এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মনোগ্যামিশ না মনোগ্যামি বিবাহ? নাকি সবই অলীক সুখের সন্ধানে?

    bip
    অন্যান্য | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ | ৭৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bip | 183.67.5.178 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:২২726705
  • বৈবাহিক জীবনের একঘেঁয়েমি-মনোগ্যামিশ সম্পর্ক
    (১)

    ধরুন আপনি জানলেন, প্লেন ক্র্যাশের সম্ভাবনা ৫০%। তাহলে কি আপনি প্লেনে চড়বেন?

    কিন্ত আপনি বিয়ে করবেন-এটা জেনেও বর্তমানে যেকোন বিবাহে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার সম্ভাবনাই বেশী। আর সব ব্যর্থতাই যে ডীভোর্সে গড়াচ্ছে- তাও না। অধিকাংশ ব্যর্থ বিবাহই রিফিউজি নিচ্ছে সেক্সলেস ম্যারেজ-অথবা ম্যারেজ অব কনভেনিয়েন্সে। শুধু ছেলেমেয়েকে মানুষ করার কারনে স্বামী স্ত্রী হিসাবে অভিনয় করে টিকে আছে অসংখ্য দম্পতি।

    এই অসুখ নতুন না। নেনা ওনিল এবং জর্জ ওনিল ১৯৭২ সালে তাদের বেস্ট সেলার "ওপেন ম্যারেজ" বইতে, বিবাহ নামক অসুখের ব্যবচ্ছেদ করেন আদ্যপান্ত। তারা সিদ্ধান্তে আসেন-বিয়েটা সমস্যা না। মূল সমস্যা এই মনোগ্যামাস ম্যারেজের মনোটনাস কমিটমেন্টে। উনাদের উপস্থাপনা ছিল এই যে বিবাহ বহির্ভুত যৌন জীবন মোটেও বৈবাহিক জীবনের অন্তরায় না। বরং স্বামী স্ত্রী উভয়েই যদি সজ্ঞানে তাদের পার্টনারদের নিজস্ব স্পেস দেন-তাহলে বরং অনেক বিয়ে বেঁচে যায়। এই স্পেস দেওয়া মানে, মেনে নেওয়া যে বৈবাহিক একঘেঁয়েমি কাটাতে তাদের পার্টনাররা "লিমিটেড" পরকিয়াতে লিপ্ত হবেন-কিন্ত সেটা তারা করবেন সংসারের প্রতি কোন অবহেলা না করেই!

    তবে ওনিল দম্পতির ওপেন ম্যারেজের ধারনা ধোপে টেকে নি-অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল বুঝে ওপেন ম্যারেজ বলতে লোকেরা বুঝতে থাকে, এর মানে স্বামী স্ত্রী একজন থাকবে বটে-কিন্ত সেটা নেহাত সামাজিক কমিটমেন্ট। সেক্সের ক্ষেত্রে সম্পূর্ন নন-কমিটেড লাইফ স্টাইল। খুল্লাম খুল্লা পরকীয়া।

    ওপেন ম্যারেজেরও অনেক শ্রেনীবিভাগ সম্ভব। যেমন সুইঙ্গার লাইফ স্টাইল। যেক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই সম্মতি ক্রমে পার্টনার পাল্টায় যৌন উত্তেজনার খোঁজে। আরেক ধরনের ওপেন ম্যারেজে, স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই জানেন, তাদের পার্টনারের একাধিক যৌন সঙ্গী বা সঙ্গীনী আছেন-কিন্ত তারা সেই নিয়ে মাথা ঘামান না। দুজনেই দুজনকে স্পেস দিতে পছন্দ করেন।

    প্রশ্ন উঠবে যৌন উত্তেজনা বা যৌনতার মাধ্যমেই যখন সুখ খোঁজা হচ্ছে -তাহলে একসাথেই বা থাকা কেন? এর মূল কারন অবশ্যই সন্তান পালন। ছেলেমেয়ে মানুষ করার জন্য-কমিটেড পার্টনারশিপ দরকার। কিন্ত তার মানে কি যৌনতার ক্ষেত্রেও কমিটটেড পার্টনার হয়ে থাকতে হবে? ইমোশোনাল কমিটমেন্ট এবং সেক্সুয়াল কমিটমেন্ট কি একই সূত্রে বাঁধা?

    (২)

    ওপেন ম্যারেজের ধারনা আমেরিকাতে গত অর্ধ দশক ধরে চললেও, তা মোটেও ব্যর্থ ক্লান্ত বৈবাহিক জীবনের সমাধান হয়ে উঠতে পারে নি। আমেরিকাতে খুব বেশী হলে ১-৫% নরনারী কোন না কোন সময়ে ওপেন ম্যারেজে ছিলেন। ওপেন ম্যারজে তাদের যৌন জীবন অনেক বেশী সুখী ছিল-তাই নিয়ে দ্বিমত নেই। কিন্ত সমস্যা এই যে -জেলাসি বা ঈর্ষার চক্করে প্রচুর পারিবারিক সমস্যা তৈরী হয়েছে-যার পরিণতি ডিভোর্স।

    এর সমাধানে সেক্সোলজিস্ট ড্যান স্যাভেজ মনোগ্যামিশ ম্যারেজ বলে একটি নতুন ধারনা দেন ২০১০ সালে। উনি একজন সেক্সোলজিস্ট এবং সেই সূত্রে দেখেন যে অনেক ক্ষেত্রেই সাইক্রিয়াটিস্টরা একটু আধটু ম্যারিটাল ইনফিডালিটি বা পরকিয়া তার পেশেন্টদের জন্য রেকোমেন্ড করেন । ক্লিনিক্যাল সাইক্রিয়াটিস্ট মহলে, বহুদিন থেকেই কনসেনসাস এই যে আসল সমস্যাটা মনে। দেহে অতটা না। অর্থাৎ একজন নারীর যে একাধিক যৌনসঙ্গী দরকার-সেই চাহিদাটা নেহাৎ ই মানসিক। অতটা দৈহিক না। সুতরাং বিবাহ বর্হিভুত একটু আধটু ফ্লার্টিং, প্রেমালাপ-বিয়ে টিকিয়ে রাখার জন্যই দরকার। কিন্ত দৈহিক সম্পর্কে জড়ালে, তা অবশ্যই সুখী যৌন জীবন দেবে -কিন্ত ডিভোর্সের চান্স ও বাড়বে যা ওপেন ম্যারেজের ক্ষেত্রে প্রমানিত।

    মনোগ্যামিশ ব্যপারটা এখন অনেক ম্যারেজ কাউন্সিলর রেকোমেন্ড করছেন দম্পতিদের। যারা সেক্সলেস ম্যারেজ ওই টাইপের ঝুলে থাকা সংসার ধর্মের বলদ হয়ে টিকে আছেন কোন রকমে।

    (৩)

    এবার আসল সমস্যাতে আসা যাক। বিয়ে করাটা কি প্রাসঙ্গিক ? রাষ্ট্রের দরকার সন্তান। তার জন্যে দরকার বিবাহের। সেই কারনেই সন্তান মানুষের জন্য বাবা-মাকে একসাথে থাকতে বাধ্য করে সমাজ। সেটাকে বলে বিবাহ। ফ্রান্স বা আমেরিকাতেও একসাথে থাকা যেকোন দম্পতিকে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ দম্পতির সমান বলেই গণ্য করা হয়। সন্তান মানুষ করা ছাড়া, দুজন নারী পুরুষের একসাথে থাকার কোন দরকার নেই। সিঙ্গল থাকলেই বরং তাদের যৌন জীবন অনেক বেশী সুখের হবে।

    কিন্ত সন্তান মানুষ করার জন্য-এই বাবা-মায়ের কনসেপ্টটাই বা এলো কোত্থেকে? রাষ্ট্র, বা সমাজ বা পেশাদার সংস্থার মাধ্যমে কেন সন্তানের পালন পোষন সম্ভব না?

    ইনফ্যাক্ট এই চেষ্টা প্রথম হয় সোভিয়েত ইউনিউয়ানে-যার প্রথম আইডিয়া ছিল লেনিনের। লেনিন মনে করতেন, আইডিয়াল কমিউনিস্ট স্টেট এবং নারীর সমানাধিকারের জন্য "কমিউনিটি পেরেন্টহুড" জরুরী। ১৯১৭-২২ এর মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ানে অনাধ ছেলে মেয়ের সংখ্যা ছিল ৭০ লক্ষ। এর একটা কারন অবশ্যই গৃহযুদ্ধ -অন্যকারন এই যে নভেম্বর বিপ্লবের আগুনে বিবাহ নামক পুরুষতান্ত্রিক প্রথাকেও পোড়ানো হয়। এখন বিয়েকে উড়িয়ে দেওয়া সহজ-কিন্ত যৌন কামনাকে ত আর ওই ভাবে রিভোলোউশনারী হ্যান্ডল মেরে হস্তমৈথুনে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। ফলে ওই পিরিয়ডে প্রায় কুড়ি লক্ষ পরিতক্ত্য সন্তানের জন্ম হয়েছে কুমারী মায়ের গর্ভে-কারন নতুন বিপ্লবী রাষ্ট্র বিয়েটাই তুলে দিতে চাইছিল। এই সকল অনাথ সন্তানদের বলা হত Besprizornye বা বাস্টার্ড শব্দটির রাশিয়ান।

    লেনিন এদের দ্বায়িত্ব নিতে চাইলেন-ফলে তৈরী হয় পৃথিবীর প্রথম কমিউনিটি অরফানেজ। কিন্ত প্রতিটা কমিউনিস্ট দেশে যা হয়-এখানেও তাই হল। প্রায় ৫ লাখ শিশু সন্তান এইসব অর্ফানেজে প্রথম দু বছরে মারা যায়। কারন না ছিল রিসোর্স-না ছিল কর্মীদের সদিচ্ছা। এর মধ্যে স্টালিন ক্ষমতায় এসেছেন। উনি লেনিনের মত তাত্ত্বিক নেতা ছিলেন না । উনার পা ছিল মাটিতে। ফলে এইসব কমিউনিটি অরফানেজ বাতিল করে এই সব সন্তানদের দত্তক নিতে বাধ্য করেন স্টালিন। শুধু তাই না-১৯৩৭ সালের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ানে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হয়-আবর্শন করতে গেলে স্পেশাল পারমিশন লাগত-এবং ডিভোর্স আইন ও কঠোর করা হয়। মোদ্দা কথা লেনিনের কমিউনিটি ভিত্তিক বিবাহ এবং সন্তান পালনের বৈপ্লবিক কর্মসূচীকে কবরে পাঠান স্টালিন যেহেতু তা অসংখ্য শিশু মৃত্যুর কারনে, রাষ্ট্রের ভিত টলিয়ে দিচ্ছিল।

    এর পরে আর কোন রাষ্ট্র কমিউনিটি পারেন্টিং নিয়ে পরীক্ষা চালায় নি। শুধু চালিয়েছিলেন গুরু রজনীশ-তার ওরেগাঁও আশ্রমে। যেখানে প্রায় ৭০০ শিশু, ওশো কমিউনিটিতে মানুষ হত। যাতে তাদের বাবা-মারা মুক্ত যৌন জীবন জাপন করতে পারে। কিন্ত সেখানেও ঈর্ষার কারনে, না তাদের ওপেন ম্যারেজ সিস্টেম সফল, না সফল হয়েছে কমিউনিটি পারেন্টিং।

    ফলে আমরা যে তিমিরে -সেখানেই। মনোগ্যামিশ ম্যারেজই একমাত্র ভরসা!
  • pati | 203.90.12.88 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:২৮726709
  • ম্যারেজ অফ কনভিনিয়েন্স না থাকলে হিলারীকে পেতাম কোথায়? তখন তো ট্রাম্পই পেসিডেন হত।

    বিপ্পাল তখন কি করত?
  • ওনিডা | 173.172.141.46 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:৪৩726710
  • বিপ ওনিডা কমুনিটির কথা তোলেন নি।
  • avi | 233.191.52.16 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১০:০১726711
  • গুরু রজনীশের ব্যাপারে কিছুই জানি না। এই গুরুতেই মাঝে মাঝে ভদ্রলোকের সম্পর্কে যা এক-দু কথা জানি, চমকে যাই। এনাকে তো কাল্টিভেট করতে হচ্চে মশাই।
    আর ভারতের কথা এ বাবদ না ভাবাই ভালো। ভারতে কাপল থেরাপি ইত্যাদিরই যা পুঁদিচ্চেরি অবস্থা! সেক্সোলজি নিয়ে আদৌ কোনো কনশেনসাস সহ কারিকুলামই নেই, যদিও সেল্ফ প্রোক্লেইমড সেক্সোলজিস্ট কোটি কোটি। :-(
  • Robu | 11.39.36.191 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১১:২৮726712
  • শীত গ্রীষ্ম বর্ষা/
    মনোগ্যামিশ ম্যারেজই ভরসা!
  • PM | 149.5.229.175 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১২:০৬726713
  • দেখি বউ কে বলে--- অ্যালাও কোরে কিনা ঃ) আমি রাজি বিপের প্রোপোসিসনে ঃ)
  • ছোটোলোক | 198.155.168.109 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১২:২৪726714
  • যা বলেছিলাম। এই টপিক নিয়ে অন্য টই রয়েছে। সবাই সেখানে দিব্যি লিখছে। কিন্তু বিপ টই খুললেই সবাই ঝাঁপাবে। আজব রহস্য।
  • কেনারাম | 53.225.150.129 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১৪:৪৬726715
  • ‘কম্যুনিটি অফ চিল্ড্রেন’ বা ‘কম্যুনিটি প্যারেন্টিং’-এর কনসেপ্ট প্রথম বোধ করি এসেছিল প্লেটোর ‘দ্য রিপাব্লিক’-এ। পৃথিবীর প্রথম নারীবাদী পুরুষ প্লেটো যিনি বিশ্বাস করতেন যে পুরুষের ভেতর ভাল রাঁধুনী এবং নারীর ভেতর উত্তম জেনারেল তৈরি হতে পারে, ব্যক্তি সম্পত্তি এবং তা’ নিয়ে মারামারি, ঈর্ষা তুলে দেবার জন্য শিশুদের রাষ্ট্র বা সামাজিক পরিচর্যার আওতায় আনতে চেয়েছিলেন। রান্নাবান্না, শিশুপালন হবে কম্যুনিটি কিচেন বা কম্যুনিটি ক্রেশের আওতায়। প্লেটোর শিষ্য এবং রক্ষণশীল এ্যারিস্টটল তাঁর ‘পলিটিক্স’-এ প্লেটোর এই তত্ত্বকে পরিহাস করে লিখলেন ‘রক্ত যত ভাগ করা হবে তত এর ঘনত্ব কমবে।’ যার অর্থ আসলেই সবার বাচ্চা সবার হয় না এবং অন্যের বাচ্চার জন্য সেই ফিলিংসটা হয় না যা নিজের জৈবিক সন্তানের জন্য হয়। সন্তানের জন্য অনেক দম্পতিই শেষপর্যন্ত বিয়েটা টিঁকিয়ে রাখে জানি। সন্তানহীন বিয়ে টিঁকিয়ে রেখে দু’পক্ষের নানা সম্পর্কে জড়ানোর ঘটনাও ঘটে অবশ্য। সেক্ষেত্রে সন্তানহীনতা হচ্ছে দু’পক্ষের যথেচ্ছা যৌন সম্পর্কে জড়ানোর ডাকটিকেট। এমন ঘটনাও আজকাল দু/একটা ঘটে চারপাশে।
  • Abhyu | 34.158.243.229 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১৯:৪৪726716
  • ছোটোলোক, এই টপিক নিয়ে অন্য টই রয়েছে। সবাই সেখানে দিব্যি লিখছে কিন্তু বিপ সেখানে লিখবেন না। আজব রহস্য।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:০০726706
  • সম্পত্তিও তাই। যত বেশি ভাগ করবেন , দেখবেন কেমন অভদ্রের মতন কমতে থাকবে প্রতি ভাগে। ঃ-)
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:০৪726707
  • হৃষ্টপটলবাবু ইয়ে মানে অ্যারিস্টটল মনে হয় ভয় পেয়েছিলেন তাঁর সম্পত্তি যদি নিয়ে নেয় রাষ্ট্র? তেনার থেকে কেড়েকুড়ে নিয়ে হয়তো বারোভুতে লুটেপুটে খেল?
    অনেক কায়্দা করে বড়োলোকের কন্যা বিয়ে টিয়ে করে করা সম্পত্তি, যাকে বলে লেবার দিয়ে খেলিয়ে খেলিয়ে তোলা জিনিস, ইয়ার্কি না!
    ঃ-)
  • bip | 183.67.5.178 | ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:৫৪726708
  • PM
    বউরা ডেফিনিটলি আলাও করবে। আফটার অল দে আর আলসো ইন পারস্যুউট অব হ্যাপিনেস।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন