এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বূকইনেমনোয়

    E
    অন্যান্য | ০৫ এপ্রিল ২০১২ | ৬০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • E | 14.99.2.76 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০০:০৩537274
  • ভুটান নিয়ে লিখলে হয়
    পাটালি গুর নিয়েউ লেখা যায়। আপাতোতো ভুটান
  • Tim | 198.82.16.200 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০০:০৫537285
  • বিগি, এইভাবে

    aapaatata = আপাতত
    gurh= গুড়
    niyeo= নিয়েও
    ফুলস্টপ = দাঁড়ি।
  • hu | 12.34.246.72 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০০:১২537287
  • পাটালী গুড়টা কিন্তু আমার প্রেফারেন্স ছিল।
  • Nina | 69.141.168.183 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০০:১৭537288
  • কিম্বা
    মাষ্টারমশাই=তিমিমাছ
  • E | 14.99.2.76 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০০:২৯537289
  • ধন্য বাদ ।
    ভুটানে কাটালুম ৫ বছর। আড়াই বছর ৩ মাসের মাথায় লামু এসে বোল্লে : সিতার দোর্জি কে চেন ? না ,চিনিনে। বেশ,তবে এই হল সিতার ।

    ফুট ছয়েক এর লম্বা, কানে মাকরি এর বেশি বন্নোনা এখন দেবনা। সে স্নো ম্যান ট্রেকের একমাত্র গাইড। পথ চেনে। বরফ চেনে। আর চেনে ঈআক। সিতার উঠ বোল্লে ঈআক রা হান"টে। বোস বোল্লে হা'ণ্ট তে হা'ন্ট তে মরা ঘাস চিবোয়।
  • pi | 128.231.237.7 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০০:৩৭537290
  • haa`nTate = হাঁটতে

    iyaak = ইয়াক
  • E | 14.99.2.76 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০১:১৫537291
  • হাঁটতে নিলুম। ঈআক থাক। একটা ঈআআ ঈআআ ব্যাপার আস চে।

    ঈআআ ঈআআ ঈআক দেখেছিলুম বুম্‌থাঙ্গ এর পথে। তবে সেখানে তো সিতার ছিলনা,তাই তাদের পিঠে চাপা হয় নি। মার্চ এর ঠা ঠা রোদ্দুরে আল্ফাআল্ফা চিবিয়ে দোক্কিন এশিআর রাজ নৈতিক ভবিস্‌সত নিয়ে আলোচোনা কোচ্ছিলো ব্যাটাচ্ছেলেরা। মেয়ে র ছিলো না।তাদের পোয়াতি কাল।দুধ হবে ।দুধ থেকে চীজ। মাখ্‌ন। ছুর্পি।

    সেই ছুর্পি মুর্ধাবর্ণের মোতো আঁক রে ধরে চুষ তে চুষ তে আপনি পৌছে যাবেন মোঙ্গোর। ছুর্পি গলেনা। মোতি থাঙ্গ । একটু বুঝি দাঁত বোসলো।কুর্জে থাঙ্গ। বলে দিতে হবে নাহ। ব্লাক মাউন্টেন রেন্‌জ এর সমস্ত উপোত্যকার সমস্তো ঈআক এর গায়ের গন্ধো ছুর্পি র গন্ধো হোয়ে ওক্ষিপিত্তাল এ গিয়ে হেডানকোলিশান।

    এতোক্‌খনে ছুর্পি গলেচে।
  • একক | 24.99.82.55 | ১৪ মে ২০১২ ০১:৩৯537292
  • চাগ্রি তে ছুটি নাই ,মানে দেবে না আর কি . এনজয় দা ল্যান্ড অব থান্ডার ড্রাগন কীপিং ইউর ফোন অন ! মাঝখানে কায়দা কল্লুম . মোবাইল টাকে ম্যানুয়াল নেটওয়ার্ক মড এ রেখে একটা ভুলভাল নেটওয়ার্ক ধরিয়ে দিতুম. কেউ ফোন কল্লেই "আউট অফ নেটওয়ার্ক" . সুখ টিকলো নাহ .
    এবার তো এক লপ্তে ১৫ দিক দক্কার . দিলুম ঝাঁপ . বিলা ক্যাচরম্যাচর . ফোন কেন অফ থাকবে ? পারো যাও থিম্ফু যাও ,সব ছেড়ে ট্রেকিং ক্যান ? আমি কি শালা সাক্কাস দেখতে ভুটানে বাসা গেরেছি যে ঘিঞ্জি শহর থিম্ফু তে গিয়ে টাইম বরবাদ করবো ! যেকরেই হোক ছুটি আমার চাই .

    য়াদ্দুর লিখে রাস্তায় হাঁটতে গেসলুম. দেওরাজের ফোন . চেচে দের অর্চার্ড-এ বসে মচ্ছব কচ্ছে ব্যাটারা. মন টা কেমন ভেবলুস হয়ে গ্যালো . সিতার দর্জির গপ্পো আর বলবনা. পরে. আবার ইচ্ছে হলে.

    আজ কি পুন্নিমা ? শহরে থাকলে আমি চাঁদ দেখিনা . অমন ন্যাবায় পাওয়া কনভলুতেদ চাঁদ আমার পোষায় নাহ. আজ পুন্নিমা হলে , সিমতখা থেকে বাঁদিক ধরে যে রাস্তা টা প্রথমে উঠে গেছে আর তারপর নেমে গিয়ে আর রাস্তা নেই ,সেই থিম্ফু-ছু নদীর ধারে চেচে -দের এপল-অর্চার্ড আর ভুট্টার খেত পাশাপাশি . পুন্নিমা না হলেউ ওখানেই কিন্তু তখন তো পাহাড় দেখা যায়না জঙ্গল দেখা যায়না নদী দেখা যায়না. শুধু থিম্ফু-ছু এর ঝিল-ঝিল শব্দ . বা হয়তো শুকনো ম্যাপল-এর পাতার . বুনো-শুওর মারার পার্মিশন আচে বটে, কাগজখানাও সযত্নে রাখা লামু-র বুকপকেটে. আমরা জানি. শুওর রা তো জানে নাহ ! চেচে তাই পইপই করে বলেছে :সামলে চলো ,দেখে চলো. আমি মরলে লাখাং এ পুজো হবে , অমমনিপেম্মে দিয়ে গপ্পো শেষ, তোমার কিছু হলে আমাদের গুষ্টিসুদ্ধু কে রাজা ফাটকে পুরবে কিন্তু . দেখবো কি ? মথা সমান ভুট্টার খেত . তেমনি ঘন কুয়াশা.

    আর তেমনি জোঁক . কোন শালা বলে রাত্তিরে জোঁকের উত্পাত কম .একবার এরকম সারা রাত ছু-এর জলের ধারে চিত্পাতিয়ে থেকেউ যখন ইসুন্খওয়া-র দেখা পেলুম নাহ , ভোর বেলা টানডিনে ফিরে কাউন্টারে শু-জাহ তে চুমুক দিচ্ছি আর পাশ থেকে লামু : পেপ ঠোঁ চি . সেডা কি ? জিজ্ঞাসু চোখে তাকালুম. তার চোখে বিশেষ তাপ-উত্তাপ নেই. শুধু কয় : পেপ ঠোঁ চি . কিছু একটা লেগে আছে গায়ে কোথাউ , বুঝতে পারছি. পেপ টা কি বুঝি নি , অন্ততঃ যতক্ষণ না বাম হাতের উল্টো পিঠ এ এক্ সঙ্গে ৫ টি অনগুলিমাল শয়তান আবিস্কৃত হয় . লামুর এই অদ্ভুত ঠান্ডা এটিচুড টা আমার হেব্বি লাগে. যাই ঘটুক শান্তভাবে জানিয়ে দেবে . কোনো চাপ নেই জীবনে. আমাদের সেই দত্তফুলিয়া-র মাঝি র মতো .

    ২০০১ এর কথা . ইচ্ছেমতি ভেসে চে সঙ্গে আশেপাশে যত্ত গ্রাম . এত্তা ডিঙ্গি নৌকা তে আমি,অর্ক,সুব্রত. মাঝ নদী থেকে দুপাশ তাকালে শুধু ধু ধু . একের পর আরেক . ম্যাপ দেকচি. গ্রাম চোখে পরছেনা. মাঝির কাছে বিড়ি চাইতে সে খুসি হয়ে দিলো ,আর একটু গলা নাবিয়ে বললে "নৌহায় সাউ 'ধেল" ,বা এরকমই কিচু. আমি তো সুখটানে. বন্যায় ভেসে যাওয়া মানুষ এর চিন্তার চেউ ইছেমতির রূপ তখন আমাকে গিলতে শুরু করেছে . এমন সময় প্রবল হট্টগোল , অর্ক জলে ঝাঁপ দিতে যায় , সুব্রত মহা খেপে তাকে " শালা কাপুরুষ ঘটির পোলা " ইত্যাদি ক্লীশে-তে ভূষিত কছে কিন্ত নিজেউ থরথরাওমান !

    দুজনের দৃষ্টি মাঝের জল জমে থাকা খোল টায় . আর মাঝি একটু বিরক্ত হয়ে বলছে "মুই তো বন্নু, নৌহায় সাউ ধেল " . নিজজ্যস সত্যি কথা. আধ-ডুবে থাকা কলাবন পেরিয়ে আসার সময় একটি শিশু চন্দ্রবোড়া আমাদের আতিথ্য গ্রহন করেছিলো. মাঝি সেটা কোনরকম কমিশন খেয়ে চেপে গ্যাছে এমনও নয়. তাহলে খামোখা বাওয়াল কেন বাপু ??

    লামুও সেরকম . নইলে কখনো তাকে গেয়গ এর গপ করা হয় . নাকি আমরা তাকে বুনোশুকর-শিকার অভিযানের দলপতি বানাই !
  • একক | 24.99.187.20 | ১৫ মে ২০১২ ০১:১৬537293
  • এবারে সুব্বা সঙ্গে আসেনি . তার দু নং বউ এর এক নং বাচ্ছা হবে. থিম্ফু হাসপাতালে হলে কোনো চাপ ছিলনা. এই এট্টু আসছি বলে দলে ভিড়ে যেত. কিন্তু সে গেছে সাম্দ্রুপ জংখাগ . সুব্বা এলে আমাকে মদের ব্যাপারে কোনো চিন্তা করতে হয় না. ঠিক জায়গা বুঝে মনে করিয়ে দেবে :চলো গাড়ি লোড করে নি, এরপর দোকান পাবেনা ; শুধু জঙ্গল. কিন্তু এই লপ্তে সে নেই . কাজেই আমার দায়িত্ব বেড়েছে.

    সোনম কে নিয়ে নিজেই বাজার করে আনলুম. বাজার আর কি. কচি শুওরের ঘাড়ের কাছের চর্বি আর একটা বড় পাঁজরের চাং . সর্ষের শাক পাওয়া গেলো কচি কচি, রওভা থেকে এসেচে . এক ঘন্টা কিচেন এ খন্ডযুদ্ধু করে ফাকসা-পা রান্না হল . মদ আছে পরিমান মতো . সারা রাত্তিরের ব্যাপার যা হোক. আট বোতল হুইস্কি উঠেচে আর লামু তার গ্রাম থেকে নিয়ে এস্চে পাঁচ লিটার তোমবা . ফার্স্ট -কাটের মাল. চেখে দেখেছি. খাসা জিনিষ ! শেষ মুহুর্তে চে চে এসে একটা মনিপেম্মে -মার্কা হাসি দিয়ে বল্লে :দেখো . কি এনেছি . হাতে একটা প্রমান সাইজ এর বস্তা . হ্যা , বস্তা . প্যাকেট নয়. প্রায় ৬-৭ কেজি পরিমান ঈআক -এর মাংস ভাজা . ভোট-জলোকিয়া র গন্ধে ম-ম কচ্ছে !!! শিকারে চলেছি না পিকনিকে ??
  • একক | 24.96.70.221 | ১৫ মে ২০১২ ১২:১৬537275
  • শুধু সোনম উসখুস কচ্ছে কিরকম . পেমার সঙ্গে একচোট হয়ে গেলো তার. মেঝেতে এক কোনে বসে ব্যারেল চেক কচ্ছিল পেমা . তার ডানপাশে রাখা একটা ৬ মিমি রেমিংটন . কোলের ওপর আরাআরি আরেকটা ৩৮-৪০ উইনচেস্টার ফেলে তার অটুট যৌবনের পরীক্ষা চলছিলো . এমন সময় সোনম পা ফাঁক করে তার সামনে দাঁড়িয়ে : তোমার ওই ঢপের উইনচেস্টার টা কে নেবে শুনি ?
    পেমা কিছু বললো না . এমনিতেই সারা রাত পাশা খেলেছে আর সকাল হতেই বসেছে বন্দুক নিয়ে . ঘুমের অভাব এবং ঘন ঘন হুইস্কিতে তার চোখ লাল . একবারটি মাথা তুলে তাকিয়ে আবার নল ঘসাঘসি তে মন দিলো.
    "৩৮-৪০ দিয়ে বুনো শুওর মার্বে ?? একি ফুনত্সলিং বাজারের পোল্ট্রির শুওর পেয়েছে নাকি হে ? "

    এবার , খুব মৃদু স্বরে; কাজ করতে করতেই : "বেশ ওটা আমি নেবো , রেমিংটন টা তোমার"

    ব্যাস . আগুনে ঘী পরলো.

    এখানে এট্টু বলেকয়ে না নিলে পাঠকের মার খাবো . একে তো হটাত কথা নেই বাত্তা নেই গুলিসুতো পাকিয়ে শিকারের গপ্পো ফাঁদ তে বসেচ . তাও বাঙালির কাছে ? বাঙালি পাড়ার কুকুরকে জেনেশুনে তেলেভাজা খাবার খাওয়াবে কিন্তু গুলতি দিয়ে একটা কাগ মেরেচ কী বন্যপ্রানী সংরক্ষণ ! হ্যা, বনের পশু-পাখি-গাছ ভুটানেও সংরক্ষণ করা হয় এবং সেটা লোক দেখানো নয় . কিন্তু চাষীদের কাছে বুনো শুওর শিকারের পারমিট থাকে , আর পাঁচটা সভ্য দেশের মতই . কাজেই কিছুটা ফসল বাঁচাবার তাড়নায় আর কিছুটা শিকারের নেশা , বুনো শুওর শিকার এখানে কোনো দুর্লভ ব্যাপার নয়. আর তার ওপর যদি সেই শিকার পার্টির নেতা হয় লামু, সোনম,পেমা ত্শিড়িং -এর মতো লোকজন.

    ক্যালিফোর্নিয়া তে ৪ বচ্ছর কাটিয়ে সোনম ত্শিড়িং পড়াশোনা কী করেছে আমি জানিনে ,তবে চোস্ত হয়েছে ইংরেজি আর তার মনে ধারণা জন্মেছে যে পেমা কে বন্দুক নিয়ে দু কথা শোনাবার হক্ তার আছে. সত্যি তো . ৩৮-৪০ কোনমতেই বিগ-গেম রাইফেল নয় . বুনো শুওর বিগ গেম না হলেউ সে অনেক বাঘা বাঘা শিকারীর ত্রাস . হাতের বন্দুক হাতেই থেকে গ্যাছে আর জরাসন্ধের মতো শিকারীকে চিরে ফেলেছে বন্য বরাহ এমন গপ্পো শুধু গপ্পো নয় . কিন্তু পেমা ? সেও তো সম্পর্কে সনমের কাকা . এইসব সোনম -লামু এরা যখন জন্মায় নি , যখন এই সিমতখার ধার দিয়ে ইন্ডিয়ান রা এসে রাস্তা কাটেনি তখন থেকে শিকার খেলছে সে . সফট-নোজ রাইফেল হোক কী আন্ডারওয়েট বুলেট , নিশানায় দেগে দিলে শুধু বুনো শুওর ? ব্লাক মাউন্টেন রেঞ্জের কত ভালুক থেকে কেঁদ বাঘ সাবাড় হয়ে হয়ে গেলো তার সামনে . সেদিনের পুচকে ভাইপো এখন বন্দুক চেনাচ্ছে !

    তাই আঁত-এ ঘা টাকে দক্ষ শিকারীর কায়দায় ঘুরিয়ে দিলো সে . খারাপ যখন তখন খারাপ টা সেই নেবে. সোনম নিক না রেমিংটন টা . খাসা জিনিষ . ঝকঝকে খেলনা বাচ্ছাদের হাতেই মানায়. এমনটা তার মনোভাব . সোনম মুখে কিছু বললো না. আমার পাশে এসে খানিক গজগজ করলো . "ওল্ড বাগার" না কিসব বিরবিরালো . আমি একবার মুখ তুলে বল্লুম "বার্গার? " তাতে আরও খচে গিয়ে আমার বোতল থেকে খানিক রাম গলাধকরণ করে সোজা ঘরের বাইরে পাটাতনের ওপর পা ঝুলিয়ে বসে মোবাইল ফোন নিয়ে খুটখাট কত্তে লাগলো.

    এদিকে আমার অনেক কাজ . জিনিসপত্র ছড়িয়ে পরে আছে . গোটাতে লাগলুম . বাইরে পপলারের ছায়ায় বসে সোনম কাকে একটা ফোন করছে . জুম্জা-য় ল্যান্ড স্লাইড হয়েছে ? বলে কী ! এইতো আসার সময় কতক্ষণ আটকে ছিলুম. আবার সেই গাড়ি তে বসে সময় গোন . দুটো দুটো করে ডায়নামইট চার্জ করবে আর এস্কাভেটার দিয়ে পাথর সরাবে . ততক্ষণ গাড়ি তে বসে থাকো চুপচাপ . সবাই সবাই কে ফোনে ফোনে জানিয়ে দেবে অমুক পয়েন্ট এ ধস . বন্ধু অপেক্ষা করে করে বিরক্ত হবে না . প্রেমিকা সন্দেহ করবে নাহ এমনকি আপিসের বস্-ও দেরী হবার কারন জানতে চাইবে নাহ .তখন সব ঘড়ি থেমে যাবে . পাহাড়ের ঘড়ি . সমতলের অপিসবাবুর রিস্ট-ওয়াচ নয়.
  • সিকি | 132.177.179.81 | ১৫ মে ২০১২ ২২:০৩537276
  • মোটামুটি মন্দ হচ্ছে না। "নাহ"-গুলো শুধু "না" হলে আরো ভালো লাগত। কেমন অবাঙালি অবাঙালি শুনতে লাগে "নাহ" শুনলে।
  • একক | 24.99.216.240 | ০৮ জুন ২০১২ ০৬:৪৭537277
  • পঞ্চম এন্ট্রী
    ~~~~~~~

    আর পোষাচ্ছে না. কি হবে এসব লিখে.

    মোদ্দা কথা টা তো এই যে গতকাল রাত্তিরে বেজায় গরম পরেছিলো আর আমার বাঙ্গালোরের রুমমেট কম্বল গায়ে দিয়ে পাখা কমিয়ে কেত্-রে ঘুমলো টানা ১৪ ঘন্টা . সাধনা না থাকলে এসব হয়না . লেখার সাধনা নয় , ঘুমের . আমার কি সহ্যশক্তি কমছে ? বা একেবারেই পোষাচ্ছে না শহরের বাতাস . জানি না . শুধু গরম -ঘাম-ধোয়া-ধুলো-র মধ্যে চোখ বুজলে দেখছি লামু স্যান্ডুইচ বানাচ্ছে সবার জন্যে . সোনম আগুন জ্বালিয়ে ইয়াক-শা-কাম সেদ্ধ করছে. লামুর বউ পাশের ঘরে ধুনো জ্বালিয়েছে . কাঁচা রেসিনের অদ্ভুত গন্ধ -দেয়াল থেকে উঠে আসা পাইন কাঠের সুবাস আর ইয়াকের মাংসের গন্ধ . খিদে পেয়ে গ্যালো !

    এমনিতে ব্রেড-বাটার , স্যান্ডুইচ আমার দুচক্ষের বিষ . কিন্তু প্রথমবার লামুর বাড়ি এসে এই স্পেশাল স্যান্ডুইচ টা খেয়ে তাজ্জব বনে গেসলুম . ব্রাউন ব্রেড , ফালি ফালি করে কাটা ইয়াকের সেদ্ধ মাংস , বুমথাং-চীজ আর ওয়াংদি থেকে আসা টমাটো এই দিয়ে বানানো সেই বস্তু . আর তার মধ্যে বীফের আচার দেওয়া . অমন মাংসল এবং ঝাল স্যান্ডুইচ দেখলে ভারতীয় আম্রিকানরা হয়তো আঁতকে উঠবেন . কিন্তু আমরা গোগ্রাসে খেতুম . দু থেকে তিনখানা পেটে চালান করলে তারপর আপনি মঙ্গর যান , ওয়াংদি যান , জাকার যান ; ল্যান্ড স্লাইড এ গাড়ি আটকে পরে থাকুন দুই ঘন্টা যাই হোক না কেন কিছুই টের পাবেন না. পেট ভর্তি তো গাড়িতে চরে ফুর্তি . পেট খালি থাকলে ৮০-১০০ কিমি গতিবেগে যখন গাড়ি বাঁক নেবে একটার পর একটা হেয়ারপিন ধরে তখন পেটের ভেতর কলকল শুরু হয়ে যাবে . কাজেই আমরা যে যতটা পারলুম স্যান্ডউইচ সাঁটিয়ে নিলুম বীয়ার সহযোগে . ঘন্টা চারেকের জন্যে নিশ্চিন্তি .

    সোনম আবার মুডে ফিরেছে .

    শিস দিয়ে দিয়ে যে গান টা গাইছে সেটা অনেকবার শুনেছি .অদ্ভুত সুর. অদ্ভুত মানে পাহাড়ি গানের সুর যেমন হয় সেরকমই কিন্তু যেন খুব দুরে কেও গাইছে মনে হয় . সোনম অবিশ্যি পাশে দাঁড়িয়ে শিস দিচ্ছে . আস্তে আস্তে হান্টার বুট ঠুকছে ফায়ার উড -এর মেঝেতে . কিন্তু তবু মনে হয় দুরে কোথাও গাইছে ,এক নয় অনেকজন.

    আপিসে যোগ দেবার মাস চারেক বাদে একটা পূজোর দিনে প্রথম শুনেছিলুম. দেখাও সেই প্রথম. বড় একটা গোল্লা পাকিয়ে প্রায় বিশ জনে মিলে খুব টেনে টেনে সুর করে গাইবে আর খুব ধীর লয় এ হাত ধরে ধরে নাচ. সবাই যে গাইতে জানে তা নয় . দ্রালহা ফ্যাক্টরির চিফ একাউন্ত্যান্ট ঈজে শোমো মূলত গাইছিলো. তার সঙ্গে সবাই ধুও দিয়ে যাচ্ছে . আমি একটু দুরে দাঁড়িয়ে সিগারেটে টান দিচ্ছি, এমন সময় ছিমি এসে পাকরালো. চলো চলো আমাদের সঙ্গে নাচবে ! মুখটাকে যদ্দুর সম্ভব বিটকেল করে বল্লুম : আমি নাচতে জানিনা ! সেকি ? তুমি এতবড়ো ছেলে নাচতে জাননা ?? এবার আমি কোথায় যাই ! এ কোথায় এসে পড়লুম . একটা পুঁচকে মেয়ে আমাকে রীতিমতো পুরুষত্ব নিয়ে খোঁটা দিছে ! এরকম যে জীবনে কোনদিন ঘটেনি আগে তা নয় . দেশী পার্টিতে কেও নাচতে বল্লে কাটিয়ে দি. নাচবি তো বাবা সেই হিন্দি নয় ইঞ্জিরি গানের সঙ্গে . হাত-পা ছুঁড়ে নকল-নবিশি . কাটিয়ে দেওয়ার ভঙ্গি তে এমন কিছু হাই-ব্রাও গপ্পো থাকে যে মহিলাকুল আর ঘাঁটান না বিশেষ . কিন্তু এ যে সমূহ বিপদ . এখানে ওসব কফি-হাউসের যুক্তি খাটবেনা . ভুটানের এই নাচ এই গান বৌদ্ধধর্মেরও জন্মের আনেক আগের ,সেই প্রকৃতি পূজার সময় থেকে . আর ওসব ইতিহাস-ভূগোল ছেড়ে দিন মশাই মেয়েটি ততক্ষণে তার আরো কয়েক সঙ্গিনী কে ইশারা করে দিয়েছে এবং তারা ঘিরে ধরে স্যার স্যার নাচবে চলো ! উফফ কী করি ? কফি হাউস বাঁচাবেনা . এন্টি - এস্টাব্লিশমেন্ট বাঁচাবেনা . খিইইইইই চাপ ! সুব্বা মানে আমর ডিপার্টমেন্টাল বস্ এমন সময় কানের কাছে মুখ এনে বল্লে : অত ভেবো না . নাচের স্টেপ খুব সোজা . চলে এসো .

    সেই প্রথম ওদের সঙ্গে এক হয়ে যাওয়া . নাকি এদের ? নাকি আমাদের ? আমি কি কোনদিন এক হতে পেরেছি . নয়তো হয়তো ধুত্তেরি ! অতো কিছু বুঝিনা আজকাল . শুধু যখন ওই গানের সুর টা কানে আসে তখন মনে হয় কলকাতার আগে কানাগলি চোঙ্গা ফোঁকা চিত্কারের অনেক অনেক আগে কোথাও টান রয়ে গেছে পাহাড়ের সঙ্গে .
    প্রথম যখন পাহাড়ে আসি ৫ বছর বয়েসে বাবাকে গাড়িতে উঠে বলেছিলুম : কী দেখতে যাচ্ছি ? পাহাড় .
    গাড়ি চরাই ভেঙ্গে উঠছে . বাবা , পাহাড় কখন দেখবো ? এইযে ,দেখছি তো ! সব ই তো পাহাড় .

    এই হলো ব্যাপার . এ লেখায় কোনো গপ্পো নেই . নায়ক নেই. নায়িকা নেই.
    যতই পড়ে যান নতুন কিছু পাবেন না .সব পাহাড় . আর কান পাতলে সেই একনাগাড়ে একভাবে ভেসে আসা গানের সুর

    ঈঈয্য ইইইইও ত্সে ঙাই শো গী ইয়াসে জ্জা়ে ইইই ......... [ ও মাদার , দাই চাইল্ড হ্যাস কাম টু দী ]
  • hu | 22.34.246.72 | ০৫ জুলাই ২০১২ ২০:০৬537278
  • এই লেখাটা এগোক।
  • I | 24.96.157.78 | ০৫ জুলাই ২০১২ ২২:২৫537279
  • আহা, বড় ভালো ! একটু এলোপাথাড়ি, একটু কল্পনার হিস্টিরিয়ামত, কিন্তু বড় রসালো। একক দিব্য লেখে।
  • | 24.99.242.179 | ০৬ জুলাই ২০১২ ১৮:৩৩537280
  • হ্যাঁ ভারী ভাল, এগোক আরেকটু।
  • pi | 82.83.87.188 | ০৬ জুলাই ২০১২ ১৮:৪৭537281
  • একক, ঐ সবাই মিলে হাত ধরে নাচ গানের কোন নাম আছে ?
  • pi | 82.83.87.188 | ০৬ জুলাই ২০১২ ১৮:৫২537282
  • এখানে বছর কয়েক আগে ভুটান উৎসব হয়েছিল। এক পড়ন্ত বিকেলবেলা শুরু হল গান। মনে হল, পাহাড়ের সূর্যাস্ত দেখছি।
    শেষে, সবাইকে , মানে আমাদের দর্শকদেরও টেনে নিয়ে গেল, হাত ধরে গোল করে নাচ। সে ভারি মজা হয়েছিল। সে ভারি সৌন্দর্য।
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ৩০ জুলাই ২০১২ ১২:২৯537283
  • এককদা তুলে দিলুম
  • একক | ০৮ জুলাই ২০১৪ ১৫:৪৮537284
  • ষষ্ট এন্ট্রি

    ~~~~~~~~~~

    ধুর আর ভাল্লাগেনা । এই ভাল্লাগেনা ভাল্লাগেনা করার রোগ টা চারপাশের জনতার কাছে হেব্বি বিরক্তিকর । নতুন পরিচিত হলে শুধায় কেনো কী হয়েছে । পুরনো পাপী হলে পাত্তা দেয়না । কিন্তু তাতেও ভাল্লাগেনা । এইযে ভিজে ভিজে বাতাস বাঙ্গালোরের এটা একটু ঠান্ডা হতে পারতোনা ? আর একটু খানিক কুয়াশা ? ঠান্ডা ভেজা কুয়াশা জড়ানো বাতাস যে কী ভাল্লাগে ! সারাদিন সারামাস সারাবছর কুয়াশা আর কুয়াশা । দ্রাহ্লা প্ল্যান্টের গেস্ট হাউসের একতলা । একটু আগেই ঝিম ঝিম একচক্কর বৃষ্টি হয়ে গেল । মানে আমি যখন ঘরে ছিলুম । রান্নাঘরে। চটপট খাবার গরম করে হাতে একবাটি ওয়াই ওয়াই আর দু পেগ হুইস্কি নিয়ে জমিয়ে বসি বারান্দায় । ভিজে মাটি । দ্রাহ্লা হাইড্রাল পাওয়ারের ওপরের আকাশে দুটো ছানামতো পাঁশুট মেঘ পাশাপাশি । মতলব ভালো নয় । ওই দুরে বাঁদিক ঘেঁষে একটা তেকোনা রোদ্দুর । আহা রোদ্দুর দুরে থাক । গায়ে এসে না পরলেই হলো । গায়ে রোদ্দুর লাগলেই কেমন চিটপিট্ করে । গায়ে শুধু কুয়াশা থাক । উঠোনে ন্যাসপাতি গাছ ঘিরে থাকে হর্ন স্পাইডার এর জাল । তার ওপর হিম হিম । দেয়ালের কোন জুড়ে মস । কতরকম মস এখানে । কোনোটা ভেলভেট । কোনোটা কোনোটা গুটি পাকানো ভেড়ার লোম । মস এর গায়ে হাত রাখলে মস কিছু বলে না । গা এলিয়ে শুয়ে পরলেও না । গতবার যখন প্ল্যান্ট ভিসিটে এলুম বিচ্ছিরি রোদ করেছিল । সব মস শুকিয়ে পাপোষ । গতবার তাই বেশিদিন থাকিনি । সকাল বিকেল মিটিং করে তিন দিনে টা টা । এবার রোদ নেই । এবার এত্তো এত্তো কুয়াশা । আর মুঠো মুঠো চাদর খামচানো মস ।

    ধুপুস ধাপুস শব্দে ফিরে দেখি । ভীম এসেছে ।

    : সোম , তপায়কো লাঞ্চ ভয়েস ?
    : গর্দেইছু , হুইস্কি চলছ ?

    খাওয়ার ১৬ আনা ইচ্ছে কিন্তু জানি ওর মিটিং আছে সেকেন্ড হাফে । কোয়ালিটি কন্ট্রোল নিয়ে গুচ্ছ হ্যাজ । আর এলকোহল পেটে পরলেই যারা ঝিমোতে থাকে ভীম তাদের একজন ।সীমিত ড্রিংক করা নিয়ে কোনো ট্যাবু নেই প্ল্যান্টে । লাঞ্চে দু পেগ নরমাল । কিন্তু মিটিং এ ঝিমুলে যাচ্ছেতাই হ্যাটার ব্যাপার । বিশেষ করে সিনিয়ার ম্যানেজমেন্টে ।

    : আইলে তো সাক্দেই না । নিন্দ লাগছ । তরা .......এউটা কুরা থিও ।

    কী কথা বলতে চায় ব্যাটা ? ভীম এর গোপন কথা মানে তো নতুন কোনো মিষ্টি মেয়ের সঙ্গে দোস্তির গল্প । আর সেই সব চূড়ান্ত বোকা বোকা বোরিং গপ্প শোনানোর জন্যে আমাকেই পায় । ঘড়ি দেখি মোবাইল বের করে । লাঞ্চ টাইম শেষ হয়ে এলো । প্ল্যান্ট এ যেতে হবে । হুইস্কির তলানিটুকু মেরে দিয়ে গ্লাস টা কার্পেটে গড়িয়ে দি । দরজা টেনে দি ।

    : কুড়া ? কেটি কো ?

    লাজুক হাসিতে মুখ ভরে যায় দামড়া টার ।

    : হইনা । এউটা বোকা কো কুরা থিও ।

    : বোকা ? !!! বোকা ভনেকো ? মেল গোট ?

    প্ল্যান্ট আর গেস্ট হাউসের দূরত্ব পাঁচ মিনিট ও না । হাঁটাপথ । যেতে যেতেই তার গোপন কথা শুনি । সাদা কুয়াশা ঘিরে থাকে গোটা পথ । পায়ের তলায় ভিজে মস । প্রথমদিকে পা টিপে টিপে চলতুম । একটু এদিক ওদিক হলেই খাড়াই থেকে ধপাস । তা ব্যাপার হলো এই যে দ্রাহ্লা ফরেস্ট্রির গভীর জঙ্গলে একটি বোকা পাঁঠার সন্ধান মিলেছে । ভুটানে শ্লটারিং নিষিদ্ধ । বুদ্ধের দেশ । তাই পর্ক থেকে বীফ সবই মেইনলি ইম্পোর্ট করা হয় ইন্ডিয়া থেকে । নিউমার্কেটের প্যাক করা ঠান্ডা বীফ বিক্কিরি হয় থিম্পুর বাজারে । নেপাল থেকেও আসে । উত্তরের দিকের লোকজন তবু ইয়াক এর মাংস পায় । বাকিরা হাপিত্যেশ করে থাকে কবে একটু ফ্রেশ মিট পাওয়া যাবে । নইলে শুকনো শাকাম ভরসা । তাই দ্রাহ্লা তে বোকা পাঁঠা পাওয়ার ঘটনা ভীম লামার কাছে যে বিশেষ গুরুত্ব রাখবে বলাই বাহুল্য ।

    কনে দেখার আগ্রহে উজ্জল হয়ে উঠি খানিক । শুকনো শাকাম খেয়ে খেয়ে মুখে সর পরে গ্যাছে । কার বোকা ? কত দাম নেবে ? তাচ্ছেও বড় কথা আদৌ বেচবে কী ? কথা বলেছো ?

    মেকানিকাল ওয়ার্কশপ হেড কিন্জাং এর শ্বশুরের বোকা । দ্রহ্লা ফরেষ্ট্রী তে তেনার একটি ডেয়ারী ফার্ম আছে । এবং দুটি বোকা । একটা বেচতে চান । দাম কত ? সেইটাই তো বলছেনা ঠিক্করে ! দশ হাজার বলে বসে আছে । আমি সাত অফার করেছি । বেশ গর্বের সঙ্গে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে ভীম । সাত এ কি দেবেনা বলছে ? কত বড় বোকা ?

    এবার ভীম এদিক ওদিক তাকায় এবং দুহাত ছড়িয়ে :

    এস্ত লামো ! এস্ত ঠুলো ! তরা ফাইনাল কুরা গর্নু পর্ছ । বুড়ালে প্রাইস কম গর্দেইনা !!

    দুদিকে ও ওপর নীচে হাত ছড়িয়ে যা সাইজ দেখায় তা মোটামুটি একটি যৌবনপ্রাপ্ত সম্বর এর চে কম না । হেসেখেলে বিশ কেজি মাংশ হবে । চারপাশে দিয়ে থুয়ে নিজেদের ভুরিভোজ চলবে কদিন । এত বড় পাঁঠা কেও সাত হাজারে বেচবে কি ?

    গেটে এসে প্ল্যান্ট ডাইরেক্টর গেলেক এর সঙ্গে দেখা । ভীম এর সঙ্গে আর কথা হয়না । গেলেক হেড আপিস থেকে ফিরলেন সবে । এবার বোর্ড প্রডাকশন আগের কোয়ার্টার এর চে কম । লিস্ট ডিফরেসটেড কান্ট্রি এওয়ারড পেয়ে রাজামশাই দুরন্ত বার খেয়েছেন । নতুন কোনো ফরেস্ট লিস নেওয়া আপাতত বন্ধ । এইসব হাবজ গাবজ কেজো আলোচনা করতে করতে এগোতে থাকি । প্ল্যান্টের ভেতর অনেকটা গরম । সেই ঠান্ডা হাওয়াটা সরাসরি গায়ে লাগেনা আর । তীব্র ফর্মালডিহাইড রেইসিনের গন্ধ । আর দেয়াল এ আটকে থাকা সাইলেন্ট মথ । এটা একটা স্পিসিস । আমিই নাম দিয়েছি । পরে কোনদিন বিজ্ঞান বইয়ে উঠবে । এরা নড়ে না , ওড়ে না । প্রতিদিন এরা উড়ে এসে ঢোকে প্ল্যান্ট এরিয়াতে ।হিমালয়ান ফার্ন আর লায়কেনের ঝোপ পেরিয়ে । তারপর ঝাঁঝালো রাসায়নিকের গন্ধে বুঁদ হয়ে যে যার দেয়ালে আটকে যায় । প্রজাপতির চে মথ অনেক বেশি ভালো লাগে আমার । আরও ভালো লাগে এই সাইলেন্ট মথ দের । চুপচাপ । ঘন হয়ে আসা বুনো রং । মৃত ।
  • . | 670112.206.6734.46 | ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ২১:০৮537286
  • .
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন