এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  ভোটবাক্স  বিধানসভা-২০২১

  • ভোটে জোটে জটপাকানো ভাবনা

    Kallol Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ভোটবাক্স | বিধানসভা-২০২১ | ২২ জানুয়ারি ২০২১ | ২৯৩০ বার পঠিত
  • এই পশ্চিমবাংলার ভোটবাজারে একটা বিতর্ক বাম মহলে জমে উঠেছে, এই বাংলার বিধানসভা ভোটে প্রধান শত্রু কে? বিজেপি না তৃণমূল?

    স্পষ্টতঃ তিনভাগে বিভক্ত মতামত।

    ১) সিপিএম পরিচালিত বামফ্রন্ট বলছে (বামফ্রন্টের অন্য দলেদের এই বিষয়ে আলাদা কোন মত চোখে পড়ছে না), বিজেপি ও তৃণমূল দুইই সমান বিপদ। তৃণমূলকে হারালেই বিজেপিকে হারানো হবে।

    ২) সিপিআইএমএল লিবারেশন বলছে, মূল বিপদ বিজেপি, তৃণমূল বিরোধীতা করতে হবে, কিন্তু বিরোধীতার বর্শামুখ বিজেপির দিকে থাকবে।

    ৩) অন্য নানান বাম ও গণতান্ত্রিক মানুষ বলছে, যে কোন মূল্যে বিজেপিকে রুখতে হবে। বৃহত্তর জোট হোক যাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়া যেতে পারে। সমস্ত বিজেপি বিরোধী ভোট ঐক্যবদ্ধ হোক।

    মতগুলি নিয়ে ভাবার চেষ্টা করি।

    বিজেপি ও তৃণমূল দুইই সমান বিপদ। তৃণমূলকে হারালেই বিজেপিকে হারানো হবে। কিংবা দুজনরই বিরোধীতা করতে হবে একজনের বেশী, অন্যজনের কম।

    বিজেপি ফ্যাসিস্ট, তৃণমূলও ফ্যাসিস্ট। তাই এদের মধ্যে কোন ফারাক নেই। বিজেপি ফ্যাসিস্ট কি না তাই নিয়ে আলোচনা একেবারে নিরর্থক না হলেও এই আলোচনায় সে বিষয় পরে এলেও চলবে। তৃণমূল ফ্যাসিস্ট কি না সেটা দেখা যাক। স্বৈরতান্ত্রিকতা তৃণমূলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। যে ভাবে পঞ্চায়েৎ নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হয় নি, তাতে এই প্রবণতা পরিষ্কার। এছাড়াও বিরোধী কন্ঠস্বরকে মুছে দিতে তৃণমূল প্রথম থেকেই তৎপর। সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা ২০১১য় পাশে ছিলো তারাও বিরোধীতা করতে গেলে হিংস্র আক্রমনের সামনে পড়েছে।

    স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতাই কি ফ্যাসিবাদ? আলোচনা যেহেতু মার্কসীয় পরিসরে হচ্ছে তাই এ বিষয়ে মার্কসবাদী চিন্তাবিদদের বক্তব্য দেখা যাক।

    ২ আগস্ট ১৯৩৫এ কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের ৭ম কংগ্রেসে জর্জ দিমিত্রভের পেশ করা প্রতিবেদনে ফ্যাসীবাদের শ্রেণীচরিত্র নিয়ে বলছেন -

    যেমনটা ব্রিটিশ সমাজতন্ত্রী ব্রালিসফোর্ডের বলেছেন, এরা অভুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্র দখল করে নেওয়া পেটিবুর্জোয়া – তা নয়। ফ্যাসিবাদ শ্রেণীর ঊর্ধে অবস্থিত কোন ক্ষমতা নয়, এমনকি লগ্নি পুঁজির বিরোধী পেটি বুর্জোয়া বা লুম্পেন প্রলেতারিয়েৎদের সরকারও নয়। ফ্যাসিবাদ লগ্নি পুঁজির ক্ষমতায় বলীয়ান। এটি শ্রমিক শ্রেণী, বিপ্লবী কৃষক ও বুদ্ধিজীবীদের উপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। এটি উগ্র দেশপ্রেম আর অন্য জাতির প্রতি ঘৃণার উদ্রেক করে চলে। এটি লগ্নিপুঁজির হিংস্রতম রূপ।
    (অনুবাদ লেখকের, মূল লেখাটি দেখতে চাইলে এখানে পাবেন - https://www.marxists.org/.../dimi.../works/1935/08_02.htm )

    এখন দেখা যাক পশ্চিমবঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে কে কোথায় দাঁড়িয়ে।

    বিজেপির শ্রেণীচরিত্র খুঁড়ে দেখলে বেরিয়ে আসছে আদানী, আম্বানীরা। এরা অবশ্যই বৃহৎ একচেটিয়া লগ্নি পুঁজি। বিজেপির সাথে এদের দহরম-মহরম সর্বজনবিদীত। বিজেপি সব লাভজনক সরকারী সংস্থা এদের হাতে তুলে দিতে বদ্ধপরিকর। সম্প্রতি পাস হওয়া কৃষি বিল এদেরই স্বার্থে। এসব নিয়ে আর বেশী বলার মানেই হয় না। এই বৃহৎ একচেটিয়া লগ্নি পুঁজি তৃণমূলকে বাঁপায়ের কড়ে আঙ্গুল দিয়েও পোঁছে না। তৃণমূলের টাকার জোগান দেয় কে? সারদা, রোজভ্যালী, আইকোরের মত পুঁজিপতি। আর অবশ্যই ছোট-বড়-মাঝারী নির্মান সংস্থা, বালি ও কয়লা মাফিয়া। এদের যদি লগ্নিপুঁজি বলা হয় তো সেটা বেশ হাস্যকর ঠেকবে। ফলে শ্রেণী চরিত্রের জায়গা থেকে তৃণমূলের পক্ষে মার্কসবাদী মতে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠাটা বেশ চাপের। তৃণমূল অবশ্যই স্বৈরতান্ত্রিক। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হতে অন্ততঃ ভারতের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হবে। সেটা আপাততঃ বেশ কষ্টকল্পনা। পশ্চিমবঙ্গে বুদ্ধবাবু পুঁজি আনার চেষ্টা করেছিলেন, ভেস্তে গেছে তৃণমূলের কারনেই। বহুকাল এই রাজ্যে বৃহৎ পুঁজিই নেই তো তাদের তল্পিবাহক কোদ্দিয়ে আসবে !

    কিন্তু তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায়। ফলে তাদের সাথে জোট কি করা যায়?

    দেখা যাক দিমিত্রভ কি বলছেন। ঐ একই প্রতিবেদনে যেখানে সমাজ-গণতন্ত্রীরা ক্ষমতায় আছে সেখানে ফ্যাসিবিরোধী যুক্তফ্রন্ট নিয়ে বলছেন – বুর্জোয়াদের সাথে আপোষ করে চলা সমাজ-গণতন্ত্রীদের সরকার সম্পর্কে আমাদের বিরোধীতা সর্বজনবিদীত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কোন কোন সমস্যায় এদের সাথে কোন রকম কোন যুক্তফ্রন্ট একেবারেই অসম্ভব।
    (অনুবাদ লেখকের, উপরে দেওয়া লিঙ্কেই মূল লেখাটি পাবেন)

    এখন, তৃণমূল সমাজ-গণতন্ত্রী কি না তাই নিয়ে তর্ক হতেই পারে। তবে এরা যে বুর্জোয়াদের সাথে আপোষ করে চলে ও ছুটকো পুঁজিপতিদের আর লুম্পেনদের শ্রেণী প্রতিনিধি সেটা পরিষ্কার। এরা কোনভাবেই বৃহৎ লগ্নিপুঁজির প্রতিনিধিত্ব করে না। সত্যি কথা বলতে বৃহৎ লগ্নিপুঁজি এদের পাত্তাই দেয় না।

    তাহলে তৃণমূলের সাথে শ্রমিক শ্রেণীর দ্বন্দ্বের কি হবে? তা কি উবে যাবে? আবারও অন্য এক মার্কসবাদী চিন্তাবিদের কাছে হাত পাতি। দেখা যাক মাও-ৎসে-তুং দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে কি বলছেন –
    যে কোন প্রক্রিয়াতেই বহুসংখ্যক দ্বন্দ্ব থাকে, তার যে কোন একটিই প্রধান দ্বন্দ্ব, যা (ঐ দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায়) নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়ে থাকে, অন্য দ্বন্দ্বগুলি অপ্রধান বা নীচের সারিতে থাকে। তাই যেকোন জটিল প্রক্রিয়ায় যেখানে দুটির বেশী দ্বন্দ্ব উপস্থিত, আমাদের সমস্ত বোধ দিয়ে প্রধান দ্বন্দ্বটিকে চিহ্নিত করতে হবে। প্রধান দ্বন্দ্বটি চিহ্নিত করা গেলেই সমস্ত সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।

    মার্ক্স এই পদ্ধতিটি শিখিয়েছেন ধণতান্ত্রিক সমাজের অধ্যয়ন করতে গিয়ে। যেমনভাবে লেনিন ও স্তালিন এটি শিখিয়েছেন সাম্রাজ্যবাদ ও ধণতন্ত্রের সাধারণ সংকট এবং সোভিয়েৎ অর্থনীতি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে। অনেকেই এটা বুঝতে না পেরে কুয়াশায় পথভ্রষ্ট হন এবং দ্বন্দ্বের নিরাকরণে অসমর্থ হন।

    মাও-ৎসে-তুং ঐ লেখাতেই আরও বলছেন – একটি প্রক্রিয়ায় সমস্ত দ্বন্দ্বগুলিকেই সমান ভাবা ঠিক নয়। কখনও তাদের প্রায় সমান দেখায়। কিন্তু আসলে তা নয়। সমস্ত প্রক্রিয়াতেই দ্বন্দ্বগুলি অসমান, এটাই একাধিক দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে সত্য। কিন্তু এই প্রধান ও অপ্রধান দ্বন্দ্ব কখনই চিরন্তন নয়। ক্ষেত্র বিশেষে এরা স্থান বদল করতেই পারে। আবার সব দ্বন্দ্বই বৈরীতামূলক নয়। দ্বন্দ্ব মানেই বৈরীতা এমনটা কখনোই নয়। অবৈরীতামূলক দ্বন্দ্বও থাকে। সেও ক্ষেত্র বিশেষে পাল্টায়।
    (অনুবাদ লেখকের, মূল লেখাটি এখানে পাবেন - https://www.marxists.org/.../select.../volume-1/mswv1_17.htm )

    এবার দেশীয় পটভূমিতে কিভাবে এই যুক্তফ্রন্টের প্রয়োগ ঘটেছে সেদিকে নজর দেওয়া যাক।

    হরকিষেন সিং সুরজিৎ লিখছেন – আজকের রাজনৈতিক বাতাবারণ এবং আমাদের কৌশলগত বিবর্তনের প্রেক্ষিত – এই শিরোনামে। লেখাটি ছাপা হয় দ্য মার্ক্সিস্ট, ভল্যুম ৮, সংখ্যা ৪, অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৯৯০-এ।

    উনি ১৯৭৫এর জরুরি অবস্থার সময়কার কথা বলছেন – আমরা চেষ্টা করছিলাম পার্টি কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সমস্ত বাম শক্তিকে সংহত করতে। এটা করতে গিয়ে আমরা কংগ্রেসের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে অন্য শাসক শ্রেণীগুলোর ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে ওঠা প্রতিরোধের প্রকৃত শক্তি বুঝেই উঠতে পারি নি।

    হরকিষেন লিখছেন – তার ফলে জয়প্রকাশের স্বৈরতন্ত্রবিরোধী লড়াইয়ে সমাজতন্ত্রীরা, কংগ্রেসের একটা অংশ এমনকি জনসঙ্ঘও যোগ দিলেও, আমরা এই আন্দোলনকে সদর্থক হিসাবে দেখতে দ্বিধায় ছিলাম। কিন্তু পরে সে দ্বিধা কাটিয়ে উঠে জয়প্রকাশের আন্দোলনের সাথে মিশে না গিয়েও তাকে সমর্থন দিলাম।

    হরকিষেন আরও লিখছেন – দশম কংরেসের পূনর্মূল্যায়নে উল্লিখিত আছে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রচন্ড বিরোধীতা ছিলো।
    (অনুবাদ লেখকের, মূল লেখাটি পড়তে এই লিঙ্কটিতে যান - https://cpim.org/content/evolution-our-tactics-perspective )

    এইখানে বিরোধীতার স্বরূপটি বুঝতে অন্য একটি লেখা দেখে নেওয়া দরকার। লেখাটি সিপিএম নেতা পি সুন্দরাইয়ার পদত্যাগ পত্র।

    প্রিয় কমরেডগণ,

    পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের কাছে ২২-৮-১৯৭৫এ লেখা চিঠিতে আমি আমার পদত্যাগের যে কারনগুলি জানিয়েছি, সেগুলি –

    ১) কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ সদস্য, সাম্রাজ্যবাদের ধ্বজাধারী জনসঙ্ঘ ও তার ফ্যাসিস্ট জঙ্গী সংগঠনের (আরএসএসের মত ঝটিকা-বাহিনী) সাথে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে যৌথভাবে কর্মসূচী নেওয়ার পক্ষে, যা আমি মনে করি পার্টির পক্ষে, দেশের ও বিদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের পক্ষে ক্ষতিকারক, ও যা আমাদের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও সমাজতান্ত্রিক শক্তির থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। এটিই আমার পদত্যাগের অন্যতম কারন।
    (অনুবাদ লেখকের, মূল লেখাটি এখানে পাবেন - https://www.revolutionarydemocracy.org/archive/resig.htm )

    ইতিহাস প্রমাণ করেছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরো ১৯৭৫এ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্বৈরতান্ত্রিক ইন্দিরার পরাজয় ঘটেছিলো। পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছর ধরে সিপিএম ক্ষমতায় ছিলো।

    এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা। অন্য নানান বাম ও গণতান্ত্রিক মানুষ কোনভাবেই কোন জোট গড়তে বা ভাঙ্গতে পারার মতো জায়গায় নেই। তারা শুধু বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন। নিজ বিবেচনা মত ভোট দিতে পারেন। সিদ্ধান্ত নিতে হবে দলগুলিকে – তারা কি করবে !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.3.80 | ২২ জানুয়ারি ২০২১ ০৮:১২733555
  • কল্লোলদা আন্তরিক ভাবে মানুষকে কমেডি দিতে চান, এই জিনিসটা ছাড়া আর কিছুই স্পষ্ট নয়। ২০০৭ এর বৃহৎ পুঁজির দালাল স্বৈরতন্ত্রী দল সিপিএম তৎঅপরবর্তী বিভিন্ন ভোটে হারা ছাড়া কি এমন করলো যে ২০২১ এ তাকে সংগে নেবার জন্য ১৯৩৫ তথা ১৯৭৫ এর বিভিন্ন থিসিস মনে করতে হচ্ছে এটাই পরিষ্কার না। এই অ্যানালিসিসটাই এই লেখায় নেই।


    তৃণমূলকে বৃহৎ লগ্নি পুঁজির বন্ধু অথবা দালাল ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসেবে দেখে তাত্ত্বিক মূল্যায়ন কে বা কারা করেছে সেটার রেফারেন্স পেলে ভালো হত, তাইলে গোটা প্রবন্ধটাই ছায়ার সংগে কুস্তিতে পর্যবসিত হত না।


    দেখুন সিপিএম এর কংগ্রেস ছাড়া কারো সংগে জোট করতে আগ্রহ নেই। লিবারেশন তৃণমূলের সংগে জোট সরকারী ভাবে কেন করে নি স্পষ্ট না। এমনকি ১৭ বাম দলের জোটের বাকি পনেরোটিকে নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে সে জোট করে নি কেন তাও স্পষ্ট না। মিডিয়ার এবং উচ্চশিক্ষিত হিন্দু বাঙালির একটা সিগনিফিকান্ট অংশের বিজেপি ছাড়া কাউকে জেতানোর আগ্রহ নেই। তৃণমূলের (দলে যে অংশটি টিঁকে আছে) কারো সংগে কোন অ্যালায়েন্সে যাবার কোন আগ্রহ নেই। এবং থাকার কোন কারণ আছে কিনা এই মুহুর্তে স্পষ্ট ও না। এই পরিস্থিতিতে কি কি ন্যুনতম রাজনৈতিক কর্মসূচীর ভিত্তিতে তবু দলগুলি আলোচনা করতে পারত, তার ও কোন দিশা এই প্রবন্ধে নেই। তবু কতগুলি গোল গোল সম্ভাবনা নিয়ে কন্ডূয়ন।

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.7.70 | ২২ জানুয়ারি ২০২১ ১৩:২৪733556
  • ঘন ঘন এবং দলে দলে স্বৈরতন্ত্রী ঝোঁক ওয়ালা তৃণমূলী লোকেরা লগ্নি পুঁজি সমর্থিত ফ্যাসীবাদী দলের লোক হয়ে যাচ্ছে। যে কোনো মুহুর্তে আম্বানির রা লগ্নি পুঁজি থেকে সিন্ডিকেটে নেবে আসবে। :-)

  • Kallol Dasgupta | ২২ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:৪৯733557
  • আমি সামান্য মানুষ। দিশা দেখানো আমার কাজ নয়। সমাজ মাধ্যমে নানা জনে লেখে বিজেপি আর তৃণমূল একই রকম ফ্যাসিস্ট। কারা যেন কখনো জনসংঘের সাথে মিতালী করে নি। তাই এট্টু খুঁজে দেখছিলুম আরকি।

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.90.36 | ২২ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৩২733559
  • কল্লোলদা, বিনয় থেকে বিষয়ে এসো। তৃণমূল এর কোন দরকার আর আগ্রহ নেই সিপিএম এর সঙ্গে আলায়েন্স করার। সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে আলায়েন্স করবে ঘোষণা করেছে। নতুন‌কিছুর এ নির্বাচনে অবকাশ কম। লিবারেশন আর অন্য পনেরোটা বাম পার্টি তৃণমূল য়ের সঙ্গে যাচ্ছে না কেন? কংগ্রেস তৃণমূল এর সঙ্গে ২০১১ তে থাকার পরেও পর পর দুবার আলায়েন্স করছে কেন, মানে সত্যিই আমি জানি না, তৃণমূল এর সঙ্গে গেলে যেখানে মন্ত্রীত্ব মোটামুটি পাকা সেখানে লিবারেশন, কংগ্রেস অন্য দলগুলো তৃণমূল এর সঙ্গে যাচ্ছে না কেন?


    তৃণমূল এর পক্ষ থেকে, সিপিএম শুদ্ধ ছেড়ে দাও, সিপিএম ছাড়া সেক্যুলার ফ্রন্ট এর কোন উদ্যোগ হয়েছে? কেন খামোখা থিয়োরি‌ ঘাঁটছো। মমতা এমনিই জিতবেন মনে করছেন, সি ভোটার সমীক্ষা, প্রশান্ত কিশোর তাই বলছেন। প্রশান্ত কিশোর তো লালু নীতিশকে এক ছাতার তলায় এনেছে একটা সময়, তার সাজেশন তো থাকতে পারত। থাকলে মমতা সেটা শুনতেন হয়তো। ঘটনা‌ হল বিজেপি ততটা বড় মনে‌ হচ্ছে হয়ত তত কিসু না‌, ঐ জন্য তৃণমূল আলাই খুঁজতে ডেসপারেট নয়। মানে হতেই পারে।

  • :( | 2405:8100:8000:5ca1::2b8:d3ce | ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৭:৩৫733561
  • দাশগুপ্তরা সহজ নয়।

  • Kallol Dasgupta | ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৮:৫৬733563
  • কে কার সাথে জোট করবে/করবেনা সেটা আমি ঠিক করার কেউ না। আমরা কেউই এসব প্রভাবিত করতে পারবো না। মমতা, বিমান, অধীর, দীপঙ্কর ফেসবুকে বা গুরুতে আমাদের লেখা পড়ে জ্ঞানবাতির আলো জ্বালবেন এমত দূরাশা আমার নাই। 


    আমি শুধু নানান সমাজমাধ্যমে ওঠা নানান কথাবার্তা নিয়ে ভাবছিলাম। কথাবার্তাগুলো অবশ্যই সামনের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভোট নিয়ে, জোট নিয়ে। কেউ কেউ বলছেন বিজেপিবিরোধী সব-দল জোট হোক। আমার নিজেরও সেই মত। আমি ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা, তাই অসম্ভব স্বপ্ন দেখায় আসক্তি আছে। কেউ কেউ বলছেন, তৃণমূল আর বিজেপি একই রকম বিপদজনক ফ্যাসিস্ট। কেউ কেউ বলছেন, তৃণমূল আর বিজেপি দিজনের বিরুদ্ধেই লড়াই, তবে বেশী আক্রমন বিজেপিকে। জোটের বেলায় কেউ কেউ নানান কথার পিঠে বলছেন সিপিএম কখনো জনসঙ্ঘের সাথে হাত মেলায় নি। এসব যারা বলছেন তারা নিজেদের মার্ক্সবাদী বলেন। তাই এসবের চানবিন করতে এট্টু মার্ক্সীয় লেখা পত্তর ঘাঁটলাম। ফ্যাসিস্ট কারে কয়? ফ্যাসিবিরোধী জোট কিমত হয়? দুটি দ্বন্দ্বের সাথে একসাথে কম-বেশী করে লড়া যায় কিনা? সিপিএম কখনো জনসঙ্ঘের হাত ধরেছে কিনা? এসব খুঁজতে গিয়েই ১৯৩৫ থেকে ১৯৭৫, দিমিত্রভ থেকে মাও হয়ে হরকিষেন, সুন্দরাইয়া। এই আর কি? 


    কে বা কোন দল কি করবে সে নিয়ে আমার বা আমার মত সাধারণের কোন কথাই বলা উচিৎ না। তবু ঐ যে বললাম ছাগলের তৃতীয় বাচ্চারা অসম্ভবের স্বপ্ন দেখে। যদি ধরা যাক এই নির্বাচনে বাম বা বিজেপি বা তৃণমূল বা কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে (কেউ তো একটা আসবেই) আমরা খুশী বা দুঃখিত হতে পারি মাত্র। 


    এই আর কি। 

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2402:3a80:a58:8f1b:428e:8423:ff33:b45a | ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৯:১৭733564
  • ওকে কল্লোলদা। আমি বিশ্বাস করি না তুমি সঠিক জায়গায় কিছু কথা বলে এলে সেটা লোকে গুরুত্ব দেবে না, তোমার এখনো হয়তো কিছু আ্যকসেস আছে, যেটা কোনদিন আমার ছিল না বা হবে ও না। এনি ওয়ে।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন