এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 125.18.104.1 | ১১ আগস্ট ২০০৯ ১৩:০৮561419
  • দাঁতখিঁচুনি এক্সপেক্ট করেছিলাম। কিন্তু এ তো আমার পাঠকসত্তার মন্তব্য। লেখকসত্তা নিশ্চুপ।
  • Guruchandali | 173.26.17.106 | ১৭ আগস্ট ২০০৯ ০৯:৫৪561420
  • -----------------------------------
    নতুন বুলবুলভাজা: সোয়াইন ফ্লুয়ের এপিসেন্টার থেকে

    টুকরো খাবার: ধূম
    -----------------------------------
  • dipu | 207.179.11.216 | ১৭ আগস্ট ২০০৯ ১০:০৬561421
  • "সাসপেক্টেড সোয়াইন হো' টা ব্যাপক :-P
  • dipu | 207.179.11.216 | ১৭ আগস্ট ২০০৯ ১০:১৩561422
  • ধূম হেব্বি হয়েছে। আরো এমন চাই।

    ষোলসষয়ক্ষ কি?
  • intellidiot | 220.225.245.130 | ১৭ আগস্ট ২০০৯ ১২:১৬561423
  • দুটোই দারুন হয়েছে :-)
  • Guruchandali | 173.26.17.106 | ২৪ আগস্ট ২০০৯ ১০:১৪561424
  • --------------------------
    এ সপ্তাহের বুলবুলভাজা আজ আপলোড করা গেলনা।
    --------------------------
  • Guruchandali | 173.26.17.106 | ২৫ আগস্ট ২০০৯ ০৮:৪৬561425
  • ------------------------------------
    নতুন বুলবুলভাজা: চিহ্নিতকরণ অথবা চিত্রগুপ্ত প্রকল্প: অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে
    ------------------------------------
  • h | 203.99.212.224 | ২৫ আগস্ট ২০০৯ ১৮:০৯561426
  • সুলিখিত এই প্রবন্ধ সম্পর্কে আমার কয়েকটি কথা মনে হয়েছে।

    প্রথমত: সৌরভ ভট্টাচার্য ধরে নিচ্ছেন, চিত্রগুপ্তের প্রস্তাবিত খাতার সঙ্গে উন্নয়নের এবং রাষ্ট্রীয় পরিষেবার এবং সম্পর্ক আছে। এটা কতটা যুক্তিসঙ্গত:? বিশেষত: একটা সরকারী কম্পিউটারে নাম উঠলে বা একটা সিটিজেন কার্ড থাকলে একটা পানওয়ালা পুঁজি বা আমানতের পরিমাণ নিরপেক্ষে বাজারের চোখে বেশি ভরসাযোগ্য হয়ে উঠবে, এই আশাকে আমার সরলীকরণ বলে মনে হচ্ছে। পানওয়ালাদের যাঁদের নির্বাচনী পরিচয়পত্র আছে তাঁদের পক্ষে ধার সুলভ হওয়ার কথা। একটা নথীকরণ ব্যবস্থাকে আমানত বা ধারের সুরক্ষাপত্র হয়ে উঠতে গেলে আনুষঙ্গিক আরো আইনি ব্যবস্থা দরকার।
    দ্বিতীয়ত: আপাতত: যত ধরণের নথীকরণের ব্যবস্থা রয়েছে, তাদের মধ্যে কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই, এটা একটা প্রাযুক্তিক সমস্যা। একটা নতুন নথীকরণের ব্যবস্থা আরেকটি আলাদা তথ্যভান্ডার তৈরী করতে পারে কিন্তু সম্পর্কহীনতার সমস্যা টা রয়েই যাবে।
    তৃতীয়ত: আদম সুমারী র পদ্ধতি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে, আমাদের দেশে অনেক ধরণের রাজনৈতিক বিতর্কের একটা ইতিহাস আছে। এই নতুন প্রস্তাবটির বিশদে কী এমন কিছু রয়েছে, যাতে ঐ বিতর্কগুলির পুনরাবৃত্তি যাতে আটকানো যায়? আমার জানা নেই, খবর পাইনি। আছে কিছু?
    অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে নতুন রাজস্ব সংগ্রহের একটা নতুন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন লেখক। কিন্তু সমান্তরাল কালো অর্থব্যবস্থা টিকে দুর্বল করার অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাব কি সেটা আপাতত: পরিষ্কার নয়। এমন একটা সময়ে এই আলোচনা টা হচ্ছে যখন ব্যবসা বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়ার নামে আজব ব্যবস্‌স্‌থা কিছু চলছে, অথচ, রাজস্ব সংগ্রহের ব্যবস্থার বা আইনের বড় কোন পরিবর্তনের তেমন কোন আশা দেখা যাচ্ছেনা। অতএব, আমার এই সম্ভাবনাটাকে নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

    ইত্যাদি। প্রবন্ধ লেখকের কাছে প্রশ্ন গুলি পৌঁছে দিলে ভালো হয়।
  • h | 203.99.212.224 | ২৫ আগস্ট ২০০৯ ১৮:১৫561427
  • অন্যান্য পাঠকেরাও এই বিষয়ে যা মনে হচ্ছে কিছু লিখলে ভালো হয়।
  • shyamal | 24.117.233.39 | ২৫ আগস্ট ২০০৯ ১৯:৩০561429
  • হনুর সাথে একমত যে ব্যাঙ্ক থেকে ধার পেতে আই ডি কার্ড বিশেষ কাজে লাগবেনা। অনেক ক্ষেত্রে যদি ব্যাঙ্ক দেখে যে ঋণগ্রহীতা আগেও ধার নিয়েছে ও ঠিক সময়ে শোধ দিয়েছে, তবে তার একটা ভাল ক্রেডিট রেকর্ড হয় ও তার বেসিসে ব্যাঙ্ক ধার দিতে পারে। কিন্তু প্রথমবার ধার পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা খাটেনা।
    ঋণ পাওয়া যে এত শক্ত আর অনেক সময়ে ব্যাঙ্করা গুন্ডা পাঠিয়ে আদায় করে তার মূল কারণ জুডিশিয়ারির ব্যার্থতা। সকলেই জানে একবার মামলা করলে তা নিষ্পত্তি হতে কতদিন কে জানে। আমার মতে যে কোন কেস নিষ্পত্তি হতে ছমাসের বেশী লাগা উচিৎ নয়। যদি লাগে তবে সেই কেসের বিচারকের পেনাল্টি হওয়া দরকার। যেমন প্রথমবারে একমাসের মাইনে কাটা, দ্বিতীয় বারে তিনমাসের মাইনে, তৃতীয়বারে বরখাস্ত।
    আই ডি কার্ডের ফলে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া শক্ত হবে। আরো কিছু কিছু ভাল হওয়ার সম্ভাবনা। যেমন BPL নির্ধারণ আরো সঠিক হবে। তবে আমার মনে হয়, BPL নির্ধারণের কাজ কোন নামী বেসরকারি অডিট/সার্ভে কোম্পানীকে দেওয়া উচিৎ, যেমন price Water house বা NCAER। তাতে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের পার্টির প্রভাব বাদ দেওয়া যাবে।
    এছাড়া বলা হচ্ছে যে প্রতিটি মানুষের, BPL সহ , ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি BPL মানুষের অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা জমা করতে পারে। তাতে BPL মানুষকে টাকা পাওয়ার জন্য রাজ্য বা পঞ্চায়েৎ বা বিডিওকে তেল/ঘুষ/ভোট দিতে হবেনা।

    তবে হনু যে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের তথ্য কোরিলেট করার সাজেশন দিয়েছে, সেটা কিন্তু আমেরিকায় বেআইনী। এক দপ্তর অন্য দপ্তরের ডেটা ব্যবহার করে কাউকে সাজা দিতে পারেনা কারণ সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে।
  • h | 61.95.144.10 | ২৫ আগস্ট ২০০৯ ২২:৪৯561431
  • শ্যামলদার সঙ্গে আমার এই যে একটু হলেও মএত্র মিল হল, তাতে বাম-ডান যে স্কিজম এর কথা দিয়ে সৌরভ শুরু করেছিলেন, সেটা খানিকটা ধাক্কা খেলো ;-) তথ্যকে, বিশেষে করে ইন্টিগ্রেটেড তথ্যকে মূলত: 'সাজা দেওয়ার' জন্য ব্যবহার করা হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়, আমি যথেষ্ট আমেরিকান না হওয়ার কারণে সেটা ঐ পোস্ট করার সময়ে ভাবছিলাম না ;-)

    কেস হল আমি যেটা বলতে চাইছিলাম, সরকারী সোশাল সার্ভিসের জন্য যা পরিচয় পত্র ইতিমধ্যেই রয়েছে, সেগুলো যথেষ্ট, রেশন কার্ড, বিপিএল কার্ড, ভোটার্স আইডেনিটি কার্ড। সরকারী ন্যুনতম স্বাস্থ্য,শিক্ষা, বাসস্থান, ন্যুনতম রোজগার, স্বনির্ভর গ্রুপ এই ধরণের পরিষেবা গুলো দেওয়ার সদিচ্ছা যদি সরকারের থাকে, তাহলে যা তথ্য আছে তাই যথেষ্ট। তথ্যের কেন্দ্রায়নে খরচ হয়তো করাই যায়, কিন্তু সেই খরচ পরিষেবা খাতে খরচের থেকে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, গোটা পদ্ধতিটাই তামাশায় পরিণত হয়। এই আর কী। এছাড়া সেন্সাস ডেটা রয়েইছে, সেটাকে ব্যবহার করে স্কিম টিম তো চলেই থাকে। নতুন কী?

    আর অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে রাজস্ব আদায়ের ব্যাপারটা র সংগে এমনিতে ব্যক্তি নথীকরণের উপরে কতটা নির্ভর করে আমার জানা নেই। মানে আমাদের বাড়ির কাজের লোক কে আমরা পিএফ দিতে বাধ্য হব, শুধু একটা কার্ড থাকলে? তাইলে তো নাগরিক হিসেবে রেশন কার্ড থাকলেও দিতে বাধ্য হতাম। এটাতে বিশেষ কী যাদু আচ্ছে জানতে চাইছি। হনেস্টলি, কূট প্রশ্ন নয়।

    ডেটা প্রাইভেসী র গল্পটা একটা টেকনিকাল ও এথিকাল গল্প। এটা নিয়ে আইনের ইউনিভার্সালিটি কিসু নাই, বা বলা ভালো এই আইনে, অন্তত যতটুকু খেয়াল করেছি, পূর্ণ র থেকে শুন্যস্থান প্রভূত পরিমাণে বেশি। আর সব চেয়ে বড় কথা প্রাইভেসী শব্দটার অর্থ এই লেট ক্যাপিটালিজমের আমলে আমূল বদলে গেছে, এই নিয়ে বিতর্কের নতুন ফ্রেমওয়ার্কের প্রস্তাবনা না থাকলে এই নিয়ে তর্ক করা বৃথা।
  • arjo | 168.26.215.13 | ২৫ আগস্ট ২০০৯ ২৩:১৪561432
  • রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি ডিজিটাইজড করতে মেলা অসুবিধা। এটা একটা ডিজিটাইজেশন প্রোজেক্ট। মূলত অন্যান্য টেবিলে ফরেন কি ফেলতে সুবিধা হবে। পৃথিবীর সমস্ত ডেটাবেস এই ভাবে তৈরী হয়। এর পরে কি হবে সে ঈশ্বর আর সরকার জানেন (যেটা সৌরভ বলেছে), কিন্তু না করলে ডিজিটাল দুনিয়ায় ভারতের মতন বড় দেশে কোথাও রেশন কার্ড, কোথাও ভোটার আইডি এই দিয়ে প্রাইমারি কি - ফরেন কি রিলেশন এস্ট্যাবলিস করা বেশ চাপের। এমনিতেই রেশন কার্ড, ভোটার আইডি ইত্যাদি বেশ ব্রোকেন সিস্টেম। আমার মনে হয় (কোনো ডেটা নেই) সেই ব্রোকেন সিস্টেম কে ঠিক করার থেকে নতুন সিস্টেম তৈরী করার কস্ট অনেক কম। এবারে ভারতের সনাতন ঐতিহ্য মেনে এটাও আর একটা ভুলভাল সিস্টেমে পরিণত হবে কিনা সময়ই বলবে। কোনো এক দশকে ডিজিটাল ভারতের প্রথম পদক্ষেপ তো এটাই হওয়া উচিত। মানে একটু টেকনিকালি দেখতে গেলে। পলিসি লেভেলে আরও অনেক কিছু হওয়া উচিত কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই প্রোজেক্টটা হওয়া উচিত নয়।
  • h | 61.95.144.10 | ২৫ আগস্ট ২০০৯ ২৩:৩১561433
  • বুইলাম, মেনলি হল গিয়ে অনেক ইনকন্সিস্টেন্ট পুরোনো ডেটাবেস ফেলে দিয়ে একটা নতুন ডেটাবেস বানানো। আইটি পোজেক্ট। সেইজন্য নিলেকানি কে হয়তো নিয়েচে। কিন্তু এটা কে জাস্টিফাই করার জন্য পোবোন্ধের কি দরকার। দ্বিতীয়ত: তুই ভোটার্স আইডেন্টিটি কার্ড কে ইনকন্সিস্টেন্ট বল্লি, সেটা কন্টি কারেকশনের কাজ তো চলছে। ভোটার্স আইডেন্টিটি কার্ডের সঙ্গে একজিস্টিং প্যান কার্ড বা রেশন কার্ডের বা ইউটিলিটি বিলের ম্যাপিং একজ্যাক্টলি কেন করা যাবে না একটু বলবি? মানে টেকনিকালি ? ইনকন্সিস্টেন্সি কোন ডেটা বেসে নাই? আমার কী মনে হয় বলবো? ভারতের মধ্যে আইটি কোম্পানীর বাজার ভালো করার এটা একটা পদ্ধতি। তো সে তো ভালো কথা, তার জন্য এত জাস্টিফিকেশনের কী হল? রেশন কার্ড বা ভোটার্স আইডেন্টিটি কার্ড ভুলে ভরা বলছিশ, কিন্তু পাব্লিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম যে উঠে যাচ্ছে, সেটা কী তথ্যের গলতার জন্য, না কি এফ সি আই গুদোম গুলো থেকে ঠিক করে কিছু না ছাড়ার জন্য না হোর্ডিং এর উপরে নিয়ন্ত্রন না থাকার জন্য, না প্রাইস ক®¾ট্রালের মেকানিজম টায় ঘাপলার জন্য? ভোটার্স আইডেন্টিটি কার্ডে বেশি ভুল আছে বলিসনি, যারাই যেখানে ভোটে জিতবে তারাই খুব রেগে যাবে;-)
    সেনসাস ডেটার ব্যবহার, প্রাইভেসী ইত্যাদি নিয়ে নতুন বা পুরোনো বিতর্ক গুলোর কথা না হয় সাসপেন রাখলাম। অল ইন অনর অফ দ্য ফরেন কি, নুন খেয়েছি অনেক, নমহারামী করতে পারবো না ;-)
  • arjo | 168.26.215.13 | ২৫ আগস্ট ২০০৯ ২৩:৫১561434
  • ফরেন কি র কথা বলতেই হানুদা কেমন জল হয়ে গেল। জানতাম। :))

    এরকম একটা প্রোজেক্টের বহুমাত্রিক ইমপ্লিকেশন আছে। সৌরভের লেখায় তার একটা দিক ধরা পড়েছে। চিত্রগুপ্তের খাতায় কারুর টিকি বাঁধা থাকলে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে সুবিধা হবে। মানে ধর, আমি স্টেট ব্যাঙ্কে গেলাম, আমার আইডি দিলাম। ব্যাঙ্কের ক্লার্ক আমার আইডি একটা সিস্টেমে ইনপুট করে দেখে নিলে আমি আগে কোথাও টাকা মেরেছি কিনা, জালিয়াতি করেছি কিনা। আগে টাকা নিয়ে যদি শোধ দিয়ে থাকি তাহলে তো কথাই নেই। এইরকম কিছু আর কি। এখন তো ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে মাল না খাওয়ালে, নেম ড্রপ না করলে টাকাই মেলে না। তখন কাউকে টাকা না দিতে হলেও যথেষ্ট কারণ দেখাতে হবে। নইলে জুজুতে ধরবে। তা সেই আইনি জুজু তৈরি হবে কিনা? এই সিস্টেম কতটা কি হবে সেই নিয়ে ভবিষ্যতে দেখা যাবে। কিন্তু না করতে পারলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারত ক্রমশ পিছিয়ে পড়বে।

    যেমন ধরা যাক আইটিতে ওডিসির জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড চেক। সোশ্যাল সিকিউরিটির মতন একটা আইডি থাকলে ক্লায়েন্টের কাছে বেশি অ্যাপিলিং না? এখন যদি কাল ব্রাজিল সেই বন্দোবস্ত করে ফেলে তাহলে তোমাকে আমাকে দুজনকেই ফরেনে বসে ফরেন কির আলোচনা করতে হবে। :)
  • lcm | 128.48.7.91 | ২৬ আগস্ট ২০০৯ ০০:১৬561435
  • ছোট পানের দোকানদার-ও ধারেই জিনিস কেনে। ছোট সাপ্লায়ার জিনিস দিয়ে যায়, ছোট্ট নোটবুকে লিখে রাখে হিসেব, এবং, ছোট ছোট ইন্সটলমেন্টে কালেক্ট করে পেমেন্ট। সব ছোট স্কেলে, পেপসি, এভারেডি ব্যাটারি থেকে ধুপকাঠি, চানাচুর...। ছোট সাপ্লায়ার-রা হল এই ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের অক্সিজেন, এদের ঠিক 'দই মারা নেপো' বোধহয় বলা যায় না।

    এই প্রজেক্টে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল -
    ১০০+ কোটি মানুষের প্রত্যেককে ইউনিকলি আইডেন্টিফাই করা হবে কি দিয়ে? ফিঙ্গার প্রিন্ট? ডি এন এ স্যাম্পেল?

    ইনফোসিস সফল আইটি কোম্পানি, নিলেকানি সফল এক্সিকিউটিভ্‌ ... এ সব তো ঠিক আছে, কিন্তু ইনি কেন নিংসন্দেহে সার্থক নির্বাচন সেটা বোঝা গেল না। অবশ্য, আমি ঠিক জানি না, নিলেকানি-র মাস স্কেলে পাবলিক ডোমেইন-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে হয়ত।

  • Arpan | 122.252.231.12 | ২৬ আগস্ট ২০০৯ ০০:১৭561436
  • না। নেই।
  • arjo | 168.26.215.13 | ২৬ আগস্ট ২০০৯ ০০:২৭561437
  • ফিঙ্গার প্রিন্ট আর ফটো। ছবি তোলা আর ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার প্রোজেক্টটা মনে হয় অন্য কেউ দেখবে। অসার্থক কেন?
  • Arpan | 122.252.231.12 | ২৬ আগস্ট ২০০৯ ০০:৪৬561438
  • এতে সব বলা আছে। বেসিকালি ইল্লিগাল ইমিগ্রান্ট রুখতে হবে। সেইটা কি এসেসেন চালু করে আমেরিকা পেরেছে?

    http://en.wikipedia.org/wiki/Multipurpose_National_Identity_Card
  • shyamal | 24.117.233.39 | ২৬ আগস্ট ২০০৯ ০০:৪৯561440
  • ফোটো থাকা অর্থহীন। নাম গুম যায়েগা, চেহরা ইয়ে বদল যায়েগা। একমাত্র রিলায়েবল হল ফিঙ্গার বা রেটিনা প্রিন্ট।

    আমি আগেও বলেছি, আবার বলছি, আজকের যুগে কোন কার্ডের কি দরকার? আইলায় বাড়ি ভেসে গেলে কার্ডের কি হবে? যে গড়িয়াহাটের ব্রীজের তলায় থাকে তার কার্ড ঠিক থাকবে তো?
    দরকার তো একটা ইউনিক আইডেন্টিফায়ারের। সে তো মানুষ সঙ্গে নিয়েই ঘুরছে। যেখানে চেক করার দরকার হবে, সেখানে কার্ড রীডারের জায়গায় আঙুল বা রেটিনার ছাপ পড়ার যন্ত্র লাগবে। সেই যন্ত্র ওটা পড়ে দূরে কোন সার্ভার ফার্মে পাঠিয়ে দেবে যেখানে ম্যাচ করে দু সেকেন্ডে জানিয়ে দেবে ঠিক লোক না জালি লোক। তখন আবার সুদুরের কোন ডেটাবেস থেকে এই লোকের রেলেভেন্ট ডেটা পড়ে নাও।
    মনে রাখতে হবে সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড আজও চলে কারণ ওটা শুরু হয়েছিল ১৯৩২ সালে যখন কম্পিউটার গজায়নি।

    আর্য যেটা বলেছে যে ক্রেডিট চেক -- সেটা নি:সন্দেহে একটা ভাল অ্যাপ্লিকেশন। আশা করি এর সঙ্গে আমরা যাকে বলি অথরাইজেশন , সেটা থাকবে। অর্থাৎ ব্যাঙ্কের কর্মী লোকটির ক্রেডিট চেক করতে অথরাইজড থাকবে কিন্তু তার স্বাস্থ্যের রেকর্ড ( প্রেশার আছে কিনা, কোলেস্টেরল লেভেল) দেখতে পাবে না।
  • h | 203.99.212.224 | ২৬ আগস্ট ২০০৯ ০৯:০৯561441
  • পরিষেবা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে, আইডেন্টিটি কোন ব্যাপার নয়। সোশাল সিকিউরিটি নাম্বার থাকা মানেই পরিষেবা পাওয়া এরকম যদি হত, তাইলে উন্নত দেশগুলিতে ডিসকন্টেন্ট থাকতো না।

    বিভিন্ন ডেটাবেসের ম্যাপিং ও মূলত: প্রাযুক্তিক সমস্যা, সেটা অতিক্রম করা সম্ভব। ডেটা কোয়ালিটি ভালো করতে গেলে অনেক ধরণের টেকনিকাল আর প্রশাসনিক ব্যবস্থা দরকার, একটা নতুন ইউনিক নাম্বার অপ্রয়োজনীয়। বায়োমেট্রিকের কথা বলছেন শ্যামলদা, তো সেই ভেরিফিকেশনের পদ্ধতির টেকনোলোজি কস্ট এই ইউনিক আইডেন্টিফায়ার প্রোজেক্টের কস্ট এর কম্পেয়ারেটিভ অ্যানালিসিস নিয়ে নির্দিষ্ট কিসু তথ্য আছে কী? আর মেন উদ্দেশ্য যদি হয়, যাকে তাকে অ-ভারতীয় সন্দেহে পার্জ করা, তাহলে বলতেই হয়, এটা বাজে প্রোজেক্ট। বোগাস বিতর্ক। এটাকে জাস্টিফাই করার কোন মানেই হয় না।
  • ddt | 203.197.115.39 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ১৮:৪৪561442
  • আমার একটা পয়েন্ট lcm বলে দিয়েছেন: ছোট দোকানীদের সাথে সাপ্লায়ারদের সাধারনত ধারের চুক্তি চলে।

    অন্য আরেকটা ব্যাপারে ধোঁয়াসা আছে। সৌরভ ধরে নিয়েছেন uid-তে ক্রেডিট হিস্ট্রি থাকবে। উইকি বলছে সিম্পল বায়োমেট্রিক ডেটা থাকবে:
    http://en.wikipedia.org/wiki/Unique_Identification_Authority_of_India

    ক্রেডিট হিস্ট্রি থাকবে কিনা স্বত:সিদ্ধ নয়। এই ব্যাপারে কেউ আলো ফেললে ভাল হয়।
    আর যদি ক্রেডিট হিস্ট্রি থাকেও, তাতে আম আদমির কীভাবে সুবিধে হল? যে গরিব তার ইতিহাসই বলে দেবে তাকে ধার দেওয়া ঝুঁকির কাজ।

    একটা যৌক্তিকতা পেলুম অবশ্যি। স্বচ্ছল লোকেরা পরস্পরের সাথে ব্যবসা বা অন্য আর্থিক বিনিময়ে সুবিধে পাবেন। কার্ডটা একটা সার্টিফিকেটের মত কাজ করবে (যদি ফিনান্সিয়াল ইনফো কার্ডে আদৌ থাকে)। কিন্তু স্বচ্ছল লোকেরা সাধারনত ট্যাক্স দিয়ে থাকেন, সেখানে প্যান কার্ড লাগে। তো প্যান কার্ডকে আরেকটু ইম্প্রুভ করে (ডেটা ঢুকিয়ে) এই উদ্দেশ্য সাধন হত না?

    শেষে, রাষ্ট্রের হাত নাগরিকের ভালমন্দে পৌঁছোন দরকার বলে মনেকরি। কিন্তু কী ধরনের রাষ্ট্র সেই প্রশ্নকে এড়িয়ে যেতে পারি কি? রাষ্ট্র তো কোনো হোমোজেনাস বস্তু নয়কো। হিটলারের nazi রাষ্ট্র আর আপনার বর্তমান ভারতীয় রাষ্ট্র নিশ্চয়ই এক বস্তু নয়।

    ডান-বাম কোশ্চেনটা বুইচচেননি, এড়ানো গেল না এ যাত্রায়।
  • shyamal | 24.117.233.39 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ১৯:৫২561443
  • কার্ডের যৌক্তিকতা অনেকই আছে। কার্ডে ক্রেডিট হিস্ট্রি থাকার তো দরকার নেই। আপনি যদি ব্যাঙ্ক হন, আপনি কার্ডের সাহায্যে ক্রেডিট হিস্ট্রি ডেটাবেসে মানুষটির ইতিহাস চেক করতে পারেন। তার জন্য দুটো জিনিষ লাগবে। মানুষটির uid যা কার্ড বা আঙুলের ছাপ কা অন্য কিছু দেবে এবং আপনার অথরাইজেশন যে আপনি ক্রেডিট হিস্ট্রি ডেটবেস অ্যাকসেস করতে পারেন।

    প্যান কার্ড সবার থাকেনা।

    এই কার্ডের ফলে গরীব লোকের প্রভুত উপকার হতে পারে যদি সরকার চায়। যেমন আগের এক পোস্টে বলেছি কিভাবে রাজ্য সরকার/পঞ্চায়েৎকে বাইপাস করে সরাসরি গরিব লোকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কেন্দ্র টাকা পাঠাতে পারবে। আর কার্ড দেখিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা সহজ হবে। আজকের মত এক অবাস্তব প্রক্রিয়া, যে অন্য কারো রেফারেন্স চাই, সেটা থাকবেনা।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১০:২৩561444
  • এর একটা ভালো অ্যাসপেক্ট আছে - হেল্‌থ সার্ভিসে। গোটা দেশে যদি NHS-এর মতন কানেক্টেড একটা সিস্টেম থাকে, তাহলে এই ধরণের আইডি দিয়ে বাড়ি থেকে দূরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া কোনো লোকের চিকিৎসার সময় তার পুরনো মেডিক্যাল রেকর্ড/হিস্ট্রি হাসপাতাল/হেল্‌থ সার্ভিসের হাতে আসবে। টেকনিক্যালি আমার কনসেপ্টটা ভালো লাগে।

    অবশ্য এটা নিয়ে এথিক্যাল প্রশ্নও উঠেছে অনেক দেশে - প্রাইভেসি ইস্যু।
  • G | 72.95.235.88 | ৩০ আগস্ট ২০০৯ ০৪:২৩561445
  • naa, ekathaabalinijesarakaarprojekTkarachhephinanshialsisTememaanushheraaksesbaarhate.KintuDijitaaijDiuaaiDihaleseiTakeesesenermatabyabahaarkorasambhab - eipasibiliTiTaarkathaaibalechhi.ekhonJaJaaachhe, segulodiyekaajhabenaa.arthhatpyancardsabarnei (jaaderinakluDkaraadarkaartaaderainei), voTercarDdiyeaakchuyelihateparato, kintusysTembhulebharaa, inacampliTityadi - ekhonnotunsisTemchharhaupaaynei.
    ekhonphainaliiuaaiDitaesesenermatakaajkaraarjanyeanekaguloshartaekasathhepuran`hatehobe - ThikThakaainiinphraasTraakachaar, kreDiThisTritoiriebam`taarnathhikaran`ityadiityadi.kintuJodisatyiiuaaiDirmataasaadhyasaadhitahay, taaholebaakiguloaashaakaraajaaybaiki.krediTkaarDkompaaniraakintuhisTribaanaanorjanyemukhiyeaachhe.ekhangunDapaaThaatehaytaarekaTaabarhakaaran`ekaTakompaanitehisTribaajehaleaarekaTakompaniseTaajaanatepaarena, taaikretaarpokkhesambhabekbyankTapakeaarekjanerkachhthekedhaarneoya.JadiekaTakendriyoDaTabesthhakato, tobekreta'oanekDisiplindhaten - byankkeshodhnaadileaarkonaraastaanei.phinaansialinklusionhalekintubyankagulorlaabh'ihabe, kaaron`maarkeTbaarbe.deshiyopraaibheTbyankagulo, bisheshkareaaisiaaisiaaikintubeshinTaresTeDeibyapaare.
    abashyaiprayojonsarakaarisadichchhaa'r - setanesesari (jodiosaphisiyenTnoy - hanudaarthhekediphaarkarachhi).sadichchhaagaachhephalena - chaapdiyeaadaaykaratehay.eisabkataabaarttabalaarekaTaiuddeshya, chaapTatoirikaraa.

  • G | 72.95.235.88 | ৩০ আগস্ট ২০০৯ ০৭:২৫561446
  • না , এ কথা বলিনি যে সরকারের উদ্দেশ্য ফিনানশিআল সিস্টেমে মানুষের আক্সেস বাড়ানো। কিন্তু ডিজিটাইজ্‌ড ইউ আই ডি যদি সত্যি হয়, তাহলে তাকে এস এস এনের মত ব্যবহার করা সম্ভব - এই পসিবিলিটি টার কথাই বলেছি। আর্য যা বলেছে, টিকি বাঁধা থাকলে ঋণ পেতে সুবিধা হবে। ইউ আই ডি হলে এই ব্যবস্থা ইমপ্লিমেন্ট করা দুষ্কর নয়। চিত্রগুপ্তের খাতা রাষ্ট্রের সামনে এই সম্ভাবনাটা নিয়ে আসে।
    কিন্তু এখন যা যা অপশন আছে , সেগুলো দিয়ে কাজ হবে না। প্যন কার্ড সবার নেই ( যাদের ইনক্লুড করা দরকার তাদেরই নেই), র‌্যাশন কার্ডের সে¾ট্রলাইজ্‌ড ক®¾ট্রাল নেই, ভোটার কার্ড দিয়ে হতে পরতো , কিন্তু সিস্টেম ভুলে ভরা , ইনকমপ্লিট ইত্যদি - এখোন নোতুন করে সিস্টেম বানানো ছাড়া উপায় নেই। অবশ্যই, এজন্যে অনেকগুলো শর্ত একসাথে পুর্ণ হতে হোবে - ঠিক্‌ঠাক আইনি ইন্‌ফ্‌রাস্ট্রাকচার , ক্রেডিট হিস্ট্রি তৈরি এবং তার নথিকরণ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যদি সত্যি ইউ আই ডির মত অসাধ্য সাধিত হয় , তাহোলে বাকিগুলো আশা কর্তে দোষ কি? ক্রেদিট কার্ড কোম্পানিরা কিন্তু হিস্ট্রি বানানোর জন্যে মুখিয়ে আছে। ফিনান্সিআল ইন্‌ক্‌লুশন হলে কিন্তু ব্যংকগুলোর লাভই হবে , কারণ মার্কেট বাড়বে। দেশিয় প্রাইভেট ব্যংকগুলো , বিশেষ করে আই সি আই সি আই অলরেডি বেশ ইন্টরেস্টেড এই ব্যপারে।

    অবশ্যই প্রয়োজন সরকারি সদিচ্ছার - সেটা ভীষণ নেসেসারি। সরকার তার রীচকে ব্যবহার করবে পরিষেব বাড়াতে না প্রহরা বাড়াতে সেট বিতর্কের বিষয়। কিন্তু হনুদার থেকে ডিফার করে বলছি, সদিচ্ছা-ট সাফিসিয়েন্ট নয়। ইনস্টিটিউশনের একট বিরাট ভূমিকা আছে। আমাদের দেশে সরকারের রীচ এত কম যে সেটা না বাড়লে সত্যি পরিষেবা পৌছনো টাফ - সদিচ্ছা যতই থাক। ও হ্যাঁ, একটা ক্লারিফিকেশন। "দৈ মারা নেপো" বলতে অমি ছোটো ব্যবসায়ীদের কথা বলিনি - মীন করেছি ঘুষ নেওয়া সরকারি কর্মচারিদের কথা - উইক টার্গেটিং থেকে এরাই লাভ করে ম্যাক্সিমাম।
  • Guruchandali | 173.26.17.106 | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ১০:১৪561447
  • -----------------------------
    প্রকাশিত হল দুটি লেখা:
    ১। কথোপকথন - এক
    ২। যৌনতা ও রাজনীতি: এ পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে?
    -----------------------------
  • pinaki | 131.151.102.250 | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ১০:৪৭561448
  • দুটো-ই বেশ ভালো লাগলো। সাক্ষাৎকারকে অবিকল ছপিয়ে দেওয়ার আইডিয়াটা এক্ষেত্রে বেশ ভালো ক্লিক করেছে। বিশেষত: দ্বিতীয়জনের সাক্ষাৎকারটা তো বোধহয় ৮০% সমকামীর জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যাবে। শৌভর লেখার প্রথম অংশটা বেশ ভালো। মানে সিনেমাটা না দেখেই তার সম্বন্ধে একটা ভালো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। রাজনৈতিক টানাপোড়েনটাও অনেকটা ফীল করা যাচ্ছে। কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু "কোথা হইতে কি হইয়া গেল' টাইপের লাগলো। আর একটু বড় করে বললে ভালো হত বলে মনে হচ্ছে।

    যেমন প্রথম ক্ষেত্রে একটা রাষ্ট্র একটা বিপ্লবীর কাছ থেকে খবর বের করার জন্য ষড়যন্ত্র করবে - এটা সম্ভব। কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে একজন সমকামীর বিরুদ্ধে একটা পার্টি কেন খামোকা ষড়যন্ত্র করতে যাবে - সেটা বোঝা গেল না। সমকামীরা তো সমাজতান্ত্রিক কিউবার রাষ্ট্রকাঠামোকে খুব পাল্টে ফেলতে চাইছে - এমন নয়। বা তারা এমন কিছু শক্তিশালী বা সংগঠিত বা গোপন ষড়যন্ত্রমূলক অভ্যুত্থানের প্ল্যান করছে - সেরকমও নয়। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পার্টিকে স্পাই লাগাতে হবে কেন - এটা বোঝা গেল না। মানে একটু অবাস্তব লাগলো আর কি। আর তাই অবদমনকে ব্যবহার করার পরিপ্রেক্ষিতে একটা বুর্জোয়া রাষ্ট্র আর বামপন্থী পার্টি একই রকম বিহেভ করছে বলে যে কনক্লুশনটায় আমরা পৌঁছে গেলাম - সেটা এখানে বিবৃত গল্পের পরিপ্রেক্ষিতে আমার একটু আরোপিত মনে হল। মানে সমস্যাগুলো আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু এখানে যেটুকু বলা হয়েছে তাই দিয়ে ঐ কনক্লুশনটায় পৌঁছানো যাচ্ছে না।
  • d | 144.160.5.25 | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ১১:৪৬561449
  • "কথোপকথন' (কথপোকথন নয়, যদিও উচ্চারণটা কিছুটা ওরকমই হয়।) হেডিংটা খুব চোখে লাগছে।
  • Souva | 203.141.92.14 | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ১৩:২৩561451
  • @ পিনাকী-দা

    লেখাটা আরেকটু বড়ো করে লিখতে পারলে ভালো হত, এটা ঠিকই। তবে, শেষ অংশে যে conclusion-এর দিকে তুমি ইঙ্গিত করেছ, সে ব্যাপারে বলি।
    দিয়েগো নমের সমকামী-শিল্পীকে রাষ্ট্র শত্রু হিসেবে দেখছে শুধু তার সেক্সুয়াল প্রেফারেন্সের জন্যেই নয়, বরং তার র‌্যাডিকাল এসথেটিক্স এবং প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণেও। সমকামিতা এখনে একটা বাড়তি হোস্টিলিটি তৈরি করছে (আর সেটা আসছে একটা রক্ষন্‌শীল মনোভাব থেকেই)। এখানে, সমকামিতা-কে সরাসরি অবদমিত করা হয় না, তাকে জুড়ে দেওয়া হয় "প্রতিক্রিয়াশীল কাজকর্ম'-জাতীয় অভিধার সঙ্গে, আর এরা একে অপরকে বৈধতা দেয়। এই দিক থেকে, সমকামিতা একটা অজুহাত মাত্র, যা তৈরি হচ্ছে যৌনতা-বিষয়ক রক্ষণশীলতার জায়গা থেকে। তো এইখানে, এ জন্যেই, সমকামিতা একই সঙ্গে repressed এবং repression-এর হাতিয়ারও।

    আর, প্রথম ক্ষেত্রেও সমকামিতা repressed, "নাবালকের চারিত্রিক স্খলন'-জাতীয় মর‌্যালিটি যাকে বৈধতা দেয়। কিন্তু একজন সমকামিকে উদারপন্থী ক্ষমতার বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে ক্ষমতার হাত কাঁপে না, মর‌্যালিটিও অটুট থাকে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন