এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ

    r
    অন্যান্য | ১৪ মার্চ ২০১২ | ৫১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • abastab | 14.139.163.29 | ১৪ মার্চ ২০১২ ০৯:২৮535345
  • মাৎস্য ন্যায়!
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১০:০২535354
  • ধুর ধুর। ধার আবার শোধ করতে হবে কেন ? আমরা কি ৬০ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব করিনি ? কোন মাই কা লাল আপত্তি করেছে ? আমাকেও কেউ ধার দিয়ে দেখুন না, এক পয়সা যদি শোধ করেছি !
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১০:১০535355
  • এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন। এরকম অনেক খেল দেখা যাবে। যারা ব্যাংক থেকে ধার পায়, তারা নিশ্চই হতদরিদ্র চাষী নয়। তাদের ঋণ পরিষোধযোগ্যতা আছে বলেই ব্যাংক ধার দিয়েছে। তার যদি ধার শোধ না করতে পারে, সেটা নির্দিষ্ট কেস ধরে বিচার করতে হবে। কেউ বদমাইশি করে টাকা ফেরত দিচ্ছে না, আর কারুর টাকা ফেরত দেবার সাধ্য নেই, দু ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে বিচার করতে হবে।
  • a | 65.204.229.11 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১০:৪৫535356
  • কেন?

    প্রথমজনের ক্ষেত্রে ক্রিমিনাল কেস করা যায়, কিন্তু ব্যানে্‌কর চোখে দুজনে আলাদা হবে কেন? যেখানে একই ফর্ম সই করে একই ডিসে্‌ক্‌লমার দিয়ে দুজনে টাকা নিয়েছে।
  • tatin | 115.249.41.218 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১০:৪৮535357
  • ফলত: জমি ক্রোক করা হবে না, এই শর্তে ঋণদান হওয়াই উচিৎ
  • S | 99.26.200.89 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১০:৫৬535358
  • পার্থক্য হোলো প্রথমজন ব্যান্‌করাপসি ক্লেম করে পার পেতে পারবে না, পরের জন পারে। সেইক্ষেত্রে পরের জনের ক্ষেত্রে ব্যান্‌ক লোনটা রিস্টাকচার করে দেবে, কিন্তু প্রথম জনের ক্ষেত্রে কোলাটারাল কনফিসকেট করে নেবে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১১:১৬535359
  • একদম তাইই। কিন্তু এটা আইনী সমাধান।
    সব কিছুরই একটা মানবিক দিক আছে। আইন মানুষের জন্য আইনের জন্য মানুষ নয়।
    দুজন ঋণ নিয়েছে ব্যাংকের থেকে চাষের জন্য। একজন যে ফসল চাষ করেছে তার ঠিকমত দাম পেলো না। অন্য জন যে ফসল চাষ করেছে তার দাম ঠিকঠাক পেলো। দুজনেই ধার শোধ করতে পারছে না বললো। দুজনের ক্ষেত্রেই কি একই ভাবে আইন প্রযোজ্য হবে?
    এখন প্রশ্ন কে ঠিক করবে কার কারন কতটা জৌক্তিক। উপায় নেই, সেই ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষকেই ঠিক করতে হবে। এখানেই দুর্নীতির সম্ভাবনা চলে আসে। কিন্তু তার দায় তো ঋণগ্রহিতার নয়।
  • ABASTAB | 14.139.163.29 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১১:৩২535360
  • আমার সব সমস্যা ফসলের ঠিক দাম নিয়ে। কোন কিছুরই ঠিক দাম কি বলা ভারী শক্ত।
  • a | 65.204.229.11 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১২:০৮535335
  • হিসাবটা একটু সরলীকরণ হয়ে গেল।

    কেউ সঠিক দাম (ধরা যাক এটা ডিফাইন্ড) পাচ্ছেন কি না সেটা জানার উপায় কি? দুর্নীতি তো চাষীভাইটিও করতে পারে, না কি? সেরকমই, কেউ জাস্ট ভুল ফসল চাষ করেছে, দাম পায়নি মার্কেটে। সেক্ষেত্রেই বা কি হবে? "সেই দায় তো আর ব্যানে্‌কর নয়"!!

    দ্বিতীয়ত, দেউলিয়া ঘোষণা করার কিছু নিয়ম আর ফলো আপও আছে। সেগুলোর ভিতর জমি বন্ধকী করে দেওয়া একটা। সেইটাই তো মুখ্যমন্ত্রী বারণ করছেন।

    আইন মানুষের জন্যে যেমন, তেমনি আইন হয়ে গেলে সেটা অব্জেক্টিভ আর সবার প্রতি সমানভাবে প্রযোজ্য। তাই হওয়াও উচিত।

    এগুলো কোনটাই লিখতাম না, যদি লাস্ট সেন্টেন্স টা না থাকত। ধার নিলে ফেরত দেওয়া ঋনগ্রহীতার দায়িত্ব না?

  • lcm | 69.236.163.198 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১২:২২535336
  • ছোট সমবায় ব্যাংক-এর ক্ষুদ্র লোন গরীব চাষীরাই নিয়ে থাকেন। বড়লোক চাষীরা এসবিআই-র থেকে বৃহৎ লোন নিয়ে থাকেন। মানে, ইন জেনারেল এরকম হয়। ব্যতিক্রম থাকতে পারে।
    ফসল বিক্রি না হলে, প্রবলেম হয় ক্ষুদ্র চাষী এবং ক্ষুদ্র ব্যাংক - উভয়েরই।
  • ranjan roy | 14.97.30.43 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১২:৩৯535337
  • একটু নাক গলালাম। ভুল বকলে রূপংকর সরকারদা শুধরে দেবেন প্লীজ!
    নানা কারণে চাষীর ব্যাংকলোন শোধ করতে না পারাটা ( দাম না পাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন অতিবৃষ্টি/অনাবৃষ্টি, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি) কোন নতুন ঘটনা নয়। যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। এ নিয়ে সরকারের কিছু স্ট্রাকচারড্‌ পলিসিও আছে।
    রিজার্ভ ব্যাংকের একটি অল ইন্ডিয়া রুরাল ক্রেডিট রিভিউ কমিটি আছে, তারা অন্তত: প্রত্যেক দশকে ভারতে কৃষির সমস্যা ও নিদান নিয়ে স্টাডি করে সাজেশন দেয়।
    কি কি নিদান স্ট্রাকচারড্‌ আছে:
    এক, কারণ ক্রপ ফেলিওর। কি করে বোঝা যাবে? ফসল ক্ষেতে থাকতেই রেভিনিউ বিভাগের তহসীলদারের তঙ্কÄ¡বধানে পাটোয়ারি গিয়ে প্রত্যেক গ্রামের থ্রেশহোল্ড স্যাম্পল নেয়। মানে ৫% ক্ষেতে গিয়ে অমুক বাই তমুক সাইজের ক্ষেত্র থেকে ফসল কেটে দেখে কত প্রতিশত ফসল হয়েছে। যদি সেট ছ'আনার( ৩৬%) চেয়ে কম হয় তাহলে সেই গাঁয়ের ফসল উৎপাদনকে "" ক্রপ ফেলিওর'' লেভেল দেয়া হবে এবং রেভিনিউ বিভাগ গ্রামওয়ারি লিস্ট প্রকাশিত করবে।
    নিদান:
    এক, সমস্ত ব্যাংকের শাখা ওই সূচী নিয়ে যে সমস্ত গ্রামের উৎপাদন ছ'আনার নীচে সে সমস্ত গ্রামের সব কৃষকের লোন কে নতুন মিড টার্ম লোন এ কনভার্ট করে চাষীদের আগামী তিন বছরে তিন সমান বার্ষিক কিস্তিতে সেই বকেয়া লোন শোধ করার সুযোগ দেবে এবং চালু বছরের জন্যে নতুন করে প্রোডাকশন লোন( বীজ, সার, বলদ, ট্র্যাক্টর, সেচ, মজুর ইত্যাদির জন্যে) দেবে যাতে এবছর ফের চাষ করে চাষী খেয়ে বাঁচে ও আগামী বছর পুরনো বকেয়া লোনের
    এক-তৃতীয়াংশ শোধ দিতে পারে। এ'জন্যে কোন লোনকে ব্যাড লোন ধরা হবে না, বা সেই চাষীদের কোন তাগাদা করা হবে না।
  • ranjan roy | 14.97.30.43 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৩:০৩535338
  • এর মধ্যে একটা ব্যাপার আছে।
    ধরুন, থ্রেশহোল্ড স্যামপ্লিংএ তো সবার ক্ষেতের নমুনা নেয়া হচ্ছে না। এখন কোন গাঁয়ের উৎপাদন ওই স্মল স্যামপ্লিং এর বেসিসে প্রাকৃতিক দুর্যোগগ্রস্ত বলে ঘোষিত হল, কিন্তু সেই গাঁয়েরই কোন চাষী বেশ সম্পন্ন, তাঁর শ্যালো আছে। ফলে ফসল মার খায় নি। সে কি ব্যাংকের নীতির সুবিধেটুকু পাবে? হ্যাঁ, পাবে। কারণ স্যামপ্লিং এর ভিত্তিতে গোটা গ্রামকেই দুর্ভাগা ধরা হয়েছে।
    একই ভাবে কোন গাঁয়ে যদি স্যামপ্লিং এর ভিত্তিতে আট আনা ফসল হয়েছে ধরা হয়, কিন্তু একটি চাষীর ফসল খুব মার খেয়ে মাত্র চার আনা হয়েছে, তার কি হবে? সে সরকারী
    নীতির সুবিধে পাবে না, একই যুক্তিতে।
    দুই, ইদানীং ন্যাশনাল ক্রপ ইন্সিওরেন্স হয়েছে যাতে সমস্ত কৃষি লোনের বীমা করা বাধ্যতামূলক। ব্যাংক নামমাত্র প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্টে ডেবিট করে নির্ধারিত ইন্সিওরেন্স কোম্পানীতে পাঠিয়ে দেয়। ওপরে বলা মানদন্ড অনুসারে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলে ব্যাংক লিস্ট বানিয়ে ক্লেইম পাঠায়। তারপর বীমা কোম্পানী কৃষকটি ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক নাকি বড়, বা এসসি/ এসটি অথবা সাধারণ এসব দেখে ঋণ রাশির ৭৫/৮০ বা ৬০ প্রতিশত ব্যাংককে পাঠিয়ে দেয়। ব্যাংক সেই রাশি একেকটি অ্যাকাউন্টে জমা করে এবং বাকি রাশিটুকু ওপরে বলা পদ্ধতিতে আগামী তিন বছরের জন্যে মিড টার্ম লোনে পরিবর্তিত করে দেয়।
    তিন,
    কিন্তু তাঁদের কি হবে? যাঁরা ওই স্মল স্যামপ্লিংএর চক্করে বাদ পড়লেন বা যাঁরা নেহাতই ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা, অসুখবিসুখ বা অন্য কারণে শোধ করতে পারলেন না, যাদের জন্যে এমন কমিউনিটি প্ল্যান নেই?
    এর জন্যেও রিজার্ভ ব্যাংকের গাইড লাইন আছে। এখানে ব্যাংক ম্যানেজার নিজে দায়িত্ব নিয়ে ডিফল্টার কৃষকের ব্যাপারে তদন্ত করে দেখবেন যে শোধ না দিতে পারার আসল কারণটা কি। উনি যদি নিশ্চিত হন যে চাষিটি'' উইলফুল ডিফল্টার' ন'ন, তাহলে তিনি ওনার ফাইন্ডিংস ডকুমেন্টেড করেওপরের কায়দায় চাষীকে আগামী তিনবছরের জন্যে তিনভাগে শোধ দেয়ার সুযোগ দিতে পারেন।
    কিন্তু এই শেষ অথচ অনেক পুরনো নিদানটি ভাল করে পড়বে এবং গিয়ে তদন্ত করবে এত ধৈর্য্য কার আছে?
    এগুলো আসলে মাইন্ডসেটের প্রশ্ন।
    সেই গণনাট্য সংঘের গান:
    "' চাষীর দু:খের কথা বলে শোনাব কি তা, অরণ্যে রোদন বৃথা সে তো আমি জানি।''
  • lcm | 69.236.163.198 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৩:১৮535339
  • বাহ্‌, রঞ্জনদা একেবারে নিয়মকানুন ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
    একতা প্রশ্ন: রিজার্ভ ব্যাংকের গাইডলাইন গুলো কি ক্ষুদ্র সমবায় ব্যাংকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নাকি ওখানে আলাদা নিয়ম?
  • ranjan roy | 14.97.30.43 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৩:২৩535340
  • কল্লোলের বক্তব্যের জন্যে:
    না, টেকনিক্যালি গরীব সে গরীব, ধরা যাক মাত্র কয়েক ডেসিমেল একফসলী জমির মালিকও যদি ব্যাংকে ফসল ঋণ চাইতে যায়, তাহলে ব্যাংক, বিশেষ করে গ্রামীণ ও কো-অপারেটিভ ব্যাংক , মানা করতে পারে না। কেউ কমপ্লেন করলে( কালেক্টর, নাবার্ড, ব্যাংকটির রিজিওনাল অফিস) হাতে হ্যারিকেন হয়ে যাবে। ফলে পাঁচহাজার, দশহাজার লোনও দেয়া হয়।
    কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে হুড়কো খাওয়া চাষীর পক্ষে আদৌ ব্যাংককে প্রেশারাইজ করা সম্ভব হয় না। বর্ষা নেমেছে, ও ক্ষেতে গিয়ে রুইবে না ব্যাংককে কাঠি করবে! ফলে ও গাঁয়ের পরিচিত মহাজনের কাছে গিয়ে পনের মিনিটে লোন নিয়ে মাঠে চলে যায়।
    চার,
    দিদি বলুন বা না বলুন, এখনো বাস্তবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীর জমি( এম পি ও ছত্তিশগড়ে পাঁচ একর একফসলী) ব্যাংক নিলাম করতে পারে না, অনেক রুলিং আছে।
    আর সিকিউরিটাইজেশন অ্যাক্ট, যেটা কয়েক বছর আগে কার্যকরী হওয়াতে ব্যাংকের জেনেবুঝে লোন ফেরত না দেয়াদের( উইলফুল ডিফল্টারদের) টাইট করতে বেশ সুবিধে হয়েছে, এক লাখের নীচের লোনের জন্যে প্রযোজ্য নয়, কৃষিজমির জন্যেও নয়, তবে ট্র্যাক্টর কুর্ক করা যায়। আর ট্র্যাক্টরের মালিকরা তো বড় জোতদার!
    এইবার আপনারা দিদির ঘোষিত নীতির কার্যকারিতা , উদ্দেশ্য, লিমিটেশন এইসব নিয়ে আলোচনা করুন।
  • ranjan roy | 14.97.30.43 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৩:২৫535341
  • এল সি এম,
    একইভাবে প্রযোজ্য। এখনো ফসল ঋণের সিংহভাগ ক্ষুদ্র সমবায় ব্যাংকগুলোই দিয়ে থাকে, ওটাই ওদের প্রধান কাজ, মানে কৃষি ঋণ দেয়া।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৩:২৭535342
  • এ।
    চাষী ঠিক দাম পাচ্ছেন কিনা সেটা জানার হাজারো উপায় আছে এবং তার কোনোটাই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অঙ্ক নয়। চাষীর ফসলের উৎপাদন খরচের হিসাব ও সেই ফসল বিক্রির সময় তার বাজার চলতি দাম জানা কোন ব্যাপারই নয়। সে কাজটা ব্যাংকের লোক দিব্বি করতে পারে। চাষী দুর্নীতি করতে গেলে ধরা পড়ে যাবে। এবার ব্যাংকের লোক দুর্নীতি করে চাষীর সাথে মিলে যেতে পারে সে সম্ভাবনা থাকে।
    ধার নিলে ধার শোধ করা ঋণগ্রহিতার দায় অবশ্যই। কিন্তু সে কেন ধার শোধ দিতে পারছে না সেটাও দেখতে হয়। সেটাই মানবিকতা। আইনের চোখে সবাই সমান - এটাকে যান্ত্রিক ভাবে নেওয়ার কোন কারন দেখি না।
    এই নিয়ে রঞ্জন বিস্তারিত লিখেছে। আইনও আছে ঋণখেলাপী চাষীর সুরক্ষার জন্য।
    লসাগু।
    প:ব:তে ব্যাক্তি মালিকানায় জোতের যা পরিমান, তাতে খুব বড়ো চাষী কি এখনো বিরাজ করে। যারা জানেন লিখুন। আমার মোটেই জানা নেই।
  • S | 99.26.200.89 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৩:৪৫535343
  • জানিনা আগে কেউ এটা বলেছেন কিনা, তবে মনে হয় একটা ব্যাপার কনসিডার করতে হবে। সাধারনত অ্যাগ্রিকালচারাল লোনে কোল্যাটারাল থাকে জমি। কারণ আর কিই বা দিতে পারে গরীব চাষী। কিন্তু সেক্ষেত্রে জমি কনফিস্কেট করাটা কখনই সম্ভব নয়। কারণ ১) ঐ জমি ব্যান্‌ক বিক্রি করতে গেলে কে কিনবে? ২) ধরা যাক জমি ব্যানকের কাছে থাকলো, কিন্তু যতদিন আবার চাষ না হচ্ছে ততদিন জমি পরে থাকবে ও কোনো প্রডাকসান হবে না, ফলে এটা ফুল সিস্টেমের জন্যে সাব অপটিমাল সলিউশান।

    আচ্ছা কেউ বলতে পারবেন, গত বিশ বছরে সরকারি বা সমবায় ব্যানকের লোন ফেরত না দিতে পারার জন্যে কত চাষী জীবন দিয়েছেন। আমার তো মনে হয় বেশিরভাগ কেসই মহাজন সংক্রান্ত।

    ফলে এই লোন মাফ করার ব্যাপারটা একটা পলিটিকাল গিমিক। কারণ ব্যাপারটা মনে হয় রুরাল ব্যানকিংএ এম্নিতেই হয় - আগেই ধরা থাকে যে ডিফল্ট রেট খুব বেশি হবে। আর যে সংখ্যাটা মিডিয়ায় দেওয়া হয় সেটা অনেক বেশি ফুলানো থাকে - মানে ম্যানিপুলেটেড।
  • ranjan roy | 14.97.30.43 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৩:৪৮535344
  • অয়নকে,
    প্রশ্ন: ফসলের সঠিক দাম পাওয়া না পাওয়া কিভাবে বোঝা যাবে? কে ঠিক করবে?
    উত্তর:
    একটা থাম্ব'স রুল আছে।
    প্রত্যেক জেলাতে একটি কৃষি ঋণের ইউনিট কস্ট কমিটি আছে, তার কনভেনর হল জেলা সমবায় ব্যাংক। তাতে স্টেট ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শুরু করে সমস্ত সরকারি/বেসরকারি ব্যাংক সদস্য। বছরে একবার, সাধারণত: নভেম্বর মাসে, এর বার্ষিক সভা হয়, তাতে কৃষি বিভাগের জেলাস্তরের বড় আমলাও থাকেন। এই কমিটি আগামী বছরের জন্যে সমস্ত ফসলের( ধান,গম থেকে শুরু করে আলু, পেঁয়াজ, টমেটো, বেগুন, লংকা ও অন্যান্য ক্যাশ ক্রপ, খরিফ, রবি বা পেরেনিয়াল, সিঞ্চিত বা অসিঞ্চিত) উৎপাদন লাগত(production cost) ঠিক করে দেয়। তারপর জেলা সমবায় ব্যাংক এগুলো নিয়ে একটি বুকলেট বের করে সমস্ত ব্যাংকের অফিসে পাঠায়।
    এখন ফসল হওয়ার পর বিক্রি করতে গেলে গড় বাজার দর ওই উৎপাদন ব্যয়ের থেকে কম বা সমান সমান বা সামান্য বেশি হয়, তাহলে বলতে হবে এবার চাষীরা দাম পাচ্ছে না।যেমন কয়েক মাস আগে ২৪ ঘন্টা বাংলা চ্যানেলে দেখলাম বর্ধমানের চাষীরা বলছেন যে আলুর প্রতি কুইন্টাল কস্ট ৮০০ টাকা, বাজার দর প্রায় সমান সমান, আমরা না খেয়ে মরব।
    কারণ এই ফসল বিক্রি করে ওদের সারা বছর খেতে হবে, ছাত মেরাম্মত করতে হবে, জামাকাপড় কিনতে হবে, বাচ্চাদের স্কুলে পড়াতে হবে, চিকিৎসা করাতে হবে। বিয়ে দিতে হবে ইত্যাদি।
    তাই সরকার ধান ইত্যাদির সাপোর্ট প্রাইস নির্ধারণ করে, কোথাও কোথাও নিজেরা ধান কেনে, ফুড কর্পোরেশনের গোদামে রাখে।
    কিন্তু অমর্ত্য সেন ও অশোক রুদ্র একবার ফিল্ড স্টাডি করে দেখিয়েছিলেন যে ছোট চাষীরা এসব ব্যবস্থার লাভ নিতে পারে না। ওরা মজবুর হয়ে ফসল ডিস্ট্রেসড- সেল করতে বাধ্য হয়। বড়রা ধরে রাখে, যখন বাজার চড়া তখন ছেড়ে ভাল লাভ করে।
    আর শেষ কথা। শুধু গরীবরা ছোট সমবায় ব্যাংকে যায়, বড়রা স্টেস্ত ব্যাংকে এটা পুরোপুরি সত্য নয়।
    স্টেটব্যাংকের নিয়মকানুন কড়া, ফিল্ড অফিসার/ ম্যানেজার অনেস্ট হলে দু'নম্বরী করতে পারা যায় না। তাই গ্রামের বড়লোকেরা সমবায় ব্যাংকের পরিচালন সমিতিতে হোমরা-চোমরা হয়, অনেক শেয়ার কেনে, প্রচূর লোন নেয়, গোটা পরিবারের নামে, ডিফল্টার হয়। তারপর সরপন্‌চ, জনপদ/জেলা পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান হয়, শেষে বিধায়ক হয়। এই হল হিন্দি বলয়ের পরিচিত ছক।

  • S | 99.26.200.89 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৩:৫৫535346
  • আরেকটা কোস্নো: এই মুকুব করাটা কি সত্যিই মুকুব করা। মানে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এতে ব্যান্‌ক তার কালেকশন পলিসি কিছু চেন্‌জ করেনা,শুধু ব্যান্‌কগুলো একস্ট্রা ক্যাপিটাল পায় যাতে সলভেন্ট থেকে আরো লোন দিতে পারে।
  • lcm | 69.236.163.198 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৪:০০535347
  • কল্লোলদা, ঠিক পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারটা কঠিন। ভারতের সবথেকে ঘন জনবসতিপূর্ণ রাজ্য, মাথাপিছু জমি কম। প্লাস, অপারেশন বর্গা-য় কিছু ল্যান্ড রিফর্ম হয়েছিল সেযুগে। যার ফলে ব্যক্তিগত মালিকানায় প্রচুর চাষজমির সংখ্যা কম। এই সমস্যা সিঙ্গুরে প্রকট ছিল। ৯০০ একর জমির ওপর ২০,০০০ ফ্যামিলি!(ভাগচাষী ধরে)।
    বকেয়া ব্যাংক লোন কালেক্‌শনের জন্য ব্যাংক যে পদ্ধতি নেয় তা অনেক সময়ই মহাজনের হুমকি থেকে কম কিছু নয়। আবার, কিছু লোক ব্যাংকের লোন নিয়ে জাস্ট সিম্পলি টাকাটা মেরে দেয়।
    জটিল কেস।
  • ranjan roy | 14.97.40.33 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৪:২৮535348
  • S,
    না, এই মকুব গুলো সত্যিই মকুব। কেমন করে হয়?
    এই যে বছর পাঁচেক আগে মনমোহন সিং দেশজুড়ে মাপ করেছিলেন সেটাই বলি। স্পষ্ট: দুটো নীতি ছিল ২০০৭ এর ৩১ মার্চের আগে দেয়া অনাদায়ী লোন , তার সুদ, নোটিস চার্জ ও অন্যান্য ইন্সিডেন্টাল খর্চা শুদ্দু ১০০% মকুব হবে শুধু ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীর ক্ষেত্রে। আর অন্যদের ২৫%, যদি তার আগে বাকি ৭৫% শোধ করে দেয়, তিন কিস্তিতে একটি কাট্‌ অফ ডেটের আগে।
    এখন ব্যাংকের হাতে হ্যারিকেন, পুরো ক্যালকুলেশন করে লিস্ট বানাও, সেগুলো অন্য কমিটি দিয়ে কাউন্টার চেক করাও, অডিট করাও যাতে ম্যানেজার পয়সা খেয়ে কোন দুনম্বরী না করতে পারে। তারপর ওই অ্যামাউন্ট নাবার্ড থেকে ক্লেম কর, আর আগেই চাষীর লোন খাতায় জমা করে লিস্ট টাঙিয়ে দাও। চাষীর অ্যাকাউন্ট ও লিস্ট কম্পালসারিলি সি এ ফার্ম দের দিয়ে চেক করিয়ে সার্টিফিকেট নাও। তারপরে নাবার্ড থেকে ওই রাশি ব্যাংকের কাছে আসে, এবং ব্যাংককে ওই মকুব করা লোকদের আবার লোন দিতে হবে।
  • quark | 14.139.199.1 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৪:৪১535349
  • সবই তো হ'ল, কিন্তু ওদিকে দিদির ঘোষণার ফল যে ফলতে লেগেছে - http://www.anandabazar.com/14raj1.html

  • abastab | 14.139.163.29 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৪:৪৬535350
  • কল্লোলদা কি বলছেন যে ফসল বেচে যদি চাষের খরচের থেকে বেশি রোজগার হয় তাহলেই ঋণ শোধ করতে হবে। চাষীকে খেয়ে বাঁচতে হবে না? তার জন্য একটা ভদ্রস্থ লাভও ছাড়তে হবে। আর তাহলেই অঙ্ক জটিল হয়ে উঠবে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৫:১০535351
  • হ্যাঁ, তাতো বটেই। তবে সেটা সেই ব্যাক্তির ব্যাপার। উনি আগে ধার শোধ করবেন, তারপর আবার ধার করে খাবেন, না, আগে খাবার মতো টাকা সরিয়ে রেখে আংশিক শোধ করবেন বা আদৌ করবেন না।
    কিন্তু উনি যদি ধার শোধ না দিতে পারেন তখন এই সব কিছু ধরে পরিস্থিতির বিচার করতে হবে।
  • ranjan roy | 14.97.40.33 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৫:২৬535352
  • কোয়ার্ককে ধন্যাবাদ।
    রাজ্য সমবায় ব্যাংকের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিলেখা অশোকবাবু যা বলেছেন তা একেবারে হক কথা, শুধু বঙ্গে নয়, সারা ভারতের জন্যে।
    এক, দশহাজার অব্দি ফসল ঋণের জন্যে কোন জামানতদার ও নেয়া হয় না, ৫০০০০ হাজার অব্দি কোন জমি বন্ধক নেয়া হয় না। এগুলো রিজার্ভ ব্যাংকের গাইডলাইন।
    দুই, বাস্তবে বন্ধক জমি নীলাম করা হয়ই না। শুধু ধমক ও নোটিসে কাজ হয়ে যায়।
    তিন, ছোট ও মাঝারি লোন পরিশোধের হার ভাল। ভোগায় লাখটাকার ওপর নেয়া বড়পার্টিগুলো যাদের পলিটিক্যাল ব্যাকিং আছে বা অন্য আয় আছে।ওই মৎস্যব্যবসায়ীর রংবাজি দেখুন।
    চার,অন্য ঋণ মকুবের সঙ্গে মমতার ঘোষণার মৌলিক পার্থক্য আছে। অর্জুন সিং বা মনমোহনের ঋণ মকুব প্রোগ্রাম স্পেসিফিক, টাইমবাউন্ড,--- ইনডিটার্মিনেট নয়। ফলে
    চাষীরা এবং ব্যাংক জানতো যে আগামী বছর থেকে আবার শোধ করতে হবে। আর তাতে ব্যাংকের কোন লোকসান হত না। কারণ টাকাটা সরকার ব্যাংককে ভর্তুকি হিসেবে দিয়ে দিত।
    পাঁচ,
    মমতা কিন্তু কোন স্পেসিফিক মাপদন্ড বা মকুবের পলিসি ঘোষণা করেন নি। যা বলছেন জমি নিয়ে তাতে গ্রামের সবচেয়ে করাপ্ট, ধান্ধাবাজ, ফাটকাবাজ রাজনৈতিক বাহুবলীরা মাথায় চড়বে। ব্যাংকের লোকজন মার খাবে। আর বৃহত্তর ইকনমির দিক থেকে দেখলে লোন্‌- উৎপাদন- বিক্কিরি-শোধ-লোন এই চক্রটাই বন্ধ হয়ে যাবে।
    অর্থাৎ গ্রামীণ ইকনমির দিক থেকে দেখলে এটাগাছের ডালে বসে গাছ কাটার মতন আত্মঘাতী অদূর্দর্শী দায়িত্বজ্ঞানহীন পলিসি।
    ছয়,
    যদি বন্ধকী জমি বাস্তবে নীলাম না করা হয় তাহলে মমতা কি দোষ করলেন? উনি এমন ভাব দেখালেন যে ঋণ শোধ না করলে কিছু আসে যায় না। তাতে আবহাওয়া খারাপ হয়।
    সাত,
    মহাজন ও ব্যাংকের ঋণ আদায়ের স্টাইলের তুলনা:
    এটা শহরে আইসিসিআই বা অন্য ব্যাংকের স্টাইলের সঙ্গে মেলে। গ্রামে ছোট চাষীদের সঙ্গে আদৌ এমন করা যায় না। বড়দের সঙ্গে প্রশ্নই ওঠে না।
  • ppn | 202.91.136.71 | ১৪ মার্চ ২০১২ ১৫:৩০535353
  • কোয়ার্কের লিংটা রঙ্গনও দিয়েছিল শুরুতেই।

    এইখানে আরো ডিটেলসে আছে:

    http://www.anandabazar.com/14med1.html
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন