এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অভিজিৎ --- "আমাদের" কী করা উচিৎ

    অভিজিতের জন্য লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ৮০৮ বার পঠিত
  • ইমতিয়াজ মাহমুদ

    (১)
    অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুতে আমাদের কী ক্ষতি হয়েছে? এবং আমাদের কী করা উচিৎ। আগে বলে নিই এই আমরা কারা। আমরা হচ্ছি বাংলাদেশের মানুষের সেই অংশ যারা ইহলৌকিক জীবন যাপন করি। অর্থাৎ যারা পারলৌকিক জীবনের বিপরীতে ইহলোককে বেছে নিয়েছি। এই দলে নাস্তিকেরা তো আছেই, নাস্তিক ছাড়া অন্যরাও আছে যারা মনে করে আমাদের প্রতিদিনের জীবনে, সে রাষ্ট্র সমাজ কিংবা একান্ত ব্যক্তিগত জীবন যেটাই হোক, ঈশ্বর এবং ঈশ্বরের নামে প্রচলিত বিধানগুলির ভূমিকা নিয়ামক নয়।
    অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুতে যে ক্ষতিটা আমাদের সেটা একটু দেখি। অভিজিৎ রায় চলে গেলেন সেই ক্ষতি তো একটা বড় ক্ষতি বটেই। তিনি থাকলে তিনি নিজেই যে শুধু লিখতেন বা ভাবতেন তার মধ্যেই তাঁর ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকতো তা তো আর না। একজন লেখকের উপস্থিতি কখনো সংগঠিত আকারে আর বেশীরভাগ সময় অসংগঠিত অর্গানিক রূপে একেকটা চিন্তার স্কুল তৈরি করে। কখনো সেই স্কুলটা বড় হয়, দৃষ্টিগ্রাহ্য হয়, সমাজে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে। আবার কখনো কখনো সেটা অত দৃশ্যমান হয় না। কিন্তু একেকজন লেখককে কেন্দ্র করে এরকম একটা চিন্তার কেন্দ্র সবসময়ই থাকে। এমনকি জনপ্রিয় ধারার বাজারি লেখকদের ক্ষেত্রেও এই কথাটা সত্যি। অভিজিৎ রায় ও তাঁর লেখা ও কর্মকে ঘিরে, বিশেষ করে আমাদের তরুণদের মধ্যে, একটা বড় ইয়ে তৈরি হয়েছিল। অসংখ্য উজ্জ্বল তরুণ ওঁর ব্লগ ও লেখালেখিকে ঘিরে একটা বিজ্ঞান-মনস্ক চিন্তা ও পড়াশুনার দল তৈরি করেছিল। এই দলটা মনে করে ধর্মীয় বিশ্বাসগুলির অসারতা ও পশ্চাতপদতা সকলের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া দরকার। তাই বলে এরা কেবল ধর্ম ও ধর্মবেত্তাদের নিয়েই যে পড়ে আছে তা না, এরা জগতের সকল বিষয়েই প্রশ্ন করে এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করে।
    আমি নিজে এই তরুণদের দলে পড়ি না, আফসোস, ওদের সাথে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সেরকম যোগাযোগও নাই। কিন্তু বইপত্র ফেসবুক টুইটার এসবের কারণে ওদের উজ্জ্বল উপস্থিতি আমি টের পাই।

    অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুতে কি তরুণদের মধ্যে এই ধারাটার প্রভাব কমে যাবে? আমার মনে হয়না। প্রথমত এরকম চিন্তাভাবনা শুদ্ধ একব্যক্তিকেন্দ্রিক না, তাছাড়া অভিজিৎ খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখক হলেও অভিজিৎ কিন্তু একা না। আমি মাঝে মাঝেই এমন সব ছেলেমেয়ের দেখা পাই যারা প্রজ্ঞায় মেধায় সৃজনশীলতায় ও সাহসে আমাদের জানা সকল বাঙ্গালী লেখককে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখায়। আমি জানি অভিজিৎ যে ধরনের লেখালেখি করতেন সেই ধারায় আরও অনেক তরুণ ইতিমধ্যেই হাত মকশো করা শুরু করে দিয়েছে, অনেকেই এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ লেখা প্রকাশ শুরুও করে দিয়েছে। আর পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা তো দেখেছিই যে মুক্তচিন্তার মানুষকে শারীরিকভাবে নিধন করে অন্ধকারের লোকেরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনা। উল্টা একজনকে মারলে আরও তেত্রিশজন ওর জায়গায় গজিয়ে যায়।
    কিন্তু তারপরেও এই ক্ষতি বড় ক্ষতিই। অনেক বাতির মাঝখানে একটা বাতিকে অর্ধেক নিবিয়ে দিলে অন্ধকার হয়ে যায়না ঠিকই, কিন্তু বাতিটা আরও কিছুক্ষণ জ্বললে যে আলোটুকু পেতাম সে তো আর পাচ্ছিনা আরকি। আর একজন মানুষের মৃত্যু, যাকে আমরা আপন মনে করি, সেতো সবসময়ই হৃদয়বিদারক। সেই ক্ষতি বৈষয়িক বা দৃশ্যমান না হলেও অপূরণীয় ক্ষতি।

    (২)
    আমাদের করণীয় কী? হুমায়ুন আজাদের উপর হামলা হলো তারও আগে তসলিমা নাসরিনকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো, তারও আগে আহমদ শরিফ, কবির চৌধুরী এঁদের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ হয়েছিল, আসিফ মহিউদ্দিনের উপর হামলা হয়েছে, রাজীবকে খুন করে ফেলেছে আর আজকে অভিজিৎ রায়কে মেরে ফেললো আর ওর স্ত্রীর উপরও আঘাত এসেছে। আমরা কি শুধু 'বিচার চাই' 'শাস্তি চাই' বলেই বসে যাব? না। তাইলে কি আমরা এইসব ইসলামী সন্ত্রাসীদেরকে খুঁজে বের করে ওদের হাতে পায়ের রগ কেটে দিব? ওদের পাছার চামড়া তুলে সেখানে লবণ লাগিয়ে দিব? না। সেটাও না।
    বিচার তো অবশ্যই চাইব। রাষ্ট্র ওদেরকে ধরবে, বিচার করবে শাস্তি দিবে সেই দাবী তো করেই যাবো। কিন্তু ফান্ডুদেরকে মারধোর করা কোন কাজের জিনিস না। লড়াইটা নিয়ে যেতে হবে অন্য জায়গায়, এমন জায়গায় যেখানে ধর্মবেত্তারা ওদের পচাগলা কিতাবাবলি নিয়ে দূরে গিয়ে দুয়ারের বাইরে তাদের যথাযথ স্থানে অবস্থান নেয়।

    কী ভাবে করবো আমরা এই কাজ? সহজ না। বিশ্বজুড়ে নানা কারণে কিছু মানুষ ধর্মের দিকে ঝুঁকছে। বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপে আর আমেরিকায় যেসব মুসলমান বাস করে ওরা আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে ধর্মকে আঁকড়ে ধরছে। ওরা ওদের নিজ নিজ দেশে ধর্মের উত্থানকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলি এবং পশ্চিমের রাজনীতিবিদরাও ধর্মকে ভোটের জন্য ব্যাবহার করে।
    রাজনীতিবিদরা আর পশ্চিমে বসবাসকারী 'মডারেট' মুসলমানরা হয়তো চায়না মুসলমানরা এরকম সন্ত্রাসী কাজকর্ম করুক। ওরা চায় মুসলমানরা একটু নামাজ রোযা করবে, মেয়েরা হিজাব টিজাব করবে একটু রক্ষণশীল জীবন বেছে নিবে, শান্তিতে জীবন কাটাবে। কিন্তু এরা সকলে মিলেই আসলে ফান্ডুদের তৈরি করে। ধর্ম জিনিসটাই এরকম, ধর্মের অর্থই হচ্ছে আত্মসমর্পণ, নতজানু হয়ে বিনা প্রশ্নে সবকিছু মেনে নেওয়া। প্রশ্ন করাই হচ্ছে অবাধ্যতা, প্রশ্নই অধর্ম এবং প্রশ্নই বিদ্রোহ। আর এই অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ দমনের ধর্মীয় শাস্তিই হচ্ছে গলা কেটে ফেলা। ধার্মিকদের সন্ত্রাসী না হয়ে কোন উপায় নাই। কারণ যুক্তি বুদ্ধি প্রশ্ন এসব তো ধর্মীয় জিনিস না, সুতরাং যুক্তি বুদ্ধি এসব ধার্মিকদের হাতিয়ার হতে পারে না। যুক্তির বিরুদ্ধে ধার্মিকদের হাতিয়ার হচ্ছে শারীরিক আক্রমণ। এইটা আমাদের রাজনীতিবিদরা আর শোভন মুসলিমরা বুঝতে চায়না।
    ফলে দেখবেন রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্রকে ব্যাবহার করছে ধর্মচর্চা উৎসাহিত করার কাজে। পরিণতি কি হবে সেটা ওরা ভাবছেন না। ওরা ভাবছে আল্লাহ্‌র নামে মুসলমানরা ওদেরকেই ভোট দিতে থাকবে আর নামাজ রোযা করতে থাকবে। ভুল। ধর্মকে উৎসাহিত করবেন তো সন্ত্রাসকেই উৎসাহিত করবেন আর এই সন্ত্রাস আপনাকে ছেড়ে দিবে না।
    সেইখানেই লড়াইটা। আমার রাষ্ট্র আমার সম্পদ ব্যবহার করে আমার দেশের মানুষকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে পারবেনা।

    (৩)
    অনেকে আবার ভাগ করতে চায়, বলতে চায় যে ইসলামী দল আর গ্রুপগুলির মধ্যেও নাকি পার্থক্য আছে, সকলেই সন্ত্রাসী নয়। এটাও একটা ভয়াবহ ভুল। ওদের নিজেদের মধ্যে নানারকম মতপার্থক্য আছে, সত্যি। কিন্তু ধর্ম নিয়ে যে তর্ক করা যাবেনা এবং তর্ক করলে তাকে কতল করতে হবে এই ব্যাপারে কিন্তু ওরা সকলেই একমত। নাস্তিকদেরকে মারার ব্যাপারে ওদের মধ্যে ভিন্নমত নাই। মুরতাদের শাস্তি যে মৃত্যুদণ্ড সেই ব্যাপারে ওরা একমত।
    সবচেয়ে লিবারেল মুসলমান কিংবা ধর্মীয় নেতাকে আপনি জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন নাস্তিককে হত্যা করা কি ঠিক? লিবারেল মুসলমানরা আপনাকে বলবে, না, নাস্তিক কেউ হলে সেটা ঠিক আছে তার নিজের ব্যাপার, কিন্তু সে সেটা প্রকাশ্যে বলতে যায় কেন? অর্থাৎ সবচেয়ে লিবারেল মুসলিমরাও চূড়ান্ত বিচারে মুক্তচিন্তার বিপক্ষেই দাঁড়াবে। আঘাতটা সেখানেই করতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র থেকে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আমাদের রাজনীতি থেকে ধর্মকে দূর করতে হবে। আমাদের শিশু কিশোররা যেন মুক্তচিন্তা মুক্তমন নিয়ে বেড়ে ওঠে।
    দেখবেন যারা মুক্তচিন্তার মানুষদেরকে হামলা করছে তারা কিছু সকলেই মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে আসেনি। ওদের বেশীরভাগই পশ্চিমা ধারার বাংলা ইংরেজি স্কুল কলেজে পড়েছে। এটা হচ্ছে তার কারণ আমরা আমাদের মূলধারার শিক্ষাকে বিজ্ঞান-মনস্ক করতে পারিনি। আমাদের স্কুল কলেজে আমরা শিক্ষার পরিবর্তে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। জ্ঞানের চর্চার পরিবর্তে পুঁজির পাহারাদার এক্সিকিউটিভ বানানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। সৃজনশীলতার পরিবর্তে আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ শিক্ষা দিচ্ছি। সেই শিক্ষা বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ না করে পঙ্গু বামন তৈরি করে। এই শিক্ষার অসারতা যখন মানুষের মানবিক দিকগুলির বিকাশ করতে পারেনা তখন কিছুসংখ্যক ছেলেমেয়ে আত্মসমর্পণের পথে চলে যায় এবং পরলৌকিক পথে মুক্তির পথ দেখতে পায়। এরাই ফান্ডু হয়।
    ইংরেজরা বলে 'ডগমাটাইজ' হয়ে যাওয়া- এরকম ডগমাটাইজ কোন ছেলেমেয়েরা হচ্ছে? লক্ষ্য করে দেখবেন সেইসব ছেলেমেয়েরা একাডেমিক পড়াশুনায় বেশ ভাল, বুদ্ধিমান ছেলেমেয়েরা। সিরিয়াস ও বুদ্ধিমান বলেই ওরা মানুষের জন্যে নিজের জন্যে চিন্তা করে। ওদেরকে শৈশবেই ধর্মে দীক্ষা দেওয়া হয়েছে, স্কুল থেকেও বলা হয় তোমার ধর্মই সঠিক এবং ধর্মগ্রন্থটিই চূড়ান্ত। এই বিশ্বাসকে ভিত্তি করেই সে তার ধর্মেই মুক্তির পথ খুঁজতে চায়। এবং যেহেতু সে ভাল ছাত্র এবং বুদ্ধিমান কিন্তু মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন নয় এবং যেহেতু তাকে খুব সচেতনভাবে মুক্তচিন্তা থেকে দুরে রাখা হয়েছে, ক্রমশই সে ইহকাল বিমুখ হয়ে পড়ে এবং পারলৌকিক মুক্তির জন্যে ধর্মের পথই বেছে নেয়।

    (৪)
    আরেকটু বিস্তারিত লেখা দরকার ছিল। কিন্তু এখন লিখতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে আমি নিজেও ধর্মকে এবং ধার্মিকদেরকে আক্রমণ না করার পক্ষে যে পথ বেছে নিয়েছিলাম সেটা বোধ হয় ভুল ছিল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ৮০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 132.172.30.89 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:১৫68669
  • ধর্ম জিনিসটাই এরকম, ধর্মের অর্থই হচ্ছে আত্মসমর্পণ, নতজানু হয়ে বিনা প্রশ্নে সবকিছু মেনে নেওয়া। প্রশ্ন করাই হচ্ছে অবাধ্যতা, প্রশ্নই অধর্ম এবং প্রশ্নই বিদ্রোহ। আর এই অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ দমনের ধর্মীয় শাস্তিই হচ্ছে গলা কেটে ফেলা। ধার্মিকদের সন্ত্রাসী না হয়ে কোন উপায় নাই।"

    এর পরে আর কথা নেই।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:২০68670
  • এনার পোস্টটাই কাল অন্য টইতে দিয়েছিলাম। এনিয়ে লিবারেল প্র্যাকটিসিং মুসলিমরা কী বলেন ?
    'সবচেয়ে লিবারেল মুসলমান কিংবা ধর্মীয় নেতাকে আপনি জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন নাস্তিককে হত্যা করা কি ঠিক? লিবারেল মুসলমানরা আপনাকে বলবে, না, নাস্তিক কেউ হলে সেটা ঠিক আছে তার নিজের ব্যাপার, কিন্তু সে সেটা প্রকাশ্যে বলতে যায় কেন? অর্থাৎ সবচেয়ে লিবারেল মুসলিমরাও চূড়ান্ত বিচারে মুক্তচিন্তার বিপক্ষেই দাঁড়াবে।'
  • b | 24.139.196.6 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৫:১৭68671
  • রবিবাবু কি ধার্মিক ছিলেন?এবং\ কিম্বা সন্ত্রাসী?
  • riddhi | 117.217.133.50 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৫:২২68672
  • এটা এস্ক্ট্রিম লাগল। ভারত-বিদেশ তো ভুড়ি-ভুড়ি, বাংলাদেশেও কিছু লিবেরাল (কিন্তু প্রাক্টিসিং) মুসলিম কে এইসব ইস্যু নিয়ে সোজাসুজি মৌলবাদ বিরোধী কথা বলতে দেখেছি। মানে ইনিয়ে বিনিয়ে বিধর্মীকে মারা সাপোর্ট করবে না।
  • dddd | 229.64.79.43 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৫:২৮68673
  • এর পরে সত্যিই আর কোনও কথা নেই। কারণ পুরো যুক্তিটাই এত ভুল! এবং ইতিহাসের বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে বলা। ধর্মের অর্থ স্রেফ আত্মসমর্পণ হলে পৃথিবীতে এত দিন ধরে একটিই ধর্ম থাকত।
  • g | 113.2.135.105 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১০:০৭68674
  • ভালো লাগলো
  • কাস্কাবেড | 127.203.221.130 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৩68666
  • অসাধারণ লেখা, বিদ্বজনেরা গেলেন কোথায়? এই পোস্টটা পড়ছেন? অন্তত মরার আগে জানতে হবে তো আমরা কিছু রেখে যাচ্ছি। ভবিষ্যতের অঙ্কুরোদ্গমের জন্য।
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৫২68667
  • খুব যুক্তিযুক্ত লেখা।
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৫৬68668
  • একটা কথা। এখানে ধর্ম=religion ধরে নিয়ে পুরো লেখাটা পড়েছি।
    ধর্ম শব্দটার কিন্তু আরো অনেক অর্থ আছে।
  • jinat Rehena Islam | 127.237.198.171 (*) | ০১ মার্চ ২০১৫ ০২:১৫68675
  • Dhormo niye chinta poribar o sastro khanikta niyotron kore bakita nijeswo bodh,Sob dhormo niye punorojjibon o chorcha coleche kintu Islam niye kono kotha hobe na janiye dewa hoeche,Je sastro muktochinta ke jaiga dei na sekhane sohider rokto hobe na ko byartho slogan ts orthohin hoye pore,Avijit Roy niye etto kotha jar mrityr somoy koekti dorshok chilo ,mrityr por lokkho lokkho somorthik hote he kintu sotyi Islam niye kotha ke bolbe??Muhammad je ekjon manush itihas e take islam er protishthata r baire kicchu bola hoy na eta bolte gelei to gali jote fb te ,
  • সিকি | 192.69.226.82 (*) | ০১ মার্চ ২০১৫ ০২:৪০68676
  • ইসলাম নিয়ে আপাতত যত কম বলা যায় তত ভালো।
  • শ্রী সদা | 126.75.65.125 (*) | ০১ মার্চ ২০১৫ ০৩:০৯68677
  • খুব ঠিকঠাক লেখা।
  • debasis | 123.21.74.190 (*) | ০১ মার্চ ২০১৫ ০৯:৫৪68678
  • রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্রকে ব্যবহার করছে ধর্মচর্চা উৎসাহিত করার কাজে...
    ~ খুব ঠিক কথা ! লেখক কে সাধুবাদ ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন