বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রায় শোনাচ্ছিলেন,হয়ত নবান্নে বসে মুচকি হাসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এমন অলীক ধারণা আপনার উদয় হলো কীভাবে? না,ঠিক উদয় নয় বিশ্বাস! তবে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এই রায় যদি এক মাস আগে আসতো অন্তত পুজো উদ্যোক্তরা এতটা অসুবিধায় পড়তেন না। তাঁরা নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারতেন। আর প্রশাসন যদি আদালতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতো, তাহলে তো কোনও সমস্যাই থাকতো না। ওই যে বললাম, তিনি হয়তো তখন মুচকি হাসছিলেন!
কিন্তু মমতার হাসির কারণ কী?
পুজোর জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান। একটা, দুটোর জন্য নয়,রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকার অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজকোষ ঝেড়েপুছে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। করোনা কালে এমন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কয়েকটা সাবধানবাণী উল্লেখ করলেও ভিড় প্রসঙ্গে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনি। তাঁর সরকার মেনেই নিয়েছে, পুজোর পর করোনা বৃদ্ধি অনেকটাই বাড়তে পারে। তা সত্ত্বেও, মমতা মুখ ফুটে বলেননি, এবার পুজোর আড়ম্বর থাক, নিয়ম মেনে পুজোটাই হওয়া উচিত।
সে বলার সাহস মমতার কুলোইনি। যদি ফের হিন্দু বিরোধী তকমা সেঁটে যায়! ভোট বড় বালাই। কিন্তু মমতা মনে মনে হয়ত চেয়েছিলেন পুজোর পর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকুক। তা করতে হলে আজ আদালত যেটা করেছে,মমতাকে তাই করতে হতো। তাই নবান্নে বসে মমতা মুচকি হেসে ভাবছিলেন, সাপ মরলও, লাঠিও ভাঙল না।