এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিজ্ঞান এবং

    T
    অন্যান্য | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৬৩৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শৌভ | 113.224.105.10 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৫৭723305
  • (পরবর্তী অংশ)

    প্রসঙ্গত বলে রাখি, লজিকাল অর্থনিরপেক্ষ বাক্যসমূহ, হ্বিটগেনস্টাইনের মতে, সততই টটোলগাস। কিছু কিছু বিমূর্ত ধারণার ক্ষেত্রে, যদি তাদের সংজ্ঞা দিতে চাই, তাহলে টটোলজি এড়ানো মুশকিল হয়ে ওঠে। ধরুন, সময়। সময়ের সংজ্ঞা কী? সময়ের ক্ষেত্রে যদি আমরা বলি, সময় আসলে তা-ই যা ঘড়ি দিয়ে মাপা হয়। তাহলে ঘড়ি কী? সেই যন্ত্র যা দিয়ে সময় মাপা হয়। বা, ধরুন বললাম, সময় হল বস্তুর পরিবর্তনের হার। তাহলে প্রশ্ন উঠবে, বস্তুর পরিবর্তন কীভাবে মাপা যায়? উত্তর হবে, সময় দিয়ে। সময়ের ধারণা আরো গোলমেলে হয়ে ওঠে, যখন দেখা যায় আইনস্টাইনের তত্ত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন রেফারেন্স ফ্রেমে সময়ের পরিমাপ আলাদা হতে পারে, এমনকী, দুটি ঘটনার সাইমালটেনিটিও প্রশ্নের উর্ধে নয়।

    পরিবর্তন দিয়ে সময় মাপার তত্ত্বটি আরিস্ততলের। এর বিপক্ষে নিউটনের গুরু আইজাক ব্যারো বললেন, সময় বস্তু বা পরিবর্তন নিরপেক্ষভাবে বর্তমান, এমনকি তা ঈশ্বরের জগৎসৃষ্টির আগে থেকেই রয়েছে। নিউটনও এই ধারণার সমর্থন করবেন ও বলবেন, দেশ এবং কাল অসীম আধারমাত্র, যা জগতের ঘটনাসমূহকে ধারণ করছে, কিন্তু যা বস্তু বা ঘটনার ওপর নির্ভরশীল নয়, এবং বস্তু বা ঘটনা-নিরপেক্ষভাবে বর্তমান। লাইবনিৎস আবার তার বিরোধিতা করে বললেন, ঘটনানিরপেক্ষভাবে সময়ের অবস্থান সম্ভব নয়, কেননা সময় আসলে ঘটনার অর্ডার বা বিন্যাসের ক্রম।

    (সময়ের সংজ্ঞা নিয়ে এই গোলযোগের কারণে, অনেক দার্শনিক বলবেন, সময় বলে আসলে কিছু নেই, সময় এক অবাস্তব ধারণা। যদিও বর্তমানে, ম্যাকট্যাগার্ট প্রস্তাবিত A -theory ও B -Theory কে বেশিরভাগ দার্শনিকই মান্য করেন)

    সে যাই হোক, যেটা বলার তা এই যে, কিছু কিছু বিমূর্ত ধারণার ক্ষেত্রে তাদের গুণ বা ক্রিয়া-নিরপেক্ষ সংজ্ঞা দেওয়া সম্ভব নয়। বা, দিতে গেলে টটোলজি হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু, অনেকক্ষেত্রেই, এই ধারণাগুলি ছাড়া জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়, যেমন সময়। ঈশ্বরের ক্ষেত্রেও কি ব্যাপারটা তাই?

    আমার মনে হয়, ঈশ্বরের ক্ষেত্রে সমস্যা হল, ঈশ্বর-নামক ধারণাটি এতই ফ্লুয়িড যে, তার সাপেক্ষে কোন বাক্যটি অর্থপূর্ণ বা অর্থহীন, তা নিয়েই নিঃসন্দেহ হওয়া সম্ভব নয়। "ঈশ্বর জগতের স্রষ্টা", "ঈশ্বর সর্বভূতে বিরাজমান", "ঈশ্বর এই ধূলিকণা", "ঈশ্বর পাঁচুমামার মুখের মত" এইধরণের বাক্যের মধ্যে ঠিক কোনটা ঈশ্বর-নামক ধারণার সাপেক্ষে অর্থপূর্ণ, অর্থনিরপেক্ষ বা অর্থহীন তা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা কি সম্ভব? এর অর্থ ঈশ্বর অজ্ঞেয়, বাক্যাতীত, জ্ঞানাতীত। অতএব, অ্যানালিটিকাল ফিলজফির অনুসারীরা বলবেন, এটি একটি মেটাফিজিকাল ধারণা, জগৎ-সম্পর্কে জ্ঞান-আহরণের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয়, এবং হ্বিটগেনস্টাইনের শেষ প্রতিপাদ্য-অনুযায়ী, "What we cannot speak about we must pass over in silence."
  • sswarnendu | 138.178.69.138 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৪৬723306
  • শৌভ,
    সম্ভব বলে আমাকে বাবু ইত্যাদি লেখাটা কাটিয়ে দিন, গুরুর নিক বা নাম লিখে লিখলে আমার অস্বস্তি কম হবে একটু... স্বর্ণেন্দুবাবু পড়লে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে খুঁজি আমি এখনো...

    দর্শনে আমি আরোই আনাড়ি... তবে দার্শনিক অবস্থান থাকতে তো আর দর্শনে দিগগজ হতে হয় না, তায় গুরুর পাতাই... তাই এইসব হাতি লোফালুফি... যাই হোক আপনার লেখা সত্যিই খুবই যত্ন নিয়ে লেখা, সেজন্যে ধন্যবাদ... এবার এর থেকে আমি যা যা বুঝলাম আর যে প্রশ্নগুলো এখনো রয়ে গেল সেগুলো লিখে ফেলি...

    " কয়েকজন দার্শনিক ভাবতে শুরু করেছিলেন, বিজ্ঞান যে-ভাবে আমাদের জগতকে সূত্রবদ্ধ করতে পারে, যেভাবে আশ্চর্য অনায়াসে ব্যাখ্যা করতে পারে জাগতিক ঘটনাসমূহ (এমনকী, তা আপাতদৃষ্টিতে আমাদের সাধারণবুদ্ধির পরিপন্থী হলেও অন্তিমবিচারে "সত্য" বলে প্রমাণিত হয়), তার মূল রহস্যটা কী?" --- ঠিক এইটাতেই এতক্ষণ পৌঁছতে চাইছিলাম, যে এই পপারের বক্তব্যের প্রেমিসটাই খানিক এটা - why Science ( or epistemology of Science ) is more effective than ( the ones of ) Non-Sciences? "

    অর্থাৎ তাতে সায়েন্স কি ও নন-সায়েন্স কি এইটা জানা আছে এবং সায়েন্স এর এপিস্টেমোলজি সুপিরিয়র ধরে নিয়েই ( ফলত কোন একটা এপিস্টেমোলজি কে আর একটার চেয়ে সুপিরিয়র কি ইনফিরিয়র মাপার ও একটা মাপকাঠি আছে ও সেটাও agreed upon ) শুরু আলোচনা... তাই সায়েন্সের এপিস্টেমোলজি থিওলজির এপিস্টেমোলজির থেকে সুপিরিয়র/বেটার/প্রেফারেবল কিনা এই আলোচনায় পপার ইররিলেভেন্ট... এবং পপার টেনে আনা সার্কুলার লজিক ।

    { টটোলজি নয়, প্রসঙ্গত আগের লেখায় সার্কুলার লজিকের কথা কিছু বলিনি... বলতে চেয়েছিলাম "Collection of Scientific statements are defined to be the collection of falsifiable statement" হলে "A Scientific statement must be falsifiable" is merely a tautology. আর এখানেরটা circular logic ই, tautology নয়, কারণ "Science is effective" এইটা সায়েন্স সম্পর্কে একটা অবজার্ভেশন মাত্র, যেটা পপার ও কারনাপ দুজনেই এগ্রি করে নিয়েছেন, implicitly assumed and agreed upon. তাই তাদের বিতর্ক ও সেই সংক্রান্ত মত দিয়ে সেই অবজার্ভেশনটার স্বপক্ষে যুক্তি circularity. টটোলজি এইজন্যেই নয় যে সায়েন্সের এপিস্টেমোলজি is not defined to be " the most effective epistemology known to us" ( হলে কেন এটা এত effective এই আলোচনার প্রশ্নই উঠত না, অথচ পপারের পুরো বক্তব্যের প্রেমিসটাই এইটা ) ... আশা করি টটোলজি ও সার্কুলার লজিক সংক্রান্ত ধোঁয়াশা পরিষ্কার হল খানিক... a tautology is a statement which is true by sheer necessity of logical coherence...... এখানে by definition of Scientific statements...... circular logic বেশ অন্য জিনিস... using arguments, which implicitly assumes a proposition, in favor of the same proposition... }

    বাকি লিখছি একটু সময় করে...
  • 0 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৫৬723307
  • "Some forms of atheism are arrogant and ignorant and should be rejected, but agnosticism—to admit that we don't know and to search—is all right." - দুষ্খু পেলুম :-(
  • ঈশান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:০৮723308
  • ডিসির কোচ্চেনটা অ্যাপ্ট এবং ইন্টারেস্টিং। আমার প্রথমেই কভার করা উচিত ছিল। লিখছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন