এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মৃত্যু

    r
    অন্যান্য | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ | ১৩২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • bok | 98.201.111.24 | ১১ মে ২০১১ ২৩:২৪563483
  • ওটা সেকেন্ড লাস্ট কথা | লাস্ট লাইনে একটা বস্তুবাদী নিশ্চয়তা ছিল |
    'আমি জানতাম ওরা (রাশিয়া) পারবে |'
    (এমনটাই তো শুনে এসেছি)
  • saikat | 180.215.18.32 | ১১ মে ২০১১ ২৩:৫৩563484
  • স্বীকার করে নেওয়া ভাল, আমি একজন ভীতু লোক। সব সময় ভয় পেয়েই আছি, আর এর মধ্যে মৃত্যুর কথা ভাবলে, মানে ভয়টা বিশেষ বৃদ্ধি পায়। ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করুন, মরে যাব বলে দু:খ হয় না, প্রবল ভয় হয়। মানে একেবারে ফিজিক্যাল লেভেল-এ, শরীরে কাঁপুনি ধরে আর কী ! মানে ঐ বিপুল নাস্তি, অনস্তিত্ব, সহ্য করতে প্রভূত কষ্ট হয়। এখন কথা হোল, এই ভয়টাকে জয় করতে পারলেই "সম্মুখে শান্তি" ইত্যাদি, কিন্তু সে আর হয়ে উঠছে না। আমার ধারণা, যুধিষ্ঠিরের কথামতো মানুষের চিরজীবি হওয়ার বাসনা, আর কিছুই নয়, এই ভয়টার খপ্পরে যাতে না পড়তে হয়, সেই গভীর ইচ্ছা।
  • I | 14.99.1.216 | ১২ মে ২০১১ ০০:০৬563485
  • আমারো আগে ঐ রোগ আছিল। মাথা ঘুরে যেত রীতিমত। এখনো আছে , তবে প্রকোপ এট্টু কমেছে।
    তবে ওষুধ অভ্যেস করা জরুরী। সাবালক হওয়ার চেষ্টা করা ইত্যাদি। যেমং মনে করুন হটাত দেখলেন কোনো ঈশ্বর নাই। ছোটবেলাতেই আপ্নের ঠাকুর-দ্যাবতা ভোগে গেছে, বড় হয়ে বাল্লিন পাঁচিল। মার্ক্ষ ঠাকুর মরে গ্যাসেন, ভূত পর্যন্ত হন নি। সে ক্ষী অনাছিষ্টি অন্ধোকার। তারি মধ্যে আপ্নেরে সাঁতরাতে হবে। কী কর্বেন, জন্মে গেছেন, মর্তে তো পার্বেন না। আর মরে গ্যালে তো ল্যাঠা চুকেই গেল, তালে মনে হয় আর গুচ পড়তে পাবেন না। পেলে তো জমে ক্ষীর।
    খুবসে মানুষের ওপর তেতো হয়ে যান। কাউরে বিশ্বাস কর্বেন না। সভ্যতারেও না। তার্পর এই পাপী লোকেদের ওপর মনুষ্যত্ব প্র্যাক্টিস করেন।
    ক্ষি সহজ হোমটাস্কো !
    (আমার মাথার পেছনে আলো দেখেসেন আশা করি। সাঁইয়ের দৌড়ে আমি দেবেশবাবুর চে কম কিসে !)
  • kallol | 115.184.105.187 | ১২ মে ২০১১ ০২:২৩563486
  • মৃত্যুকে তুমি কি ভাবে নিচ্ছ। মৃত্যু এক অর্থে অতৃপ্তি। সারা জনম হাঁটলে পরেও / দেখবি পথ রয়েছে বাকি। আবার এভাবেও দেখা যেতে পারে, একটা গোটা জীবন পার করে দিলে হে, আনন্দ করো। এর পরে কি? তা জানার প্রয়োজন আছে কি? কে কবে আগামীকালের কথা ভেবে ঘুমতে গেছে।
  • Du | 216.110.92.7 | ১২ মে ২০১১ ০২:৫৮563487
  • একটা ব্যক্তিগত, আমি যখন সদ্য মা হয়েছি , সেইসময় আমার মেজমামা (যিনি প্রকৃতার্থেই ডাবল মা ছিলেন আমার কাছে), জানা গেল, একবার হেরে যাবার পর রুপান্তরিত হয়ে তাঁর শরীরে আবার ফিরে এসেছে কোন এক সার্কোমা। সেই সময় অতি ছোট শিশু নিয়ে আমার উপায় ছিলো না অনেকটা সময় তাঁর কাছে কাটানোর। ছোট্ট যে শিশু, নিতান্ত অসহায়, তার যে কি টান আমি তখন বুঝছি সদ্যই। মা হয়ে উঠতে উঠতে অমার মনে একটা অদ্ভুত চিন্তা আসত। মনে হত এই ছোট্ট মানুষটাকে আমার এত অসহায় মনে হচ্ছে, আমি যেমন ওকে ছেড়ে একটু যেতেই পারছি না চিন্তায়, ও ও তো একদিন বড়ো হয়ে বুড়ো হয়ে যাবে আমার মামারই মত, অসুস্থ একলা শুয়ে থাকবে হয়তো, তখন আমি কি করে দুরে থাকবো? মনে হত আমি যেন আসবো তখনো ওর শিয়রের পাশে বসবো চুপিচুপি। মনে হত, দিম্মাও যেন চুপচাপ এসে বসে আসে।
    তাই ঈশ্বর না থাকলেও কি, যাবার দিনে মৃত্যু আসবে আসার দিনের সব প্রিয়মুখকে সঙ্গে নিয়েই। তারপর ? আর মাথা থাকলে তবে তো মাথাব্যথা :)

  • til | 210.193.178.129 | ১২ মে ২০১১ ০৭:২৮563488
  • কল্লোল বেশ বলেছেন কিন্তু; মৃত্যু একধরণের অতৃপ্তি। সত্যিই তো, এভাবে ভেবে দেখিনি তবে আন্দাজ করতাম! মৃত্যুকে আমার ভয় নেই আর (ব্যথ যন্ত্রণাকে , ইয়েস) তবে ঐ যে কল্লোল গুছিয়ে বল্লেছেন- ভাবে্‌তও কেমন লাগে যে লক্ষ কোটি অর্বূদ বছরেও আর ফেরৎ আসবো না, এতাই কেমন যেন লাগে, মাথার ওপর দিয়ে ব্রিয়ে যায়। সবই শেষ কিন্তু পৃথিবী তো চলবেই! শিয়ালদা ষ্টেশন থেকে ছটা ছয়ের লোকাল ছে্‌ড়ই যাবে।

    ধ্যুস, এর চেয়ে এক গ্লাস কিছুমিছু খাওয়া যাক!
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১২ মে ২০১১ ১০:৪৪563489
  • মৃত্যুর আগে সবথেকে স্মরণীয় কথা বলেছেন মহাত্মা। উনি নাকি নাথুরাম গডসে কে বলতে চেয়েছিলেন 'হারামজাদা'। কিন্তু অসাধারন ক®¾ট্রালে ( নিজের সরা জীবনের কথা ভেবে) 'হা-রাম' অবধি বলেই মারা গেলেন।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১২ মে ২০১১ ১১:৪৪563490
  • তিলক আর ইন্দোকে
    রাতের আকাশ দেখতে পাও? রাতের একঢালা অন্ধকারে আকাশ দ্যাখো কি ? নির্মেঘ আকাশ? আজি যত তারা তব আকাশে।
    ঐ সব নক্ষত্ররাজির আলো তোমার কাছে এসে পৌঁছচ্ছে। তোমার চোখ ছুঁয়ে যাচ্ছে এই বসুন্ধরার জন্মেরও বহু বহু কাল পিছনের আলো। যখন হয়তো আমাদের আজকের চারাচর জুড়ে ঘটে যাচ্ছে বোবা বিস্ফোরন। ভাবো ভাবো ভাবতে থাকো। তুমি ছিলে না, তুমি থাকবে না। তার মাঝে কতটুকু সময়? ওই সব তারাদের চোখের আধেক পলক? ওই সব নক্ষত্রের আধখানা শ্বাস? তাও কি? একদিন তো ওরাও ছিলো না..................
    দৃষ্টির অন্যপাড়ে অদেখায় চোখ মুদে আসে। চেতন, অবচেতন, অতিচেতন অস্তিত্বহীন হয়ে যায়। জন্ম বা মৃত্যুও অর্থহীন ও মূক মনে হয়।
    এরকম কোথাও পৌঁছনো যায় না, কারন পৌঁছানো মানে সসীম। সুফীরা, আমাদের দেশের বাউল-ফকিরেরা হয়তো তারেই কন জ্যান্তে-মরা, জিন্দা-মুর্দা। যেখানে শুধু ডুবে থাকা যায়, শুধুই ডুবে থাকা, আর কিচ্ছুটি নয়।

  • til | 114.198.34.82 | ১২ মে ২০১১ ১৫:০৬563491
  • কল্লোল, আমারও অমনি মনে হয় মাঝে মাঝে। শহরে আলোর দূষণ এত বেশী যে সাদা মাটা আকাশ দেখাই যায় না। গ্রামের বাড়ীতে অন্ধকার রাতে ছাদে শুয়ে আকাশের দিকে তাকালে ঐ অনুভূতি হয়।
    অষ্ট্রেলিয়ার অ্যাবোরিজিন্যালরা বড্ড বেশী প্রকৃতির সঙ্গে আত্মীয়তা বোধ করে। আমি একটা ছবি কিনেছি সম্প্রতি, আহামরি দামী নয় যদি ও। ডট পেন্টিং, রাতের আকাশটাকে বিমূর্ত ভাবে ধরা মাঝখানে সাদার্ন ক্রশ। ইমেল করে দিলাম, পিকাসায় তোলার ব্যবস্থা নেই আমার।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১২ মে ২০১১ ১৫:৩৯563493
  • ওটা এবং আরও দুটো আগেই আমায় মেল করেছো। খুব সুন্দর।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১২ মে ২০১১ ১৬:২১563494
  • পঞ্চাশ বছর পর এই টইয়ের কথা ভাবুন । বর্তমান লেখকেরা সবাই মোটামুটি ততদিনে চন্দ্রবিন্দুপ্রাপ্ত হয়েছেন । তাঁদের জামা লুঙ্গি ঠাট্টা খিস্তি মহাশূন্যে বিলীন । নতুন লোকেরা নামগুলোকে স্রেফ নাম হিসেবেই দেখে । ব্রেন কম্পু ইন্টারফেসিংযে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি । তখনকার মানুষেরা ভাবা মাত্র লেখা হয়ে যায় । কিন্তু এই টইয়ের ক্ষেত্রে সেটা ঠিক কাজ করছে না । মৃত্যু বিষয়ে ভাবনাকে শব্দ দিয়ে প্রকাশ করতে ভাষা আটকে যাচ্ছে । জিজ্ঞাসা আর বিস্ময়চিহ্ন ছাড়া আর কিছু আসছে না ।
  • Abhyu | 97.81.67.247 | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ০৩:১৫563495
  • এই টইটা কি মরে গেছে?
  • abastab | 61.95.189.252 | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ০৭:৪১563496
  • না মরে গিয়েছিল কিন্তু এই পুনর্জন্ম লাভ করল।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন