঁছতে মিনিট কুড়ি মতো সময় নিল। তারপর আমরা স্টেশন চত্বর থেকে বাস ধরে  নিজো-জো ক্যাসেলের দিকে রওনা দিলাম। জাপানের বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে এ প্রসঙ্গে কিছু না বললেই নয়। বড়ো বড়ো ঝাঁ-চকচকে এ সি বাসগুলো দেখে হাওড়া-কলকাতার রাস্তায় চলে বেড়ানো জরাজীর্ণ বাসের ছবি মনে ভেসে উঠল। তার থেকেও জরাজীর্ণ সে বাসের কন্ডাক্টর ভাইদের অবস্থা। ছেঁড়া, অপরিস্কার জামাকাপড়, শীর্ণ চেহারা, রুক্ষ মেজাজ আর হবে নাই বা কেন? ছোটবেলা থেকে মানুষের সম্মান পেয়ে বড়ো জোয় নি যে, মানুষকে সম্মান করে কি করে সে। মন খারাপ হয়ে গেল। এই এক জ্বালা হয়েছে এদেশে এসে। যাই দেখি কেবল মনে হয় আহা আমার দেশটা যদি এমন হতো! বাসের সামনের দিকে আর মাঝামাঝি দুটো দরজা। জাপানে কোমোড থেকে আর বাসের দরজা সবেতেই সেন্সরের ব্যবহার। না হলে সুইচ টিপে কন্ট্রোল করা চলে। সামনের দরজা দিয়ে ঢুকেই টাকা জমা করার কাউন্টার আছে বা পাসমো কার্ড ছোঁয়ানোর মেশিন আছে। মেশিনে বড়ো নোট দিলে বাসের ভাড়া কেটে মেশিন তোমায় বাকি টাকা ফেরত দেবে। কোন টিকিটের বালাই নেই, কন্ডাক্টরেরও প্রয়োজন নেই। ২৪০ ইয়েন ভাড়াতে তুমি এক স্টপও যেতে পারো আবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্তও যেতে পারো। ভাড়া কাটলে কিনা সে ব্যাপারে এখানে কারও খবরদারীর ব্যাপার নেই। কারণ ‘ভাড়া না কেটেও বাসে যাওয়া যায় এই ধরাধামে এমন ভাবনা তাদের কল্পনার অতীত!!!! অর্থাৎ তোমার সততা এতটাই স্বতঃসিদ্ধ যে এ ব্যাপারে পাহারার কথা ভাবতেও পারে না জাপান। উন্নত দেশ বা উন্নত জাতি হিসাবে জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে গেলে জনশিক্ষা কোন মাণের হওয়া প্রয়োজন সে কথা এমন দেশে না এলে জানা যায় না। নারায়!ণ সান্যাল মহাশয় ১৯৭০ সালে জাপান ঘুরে এসে  ‘জাপান থেকে ফিরে’ বইতে তাঁর  বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, “ ভাব্লুম কন্ডাকটার না থাকলে কে হাঁকবে, ----জনানা হ্যয় সাথী! একদম বাঁধকে! দেখি সে ব্যবস্থাও আছে চালকের সম্মুখে বেশ উঁচুতে টাঙানো আছে একটি পেল্লায় ‘কনকেভ- মিরার” । গর্দান না ঘুরিয়েই চালক স্বয়ং প্রবেশ ও প্রস্থানের পথের উপর নজর রাখছে’ …। সান্যাল মশাই আরও লিখেছেন ‘ গোটা ভ্রমণ-পথের যাত্রার বাঁধা-বুলি টেপ-রেকর্ড করে নিয়েছে। ড্রাইভার মাঝে মাঝে বোতাম টিপছে। ধর তুমি পাঁচ নম্বর বাসে রওনা হয়েছ---- হাওড়া ইস্টিশন থেকে যাচ্ছ বালিগঞ্জ। হাওড়া ব্রীজ পার হওয়া মাত্র ড্রাইভার সা’ব বোতাম টিপলেন---- শুনতে পেলে মধুর বামাকন্ঠেঃ আমরা হ্যারিসন রোড আর স্ট্রান্ড রোডের মোড়ে পৌঁছেছি, আপনার বাঁ দিকে হ্যারিসন রোড, পেছনে চিৎপুর ----আমরা স্ট্রান্ড রোড ধরে এগিয়ে যাব…… নামতে চাও? রোখকে, বাঁধকে’ হেঁক না, ওতে অন্যান্য যাত্রীরা অহেতুক বিরক্ত হবেন।‘ এ যে কত বড় সত্য সে আমি নিজের চোখে দেখে এসেছি। অন্য মানুষের যাতে এক্টুও বিরক্তি উৎপন্ন না হয় তার জন্য জাপানিদের কি প্রানপণ চেষ্টা। আমার অভিজ্ঞতাও এ অভিজ্ঞতার থেকে কিছু আলাদা নয়। কিন্তু এই লেখা পড়ার পর আমি বিস্মিত হয়েছি এই ভেবে যে ২০১৯ এ আমার জাপানে এসে বাসে চড়ার যা অভিজ্ঞতা হল আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তার এত মিল। মানে জাপানের এই কর্মসংস্কৃতি ও ব্যবস্থাপনা আমার কাছে নতুন ঠেকলেও তাদের কাছে এ শিক্ষা এ ব্যবস্থা রক্তে মজ্জায় মিশে গেছে। এ  আসলে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে ঘুরে দাঁড়ানো জাপানের সাফল্যের চাবিকাঠি। প্রতিটি মানুষের মূল্য এ জাতির কাছে অপরিসীম। আমরা যে বাসে চড়েছি তাতে যথেষ্ঠ ভিড় আছে। অনেক বিদেশি মনুষ যেমন আছেন তেমন অনেক জাপানিও আছেন। ড্রাইভার সাহেব যেন মোমের তৈরি পুতুল। তার মাথায় ক্যাপ। তার পোশাক আমাদের নেভির অফিসারদের মতো। বাসের মধ্যে কিছু খাওয়া বারণ। প্রত্যেক সিটের কাছে বোতাম আছে। জাপানি অ্যানাউন্সমেন্ট বুঝতে না পারলে ডিসপ্লে বোর্ডে পরের স্টপেজের নাম আসছে, জাপানি ভাষায় এবং ইংরাজিতে। নামার স্টপেজ এসে গেলে বোতাম টিপতে হবে আগে থেকে। আমাদের স্টপেজ আসতে তখনও কিছুটা সময় বাকি। বাস থামল একটা স্টপেজে। যাত্রীরা নামছে, উঠছে। হঠাৎ দেখি ড্রাইভার সাহেব সিট ছেড়ে উঠে এগিয়ে যাচ্ছেন দরজার দিকে। কৌতুহলী হয়ে উঠলাম কি ব্যাপার জানার জন্য। বোন বলল চুপ করে শুধু দেখ কি করবেন উনি। দেখলাম দরজার কাছে পৌঁছে কি সব টেপাটেপি করতে দরজা সংলগ্ন একটা স্লোপ রাস্তায় নেমে গেল। তাই  দিয়ে একজন হুইলচেয়ারে বসা মানুষ বাসে উঠলেন। তাকে যথাস্থানে বসিয়ে, সেই স্লোপ তুলে আবার বাস ছাড়লেন ড্রাইভার সাহেব। এরপরও জাপানের বাস কখনও এক মিনিটের জন্য সময়চ্যুত হয় না। বোনের কাছে জানলাম ঠিক একই রকম যত্ন করে আবার ওনাকে যথাস্থানে নামার ব্যবস্থাও করবেন গাড়ীর চালক। পরস্পরকে শ্রদ্ধা আর সম্মান করার এই অনবদ্য গুণ জাপান দেশকে করে তুলেছে পৃথিবীর অন্যতম উন্নত দেশ। যত দেখছি নিজের দেশের জন্য প্রাণ কেঁদে উঠছে। না, এ পরশ্রীকাতরতা নয়। এ আমার দেশের হতভাগ্য ভাই বোনেদের না-পাওয়ার ব্যথায় সমব্যথী হয়ে ওঠা। যে দুটো পরিষেবার মাধ্যমে একটা জাতিকে উন্নত করা যায় সেই উন্নত স্বাস্থ্য আর আর উন্নত ,মানের শিক্ষা আজও আমার দেশের সিংহভাগ মানুষ পায় না। সেই সিংহ ভাগ মানুষের জীবন যাপনের মান অত্যন্ত নিম্ন, তারা বৃহত্তর সমাজে মানুষের সম্মানটুকু পায় না। এ দেশে এসে বুঝলাম দেশকে কেমন করে ভালবাসতে হয়, প্রতিটা মানুষের প্রাপ্য সম্মান তাকে কেমন করে দিতে হয়। 
    আমাদের গন্তব্য নিজো জো ক্যাসেলে পৌঁছলাম বেশ সকাল সকাল।ন’টা বাজে সবে ঘড়িতে। সদ্য সদ্য গেট খোলা হয়েছে ক্যাসেলের। একটু ভিড় কম আছে বোধহয় সেজন্য। এই ক্যাসেলের ইতিহাস ৪০০ বছরের পুরোণো। তোকুগাওয়া সোগুনেটের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা তোকুগাওয়া আইয়েসু ১৬০৩ সালে এই ক্যাসেল নির্মাণ করেন। দীর্ঘ দিনের গৃহযুদ্ধের অবসানে আইয়েসু-র কালে জাপানে শান্তি ফিরে আসে। সমগ্র জাপান আবার একত্রিত হয়। প্রায় ২৬০ বছর রাজত্ব করার পর জাপানে তোকুগাওয়া সম্প্রদায় ক্ষমতাচ্যুত হয় এবং সেই সঙ্গে সোগুনেট শাসনের অবসানে স্ম্রাটের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। সেই অর্থে দেখতে গেলে, জাপানের সামন্ত শাসনের শেষ পর্বের সূচনা এবং অবসান দুইয়েরই সাক্ষী এই নিজো জো ক্যাসেল।প্রথমেই চোখে পড়ল কারা মন গেট। মন কেড়ে নেওয়ার মত গেটই বটে। এ শুধু প্রবেশ দ্বার নয়। অপূর্ব কারুকাজে আর প্রতিটি খাঁজে শিল্পী যেন ফুটিয়ে তুলেছেন জাপানের অন্যতম শাসক গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা আর শৌর্যের কাহিনী। চারটে পিলারের ওপর সাপোর্ট দিয়ে বানানো হয়েছে গেটটা। লতায় পাতায় অপূর্ব নক্সা তোলা। খোদাই করা এক জোড়া সিংহ রীতি মেনে প্রাসাদের পাহাড়ায় আছে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ভীষণ সুন্দর বাগান চোখে পড়ল। মধ্যেখানে এক দ্বীপের মতো করা, সেখানে আছে সারস আর কচ্ছপ। এই দুই-ই জাপানে দীর্ঘ জীবনের প্রতীক। এ বাগানের নাম নিনোমারু বাগান। জাপানের নিজস্ব স্থাপত্য শৈলী ভারি সুন্দর। সমতায় আর প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতায় বিশ্বে এর জুড়ি মেলা ভার। বাগানের শোভা দেখতে দেখতে এগোচ্ছি চোখে পড়ল এমনি সুন্দর এক প্রাসাদঃ নিনোমারু-গোটেন প্যালেস। ছয়টা বিল্ডিং এমনভাবে বানানো হয়েছে যাতে একটার ভেতর দিয়ে আর একটায় চলে যাওয়া যায়। আমরাও দেখতে শুরু করলাম। দেওয়াল্গুলো সব অপূর্ব পেন্টিং দিয়ে সাজানো। সে সব পেন্টিং এর বিচিত্র বিষয়। বাঘ, চিতা, চেরি ফুলের ফোটা সুক্ষ্ম পেন্টিং-এ এসব কি না কুশলতার সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে! প্রথম তিনটে রুমের ব্যবহার ওয়েটিং হল হিসাবে। যাঁরা শোগুনের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন তাঁরা এখানে অপেক্ষা করতেন। দেওয়ালে আঁকা  সোনার রঙের হিংস্র বাঘের ছবি দেখে তাদের মনে শাসকের দাপট সম্বন্ধে একটা ধারণা দেওয়ার প্রচেষ্টা বলা চলে। তারপরে আসলো রিসেপশন। আগত অতিথি শোগুনের জন্য যা উপহার আনতেন তা এখানেই দিতে হত। কি কাজের জন্য শোগুনের সঙ্গে দেখা করতে আসা তা এই কক্ষেই প্রথম বলতে হত। এই কক্ষের দুটো ভাগ, প্রথম ভাগে রিসেপশন দ্বিতীয় ভাগে সিনিয়র কাউন্সিলারের রুম। অতিথি এখানে সিনিয়র কাউন্সিলারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন। এই কক্ষের পাইন গাছের সজ্জা সমৃদ্ধির অর্থবহ। আমরা একে একে দেখে চলেছি। এই প্রাসাদে মোট তেত্রিশটা রুম আছে, ৩,৬০০ পেন্টিং আছে। আজ থেকে চারশো বছর আগে কেমন করে মানুষ তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করত তা এক শিক্ষণীয় বিষয়। করিডরে  কাঠের মেঝের সঙ্গে এমনভাবে ক্ল্যাম্প লাগানো হত যাতে তার ওপর দিয়ে চললে পেরেকের সঙ্গে সংঘাতে মিষ্টি মধুর শব্দ ওঠে। এতে কারও আসার শব্দে শোগুন বা তার মন্ত্রীরা সতর্ক হতে পারতেন। নিজো জো প্যালেসও বার বার ধ্বংসের মুখে পড়ে ও কালে কালে তা পুনর্নির্মিত হয়। এখন এই প্যালেস ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। বাইরে বেরিয়ে আবার সেই বাগানের শোভা। ফুটে থাকা চেরি ফুলের শোভায় আর নতুনকে জানার আনন্দে আমরা মশগুল। মন গুনগুন করে উঠল, আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবে না / এই জানারই সঙ্গে সঙ্গে তোমায় চেনা। যেন মর্মে প্রবেশ করল এ লাইনের অর্থ। জারি থাকুক এমন জানা। আবার এক নতুনকে জানতে পা বাড়াই। এবার যাব দুই মন্দির গিন-কাকুজি আর কিন-কাকুজি।
     
    নিজো জা ক্যাসেল
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন