এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং সাম্রাজ্যবাদ

    বিপ
    অন্যান্য | ২১ জুন ২০১৫ | ৫৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 79.138.209.156 | ২১ জুন ২০১৫ ০৮:১৩681712
  • অতীত থেকে না-বর্তমান থেকেই শুরু করি।

    আজকের এই আই টি বিপ্লব, ফেসবুক, গুগল, কম্পুটারের পেছনে, কাজ করে মূলত দুটো বেসিক প্রযুক্তি। প্রথমটা হচ্ছে সিলিকন টেকনোলজি-যা একটা কয়েনের মধ্যে এনেদিচ্ছে কোটি কোটি যন্ত্রগণকের শক্তি। আর দুই-ইন্টারনেটে বেসিক টেলিকম নেটওয়ার্ক-যা কোটি কোটি কম্পিটিং ডিভাইসকে কানেক্ট করছে।

    এই দূটি প্রযুক্তিই আমেরিকান মিলিটারি গবেষনার ফসল। ইন্টারনেট প্রযুক্তি শুরু হয়েছিল 1977 এ ডারপার আরপানেট প্রজেক্ট থেকে (https://en.wikipedia.org/?title=ARPANET)। ডারপা হচ্ছে আমেরিকাতে প্রতিরক্ষার জন্য ভবিষ্যতের প্রযুক্তির নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার জন্য তৈরী রিসার্চ গ্রান্ট এজেন্সি। শুধু ইন্টারনেট ই না- ডারপা দিয়েছে, আরো অনেক যুগান্তকারি প্রযুক্তি- যেমন মেমস-যে সেন্সর প্রযুক্তির জন্য আজ বদলে যাচ্ছে সার্জারি থেকে মেশিনপত্রের মেইনটেনান্স।

    সিলিকন চিপের বাজারজাত করার পেছনে যে কোম্পানীটি ১৯৬০ সালে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছিল-তারা হচ্ছে ফেয়ার চাইল্ড সেমিকন্ডার। এই কোম্পানীটিও মূলত শুরু হয়েছিল কোল্ড ওয়ারের সময় স্যাটেলাইট ও রকেট প্রযুক্তিতে সোভিয়েতকে টেক্কা দিতে নাসার জন্য । উইলিয়াম শকলে বেল ল্যাব থেকে বেড়িয়ে তৈরী করেন ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডার। উদ্দেশ্য সিলিকন চিপ -বা চিপের মধ্যে গোটা ইলেকট্রনিক্স সার্কিট পুরে দেওয়া। সুবিধা করতে পারেন নি প্রথমে। সুবিধা এনে দিল, ঠান্ডা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে নাসার এপোলো প্রজেক্ট। এপোলোর গাইডেন্স সিস্টেমের সাইজ ছোট করতে, সিলিকন চিপস ছাড়া গতি ছিল না। নাসার বিরাট অর্থানুগ্রহ না পেলে, সিলিকন চিপ্স কবে যে সাফল্যের মুখ দেখত কেও জানে না। আর সিলিকন চিপসে জন্ম দশ বছর পেছলে, ইন্টারনেট আর ফেসবুকের জন্ম ও দশ বছর পিছিয়ে যেত।

    আমেরিকাতে অধিকাংশ নতুন কম্পুটার এবং ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি আসে মিলিটারির অর্থানুগ্রহে। মূলত দুটি চ্যানেল আছে। একটা হচ্ছে ডারপা-যেখানে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে রিসার্চ গ্রান্ট দেওয়া হয়। দ্বিতীয়টা হল এস বি আই র। এখানে ছোট ছোট স্টার্টাপ গুলোকে মিলিটারীর কাজে লাগে এমন উদ্ভাবনের জন্য গ্রান্ট দেওয়া হয়। এস বি আই আর, অন্য ফেডারেল এজেন্সিগুলোও দেয়-তবে সিংহ ভাগ আসে মিলিটারি থেকে। আমার কাছে থাকা এস বি আই এরে তথ্য বলছে, গত দুই দশকের উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগুলির সিংহ ভাগ এসেছে এস বি আই এরে গ্রান্টে চলা রিসার্চ থেকে।

    এবার অতীতের দিকে তাকানো যাক । সাম্রাজ্যবাদি শক্তির ঐতিহাসিক সিকোয়েন্সটা মোটামুটি এরকম -
    পার্সিয়া-গ্রীক-রোমান- আরব-মোঙ্গল-অটোম্যান-স্প্যানিশ-বৃটিশ-আমেরিকা।

    ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে যারা যখন মাস্টার রেস হয়েছে-তাদের পেছনে দুটি শক্তি কাজ করেছে। প্রথমটা প্রযুক্তি-দ্বিতীয়টা শক্তিশালী শাসন ব্যবস্থা, আইনের শাসন। আজকের আমেরিকা তার ব্যতিক্রম না। কালকে চীন এবং ভারত যদি প্রযুক্তিতে এগোতে পারে, তারাই মাস্টার রেস হবে।

    আলেক্সজান্ডারের সাম্রাজ্যবাদি শক্তির উৎস কি? অধিকাংশ যুদ্ধে কম সৈন্য নিয়ে কি করে বিপক্ষকে হারাতেন আলেজান্ডার ? সেই ইতিহাস ঘাঁটলেও প্রযুক্তির মুখটাই দেখা যাবে। গাওয়ামুলের যুদ্ধে দারায়ুস-৩ এর বিপক্ষে আলেক্সান্ডার জিতলেন কি করে? তার সেনাবাহিনীর সংখ্যা ছিল অর্ধেক। দারায়ুসের হাতে ছিল ভয়ংকর পার্সিয়ান রথ, যার চাকাতে বন বন করে ঘুরত তলোয়ার। পার্সিয়ান রথের আক্রমন ঠেকাতে গ্রীকরা আবিস্কার করে সারিসা-যা হচ্ছে একুশ ফুট লম্বা বর্শা। বর্শা একুশ ফুট লম্বা হলেই সারিসা হত না-দূর থেকে রথ বা ক্যাভিলারি ঠেকাতে দরকার হত একুশ ফুটের একটা রড যা হবে হাল্কা এবং শক্তিশালী। রথ বা ঘোড়ার ধাক্কায় ভাংবে না। শুধু এই প্রযুক্তির জোরেই পারস্যের বিখ্যাত রথ এবং ঘোড়সোওয়ার বাহিনীকে কাহিল করে দেয় ম্যাসিডোনিয়ানরা। পারসিক সম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষের ওপর শুরু হয়, গ্রীক সাম্রাজ্য।

    লিওয়ানার্ডো ভিন্সি থেকে রেনেসাস যুগে বিজ্ঞান প্রযুক্তির উত্থানের রহস্যটা কি? নিছক গবেষনা? সরি -ইতিহাস তা বলে না। লিওনার্ডো দ্যা ভিন্সি ফ্লোরেন্সের নগরপালকে একাধিক চিঠি লিখেছিলেন-যার সার সংক্ষেপ- অটোম্যানরা যখন খুশি শহরটা দখল করতে পারে-আর তাদের ঠেকাতে তিনি এমন সব অস্ত্রবানাবেন-যাতে নগর সুরক্ষিত থাকবে-তাই সেই সব অস্ত্র এবং প্রযুক্তি বানাতে তাকে অর্থ সাহায্য দেওয়া হৌক।

    পাথর থেকে ব্রোঞ্চ-ব্রোঞ্চ থেকে লোহা-সভ্যতার এই যে অগ্রগতি-সবই ত নতুন অস্ত্র বানাতে গিয়ে।

    এর পাশাপাশি চিকিৎসার অগ্রগতি অবশ্যই হয়েছে মিলিটারী কারন ছাড়াই। কিন্ত যন্ত্র সভ্যতার অগ্রগতি সম্পূর্ন মিলিটারির জন্য। জেমস ওয়াট স্টিম ইঞ্জিন বানিয়ে ফেলতেই, স্টিম ইঞ্জিন গবেষনাতে সব থেকে বেশী খরচ করেছিল বৃটিশ নেভি। রাইট ভাই রা প্লেন বানাতেই, সেই প্লেন মানুষের যোগাযোগের অনেক আগেই , বোম ফেলার জন্য কাজে লাগাতে নেমে যায় ফেঞ্চ, বৃটিশ, জার্মান এবং আমেরিকানরা। ১৯১২-১৫ সাল পর্যন্ত বিমান বিদ্যায় সব কাজ হয়েছে কি করে প্লেনকে যুদ্ধবিমান হিসাবে গড়ে তোলা যায়। এবং বিমান প্রযুক্তির প্রাথমিক সব আবিস্কার হয়েছে এই যুদ্ধবিমান বানাতেই। ট্রান্সপোর্টের প্রয়োজনে কাজে লাগানো হয়েছে অনেক বাদে। বিমান প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রয়োজনে।

    না, সাম্রাজ্যবাদকে সমর্থন জানাতে এই পোষ্ট না। এই পোষ্ট সেই সব বাল্যখিল্য জনগণের জন্য, যারা ফেসবুকে, ইন্টারনেটে দিনরাত সাম্রাজ্যবাদি আমেরিকাকে গালাগাল দিচ্ছেন-সেই সাম্রাজ্যবাদের প্রয়োজনে আবিস্কৃত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েই! প্রযুক্তির উন্নয়নে সাম্রাজ্যবাদের যা অবদান আছে, আর কোন কিছুর তা নেই। এটাই দুর্ভাগ্যজনক ইতিহাস। এটা যদি না জানেন-তাহলে ইতিহাসের প্রাথমিক জ্ঞান নিয়েই সন্দেহ উঠবে।
  • সুশ্রুত সরখেল | 212.54.102.201 | ২১ জুন ২০১৫ ০৯:২০681713
  • ইংরিজি সিনেমা দেখে আমারো এরকম মনে হয়। বেশ লিখেছেন।
  • PT | 213.110.243.22 | ২১ জুন ২০১৫ ০৯:২৯681714
  • A scientific study of the transparent red enamel was carried out to establish how it was coloured. Ruby glass is coloured by metallic nano-particles (one millionth of a millimetre) of copper, silver or gold.
    http://www.britishmuseum.org/explore/highlights/articles/i/investigation_royal_gold_cup.aspx

    ১৩৭০–১৩৮০ -র সময় কালে যে শিল্পী এই ন্যানোমেটিরিয়াল তৈরি করে কাঁচে রঙ করেছিলেন তিনি তো সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত শক্ত করার জন্য এই আবিষ্কার করেছিলেন, তাই না?
  • কল্লোল | 111.63.87.255 | ২১ জুন ২০১৫ ০৯:৩৮681715
  • বিপ উবাচ - "এই পোষ্ট সেই সব বাল্যখিল্য জনগণের জন্য, যারা ফেসবুকে, ইন্টারনেটে দিনরাত সাম্রাজ্যবাদি আমেরিকাকে গালাগাল দিচ্ছেন-সেই সাম্রাজ্যবাদের প্রয়োজনে আবিস্কৃত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েই! "

    এই যুক্তিটা একেবারেই ল্যাগব্যাগে।

    রাষ্ট্র তার নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়। না দিলে আমাদের প্রাত্যহিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে যেতো। তাহলে রাষ্ট্রের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না।
    আইন ব্যবস্থা রাষ্ট্রেরই অংশ। তাহলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আদালতেও যাওয়া যাবে না।
    আমরা যারা শিল্পোদ্যগে কাজ করে রোজগার করি তারা তবে পুঁজির বিরুদ্ধে বলতে পারবে না।

    বিপ বলছে, "সাম্রাজ্যবাদকে সমর্থন জানাতে এই পোষ্ট না।"
    মানে বিপ সাম্রাজ্যবাদকে সমর্থন করে না। তাই কি? সেটা তবে "সাম্রাজ্যবাদী" ইন্টারনেটে লিখলো কেন? বিপ কি বলতে চাইছে? সাম্রাজ্যবাদ বলে কিছু হয় না। ওটা মানবসভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার কর্মকান্ড। সেটা সোজাসুজি বললেই হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন