এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • একটি উপন্যাস লেখা চলছে এখানে

    শ্রমণ
    বইপত্তর | ২৮ মে ২০১২ | ৬৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্রমণ | 127.194.226.62 | ২৮ মে ২০১২ ১৬:৪৬551444
  • একটি উপন্যাস লেখা চলছে এখানে

    ।। ১ ।।
    "যে ইতিহাস লিখবে সে কোন দেশের, কোন জাতির ইত্যাদি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।"

    কথাটা লিখেই একবার ভাবলো কাটবে, কিন্তু তারপরে মনে হল থাক! এটা কাটার কি আছে? ভাল্লাগবে না? লাগবে না তো লাগবে না! সে তো আর ইতিহাস লিখতে বসেনি। সে নিজের ইচ্ছে মতন লিখতে বসেছে। ছাপা হলে হবে, না হলে হবে না। কি এসে যায়? হাজারো লেখা, হাজারো লোক লিখে গ্যাছে। সে আর কি এমন আলাদা কাজ করছে? আর সে কিই বা এমন আলাদা কিছু লিখবে যে না ছাপা হলে সভ্যতার বিপুল ক্ষতি হয়ে যাবে? লিখতে লিখতে ভাবতে গেলে একটা সিগারেট আর এক কাপ চা পেলে ভালই লাগে। চা আছে। ফ্লাস্কে। উঠে নিয়ে এলেই হয়। হয় কিন্তু আনবে কে? সে? ধুস!! সারা অঙ্গে ক্লান্তি জড়ানো। কাল একদম ঘুম হয়নি। একটু পরেই আবার শুভাশিষ এসে যাবে। প্রচুর হ্যাজাবে। ওর পেপার নিয়ে এত কথা বলার আছে ওর যে ক্লান্ত লাগে এক এক সময়। যাউক গিয়া! বাইরের দিকের থেকে প্রবল তাপ আসছে বলে জানলাটা বন্ধ করে রেখে দিয়েছে। সামনের অংশটা শুধু বাড়ানো আছে মাত্র। তার চিলেকোঠার ঘরের ছাদটা ঘরের মাথাতেই শেষ। এই গ্রীষ্মকালে মাথাটা বাড়াতে পারলে ভাল লাগতো। মানে সামনের মেঝেটা ছায়া পেত। ছায়া পেলে তাপটা এভাবে ঠিকরে উঠে আসতে পারতো না। জানলার দিকে চেয়ে একটি অলস দুপুর কাটিয়ে দেবে এমন সম্ভব না। শালা, হত রবীন্দ্রনাথ, আরামাকেদারা পেতে বসে থাকতো। মাথার উপরে অনেক উঁচুতে ছাত। বাড়ির দেওয়ালগুলো এক হাতের বেড়-এ ধরা যায় না। কড়ি বরগা দেওয়া ছাতের নীচে তাপ আসতে অনেক সময় লাগে। আবার দেওয়ালের ইঁটগুলোরও বৈশিষ্ট্য আছে। সেগুলো এখনকার ইঁটের মতন নয়। আরো চওড়া আর লম্বা। এবং পাতলাও। মধ্যিখানটা ফাঁপা। তাই তাপের প্রবাহ কম। ইঁটের অনু-পরমাণু দিয়ে তাপপ্রবাহ তাকে চাইলেই ছুঁয়ে দেবে এমন মোটেও সম্ভব না। গরমে ঠান্ডা, আর ঠান্ডায় গরম। মাইরি, কি ফুর্তি! অথবা শিলাইদহে বোট। জলে ভাস। না হলে কাছেই কুঠিবাড়িতে একটা বিরাট বড় বাথটব আছে। সেখানে জলে শুয়ে শুয়ে চুকচুক চুকচুক করে এট্টু ঢোঁক লাগাও। আচ্ছা, রবিন বাবু বিয়ার খেতেন? মানে বিয়ার আসতো তখন? জানতে হবে কেসটা। খেতেন বা পান করতেন জানা আছে, কিন্তু বিয়ার? কে জানে! বিশ্বভারতী জানলেও শালা চাপা দিয়ে রাখবে। গুরুদেবের গু চাপা দেওয়াই বিশ্বভারতীর কাজ। এ বাবা! কেমন একটা খার খাওয়া সন্দীপন সন্দীপন বাক্য হল। ধ্যাস শালা। গরমে গাঁঢ় জ্বলে গেলে হবে না? রবিনবাবু বাড়িতে বসেই সব পাবেন, ছাপাকল থেকে গ্যাঁড়াকল, আর সে হুব্বা হয়ে বসে থাকবে?

    ইস্‌স! শ্যামল গঙ্গো বেঁচে থাকলে বলা যেত,
    - আচ্চা শ্যামলদা হুব্বা শ্যামল কেন লেখে না আর আপনি কেন দারাশুকো লিখে ফেললেন?
    খচে যেতেন নিগঘাত। কিম্বা আনন্দে খিস্তি দিতেন সন্ধেবেলা ভিক্টোরিয়ায় ঘোড়ার গাড়ি চড়তে চড়তে। খচড়ামো মূলক প্রশ্নে শ্যামল গঙ্গো আর সন্দীপন এ ওকে বলতো,
    -আমাকে দ্যাখ!
    "সাইকেলের দুদিকে চাকা মধ্যে ফাঁকা
    উঠতে হয় রে ঠ্যাং তুলে"...
    রিংটোন। তার মোবাইলের। বাজছে। বাজুক। ধরবে না। সেই ন্যাকা মেয়েটা ফোন করছে। এক্ষুণি গোটা জীবনের দুঃখ উগড়ে দেবে ফোনে। বর কি বলেছে, ননদ কি রকম মুখ হাঁড়ি করে ছিল কাল রাতে, শ্বাশুড়ি কেমন সে রাতে খেতে বসতেই টেবিল থেকে উঠে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিল এই সব। বালের গপ্প। আসলে তো আমি কত দুখী আমাকে লাগাও, এই গপ্প। তার জন্য এত কথা শুনে কি হবে? লাগানোর ইচ্ছে এখন তার নেই। যদি কখনো হয় তখন লাগাবে। হ্যাঁ, এই রকমই। সে ওই রবিনবাবুর মত ঝাঁট জ্বালানো বাক্যি লিখতে পারে না, চায়ও না। চারুর উরু নিয়ে কোনো কথা নেই, শুধু চারুর মন উড়ুউড়ু? আরে বাবা, বর কাগজ কাগজ করে মোলো, বউকে দেবার মতন সময় নেই, অমল সোমত্থ ছেলে, বাড়িতে আছে, দিব্য চলে-বলে বেড়ায়- তো চারুর কি ইচ্ছে হবে? শুধু কাব্যি শুনতে? অমাবস্যার চাঁদ কে আর সাধ করে শোনে বাওয়া? শুনলে যদি একটু হাত-টাত বোলায় জ্বালা-যন্ত্রণা কিঞ্চিত স্বার্থক হয়। এই তো? তা না, তে-ঢ্যামনা মার্কা আমি রেললাইনে বডি দেব, গলা দেব না।
  • শ্রমণ | 127.194.226.62 | ২৮ মে ২০১২ ১৬:৪৭551446
  • "আংরেজ কোম্পানি সরকার বাহাদুর যখন দাসের প্রথা তুলে দেবার প্রশ্ন এলো তখন বোর্ডের কাছে চিঠি লিখলো তুলে দেব বললেই কি আর যায়? নেটিবদের শাস্ত্রে এ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই যে! তাছাড়া প্রচুর দাস আছে দেশে...এমন সব লিখলেন কর্ণওয়ালিশ। হেস্টিংস আরেক কাঠি বাড়া। দাসেদের জন্য তিন দফা ব্যবস্থা দিলেন, ব্যবসাও।
    এক।। ডাকাতরা সব দাস হবে কোম্পানির। বংশপরম্পরায় দাস হয়েই থাকবে। কোম্পানি বাহাদুর যেমন সুবিধে তেমনভাবে জনগণের উন্নতির জন্য এদের কাজে লাগাবেন।
    দুই।। বিক্রি করে টাকা নিয়ে কোম্পানিরই অন্যান্য অঞ্চলে চালান করেও দিতে পারেন। জেলে বসে বসে না খেয়ে কাজে লাগবে ডাকাতগুলো।
    তিন।। বাড়ি-গাড়ির মতন দাসের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে। কর দিতে হবে দাস পোষার জন্য। ৪ টাকা ৪ আনা লাগবে দাসপিছু।

    জমে গেল খেলাটা। দাস সকলেই রাখতো। দাস ব্যবসা নিয়ে সকলেই নানান ফন্দী-ফিকির আঁটতো। এ অঞ্চলে সে ব্যাদের কাল থেকে দাস আছে। শুদ্র-টুদ্রতো দাসই। এ ছাড়া আবার কি? এবারে আরো গুছিয়ে কোম্পানির লাভ। এইখান থেকে আমাদের গপ্প শুরু।

    দুপুরবেলা। চারিদিকে গরমে সব ঘেমে-নেয়ে অস্থির। বাবু আংরেজ পাল্কী করে ঘরে এসে ভাত-ডাল আর লাউ চিঙ্গড়িও খেয়েছেন আমেজ করে। কিন্তু কথা নেই বার্তা নেই, চাপরাসী এসে হাজির। বড়সাহেবের এত্তেলা। খুব জরুরী কাজ আছে। যেতেই হবে একবার। অতএব মেমকে মনের দুঃখে ইঞ্জিরী আর হিন্দুস্থানি মিশিয়ে বড়সাহেবের নামে গালি দিতে দিতে চললেন ম্যাকেঞ্জি সাহেব। দালান পেরিয়ে পাল্কীতে উঠলেন। মেম ম্যাকেঞ্জি বাই করে-টরে ঘরে এসে দোর দিলেন। তার আগে তিনি অবশ্য নফরকে দিয়ে ডেভিডকে ডেকে পাঠিয়েছেন। ডেভিড এসে গিয়েছে। উঁহু, ডেভিড কোনো আংরেজ বা অ্যাংলো আংরেজ না। ডেভিড নিখাদ বামুনের ঘরের ছেলে। তার নাম বাপ-মা এ রেখেছিল বৃহষ্পতি। উচ্চারণে কালে কালে হয়েছিল বেষ্পতি। তা শাস্ত্রে যতই নিষেধ থাক না কেন, পর্তুগীজে শাস্ত্র শোনে না। তাকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে এসেছে বাপ-মা সমেত। বাপ-মা আসতে আসতে বমি করে আর হেগে হেগে মরে গিয়েছে জাহাজের খোলে। সে বেঁচেছে। তাদের এনেছিল সন্দীপের কাছ থেকে, কিন্তু সেখানে বেচেনি। সেখানে বড় বাজার থাকলেও তাকে এনেছে কলকেতার খিদিরপুরে। আসলে যখন শুনেছে বামুন বংশ এরা, আর কিছু পড়াশোনাও জানে বেষ্পতি তখন কলকাতার বাজারে দাস বলে বেচতে এনেছে। এখানেই ভাল দরের সম্ভাবনা। এখন অনেক ইউরোপীয় আসছে নানান দেশ থেকে। সিভিলিয়ান। কোম্পানির কাজে লাগতে হলে দেশী ভাষা জানতেই হবে, এমন ফর্মান আছে। তাই তারা ভাল শিক্ষক খোঁজে। এবারে একসঙ্গে শিক্ষক আর দাস পেলে দ্বিগুণ লাভ। শিক্ষকের টাকা অনেক লাগে। এ জন্য দাস শিক্ষক হলে খরচ কম।

    ম্যাকেঞ্জিও ঠিক এই কারণেই কিনেছিল একে। কেনার পরে ভাষা শিক্ষা চলছে। তাকে অন্য কোনো কায়িক শ্রমের কাজ করতে হয় না ম্যাকেঞ্জি বাড়িতে। বাবু ম্যাকেঞ্জির পরে বিবি ম্যাকেঞ্জিও শেখেন। তবে দুজনের দুই পদ্ধতি। বাবু ম্যাকেঞ্জি আরামকেদারায় পা তুলে বসে শেখেন, আর সে সামনে দাঁড়িয়ে সংস্কৃত পড়ে যায়, ধাতুরুপ-শব্দরূপ বোঝায়। বাংলার সঙ্গে তার সম্পর্ক নির্ধারণ করার চেষ্টা করে। সে কি আর সংস্কৃত বিরাট কিছু জানে যে সব বুঝিয়ে দেবে? কিন্তু তা বললে হবে কেন?সে বললে এমন বেত খেতে হবে যে চামড়া উধের হয়ে যাবে। কাজেই ভালোয় ভালোয় যা শেখানো যায় তাই ভাল। বই পত্র সে ঘাঁটে, নিজেও প্রাণপণে শেখে আর শেখায়।
  • শ্রমণ | 127.194.226.62 | ২৮ মে ২০১২ ১৬:৪৭551445
  • বেজে বেজে থেমে গেল ফোনটা। ফোনটা বন্ধ রাখার উপায় নেই। সুমিতা ঘন্টা দু-তিন অন্তর ফোন করে-করে খবর নেয়, নানান কথা বলে। আসলে জানতে চায় সে কেমন আছে! শরীরটা বিগড়ে যাবার পর থেকেই এমন। রুটিন। সুমিতা জানতে চাইবে খেল কিনা, শুলো কিনা! সুমিতা তাকে আগলে আগলে রাখে। জগত-সংসার, ক্রোধ-ক্ষয়-মোহ-মাৎসর্য্য সব কিছুর বাইরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে সুমিতা। তার জন্য। সব সময় যে পারে তা না, কিন্তু চেষ্টা করে। কেন চেষ্টা করে সুমিতা? তাকে ভালবাসে বলে স্ট্যান্ডার্ড উত্তর। কিন্তু তাকে কেন ভালবাসে? সে কি এমন ঢপের চপ যে তাকে ভালবাসতেই হবে? এমনকি যখন সুমিতা বোঝে যে অন্য মেয়েরা তাকে টানছে তখনও ভালবাসবে? বাসতেই হবে?

    হবে। সুমিতা তার জামা-কাপড়কে ভালবাসে না। সুমিতা তার স্বভাবকে ভালবাসে না। ভালবাসে তার অভাবকে। তার অভাব আছে। সারাজীবন নানা অযত্নের, নানা ক্ষয়ের দাগ তার শরীর জমেছে। না পারাগুলো জমেছে। তার ব্যার্থতাগুলো সুমিতাকে দিয়ে ভালবাসায়। সুমিতা তাকে স্নেহ করে, করুণা করে এবং ভালবাসে। একদিন যদি সে চেনা ছকে সফল হয় তখন সুমিতা দাঁড়াবে এক জটিল অবস্থানে। তার সাফল্যকে সুমিতা আলাদা করে কখনো দেখেনি। তার সাফল্য সুমিতার সপত্নী হবে তখন। তখন কি করবে সুমিতা?

    দিল্লি আভি দূর অস্‌ত!

    লেখার কাছে ফিরে আসতে চেষ্টা করে সে।

    "দাস ব্যবসা হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে অশাস্ত্রীয় কিছু না। তাই দাস ব্যবসা নিয়ে এ দেশের ইতিহাসে কিছুকাল আগে অব্দিও খুব একটা মাথা কেউ ঘামায়নি বোধহয়। হিন্দু-মুসলিম ইতিহাসবিদদের তেমন নজর কাড়েনি। অ্যাটলান্টিসে দাসব্যবসা নিয়ে যতটা কাজ হয়েছে, যত তথ্য আছে, তত কেন, তার সিকিভাগও ভারত মহাসাগর নিয়ে হয়নি। অথচ এখানে আরবী থেকে ডাচ, ফরাসী, পর্তুগীজ, ইংরেজ সকলেই দাস-ব্যবসা করে গ্যাছে। আরাকানের মগেরা এই বাংলা থেকে দাস নিয়ে গ্যাছে নিজের দেশে। তাদের আর পর্তুগীজদের দাপটে সাফ হয়ে গ্যাছে সুন্দরবন। পরিত্যক্ত এক অরণ্যের চেহারা নিয়েছে। ১৭৬০-এর দিকে পর্তুগীজরা তো আক্রাতে দাসেদের আড়ত বানিয়ে ফেলেছিল এককালে। তখন ফোর্ট উইলিয়াম হয়ে গ্যাছে। আচমকা আক্রমণ যাতে না হতে পারে তাই বোট্যানিক্যাল গঙ্গাতে বেড় দিয়েছিল ইংরেজ সাহেবরা। এ সব হয়েছে, শুধু দাস ব্যবসা চট করে বন্ধ হয়নি। উইলিয়াম জোনসের মতন সংস্কৃতিবাবুও দাস কিনেছিলেন চাড্ডি। কি রঙ্গের কলকেতা! অবশ্য ঢাকা বা ওপার বাংলাই বা কম কি? সেখানেও জমি চষার জন্য দাস লাগতো। সে দাসরা হোলো অঞ্চলের গরীব-গুর্বো। চাষের অব্যবস্থা বা আবহাওয়ার ছেনালীর জন্য চাষ নষ্ট হওয়া ইত্যাদি দাসের বাজারের জন্য সুলক্ষণ। অবশ্য বাজারে দাঁড়িয়ে বিক্রি হত এমন না। ওখানে মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া টাকা শোধ করতে না পারলে জমি-জমা সমেত চাষাও দাস হয়ে যেত। দাসের বংশ তৈরী হত। শাস্ত্রে দাস নিয়ে কোনো চব্ব ছিল না। তাই সকলেই মহাআনন্দে দাস রাখতে পারতো।"

    এই লাইনগুলো লেখার সময়ে তার মাথার মধ্যে ভাসছিলো ধান কাটার যন্ত্র এসেছে পঃবঃ-এ। একশো দিনের কাজের নাকি এত্ত রমরমা এবং ধান কাটার কাজে এত মজুরী কম যে কৃষি-শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ধনীচাষা ধান কাটার মেসিন কিনছে আর ভাড়াও খাটাচ্ছে। বামেরা যেমন কম্প্যুটার নিয়ে ঝামেলা করেছিল এমন ঝামেলা এবার হচ্ছে না, কেন না লোক নেই ধান কাটার। কাগজ উবাচ! আজিব কল! একশো দিনের চেয়ে মজুরী কম, সে তো আজকে নয়? তারমানে তো অনেককালই এমন অবস্থা। তা এ নিয়ে আন্দোলনে কি অসুবিধে হয়েছিল সক্কল বিপ্লবীদের? বলা হচ্ছে টাকা কম বলে বেশী টাকার জন্য অনেকেই অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে মজুরী খাটতে। সেই জন্যও কৃষি-শ্রমিক কম পড়েছে। অন্য রাজ্যে কি খুব পিরিত করে বেশী বেশী টাকা দিচ্ছে নাকি? নাকি সেখানে গতরে কম খাটতে হয়? ্কি গভভোযন্তন্না মা গো! আমি শালা ঘরের কাছে কাজ আর টাকা পেলে পিরিত করে বিদেশে যাব? কেন, আমাকে কিসে কামড়ালো? এই কেসটা একটু ঘেঁটে দেখতে হবে বলে মনে হল তার। লিখতে লিখতে পরের লাইনগুলোতে চলে গেল সে।
  • শ্রমণ | 127.194.226.62 | ২৮ মে ২০১২ ১৬:৪৯551447
  • বিবি ম্যাকেঞ্জির শেখার পন্থাটা আর-ও বিচিত্র। তাকে এখন এই দুপুরে একটা পোজ দিয়ে দাঁড়াতে হবে। কোথাকার কে এক ডেভিড, তার নামে কি যেন এক মূর্তি আছে, তেমন করে দাঁড়াতে হবে তাকে এখন। গায়ে একটা সুতোও থাকবে না। মেমসাহেব পড়তে পড়তে তার লিঙ্গে আর অন্ডকোষে তেল মাখাবেন। এক সময়ে যখন কড়া করে লিঙ্গটা দাঁড়িয়ে যাবে তখন তিনি একটি ছোট তুলাদন্ড ওটার উপরে দুলিয়ে দেবেন। খুব ছোট্ট দন্ডটি তামার তৈরী। তারপরে দু দিকে তামার ছোট ছোট বাটখারা বসাবেন। তার কাজ হল তুলাদন্ডকে লিঙ্গ দিয়ে সোজা করে রাখা। মানে লিঙ্গ থেকে যেন তুলাদন্ড খসে না পড়ে সেটা দেখা। মেম সাহেবকে পড়াতে পড়াতেই করতে হবে কাজটা। এবং যে সে জিনিস পড়ালে হবে না, তাকে তখন কালিদাস পড়াতে হবে মেমকে। নয়তো বিদ্যাসুন্দর অন্তত। নখের আঁচড়ে পার্বতীর স্তনে ক্ষত হয়েছে, সে ক্ষত কেমন হতে পারে সেটা বোঝার জন্য মেম তাকে নিজের বুক খুলে দেখাবে। নানা দাগ থাকে মেমের বুকে। একেকটা দাগ একেকজনের। কখনো স্টুয়ার্ট, কখনো উইলিয়ামস, কখনো কেনিংওয়েলথ- কিন্তু খুব কম থাকে ম্যাকেঞ্জির দেওয়া ক্ষত।"

    সাইলেকের দু দিকে চাকা....

    শালা আবার মোবাইল বাজলো। দেখলো সে। তাকে কেউ লিখতে দেবে না। হুঁ! এবারেরটা ধরতেই হবে। তার ভগ্নিপতির ফোন। মুখ খিস্তিটা মনে মনে করতে করতেই ধরলো ফোনটা। ভাবছিল তার চিলেকোঠার ঘরের বাইরের সিঁড়িতে সেদিন ঘটা করে একটা কালো স্লেট ঝুলিয়ে দিয়েছে, যাতে যখন-তখন নীচের ভাড়াটেরা উঠে না আসে। সেই বোর্ডটা ফোনে কি করে লাগানো যায়? ফোনটা ধরে হ্যালো বলে সে এবারে বাইরে এসে দাঁড়ালো। প্রখর রোদ। সিঁড়িটা যেখান দিয়ে উঠে এই ন্যাড়া ছাদে এসে থেমে গ্যাছে সেখানের দরজার গায়ে বোর্ডটা দুলছে হাওয়ায়। তাতে সাদা চকখড়ি দিয়ে লেখা,

    -একটি উপন্যাস লেখা চলছে এখানে। বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ।

    (ধারাবাহিক)
  • শ্রমণ | 127.194.242.180 | ৩১ মে ২০১২ ০০:১৩551448
  • ।।২।।
    ফোনটা ধরেই তার মটকাটা গরম হয়ে গেল তার। চাড্ডি আবোল-তাবোলের পরে বেরিয়ে এল আসল কথাটা। ছোকরার মেজাজ খারাপ হয়েছে। বোনের সঙ্গে বাওয়াল হয়েছে। বিষয়? আব্বার কি? আদিঅন্তহীনকালের সমস্যা- টাকা। ছোকরা ব্যবসা করতো। সে ব্যবসা ডুবেছে। তাতে তার দোষ যে বিরাট তা নয়। কম্প্যুটারের ব্যবসা করতো। ডেটা এন্ট্রির কাজ থেকে শুরু করে সফটওয়্যার বানানোর কাজ, সবই। বেশী ডেটা এন্ট্রির কাজ। কলকাতায় আবার কটি সফটওয়্যারের কাজ হয়? শালা, আই টি মানে তো বিপিও নয় ডেটা এন্ট্রি। তো ছোটখাটো করে করতো। ২০০৮ এর মন্দার ধাক্কায় তলিয়ে গ্যাছে। যে সব কোম্পানি কাজ দিয়েছে তারা অনেকেই টাকা দিতে পারেনি। তারা পারেনি কেননা তাদেরকে বিদেশী কোম্পানিগুলো টাকা দেয়নি। এখন কটা কোম্পানির দম আছে যে বিদেশের আদালতে গিয়ে মামলা লড়বে? আবার মামলা লড়লে পরের দিকে অন্য কোম্পানিগুলো কাজ দেবে না। সেয়ানা মাল সব। মন্দা সামলালেই দেখবে কারা কারা মামলাবাজ। তাদের বাদ দেবে নানান ছুতোয়-নাতায়। মন্দা বলবে আর কোম্পানিদের সিইও রা প্লেন মারিয়ে ঘুরবে। কোটি টাকা নিয়ে যাবে বাড়ি। তখন তাদের কোনো মন্দা নেই। ওই যে ওবামার সঙ্গে নাকি প্রাইভেট জেট-এ চেপে এসেছিল মিটিং করতে, কোম্পানির ব্যাঙ্করাপ্সি নিয়ে। ওবামা খুব খিস্তিও দিয়েছে। দিলে কি হবে, এদের সাহায্য দিতেই হবে। না দিলে ওবামা সরকার চলবে? এরা সব মার্কিন কংগ্রেস-এর সেনেটরদের বাপ-মা। বেশীরভাগ সেনেটর হয় নিজে ব্যবসায়ী না হলে ব্যবসার সঙ্গে তার স্বার্থ জড়িয়ে। আদ্ধেকের উপর সেনেটর হল মিলিওনিয়ার। এর পরেও মালগুলো পায় কত?

    2009: Per capita, $39,138 - Congress pay, $174,000

    2008: Per capita, $40,166 - Congress pay, $169,300

    2007: Per capita, $39,392 - Congress pay, $165,200

    কাকা, কি চক্কর মাইরি! মন্দায় দেশের নাকি ফেটে যাচ্ছে। মজুরের, সাধারণ লোকের ফেটে চৌচির, মেডিক্যালের হাল এমন যে প্রবাসী ভারতীয়রা পারলে ভারতে এসে দাঁত তুলে যায়। মার্কিন-টার্কিনদের ভরসায় নানা জায়গায় তৈরী হচ্ছে বড় বড় হাসপাতাল নিয়ে স্বাস্থ্য-নগরী। কম পয়সায় পরিষেবা দেওয়া গেলে মাল আসবে ভাল, এই হল কল। সেখানে এই হচ্ছে গ্যাঁড়া। আদ্ধেক সদস্য মিলিওনিয়ার হয়েও এই মালগুলো গোগ্রাসে হজম করে নিচ্ছে। এবং নানান বেনিফিট এখানে বাদ দিয়েই ধরা আছে। ডেমোক্র্যাট থেকে রিপাবলিক্যান সকলেই আছে এই তালিকায়। মানে গড়পড়তা মার্কিনির চেয়ে সেনেটের মালদের ৪.৫ গুণ বেশী উপার্জন এই হিসেবে। এই চক্করেই ভারতের পার্লামেন্টের কামাই দেখে নেওয়া যাক।
  • শ্রমণ | 127.194.242.180 | ৩১ মে ২০১২ ০০:১৪551449
  • BPL বা দারিদ্র সীমার নীচে থাকা বুড়ো লোকজনের ক্ষেত্রে আগে পেনশন ছিল ২৭৫ টাকা। তার ৭৫ দেবে রাজ্য, ২০০ দেবে কেন্দ্র। এবারে হয়েছে দু-ভাগ। ৬০ থেকে ৭৯ পাবে ২০০ টাকা, ৮০ বা তার উপরের লোকজন ৫০০ টাকা। আর এম পি দের কত্ত হল? ও মা, বিগত পনেরো বছরে বেড়েছে ৯০০%। চোহ

    চোখকে বিশ্বাস না হলে ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০১১-র টাইমস অব ইন্ডিয়া স্বাক্ষী।

    TOTAL expense for a MP per year : Rs.60,95,000

    For 534 MPs , the expense for 1 years :

    Rs. 325,47,30,000

    3254730000 X 5 years = Rs. 1627,36, 50000 ( One Thousand six hundred crores plus..)

    সঙ্গে এগুলোও আছে।

    The Air tickets of each MP per year comes to around 5 lakh.
    Electricity costs at home : Free up to 50,000 units
    Local phone call charge : Free up to 1,70,000 calls
    Charge for 1 class (A/C) in train : Free (For any number of times), (All over India )
    Charge for Business Class in flights : Fr ee for 40 trips / year, (With wife or P.A.)

    এবারে দিল্লীর ল্যুটিয়েন নগরের বাংলোগুলোর দাম একশো কোটি টাকারও বেশী। তার জন্য-ও আছে ফ্রী বন্দোবস্ত। এম পি না থেকে যদি বাংলো রাখা হয় তাহলে অল্প কিছু টাকা দিতে হবে-টবে। এবং মন্দার সময়েও মাল বেড়েছে বই কমেনি। এখনো যখন নাকি প্রবল মূল্যবৃদ্ধি, লোকে খাবার কিনতে হাগু-মুতু করে ফেলছে তখনো কেউ কমায়নি টাকা। লালু-মুলায়মকে সামনে রেখে আসলে সকলেই চেয়েছে মাল বাড়ুক। এগুলো লেজিটিমেট কামাই। আর যা ইল্লেজিটিমেট? তার কথা আমি বলার কে? ভুক্তভোগীরা জানে।
    তা দুনিয়ার যখন এই অবস্থা তখন তার বোন-ভগ্নিপতি মন্দা বাওয়াল ভাল্লাগে?
  • পাই | 147.187.241.6 | ০২ জুন ২০১২ ০৮:৫৩551450
  • আর চলছে না ক্যানো ?
  • শ্রমণ | 127.194.249.36 | ০৬ জুন ২০১২ ১৫:০১551451
  • এখানে একটা উপন্যাস লেখা চলছে/৩

    বাওয়াল কি নিয়ে চলছে তা শুনলো মন দিয়ে সে। মানে মন দিতে হয় বলে দেওয়া আর কি! ছোকরা চাকরী পেয়েছিল উইক্রোতে। ভারতীয় মালিকের সফটওয়্যার কোম্পানি। পঃ বঃ-তে সে কোম্পানি একসময় বেশ গাঁদা ফুলের মালায় সেজে আসে। তাদেরকে জমি দেওয়া হয় রাজারহাটে। জমিতে শিল্প হলে তাদেরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। তার একটা নাম করা তকমা আছে। তাকে বলে SEZ, মানে স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন। আগে এইটা নিয়ে একটু চটকে নি, তাপ্পরে আসলি মালে আসবো।
    এইটা ২০০৫-এ এদেশে আইনে পরিণত হয়। হরেক রকম বানানেওয়ালা আসবে দেশে। তারা সব নানা জিনিস বানাবে-টানাবে। খুব সে চাকরী হবে। ব্যাপারটা হেব্বি ফুর্তির। তাদেরকে শুধু জায়গা দিতে হবে একটানা। যাতে সব রকমের যন্ত্রপাতি, ইউনিট, সঙ্গে সঙ্গে থাকা আরো সব দরকারী বানানোর ব্যবস্থা সব রাখা যাবে। অনেক দেশ এমন করেছে। খুব মাল কামাচ্ছে তারা। লে চম্পা! তাইলে আর কি! এত্তবড় দেশ জায়গা দিলেই হয়! হক্কলে দেশের দশের উবগারে লাইগবেন বুলে কুথা। যেখানে ভাল রাস্তা, বন্দর কাছে-পিঠে, যেখানে ভাল মতন বিদ্যুৎ, জল-টল দেওয়া যাবে-টাবে সেখানে বানানো হৌক।
    যারা মাল ঢালবে তারা বুইললো,
    - সে তো ভাল কতা হে হরেন, কিন্তুক আম্যি যে আঁইসবো তা সুবধে কি পাবো হে?
    হরেন তালিকা বানাতে বসলো। তার লোকজন সার্ভে-টার্ভে করে-টরে বললো লেবার ল টা বড্ড কড়া। এবং বেশ ওঁছা। কেননা এখানে অসংগঠিত শ্রমিকের কোনো নিরাপত্তা নেই আর সংগঠিত শ্রমিকের নিরাপত্তাই নিরাপত্তা। কাটাকুটি করতে হবে এতে। আইনের হদ্দমুদ্দো ঠিক করতে হবে। কিন্তু সেখানে হাত পড়লে বেশ চাপ। ইউনিয়ন এবং পলিটিক্যাল পার্টিদের বিপ্লবী বুলি আসবে। বন্ধ-হরতাল-চাক্কা জ্যাম। অনেক হাবড়া-লাবড়া। আবার না হলেও চাপ। দেশের প্রগ্‌তি রুক জায়গা মেরি জাঁ! শিল্পপতি দেশী ও বিদেশী, সকলে মাথা নেড়ে গম্ভীর ভাবে জানিয়ে দেবে এ দেশের আশা নেই। এ সরকারেরও না। পরের সরকারের জন্য ইনভেস্ট কর। কি দুর্নীতি কি দুর্নীতি! কি জঘণ্য কান্ড! যেন এর আগে কেউ দুর্নীতি করেনি। যেন এর আগে সকলেই খুব ভাল কাজ করতো। মানে নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে সেই দিয়েই সরকার শুইয়ে দেওয়ার খেলা। সকলেই বলে আমাদের দাবী মানতে হবে, নইলে গদী ছাড়তে হবে। শুধু পন্থাটা আলগ আলগ। আন্নার কান্না থেকে রামদেব কো গুস্যা কিঁউ আতা হ্যায় জাতীয় হরেক সিনেমা হবে। গদি বদল। পরের সরকার এসে দুর্নীতি ভুলে টুলে আরো বেশী করে মাল কামানোর লোকজন দিয়ে মন্ত্রীসভা, যন্ত্রীসভা যা পারবে ভর্তি করে দেবে।
    উদ্যোগ ভবনে মিটিং হবে। এই যেমন কদিন আগে হল। ৩০ শে মার্চ, ২০১২ তে। সকাল দশটার মিটিং-এ জানা গেল কত ধানে কত চাল।

    "...that as on 31.12.2011, over Rs. 2,49,630.82 crores have
    been invested in the SEZs and direct employment of the order of 8,15,308 persons has been
    generated in the SEZs. During the financial year 2010-11, total exports to the tune of
    Rs. 3,15,867.85 crores have been made from the SEZs, registering a growth of about 43.11%
    over the exports for the year 2009-10. Exports in the current financial year (i.e. up to
    31.12.2011) have been to the tune of Rs. 2,60,972.89 crores. "

    গুরুর মহিমা মাইরি। কি উন্নতি কি উন্নতি!

    ৪৩০ মিলিয়নের ওপরে লেবার আছে। এর তিনভাগের পাঁচ ভাগ জড়িয়ে আছে কৃষিতে। বাকীটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর সার্ভিস সেক্টরে। তার মধ্যেই আছে সংগঠিত-অসংগঠিত অংশ। যদি লেবার ফোর্স একটা রামধনু হয় তাহলে তার একদিকে আছে অসংখ্য কৃষিক্ষেত্রের শ্রমিক, আর অন্য দিকে আছে মাত্র আট শতাংশের 'হাই প্রোডাক্টিভিটি' ফোর্স। তার ভগ্নিপতি পরে ওই আট শতাংশে। এস ই জেড হলে কি হবে সুবিধে? এই বিরাট শ্রমশক্তিকে, যা নিয়ে ছোটবেলার ভূগোলে পড়া যেত সস্তা শ্রম ইত্যাদি, তাকে হাতে পেলে চীনের মতন খেলা জমিয়ে দেওয়া যাবে। হাতে পেতে গেলে একটু আধটু পরিবর্তন দরকার। না না, শ্রম আইন পরিবর্তন না। তাকে হাল্কা পাশ কাটিয়ে গেলেই চলবে।
    SEZ হল আইনের পরিভাষায় 'পাবলিক ইউটিলিটি সার্ভিস'। আর লেবার কমিশনারের বদলে এর ডিসপিউট দেখবে ডেভেলপমেন্ট কমিশনার অব এস ই জেড। ইনি হলেন ছোটখাট ভাইসর‍্রয় ইন হিজ ম্যাজেস্টিস গভর্ণমেন্ট। দন্ডমুন্ডের কর্তা ইনি সেখানে। কাজেই শ্রমিক মালিকের বিরুদ্ধে গেলে কি সুবিধে পাবে, যেখানে নাকি ধম্মোঘট নিয়েই এত্তো রাগ আছে সকলের সেখানে? তাছাড়া আইন অনুযায়ী পাব্লিক ইউটিলিটি সার্ভিসের জায়গায় ধম্মোঘট চলবে নি কো! তাহলে হাতে কি পেন্সিলও থাকলো মামা? না। থাগলো না। মাই বাপ যা কইবে তাই শুনতে হবে। জমিদারী বাপের কিনা জানতে চাস পাতি পাব্লিক? জমিদারী বাপের হয়নাকো, হয় দাপের।
    এখন এই এস ই জেড দিচ্ছে না বলে উইক্রো পঃবঃ-তে বেওসা নহী করেগা! ভনক্কম, ব্যবসা না করাক্কম।
    থালে কি হবে? ভগ্নিপতি এখন আকূল শোকে যে তার মাসে অন্তত চল্লিশ হাজার মাইনে পাওয়া হচ্ছে না। তাকে বা তার মতন অনেককেই যারা আবার নানা কাজ দেবার এজেন্সিতে নিজেদের প্রথম দু মাসের স্টাইপেন্ড (মাইনে না, কেননা এরা ট্রেনি ছিল) দিয়ে এসেছিলো চাকরী করতে, তাদেরকে পার্মানেন্ট করা হয়নি। হলেও এ রাজ্যে তারা থাকতে পারবে না। যদি হয় অবশ্য। এদিকে বাজারে জোর চলছে এদের জন্য নতুন সরকার লড়ে যাচ্ছে। কেন না শিল্প রাখতেই হবে রাজ্যে। শুধু এস ই জেড দেওয়া হবে না। সুপ্রিমো দেবেন না। দেবেনই না। কেন্দ্রকে শুধু বলেছেন তোমাদের দেওয়া এই স্ট্যাটাস। তোমরাই দাও কেনে? আমার হাত কেনো গন্ধ হবে? লাল গুলো দিয়েছিল, আমি দিব না। সুবিধা-টুবিধা পাবে, কিন্তু এস ই জেড নাম পাবে না।
    নানা হে নানা, দ্যাশে কি চইব্বো গ্য!
    মাথাটা কিড়বিড় করছিলো তার শুনতে শুনতে। সবে লেখাটা খুলছিলো এমন সময়ে...
    কিন্তু সত্যি তো স্বপন কেন এতো দুঃখি? কিম্বা তার বোন অজন্তা? এই চাকরী না পাওয়ার জন্য এত ফাটাফাটি? স্বপন এবারের ভোটেও লালেদের ভোট দিয়েছে সে জানে। কথায় কথায় লোকাল কমিটিতে যায়। মিছিল করে। সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক বলে। শ্রমিকের অধিকার নিয়ে খুব স্বরব। সে নিজেই কিনা সব অধিকার হারিয়েও চাকরী করতে ইচ্ছুক? কেন? তাহলে ওই অধিকারের লড়াই কি হবে? টাকা বেশী পেলে অধিকার ছেড়ে দেওয়া যায়?
    -আগের চেয়ে এখন যদি আমি ভাল থাকতে পারি তাহলে এই সব নিয়ে মাথা ঘামাবো কেন? এতো নয়াবাস্তবতা।
    স্বপন বলে। নয়া বাস্তবতা?
    - হ্যাঁ, পোস্ট সোভিয়েত এই বাস্তবতাই সৃষ্টি হয়েছে। চীনও এখন এ পথেই হাঁটছে। কত্ত কত্ত এস ই জেড সেখানে। আর হবে নাই বা কেন? বিশ্ব জুড়ে পুঁজি ব্যবসার জন্য সুবিধা পাচ্ছে, তাহলে এখানে কেন করবে অসুবিধেয়?
    আরো কত কি বলে চলছে স্বপন! পুঁজির বিনিয়োগ না টানা গেলে রাজ্যের কি হবে? কি হবে এখানের ছেলেমেয়েদের? তারা কি করবে? শ্রমিক চিরকাল শুধু শ্রমিক থাকবে? কৃষকের ছেলে কৃষক? এও তো বর্ণাশ্রম মাত্র।
    - অ্যাই স্বপন! কি হচ্ছে কি? এটা বর্ণাশ্রম?
    - নয়?
    - আরে তাহলে চাষ করবে কে? সকলেই যদি কেরানী হয় খাবার কে উৎপাদন করবে?
    - ও! সেই জন্য আমাদের উন্নতি হবে না?
    - তুমি চাষী কবে হলে?
    - না মানে আমাদের কৃষকের উন্নতি হবে না? তারা শুধু আমাদের জন্য খাবার উৎপাদন করবে বলে সেখানেই থেকে যাবে? তাদের সামাজিক সন্মান বাড়বে না কখনো? তারা আমাদের শুধু বাবু বলে যাবে, আর আমরা 'কিরে', 'তোরা' বলে ওদের...

    আবদুল,রহিম, রাম, লতিফের সন্মান বাড়লো না এই চক্রান্তে! তার মানে যারা এর বিরোধ করে তারা চায় না এ পুঁজির চলনে স্থিতাবস্থা ভাঙুক। স্বপন বলে যাচ্ছে প্রাণ ভরে। দেশের উন্নতির প্রতি এ বিশ্বাসঘাতকতা হচ্ছে। জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে।
    - একটা এস ই জেড দিলে কি হয় এমন?
    কদিন আগে তার বোন অজন্তা বলেছিল। সারাদিন তার মন খারাপ ছিল। সিটি সেন্টারে যাবার কথা, যাওয়া হয়নি। তাদের ফ্ল্যাটের ভাড়া চোদ্দ হাজার। তাদের এসি-র বিল মাসে অন্তত তিন হাজার। তাদের পেট্রল বিল...
    এই সব পেরিয়ে তার এখন সিটি সেন্টার যাওয়া হচ্ছে না। ছেলেকে দিয়েছে এমন ইস্কুলে যেখানে মাসে এখনি ফি দিতে হয় আড়াই হাজার। বাস আর স্কুল মিলিয়ে। এখন তার ক্লাস ওয়ান। অজন্তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে স্বপনের ব্যবসা ভাঙার পর থেকে। নিজের শ্বশুরবাড়ি বিক্রি করে উঠে আসতে হয়েছে ভাড়াবাড়িতে। কিছু টাকা ধার মেটানো গ্যাছে অন্তত। সে আর নিতে পারছে না। এতে আসলে শ্রমিকের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি এত এত টাকার কর ছাড় দিয়ে দিলে। কেন না পনেরো বিশ বছরের কর ছাড় সব। ফিসক্যাল ডেফিসিট-এর সুবিধা পাবে। তারপরে বিশ বছর পরে একদিন যদি চলে যায় ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে কারোর কিচ্ছু করার নেই। কেন না যে সব কোম্পানি এই সব বানায় তাদের মেজরিটি স্টেক হোল্ডার যে সব দেশের তাদের সামরিক শক্তি অনেক বেশী। তারাই এখন দুনিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। তখন সরকার বুড়ো আঙ্গুল চুষবে। জনগণ আরো লাথ খাবে। কেন না তার আরো সম্পদ চলে গেল। যারা কাজ করছিল তাদের মুছে যাওয়ার হাল হবে।
    - এমন হতেই পারে না।
    স্বপন সেদিন মধ্যিখানে কথা বলে।
    - তাহলে অ্যান্ডারসনের অর্জুন সিং-এর উদ্যোগে ভারত ছেড়ে পালানো থেকে ভোপালের ইউনিয়ন কার্বাইডের প্রায় কোনো ক্ষতিপূরণ না দেওয়াকে কি ভাবে ব্যাখ্যা করবে?
    - দূর বাবা। আমার অত জেনে কাজ নেই। এটা যদি ভাল না হয় তাহলে এটা অন্তত দিয়ে বাকীগুলো বন্ধ করে দিক।
    অজন্তা বলে ওঠে। অজন্তা, ইকোনমিকস নিয়ে বি.কম করেছিল। অজন্তা কোনোদিন একটা চাকরীও করতে চায় নি। তার কাছে চাকরীর সম্ভাবনা এলে মুখ ঘুরিয়ে চলে গ্যাছে। অজন্তার ফ্ল্যাটে কাজের লোক রান্না করছিল তখন। রান্না করে কাজের লোক চলে গেলে স্বপন-অজন্তার বন্ধুদের আসার কথা। তারা সব সন্ধেবেলা লুডো খ্যালে। অজন্তার মুখে-চোখে কাল্মেঘ পাতার রস খাবার এক্সপ্রেশন।
    (চলছে)
  • শ্রমণ | 127.194.224.105 | ১৫ জুন ২০১২ ২১:১৪551452
  • এখানে একটা উপন্যাস লেখা চলছে/৪

    ।।৪।।
    'আচ্ছা স্যার, বসন্ত যখন গুটি গুটি পায়ে হেঁটে আসে তখন তাকে গুটি বসন্ত কেন বলা যাবে না? কেন মারি বসন্তকে মারি বসন্ত বলতে হবে?'

    খুব হারামি ছিল ছাত্রীটা। কোনো বিষয়ে সে তাকে বকলেই হল। নিরীহ মুখ করে এমন এমন সব প্রশ্ন করতে শুরু করে দিত। সে থমকে বমকে যেত। যা শ্লা, ই আবার কি? উত্তর দিতে না পারলে মটকাটা আরো গরম হয়ে যেত। কিন্তু কাজে লাগতো মেথডটা। সে যখন এমন কোনো বাওয়ালে পরের দিকে পড়েছে তখন কাজে লাগিয়েছিল মেথডটা। মুখটাকে যথাসম্ভব সরল করে আনসান প্রশ্ন করতে শুরু করে দিত। স্বপনের কথার মধ্যেই সে এমন কাজ করতে শুরু করলো।
    - আচ্ছা স্বপন, ইয়ে একটা কথা আমারও জানার ছিল বুঝলি?
    - অ্যাঁ-
    স্বপন তোড়ে ছিল তখন জনগণের ন্যায়-অন্যায় নিয়ে। যে সব খিস্তি সে বৌকে করতে পারে না সে সব খিস্তি মনের সুখে দিয়ে আরাম করছিল। তার কান গরম হচ্ছে, লেখার গাঁঢ় মারা যাচ্ছে আর তুমি খিস্তি মারাবে? দ্যাখ কেমন লাগে!
    - অ্যাঁ, ইয়ে বল-
    - একটু অস্বস্তি লাগছে তোকে বলতে। হাজার হোক তুই আমার ছোট। - জানিস- কি যে বলি-
    - আরে বল না বল?
    - এমন একটা কথা না কি করে যে-

    আদ্ধেক আদ্ধেক বাক্য দিয়ে খেলিয়ে নিচ্ছিল সে। এই বাক্যগুলো টেনশন রাখতে খুব সাহায্য করে। ক্লাসিক্যাল ন্যারেটিভে হেব্বি সুড়সুড়ি এই বাক্য-গঠন।
    - আরে বল না! কি আশ্চয্য!
    স্বপন রেফ উচ্চারণে দুর্বল। অনেক সময়েই পড়ে না। উচ্চারণে বানান ভুল।
    - বলছিলাম তুই তো- মানে তোরা তো ইয়ে ব্যবহার করেছিস- তা আমাকে
    - ইয়ে কি?
    - ওই যে, সব অ্যাড-ট্যাড দেয় না?
    - যাঃ শালা, হেঁয়ালী জুড়লে নাকি?
    - আরে কাগজে-টিভিতে এখন-
    - দূর! পরিস্কার বল। শালা হাজারো জিনিসের অ্যাড দ্যায়!
    - জাপানি তেল।

    অনেক কষ্টে যেন বলে ফেলেছে সে এমন একটা ভাব করে। ফোনের এপারে হলে সুবিধে হল মুখ দেখতে পায় না। তাই মুখ বানানোর দরকার নেই।
    -অ্যাঁ?
    - হ্যাঁ রে ভাই! মানে আমার একটু-! বাড়িতেই বেশী থাকি তো। এক্সারসাইজ হয়-টয় না। তাই ওই-
    - সুমিতা জানে? মানে জানবে?
    - হ্যাঁ- মানে না না! যদিও আমরা আলোচনা করেছি অনেক। বুঝলি যখন শুনলাম তোর দুদিন দাঁড়িয়ে ছিল তখন ভাবলাম তাহলে একটু গায়ে-গতরে নড়াচড়া হবে-টবে। তাহলে আমার মেদটাও একটু কমতে পারে। অন্য সময় তো পাই না না! ব্যায়াম-ট্যায়াম করার- ! সুমিতাও বলছিল-

    স্বপনের ট্র্যাক বদলে যায় এবারে। আলোচনা গড়াতে থাকে অন্য খাতে। আর স্বপন উসখুস করে ফোন ছাড়ার। খবরটা অজন্তাকে না দেওয়া অব্দি শান্তি হবে না তার। পিওর বাঙালি ভাই, পিওর বাঙালি! কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোন ছেড়ে দিল স্বপন।

    লেখা? লেখার তো মা মারা গ্যাছে শালা! আবার এখন সব কিছু সরিয়ে রেখে বস! তবে যদি কিছু বেরোয়। লেখা কি চাট্টিখানি কাজ? ইচ্ছে হলেই বসা যায়, লেখা যায়? লেখার টানাপোড়েন কি সাঙ্ঘাতিক মাইরি! এই জন্য সে কবিতা লেখাই ছেড়ে দিল। আরে হাগতে বসেছে, এদিকে মাথায় কবিতার লাইন ঘুরছে। সে লাইন ধরে রাখা যাচ্ছে না। আবার হাতের কাছে কাগজ-ও নেই। উঠে লিখবে সেটাও সম্ভব না। সেদিন আবার একটু ডিসেন্ট্রির মতন হয়েছিল। তাই পাতলা আর বারবার। তার মধ্যে কেন যে কবিতা শালা কে জানে! সকালে ওই একটা প্রবন্ধ পড়তে পড়তে হাগতে এসেছিল। প্রবন্ধটা ছিল কৃষকের সমস্যা নিয়ে। সেখান থেকে কবিতা বেরোবে? মাইরি, আজিব জীবন তো কেলানে? সেই লাইন ধরে রাখা গেলই না। হাগা শেষ, কিন্তু কবিতা আর এলো না। আবার কিছু পরে হাগাও পেয়ে গেল মাথায় অত চাপ দিতে দিতে। তবু কবিতা না। সেই শেষ। আর কবিতাই লেখেনি দশ বছরে। শালা, নিমকহারাম। শান্তিতে খেতে-হাগতেও দিবি না? এখন গদ্য চালায়। এখন সেই গদ্যে আবার চেপে বসতে হবে। ভাল করে চেপে ধরে...। যদি হয়, যদি হয়...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন