,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
বিপত্নীক মহাদেব দেবতার কোন ক্রমে সেই দিন ভাগ্যিস পার্বতীর সাথে বিয়ে দিয়ে ফেলো ছিলো দেবতারা নয়তো। ওর হাল খারাপ হয়ে যেতো। দূর্গার মতো দর্জাল বৌ মহাদেবকে একটু আধটু সংসারি করেছে। নয়তো চ্যালা চামুণ্ডা নিয়ে নেশা ভান করে এখানে ওখানে পড়ে থাকতো ও। পরনে একটা ভালো কাপড় চোপড় পরতো না, জীবজন্তু ছাল পরে ঘুরে বেড়াতো এখানে ওখানে একটা স্থায়ী ঠিকানা ছিলো না। পুরো শরৎচন্দ্রের দেবদাস।বাঁচাও ছিলো না কোন চন্দ্রমুখী । যদিও বিয়ে পরে গঙ্গার সাথে একটু লটর পটরের গল্প শোনা যায় কিন্তু পার্বতী ওগুলো পাত্তা দিতে চায় নি কারন শিব তো চাকুরী বাকুরি করে না। মাঝে মাঝে ওর মুখ ঝামটা খেয়ে হয়তো গঙ্গার কাছে যায়, কিন্তু পেটে টান পড়লেই চলে আসতে হয় এই ঘরেতেই। ঐ যে কথায় বলে না 'যতোই ঘুড়ি উরাও রাতে লাটাইতো আমার হাতে।'
বাপের বাড়ি লোকজন বলে "দূর্গা খুব বোকা নয়তো পেট মোটা ওই রকম বুড়ো অকর্ম ঢেকীকে বিয়ে করে। " অনেক বার, মাঝে মাঝে ঝগড়া ঝাটি হলেও ডির্ভোস করার কথা বলেছিলো ওকে কিন্তু ও করে নি। বরং শিব যেহুতু কোন পন টন নেয়নি। বাপের বাড়ি সমাপ্তি ভাগ চাই বলে কেসটেস করার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে সংসারটা ভালো ভাবেই চালিয়ে নিলো পার্বতী এতোদিন।
এখন ছেলে মেয়েদের চাকরি হয়েছে , বলতে পারেন আইডিয়াল Happy family... বাংলার সুখী পরিবার।
অবশ্য পর্বতী মহালয়া করে ভালোই রয়ালটি পেতো। সরস্বতী গান গাইতো টিউশনি পড়াতো। কার্তিক গণেশ ছোট বেলার টুক টাক অভিনয় করতো বিভিন্ন চল্লচিত্রে। লক্ষ্মীটা করতো হাতের কাজ মানে হস্তশিল্প। যাইহোক , এখন সরস্বতী তো কলেজে এখন অধ্যাপনা করছে।ওর স্বামী ও বৃদ্ধ ছেলেমেয়ে নেই, টাকা পয়সা ভালোই আছে। তাই ছাড়া হাতপা ভালোই টাকা পয়সা পাঠাতে পারে ও দূর্গার সংসারে। লক্ষীর তো বিয়ে হয়েছে একজন রাজনৈতিক নেতার সাথে ওরও টাকা পয়সার অভাব নেই কোন। কার্তিক মডেলিং করেছে, কিন্তু সালমানের মতো ওর বিয়েটা হচ্ছে না এটাই চিন্তার। গনেশের ব্যবসা ভালোই চলছে ফুলে ফেঁপে কলাগাছ। তাই কলাগাছকেই বিয়ে করে নেয়েছে।
টাকা পয়সার সমস্যা নেই। সুখেই দিন কাটছে। কিন্তু দূর্ভাগ্য দূর্গার স্বভাবটা বদলালো কই ?
গিরগির করতে থাকে সারা দিন। গাঁজা খাওয়া ছাড়িয়ে ইলেকট্রনিক সিগারেট এনে দিয়েছে। সাটা ছাড়ানোর জন্যেও উঠে পড়ে লেগেছে। কথা শোনায় খুব । আবার এখন ভুড়িটার পিছনেও লেগেছে। কোন কিছু খেতে দেয়না ও মহাদেবকে। কিজেনো বলে ডায়েট কন্ট্রোল।
রোজ ভোরবেলা তুলে gym পাঠায় ওকে। লোকে বলে শিবের বেশি দাবিদাবা নেই জল, বেলপাতাতে খুশি। তবে মা দূর্গা মানে অর্ন্নপুন্না অনেক হোটেলে রান্নার কাজ করতেন আগে তাই অনেক কিছুই রান্না করে খাওয়াতেন অভাবের সংসারেও মানে সব পার্সেল করে আনতো শিবের জন্য, ঐ সব খেয়েই তো শিবের অতো বড় ভুড়ি । আজকাল টাকা পয়সা হয়েছে মা ঘরে ই বাবার জন্য সব খাবার করতে পারেন কিন্তু তবুও করেন না। স্বাস্থ্য সচেতন। তেল মাসলা বন্ধ। সিদ্ধ খেয়ে খেয়ে শিবের জীবন নাজেহাল অবস্থা।
দূর্গার অবস্হা খারাপ এতো বড়ো সংসার সামলাতে তারো নাজাহাল অবস্থা। দূর্গার এগারো হাতেও সংসার সামলাতে পারে না। আপনি বলবেন দশহাতের কথা আপনি জানেন। এগারো হাত বলছি কারন মেয়েদের আরো একটা হাত আছে যেটা আপনার চোখে পরে না। ওটা হলো অজুহাত।
নন্দি ভিঙ্গি সাহায্য করা বদলে নেশা করে কাজ করে। ফলে সারা কাজ বাড়া করে। আবোলতাবোল করে সময় নষ্ট করে।
এ দিকে পশু প্রেমীদের আন্দোলন করার ফলে বাহন ব্যবহারেও অনেক সমস্যা। সিংহ এর এ্যাটিটুট বেড়ে গেছে। রাজা বলে কথা। ইঁদুর কথার যুক্তি আছে গনেশের চেহারাটা ভীষণ বড়ো ওর দ্বারা হয়না ওতো আর গাধা নয় যে অতো বোঝা বইবে। কার্তিক আবার বায়না ধরেছে, রয়েল ইনফিলড চাই, ময়ুর তো এখন জাতীয় পাখি ও আর কার্তিকের কাছে কাজ করবে না। লক্ষী এখন বিবাহিত ওর কি রাতেভিতে আর বেড়ানো চলে? পেঁচাকে নিয়ে তো দিনের বেলায় বেড়ানো যায় না। তাই লক্ষীর নতুন গাড়ি চাই। সরস্বতী সেম প্রবলেম
হাঁসকে নিয়ে সব জায়গায় যাওয়া যায়না। তাই নতুন গাড়ি চাই। এদিকে পেট্রোলের দাম আকাশছোঁয়া গাড়ি তো কিছুতে কিনতে দিতে চাইছে না শিব। মহাদেবের সুখী পরিবার এখন আর সুখী নেই। ঝগড়া ঝাটি হলে কথা ছিলো মান অভিমানের পালা চলছে। মহাদেব একটা জিনিষ বুঝতে পারছে টাকা পয়সা হলেই সুখ আসে না।
সুখ আসে adjustment এ।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,