এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • য্যায়সে ফিল্মো মে হোতা হে হো রাহা হে হুবাহু

    সম্রাজ্ঞী
    অন্যান্য | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ | ৬২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সম্রাজ্ঞী | 212.142.103.233 | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ২১:৫৯640464
  • তিন বছর আট মাস সতেরো দিন পর আমি অরণ্যানি চ্যাটার্জি সাদার্ন এভিনিউর রাস্তা দিয়ে বিকেল পাঁচটার সময় একা হেঁটে যাচ্ছি।আকাশের মেঘ গুলো নিজেদের মধ্যে ধরাধরি খেলছে,বৃষ্টি তাদের মধ্যে দিয়ে ছুটে বেরিয়ে আসতে চাইছে,কিন্তু আকাশ আজ “আরেকটু পরে,একটু বোস” ঘ্যান ঘ্যান করে বৃষ্টিকে আটকে দিচ্ছে বারবার।আর আমিও তাই আকাশের ওপর রাগ করে আরো আরো আরো জোরে হেঁটে যাচ্ছি।তার প্রধান কারণ জোরে হাঁটবার মধ্যে এমন একটা গতি আছে যা মানুষের বা অন্তত আমার চিন্তা প্রবাহর গতিকে ধীরে ধীরে ক্লান্ত করে দেয়।অতএব আমার থিওরি অনুযায়ী আর খানিক্ষণের মধ্যেই আমার রাগ কমে যাবে। আকাশের ওপর এই রাগের আরেকটি কারণ হল যে আকাশ ছাড়া এই মুহূর্তে আমার রেগে যাওয়ার মত আর কেউ নেই এবং রেগে যাওয়াটা খুবী জরুরি , সঙ্গে ক্লান্ত হয়ে যাওয়াটাও,কারন এই দুটো প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেই একমাত্র মাথার মধ্যে একটা নেশা নেশা ভাব জন্ম নেয়,এবং তার থেকে মানুষ বা অন্তত আমি এমন অনেক কিছু বুঝতে পেরে যাই,যা সাধারনত আমার মস্তিস্কে কোনভাবেই ঢোকবার কথা নয়।

    আমি অরণ্যানি চ্যাটার্জি,আজ থেকে আঠাশ বছর আগে কোনো এক পুরোনো পাড়ার বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত বাড়িতে হয়ত কোনো এক বৃষ্টির দিন জন্মেছিলাম।স্কুলে ঢোকবার আগে অব্দি আমি কথা বলতে পারিনি,এবং যেদিন থেকে পেরেছিলাম,সেদিন থেকে আজ অবদি খুব প্রয়োজন না পরলে,থামিনি।জীবনে দুটো কাজ খুব মন দিয়ে করেছি,এবং লোকে বলে,সফল হয়েছি।এক,কথা বলা।দুই,ভালবাসা।সকলেই আমাকে কম বেশী ভালবেসেছে,এমনকি খুব বেশীরকম ভালবেসেছে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়,কিন্তু ছোটবেলা থেকে আজ অবদি কেউ আমাকে কোনদিন ভরসা করেনি। জীবনের তিনশ কোটি তেরো লক্ষ,বাহাত্তর হাজার,নশো উন আশি রকমের ক্ষোভের মধ্যে এটা একটা এবং অন্যতম।এবং আরেকটি আপনারা সকলেই জানেন,আজ এই মুহূর্তে বৃষ্টি না পড়া।

    আকাশের রঙ আবছা হচ্ছে ক্রমাগত,আর আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি,আকাশের গায়ে একফালি সাদা মেঘের দু পাশে কমলা এবং সবুজ রং,যদিও নিজের চোখকে একেবারেই বিশ্বাস করছি না,কারণ আমার ধারনা, যেকোনো দেশের মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার রঙ তার দেশের পতাকার রঙ হয়েই দেখা দেয়,এবং আমিও এ ক্ষেত্রে হয়ত তার ব্যতিক্রম নই।তাই আর যা দেখছি তার সবটা সত্যি হলেও এই ব্যাপারটা স্রেফ আমার ইলিউশন বলেই ধরে নিচ্ছি,কিম্বা এটাও হতে পারে যে এতক্ষন হাঁটতে হাঁটতে আমি সেই নেশা নেশা স্তরটায় পৌছে গেছি যে স্তর টায় পৌছলে আমার থিওরি অনুযায়ী এখন আমার সমস্ত না বোঝা জিনিস বুঝতে পারার যথেষ্ট সম্ভবনা আছে।তবে একটা ব্যাপার আমি শুরু থেকেই বুঝতে পারছি,যে আজ এতদিন পর একটা তুমুল স্বাধীনতা বুকের ভিতর থেকে উপলব্ধি করছি,যে স্বাধীনতাটাকে আমার ভালবেসে,আদর করে, “আহ!” বলে ডাকতে ইচ্ছে করছে।

    প্রায় সারে তিন বছরের এই অর্থহীন একটা বাঁধন থেকে বেড়িয়ে আসতে পেরে মনে হচ্ছে যেন মাউন্ট এভারেস্ট জিতে ফেলেছি।আর ঐ আকাশের মাঝখানে আমার পতাকা।কিন্তু সত্যি বলতে,ভিতরে একটা খচখচানি রয়ে যাচ্ছে।এত সহজে “ব্রেক আপ”টা হোক আমি একেবারেই চাইনি,আমি একদম সাধারন নাটুকে বাঙ্গালী।প্রেম মানেই আমার কাছে ছিল হিন্দি ছবির মত গাছ ধরে নাচা,সারাদিন ফোনে কথা বলা,ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরা,বেড সুইচ জ্বালানো নেভানো করতে করতে একটা বেড সুইচ কে খারাপ করে ফেলা এবং অবশ্যই অন্তত সারে সাতশো কবিতা লেখা।কিন্তু প্রেমে পড়ার ঠিক পর পর আমি বুঝতে পারলাম,জল একদম অন্য নদীর।প্রেমিক নামক লোকটি গাছ ধরে নাচবার খুব একটা সময় পাননা,বেড সুইচ ব্যবহার করার মত সময় অব্দি জেগেই থাকেন না,এবং খুব আশ্চর্য ভাবেই তিনি দাবী করেন “গিভ মে সাম স্পেস,আমাকে বেঁধে রেখো না” আশ্চর্য!একেই বলে ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,ছোটবেলা থেকে এ হেন আমি অরণ্যানি চ্যাটার্জি মনে প্রাণে জানতাম যে স্ক্রিপ্টের এই ডায়লগ টা আমার,শুধু আমার,আর জীবনের এক অধ্যয়ে এসে আমাকেই আমার ডায়লগ দিয়ে একটা লোক আমার নাকের ডগা দিয়ে আনন্দে ঘুড়ে বেড়াতে লাগল।আর আমি,হঠাত হিন্দি ছবি ভুলে,শরতচন্দ্রের নায়িকার মত করে ঘ্যানর ঘ্যানর করতে লাগলাম।এবং সব ছেড়ে এক অদ্ভুত দাবী চেপে বসল মনের ভিতর,যে আর কিছু না হোক,কেউ একটা আমাকে একবারের জন্য ভরসা করুক।তাই যথাসাধ্য চেষ্টা করে যেতে লাগলাম,যার সমস্তটাই বিফলে গেল,এবং লেখাও ছেড়ে চলে গেল আমায়,আর তাই সারে সাতশো দূরে থাক,বিগত তিন বছরে সাতটা কবিতাও লেখা হল না।এবং তিন বছর আট মাস সতেরো দিন ধরে হিন্দি ছবির মত করে প্রেম নির্মান করার আপ্রাণ চেষ্টায় বিফল হয়ে,সাত দিনের না ঘুমোনো চোখ নিয়ে বুকের ভিতর চিন চিন ,টন টন,ঝনঝন , নানা প্রকার ব্যথা নিয়ে আমি সম্পর্কটা থেকে বেড়িয়ে এলাম।অথচ বেড়িয়ে আসাটা কি সহজ হল…কি বোরিং।

    “সম্পর্কটায় আমি থাকতে পারছি না অর্ণব,অনেক অনেক দিন ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত টা নিলাম,যদিও একা নেওয়ার কোনো অধিকার ই আমার নেই,তবুও আমার বার বার মনে হচ্ছে সম্পর্কটায় আমার অন্তত আর কিছু দেওয়ার নেই।তুমি আমায় অনেক দিয়েছ…কিন্তু…আসলে…”

    “দেখো রুনি ,আমাকে এত এক্সপ্লেন করার কোনো দরকার নেই,আমি তোমার সব ডিসিসনকে সবসময় রেস্পেক্ট করেছি,তাই আজ ও এর অন্যথা হবে না,যদি তোমার মনে হয়,এটাই আমাদের জন্য ভাল,তাহলে এটাই ভাল।আমার কোন এক্সপ্লেনেসন দরকার নেই রুনি।হুম?”

    “তোমার…”

    “আমার সম্পুর্ণ সমর্থন রইল,ভাল থেকো সোনা।রাখি।কেমন?অফিসে অনেক কাজ,লাভ ইউ”

    ----কল এন্ডেড---

    অসহ্য,নন সেন্স,মিথ্যুক।আমার কোনো ডিসিসনকে ও আজ অবদি রেস্পেক্ট করেনি,সব মিথ্যে কথা।তাছাড়া এরকম অদ্ভুত ব্রেক আপ কার কবে হয়েছে শুনি?একটা মিনিমাম কার্টসি বোধ তো থাকে মানুষের,ব্রেক আপের সময় কোন আহাম্মক “লাভ ইউ” বলে?এই জন্য আমি বিশ্বাশ করি,হিন্দি সিনেমা না দেখলে মানুষের বেসিক সেন্সগুলো ডেভেলপ ই করে না।প্রেমটা কে তো ফিল্মি হতে দিলই না,এমনকি ব্রেক আপ টাও কি বোরিং।কি শান্ত,কি অসহ্য! কিন্তু সত্যি বলতে এই বোরিং একটা ঘটনার জন্যও কি অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে বুকের ভিতর,মাথার ভিতর তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে সব,আর আকাশের বুকে একটা তেরঙ্গা পতাকা আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠছে,আমার অসহ্য লাগছে।ক্লান্ত লাগছে,নিঃশেষ লাগছে খুব।আর ভাবতেও ভয় লাগছে,বোরিং ব্রেক আপটার সঙ্গে সঙ্গে ওই বোরিং লোকটার জন্য ও আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না তো?নিশ্চই না,কিছুতেই না,হতেই পারে না…

    আমি অরণ্যাণী চ্যাটার্জি,জোর করে আকাশের দিকে মুখ করে তাকিয়ে হেঁটে চলেছি,চোখের এক ফোঁটা জল ও যেন না পড়ে রাস্তায়,কারণ আজ বৃষ্টি হবে।খুব বৃষ্টি হবে।আকাশ যতই আটকে দিক,ও ঠিক চলে আসবে আমার কাছে্র কারণবৃষ্টি ও কোনদিন আমার ওপর ভরসা করেনি,যদি ঠিক সময় কাঁদতে না পারি?যদি আমার আরো কোনো ফিল্মি মুহূর্ত নষ্ট হয়ে যায়?তাই আমি জানি,আজকেও বৃষ্টি আমার ওপর ভরসা করবে না,ও ঠিক নেমে আসবে আমার কাছে,তাছাড়া আকাশের সঙ্গে ওর ও তো সমপর্কটা ভাল যাচ্ছে না অনেকদিন,মেঘ ই ওকে আশ্রয় দিচ্ছে বেশী।এই নিয়ে খুব মন মরা হয়ে ছিল মাঝে,কিছুতেই বেরোচ্ছিল না।এখন অবশ্য ও আমার ই মত,স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টায় মোনোযোগী!

    কিন্তু আমার যে খুব কান্না পাচ্ছে,রাস্তার মাঝখানে বসে পড়ে হাপুস নয়নে কাঁদতে ইচ্ছে করছে,হাত পা ছুঁড়ে বলতে ইচ্ছে করছে… “কেন আমাকে কেউ ভরসা করে না,কেন আমার থেকে কারুর কোনো দাবী নেই,কেন আমাকে সবাই আমার মত ছেড়ে দেয়,আমি কাউকে বাঁধতে চাইলে,কেন সে চলে যেতে চায়,কেন আমায় তারা বেঁধে ফেলে,যাদের কাছে আমি এক মুহূর্ত ও থাকতে চাইনি কোনদিন,কেন আমাকে কেউ এই মুহূর্তে ভালবাসছে না,কেন সব্বাই আমার ভালবাসা চায়,কিন্তু আমাকে চায় না,কেন কারুর জীবনে আমার কোনো প্রয়োজন নেই…কেন কেউ আমার রূপকথাকে প্রশ্রয় দেয় না,কেন কেউ আমার ওপর ভরসা করে না,কেন?কেন?কেন?”

    কেউ কি শুনতে পাচ্ছে আমার কথা?এই চারিপাশের সারি সারি গাছ,চওরা রাস্তা,আকাশের মেঘ,দরজায় থমকে থাকা বৃষ্টি,কেউ?কিম্বা রাস্তায় ধারে ওই যে বাচ্চা গুলো চায়ের দোকানের সামনে ভীড় করে দাঁড়িয়ে আছে,ওদের কারুর কি আমাকে দেখে মা বলে মনে হচ্ছে?পৃথিবীতে কারুর কি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে ইচ্ছে করছে, “আমাকে সামলে নিও”…করছে না,কারুর করছে না…কারণ এই পৃথিবীতে কেউ আমাকে ভরসা করে না,কেউ না,কেউ না,কেউ না…

    আকাশের রঙ টা ক্রমশ কালো হয়ে যাচ্ছে,কোথাউ কোনো সবুজ বা কমলা রঙ দেখা যাচ্ছে না,সাদা মেঘেরাও কখন যে ফিরে গেছে ঘরে!আর বৃষ্টি হয়ত অনেক ঝগরার পর আকাশের বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে…তাহলে কি বৃষ্টি বুঝতে পেরেছে যে আজ আমি নিজেউ পারব,তাহলে কি বৃষ্টি ভরসা করেছে আমার ওপর?সে কি বুঝেছে আমি পারব?আমি নিজেই নিজের মুহূর্তকে চোখের জলে ফিল্মি করে তুলতে পারব…!!!

    সারা শরীর কেন জানি কেঁপে উঠছে,খুব জোড়ে।মাথা ভোঁ ভোঁ করে উঠছে!ভূমি কম্প?নাহ তো!ওহ!ব্যাগে রাখা মোবাইল ফোনটা বোধহয় কারুর স্পর্ষে কেঁপে কেঁপে উঠছে…

    ---অর্ণব কলিং---

    -হ্যালো-কোথায় তুমি?-সাদার্ন এভিনিউএর রাস্তায়।এবার গোলপার্ক এ পড়বে।-কে?-রাস্তাটা।-উফ!ডিসগাস্টিং,শোনো,মৌচাকের সামনে দাঁড়াও,আমি আসছি।-কেন?-তোমকে সায়েস্তা করতে।-মানে?-আজ সকালে ডেকে দিলে না ফোন করে,আমার অফিস যেতে দেরী হয়ে গেল।সারাদিন সব খিচুরি পাকিয়ে গেল,মিটিং,ক্লায়েন্ট ভিসিট।সারাদিন ধরে শুধু ভেবেছি কখন একটু সময় পাব,আর তোমাকে ঝারব,কিন্তু সময় পেলে তো!-কিন্তু …-কিন্তু কি?মিনিমাম একটা সরি তো বল।-অর্ণব,আমরা তো আর সম্পর্কটায় নেই।-সো?তাই জন্য তুমি আমায় ডেকে দেবে না?হাউ রুড।তোমার ওপর এতদিন ভরসা করেই আমি ভুল করেছি।-ওয়াট?কি বললে অর্নব? ডিড ইউ সে ভরসা?-মানে?-তুমি আমাকে ভরসা করতে অর্নব?-কি বলছ টা কি?মাথাটা কি নতুন করে খারাপ হল?-আর কিচ্ছু খারাপ নেই অর্নব,সব ভাল হয়ে গেছে।আমি মৌচাকের সামনে অপেক্ষা করছি,তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো।-হুম,আসছি।-অর্ণব…

    ----কল এন্ডেড---

    আকাশ ঘন অন্ধকার নয়,বরং কালোর কাছাকাছি কোনো এক নীল…রাস্তার হলুদ আলোগুলো জ্বলে উঠেছে, অফিস ফেরত মানুষজনের ভীর বেড়েই চলেছে রাস্তায়,অনেক দূরে একটা তেরঙ্গা পতাকা একটা শক্ত খুঁটি আটকে ঘুমিয়ে রয়েছে,আজ ১৪ই অগস্ট,আজ ঠিক রাত বারোটার সময় ঘুম ভাংবে পতাকাটার…ও-ও খুব ভরসা করে আছে,কেউ এসে ওকে ডেকে দেবে ঠিক…আমার খুব ভয় করছে,যার আসার কথা সে বুঝতে পারছে তো?সে জানতে পারছে তো যে পতাকাটা তার অপেক্ষাতেই এত গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন…আমি কি ওর কানে কানে গিয়ে বলব? “যাও,গিয়ে বলে দাও ওকে,কত ভরসা করে ঘুমিয়ে আছ তুমি,শুধু ও এসে ডেকে দেবে বলে,যাও সোনা,নইলে ও-ও মনের দুঃখে অইনেক দূর হাঁটতে হাঁটতে চলে যাবে,তখন আর তুমি ওকে বলতে পারবে না…দেরী কোর না,যাও…”

    নাহ থাক!যে ভরসা করে এটুকু ভরসাও করতে পারেনি যে কেউ তাকে অন্তত ভরসা করে,সে একটু কষ্ট পাক,তার কষ্ট পাওয়া দরকার…তার বুকের ভিতর নানা প্রকার টন টন,ঝন ঝন,চিন চিন…ব্যথা হওয়া দরকার…খুব দরকার…খুব…তার কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে বসে পড়া দরকার,বেড সুইচ জ্বালানো নেভানো করতে করতে বেড সুইচ খারাপ করে ফেলা দরকার…দরকার,খুব দরকার…

    আমি অরণ্যানি চ্যাটার্জি…

    -“কি আশ্চর্য!কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি।কি ভাব সারাদিন?”

    আমি কি এখন গাছ ধরে দুলছি?চারিপাসে কি খুব হাওয়া দিচ্ছে?সারা শহর কি আলতো নরম কোনো আলোতে সেজে উঠেছে?কোথাউ কি বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছে?কোনো বাড়ির জানলার পর্দা উড়ে গিয়ে কি কারুর মুখ স্পর্ষ করে যাচ্ছে?কোনো ছাদে ঝুলতে থাকা শাড়ি কি এক্ষুনি পড়ে গেল নীচে?বাসের প্রচন্ড ভীরে এক্ষুনি কি কোনো হাত ছুঁয়ে ফেলেচে অন্য কোনো হাত?সামনের বাড়ির বারান্দায় রাখা টবগুলোয় কি এক্ষুনি কুঁড়ি এল?আচ্ছা, দূরে ঐ পতাকাটা কি উড়ছে?সময়ের আগেই কি ওকে ডেকে ফেলেছে কেউ?নাকি …ওটা আমার ইলিউসন?

    আমি অরণ্যানি চ্যাটার্জি…
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন