এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • লোকগান লোকনৃত্য

    pi
    গান | ২৭ জুলাই ২০১১ | ৮৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 72.83.87.117 | ২৭ জুলাই ২০১১ ২২:৪৪483597
  • গুরুর ফেসবুক গ্রুপে এই নিয়ে মাঝেসাঝেই অনেকে অনেক কিছু লিখে যান। সে নিয়ে আলাপ আলোচনা তর্ক-বিতর্ক ও চলে। তারপর ফেসবুকের নিয়মে কালের গর্ভে সেঁধিয়ে যায়।
    সম্প্রতি এমনি কিছু আলোচনা হচ্ছিল। চেষ্টা করেও ওনারা সাইটে টই খুলতে পারছেন না। ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছেন না।
    তাই কিছুটা লেখা ওখান থেকে পেস্ট করে দিচ্ছি। আলোচনাটা আশা করি চলতে থাকবে। :)
  • NB | 72.83.87.117 | ২৭ জুলাই ২০১১ ২২:৪৭483598
  • ছৌ নৃত্য – এক মেলবন্ধন
    --------------------

    আজকাল সবার বাড়ীতে বসার ঘরে ছৌ নাচের একটি মুখোশ থাকা বোধহয় ‘চলতি হাওয়ার পন্থী’। মন কাড়া, আকর্ষণীয়। বিভিন্ন পৌরানিক চরিত্র অনুসরনে তৈরি মুখ। কাগজের মণ্ড দিয়ে ছাঁচে ঢেলে মুখের আদল দেয়া হয়।অতারপর মুকুট, চুমকি বসিয়ে সেটাকে উঙ্কÄল রূপ দেয়া হয়।অনি:সন্দেহে শহুরে বসার ঘরের সৌন্দর্য অনেক খানি বাড়িয়ে তোলে আর তাতে গৃহকœÑ£ বা কর্তার রুচির একটি পরিচিতি হয় বইকি।অপুজোর পরে যে মেলার সমাহার ঘটে তাতে ছৌ নাচ ও মুখোশের কদর ও খুব বেশি হয়। লোক সংস্কৃতির আদর বা পুনর্জাগরন গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আবার যেন নিজের সংস্কৃতি, সুর, কলা- কে পেছন ফিরে দেখার আয়োজন শুরু হয়েছে।অএক দিকে যেমন বিশ্বায়ন থাবা বসাচ্ছে আমাদের নতুন প্রজন্মের ওপর তেমনি নিজেদের সংস্কৃতির পুনর্জাগরন ঘটানোরও একটা চেষ্টা চলছে।
    ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্য ও পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা সাতশপাহাড় ,টিলা ও গহীন ,গভীর জঙ্গলের দেশ। প্রকৃতির আশ্চর্য মোহময়তা সমস্ত স্থানটিতে ছড়িয়ে আছে যার ছাপ স্থানীয় মানুষের ওপর স্পষ্ট । পাহাড়ের সবুজ সৌন্দর্য ,ঝিলমিল ঝর্ণা, নুড়িবিছান নদীর আঁচল , ঘন জঙ্গলের লাল মাটি ,কাল মানুষ ,খারকি নদির পারে পুরান জাগন্নাথ মন্দির, ধামসা মাদলের সঙ্গে লোকনৃত্য, প্রাত্যহিক সুখ দু:খ- এ সকল নিয়ে পাহাড়ি জীবন। এখানে তাদের আপন জগত ,আপন ভাবের বাসা । আদিকাল থেকে স্থানীয় মানুষেরা একেবারে নিজস্ব পরিচিতি, নিজস্ব ধারাকে বয়ে নিয়ে চলেছেন। থেকেছেন সব সময় স্বাধীন। বহি:শত্রু সাহস করেনি এ পথে পা বাড়াবার। নিজেদের সভ্যতা সংস্কৃতি নিয়ে তারা তাদের মত বাঁচতেন। যদিও দেশজ রাজরাজড়া দের অধীনে ছিল এই স্থানগুলো। আশেপাশের প্রতিবেশী দের সঙ্গে হামেশাই লেগে থাকত খুনসুটি ,ঝগড়া,ফলত যুদ্ধ। গড়ে উঠেছিল কেল্লা ও গড়। অন্ত:শত্রুর থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য জনগণকে প্রশিক্ষন দেয়া হত এগুলোর ভেতরে।অচলত ঢাল ,তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধের মহড়া । এই যুদ্ধ মহড়ার অপরিহার্য অঙ্গ ছিল শরীর মজবুত রাখা।অএ ছাড়াও ব্রিটিশদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে উন্নততর অস্ত্রের আগমনে ঢাল তরোয়াল তার মাহাত্ম্য হারাল। তাই প্রবর্তন করা হল ‘ফারিখান্দা’ বা যুদ্ধ নৃত্যের । যুদ্ধের সকল কলা কৌশল কে অবলম্বন করে ছৌ এর জন্ম হল। যুদ্ধের মহড়া দিতে দিতে শরীর কে সুনিবদ্ধ রাখার কাজ টি ও যে করতে হয়। তাই নাচ।অপরে অনেক উপনদী এতে এসে মিলিত হয় । যেমন আচার্য ভরতের ‘নাট্যশাস্ত্রের’ অনেক উপাদান এসে যুক্ত হয়। শাস্ত্রীয় ও লোকনৃত্যের ভাব সন্মেলনে গড়ে ওঠে এক অপূর্ব নৃত্য শৈলী আজ যা দেশে বিদেশে আদৃত । সারাইকেলা(ঝারখণ্ড), ময়ূর ভঞ্জ (উড়িষ্যা), পুরুলিয়া( পশ্চিমবঙ্গ) ঘরানার মধ্যে অনেক বিভিন্নতা ও বৈচিত্‌র্‌য রয়েছে। যদিও সারাইকেলাকে ছৌ নাচের জন্মভুমি ধরা হয়। সরাইকেলা,ময়ূরভঞ্জ,পুরুলিয়া কে ঘিরেই ছৌ নাচের জন্ম,প্রশার ও বেড়ে ওঠা।
    ছৌ শব্দটির উৎস নিয়ে ও বিভিন্ন রকম মতভেদ আছে।অতবু ও ধরা হয় ছৌ অর্থ ছায়া বা মুখোশ; কারও মতে ‘ছাউনি’ ---সৈন্যদের ছাউনি থেকে ছৌ শব্দের উৎপত্তি।
    বসন্ত কাল যা ভারতীয় সময় পঞ্জীকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। পুরান বছরকে বিদায় ও নতুন বছরের আগমন এই সময়েই ঘটে। তাই প্রত্যেকটি রাজ্যে চৈত্র পরব বা বসন্ত উৎসব নতুন জোয়ার নিয়ে আসে।অ।অতারই প্রকাশ ঘটে চৈত্র বৈশাখের বিভিন্ন আনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে।অসরাইকেলা ও ময়ূরভঞ্জে চৈত্র পরবের আগমনে ছৌ-নাচের জমজমাট আসর বসে।অআবাল বৃদ্ধ বনিতা, সমাজের সর্বক্ষেত্রের মানুষের আনন্দের উৎস হয়ে ওঠে এই নাচ। ‘চৈত্র পরব’ কেবলমাত্র একটি উৎসব নয় এই আদিবাসী অঞ্চলের ঐতিহ্যও বটে। চৈত্রের শিবের বন্দনা আমরা চড়কেও দেখি । আদিবাসী অঞ্চলে ও বসন্ত উৎসবের অবশ্যম্বাভি আড়ম্বর হিসেবে ছৌ ছিল অন্যতম আকর্ষণ ।অসারারাত ধরে চলে নৃত্য অনুষ্ঠান চলে শিবের আরাধনা।অআস্তে আস্তে এই নাচ ধর্মীয় ভাব থেকে সম্পূর্ণ একটি সস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। আনন্দে মাতরা হয় রাঙ্গা মাটি ,নীল পাহাড়ির দেশের মানুষ । রাজার উন্মুক্ত চাতালে বসত ছৌ-এর আসর । জনগনের জন্য রাজার উঠান থাকতো অবারিত। নৃত্যের শুরু থেকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হত। প্রথম পর্বটি হত ‘ছালি’, অথবা একটি পশুর আচার আচরণ নকল করে হাত,পা ,মাথা ও ঘাড়ের তড়িৎ চালনার মাধ্যমে। তার সঙ্গে পায়ের ও যথেষ্ট কলা কৌশল প্রদর্শিত হত । যে জন্য নৃত্য ব্যাকরনটিকে উপেক্ষা করা যেত না । যথেষ্ঠ কসরত করে আয়ঙ্কÄ করতে হত নাচের কলা কৌশল। দ্বিতীয় পর্যায় টি হল –‘উপালয়’ বা ‘উপাহেলি’-যা হল নৃত্যের মূল আত্মা । এই পর্বটি থেকে শাস্ত্রীয় ভাবের প্রবেশ ঘটে । সূক্ষ্ম আকার প্রকরন মধ্যে দিয়ে নাচটিকে তুলে ধরা হয়। ছৌ আসলে এক পুরুষালি যুদ্ধ নৃত্য। ছালি বা উপালয়ের মধ্যে দিয়ে শিল্পী ‘খেল’ বা তরবারি অনুশিলনের দিকে এগোতে থাকেন। খেল বা অস্ত্র চালনা শরীরের অভূতপূর্ব শক্তি ও ক্ষিপ্রতা দাবি করে। যেহেতু নাচটি মুখোশের অন্তরালে থেকে করতে হয় তাই মুখের ভাব প্রকাশ করার অবকাশ থাকে না। সুতরাং মুখ, ঘাড় ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের ব্যাবহার এখানে বিশেষ ভুমিকা নেয়।অনৃত্যের সংগে সংগীতের একটি আয়োজন থাকে-সানাই ,ঢোল,শিঙ্গা, মন্দিরা,বাঁশী ইত্যাদি সহযোগে একটি সংগীতের আবহ তৈরী করা হয়।অআজকাল বেহালা,হারমোনিয়ম,সেতারও ব্যবহার করা হয়।অভারতীয় সংগীত শাস্ত্রে তাল, লয়, ছন্দের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।অছৌ নাচের ক্ষেত্রেও তাল, লয়,ছন্দের বিশেষ প্রয়োগ ঘটেছে।অছৌ নৃত্যশিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনার সময় গুরু নিকটে বসে তালমাত্রা উচ্চারন করেন।অনৃত্যের তাল সেই উচ্চারিত তালকে অনুসরন করে পরিবেশিত হয়।
    আচার্য ভরতচন্দ্রের ‘নাট্যশাস্ত্রের’ নীতি,নিয়ম শৃঙ্খলা অবলম্বন করে শাস্ত্রীয় নৃত্যের রূপ পরিগ্রহ করেছে ছৌ। আমরা যে একে আদিবাসী নৃত্য বা লোকনৃত্য বলি তাতে এর গাম্ভীর্য ভাবসৌন্দর্য কে অবহেলা করা হয় বলে কেউ কেউ মনে করেন। এটা সত্যি যে এর উৎপত্তি আদিবাসী অধ্যুসিত অঞ্চলে ও পর্যায়ক্রমে অগ্রগতি ঐ অঞ্চলকে ঘিরেই । তবুও ছৌ নামের মাহাত্ম্য ও বৈশিষ্ঠ্য হল শাস্ত্রীয় ও লোক নৃত্যের ভাব সন্মেলন । যা ছৌ নাচকে অন্য মাত্রা দিয়েছে এবং অনন্যতা তৈরি করেছে। নৃত্যের অঙ্গনে শৈলীকে আমরা দুটি ভাগ হিসেবে জানি- একটি শুদ্ধ শাস্ত্রীয় বা লোকনৃত্য এবং আরও অন্যান্য ধারা । কিন্তু শাস্ত্রীয় শৃঙ্খলায় লোকভাবের আঙ্গিকে বা ভাবনায় গড়ে উঠে নিজস্ব পরিচিতি লাভ করেছে। সেটা একমাত্র ছৌ -এর ক্ষেত্রে দেখা যায় ।
    অবশ্যই ছৌ নাচ সরাইকেলার রাজারাজড়াদের পৃষ্ঠপোষকতায় জীবনের প্রয়োজনে গড়ে ওঠা এক যুদ্ধনৃত্যের প্রতিরূপ। কিন্তু ‘নাট্যশাস্ত্র’ বর্ণিত ‘নৃত্য’ বা ’তাণ্ডবের’ বৈশিষ্ঠ্য এর মধ্যে স্পস্ট। এর গতিময়তা ও সম্প্রসারন বিভিন্ন সময় ঘটেছে । সুতরাং ছৌ নাচ হঠাৎ করে শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলীর অন্তর্ভুক্ত হয়নি।‘তাণ্ডব’ ধারার অনুষঙ্গ হিসেবে নাকাড়া,ঢোল, পাখোয়াজ,ধামসা ইত্যাদি সংগীত যন্ত্রের ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে তাণ্ডবের ভাবের উচ্চকিত শব্দ সৃষ্টি করা হত নাচের প্রয়োজনে। । শাস্ত্রীয় ও লোকধারার মেলবন্ধন ও তার মূল উৎপত্তিস্থল সরাইকেলার থেকে ময়ূরভঞ্জ ও পুরুলিয়ার মধ্যে বিভিন্ন রূপ গ্রহন -ও গ্রহন বর্জনের মধ্যে দিয়ে নতুন ধারা তৈরি করেছে।অসুতরাং ছৌ-নাচ ‘ফারিখান্দা’র(তরোয়াল ও ঢালের লোকনৃত্য) লোককলা থেকে শাস্ত্রীয় নৃত্যের এক দীর্ঘ যাত্রা বলা যায়।
    ‘অহর্যাভিনয়’ ছৌ নাচের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। ভরত আচার্যের মতে পোশাক ও গহনা নৃত্যের বিশেষ অঙ্গ। মুখোশ ,পোশাক, গহনা ,অস্ত্র, সঙ্গীত, যন্ত্রানুসঙ্গ -এই প্রকরণগুলো নৃত্যশাস্ত্রে বিশেষ ভাবে বর্ণিত হয়েছে। সঙ্গীত যন্ত্রানুসঙ্গ, ‘তাল-লয়-ছন্দের’ ব্যাবহার ছৌ নাচ কে শাস্ত্রীয় নৃত্যের উৎকর্ষতা দিয়েছে। যুদ্ধ নৃত্য যখন বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে শাস্ত্রীয় নৃত্যের রূপ পেতে শুরু করেছে তখন থেকে রামায়ন ,মহাভারত ,পুরান, ও সংস্কৃত সাহিত্যের মহাকাব্য কাহিনীর প্রেম, বিরহ প্রভৃতি মানবিক অনুভূতি গুলিকে নৃত্যের বিষয় হিসেবে গ্রহন করে। আবার সমাজ জীবনের কথা,দেশপ্রেম,সামজিক সমস্যা,ঐতিহাসিক ঘটনা,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য,কৃষিজীবনের কথা ইত্যাদি লৌকিক বিষয়ও এসেছে।
    যদিও ‘নাট্যশাস্ত্রের’ রস ভাবের কথা বলা হয় তবে ছৌ নাচে ‘বীররসের’ প্রয়োগ সবচেয়ে বেশি। ‘শৃঙ্গাররস’ বা প্রেম ভাব পরে এসেছে। যুদ্ধের কলা কৌশলের চর্চা করেই এর অগ্রগতি। বীররস ও শৃঙ্গার রসের মিলন সরাইকেলা ও ময়ুরভঞ্জ ছৌ নাচে দেখা যায়। সরাইকেলা ছৌ নাচে সুক্ষতা ও গাম্ভীর্য অনেক বেশী। ছৌ নাচে নাটকের মত কথোপকথন বা সঙ্গীত না থাকায় হস্তমুদ্রা, পদক্ষেপ ,শরীরী বিভঙ্গময়তা ,ভাষা ও কথোপকথনের বা তার বিষয় বোঝাবার মাধ্যম হয়ে ওঠে । মনের ভাব প্রকাশের মূল ভূমিকা শরীরী প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঘটে ।অরাগ প্রকাশের সময় শরীরের ক্ষিপ্রতা ,দৃঢ়তা; বীরভাব প্রকাশের সময় শরীরে কঠিন ভাষা; মনের পেলবতা প্রকাশের সময় শরীরের ভাব ও হয় নরম, স্থির ,ধীর। সেইজন্য একটি ধারা ‘তাণ্ডব’ আর একটি ধারা ‘লাস্য’। আবার এর যে লোক উপাদান সেটি সম্পূর্ণ লোককথার ,লোকজীবনের যে অঙ্গচালনা তার থকে গ্রহন করা- যেমন পশুপাখির আচার আচরণ নকল করে নিজের মত করে প্রতিফলন ঘটান। ক্রমাগত লোকজীবনের প্রতিচ্ছবি এই নাচকে কঠোর শাস্ত্রীয় নাচের তথাকথিত শৃঙ্খলা থকে মুক্তি দিয়েছে তাই সাধারণ মানুষের কাছে বেশী গ্রহন যোগ্য হয়েছে।
    সমাজের সকল শ্রেনীর মানুষকে বিনি সুতোয় গেথেছে ছৌ নাচ। নৃত্যশিল্পীরা সকল শ্রেণী থেকে এসে যোগদান করেন। জাতি বর্ন, সম্প্রদায়, একসাথে এই নাচের সাথে তাল মেলায় ।অনাচটি কিন্তু উচ্চবর্ণ ও আদিবাসী জনজাতিরাই শুরু করে। বিষয়বস্তু ও তার প্রকার প্রকরন পৌরাণিক কাহিনিও লোকগাথার সংমিশ্রনে তৈরি ।অযা কিনা সমস্ত নাচকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করে তুলেছে।অএই আঞ্চলিক চরিত্র ,মানুষ ও তাদের পোশাক পরিচ্ছদ ,ঋতুর পদচারনা –সমস্ত কিছুই এই ঐতিহ্যকে, পুরানো কলাকে সমৃদ্ধ করেছে।অসারা পৃথিবীর কাছে ছৌ নাচ সম্মানের সঙ্গে আদৃত।

  • pi | 72.83.87.117 | ২৭ জুলাই ২০১১ ২২:৫৬483599
  • এনিয়ে মন্তব্যগুলি :
    ----------------

    MostakAlMehedi"ছৌ নৃত্য" অপূর্ব বর্ণনাভঙ্গি !
    ..
    o

    MadhuchhandaPaul চম্‌ৎকার বর্ণনা !
    ..
    o

    BiplobRahman একবার ছৌ নাচের ভিডিও ক্লিপিং দেখে মুগ্‌ধ হয়েছিলাম। এই লেখার চম্‌ৎকার বর্ণনা পড়ে একই রকম অনুভূতি হলো। ...আচ্ছা, এই নাচে কী কোনো গল্প বা ম্যাসেজ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়? নাকি মিথলজিক্যাল চরিত্র প্রকাশই নাচের মুখ্য অনুসঙ্গ? (আনাড়ির মতো প্রশ্ন করে থাকলে আগাম ক্ষমা প্রার্থণা)।

    NanditaBhattacharjeegolpotothakekintusobsomoymessagethakbetarkonomanenei.sadharonvabegolpobolasadharonmanusheranondoudjapaonetaomukhhyohoyeothe.
    ..
    o

    NanditaBhattacharjeeonekonekdhonyobad.

    o

    SuddhasatyaGhosh
    লেখাটা বেশ লাগলো। কিন্তু দু একটা প্রশ্ন এল। এক, লোকনৃত্যের ধারাটি সবদেশেই মোটামুটি ভাবে একই পদ্ধতিতে চলেছে। প্রথমে শিকারের জন্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করা, তারপরের কালে যুদ্ধের জন্যও নাচ। কিন্তু এখানে উচ্চবর্ণের কথা কেন আসছে? ছৌ উচ্চবর্ণের নাচ এই... সূত্রটি আসছে কোথা থেকে জানার আগ্রহ রইলো। জনজাতীয় নাচ অবশ্যই। দুই, ভরত কোনো ব্যাক্তি না গোষ্ঠী হিসেবেই আজকাল ধরা হয়। ভরতগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাস-এর শিষ্যরাও পরেন, ব্যাস সমেত। সুকুমার সেন এই কারণে মহাভারতকে মহা ভারবাচ্য বা ভরত রাজার কাহিনী-টাহিনী না বলে ভরতদের কথিত গল্প বলার দিকেই পক্ষপাতি বেশী ছিলেন। এই খানেই আসে দ্বিতীয় প্রশ্নের মুখ। শাস্ত্রীয় পদ্ধতি কথাটির মানে কি? শাস্ত্রীয় পদ্ধতি লোক পদ্ধতি থেকেই উৎসারিত। আলাদা করে কিছু না। ভরতের আগে (আপনার তান্ডবের রেফারেন্স টেনেই বলি শিব উদ্‌গাতা এবং নন্দী এই নাট্যশাস্ত্রের মূল সংকলক। ভরতরা তাকেই সংস্কার করেছেন বা যুগোপযোগী করেছেন বলেই ধরা হয়। শিব, সকলেই জানেন লোকজ দেবতা। এই দেবতাটিকে মানতে বেশ সময় লেগেছে সংস্কৃতভাষী শাসকদের। কাজেই এঁর জন্য করা নৃত্য বা বাদন পদ্ধতি শাস্ত্রীয় হবার কথা না। অপূর্ব বীণাবাদক রাবণ এঁর জন্য নৃত্য করছেন (তান্ডব) রামায়ণে, রাম না। হ্যাঁ, পরের দিকে মেনে নিতে হয়েছে বা শাস্ত্রীয় করে নিতে হয়েছে, শিবপূজার মতৈ বা দেবাদিদেব করে তোলার মতই। কাজেই শাস্ত্রীয় প্রথা এখানে আলাদা করে যখন প্রযুক্ত হওয়ার কথা আসছে তখন বলার কথা হল যাঁরা করেছেন (মূলত এটা ১৯৪৭এর পরেই হয়েছে বলে ধরা হয়) তাঁরা সবটা না জেনেই করেছেন বা না বুঝেই করেছেন বলাই ভাল। এ কথার সূত্র ধরেই বলি তাল-লয়-ছন্দ পৃথিবীর যে কোনো নাচেই থাকে, এটা না থাকলে নাচ হয়না। সেটা দিয়ে শাস্ত্রীয় বা অশাস্ত্রীয় বিচার হয়না। সাধারণ সান্থালি মানুষদের মহুয়া খেয়ে কোমর দোলানোর নাচেও থাকে তাল-লয়-ছন্দ। ধানভানার থেকে ছাদপেটাই করার নাচেও থাকে। আফ্রিকার বহু নাচ আছে যাতে মুখোশের ব্যবহার আছে। নাটকের সাধারণভাবে আদি ও মধ্য যুগে পশ্চিমা দুনিয়ায় শুধু গ্রীসেই না, বহু দেশেই ছিল নাচে ও অভিনয়ে মুখোশের চল। এদেশেও ছিল এমন। এর থেকে শাস্ত্রীয়তার কি প্রমাণ পাওয়া যায়? শাস্ত্রীয়তার মাপকাঠিটা বেশ গোলমেলে বিশ্বময়ই। প্রাচীন বলে শাস্ত্রীয় বা ধর্মগুরুদের দ্বারা সমাদৃত বলে শাস্ত্রীয়? প্রাচীন হলে সেটা সব থেকে বেশী প্রযুক্ত হবে লোক সংস্কৃতির উপর। ধর্মগুরু হলে আলাদা কথা। হ্যান্ডেলের কম্পজিশনে প্রচুর লোক উপাদান থাকতো, তেমনি আছে মোৎসার্টেও। এ সব থাকলে নিয়ম অনুসারে একে শাস্ত্রীয় বলার কথা না। কিন্তু কার ঘাড়ে কটা মাথা যে হ্যান্ডেলকে বা মোৎসার্টকে ক্লাসিক বলবেন না? আরেকটু বলি? ক্লাসিক লেখা বলতে যে কয়টি মহাকাব্য রয়েছে তা ধর্মগুরুদের লেখা না ঠিক। আসলে কথকদের লোকজ কাহিনী সংকলন মাত্র। কাজেই শাস্ত্রীয় কথাটি ব্যবহার নিয়ে আমাদের আরেকটু সতর্ক হওয়ার দরকার আছে বলে মনে হয়। শাস্ত্রীয় বলেই গৌরবময় না হলে তেমন না? এটা নিতান্তই আরোপিত ধারণা। বরং বোধহয় হওয়া উচিত লোকজ বলেই গৌরবময়। এত কথা বললাম, কিন্তু লেখাটি সত্যিই আকর্ষণীয়। শুধু এই জায়গাগুলোতে সামান্য অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে আপত্তি জানানো উচিত মনে হল বলে লিখে ফেললাম এত কথা।

    o

    NanditaBhattacharjeeETAKESASTRIYONABOLESDHUDULOKONTRYOBASANTHALNRITYOBOLATEARTHEKEBESHIAPOTTIUTHECHILO.BOLAHOCHHEBLENDINGOFCLASSICALANDFOLK.REFHISHEBESARAIKELACHHOUCHOKHRAKHTEPAREN.'SOBNACHEEETALLOYCHONDOTHAKE'- ETOBOTEEE.KINTUCLASSICALEKIAKTUBESHIDISCIPLINETHAKENA ?FOLKEKISEVABETHAKE?

    o

    NanditaBhattacharjeeARRARAJRADERPRISHTHOPOSHOKOTAITHAKTOBOLEHOITOUCHHOBORNERREFESHECHE.

    o

    SuddhasatyaGhosh
    আমি জানিনা কি বিতর্ক হয়েছিল, তবে এ বিতর্কের উৎস কি সেটা খুব জানতে ইচ্ছে করছে। শাস্ত্রীয় কথাটা নিয়ে আরো দু একটা কথা বলি সান্থাল জনজাতি প্রসঙ্গেই। এঁদের সংস্কৃতিকে বদলাবার একটা ব্যাপার অনেকদিনই চলছে। যেমন ধরুণ এঁদের রাজারা, হঠাৎ করেই কথা নেই ...বার্তা নেই হয়ে গেলেন সিং। মেদিনীপুরের দিকে এমন ঘটেছে মুঘল আমলেই। এটাও অনেকটা তেমন। লোক সংস্কৃতি থেকে যারা জন্মালো তাদের পরিচয় না থাকলে অগর্বের বিষয় হবে? এটা মনে হয় বেশ কিছুটা ইতিহাস অসচতেনতরা ফসল। দুই, যেটা বললেন শৃঙ্খলার কথা সেই প্রসঙ্গে বলি। আমি নাটকের স্বার্থে অল্প-বিস্তর নাচ শিখতে বাধ্য হয়েছি। তাতে বা আমার অল্পবিস্তর যা তাঙ্কিÄক বিদ্যে তাতে আমি এমন দেখিনি লোকনাটকে বা নৃত্যে শৃঙ্খলার কম বেশী হয়। যেটা হয় সেটা অন্য বস্তু। পরিবেশনার পদ্ধতিগত কিছু বিবর্তন ঘটে। যেমন ধরুণ শাস্ত্রীয় সংগীতে একটি শব্দকে নিয়ে একটি সুর কাঠামোর মধ্যে অনেক খেলা খেলা হয় বা বাজনাতেও তা করা যায়। কিন্তু সেটা মুন্সিয়ানা দেখাবার চাল। তা বলে যিনি আউল বাউলে তিনি সুরে বা তালে গাইবেন না তা কি করে হয়? তিনি ঐ কারসাজিটা কম করেন। দরবার কিছু চেহারা বানিয়েছে সবেতেই। তার মধ্যে এই সব মুন্সিয়ানাও আছে আবার এমনি এমনি কারসাজিও আছে। কিছু তার ভাল কিছু বেশ অসহ্য। আবার লোকগানের ক্ষেত্রেও তাই। গুরু বলে টান দিলেই লোকগান হয়ে যাবেনা। অনেকেই যেমন বাউল গান করেন। কিন্তু বাউলের সাধনতঙ্কÄটি বাদ দিয়েই করেন। তা বোধহয় হয়না। ওটির ধর্মাংশ বাদ দিলেও দর্শন বাদ দিয়ে গান হয়না। আবার দেখুন রবিবাবুর গানের দর্শন বাদ দিয়ে কতজন শুধু স্বরলিপিই গেয়ে গেলেন চিরকাল। যাক সে কথা! অন্য কথা বলি। মানুষের কাজ থেকে এসেছে তার সংস্কৃতির অনেক উপাদান। যুদ্ধ বা শিকার না থাকলে এই ধরণের নাচ আসতো না। আবার ধান ভানতে না হলে আসতো না ধান ভানার গান। জেলেরা যখন জাল সমুদ্র থেকে টেনে তোলেন তখন তাঁদের পায়েও থাকে বিশেষ তাল। সেই তাল আসে জেলের নাচে। সরাইকেলার ছৌ কালে কালে সেই উৎপাদন প্রক্র থেকে সরে গিয়েছে। তাকে বিপণন করতে এমন কিছু অদ্ভূত মতবাদের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, সাহেব সুবো খুব বুঝতে পারেন, কিন্তু আমরা যারা দেশের মানুষ তাঁরা কেন জানবো না এসব নেহাতই না জানার জন্য বলা হচ্ছে? একে সন্মান করার বদলে অসন্মান করা হচ্ছে? এটাই আমার কথা।

    SuddhasatyaGhoshapniarolikhun...siteelikhlekhubbhalohoy...apnaarlekhaaroporaropekkhaeroilaam...

    o

    NanditaBhattacharjeesaraikelaghoranakenojaninaeinachkeclassicalpromankorarjonnobeshiagrohi.tabesastriyonachejeaktidisciplinedshikkhardorkarhoifolkehoitotototahoina.jemondhamailbabihunachamranijenijeshikteparikintubharatnatyamgurumukhibidya.archhouohoitothikdhamailermotoototasohojnoi.

    o

    SuddhasatyaGhosh
    apnibarebaredisciplinelikheisomosyakorchenmonehocche...hahahaha...apnioshikhteparenboledisciplinelagena? taalkatlehobe? meneneoaholoseekrokomkintutaalkatlekinach-tasothikholo? bolunjekonokhetreikarsajishikht...ebeshikosrot...raaebesheshikhtegeleodekhbenjothestokosrotache..otaojuddhernach...shudhuchouteiacheemonna...othobadokkhinerkichunachjaarthekemarshalaartseseche...segulooloknrityo...shikhtegelebujhbenbeshsomosya...jekonosovyotaijokhonebongjotoegoetotosecomplexhoyeothe...tabolejetasimplesetaogoviremononoyto...jolporepatanoreiketemonsohojbodhyosotyi?Seemore

    o

    IpsitaPaleialochanathekeektaprashnomathaeelo.jetanieageodhondechhilam.classicalkekibhabedefinekorbo ? jaabhijatbargerprithoposhokotapushtohoeberheutheche ?

    o

    IpsitaPal
    hyan, moneporlo, Guruteigaannieektaanyoalochanaprosongeeiprashnotaesechilo: একটা রাগের স্ট্রাকচার মানে কি ? আরোহ, অবরোহ, বাদী, সম্বাদী, পকড় ?
    ধরা যাক, খেয়ালের মত কোন ফর্ম নেই। তাহলে এগুলো কীভাবে ধরা পড়বে ?
    খেয়াল আসার আগে কিছু কথাকে... যদি ভৈরবী রাগের ফেলে গাওয়া হত, তো তাকে ও এক রকমের খেয়াল বলতে আপত্তি কোথায় ? গানের আগে আলাপ ও হয়তো থাকতো। বিস্তার ও । 'খেয়াল' বলতে আমরা ফর্মালি যা বুঝি, তাতে করে ঐ প্রাচীন গান গুলোকে খেয়াল বা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বলা হবে না ক্যানো ? রাগে গাইতে হবে। সুর বাঁধা আছে। গানের নিশ্চয় কোনো নিয়ম ও ছিল। তাহলে চর্যার গান কেন বাংলা খেয়াল ( আদি ফর্মে ), আ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বলে কেন গণ্য হবে না ? 'শাস্ত্রীয়' সঙ্গীত এর সংজ্ঞা কী ?
    o

    অমি প্রাকৃতজন আচ্ছা ইপ্সিতা, যদি ঘরানা দিয়ে বিচার করতে যাই যে, গুরু পরম্প্রায় কোন নির্দিষ্ট ঘরানার সঙ্গীতই মার্গ বা রাগ বা শাস্ত্রীয় সঙ্গিত? খুব ক্লিশে হয়ে গেল বোধহয়? না হাস্যকর বা বোকার মত বলে ফেললাম?
    o

    IpsitaPal না না,আমিও জানতে চাইছি তো

    o

    অমি প্রাকৃতজন কুমার প্রসাদ, জ্ঞান্রঞ্জন উনাদের বইতে বিস্তারিত বলা আছে বটে! তবে এই মুহুর্তে বই ঘাটতে ইচ্ছে করছেনা! (খুঁজে বের করতে হবে!)

    o

    IpsitaPal গুরুর ঐ আলোচনাটা : http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?font=unicode&portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1239971523956

    Guruchandali -- BanglaeZineMagazineWebZineandsomethingelse...

    bengalibanglamagazine -coveringbooks&culture, film, painting, entertainment, books, cultureofcalcuttaandamerica

    o

    IpsitaPalkumarprasaderboiamarkacheemuhuretnei.apniporetorelikhun..:)

    o

    IpsitaPalshastriyosongeeterghoranathake...kintughoranathakleiseshashtriyosangeethabe...etabodhhaebalajaena...eisomostolokgaan, loknrityo..sebhabedekhtegeleederokighorananei ? achheto.

    o

    অমি প্রাকৃতজন তা বটে! তবে কি জানেন ইপ্সিতা, রাগ সঙ্গীতের 'ঘরানা' আর লোক সঙ্গীতের 'ঘর' বোধকরি এক নয়! যতদুর মনে পড়ছে তিন পুরুষে যে রাগ/মার্গ/শাশ্ত্র প্রবর্তন ও চর্চা করেন সেটাই হয়ে ওঠে ঘরানা! তাই তো; নাকি?

    o

    অমি প্রাকৃতজন হাহাআআআ আমি পড়বো!? আচ্ছা কিন্তু আমিত লিখি না! ওটা আপনি ই করুন বরং....

    o

    IpsitaPal লোক সঙ্গীতের 'ঘর' ও কি বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে বাহিত হয় না ?

    o

    SuddhasatyaGhosh
    যে কোনো বিষয়ই তার সমকালে অর্বাচীন হয়ে থাকে। কালের বিস্তৃতিতে তারও যদি বিস্তার ঘটে তখন তাকে সময়োত্তীর্ণ বলা যায়। আগের ধারা অনুযায়ী একেই ক্লাসিক বলা হয় এখনো। মার্কেজ যখন ছোটগল্প লিখছেন তখন এদেশে রবীন্দ্রনাথও লিখছেন। দুজনেই তখন নবীন। দুজনেই অর...বাচীন। আজকে, সময়ের ব্যবধানে দুজনেই ক্লাসিক যেমন। শাস্ত্রীয় কথাটি আসলে ব্যাকরণবদ্ধ উঁচু তলার কান্ডকারখানার খেলা। যেমন সংস্কৃত আসলে একটি ভাষা সংস্কার। কিন্তু তাতে করে তা জীবিত থাকেনি। ব্যাকরণবদ্ধ হয়েই তা উৎকর্ষ লাভ করেছে এটা সত্যি। কিন্তু সেই উৎকর্ষের মানে পালি নিকৃষ্ট এমন না। কিন্তু শাসকের দল মনে করেছেন এককালে সংস্কৃতই উৎকৃষ্ট, পালি নিকৃষ্ট। পরে তাকে ভাঙতে হয়েছে। পালিতে ধর্মপ্রচার থেকে অনুশাসন সবই করতে হয়েছে। সংস্কৃত শাস্ত্রীয়, কারণ পানিনিদের ব্যাকরণ। আর পালি অশাস্ত্রীয়, কারণ তেমন করে ব্যাকরণের বিপুল প্রচার নেই। তা বলে কি ব্যাকরণ নেই? আছে। সেটা প্রচার কম পেয়েছে আর কি! ব্যাকরণ না থাকলে ভাষা পরস্পরের কাছে যাবে কি করে? ব্যাকরণ একটি সামাজিক চুক্তি বিশেষ। গানে বা নাচেও তাই। নিয়মবদ্ধ কান্ডকারখানা হিসেবে অনেকবেশী প্রচার পেয়েছে কিছু নাচ-গান। দরবার এবং উচ্চবংশীয়দের পরিপোষণায়। কিন্তু সেই একই প্রচার পেলে লোকসংস্কৃতিও শাস্ত্রীয়ই হত। ভগব্‌ৎ ভাবনা দুই সংস্কৃতিতেই আছে। শাস্ত্র যা, তার জন্য ঐ ভাবনাই আদতে জরুরী হওয়ার কথা। কিন্তু রাজার ভগবান আর দরিদ্রের ভগবান কি আর এক হয়েছে কখনো? লোককে আর কে কবে তেমন আমল দিল বলুন? এটা বড় বিষয়। আপাতত হালকা চালেই দু একটা কথা বললাম। পরে সময় সুযোগ পেলে আরো কিছু শোনা এবং বলার ইচ্ছে রইলো।Seemore

    o
    সেটাই মনে হয়। তফাত হয়ে গেছে ঐ রাজা-প্রজাতেই ।
    .
    o

    KarubasonaOSumeru জমল না।

    o

    অমি প্রাকৃতজন ইপ্সিতা, হুম এখানে বোধ করি কিছু তফাৎ আছে! একেবারে সরলার্থেই বলছি, লোক সংগীতের 'ঘর' মুলত একজন 'পদকর্তা', 'মহাজন', 'বাউল-বৈরাগী-বতী', 'শাধু-গুরু'র লিখিত, সুরাপিত গানই গুরু-শিষ্য পরম্পরায় চলে আসে...যা কালের আর্বতে যুগোপযুগি (!?) হয়ে 'আধুনিক' রূপও নেয়!!! কিন্তু শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের 'ঘরানা'র স্মপদের কোন পরিবর্তন নেই! যা আছে তা নতুন সুর/রাগ/যন্ত্রের প্রবর্তন! ........

    o

    SuddhasatyaGhosh‎@আমি প্রাকৃতজন, এই আলোচনাটা গুরুর সাইটে গেলে বড় ভাল হত। আপনি লিখুন না ওখানে!

    o

    অমি প্রাকৃতজন শুদ্ধাসত্য ঘোষ, গুরুর সাইট মানে গুরুচন্ডা৯ ওয়েব সাইট? তা কিভাবে করবো? এই সুত্র কি আপনাদের ওয়েবের সাথে সামন্তরিকভাবে আপডেটেড? কিন্তু আড্ডাতো হচ্ছে এই গ্রুপে, এখানে মন্দ কি? অবশ্য নিয়ম-রীতি থাকলে ভিন্ন বিধান! (আমি লেখক নই! প্লিজ ভুল করবেন না যেন, আমি শুধুই পাঠক মাত্র! আজীবন। আর আমার নাম 'অমি' কুশল)

    o

    BiplobRahman‎@ অমি, গুরুচণ্ডা৯ ডটকম-এ আলোচনা করা যায় এই খানে http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=1

    o

    BiplobRahman পুনশ্চ: অথবা যে কোনো বিষয়ে, এইখানে http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=4&porletPage=1

    o

    SuddhasatyaGhosh অমি, আমিও পাঠকই সারাজীবন। যা লিখি দু এক কলম তাকে লেখা বলিনা। এখানে কোনো সমস্যা নেই এমনিতে। তবে এখানে বড় তাড়াতাড়ি হারিয়ে যায়। তাই সাইটের কথা। ওখানে সামন্তরিক ভাবে আপডেটেড না হলেও এই লেখার সূত্রকে অন্যভাবে টেনে আলোচনা করাই যায়। আগে যে লিঙ্ক দেওয়া আছে সেটা দেখুন, বুঝতে পারবেন। আর নিয়ম নীতি কিচ্ছু নেই। শুধু আমার পড়তে পড়তে মনে হল ওখানে লিখলে আরো কিছু চম্‌ৎকার বন্ধু আছেন যাঁরা জুড়তে পারবেন এই আড্ডায়। আর থাকে অনেককাল।:)

    o

    অমি প্রাকৃতজন দারুন! কিন্তু আমি বোকার মতো দুটো লিঙ্কেই ঢু মেরে এসেছি কিন্তু কিস্যু বুঝিনি!!!! এই সুত্রটার কোন মালুমই হলো না!!!হাহাহাআআ.....অবশ্যই চেষ্টা করবো সাইটেও আড্ডা দেবার, এক্‌ধটু সড়গড় করে নেই আগে, ন্যবাদ শুদ্ধাসত্য ও বিপ্লব.......
  • pi | 72.83.87.117 | ২৮ জুলাই ২০১১ ০০:২৩483600
  • ক্ল্যাসিকাল কাকে বলব এনিয়ে শিবাংশুদা, ন্যাড়াদা, কল্লোলদা, মামু বা অন্য কেউ একটু বলুন না !
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৮ জুলাই ২০১১ ১০:১১483601
  • এ নিয়ে আমার জানা বড়োই কম। নানান সময়ে কিছু গুণীজনের সঙ্গ পেয়েছি, তাদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে যতটুকু শোনা।

    মানুষ কবে থেকে গান গায় কে জানে।
    কোথাও বাতাস বয়ে গেল গাছের পাতার ভিতর দিয়ে ঝিরিঝিরি। কিংবা ঝড়ের রাতে একটানা শোঁও শোঁও-ও-ও। ঝমঝম বৃষ্টির পর কোথাও পাথরের খাঁজে জমে থাকা জল কলকল বয়ে যায়। পাখী ডেকে ওঠে নানা সুরে-স্বরে। দূর থেকে শোনা যায় ম্যামথের বৃংহন। গুহার ভিতর মানব শিশুর কান্না। এই সব শব্দরাজি তাদের মায়াজাল বিছিয়ে রেখেছিলো সমস্ত প্রকৃতি জুড়ে।
    দৃশ্যকে ধরে রাখার আকুল আকুতি, প্রাচীন শিল্পীকে দিয়ে আঁকিয়ে নিয়েছিলো আলতামিরার বাইসন বা ভীমবেটকার ম্যামথ শিকার। তেমনই কোন আর্তি, শব্দসমূহকে ধরে রাখার আর্তি থেকে, উঠে এসেছিলো মানবের আদি কন্ঠধ্বনি। ভাঙ্গা ভাঙ্গা আওয়াজকে সূত্রবদ্ধ করে উঠে এসেছিলো সুর, নাকি প্রথমেই রাতের অন্ধকার ফালাফালা করে দিয়ে ঝলসে উঠেছিলো কোন হুঁশিয়ারীর সংকেত - হু-উ-উ-উ-উ-উ-উ-উ-ই-ই তার সপ্তকে।
    কে জানে।
    এভাবেই খেলা করে গেছে সুর, আর মানুষ সুর তুলেছে গলায়। এর সাথে ভাষা মিলে কবে যে সুর থেকে গান, আনন্দ, বেদনায়, মিলন, বিরহ সংকটে তার ইতিহাসও অজানাই থেকে গেছে।
    কোন এক অনুসন্ধিৎসু প্রাণ কবে যেন আবিষ্কার করেছিলো এই সুরের চলন, আর স্বরগুলি। আরও আরও মানুষ ভেবেছিলেন শব্দের এই মায়াবী চলাচল নিয়ে। কোথা থেকে আসে কোথায়ই বা যায়। সূত্রায়িত হতে থাকে তাঁদের ভাবনা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে। শ্রুতির ভিতর দিয়ে বয়ে চলে সুরধারা সময়ের সাথে সাথে। এভাবেই সূত্রবদ্ধ হয় সা কোন এক আশ্চর্য দিনে। একে একে ধরা পরে শুদ্ধ, কোমল ও তীব্র স্বরগুলি। তারপর একদিন কারা যেন গেয়ে ওঠে,ওঁ জবাকুসুম সঙ্কাশং............। আর আবারও কোন কৌতুহলী প্রাণ ভাবতে থাকে কোন কোন শুদ্ধ আর কোমল স্বর মিলে তৈরী করলো এই ভোরের আবহ............
    মানুষ ভাবে, ভাবতে থাকে, ভাবতেই থাকে, আর প্রকৃতি মেলে ধরেন নিজেকে তার সন্তানদের চিন্তালোকে।
    তারও বহু পরে হয়তো কোন ক্ষমতার মদগর্ব এই সব সূত্রায়িত চিন্তা সকলকে নাম দেয়। ধ্রুবপদ।
    নাম। সংজ্ঞা। ছোট করে দেয় পরিসর। সূত্রগুলি আর খেলা করে না। জ্ঞানের একটি শাখার জন্ম হয়।
  • pi | 128.231.22.99 | ৩০ জুলাই ২০১১ ০০:২৯483602
  • কল্লোলদা, ভালো লাগলো।

    কিন্তু কথা হল, এই কোমল , কড়ি ,শুদ্ধস্বরের খেলা তো সবেতেই।

    'ধ্রুপদী' তকমা গায়ে লাগার রহস্যটা কি ? রাজদরবারের ছোঁয়াচ লাগা ?
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩০ জুলাই ২০১১ ১৬:২৯483603
  • না: এনিয়ে তত ফান্ডা নাই।
  • pi | 72.83.100.43 | ১৪ আগস্ট ২০১১ ১৭:৩৮483604
  • শিবাংশুদা, তুলে দিলাম।
  • nyara | 122.172.42.15 | ১৪ আগস্ট ২০১১ ১৯:২৩483605
  • ধ্রুপদী বা ক্ল্যাসিকালের কোন মিউজিকাল ডেফিনিশন আছে কিনা জানিনা। ফোক বা লোকগানেরও মিউজিকাল ডেফিনিশন কি কিছু আছে? লোকগানের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন লোকগান সাধারণত: of unknown authorship। তাহলে কী আমাদের ভনিতাযুক্ত লালন কী হাছন রাজার গান লোকসঙ্গীত নয়? আদত লোকগান, যাকে পশ্চিমি মিউজিকোলজিস্টরা ethnomusic বলেন সেটার একটা দুর্লঙ্ঘ্য বৈশিষ্ট্য হল এগুলো সব পেন্টাটোনিক - পাঁচটির বেশি স্বর ব্যবহৃত হয়। হাতের কাছের উদাহরণ আমাদের সাঁওতালি সঙ্গীত। একটু দূরে চৈনিক ট্র্যাডিশনাল সঙ্গীত। সেও পেন্টাটোনিক। নেপালি ফোক সম্বন্ধে খুব ধারণা নেই, কিন্তু সেটিও বোধহয় পেন্টাটোনিক।

    কিন্তু তা বলে পেন্টাটোনিক হলেই ফোকের অন্তর্ভূক্ত হবে তার কোন মানে নেই। মালকোষই তো পেন্টাটোনিক। এ প্রসঙ্গে মুজতবার একটা গল্প মনে পড়ল - প্রতিবেশী এক সঙ্গীতজ্ঞ ছোকরাকে আব্বাসউদ্দীন শোনাবার পর ছোকরা বলেছিল, চমৎকার সঙ্গীত। কিন্তু ফোক নয়। কেননা কোন দেশের ফোকে এত নোট লাগে না।

    তো সেই পুরোন প্রশ্নে ফিরে এলাম - মিউজিকালি কাকে ক্ল্যাসিকাল বলব? বোধহয় কোন সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা নেই। যেমন হিন্দুস্তানী ধ্রুপদী সঙ্গীত - ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগ অব্দিও ধ্রুপদ ছাড়া অন্য ফর্মের গানকে পুরোপুরি ধ্রুপদী ধরা হত না। আজকে খেয়াল জাতে উঠেছে, কিন্তু টপ্পা, গজল, কাজরি ইত্যাদি এখনও অধা-ধ্রুপদী। হয়তো আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পরে তারাও ধ্রুপদী হয়ে পড়বে।

    পশ্চিমি ধ্রুপদী আর হিন্দুস্তানী ধ্রুপদীর মধ্যে একটা সাদৃশ্য দেখি - সমাজতাত্বিক সাদৃশ্য, সাঙ্গীতিক নয়। সেটা হল যে গান রাজারাজড়া বা এলিটরা প্যাট্রনাইজ করত, সে সব গানই শুধু পরবর্তীতে ধ্রুপদী তকমা পেয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন