এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ২০:২৬574881
  • নরসিংদীতে তমাল গাছ দেখেছিলাম। পুরাতন জর্জ কোর্ট পাড়া থেকে রেল স্টেশনের দিকে বিশাল তমাল গাছ হাত-পা দাঁড়িয়ে আছে। পিসে মশাই গাছটি দেখিয়ে বললেন, এই দেখো, তোমাদের তমাল গাছ।

    এই তমাল গাছ আমাদের কবিতায় আছে। তালের সঙ্গে মিলিয়ে তমাল। রবীন্দ্রনাথ পেয়েছিলেন বৈষ্ণব পদাবলী থেকে। আমরা পেয়েছিলাম রবীন্দ্রনাথের থেকে। আমি পেয়েছিলাম পিসেমশাইয়ের কাছ থেকে।

    তিনিই প্রথম ছৈলা গাছের কথা বলেছিলেন। ছৈলাগাছের ভালো নাম ওড়া। ওটা লবণাম্বুজ জাতীয় গাছ। ইংরেজীতে ম্যানগ্রুভ। লবণ পানিতে জন্মে। শ্বাসমূল আছে। ছৈলা ফুলের মধু মধুরতর। ফুলের কুঁড়ি একটি থালার জলে রেখে দিলে ভোর বেলা ছৈলা ফুল ফোটে। আর পাপড়ি খুলে মধু পাওয়া যায়।

    একদিন আটঘর কুড়িয়ানা থেকে ফিরতে ফিতে রাত হয়ে গেছে। আমাদের ট্রলার জলাবাড়ি থেকে সেহাঙ্গলের ঠোঁটায় এসেছে। পিসিমা এতক্ষণ পান খেতে খেতে বিয়ে বাড়ির গল্প বলছিলেন। হঠাৎ তিনি নেই হয়ে গেছেন। কিন্তু তার কথা শোনা যাচ্ছে। নৌকার খোলের নিচে মাথা নিচু করে আছেন। গল্পটি সে অবস্থাতেই শেষ করবেন। এর মধ্যে মাঝি মাঝ নদীতে নৌকা নিয়ে গেছে। কেউ কথা বলছে না। পিসেমশাই বললেন, ভয় পেয়ো না। ভুত প্রেত নয়—এই সেহাঙ্গলের ঠোঁটায় আগে ডাকাতি হত। সেই জন্য একটু সাবধানী হতে হচ্ছে। আর কিছু নয়।

    ট্রলারটি তখন সন্ধ্যানদী থেকে রাজবাড়ীর খালে ঢুকে পড়েছে। সামনে গাববাড়ী। তারপর রোঙ্গাকাঠী। আর গভীর অন্ধকার। মাথার উপরে তারা উঠেছে। দূরে কয়েকটি গাছ-ঘিরে জুনি পোকা জ্বলছে—নিভছে। অন্য গাছে জুনি পোকা নেই। পিসে মশাই বলছেন, জুনি জ্বলা গাছই ছৈলা গাছ।

    তিনি আমাকে গুলাব গাছ চেনালেন তার পরদিন। গুলাব ফল থেকে তেল করা হয়। সেই তেলে প্রদীপ জ্বলে। জিরগাছ দেখাতে চেয়েছিলেন। সে জন্য সারেংকাঠী যাওয়া দরকার। তার বদলে আমাকে পরদিন শ্রীরামকাঠী নিয়ে গেলেন। সেখান থাকে নাজিরপুর। বললেন, ছেলেবেলায় তাদের বাড়ি থেকে কোল-ডরা দিয়ে এই নাজিরপুরে হেঁটে আসতেন। হেঁটে হেঁটেই যেতেন শ্রীরামকাঠী। দীঘিরজান, মাটিভাঙ্গা।

    পিসেমশাইয়ের বাড়ি শেখমাটিয়া। বাড়িটি সিকদারবাড়ি। রামনগর থেকে আমরা হাঁটতে হাঁটতে আসছি। পথের ফাঁকে অসংখ্য বাঁশ আর শুপারীর ছোটো ছোটো সাঁকো। কোনোটির ধরণী নাই। তখনি তিনি আমাকে হাত ধরে পার করে নেন। বলেন, বাবা হে, বরিশালে বিবাহ করছ, আর চার পারাইতে পারবা না—এইটা হয় কি কইরা? একটু দোমনা হয়েছো কি ঝপাৎ। সেদিনই তার হাত ধরে আমি ধরণী ছাড়াই একা একা চার পার হওয়া শিখেছি। কখনো ঝপাৎ হইনি।

    সিকদার বাড়ির উঠোনে পিসেমশায়ের বাবা সতিশ সিকদার বসেছিলেন ছোট্ট একটা জলচোকিতে। তার গলায় বেলের আইচার মালা। তাকে ঘিরে কজন মতুয়া গান গাইছেন। এর মধ্যে একজন ধরেছেন বিজয় সরকারের ধুয়া--পোষা পাখি উড়ে যাবে একদিন, ভাবী নাই তো মনে। তার চোখ থেকে টপ টপ করে জল পড়ছে। কিন্তু দুঃখবোধ নেই—আনন্দ আছে। সতিশ সিকদার বললেন, কিছুইতো ভাবিনি কোনো দিন। না ভেবেই দিন কেটে গেলো। সন্ধ্যে হল। এখন বুঝতে পারি—ভাবতে ভাবতেই দিন কেটেছে এতকাল। না হলে পোষাপাখি উড়ে যাবার ভয়ে কাঁদছি কেনো?

    সেদিন সন্ধ্যায় পিসেমশাইয়ের মা পায়েস রান্না করবেন। সাক্করকোরা চাল বের করেছেন মাইট থেকে। চুলার উপরে দুধ আউটানো শুরু হয়েছে। ততক্ষণে আমাদের শোলমাছ দিয়ে খাওয়া শেষ। এবার একটু নারকেল কোরা দেবেন। পিসেমশাইয়ের মা বললেন, নলেন গুড় দিয়া খাও। আমার গনেশ এই গুড় ভালোবাসে।

    তার গণেশই আমার পিসেমশাই। রান্নাঘরেই পিসেমশাই আর আমি খেতে বসেছি। তার বুড়ি মা তাকে ছোট্টো ছেলেটির মত ধমকে বলছেন, আরেকটু গুড় নে। ভালো করে চাইটা-পুইটা খা। তারপর পায়েস খাবি। এর পর আর কোনো কথা নেই। বাধ্য ছেলের মত পিসেমশাই খেয়ে নিচ্ছেন।

    সেদিন রাতে পিসে মশাই গ্রাম দেখতে বেরিয়েছেন। দুয়ার এটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া। কেবলই শুনি রাতের কড়া নাড়া। পিসে মশাই বলছেন, এ বাড়ির নাম মণ্ডল বাড়ি। তখন মণ্ডল বাড়ির দরজা খুলে যাচ্ছে। ফেলা মণ্ডল দরজা খুলে বেরিয়ে আসছেন। বলছেন, ও গণেশ, কবে আইলা। বইসা যাও।

    ঘরামি বাড়ির সন্তোষ ঘরামী পিসেমশাইয়ের ঘড়িটা চোখের সামনে ধরে দেখছেন। দেখতে পাচ্ছেন ঘড়ির মধ্যে জুনি জ্বলে। টিকটিকির মত ঠিক ঠিক শব্দ করে। শুনে বলছেন, গণেশ তোমার কী মনে আছে—আন্ধারমানিক মাছ ধরতে গিয়া এই রকম শব্দ শুনছিলাম বাঁশবাগানে।

    গণেশের সব মনে আছে। বাঁশ বাগান পেরিয়ে আমতলার হালোট-খোলায় তাদের পা আটকে গিয়েছিল প্যাক-কাদায়, ছিঁড়ে গিয়েছিল বাটা কোম্পানির স্যান্ডেল। সেই কান্নাটাও মনে আছে। এখন মনে পড়ছে।

    একটি পুরনো বাড়ির বাইরে একটি গাছ দেখিয়ে পিসেমশাই বললেন, এটা আমলকী গাছ। তারপর তিনি সেই গাছতলা থেকে একটু জোরে হাঁক দিলেন, কার্ত্তিক জাইগা আছিস? কার্ত্তিক জানালা খুলে মুখ বাড়িয়ে বললেন, বাইরে যাইতে পারমু না। স্টোভে গা পুইড়া গেছে। পিসে মশাই এটা জানেন। জানেন বলেই এই রাতে কার্ত্তিকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। কার্ত্তিকের পাশে বসে পোড়া ক্ষতের যন্ত্রণা অনুভব করছেন। ঝিঁঝিঁর শব্দ হচ্ছে। রাত্রি বাড়ছে। শিশির ঝরছে। খালে জল জোয়ার আসছে।। আজ পিসে মশাই আর কোথাও যাবেন না। কার্ত্তিকের পাশে ঘুমিয়ে পড়বেন।
    ভোর হলে কোল-ডরা পার হয়ে জুজখোলা যাবেন। সেখানে তার মামাবাড়ি। কার্ত্তিকের জন্য তেঁতুল আনতে হবে। তেঁতুল পোড়া দিলে কার্ত্তিকের ঘা শুকিয়ে যাবে। কোনো ক্ষতই চিরস্থায়ী হয় না।
    কার্ত্তিকের কোনো ভয় নাই। ভাই গণেশ এসেছে। বহুদিন পরে কার্ত্তিক নির্ভার হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।

    সিকদার বাড়ির পিছনে একটা একটা পুকুর আছে। সেখানে নাইতে যেতে হবে আমাকে। এঁদো পুকুর। তার পাড় জুড়ে গাছপালা। রোদ পড়ে না। ঘাটে খেজুর গাছ ফেলা আছে। খেজুর গাছের খাঁজে সাবধানে পা রেখে নামতে হবে। গাছপালার ফাঁক ফোঁকর দিয়ে ধানের মাঠ দেখা যায়। যখন জলে নামব সে সময়ে পিসে মশায় এসেছেন। সরিষার তেলের বোতল এগিয়ে দিলেন। বললেন, পুবপাড়া ঘুরে এলাম। বিকেলে উত্তরপাড়া যাব।

    পুকুরে তিনি আমার আগেই নামলেন। এই পুকুরে তিনি সাঁতার শিখেছিলেন। সে সময়ে তিনি ছিলেন ছোট। আর পুকুরটি ছিল সরোবরের মত বড়। আজ তিনি নিজেই বড় হয়ে গেছেন। তবু তিনি সেই ছোট হয়ে সাঁতার দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলছেন, বাবা, কোনো ছোটই চিরকাল ছোট থাকে না। কালক্রমে তারাও বড় হয়ে যায়। ছোটরা বড় হয়ে আগের বড়কে অতিক্রম করে। আজ যা ছোট—কাল তা বড়। কাল যা বড়--পরশু তা ছোট। আমাদের ছোট-বড়োর ধারণাটা একটা বিভ্রম মাত্র। তারপর তিনি জলে নেমে জলের মত হয়ে যান। জল থেকে পিসে মশাইকে আলাদা করা যায় না। তিনিও জলের সমান জল। এই জলই সত্য। জল থেকেই তিনি জলের মত করে বলে যান, এই দেহ বা আকার কিছুই নয়। প্রাণই আসল। প্রাণের লক্ষণ প্রাণের সঙ্গে মেলা।

    এর মধ্যে নমশুদ্রদের জৈষ্ঠ্য-গোণ এসে গেছে। এটাও আমাকে দেখাবেন তিনি। জমি থেকে খালে নেমে পড়েছে নানা আকারের কাঁকড়া। জলের ঘূর্ণিতে ঘুরে ঘুরে ভেসে চলেছে নদীর দিকে। নদী থেকে সাগরে যাবে। তারপর জলে মিশে যাবে। অমাবতীর পরে সাজানো হবে বীজখোলা। শ্রাবণের ধারার মধ্যে লাগানো হবে চারা-শিশু। ভাদ্রে তির তির করে বাড়বে গাছগুলো। আশ্বিনের আগে পোয়াতি হবে। মাথা ছাড়িয়ে যাবে ধান গাছগুলো। আমার পিসেমশাই চেয়ে আছেন--এবার অঘ্রাণের শেষে বৌয়ারী ধানের চাল দিয়ে খাওন হবে। সঙ্গে থাকবে রূপেশ্বর ধানের খই। আর হুগলি ধানের মুড়ি। পায়েস রান্না হবে সাক্করকোরা চাল দিয়ে। জাল দিয়ে ধারা হবে শোল মাছ। দীঘিরজান থেকে আসবে কইমাছ। এতে পিসে মশাইয়ের মন সরে না। বিড় বিড় করে বলেন-- কোরাল মাছ ছাড়া এই খাওন হয় না।

    নামাজপুরের মানিক মৃধা বিকেলের মধ্যেই মাছগুলো কেটে রেখেছে। ছিটিয়ে দিয়েছে হলুদের গুড়ো। রাত্রী দ্বিপ্রহরে দামোদরের খাল দিয়ে এই মাছ যাবে বলেশ্বরে। কদমতলার ঠোঁটা পার হয়ে সিকদারমল্লিক। ডানে খেজুরতলা। এর আগে শেখমাটিয়া ঢোকার মুখে বলেশ্বর সোঁতা হয়ে গেছে। সেখানে নদী পাওয়া যায় না। মাঠের সঙ্গে মিশে গেছে। এই সোতা-মুখে বেপারীবাড়ির হারাধন আর পেরুমল অপেক্ষা করবে। তারা মাছের ঝাঁকা কাঁধে নিয়ে যাবে। সঙ্গে থাকবে বলী-বাবলার ভাগ্নে। মাখন তালোই-ও যাবেন সময় পেলে।

    এইখানে এসে ধন্দে পড়ে যাই—পিসেমশাই কে? তিনি কি ধনিক শ্রেণীর প্রতিনিধি? তিনি এই গ্রাম শোষণ করেই বড় হয়েছেন? এই খাওনের আয়োজন কী সেই বড়ত্ব ফলানোর ক্রিয়া-কাণ্ড? তিনি কি এই আয়োজন দিয়ে বলতে চাচ্ছেন—তার করুণায় সবার কপালে কোরাল মাছ জোটে? সবাইকে বলতে হবে-- তিনিই শ্রেষ্ঠ? অথচ আমরা কে না জানি-- এই শ্রেষ্ঠত্বের ভেতরেই থাকে ভেদের কররেখা। তাকে এড়ানো কঠিন।

    মন খারাপ করে বেলা করে যাই শেখমাটিয়ায়। পথে পথে লোক যাচ্ছে। কারো হাতে দুএকটা আনাজ। মন্তেশ্বর ধানের সের খানেক চাল। এক ছড়া পাকা কলা। কেউ খালি হাতে আসে না।

    বিকেল পড়ে আসার আগেই সিকদার বাড়ির চওড়া উঠোনে সারি সারি পাত পড়েছে। খড় পেতে বসেছে সবাই। এর মধ্যে পাতা ধোয়ার জল এসেছে। এসেছে গরম ভাত। এক পাশে একটু নুন। দুখানি বেগুন ভাজি। দু-প্রকার ডাল। একটু নিরামিষের ঘ্যাট। মনোহর নামে কে একজন আলুর তরকারির সঙ্গে পাতে দিচ্ছে শৈলমাছ। কারো কারো পাতে কৈমাছ। সবশেষে এসেছে কোরাল মাছের খণ্ড। মাছের খণ্ড দেখে তারা মুগ্ধ। হাত দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে দেখছে। ভেঙে মুখে দিয়েছে। বুঝতে পারছে এই মাছটি খাওয়ার জন্য এ বাড়ির গণেশ এই দিনটি বেছে রাখে। সবাইকে নিয়ে খেতে বসে।

    এই মানুষের মধ্যে গণেশ ওরফে পিসেমশাইকে দেখা যায় না। কাউকে বললে দেখিয়ে দিচ্ছে—ওইখানে কোনো সারির মধ্যে গণেশ বসেছেন।
    --কোনখানে?
    আমার মেয়েরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তারা আমার ছোট ছোট মেয়েদের বলে, দেখতে পাইতেছো না—ওই যে আমাগো গনেশ, হাপুশ-হুপুশ কইরা পায়েস খাচ্ছে।
    বড় মেয়েটি শুধায়, কোনখানে?
    আরেকজন দেখিয়ে দেন আরেকটি সারি। সারির পরে সারি। তারপর সারি।
    দেখে শুনে বড় মেয়েটা বলছে, দাদু কোথায়? এতো সবাই মানুষ।

    মানুষ শব্দটি শুনে আমার ছোটো মেয়েটি মাথা হেলিয়ে বলছে, মানুত।
  • a x | 109.45.102.131 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ২১:৩১574888
  • কি সুন্দর!
  • Blank | 69.93.254.194 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ২১:৪৩574889
  • খুব ভালো লাগলো।
  • SS | 109.120.125.223 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ২১:৪৮574890
  • বাহ!
  • sosen | 126.203.211.112 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ২১:৪৯574891
  • তাপ্পর?
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ২৩:২৯574892
  • এই লেখাটার দ্বিতীয় লাইনে --'তমাল গাছ হাত-পা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে'-- হবে।
  • I | 24.99.152.118 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ০০:২৯574893
  • আহ্‌, কেন যে বরিশালে জন্মালাম না !
  • hu | 34.13.11.220 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ০০:৩১574894
  • মায়াময়!
  • pharida | 192.68.198.20 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ০০:৩৯574895
  • আহা।
  • | 60.82.180.165 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ০০:৪৪574882
  • কি ভালো!
  • pi | 127.194.4.76 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ০০:৪৫574883
  • কুলদাদার লেখা পড়ে কখনোই কিছু বলতে পারিনা।
  • dd | 132.167.2.174 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ০৮:৫১574884
  • আহা। আমি বাক্যিহারা।
  • h | 127.194.233.182 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ০৯:৩৬574885
  • অসাধারণ। কুলদা রায় এর বই ছাপা হলে আমি নিজেই ৫০ কপি কিনবো, তার পরে লোক কে উপহার দেব।
  • kk | 117.3.243.18 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১০:০১574886
  • বড় ভালো লাগলো।
  • | 127.194.81.32 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১০:৪৩574887
  • খুব খুব ভালো লাগলো কুলদা বাবু। ভালো থাকবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন