এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আইসিডিএস প্রকল্পে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার চালু হচ্ছে, পুরো ব্যবস্থাটাই ঘেঁটে যেতে চলেছে

    DP
    অন্যান্য | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ | ৭২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • DP | 176.62.53.94 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ২০:২৫727623
  • নোটবাতিল ইস্যুতে এখন বাকি সব কিছু চাপা পড়ে গেছে। এরই মধ্যে কেন্দ্র সরকারের সাম্প্রতিক এক সিদ্ধান্ত কার্যত সবার চোখের আড়ালে রূপায়ীত হতে চলেছে এবং এই নিয়ে বিরোধী দলগুলোরও কোন হেলদোল নেই। সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প, অর্থাৎ Integrated Child Develipment Service বা ICDS প্রকল্পের অধীন অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রগুলিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রান্না করা খাবার দেওয়া। পরিবর্তে খাবারের খরচ বাবদ একটা থোক টাকা প্রতি মাসে শিশুর অভিভাবকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে! এই আজব সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তি সেই এক, দূর্নীতি। কিন্তু ঘটনা হল আর পাঁচটা ভর্তুকির সাথে আইসিডিএস, বা স্কুলে মিড ডে মিল দেওয়ার মৌলিক পার্থক্য আছে। এই প্রকল্পগুলি পুরোটাই শিশু সম্পর্কিত। যা খবর, তাতে আইসিডিএস থেকে শুরু করে ক্রমশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরেও ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার চালু হবে। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ার অর্থ এই প্রকল্পটিকেই শেষ করে দেওয়া। অভিভাবক টাকা তুলে মদ খেয়ে উড়িয়ে দেবেন, এই ধরনের সাধারন সম্ভাবনা বাদ দিলেও আরো অনেক প্রশ্ন থাকে, সেসবে পরে আসছি। উল্টো দিকে য়ে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, সেটা একটু দেখা যাক। প্রসংগত অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রগুলিতে সাধারনত একজন প্রধান কর্মী বা শিক্ষিকা এবং একজন সহায়ীকা থাকেন। সহায়ীকা মূখ্যত রান্নার কাজ দেখভাল করেন। এর মাধ্যমে প্রায় চার কোটি শিশু উপকৃত হয় (২০১০ এর হিসেব)। একটা গুরুতর অভিযোগ তোলা হচ্ছে দূর্নীতির। কিন্তু ঘটনা হল কি আউসিডিএস, কি মিড ডে মিল, তেমন কোন বড় দূর্নীতির অভিযোগ নেই। কর্মীদের বিরুদ্ধে যে দূর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে তাও সারবত্তাহীন, কারন বরাদ্দ যা থাকে তাতে দূর্নীতি করার মত কিছু থাকেনা। যেটা হয় সেটাকে দূরনীতি বলা যায়না। গত পাঁচ বছর ধরে আইসিডিএস কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হয়নি। প্রধান কর্মী ৪০০০ এর কিছু বেশী ও সহায়ীকা আরো কম পান। এই টাকার ওপর একটু বারতি রোজগার করতে তাই কর্মীরা অনেক সময় নিজেরাই সবজি, ডিম সরবরাহ করেন। নিজেদের খেতে উৎপন্ন সবজি, পোষা হাঁস মুরগীর ডিম ইত্যাদীতে যেহেতু পুঁজি খুব কম লাগে তাই এগুলো বেশ লাভজনক হয়। বাজারে কিনতে গেলেও একই খরচ হত। হ্যাঁ, এগুলোকে যদি স্বজনপোষন বলেন তো কিছু করার নেই।
    এবার আসি সমস্যার দিকে। পয়েন্ট আকারে কিছু দিক দেখানোর চেষ্টা করছি

    ১) রান্না করা খাবার না পেলে, এবং সরাসরী টাকা পেয়ে গেলে কি শিশুরা আদৌ কেন্দ্রমুখী হবে?

    ২)আইসিডিএস এর চাল আসে এফসিআই থেকে, যা সরাসরী সহায়ক মূল্যে কেনা হয়। তাছাড়া এটা বাল্ক পারচেস, ফলে খুচরো বাজারের থেকে খরচ অনেকটাই কম। অর্থাৎ সরাসরি টাকা দিলে সেক্ষেত্রে সরকারী খরচ বেশী হবে।

    ৩) অসংগঠীত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের কাছে শিশুর অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে থাকা এবং রান্নাকরা খাবার পাওয়াটা একটা বড় নিশ্চিতি। সেই জায়গাতে ফাটল ধরবে।

    ৪) অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক জ্ঞানের অভাবে কম খরচে অভিভাবকরা সুশম পুষ্টিকর খাদ্য দিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের খাবার বিশেষ সহায়ক ছিল।

    ৫) শিশুর বরাদ্দ টাকা যে শুধু শিশুর পিছনেই খরচ হবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।

    ৬) অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে একসাথে বসে খাওয়াটাও শিশুর সুসংহত বিকাশের অন্তর্ভুক্ত। সেক্ষেত্রেও ফাটল ধরবে।

    সর্বোপরী বলা যায় অন্তত শিশুর খাবারের পরিবর্তে অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার পদ্ধতিটি ভীষণ রকমের বাস্তবতাহীন। এই পদ্ধতি সর্বত্র চালু হলে আইসিডিএস ও মিড ডে মিল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যইটা ব্যহত হবে। কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। তাই আইসডিএস প্রকল্পের ক্ষেত্রে এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করা উচিত।
  • Abhyu | 176.62.53.94 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ২১:২৩727626
  • যাক্কলা! এ কি সিদ্ধান্ত রে ভাই?
  • sm | 53.251.91.106 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ২১:২৫727627
  • একেই বলে তুঘলকি ডিসিশন।কত বাচ্চা যে একটু খাওয়ার সুখ পায়,একসঙ্গে বসে খাবার আনন্দ পায় -এসব বোঝার মতো বুদ্ধি /সহানুভূতি থাকলে তো ! এদের সম্বল খালি দুর্বুদ্ধি।ভগবান এদের সুমতি দিন।
  • ranjan roy | 176.62.53.94 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:৩২727628
  • DPর প্রত্যেকটি পয়েন্টের সঙ্গে ১০০% সহমত। ফিল্ডের অভিজ্ঞ্তা থেকেই বলছি।
    ICDS প্রোজেক্টের নেগেটিভ দিকটি নগণ্য; পজিটিভ দিক অনেক বেশি।
    সবচেয়ে বড় কথা এর ফলে পয়সাটা শিশুর জন্যে খরচ হবে না; গরীব পরিবারের হাঁ-মুখে ঢুকে যাবে।
    শিশুরা সুষম খাবার থেকে বঞ্চিত হবে আর এদের স্কুলেমুখীন করা ও কলেক্টিভ ফিলিং এর স্বাদ দেওয়া? ভগাই জানে।
  • ranjan roy | 176.62.53.94 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:৩৪727629
  • আশা করি, অন্ততঃ মহিলা নেত্রীরা প্রতিবাদে সরব হবেন।
  • Arpan | 176.62.53.94 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:৩৭727630
  • গুগল করে কাছাকাছি কিছু পেলাম না, খবরের সোর্স বলবেন একটু?
  • pi | 176.62.53.94 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:৪৮727631
  • খুব খুব খারাপ হবে। অলরেডি টি এই্চ আর মানে টেক হোম রেশনের যা হাল দেখি। পুরোটাই টার্গেট প্রসূতি বা গর্ভবতী মায়ের ভাগেরটা অন্যেরা খায়।

    এই চাল ডাল মেলানো, আমিনো আসিড পুরো ব্যালান্স করা , সব্জি, সবই তো অনেক নিউট্রিশানাল হিসেব করে করা ছিল। এবার ঐ টাকায় হয়তো ঢপের বেবিফুড কিনবে।

    খুব খারাপ হবে এটা অলে।
  • pi | 176.62.53.94 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:৫১727632
  • শুধু শিশু তো না, গর্ভবতী আর প্রসূতি মায়েরাও রোজ খিচুড়ি পান। কিছু সবলাও। টেক হোম রেশন কিছু ক্ষেত্রে।
  • DP | 176.62.53.94 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:২৭727633
  • গুগল করে পাওয়া চাপ। আশ্চর্যরকম নীরবতার সাথে কাজ টা করা হয়েছে। এই প্রস্তাবটা ইউনিসেফের। জুলাইতেও সরকার এর বিরোধীতা করেছিল। কিন্তু এখন হুট করে লাগু করছে। গ্রামে গ্রামে বায়োমেট্রিক সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে গেছে। সকলকে জামিয়েও দিয়েছে।
  • pi | 176.62.53.94 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:১০727624
  • কিন্তু এদিকের কোন গ্রামে কেউ জানেনা। কোথায় কাদের জানিয়েছে ?
  • DP | 176.62.53.94 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ২১:২৭727625
  • আমি হুগলীতে দেখেছি। বাকি জায়গার কথা ঠিক জানিনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন