এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Binary | 70.76.78.47 | ১৩ মার্চ ২০১২ ০৬:২৯535361
  • অ্যালবার্টা রোড আর প্রেস্টন এভিন্যু -এর ক্রশি-ংএ ওয়াইল্ডউড ক্যমুনিটি সেন্টার। প্রায় আধা একর জমির মাঝখানে, ছড়ানো ছেয়ে র-ংএর একতলা বাড়ী। ক্যমুনিটি সেন্টারের বাড়ীটা বাদ দিলে, বাকি জমিতে, ঘন সবুজ ঘাসের লন। প্রেস্টনের সাইড ওয়াক থেকে কংক্রীটের অ্যাপ্রোচ রোড। সাইড ওয়াকের ধারে ধারে হলদে ফুলের গালিচা বিছানো হেজ, হাঁটু সমান উঁচু। অ্যাপ্রোচ রোডের ডান পাশের লন ঢালু হয়ে একটা ব্‌ত্তাকার অগভীর জলাসয়ে মিশে গেছে। সেই জলাশয়ের মাঝখানে, ডলফিনের হাঁ-করা মুখ ফোয়ারা। সিমেন্টের। লনের মাঝে মাঝে ইতিউতি, স্‌যত্নে তৈরি করা গ্রীনারি। বার্চ, পাইন, এল্ম বা একটা দুটো, ম্যাপল। এটা অবশ্য গরমকাল। শীতে অবশ্য এসব কিছুই থাকেনা। খালি ন্যাড়া হেজ, একহাত পুরু বরফ ঢাকা সমতল, আর বার্চ-পাইন গাছের বে-আব্রু কঙ্কাল।

    ক্যমুনিটি সেন্টারের ভারী কাঁচের দরজা, পিতলের হাতল। দরজাদিয়ে ঢুকেই মাথার উপর, হট এয়ার ব্লোয়ার, শীতে বাইরে থেকে ভেতরে ঢোকা ব্যস্ত মানুষজনকে চ্‌টজলদি গরম করার জন্য। সামনে একটু বেয়াড়া রকমের উঁচু রকমের উঁচু রিসেপ্সন কাউন্টার। কালচে-লাল কাউন্টার টপ। কাউন্টারের পছনে আজকাল মোটাসোটা গোলগাল একজন মহিলা রিসেপস্নিস্ট বসে। বয়স পাঁচ বছর এদিক-ওদিক পঞ্চাশ। খাটো চুল, ঢুলু ঢুলু চোখ। বাঁ-হাতে পাঁচশো মিলিলিটারের, টীমহর্টনের কফির কাপ। এখানে মেম্বার্শিপ রেজিস্ট্রশন হয়। বা ভেতরের জিন্যাসিয়াম, সাঁতারের পুলে ভর্তির পয়সা-কড়ি জমা নেওয়া হয়। রিসেপস্নিস্ট মহিলা, যার নাম, সিল্‌ভিয়া, অলস হাতে কম্পিউটারের কীবোর্ড চালায়। একএকজন কাস্টমার -কে সার্ভিস দিতে পাক্কা পনেরো মিনিট। রিস্পশন কাউন্টারের ডান দিক দিয়ে একটা করিডর। তার শেষে একটা, সেগুন কাঠের দরজা, তার উপর স্টিল প্লেটের সিকিউরিটি লক আর সিকিউরিটি নম্বর পাঞ্চ করার কীবোর্ড। ভেতরে ডান দিকে সুইমিং পুল-এর সাজঘরের দরজা, আর বাঁদিকে ফিট্‌নেশ সেন্টারের সারি সারি ব্যায়াম করার যন্ত্র সাজানো কাঁচের দেওয়াল ঢাকা হলঘর।

    রিসেপ্সন কাউন্টারের বাঁদিকে আরো একটা করিডর। এটার দরজায় কোনো সিকিউরিটি লক নেই। খালি পাশে তিন ইঞ্চি চওড়া আর ফুট খানে লম্বা বাদামী পালিশ করা কাঠের নেমপ্লেটে 'গ্লোবাল গ্যাদারিং সেন্টার' লেখা। কানাডিয়ান সরকারের সৌজন্যে, প্রতিবছর প্রায় সোয়া দুইলক্ষ অভিভাসী আর পনেরো হাজার উদ্বাস্তু আসে জগতের প্রত্যন্ত, অপেক্ষাক্‌ত মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত দেশ থেকে। আর অন্যান্য কানাডিয়ান শহরের মত, এই ছোট্ট প্রইরী শহর-ও তার ভাগের মাথা গুনতি উদ্বাস্তু আর অভিভাসী পায় বছরের গোড়ায়। অভিবাসীদের, অপেক্ষাক্‌ত শিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত হওয়ায়, আর নতুনদেশের পরিবেশ, সুযোগ সুবিধা সম্বন্ধে আগে থেকে এনলাইটেন্ড হয়ে আসার জন্য খুব বেশী অতান্তরে পরতে হয় না। কিন্ত মুশকিল বেশী হয় উদ্বাস্তুদের। প্রথম আর সবচেয়ে সমস্যা ভাষা নিয়ে। আর মুলত: সেই কারণে-ই এই গ্লোবাল গ্যাদারিং। টুকটাক কথ্য-লেখ্য ভাষা শেখা, আদব-কায়দা, কাজের খোঁজ-খবর, ট্যাক্স আর সরকার প্রদত্ত হেল্‌থ স্কীমের জানকারি, এসবের জন্য-ই গ্লোবাল গ্যাদরিং। এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যে, ভ্যাবচ্যাকা মুখ ভীয়েতনাম-ফিলিপীনো-পূর্বইউরোপীয়-মধ্যপ্রাচ্যীয় আসে যায়। কেউ একা, কেউ সপরিবারে, কেউ সেকেন্ডহ্যান্ড স্টোর থেকে কেনা ফ্যাকাসে স্ট্রলারে বাচ্চাকে চাপিয়ে। বাইরের 'গ্লোবাল গ্যাদারিং সেন্টার' লেখা দরজার ভেতরে, একপাসে একটা খুপরি ঘরে ম্যাপল কাঠের ডেস্ক, চেয়ার, দেওয়াল জুড়ে ম্যাপল কাঠের চৌখুপি-চৌখুপি তাক, তার কাঁচের পাল্লা, তাকে ঠাসাঠাসি করে, এখানে আসাযাওয়া কর সক্কল অভিবাসী-উদ্বাস্তুদের নাম-ধাম-ঠিকুজি-কুষ্ঠি, সরকারী আদেশ নামা, নাগরিক রীতিনীতি-র নাম্‌চা। টেবিলের ওপরে একটা কম্পিউটার, প্রিন্টার, টেবিলের নীচে ওয়েস্টপেপার বাস্কেট। এ ঘরটা আপিশ। সেচ্ছাসেবী-দের ব্যবহারে জন্য, এখানে কোনো মাইনে করা কর্মী নেই, সবাই সেচ্ছাসেবী। আরো দুটো ঘরের একটা, যেটা বেশ চওড়া, তার মেঝেতে কাল্‌চে-লাল গালিচা। কুড়ি-পঁচিশটা অ্যালুমিনিয়ামের চেয়ার, তাদের কাঠের হাতল, দেওয়ালে হোয়াইট বোর্ডে হিজিবিজি নানা আলোচনার না-মোছা লেখা, ডানদিকের দেওয়ালে জানালায় সাদা প্লাস্টিকের ব্লাইন্ডস, তার পাসে স্টীলের র‌্যাকে ইংরাজী আর ফরাসী ভাষা সেখার সহজপাচ্য বই আর সিডি। আর শেষের ঘরটা কিচেন। চার বার্নারের ওভেন-স্টোভ, দেওয়াল আলমারিতে কাঁচের বাসন-কোসন, ড্রয়ারে ছুরি কাঁচি আর স্টেইনলেসস্টীলের বেসিনে গরম-ঠান্ডা জলের কল।

    কিছুদিন ধরে এখানে আসে সুমনা। সেচ্ছাসেবী কাউন্সেলিং সারভিস দিতে। দুপুরের ফাঁকা সময় ভালো কাটে। অভিজ্ঞতা জড়ো করাটাও একটা উদ্দেশ্য। দুপুরে দশ বারো জনের গ্রুপ, নতুন আসা উদ্বাস্তু বা অভিবাসীদের সঙ্গে কথোপকথন হয়, তাদের সমস্যা বা চাহিদা নিয়ে আলোচনা হয়, তাদের নিজের দেশ-ভাষা-পরিবেশ-সংস্ক্‌তি নিয়ে আলোচনা হয়। ফিশুক্কুর বারে, বিভিন্ন দেশীয় রান্না নিয়ে পরীক্ষা হয়। যে যার নিজের দেশের রান্না সেখায় বাকিদের, এখানেই, কিচেনে। এটাও একটা উপরি পাওয়া।

    রোডরিগো সাধারনত: আসে আড়াইটের পরে। চেহারায় বোঝাই যায় হিস্প্যানিক, নামেও। তবে অ্যাবরিজিনাল ইন্ডিয়ান জিন-এরও ছাপ আছে চেহারায়। রং তামাটে। নাক, হিস্প্যানিক-দের যেরম হয় তার চেয়ে সামান্য মোটা, চওড়া চোয়াল। ব্‌ষস্কন্ধ্য। বয়স তিরিস-ও হতে পারে আবার পঞআশ-ও। প্রথমদিন স্বাগতম জানিয়ে হাত মেলানোর সময়, হাতের অতিকায় পাঞ্জা দেখে ঘাবড়ে গেছিলো সুমনা। পরিচয় জানাতে ঘরঘরে বলে --
    -- মি রোদ্রিগো, মি মেক্কিকো
    -- মেস্কিকো ?
    -- সি মেক্কিকো,মেক্কিকো

    তারপর বলে ওর নিজের দেশ ছেড়ে আসার টুকরো-টাকরা গল্প। আধা স্প্যানিস আর আধা ইংরাজিতে। ওর দেশের বাড়ী অ্যাটলাচোমুল্কো। মেক্সিকো সিটি থেকে সোয়াশো কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে। বারো-চোদ্দো একর মত চাষের জমি আছে ওর। পারিবারিক উত্তরাধিকার। মুলত: ভুট্টা চাষ হত সেখানে। কলেজে পরা বয়স থেকে প্রায় পনের-ষোল বছর পর্যন্ত্য একটানা সেই ক্ষেতিতে কাজ করেছে ও। তারপর নব্বই দশকের শেষে, হলো নর্থ-অ্যামিরিকান ট্রেড এগ্রিমেন্ট। ভুট্টা রপতানি হতে লাগল, অ্যামরিকার সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে, আর খরচ বাড়তে লাগল হু হু করে। শেষে ভুট্টা, যব ইত্যাদি চাষের আর কোনো রাস্তা-ই খোলা রইলো না। খালি লোকশান আর লোকশান। তারপর, চাষের অভিজ্ঞতাকেই মুলধন করে পারি দিয়েছিলো অ্যামেরিকার দক্ষিন-পশ্চিমে। নিউ-মেক্সিকো, টেক্সাস। ক্ষেতি-শ্রমিক হিসাবে। কিন্তু সেখানেও প্রতিযোগীতা। কাজের তুলনায় সামান্য মজুরি। এদিকে বে-রোজগারে আঠেরো-উনিশের ছেলেদুটো ড্রাগের পাল্লায়। তারপর আরো মরিয়া হয়ে আরো উত্তরে, কানাডায় আসে রোডরিগো। এও সেই ট্রেড এগ্রিমেন্টের আওতায়।

    এখানে অবশ্য মজুরি অনেক-ই ভালো। তবে কাজ কম। মাত্র তিন-চার মাস। জুলাই থেকে মাঝ নভেম্বর। তবে বাকি সময়তেও কাজ পেয়েছে রোডরিগো। পুরোনো/ভাঙ্গা গাড়ী স্যালভেজিং কারাখানায়। বাতিল গাড়ীর, ব্যবহার উপযোগী যন্ত্রাংশ পুনরূদ্ধারের কাজ করে সকালের শিফটে। ওর ভাষায়, 'ইঞ্জিন গুদ, বদি ব্রোকেন, আই তেক আউত ইঁজিন'। মজুরি ভালই। পরিশ্রম-ও। এখন মোটামুটি ভালই আছে, "গুদ মানি, গুদ হাউস"। দেশে পাঠায় কানাডিয়ান ডলার। একটা ছেলে ড্রাগ ছেড়েছে, ফলের দোকান দিয়েছে মেক্সিকো সিটি-র শহরতলি-তে।

    সব শুনে, কেমন যেন পরিচিত প্‌থিবীর কথাই মনে হয় সুমনার। সেই সাউথ সিঁথিতে ওদের বাড়ী। আর ওদের বাড়ীর উল্টো দিকের রোয়াকে বসা হরিলাল । তার আলুকাবলির ঝুড়ি। সারের দাম আর মহাজনের সুদের দাপটে, সানান্য দুই-তিন বিঘে জমি বেচে, কলকাতায় চলে আসা হরিলাল। হরিলালের ছেলেদুটো ঐ রোয়াকে, হামাগুরি থেকে কর্পোরেশন স্কুল হয়ে বিড়িখেকো লায়েক হয়ে গেল হরিলালের আলুকবলি বেচা পয়সায়। হরিলাল, সেই দেশের বাড়ীতে মানি অর্ডারে টাকা পাঠাত, বাপমায়ের কাছে, মানি অর্ডার ফর্ম লেখাতে আসত ওদের বাড়ীতে।

    এবছর মার্চের শেষের দিকের এক শুক্রবার, রোডরিগো, গ্লোবাল গ্যাদারি-ংএ আসে একটু সকাল সকাল। আজ ভিয়েতনামী রান্না শেখাবে কিম। সবাই উত্তেজিত। ব্যস্ত সমস্ত হয়ে এঘর-ওঘর করছে, কিম-কে সাহায্য করার ইচ্ছায়। হই হই ব্যাপার। এরি মধ্যে রোডরিগো ঢোকে, হাতে বড় সাইজের ক্রীম কেক। তার প্লাস্টিকের মোড়ক। অনেক সন্তর্পনে টেবিলে রাখে। তারপর ওভেনের পাশের ড্রয়ার থেকে ছুরি বার করে ভাল্লুকের থাবার মত হাত দিয়ে মাথা গুনে, গুনে, মেপে মেপে কেকটা কাটে সবার ভাগে ভাগে।

    এরপর সক্কলের উচ্ছসিত, "হোয়াটস দ্য অকেশন, রোদ্রিগো ?' -এর জবাবে লজ্জায় আরো লাল হয়ে গিয়ে বলে - "মাই সন গ্‌ট অ্যা সন, মি গ্র্যান্ডপা নাউ'। তারপর সেই প্রকান্ড, কড়া পরা, এবড়ো-খেবড়ো নখের হাতে, খুব আল্‌তো করে পকেট থেকে বার করে একটা সদ্যজাত শিশুর ছবি।

    হাতের অঞ্জলিতে এমন করে ধরে রাখে যেন ভাঁজ না পরে ছবিটায় ।

    -- 'ভিজে মানুষ, কি যে কখন, বলা বারণ'

  • i | 137.157.8.253 | ১৩ মার্চ ২০১২ ০৭:০৭535362
  • বাইনারি... কতদিন পরে...
  • Nina | 69.141.168.183 | ১৩ মার্চ ২০১২ ০৮:০৩535363
  • কত্তো দিন পর বাইনারি---আর লেখায় সেই নাম--সুমনা---অনেকদিন পড়িনি নতুন লেখা--খুব ভলো লগছে
  • ranjan roy | 14.97.154.39 | ১৩ মার্চ ২০১২ ১৫:৪৬535364
  • সেইসব ছোট ছোট সুখ-দু:খ, নিংড়ে নেয়া এক আঁজলা
    খুশি। এদের কথা কে শোনাবে বাইনারি ছাড়া! তবে বছরে মাত্র একবার?

  • titir | 128.210.80.42 | ১৩ মার্চ ২০১২ ২০:৫৬535365
  • বাইনারি,
    এতো খুঁটিনাটি জীবন্ত বর্ননা। যেন চোখের সামনে সবকিছু ঘটছে। অসাধারণ !!
  • achintyarup | 59.93.241.205 | ১৫ মার্চ ২০১২ ০৪:৩৯535366
  • তারপর?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন