এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ০৩ মে ২০২১ ০৫:৫৮105379
  • "সিএএ-এনপিআর-এনার্সি’র ভূতও তাড়া করেছে বাঙালিকে। বাপ-পিতামোর ভিটেমাটি চাঁটি করবে বিদেশী বর্গীর দল, এই আস্পর্ধার মুখে মূত্রবিসর্জন করেছে সুন্দরবন থেকে শীতলকুচি, সব বাঙালি। মুসলমান বাঙালির ভীতি ছিল, তাকে সেকেন্ড ক্লাস নাগরিক বানাবে এই থার্ড ক্লাস বর্গীর দল, ফলত ভোট গোছা করে দিয়ে এসো তাকে যে লড়তে পারে এই বেদরদি-বর্গীর বিরুদ্ধে। এমনই তোড় সেই ভোট-স্রোতের, মামু কংগ্রেস পর্যন্ত শূন্য এ বুকে ..."


    মমতার বিজয় নেপথ্যে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মনে হয়েছে। আঁটোসাঁটো লেখায় সবদিক সুন্দর ভাবে এসেছে। 


    সংযুক্ত মোর্চার পরাজয়েরও প্রচ্ছন্ন কারণ এই সব পয়েন্ট। তবু তাদের পরাজয়ে নির্দিষ্ট কি কি ফ্যাক্টর কাজ করেছে, খুব সংক্ষেপে হলেও উল্লেখ করলে সোনায় সোহাগা হতো। 


    এছাড়া খোদ নন্দীগ্রামে দিদির পরাজয়ের কারণ কী, তা জানার আগ্রহ রইলো। কেউ কী তা বলবেন? 


    ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের "জয় বাংলা" শ্লোগান এবার ভিন্ন মর্যাদা পেল। 

  • বিপ্লব রহমান | ০৩ মে ২০২১ ০৯:১৯105384
  • পুনশ্চঃ ঝন্টু বামেরা সংযুক্ত মোর্চায় ঐতিহাসিক ভুল করতে করতে নিজেরাই না ইতিহাস হয়ে যায়! খেলা শেষে এই বিশ্লেষণটিও যুক্তিযুক্ত মনে হলো। 


  • guru | 103.211.20.196 | ০৩ মে ২০২১ ১১:৪২105392
  • @বিপ্লব রহমান
    বিজেপি এই নির্বাচনে পরিষ্কার মেরুকরণ করতে চেয়েছিলো হিন্দু -মুসলমান নিয়ে | সেখানে মমতা মেরুকরণ করেছেন বহিরাগত -ভূমিপুত্র বাঙালি এই ব্যাপারটায় | মমতার এই কৌশল নতুন কিছু নয় ১৯৭০-৭১ সালের পাকিস্তান নির্বাচনে শেইখ মুজিবুর রহমান এই পদ্ধতি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন | আসলে বাংলার মানুষ এখনো নিজের ভাষাভিত্তিক ও সংস্কৃতিক পরিচয় কে তার ধর্মভিত্তিক পরিচয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় |   

    সংযুক্ত মোর্চার পরাজয়েরও মূল কারণ এটাই | তাদের নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্ক বহিরাগত -ভূমিপুত্র এই মেরুকরণ এর ফলে সম্পূর্ণভাবে মমতা আর বিজেপি এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে | তাই তাদের নিজস্য আর কোনো ভোট ব্যাঙ্ক রইলোনা |

    নন্দীগ্রামের ব্যাপারটি বেশ বিতর্কিত | বিকেল ৫টা পর্যন্ত বলা হলো মমতা জিতেছেন সেখানে হটাৎ সন্ধে ৬টায় বলা হলো তিনি ১৫০০ ভোট হেরে গেছেন | ব্যাপারটি বেশ বিতর্কিত |

    পরিশেষে আপনাকে একটি প্রশ্ন করছি | বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরের পূর্তি উপলক্ষে হঠাৎ করে ভারতের তরফ থেকে covid ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করাটা কি হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ভারতের প্রতি ক্ষোভ বৃদ্ধি করবে ? মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের মানুষ কতটা কষ্ট ও দুর্ভোগের শিকার হলেন ও এখন শেখ হাসিনা কি তার ভারতপন্থী নীতির পরিবর্তন করবেন ?


    আপনার উত্তরের প্রতিখ্যায় রইলাম  |

  • বিপ্লব রহমান | ০৬ মে ২০২১ ২১:৫৬105633
  • Guru,
    আপনার আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে--

    অবশ্য আমার মনে হয়েছে, বিজেপিকে ঠেকাতে মমতার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে, "বাংলা বাঁচাও" জাতীয়তাবাদী শ্লোগান। ১৯৭০-৭১ এ শেখ মুজিব একই বাংগালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে উস্কে দিতে পেরেছিলেন "জয় বাংলা" শ্লোগানে। "ভূমিপুত্র" বললে এপারে ঠিক পুরোটা বলা হয় না, যেখানে মুক্তিযুদ্ধে আবার বাংগালিরা ছাড়াও আদিবাসীরাও অংশগ্রহণ করেছিল মুক্তিরই চেতনায়।

    টিকা নীতির ব্যর্থতাতেই আওয়ামী লীগ সরকারের ভারতপন্থী নীতি বদলে যাবে বলে মনে করি না। অন্য আরেক সুতোতেও একই কথা বলেছি।
    শুধুমাত্র ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে চুক্তি করে একটি উৎসের ওপর নির্ভর করায় " "কোভিশিল্ড" ডোজ শর্টেজে এরই মধ্যে বন্ধ করতে হয়েছে প্রথম দফায় টিকাদান। বাকী মজুদ দিয়ে চলছে দ্বিতীয় দফায় টিকাদান। তবে তরিঘরি করে রাশিয়ার "স্পুৎনিক ভি" টিকা দেশেই উৎপাদনের চুক্তি করেছে সরকার। চীনা টিকা আমদানির চুক্তিও হয়েছে। শিগগিরই দেশে পৌঁছাবে "সিনোভ্যাক" এর পাঁচ  লাখ ডোজ উপহারের টিকা।
    কাজেই কিছুটা ছেদ পড়লেও এ পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি আবারও নব উদ্যোমে শিগগিরই শুরু হবে আশা করা যায়।
    এদিক থেকে সরকারকে অনেক কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তাছাড়া গণ টিকাদান কর্মসূচিতে ৪০ বছরের কমবয়সীদের ডোজ দেওয়া শুরু হতে না হতে টিকার চালানের অনিশ্চয়তায় ২ মে থেকে বন্ধ রয়েছে নিবন্ধন। তবে এরই মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ লাখ মানুষ।
    আর এতেই সরকারের "ভারতপন্থী নীতি" বদলে যাবে বলে মনে হয় না, কারণ সম্ভবতঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রতিম দেশ ভারত, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যার সূচনা।
    এদিকে ভারতে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে টিকা রপ্তানি বন্ধ করায় চুক্তি অনুযায়ী সেরামকে বাংলাদেশের টাকা ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের মন্ত্রীরা।
    আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন